সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের সংসদ সদস্য ত্যাগী নেত্রী ইসমাত আরা সাদেক আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ... রাজিউন)।তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে যশোরে নিজ নির্বাচনী এলাকায়। মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন পরিবার- পরিজনসহ রাজনৈতিক নেতা কর্মীরা।
২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ।
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী প্রয়াত এএসএইচকে সাদেকের এই সহধর্মিণী ইসামত আরা সাদেক ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসন থেকে আওয়ামী লীগের পক্ষে টিকিটে পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি প্রথম যশোর থেকে সরাসরি জনগণের ভোটে নারী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী তাকে প্রথমে গণশিক্ষা ও পরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করেন।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনে পুনরায় যশোর-৬ আসন থেকে ত্যাগী এই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
ইসমাত আরা সাদেক ১৯৪২ সালের ১২ ডিসেম্বর বগুড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫৬ সালে বগুড়া ভিএম গার্লস স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন ও ১৯৫৮ সালে ঢাকার হলিক্রস কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। ১৯৬০ সালে তিনি ঢাকার ইডেন কলেজ থেকে স্নাতক করেন। ১৯৯২ সালে তিনি ও তার স্বামী এএসএইচকে সাদেক আওয়াম লীগে যোগ দেন।
১৯৯৬ সালে তিনি কেশবপুর মহিলা আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তখন থেকে তিনি যশোর জেলার আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির ১ নম্বর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি তারিখে নতুন সরকার গঠিত হলে তাকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করা হয়। ২০১৪ সালের ১৫ জানুয়ারি তারিখে তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া দিলে সততার সহিত দ্বায়িত্ব পালন করেন।
ইসমত আরা সাদেকের স্বামী এএইচকে সাদেক সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। সাবেক এই সচিব আওয়ামী লীগ থেকে দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ব্যক্তিগত জীবনে ইসমত আরা সাদেক এক ছেলে ও এক মেয়ের মা। তার ছেলে তানভীর সাদেক কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার এবং মেয়ে নওরীন সাদেক একজন স্থপতি।