প্রতিদিন শেয়ারবাজার ধস হওয়ায় চরম আতঙ্ক সাভারের সাধারন বিনিয়োগকারীরা
শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
গত ১৫ কার্যদিবসে দেশের শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন চলছে।গত ১৪ ফেব্রয়ারি যার সূচক ছিল ৭০১২০ কমতে কমতে ৬৪৫৬ পয়েন্ট পৌঁছায়। ১৫ তম কার্য দিবসে ৬৭০ পয়েন্ট সূচক কমে যায়। লাগামহীনভাবে সূচক এবং শেয়ারদর কমতে থাকায় সাধারন শেয়ারবাজার বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা।
প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স সোমবার ১৮৪ পয়েন্ট কমে যায় যা চলতি বছরের মধ্যে এখন পর্যন্ত এটিই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরপতন।
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ইউক্রেন- রাশিয়ার হামলার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে শেয়ারবাজারের দ্রুত সূচকের পতন ঘটতে থাকে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিক্রির চাপ বেড়ে যাওয়ায় এ পতন সম্মূখীন।
ইউক্রেন- রাশিয়ার হামলার কারনেও বিশ্ব শেয়ারবাজারে নিম্নগামী প্রবনতা চলছে এবং বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে এর প্রবনতা শুরু হয়।
সর্বশেষ এ বছরের ১৪ ফেব্রয়ারি ডিএসইতে সর্বোচ্চ হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হলেও পরবর্তী দিবগুলোতো সর্বনিম্ন লেন হতে থাকে।
গতকাল (৭)মার্চ সোমবার ১৮৪ পয়েন্ট সূচক কমে ৬৪৫৬ সূচক দাঁড়ায়।সোমবার দিন ৭৪০ কোটি টাকার লেনদেন হয়।
দরপতনের কারণে ব্রোকার হাউজে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কমে গেছে। গত বছরের মার্চে মাসে শেয়ারদর সূচকের এতটা পতন আর কখনও হয়নি।
অনেক শেয়ারের দাম ১৫ থেকে ৩০ শতাংশের বেশি কমে যাওয়ায় বেশি রিক্সে রয়েছেন ঋণ করে যাঁরা বিনিয়োগ করেছেন তাঁরা। মার্জিন
ঋণগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা লোকসানে শেয়ার বিক্রির চাপ হলে তাতে পুঁজি হারানোর ভয়ে রয়েছেন। সূচক নিম্নগামী হওয়ায় সাথে শেয়ারদর কমায় বিনিয়োগকারীরা প্রতিদিনের লেনদেনে অংশ নিতে পারছেন না ।
এদিকে সাভারে ব্রোকার হাইজের এক বিনোয়োগকারী কয়েক হাজার বিএসসির শেয়ার ক্রয় করা থাকলেও আতঙ্কে তিনি গতকাল ও আজ ৪০ টাকা কমে প্রতিটি শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। এতে করে কয়েক লক্ষ টাকা লোকসানে পড়েছেন তিনি।এমন করে শেয়ারবাজার নিম্মগামীদর হওয়ায় ক্রয় না করে অনেক বিনিয়োগ কারী শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন বলে জানা যায়।
এদিকে সাভার শাখার স্কয়ার সিকিউরিটি ব্রোকার হাউজের কর্মকর্তা আল-আমিন বলেন সূচক ও শেয়ারদর নিম্নগামী হওয়ায় হাউজের বিনিয়োগকারীদের মধ্য চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে, প্রতিদিন ক্লাইন্ড প্রশ্ন করছে আগামীতে বাজার আরো নিম্নগামী হবে কিনা? এইভাবে অব্যাহত থাকলে হয়তো পথে নামতে হবে। এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বলে দিচ্ছেন বাজার আবার একসময় ঘুরে দাঁড়াবে আতঙ্ক হয়ে শেয়ার ছাড়ার প্রয়োজন নেই। একসময় লাভের মুখ দেখবেন।