সাভারের বনগাঁও ইউপির দুই সদস্যের দূর্নীতির প্রমাণ মিললে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা মতবিনিময় সভায়..ইউএনও শামীম আরা নীপা
শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
সাভারের বনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান ও ১২৩ নং ওয়ার্ডের নারী ইউপি সদস্য রেহেনা আক্তারের দুর্নীতির বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত করে দুর্নীতির প্রমাণ মিললে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম আরা নীপা।
সোমবার সকালে সাভার উপজেলা পরিষদের হলরুমে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যবসায়ী ও ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম আরা নীপা এসময় আরও বলেন,বনগাঁও ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান সমাজের অসহায়দের সরকারী খাস জমি দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়া ও নারী ইউপি সদস্য রেহেনা রাস্তা উন্নয়ন করার কথা বলে টিআর প্রকল্প থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা উঠিয়ে নিয়ে কাজ করেনি এমন অভিযোগ আমরা পেয়েছি আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি তদন্তে দুর্নীতির প্রমাণ মিললে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন,সরকারী ঘর বরাদ্দে কেউ দুর্নীতি করলে তাকেও ছাড় দেওয়া হবে না।
এসময় তিনি আরও বলেন সিন্ডিকেট করে সাভার উপজেলায় কোন ব্যবসায়ী পেঁয়াজের দাম বাড়ালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও বলেন তিনি।
বনগাঁও ইউনিয়নবাসী বলছে, এ ইউনিয়নের এক নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান হাওলাদার সমাজের প্রায় ৮০ জন ভূমিহীনদেরকে সরকারী খাস জমি দেওয়ার কথা বলে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। ভূমিহীনরা জমি চাইলে ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান উল্টো তাদেরকে হয়রানী করছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
এছাড়া ওই ইউনিয়নের ১২৩ নং ওয়ার্ডের নারী ইউপি সদস্য রেহেনা সাতটি রাস্তা-ঘাটের উন্নয়নের কথা বলে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে কাজ না করে তিনি টাকা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। এবিষয়ে নারী ইউপি সদস্য রেহেনা বলেন আমি প্রকল্প থেকে টাকা উত্তোলন করে কাজ না করে টাকা গুলো আরিফ নামের এক যুবককে দিয়েছি কয়েকদিন পরে রাস্তার কাজ করবো বলে বলেন তিনি।
এদিকে দুই বিতর্কিত এই দুই ইউপি সদস্য নিজেদের দুর্নীতির অপকর্ম ঢাকতে গত ১৯ সেপ্টেম্বর সাধাপুর এলাকায় ভাড়াটে লোকজন দিয়ে মানববন্ধন কর্মসুচী পালন করেন। এলাকাবাসীর দাবি দুর্নীতির প্রমাণ ঢাকতে ওই দুই ইউপি সদস্য শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন।
এলাকাবাসী এই বিতর্কিত দুই ইউপি সদস্যের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন সরকার ও প্রশাসনের নিকট।