শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাভারে বংশী নদীর শাখা কর্ণপাড়া খাল দখল করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা বালুর গদি শুক্রবার (৭ মার্চ) গুঁড়িয়ে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম আদালত। এ সময় একটি ড্রেজার মেশিন ও পাইপ বিকল ও ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এ অভিযান পরিচালনা করেন সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবুবকর সরকার।
জানা যায় একাধিক প্রভাবশালী দীর্ঘদিন থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে আসছিল। সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুবকর সরকার জানান, গণমাধ্যমের খবরের ভিত্তিতে তিনি এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বংশী নদীর শাখা কর্ণপাড়া খালের ওপর বাঁশ এবং বালুর বস্তা দিয়ে বাঁধ দিয়ে বালুর গদি গড়ে তোলা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ ভাবে অবৈধ। অভিযানকালে ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া না গেলেও আমরা বালুর গদি গুঁড়িয়ে দিয়েছি এবং এ কাজে ব্যবহৃত ড্রেজার, পাইপ বিকল ও ধ্বংস করে দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আগামীতে নদী ও খাল দখল করে কেউ এ ধরনের গদি গড়ে তুললে অভিযান অব্যাহত থাকবে। অন্যদিকে সাভারের নয়ারহাট এবং ভাগলপুর এলাকায় দীর্ঘ্যদিন ধরে একইভাবে নদীর সীমান ও পাড় দখল করে বালুর গদি চালিয়ে যাচ্ছে একাধিক প্রভাবশালী মহল। স্থানীয়দের অভিযোগ প্রশাসন এসব জায়গা থেকে নিয়মিত মাসোহাড়া নিয়ে অবৈধ গদিগুলো পরিচালনার সুযোগ করে দিয়ে আসছিল।
যে কারনে নদীর সীমানা দখল ও পরিবেশ এবং জীব বৈচিত্র ধ্বংসকারী এসব বালুর গদির বিরুদ্ধে অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন।
০৮.০৪.২০২৫
]]>শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদনে, সাভার:
বৈশম্যবিরোধী চলমান ছাত্র আন্দোলনে এবার শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের তোপের মুখে শুকুরজান জিন্নত আলী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ।সোমবার থেকে ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সংস্করন আন্দোলনে প্রধান শিক্ষকসহ সহকারি কয়েকজন শিক্ষকের পদত্যাগ দাবী করে আসছিল।বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের দাবীর মুখে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক নওসের আলী পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন ।
শিক্ষার্থীরা এক দফা দাবীর সাথে কয়েটি দফা যোগ করে বিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি অভিযোগ এনে প্রধান শিক্ষকসহ সহকারী শিক্ষকদের পদত্যাগ করার জন্য সোমবার থেকে বিদ্যালয়ে আন্দোলন করে।
মঙ্গলবার সকালে আবারো ছাত্র আন্দোলনের মুখে বিদ্যালয়ের আরো কয়েকজন শিক্ষকের পদত্যাগ দাবী করলে বিদ্যালয়ে প্রধান ফটকে দিয়ে তারা সাভার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে চলে যায়। শিক্ষকরা হলেন লাবনী,মিজান, বুলবুলি, সুমাসাহা,আশরাফুন্নছে।
চলবে..
]]>নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার :
সাভারে পৌর রেডিওকলোনী নয়াবাড়ী এলাকায় বৈধ ট্রেডমার্কের ১৭ টি মোড়ক নকল করে অবৈধ কারখানা চলে আসছিল দিনের পর দিন বছরের পর বছর। স্থানীয় প্রভাবশালী নাম ভাঙ্গিয়ে এই অবৈধ কারখানা চলে আসছিল। এলাকাবাসী মাঝে মাঝে প্রতিবাদ করে আসছিল এবং গত দের দুমাস আগে ৯৯৯ ফোন দিয়ে পুলিশের সগযোগিতা চাইলে অবৈধ কারখানা ও অবৈধ পন্য সামগ্রী বন্ধে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
পরিবহনে জব্দকৃত পন্যগুলো আটক এর জন্য ৯৯৯ ফোন দিলে দ্রুত সাভার মডেল থানার এসআই রুবেল উপস্থিত হয়। পুলিশের উপস্থিতে উভয় পক্ষের হাতাহাতি হয় মধ্যে হাতাহাতি হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু ঐ পন্যগুলো ঐসময় আটক করতে পারেনি পুলিশ।
নামবিহীন সেই কারখানার খাদ্য ও পন্য সামগ্রী এলাকাবাসী শনিবার সন্ধ্যায় আটক করার পর হামলা চালায় কারখানার পালিত লোকজন এতে করে গুরুতর ২ জন দাবী শামছুন্নাহারের। এসময়
আহত হয়েছেন শামচ্ছুন্নাহার ও তার বোন রোজি। তারা দুজন আহত হলে এলাকাবাসী উদ্ধার করে তাদেরকে চিকিৎসার জন্য সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়।
তারা আহত অবস্থ্যায় সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। শাজানসহ প্রধান আসামী করে কয়েক জনকে আসামী করে অভিযোগ দায়ের করেছে শামচ্ছুন্নাহার।
লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর রাত ১২ টায় ঘটনাস্থলে পরিদর্শন ও কারখানা পরিদর্শন করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে নকলপন্য সামগ্রীসহ অবৈধ পন্য বাজারজাত করা কয়েক প্রকার সেক্সুয়ালি জিংক সিং মিলে তাদের গোডাউনে। ট্রেডমার্ক সম্বলিত এসএমসির ওরস্যালাইন,ইন্ডিয়ান গুরুদেব এর মত আগরবাতি,বিদ্যুত নিমের কালো মাজন,হাকিমপুরী জর্দ্দা,ঈগল গোল। জব্দ করে পুলিশ।
সামচ্ছুনাহারের ছোট বোন রোজির স্বামী সুমন ওরফে শ্যামল মিয়া বেলা ১১ টার সময় সোহেল এর বাড়ির সামনে রাস্তা দিয়ে যাতাযাত করার সময় হুমকি দামকি দেয় বলে প্রতিবেদককে জানায়। সামচ্ছুনাহার জানায় জীবননাশের শঙ্কিত তার পরিবার তাই তারা পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা চায়। তারা চায় অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা কারখানার সকল পন্য নকল তাদের কারখানায় তৈরি করা হয়ে থাকে এ কারখানা ও অবৈধভাবে নকল পন্য বাজারজাত করার ফলে তারা এবার প্রতিকার চায়, এসব নকল পন্য শাজাহান নামে ঐ ব্যক্তি করে থাকে তিনি এখন বহুটাকার মালিক হয়েছে এমনটি অভিযোগ উঠে এসেছে তার কন্ঠে।
অপরদিকে কারখানার মালিক শাজাহান এর নিকট জানতে চাইলে তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, রোজির পরিবার আমার ব্যবসার সাথে জরিত ছিল। শক্রবার (৩) এপ্রিল কে বা কারা পুলিশ প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে তাদের নিকট থেকে ৫০/৬০ হাজার টাকা নেয়।তার জন্য তার বাড়ির সামনে রোজির পরিবারের কয়েকজন লাঠিসোডা এনে তাকে মারধর করে এবং তার স্ত্রী ৫ মাসের গর্ভবতী হলেও তার উপর হামলা চালিয়ে নিচে ফেলে পেটে পিঠে লাথি মারে এখন তিনি খুবই অসুস্থবোধ করছেন এমন অত্যাচারের সম্মূখীন হয়েছে তার পরিবার। অবৈধভাবে রোজির পরিবার ডারবি সিগারেট তৈরি করে বাজার জাত করে আসছিলো এবং তার বাড়ির পাশে দোকানদান এ ডারবি সিগারেট ও নকল বিদ্যুত নিমের কালো মাজন
বিক্রি করে অতিরিক্ত লাভ করে আসছিলো। নকল পন্য ডারবি সিগারেট তৈরি করে বিভিন্ন চা স্টলে বিক্রি করে আসছিল, এসব প্রতিবাদ না করলেও শাজাহানের পন্যপরিবহন আটক করে তারা পুলিশকে বলে দিয়ে পুলিশ প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে ৫০ হাজার টাকার জরিমানা করেছে।জরিমানার সেই টাকা ফেরত দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে শাজানানের পরিবারকে। কিছু দিন আগে এলাকার মুরুব্বিদের নিয়ে শালিসি বৈঠক করলে ৭০ হাজার টাকা চাপ প্রয়োগ করে দন্ডিত হয় বলে দাবি কারখানার মালিক শাজাহানের।
