মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর এলাকার যুদ্ধাআহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী সন্তান প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে দৃষ্টি আকর্ষন

 

 

 

শেখ এ কে আজাদঃ মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর থানার গোলড়া গ্রামের শারীরিক প্রতিবন্ধী মোঃ দুলাল খান সে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা, বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনার সাথে দেখা করতে চায় বলে জানান তিনি। শৈশবকালে তিনি এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় অঙ্গ বিকলাঙ্গ হয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে পরেন। অঙ্গ বিকলাঙ্গ হয়ে যাওয়ার কারনে সে সমাজের সুস্থ্য মানুষের মত আর চলাফেরা করতে পারেন না তিনি। অক্ষম যাওয়ার ফলে সে হাতের মধ্যে লাঠি নিয়ে ভর করে চলাফেরা করতে হয় তার। তিনি জীবন যুদ্ধু করে ধমে রাখতে চাননি শিক্ষাজীবন। সে এসএসসি পর্যন্ত লেখাপড়া করে স্কুল জীবন পার করতে সক্ষম হোন। এর পর জীবন যুদ্ধে সে আর স্কুল জীবন ডেঙ্গিয়ে লিখাপড়া করতে পারেনি, থেমে যায় এসএসসি পর্যন্ত লিখাপড়া করে। আর্থিক অসচ্ছল হওয়ায়

সংসারের হাল ধরতে তিনি জীবন সংগ্রামে গাজীপুর জেলার টংঙ্গি থানা এলাকায় বাংলাদেশ সরকারের শারীরিক প্রতিবন্ধী সেন্টারে ভর্তি হয়ে দর্জি বিজ্ঞান শাখায় ১ বছর কম্পিউটার প্রশিক্ষন গ্রহন করেন। শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েও মোঃ দুলাল জীবন সংগ্রামে জীবনকে বাঁচাতে চাকরির জন্যে দৌড়ঝাপ করে বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও সরকারী দপ্তরে কিন্তু কোথাও কোন চাকুরি না মিললে তিনি অন্ধকার দেখেন জীবন যুদ্ধে ভালোভাবে বেঁচে থাকার অধিকার নিয়ে (ভিক্ষাবৃত্তি পেশাও তার নিকট মূল্যহীন) । পরে তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অধীনে সাভারে অবস্থিত মাশরুম উন্নয়ন প্রকল্পে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে মাস্টাররোলে ৬ মাস চাকুরি করেন, সাভার ভূমি অফিসে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে মাস্টাররোলে ৩ মাস চাকুরি করেন শুধু শাররীক প্রতিবন্ধী হওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় কম্পিউটার হিসেবে চাকুরি হলেও কোথাও স্থায়ী হয়নি বেশী দিন।এক স্কুল কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি হলে বর্তমানে সে সাভার পৌর ব্যাংককলোনি অভিজাত এলাকার অ্যাসেড স্কুল নামে প্রাইভেট স্কুলে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ চাকুরি করে চলছেন। তার সংসার জীবনে রয়েছে এক স্ত্রী ও পূত্র সন্তান,তিনি চাকরী করে যে টাকা বেতন পান তা দিয়ে সংসার চালানো কস্ট হচ্ছে। তার স্ত্রী গৃহীনি ও পূত্র সন্তান মোঃআজমির খান অ্যাসেড স্কুল থেকে ২০১৯ সনের এসএসসি কমার্স বিভাগ থেকে সাফল্যর সহিত ৪.৫০ জিপিএ পেয়ে বর্তমানে জাহাঙ্গীরনগর কলেজে কমার্স বিভাগে ১ ম বর্ষে অধ্যায়ন করছে।
শারীরিক প্রতিবন্ধী মো: দুলালখান জানান তার বাবা মোঃ দেলোয়ারখান (ধলা) যুদ্ধাআহত মুক্তিযোদ্ধা ও রাষ্ট্রীয় সম্মানীভাতাপ্রাপ্ত। মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণট্রাস্টের বই নম্বর-৮, পাতা নং- ১৯৭, ক্রমিক নং- ১৪৭৮২, মুক্তিবার্তা বই নং- ০১০৭০৩০২২, ই.পি.আর নং- ১৬০৪৯ তার বাড়ী গ্রাম-গোলড়া, থানা + পোষ্ট – সিংগার, জেলা-মানিকগঞ্জ। মোঃ দুলাল খান এর মোবাইল নং- ০১৭২৯৮৫৭৮৪২।

নিউজটি শেয়ার করুন

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *