সাভারের ভাকুর্তায় অবৈধ দুটি কয়লা কারখানার ধোয়ায় বিপর্যয়ের মুখে এলাকার পরিবেশ
রফিকুল ইসলাম জিল্লু ও মোঃ মহিবূল আলম রানা
সাভার থেকেঃ রাজধানী ঢাকার অদুরে সাভারে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে কয়লা কারখানা। এসব অবৈধ কয়লা কারখানায় দিন-রাত সবসময় অবাধে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। আর এসব কাঠ পুড়িয়ে বানানো হচ্ছে কয়লা।
এতে একদিকে যেমন ধ্বংস হচ্ছে বনায়ন, আর অন্যদিকে হুমকির মুখে পরছে পরিবেশ বিপর্যয়ের।
উপজেলার ভাকুর্তা ইউনিয়নের মুগড়াকান্দা এলাকায় কৃষি আবাদী ফসলি জমির পাশে দুটি অবৈধ কয়লা কারখানা গড়ে উঠেছে বহু দিন যাবৎ। কিন্তু নেই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ।
স্থানীয়রা বলেন, কয়লা কারখানার মালিক মোঃ আবু বক্কর ছিদ্দিক ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বহু বছর ধরে কৃষি আবাদী এলাকায় এই কারখানা পরিচালনা করে আসছে অভিযোগ করেছেন সাংবাদিকদের নিকট।
এসব কয়লা কারখানা গুলো প্রশাসনের কোনো অনুমতি ছাড়াই ১৫ থেকে ২০টি চুল্লি নির্মাণ করে সেখানে কাঠ পুড়িয়ে তৈরি করছেন এসব কয়লা। কয়লা কারখানার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হচ্ছে পুরো এলাকা।
কারখানার আশ পাশের স্থানীয় বাসিন্দা শিশু কিশোর থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজনদের মধ্যে শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রন্ত হচ্ছেন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের মোগড়া কান্দা এলাকায় দুটি অবৈধ কয়লা কারখানা রয়েছে। সেখানে রাতদিন পোড়ানো হচ্ছে হাজার হাজার টন কাঠ।
এ ব্যাপারে কারখানার মোঃ আবু বক্কও ছিদ্দিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
[caption id="attachment_3146" align="alignright" width="150"] অবৈধ কয়লা কারখানায় দিন-রাত সবসময় অবাধে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। ছবিঃ সত্যের সংবাদ।[/caption]
ফসলি জমিতে এসব কারখানায় দিনরাত ২৪ ঘন্টাই অবাধে কাঠ পোড়ানোর ফলে একদিকে যেমন বনজ সম্পদ উজার হচ্ছে, অন্যদিকে কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ দূষণ হয়ে বিপর্যয়ের মধ্যে যাচ্ছে।
এ ব্যপারে ভাকুর্তা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, কৃষি আবাদি এলাকায় অবৈধ কয়লা কারখানার কালো ধোয়ায় পুরো এলাকা আচ্ছন্ন হচ্ছে, এতে ফসলের ব্যপক ক্ষতি হয়ে,বিপর্যয়ের মুখে এলাকার পরিবেশ।
এছাড়া এলাকার শিশু কিশোর থেকে শুরু করে বড় লোকজনদের মধ্যে শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে ইতিমধ্যে।এ ব্যপারে উপজেলা প্রশাসনকে জানালেও কারখানাগুলো বন্ধের জন্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না।
এসব অবৈধ কারখানা বন্ধ না করলে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে জানান তিনি।
তাই দ্রুত এসব কয়লা কারখানা বন্ধ করে সকলকে মুক্তি দিয়ে পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে মুক্ত করবে প্রশাসন এটিই চাওয়া এখন এলাকাবাসীর।
সম্পাদনায়ঃ আবুল কালাম আজাদ।