পৃথিবীতে প্রায় এক কোটি হাফেজে কোরআন রয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ঝালকাঠির এক শিশু মাত্র ছয় মাসে পুরো কোরআন মুখস্থ করে সবাইকে চমকে দিয়েছে। শিশুটির নাম মো. বায়েজিত।
পবিত্র কোরআন মাজিদ মুখস্থ করেন তাদের হাফেজ বা হাফেজে কোরআন বলা হয়। কোরআন শুধু সর্বাধিক পঠিত গ্রন্থই নয় বরং মুখস্থকরণের দিক থেকেও কোরআন রয়েছে বিশ্বে শীর্ষে। কোরআন যত মানুষ মুখস্থ করেছেন পৃথিবীর আর কোনো গ্রন্থ মুখস্থ করেনি কেউ।
পবিত্র কোরআন মাজিদের অসংখ্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর অন্যতম হলো কোনো কোনো বক্তব্য ও ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এসব পুনরাবৃত্তি সৃষ্টিশীল ও নতুনত্বে ভরপুর হওয়ায় অত্যন্ত মনোজ্ঞ এবং আকর্ষণীয়।
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার দারুল উলুম কওমিয়া মাদরাসার ছাত্র বায়েজিত। মাত্র ছয় মাসে কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হয়েছে সে। পুরো কোরআন মুখস্থের আগে দেড় বছর সময় নিয়ে দেখে দেখে তিলাওয়াত করা শিখে বায়েজিত।
পরে মাত্র ছয় মাসে পুরো কোরআন মুখস্থ করে ১০ বছর বয়সী এই শিশু। বায়েজিতের শিক্ষক ক্বারি মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, বায়েজিত নাজেরা পড়া শেষ করে শুরুর দিকে দুই পৃষ্ঠা করে কোরআন মুখস্থ করত।
পরে ৭-৮ পৃষ্ঠা করে মুখস্থ শুরু করে সে। এভাবে ছয় মাসে পুরো কোরআন মুখস্থ করে ফেলে বায়েজিত। এখন সকালে আধা পারা, বিকেলে আধা পারা করে মোট এক পারা কোরআন আমাকে মুখস্থ পড়ে শুনায় সে।
বায়েজিতের বাবা মো. সাইদুল ইসলাম ঝালকাঠি পৌরসভার সহকারী কর নির্ধারক এবং মা শিরীন সুলতানা গৃহিণী। বিস্ময় সৃষ্টিকারী কোরআনের হাফেজ বায়েজিতের বাড়ি ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার আলগি গ্রামে।
এদিকে, দেড় বছরে কোরআন হাফেজ হয়েছেন একই উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের নুরুল ইসলামিয়া দিনিয়া হাফেজি মাদরাসার ছাত্র মো. জোবায়ের খান মোত্তাকিন। উপজেলার শেখেরহাট ইউনিয়নের রাজপাশা গ্রামের কৃষক জামাল উদ্দিন খানের ছেলে মোত্তাকিন।
তার মা মরিয়ম বেগম গৃহিণী। ঠিক মোত্তাকিনের মতোই দেড় বছরে কোরআন হাফেজ হয়েছেন মো. ওমর ফারুক হাওলাদার। রাজাপুরের মনোহরপুর গ্রামের মো. শফিকুল ইসলামের ছেলে ফারুক।
তার মা মাহমুদা বেগম গৃহিণী। নুরুল ইসলামিয়া দিনিয়া হাফেজি মাদরাসার পরিচালক হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বলেন, জোবায়ের খান মোত্তাকিন ২০১৮ সালের জুলাই মাসে ভর্তি হয়ে নাজেরা থেকে ছবক শুরু করে চলতি বছরের ২৫ নভেম্বর হাফেজ হয়। একইভাবে মো. ওমর ফারুক হাওলাদার ২০১৮ সালের মে মাসে ভর্তি হয়ে নাজেরা থেকে ছবক শুরু করে চলতি বছরের ২৫ নভেম্বর হাফেজ হয়েছে।