জয় বাংলা শ্লোগানে সাভার হেমায়েতপুরে রাকেফ অ্যাপারেলস পোশাক করাখানার ভাংচুর,সড়ক অবরোধের ঘটনায় বহিরাগত ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ১ মাসের বেতন ভাতা পাওয়ানা দাবীতে হেমায়েতপুর-সিংগাইর সড়কে অবরোধ করে কারখানার প্রায় ৪ হাজার শ্রমিক।
এসময় কয়েকজন বহিরাগত শ্রমিকের সাথে অংশ নিয়ে কারখানার ভিতর ও বাহিরে ভাংচুর চালায়। পরে এমন অভিযোগে পোশাক কারখানায় ভাংচুরের ঘটনায় বহিরাগত ৪ জন আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন রাসেল(১৮),ইয়াসিন(২১),সিয়াম(১৬), মিলন (২২) আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন শিল্প পুলিশের এএসপি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন এলাকার রাকেফ এ্যাপারেলন্স গার্মেন্টস কারখানার ভিতরে সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
শ্রমিকরা জানায় ওই পোশাক কারখানায় কাজ করে প্রায় ৪ হাজার শ্রমিক বৃহস্পতিবারে ডিসেম্বর মাসের বকেয়া বেতন প্রদানের কথা ছিলো। কিন্তু মালিকপক্ষ বেতন দিতে পারবে না শ্রমিকদের জানালে শ্রমিকরা উৎপাদন বন্ধ রেখে কারখানার বাহিরে টায়ার জ্বালিয়ে হেমায়েতপুর - সিঙ্গাইর সড়ক অবরোধ করে রাখে।
সন্ধ্যার পর বিক্ষুব্ধ শ্রমিক ও বহিরাগতরা রাত আটটার দিকে এক পর্যায়ে কারখানায় ভিতরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এসময় কারখানা ভাংচুরে মালিকপক্ষের লোকজন বাধা দিলে কারখানার শ্রমিক,বহিরাগত ও মালিকপক্ষদের দেড় ঘন্টা ব্যাপি সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ত্রিমুখী এ সংঘর্ষে এসময় আহত হয় অন্তত ১০ জন।
কারখানার ভাঙচুর সংঘর্ষের সময় পুলিশ সদস্যরা কারখানার বাহিরে অবস্থান করলেও কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় নি। কারখানা ভাঙচুর ও সংঘর্ষ শেষ হওয়ার পরে কারখানার ভিতরে প্রবেশ করে পুলিশ রাসেল,সিয়াম,ইয়াসিন,মিলন নামের চার বহিরাগত যুবককে আটক করে।
সংঘর্ষ এড়াতে কারখানার সামনে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। আহতের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। এদিকে হেমায়েতপুর- সিঙ্গাইর সড়ক অবরোধ করার ফলে ওই রাস্তার দুই পাশে আটকা পড়ে শতশত যানবাহন। পরে শ্রমিকরা রাত দশটার দিকে চলে গেলে ওই সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
কারখানা কতৃপক্ষের অভিযোগ কারখানা ভাঙচুরের সময় পুলিশ কোন ব্যবাস্থা না নেওয়ায় পুরো কারখানাটি ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধরা।
অপর দিকে কারখানায় ভাংচুরের পর চারজনকে আটক করেছে পুলিশ । আটককৃতরা হলেন রাসেল(১৮),ইয়াসিন(২১),সিয়াম(১৬), মিলন (২২) । অতিরিক্ত নিরাত্তার জন্য কারখানার সামনে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।