করোনা আতঙ্কে যখন দেশ তখন সমিতির
কিস্তি বন্ধ হয় না কেন?
শেখ এ কে আজাদ, প্রতিবেদকঃ
করোনাভাইরাস এর সতর্কতার জন্য যদি দেশের স্কুল কলেজসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হতে পারে, তবে গার্মেন্টস শিল্পে ছুটি নেই।
দোকান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গার্মেন্টস বন্ধ রাখার আগে কিস্তি বন্ধ করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন অনেকে।দেশের বিভিন্ন স্থানে চলছে সমিতির কিস্তি পরিশোধের জন্য বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে এসব সমাজসেবামুলক প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা। এ সব সমাজসেবা প্রতিষ্ঠান করোনা আতঙ্কে সমিতি সদস্যদের জন্য মহামারিতে এগিয়ে না এসে জোর করে তুলে নেয় কিস্তির টাকা।
এসব প্রতিষ্ঠান যেন মাঝে মাঝে সাধারন গরীব ও অসহায় মানুষের জন্য কাটা হয়ে দাড়ায়। তাই যারা কিস্তি নিয়েছে তাদের কিস্তির লাভের টাকা না নিয়ে করোনা আতঙ্ক যত দিন চলবে ততদিন কিস্তি নেয়া বন্ধের দাবী জানিয়েছেন সদস্যরা।
কেননা বর্তমানে বাংলাদেশের নিম্ন থেকে মধ্যবিত্ত পরিবারের ভিতরে প্রায় ৮৫ ভাগ মানুষ বিভিন্ন সমিতি, এনজিও, ব্যাংক থেকে ঋণ করে নিয়ম অনুযায়ী তাদের কিস্তি চালিয়ে যেতে হচ্ছে! তাই যতই ঘোষণা আসুক তাদের কিস্তির টাকা যোগাড় করতে বাসার বাহিরে কাজে ছুটতেই হবে। তাই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ও মানুষকে বাসায় বন্দি ঘোষণার আগে দেশের বিভিন্ন এনজিও ব্যাংকের কিস্তি বন্ধ করার প্রয়োজন। না হলে যত ঘোষণা আসুক ঋণ নেয়া সাধারণ মানুষেরা কিস্তির টাকা যোগাড় করার জন্য কাজে বেরুতে বাধ্য হবে এবং করনোয় আক্রান্ত হতে পারে অনেকে। কিস্তি বন্ধ না করলে নিরহ মানুষ গুলো করোনায় নয়, কিস্তির যন্ত্রনায় জ্বলে পুরে মরবে।
তাই দোকান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ও সাধারণ মানুষের বাহিরে বেরুনোর নিষেধাজ্ঞা জারির আগে এই মুহুর্তে দেশের ঋণদানকারী এনজিও গুলোর কিস্তি বন্ধের জন্য সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এ দেশের ঋণশোধে সংগ্রাম করে চলা ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষেরা।