সাভারে সাত বছরের শিশু মানিককে শিকলে বেঁধে রেখে শারীরিক নির্যাতন
শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ সাভারের আশুলিয়ায় সাত বছরের এক শিশুকে পায়ে শিকল পড়িয়ে তালা লাগিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তার সৎ মা ও বাবার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী দ্রুত শিশুটিকে উদ্ধার করতে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
শিমুলিয়া ইউনিয়নের জিরানী টেংগুরি এলাকার জনৈক রিন্টু মিয়ার শ্রমিক কলোনীতে এ অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে জানা যায়।
মঙ্গলবার ৮ সেপ্টেম্বর সকালে ওই শিশুকে পায়ে তালা ও শিকল দিয়ে বেধে নির্যাতনের ঘটনাটি প্রতিবেশীরা এলাকাবাসীকে জানালে তারা বিষয়টি মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানায়। পরে সেখানে গিয়ে তারা শিশু নির্যাতনের বিষয়টি দেখতে পায়।
নির্যাতিত শিশুটি বরিশাল জেলার মঠবাড়িয়া থানার পাতা কাটা গ্রামের হানিফের ছেলে। তার বাবা রাজমিস্ত্রীর কাজ করে বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী জানায়, গত কয়েক মাস ধরে নিজের ভাড়া ঘরের একটি রুমে সাত বছরের শিশু মানিককে অমানবিকভাবে পায়ে শিকল ও তালা লাগিয়ে নির্যাতন করছে তার সৎ মা ও বাবা। শিশুটিকে মারার হুমকি দিয়ে আসছিল।
এ সময় নির্যাতনের শিকার শিশুটি বলে, আমার বাবা ও সৎ মা আমাকে সবসময় শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে। আমাকে ঝুলিয়ে মাথা নিচের দিকে দিয়ে বাঁশ ও ঝাড়ু দিয়ে পেটায়। রেগে গলা চেপে ধরে। আমি কান্নাকাটি করলে লোহার শিকল দিয়ে তালা দিয়ে আমার হাত ও পা বাঁধে। তারপর সৎ মা বাবা ও বোন মিলে মারধর করে।
কান্নাকাটি করলে তারা তাকে হত্যার ভয় দেখায় বলেও জানায় শিশুটি। এ সময় বন্দীদশা থেকে উদ্ধার করে শিশুটিকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান স্থানীয়রা।
এদিকে, শিশুটিকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখায় এলাকাবাসী তার সৎ মা ও বাবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। এ বিষয়ে শিশুটির বাবা ও সৎ মা ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হয়নি।
এ ঘটনায় শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাহারুল ইসলাম সুরুজ বলেন, আমি শিশু নির্যাতনের বিষয়টি শুনে ওই বাড়িতে গিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে খবর দিচ্ছি যাতে নির্যাতিত শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।