কেরানীগঞ্জে প্লাস্টিক সামগ্রী তৈরির কারখানায় আগুনে দগ্ধ আরও এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আসাদ নামের ১৪ বছর বয়সী ওই কিশোরের মৃত্যু হয়।
আসাদের শরীরের ৫০ শতাংশ আগুনে পুড়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন।
গত ১১ ডিসেম্বর বিকালে কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় প্রাইম পেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ নিয়ে মোট ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেদিনই কারখানার ধ্বংসস্তূপ থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করেন। বাকিরা পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
সামন্ত লাল জানান, কেরানীগঞ্জে দগ্ধ আরও ১৭ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে নয়জনকে রাখা হয়েছে লাইফ সাপোর্টে। ১৭ জনের কেউ শঙ্কামুক্ত নন।নিহত ১৪ জনের মধ্যে ১২ জনের মৃতদেহ শুক্রবার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে ঢাকা জেলা প্রশাসক।অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কারখানা মালিক নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহত একজনের ভাই।
কলকারখানা প্রতিষ্ঠান ও পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক (ঢাকা) আহমেদ বেলাল জানিয়েছেন, প্রাইম পেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ওই কারখানাটি ছিল অবৈধ।
“নব্বই দিনের মধ্যে কারখানার প্রবেশপথের সংখ্যা বাড়ানোর শর্তে তারা ফায়ার সার্ভিসের অনুমতি নিয়েছিল, কিন্তু মালিকপক্ষ তা করেনি। ওই কারখানায় একটি মাত্র প্রবেশ পথ এবং বের হওয়ার পথ একটি।”
এ বছর কারখানাটি পরিদর্শনের পর গত ৫ নবেম্বর মালিকের বিরুদ্ধে নোটিস জারি করে মামলাও হয়েছিল বলে জানান তিনি।