Author: sattersangbad24

  • না ফেরার দেশে চলে গেলেন মানিকগঞ্জ আটিগ্রাম এলাকার দেওয়ান আলতাফ

    না ফেরার দেশে চলে গেলেন মানিকগঞ্জ আটিগ্রাম এলাকার দেওয়ান আলতাফ

    না ফেরার দেশে চলে গেলেন মানিকগঞ্জ আটিগ্রাম এলাকার দেওয়ান আলতাফ

    শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
    দীর্ঘ অসুস্থতা থাকার পর মারা গেলেন মানিকগঞ্জ আটিগ্রামের পোড়াপাড়া এলাকার দেওয়ান মোঃ আলতাফ হোসেন। ১৫ জুন সোমবার দুপুরে নিজ বাড়িতে ব্রেইন স্ট্রোকে  শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে চলে গেলেন না ফেরার দেশে (ইন্না-লিল্লাহ ওয়া ইন্না-লিল্লাহ রাজেউন)। মৃত্যুকালে মুরহুমের বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।তিনি মরহুম মৌলভী দেওয়ান নূর হোসাইনের ছেলে মুরহুম দেওয়ান মোঃ আলতাফ হোসেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ মেয়ে, ৪ ছেলে নাত-নাতনিসহ গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার নামাজের জানাযা আটিগ্রাম ঈদগাঁহ মাঠে বাদ মাগরিব  অনুষ্ঠিত হওয়ার পর কবরস্থানে দাফন করা হবে।
    তার বিদেহী মাগফেরাত কামনা করে সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন পরিবারের সকলে।
    তার মৃত্যুতে এটিএন বাংলা ও বাংলাদেশ বেতারের সাংবাদিক শেখ আবুল বাশার গভীর শোক ও তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন।

    মুরহুম দেওয়ান মোঃ আলতাফের অসুস্থতার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন এটিএন বাংলা ও বাংলাদেশ বেতারের সাংবাদিক শেখ আবুল বাশার। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন তিনি।
    পরিবারের সাথে ফাইল ছবি।

    উল্লেখ্য, হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পরায় সাভারের একটি হাসপাতালে কয়েকদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাবেক কর্মকর্তা ও বর্তমানে শিশুস্বাস্থ্য ও প্রজনন স্বাস্থ্যে উচ্চতর প্রশিক্ষণরত (বিএসএমএমইউ)
    সারকারি কর্মকর্তা মানবতার ডাক্তার আমজাদুল হক করোনা ভাইরাস মোকাবেলা ও প্রতিরোধ চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছিলেন প্রজন্ম হাসপাতালে তাকে, সঠিক পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে তার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। তিনি অসুস্থ হলে ডাক্তার আমজাদুল হকের তত্বাবধানে চিকিৎসা সেবা গ্রহন করতেন এবং সুস্থ্য হয়েছেন কয়েকবার।
    রবিবার তার শারীরিক অবস্থা উন্নতি হলে হাসপাতাল থেকে তাকে বাড়িতে নিয়ে যান তার পরিবার। পরে সোমবার শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে নিজ বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

     

  • সাভারের আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুত এলাকায় এক পিকআপ হেলপারের মহাসড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যু,মৃত্যদেহ উদ্ধার করেছে সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশ

    সাভারের আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুত এলাকায় এক পিকআপ হেলপারের মহাসড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যু,মৃত্যদেহ উদ্ধার করেছে সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশ

    সাভারের আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুত এলাকায় এক পিকআপ হেলপারের মহাসড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যু,মৃত্যদেহ উদ্ধার করেছে সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশ

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
    ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের সাভারের আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুত এলাকায় মিনি পিকআপ ট্রাকের ধাক্কায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ১৫ জুন সোমবার গভীর রাত তিনটায় দিকে ঢাকাগামী ট্রাকটি জমে থাকা একটি ট্রাকের সাথে ধাক্কা দিলে ঘটনসস্থলে নিহত হয় ৩৬ বছর বয়সের পিকআপট্রাকে থাকা হেলপার জাফর সরদার।ড্রাইভার পালাতক। নিহত মৃত্যু দেহসহ দুটি ট্রাক উদ্ধার করে সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশ।
    পুলিশ জানায়, মৃত্যুদেহটি উদ্ধার হওয়ার পর তাকে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা সোহরাওয়ার্দী মর্গে পাঠানো হয়েছে।
    সাভার হাইওয়ে থানা ওসি মোঃ আব্দুল্লাহেল বাকী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বলেছে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।

  • সিলেটের সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ করোনা আক্রান্তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন

    সিলেটের সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ করোনা আক্রান্তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন

    সিলেটের সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ করোনা আক্রান্তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন

    সিলেটের সিটি করপোরেশনের প্রথম ও একাধিকবারের নির্বাচিত মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান আর নেই। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। বিজ্ঞপ্ত।

  • ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যু

    ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যু

    ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যু

    ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ আর নেই। তিনি রাজধানীর সম্মিলিতি সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

    শনিবার (১৩ জুন) দিনগত রাত ১২টার দিকে তার একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস) নাজমুল হক সৈকত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বাংলানিউজকে বলেন, কয়েকদিন ধরেই উনি অসুস্থ ছিলেন। শনিবার রাতে ওনারহার্ট অ্যাটাক করে। রাত ১১টার দিকে তাকে সিএমএইচে নেওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার পর দ্বিতীয়বার তার হার্ট অ্যাটাক করে। এর পরপরই তিনি রাত সাড়ে ১১.৪৫ টার দিকে মারা যান।

    -বিজ্ঞপ্তি।

  • ১৪ দলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিম করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়ার  পর ব্রেইন স্ট্রোক হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন

    ১৪ দলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিম করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়ার পর ব্রেইন স্ট্রোক হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন

    ১৪ দলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিম করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়ার পর ব্রেইন স্ট্রোক হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন

    সাবেক স্বাস্হ্যমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য,বর্তমান এমপি ১৪ দলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিম না ফেরার দেশে চলে গেলেন। তিনি জীবনকালে ছিলেন সংগ্রামী নেতা। তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ্য হলে পরে ব্রেইন স্ট্রোক হয়ে রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইস্ট হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ জুন ২০২০,রোজ শনিবার, সকাল ১১ঃ০০ ঘটিকার সময় ইন্তেকাল করেছেন। ( ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।

    হে আল্লাহ তাকে জান্নাত বাসী করুন-আমিন।

    উল্লেখ,মোহাম্মদ নাসিম ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বাধীন মন্ত্রী ছিলেন। এরপর ২০১৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

  • আশুলিয়ায় এসআই হারুনের নেতৃত্বে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার, আটক ৩

    আশুলিয়ায় এসআই হারুনের নেতৃত্বে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার, আটক ৩

    আশুলিয়ায় এসআই হারুনের নেতৃত্বে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার, আটক ৩

    সাভারঃসাভারের আশুলিয়ায় বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও হেরোইনসহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১২ জুন) বিকেলে আশুলিয়ার জামগড়া ও ইউনিক এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।

    আটককৃতরা হলো- রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার সংকরপুর গ্রামের মো. গোলাপ মিয়ার ছেলে মো. রুবেল (২০), একই জেলার গঙ্গাচড়া থানার দক্ষিণ নলেয়া গ্রামের মো. আনোয়ার ইসলামের ছেলে মো. সুমন ইসলাম (১৮) এবং পটুয়াখালি জেলা ও থানার কাঁচিছিড়া গ্রামের মৃত সুলতান হাওলাদারের ছেলে মো. হৃদয় হোসেন (১৮)। তারা সকলেই আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থেকে ইয়াবা ও হেরোইনের ব্যবসা করে আসছিলো বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদ জানান, বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আশুলিয়ার ইউনিক এবং জামগড়া এলাকার নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালের সামনে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। এসময় আটক রুবেলের দেহ তল্লাশি চালিয়ে তার কাছে থাকা ১৫০০ পুরিয়া হেরোইন ও ৮৫ পিস ইয়াবা, সুমনের কাছে থাকা ৫০০ পুরিয়া হেরোইন ও ২০ পিস ইয়াবা এবং হৃদয়ের কাছে থাকা ১১০০ পুরিয়া হেরোইন ও ১৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবা ও হেরোইনের মূল্য আনুমানিক তিন লক্ষ টাকা বলেও জানান পুলিশের এই চৌকস কর্মকর্তা।

    এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আশুলিয়া থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

    উল্লেখ্য, গত ৩ জুন আশুলিয়ার গাজিরচট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১১ পিস ইয়াবা ও ১১০৩ পুরিয়া হেরোইনসহ দুই চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করে এসআই হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে আশুলিয়া থানা পুলিশের একটি টিম।

  • ভুয়া’ ফেইসবুক পেজ আইডির বিরুদ্ধে ডা. জাফরুল্লাহর থানায় ডায়রি

    ভুয়া’ ফেইসবুক পেজ আইডির বিরুদ্ধে ডা. জাফরুল্লাহর থানায় ডায়রি

    ভুয়া’ ফেইসবুক পেজ আইডির বিরুদ্ধে ডা. জাফরুল্লাহর থানায় ডায়রি,শাররিক অবস্থা উন্নতি

    ডেস্ক সংবাদঃ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ভুয়া ফেইসবুক পেজ আইডি নিয়ে থানায় জিডি করেছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তার প্রতিষ্ঠিত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে খবরটি জানানো হয়েছে।

    সেখানে বলা হয়, “গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো যাচ্ছে যে, আমাদের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী কোনভাবেই কোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংযুক্ত নন। অথচ ওনার নামে কে বা কারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ‘ফেইসবুক পেজ’ খুলেছেন।

    যে পেজ থেকে ওনার নামে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর তথ্য শেয়ার করা হচ্ছে। ”
    প্রতিকার চেয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়। জানানো হয়, “এ বিষয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী থানায় জিডি করেছেন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের অনুরোধ করছি, পেজটি ভিজিট করে ‘ফেইক’ হিসেবে রিপোর্ট করুন। ”

    এ দিকে ডা. জাফরুল্লাহ সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বৃহস্পতিবার বিকেলে অধ্যাপক ডা. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মামুন মোস্তাফি বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ফুসফুসের মারাত্মক নিউমোনিয়া হওয়া ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে এবং তার অক্সিজেন গ্রহণের পরিমাণ কমে আসে। তাকে নিয়মিত ডায়ালাইসিস, পরিমিত এন্টিবায়োটিক ও বিশেষায়িত ফিজিওথেরাপি দেয়া হচ্ছে। তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং দোয়া চেয়েছেন। ”

    গত ২৫ মে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা হলে ডা. জাফরুল্লাহর করোনা পজিটিভ আসে। বর্তমানে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে অধ্যাপক ডা. মামুন মোস্তাফি ও অধ্যাপক ডা. নাজিব মোহাম্মদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। তার শাররিক অবস্থা উন্নতি হয়েছে।

  • ঢাকা ছাড়ছে মানুষ, বাড়িতে বাড়িতে ঝুলছে বাসাভাড়া দেয়ার বিজ্ঞাপন ‘টু লেট’

    ঢাকা ছাড়ছে মানুষ, বাড়িতে বাড়িতে ঝুলছে বাসাভাড়া দেয়ার বিজ্ঞাপন ‘টু লেট’

    ঢাকা ছাড়ছে মানুষ, বাড়িতে বাড়িতে ঝুলছে বাসাভাড়া দেয়ার বিজ্ঞাপন ‘টু লেট’

    ডেক্স সংবাদঃ বেকার, ভাগ্যান্বেষী, বিদ্যান্বেষীসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষের ‘স্বপ্ন গড়ার শহর’ ছিল ঢাকা। সেজন্য দিন দিন এই নগরে জ্যামিতিক হারে বাড়ছিল মানুষ। কিন্তু গত মার্চে দেশে করোনাভাইরাস হানা দেয়ার পর সেই মানুষদের স্বপ্ন যেন ভাঙতে শুরু করেছে। গত ক’মাসে আয় রোজগার কমে এমনকি কর্ম হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ। হতদরিদ্ররা হয়ে পড়েছে আরো অসহায়। জীবিকার এমন সংকট দেখা দেয়ায় ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ। তাতে রাজধানীর অনেক বাড়িতে ভাড়াটিয়া সংকট দেখা দিয়েছে। সেজন্য এখন বাড়িতে বাড়িতে ঝুলছে বাসাভাড়া দেয়ার বিজ্ঞাপন ‘টু লেট’।

    সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশের কর্মসংস্থানের সিংহভাগ রাজধানী ঢাকাকেন্দ্রিক হওয়ায় বিভিন্ন অঞ্চলের লোকজন কাজের সন্ধানে রাজধানীমুখী হতেন। প্রতিদিনই কর্মসংস্থান বা ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় ঢাকায় আসত মানুষ। এভাবে দেড় হাজার বর্গকিলোমিটারের এ নগরীর বাসিন্দার সংখ্যা দাঁড়িয়ে যায় প্রায় দুই কোটি, যাদের প্রায় ৮০ শতাংশই ভাড়া বাসার বাসিন্দা। এ ভাড়াটিয়ারা বছরের পর বছর বাসার উচ্চ ভাড়া দিয়ে আসছেন। কিন্তু করোনাভাইরাস পরবর্তী পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে বাসা ভাড়ার চিত্রও। করোনার কারণে অনেক মানুষ কাজ হারিয়েছেন, অনেক মানুষের শ্রেণি কাঠামোর পরিবর্তন হয়েছে। নতুন করে অনেক মানুষ হতদরিদ্র হয়েছেন, ফলে আগের ভাড়ার ভার বইতে পারছেন না তারা, ফলে ছেড়ে দিচ্ছেন বাসা, ছেড়ে দিচ্ছেন ঢাকাও।

    করোনা পরিস্থিতিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখে গেছে, বেশিরভাগ বাড়িতেই দু-একটা ফ্ল্যাট ফাঁকা আছে। ভাড়াটিয়া চেয়ে ‘টু লেট’ লেখা বিজ্ঞাপন সাঁটানো থাকলেও বাড়ির মালিকরা ভাড়াটিয়া খুঁজে পাচ্ছেন না। দু-একটি ফ্ল্যাট ফাঁকা হয়ে যাওয়ার মধ্যেই বাড়ির মালিককে বাসা ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিচ্ছেন আরও অনেক ভাড়াটিয়া।

    বেশিরভাগ বাড়িতে ‘টু লেট’ বিজ্ঞাপনের হেতু জানতে রাজধানীর বেশ কিছু বাড়ি মালিকের সঙ্গে কথা হয় জাগো নিউজের। তারা জানান, সাধারণ ছুটি বা লকডাউনের কারণে অনেকেই তাদের পরিবারের সদস্যদের গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন। পরিবারের উপার্জনের ব্যক্তিটি পরে বাসা ছেড়ে দিয়ে অন্য কোনো মেস বা ছোট বাসায় উঠেছেন, যে কারণে অনেক বাসা ফাঁকা হয়ে গেছে। এছাড়া এই পরিস্থিতিতে নতুন কেউ বাসা পরিবর্তন করেননি এবং জীবিকার তাগিদে ঢাকায় নতুন মানুষও তেমন একটা আসেননি। যে কারণে বাসাগুলো ফাঁকা রয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতি তৈরির ক্ষেত্রে ঠিক মত বেতন না পাওয়া, কাজ না থাকা, এমনকি চাকরি হারানোই বড় কারণ।

    রাজধানীর বাড্ডা এলাকার একটি বাড়ির মালিক জয়নাল হক বলেন, আমার পাঁচতলা বাড়ির দুটি ফ্ল্যাট গত দুই মাস ধরে ফাঁকা। আগে ‘টু লেট’ সাঁটানোর সাতদিনের মধ্যে বাসা ভাড়া হয়ে যেত। কিন্তু এখন ভাড়াটিয়া পাওয়া যাচ্ছে না।

    আশপাশে আরও কিছু বাড়িতে এভাবে ‘টু লেট’ ঝুলছিল। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকায় বসবাসকারীদের মধ্যে অনেকেই গ্রামে চলে গেছেন। অনেকে পরিবারকে পাঠিয়ে দিয়ে নিজে কোনো মেসে উঠেছেন। অনেকের ইনকাম কমে গেছে, যে কারণে আগে ১৬ হাজার টাকার বাড়িতে থাকলেও এখন ১০ হাজার টাকা ভাড়ার বাসায় চলে যেতে চাচ্ছেন। অনেকে চাকরিচ্যুত হয়েছেন। অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তেমন ব্যবসা না হওয়ায় পরিবার নিয়ে গ্রামে চলে গেছেন। অনেকের ইনকাম না থাকায় দুই মাস ধরে বাসা ভাড়া দিতে পারেননি। যে কারণে বাড়ির মালিক রাগে তাদের বের হয়ে যেতে বলে ‘টু লেট’ টাঙিয়েছেন। সব মিলিয়ে এখন রাজধানীর অনেক বাড়িতেই দু-একটি ফ্ল্যাট ফাঁকা রয়েছে।

