নির্বাচনের দিন সাংবাদিককে নির্যাতনের ঘটনায় ঢাকা মহানগরের ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম সাময়িক বহিস্কার।
সত্যের সংবাদঃ
ঢাকা মহানগরের ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলামকে ঢাকা সিটি নির্বাচনে সংগঠিত এক অনাঙ্ক্ষিত ঘটনা জরিত থাকার অভিযোগে ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে সাময়িকভাবে বহিস্কার করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরী সিদ্ধান্ত মোতাবেক সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারন সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য সাক্ষরিত এক প্রেস বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরী সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে সংগঠনটির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
নির্বাচনের দিন গেলো শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ডিএসসিসি নির্বাচনের ভোটগ্রহণকালে গেন্ডারিয়া এলাকার ৪৬ নং ওয়ার্ডে ভোটকেন্দ্রে ঢাকা দক্ষিণ সিটির নির্বাচনের খবর সংগ্রহ করতে গেলে বাংলাদেশ প্রতিদিনের রিপোর্টার মাহবুব মমতাজি, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের রিপোর্টার নুরুল আমিন জাহাঙ্গীর ও দিন প্রতিদিন পত্রিকার রিপোর্টার পাপন শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হোন ও প্রায় দেড় ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন ছাত্রলীগের নেতা।
ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা জানান, বেলা পৌঁনে ১১টার দিকে তারা নির্বাচনী তথ্য সংগ্রহের জন্য ওই ভোটকেন্দ্রে যান।ভোট কেন্দ্রের ৬৯৮ ও ৬৯৯ নম্বর কেন্দ্রের দোতলা এবং তিনতলার বুথে যান তারা। সেখানে একটি বুথ থেকে ভোট দিতে না পারায় বের করে দেওয়ার অভিযোগ করে সাংবাদিকের কাছে করেন একাধিক ভোটার।
সাংবাদিকরা আরও জানান, তারা ওই ভোটারদের ছবি এবং তাদের বক্তব্য নেন। এরই মধ্যে ছাত্রলীগ নেতা রিয়াদ তাদের পিছন থেকে এসে আচমকা তাদের নিকট থাকা কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। নির্বাচন কমিশন থেকে ভোট পরিদর্শন কার্ডও ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা করেন সে। এসময় তাদের জামার গলার ধরে টানাহেঁচড়া করেন। মোবাইলফোন না দিলে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেন রিয়াদ।
[caption id="attachment_2748" align="alignleft" width="150"] নির্বাচনের দিন সাংবাদিককে নির্যাতনের ঘটনায় ঢাকা মহানগরের ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম সাময়িক বহিস্কার।[/caption]
এক পর্যায়ে রিয়াদ নিজে এবং তার সঙ্গে থাকা অন্যদের দিয়ে সাংবাদিকদের পকেট থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে সকল কিছু মুছে দেন।
বেলা ১২টার দিকে পুলিশের ওয়ারি জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) হান্নানুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এলে সাংবাদিকরা বিষয়টি তাকে জানান। এরপর তিনি রিয়াদকে মোবাইল দিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। পরে রিয়াদ পুলিশ কর্মকর্তাদের সামনেই সাংবাদিকদের মোবাইলের পাসওয়ার্ড নিয়ে যাবতীয় তথ্য মুছে দেন। এরপর মোবাইলফোন সাংবাদিককে দিয়ে দেন।
মোবাইলের তথ্য মুছে দেওয়ার সময় পুলিশের সামনে রিয়াদের কোমরে অস্ত্র বহন করতে দেখা যাচ্ছিল, তার কালো জ্যাকেটের এক পাশে অস্ত্রের একটি অংশ বেরিয়ে ছিলো বলে জানান ভুক্তভোগি সাংবাদিকরা।
https://www.sattersangbad.com/archives/2741