সাভারে শিশুকন্যা উদ্ধার হওয়ার ১০ দিন পর গার্মেন্টসকর্মী মায়ের কোলে তুলে দিলেন সাভারের কৃতি সন্তান সোহাগ
শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার থেকেঃ
সাভার থেকে এক সাড়ে তিন বছরের শিশুকন্যা নিখোঁজের পর বক্তারপুর থেকে উদ্ধার হওয়ার ১০ দিন পর নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও চানখারপুলের গার্মেন্টসকর্মী মায়ের কোলে তুলে দিলেন সাভারের কৃতি সন্তান একেএম আসাদুজ্জামান সোহাগ।
৯ জুন মঙ্গলবার দুপুরে তিনি শিশুকন্যার ও তার পরিবারের নিকট তুলে দেন। পরে তার নিজস্ব প্রাইভেটকারে শিশুসহ তার পরিবারকে উঠিয়ে দেন।
সে গত ২৭ এপ্রিল সোনারগাঁও চানখারপুল থেকে নিখোঁজ হয়।
সোহাগ তার ফেসবুকে বিভিন্ন সময় শিশুসন্তানটি উদ্ধার করার পর তার মা ও বাপের কোলে তুলে দিবেন বলে ষ্টাটাস দেন এবং সন্ধানদাতাকে ২০ হাজার টাকা উপহার দিবেন বলেও ঘোষনা দেন।
নিখোঁজ হওয়ার পর শিশুকন্যা জান্নাত আক্তারের বাবা মোঃ মামুন, মাতাঃ মর্জিনা বেগমের পক্ষে ছাইফুল নামে নারায়ণগঞ্জ কাঁচপুর থানায় জিডি দায়ের করেন। তাদের গ্রামের বাড়ী পাবনা জেলায়। শিশু কন্যার মাতাঃ মর্জিনা বেগম কর্মের জন্য একটি পোষাক কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন এবং বাবা রাজমিস্ত্রির কাজ করেন।
মাতাঃ মর্জিনা বেগম ও শিশু কন্যার নানা শিশুকন্যাকে পেয়ে খুশি হয়েছেন তিনি উদ্ধার করা সোহাগের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
একেএম আসাদুজ্জামান সোহাগ তার ফেসবুকে সন্ধান চাই ষ্টাটাস দিয়েছিলেন তা তুলে ধরা হলো..
#সন্ধান_চাই__
জান্নাতের বাবা-মায়ের খুঁজে আজ আমরা পথে পথে ঘুরছি । দীর্ঘ তিন মাস ধরে জান্নাত তার বাবা-মায়ের থেকে দূরে আছে। তার বাবার নাম বাপ্পি এবং মায়ের নাম মর্জিনা। তার বাবা-মা দু'জনেই চাকরি করে। তার বড় বোনের নাম ছোয়া। সে ক্লাস ওয়ানে পড়ে। তার বাড়ির পাশে অনেক বড় ব্রিজ আছে এবং ব্রিজের নিচে বাইদা বস্তি আছে। জান্নাত এতটুকু তথ্য দিতে পারে। দুঃখের বিষয় সে তার এলাকা এবং থানার নাম বলতে পারেনা। জান্নাত আপনাদের কাছে দোয়া প্রার্থী।
বিঃ দ্রঃ সন্ধান দাতাকে আমার পক্ষ থেকে ২০,০০০/ হাজার টাকা উপহার দেওয়া হবে।