আহত সোহেল বলেন আমাকে ও আমার স্ত্রীকে আমার স্ত্রীকে বেদম মারধর করে শামছুন্নাহারের পরিবারের লোকজন।
এবিষয়ে সোহেলের স্ত্রী প্রতিবেদককে জানায় আটককৃত পরিবহনের সামনে গিয়ে তার স্বামীকে মারধরর করছে থামাতে গেলে হান্নান,শ্যামল এর পরিবারের লোকজন পুলিশের সামনেই শুয়ে ফলে তাকেও মারধর করে পেটে লাথি মারে তিনিসহ স্বামী গুরুত্বর আহত হোন ।
এসময় শাজাহানের পরিবার ও সোহেলের পরিবারের ৪ জনকে আহত করে তারাও সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। কারখানার মালিক শাজাহান ও তার স্ত্রী জানায় সোহেল আমাদের ব্যবসার সাথে কোনভাবে জরিত নয়, তিনি বলেন তাদের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে সোহেল ও তার স্ত্রীকে মারধর করে।
এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। তিনি বলেন উভয় পক্ষের অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তিনি আরো বলেন অবৈধভাবে পন্য সামগ্রিক বাজারজাত করা দন্ডনীয় অপরাধ হবে আমরা কর্তৃপক্ষদের জানিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
]]>
সত্যেরসংবাদ ডেক্স :
ঢাকার সাভারে পারিবারিক কলহের জেরে সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতার হাতে স্ত্রী ও বাবাকে বেধড়ক লাঠিপেটা ও ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ছাত্রলীগ নেতার বাবা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহমান ব্যাপারী ও তার স্ত্রী স্বর্ণা আক্তারকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভোর রাতে সাভার উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের লালটেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম সানোয়ার হোসেন হাফেজ(২৬)। তিনি সাভার সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং আহত সাভার সদর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান ব্যাপারীর একমাত্র ছেলে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আহত আব্দুর রহমানের এক নিকট আত্মীয় ও স্থানীয়রা সাংবাদিকদের জানান, সানোয়ার হোসেন হাফেজ বন্ধুদের সঙ্গে প্রায় প্রতি রাতে মাদক সেবন করে বাসায় এসে স্ত্রী স্বর্ণা আক্তারের সঙ্গে ঝগড়া বাধায়। প্রতিদিনের মতো বুধবার গভীর রাতে বাসায় ফিরে স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে সানোয়ার হোসেন। এর প্রতিবাদ করলে স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করেন তিনি। মারধর ঠেকাতে এগিয়ে আসলে স্ত্রী স্বর্ণা আক্তার ও বাবা আব্দুর রহমানকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যার চেষ্টা চালায় সানোয়ার হোসেন হাফেজ। এতে গুরুতর আহত হয় স্ত্রী স্বর্ণা আক্তার ও বাবা আব্দুর রহমান ব্যাপারী। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের পরামর্শে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। বর্তমানে তারা সেখানেই চিকিৎসাধীন।
স্থানীয়রা জানান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সানোয়ার হোসেন হাফেজ শুধু মাদক সেবন নয় বরং এলাকার উঠতি বয়সী যুবকদের দিয়ে সাভার সদর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সানোয়ার হোসেন হাফেজের কাছে জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোনে বলেন, এটা আমার একান্ত পারিবারিক বিষয়। রাগের মাথায় স্ত্রী ও বাবা ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের সাথে আমি নিজেও তাদের হাসপাতালে ভর্তি করেছি। ছুরিকাঘাতের কারন ও বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিবেদককে হত্যার হুমকি দিয়ে কলের সংযোগটি কেটে দেন।
এদিকে সন্তানের ছুরিকাঘাতে বাবা ও স্ত্রী আহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আব্দুর রহমানের স্বজন, শশুর বাড়ির লোকজন ও এলাকাবাসী। অভিযুক্ত সানোয়ার হোসেন হাফেজকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