    তবে বাড়ির মালিকরা ‘টু লেট’ টাঙিয়েও আশানুরূপ ভাড়াটিয়া পাচ্ছেন না বলে স্বীকার করেন জয়নাল।

    রাজধানীর মালিবাগ এলাকায় ভাড়া বাসার বাসিন্দা মকলেসুর রহমান একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিনিও বাড়ির মালিককে জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী মাস থেকে বাসা ছেড়ে দেবেন। সে অনুসারে বাড়ির মালিকও ‘টু লেট’ টাঙিয়েছেন।

    কেন বাসা ছেড়ে দিচ্ছেন জানতে চাইলে মকলেসুর রহমান বলেন, সীমিত বেতনে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। যেখানে বেতনের সিংহভাগই চলে যায় বাসা ভাড়ায়। স্ত্রী আর এক সন্তান নিয়ে ওই বাসায় থাকতাম। কিন্তু বিগত দুই মাস ধরে অর্ধেক বেতন পাচ্ছি। যে কারণে বাসা ভাড়া দেয়া এবং সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই বাসা ছেড়ে দিয়ে স্ত্রী-সন্তানকে গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে আমি একটি মেসে উঠবো।

    এ বিষয়ে ভাড়াটিয়া পরিষদের সভাপতি বাহরানে সুলতান বাহার বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন, অনেকেরই আয় কমেছে। এই অবস্থায় বাসা ভাড়া পরিশোধ করা অনেকেরই জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। আমরা প্রথম থেকেই দাবি জানিয়ে আসছি নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষের জন্য কিছুটা হলেও বাড়ি ভাড়া মওকুফ করার জন্য, কিন্তু আমাদের কথা কেউ শুনছেন না। অনেক মানুষ বেকার এবং আয় কমে যাওয়ার কারণে তাদের পরিবারকে গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন, আর আয়ের আশায় তিনি নিজে কোনো একটি মেসে বা কম টাকা ভাড়ার বাসায় উঠেছেন। আসলে সত্যি কথা বলতে মানুষকে খুব খারাপ অবস্থার মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে। যে কারণে অনেকেই বাসা ছেড়ে দিয়েছে-দিচ্ছেন।

    তিনি আরো বলেন, করোনা পরিস্থিতিতেও অনেক বাড়ির মালিক ভাড়াটিয়াদের প্রতি সহানুভূতি না দেখিয়ে ভাড়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছেন। যে কারণে অনেকেই বাসা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। ভাড়াটিয়াদের অসহায়ত্বের কথা বিবেচনা করে বাড়ির মালিকদের উচিত কিছুটা ছাড় দেয়া, কিছুটা ভাড়া মওকুফ করা।

    ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বিষয়ক সংগঠন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) একটি সমীক্ষা থেকে জানা যায়, ২৫ বছরে রাজধানীতে বাড়ি ভাড়া বেড়েছে প্রায় ৪০০ শতাংশ। একই সময়ে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে ২০০ শতাংশ। অর্থাৎ এই সময়ে নিত্যপণ্যের দামের তুলনায় বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির হার প্রায় দ্বিগুণ।

    অন্য এক জরিপে দেখা যায়, ২৭ শতাংশ ভাড়াটিয়া আয়ের প্রায় ৩০ শতাংশ, ৫৭ শতাংশ ভাড়াটিয়া প্রায় ৫০ শতাংশ, ১২ শতাংশ ভাড়াটিয়া আয়ের প্রায় ৭৫ শতাংশ টাকা ব্যয় করেন বাসা ভাড়ায়।

    সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বছরের পর বছর বাড়ি ভাড়া যে বেপরোয়াভাবে বেড়েছে, তাতে আয়-ব্যয়ে প্রকট অসামঞ্জস্যতা নিয়ে থাকতে হয়েছে লোকজনকে। এখন পরিস্থিতি আরো খারাপ হওয়ায় নিরূপায় হয়ে মানুষ ঢাকা ছাড়ছে, তাতে তৈরি হচ্ছে ভাড়াটিয়া সংকট। এই সংকট সামনের দিনগুলোতে আরো প্রকট হতে পারে।

  • কবিতাঃ পাপের ফল..মিনা

    কবিতাঃ পাপের ফল..মিনা

    কবিতাঃ পাপের ফল
    লেখক:- জনাবা-জান্নাতুল ফেরদৌস (মিনা)

    আকাঁশটা আছে কিসের উপর-
    ভাবতো মানুষ যদি!
    কেউও চলতনা অসৎপথে,
    কারোও হতোনা ভুল ক্রোটি?

    আকাঁশ হলো ছাদ পৃথিবীর-
    দুনিয়ার সকল কিছুর উপর!
    কত সুন্দর করে তৈয়ারি করেছে খোদা,
    পৃথিবী জন্য একটি মাত্র ঘর?

    সেই ঘরে দিয়েছে দুনিয়ার সকল কিছু-
    মানুষকে দেয়নি কোন অভাব!
    যেনে শুনে কত মানুষ,
    দুনিয়াতে করেছে মহা পাপ?

    অসৎপথে লিপ্ত হয়ে-
    মানুষ করে মন্দ কাজ!
    সইতে না পেরে খোদা,
    মানুষের প্রতি হয়েছে নারায?

    মানুষ হলো জ্ঞানের ভাণ্ডার-
    মানুষ বুঝো সব!
    মানুষ এখন মুক্ত করুক,
    এই পৃথিবীর গযব?

    নিজেকে মানুষ বড় না ভেবে-
    খোদার কাছে শিকার করুক ভুল!
    সেদিন হবে খোদার দরবারে,
    মানুষের দোয়া কবুল?

    মানুষ হইছে অমানুষ এখন-
    ঠিক নেই তাঁদের ইমান!
    খোদার নজির দেখুক মানুষ,
    পাপের নগদ প্রমাণ?
    সমাপ্ত!!!
    লেখক আমার মা জনাবা –
    জান্নাতুল ফেরদৌস (মিনা)
    তারিখ -১২/০৬/২০২০ইং।

  • দোয়া ইউনুস এর আমলে বান্ধার জন্য সকল প্রকার কল্যাণের দ্বার খুলে দেন আল্লাহ

    দোয়া ইউনুস এর আমলে বান্ধার জন্য সকল প্রকার কল্যাণের দ্বার খুলে দেন আল্লাহ

    দোয়া ইউনুস এর আমলে বান্ধার জন্য সকল প্রকার কল্যাণের দ্বার খুলে দেন আল্লাহ

    ইসলামী ডেক্সঃ
    হজরত ইউনুস আলাইহিস সালাস আল্লাহর নবী ছিলেন। কোরআনে কারিমের ১০ নম্বর সূরার নামকরণ তার নামে রাখা হয়েছে। তিনি সমুদ্রে নিক্ষিপ্ত হলে একটি প্রকাণ্ড মাছ তাকে গিলে ফেলে।

    হজরত ইউনুস আলাইহিস সালাস আল্লাহর নবী ছিলেন। কোরআনে কারিমের ১০ নম্বর সূরার নামকরণ তার নামে রাখা হয়েছে। তিনি সমুদ্রে নিক্ষিপ্ত হলে একটি প্রকাণ্ড মাছ তাকে গিলে ফেলে। কিন্তু আল্লাহতায়ালার রহমতে ওই মাছ তাকে হজম করতে সমর্থ হয়নি, এমনকি তার দেহের সামান্যতম অংশেও কোনোরূপ ক্ষতের সৃষ্টি করতে পারেনি। সেই মাছের উদর-অন্ধকারে বসে আল্লাহর নবী হজরত ইউনুস (আ.) অত্যন্ত সম্মান, বিনয় ও কাতর স্বরে যে দোয়াটি পড়েছিলেন তা দোয়া ইউনুস নামে বহুল পরিচিত। সেই দোয়াটি হচ্ছে- ‘লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুন্তু মিনাজজলিমীন।’

    কোরআনে কারিমে হজরত ইউনুস (আ.)-এর নামে যেমন একটি সূরা রয়েছে তেমনি ইউনুস নামটিও অন্ততপক্ষে পাঁচ স্থানে উল্লেখিত হয়েছে। কোরআনে হজরত ইউনুস (আ.) কে ‘যুন্নুন সাহিবুল হূত’ নামে অভিহিত করা হয়েছে। যুন্নুন শব্দের অর্থ মাছের সঙ্গে সম্পৃক্ত আর সাহিবুল হূত শব্দের অর্থ মৎস্য সহচর।

    হজরত ইউনুস (আ.) নিনেভা নামক জনপদে প্রেরিত হন। কিন্তু নিনেভার লোকজন তার ডাকে সাড়া না দেওয়ায় তিনি তাদের আল্লাহর গজবের খবর দিয়ে আল্লাহর নির্দেশের অপেক্ষা না করে নিনেভা ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য রওনা হন। পথিমথ্যে সমুদ্র পড়লে তা পাড়ি দেওয়ার জন্য একটি জাহাজে ওঠেন। জাহাজটি মাঝ সমুদ্রে ঘূর্ণিঝড়ে পড়ে। তখন জাহাজের চালক ধারণা করে যে, জাহাজে কোনো অপরাধী আছে, যে কারণে জাহাজটি বিপাকে পড়েছে। পরে সেকালের নিয়ম অনুযায়ী অপরাধীকে চিহ্নিত করতে লটারির ব্যবস্থা করা হয়। লটারিতে বার বার হজরত ইউনুস (আ.)-এর নাম ওঠে। তখন বাধ্য হয়ে তাকে সমুদ্রে ফেলে দিলে জাহাজটি বিপাক থেকে রক্ষা পায়, আর একটি বিরাট মাছ তাকে গিলে ফেলে।

    এ প্রসঙ্গে কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘ইউনুসও ছিল রাসূলদের একজন। স্মরণ করো, যখন সে পালিয়ে বোঝাই নৌযানে পৌঁছল, অতঃপর সে লটারিতে যোগদান করল এবং পরাভূত হলো। পরে এক বৃহদাকার মাছ তাকে গিলে ফেলল। তখন সে নিজেকে ধিক্কার দিতে লাগল। সে যদি আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা না করত, তাহলে তাকে কিয়ামত পর্যন্ত ওই উদরে থাকতে হতো।’ -সূরা সাফফাত : ১৩৯-১৪৪

    হজরত ইউনুস (আ.) অক্ষত অবস্থায় ৪০ দিন সেই বৃহদাকার মাছের উদরে বসে তাসবিহ-তাহলিল, তওবা-ইস্তিগফার করেছিলেন এবং আল্লাহর বিনানুমতিতে স্বদেশ ত্যাগ করার জন্য অনুশোচনা ব্যক্ত করে কান্নাকাটি করেছিলেন। এ বিষয়ে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘এবং স্মরণ করো যুন্নূনের কথা যখন সে রেগেমেগে বের হয়ে গিয়েছিল এবং মনে করেছিল আমি তাকে পাকড়াও করব না। অতঃপর সে (ইউনুস) অন্ধকার হতে আহবান করেছিল, আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, আপনি পবিত্র সুমহান। নিশ্চয়ই আমি সীমা লঙ্ঘনকারী।’-সূরা আম্বিয়া : ৮৭

    আল্লাহতায়ালা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নবীকে পরীক্ষা করেছেন। পরীক্ষার অংশ হিসেবে মাছের উদরের সেই নিকষকালো অন্ধকারে ৪০ দিন ভীষণ কষ্টের মধ্যে থেকে হজরত ইউনুস (আ.) আল্লাহর প্রেমের এবং আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘তখন আমি তার (ইউনুসের) ডাকে সাড়া দিয়েছিলাম এবং তাকে উদ্ধার করেছিলাম দুশ্চিন্তা থেকে এবং আমি মুমিনদের নাজাত দিয়ে থাকি।’ -সূরা আম্বিয়া : ৮৮

    হজরত ইউনুস (আ.) ৪০ দিন মাছের উদরে ছিলেন। এর পর আল্লাহ তার দোয়া কবুল করেন এবং আল্লাহর হুকুমে মাছটি তাকে সমুদ্রের কিনারে উগরে দেয়। কোরআনে কারিমে হজরত ইউনুস (আ.)-এর মুক্তি পাওয়ার ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে এভাবে, ‘অতঃপর আমি ইউনুসকে নিক্ষেপ করালাম এক তৃণহীন প্রান্তরে এবং সে ছিল রুগ্ন। আর আমি তার ওপর একটি লাউগাছ গজালাম।’ -সূরা সাফফাত : ১৪৫-১৪৬

    উল্লেখ যে, হজরত ইউনুস (আ.) দীর্ঘ ৪০ দিন মাছের পেটে পানি-খাদ্যবিহীন অবস্থায় থাকায় ফ্যাকাসে এবং ভীষণ দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন, যে কারণে এই অবস্থা থেকে নিরাময়ের জন্য আল্লাহ্তায়ালা পরিবেশ দূষণমুক্তকারী এবং নির্মল ছায়াদানকারী লাউগাছ সেখানে গজিয়ে দেন। সেই লাউগাছটি এত দ্রুত গজিয়ে ওঠে যে, মুহূর্তের মধ্যে ঘন লতাপাতায় তা তাঁবুর আকার ধারণ করে। তিনি কচি লাউ খাবার হিসেবে গ্রহণ করেন।

    দোয়া ইউনুস- লাইলাহা ইল্লা আন্তা সুব্হানাকা ইন্তি কুন্তু মিনাজজলিমীন এর মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব অপরিসীম। আল্লাহর নবী হজরত ইউনুস (আ.) এই দোয়া পাঠ করেই আল্লাহর রহমতে মাছের পেট থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন।

    যদি কেউ দোয়া ইউনুস কয়েকবার পড়ে দোয়া করে তার দোয়া কবুল হয়। কেউ যদি বিপন্ন বা বিপদগ্রস্ত অবস্থায় এই দোয়া পাঠ করে আল্লাহর রহমতে সে বিপদ থেকে উদ্ধার পায়।

    কোনো কোনো বুজুর্গ বলেন, সিজদায় যেয়ে ৪০ বার দোয়া ইউনুস পাঠ করে দোয়া করলে আল্লাহ তা কবুল করেন।

    আরও বর্ণিত আছে, দৈনিক এক হাজার বার দোয়া ইউনুস পড়লে পদমর্যাদা সমুন্নত হয়, আল্লাহ তার রুজি-রোজগারে সমৃদ্ধি দান করেন, তার দুঃখ-যন্ত্রণা, পেরেশানি, অশান্তি, কষ্ট প্রভৃতি নিবারিত করেন, সকল প্রকার কল্যাণের দ্বার তার জন্য খুলে দেন, শয়তানের প্ররোচনা হতে তাকে রক্ষা করেন।

    এ দোয়া এক লাখ পঁচিশ হাজার বার পড়লে (খতমে ইউনুস) সব ধরনের অপকার থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, রোগ-শোক থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

    সূরা ইউনুসে রয়েছে আল্লাহর তাওহিদের সুস্পষ্ট ঘোষণা, তার পবিত্রতার ঘোষণা এবং নিজের অপরাধের স্বীকারোক্তি, যে কারণে এটা এত মাহাত্ম্যপূর্ণ হয়েছে।

    নিয়মিত সূরা ইউনুস আমলের মধ্যে অনেক ফায়দা রয়েছে। হজরত সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.) বলেন, আমি হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! এই দোয়ার গ্রহণীয়তা কি কেবল হজরত ইউনুস (আ.)-এর জন্যই প্রযোজ্য, না সব মুসলিমের জন্য? জবাবে প্রিয় নবী (সা.) বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে তার জন্য এই দোয়াটি খাসভাবে কবুল হলেও কবুলের ব্যাপারে এটা সব মুসলিমের জন্য সব সময়ই প্রযোজ্য। তুমি কি কোরআনে পাঠ করোনি- ‘ওয়া কাজালিকা নুনজিল মুমিনিন- আর এভাবেই আমি আল্লাহ মুমিনদের উদ্ধার করে থাকি।’