বিষয়টি প্রতিবেদককে নিশ্চিত করে সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন বলেন, ঘটনাটি আমরা শুনেছি, তবে আমরা এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে, অভিযোগের ভিত্তিতে সিনিয়র অফিসারের পরামর্শক্রমে অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
]]>
শেখ এ কে আজাদ, প্রতিবেদক,সাভার থেকে:
সাভার পৌর মেয়র হাজী আব্দুল গনির ড্রাইভার মোঃ ফারুক হোসেন এর ফেসবুক আইডি ও ম্যাসেঞ্জার হ্যাক হওয়ায় সাভার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ফারুক হোসেন জানান,
২৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাত দশটায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক মেসেঞ্জার হ্যাক হলে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে হ্যাকার প্রতারক চক্র
টাকা হাতিয়ে নেয়ার খবর পায়। এমন ঘটনায় তার নিকট টাকা চাওয়ার অভিযোগ আসলে, কাছের এবং দূরের কোন ব্যক্তিকে বিকাশ ছাড়াও কোন মাধ্যমে টাকা পয়সা না পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আইডি হ্যাক ও মেসেঞ্জার হ্যাক হওয়ায় তিনি ও তার পরিবার চিন্তিত হয়ে পরলে স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে তার ভাগ্নে সূজন
ফারুক হোসেনের পক্ষে সাভার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
সূজন হোসেন জানান আমি মামা ফারুক হোসেনের পক্ষে শনিবার সন্ধ্যায় একটি লিখিত অভিযোগ করে আসছি,প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছেন।
২৪.০২.২৪ ইং।
]]>শেখ এ কে আজাদ, প্রতিবেদক,সাভার থেকে:
সাভারের কোটি টাকার জমি প্রতারকের বিরুদ্ধে৷ আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বেদে সম্প্রদায়ের ভুক্তভোগীরা জমি ক্রেতারা। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাভারের আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। এসময়
বেদে সম্প্রদায়ের প্রায় দুই শতাধিক পরিবার অংশ নেন।
সাভারের বেদে সম্প্রদায়ের কিছু মানুষকে ধোঁকা দিয়ে বোকা বানিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জাল দলিল তৈরির মাধ্যমে জমি বিক্রি করে ১ কোটি ৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে বাবুল হাওলাদার ওরফে ভূমিদস্যু টিবি বাবুলের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত বাবুল হাওলাদার ওরফে টিবি বাবুল প্রতারণার এই টাকা হাতিয়ে নিয়ে আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকায় একটি বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণ করে পরিবারসহ বসবাস করে আসছেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সাভারের ছায়াবীথি এলাকার কাতার প্রবাসী হাবিবুর রহমানের বাড়ির কেয়ারটেকার ছিলেন বাবুল হাওলাদার ওরফে টিবি বাবুল ও তার স্ত্রী। হাবিবুর রহমান দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকার পর ৮ বছর আগে মৃত্যুবরণ করেন। প্রবাসী হাবিবুর রহমানের মৃত্যুর পর নাবালক সন্তান ও স্ত্রীকে না জানিয়েই সুযোগবুঝে সাভার সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের অসাধু এক সিন্ডিকেটের সহায়তায় জাল দলিল তৈরি করে বেদে সম্প্রদায়ের প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবারের কাছে মালিকানা হস্তান্তর করেন ভূমিদস্যু টিবি বাবুল। সম্প্রতি মরহুম হাবিবুর রহমানের পরিবার দেশে ফিরে আসলে বাবুলের প্রতারণা ধরা পড়ে।
আর গত কয়েকমাস যাবৎ দফায় দফায় টিবি বাবুলের এসব প্রতারণার বিষয়ে সুরাহা চেয়ে সাভার ও আশুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেও কোনো প্রতিকার মেলেনি প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগীদের।
জাল দলিল করে জমি বিক্রি করে বেদে সম্প্রদায়ের কয়েকটি পরিবারে সহায়,সম্বল কেরে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠলে বাবুল হাওলাদার ওরফে ভূমিদস্যু টিবি বাবুলের বিরুদ্ধে। বিকেলে তার মোবাইলে সাক্ষাতকার গ্রহন করতে চাইলে মোবাইল রিসিভ করেনি। ভুক্তভোগিরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগীরা জানান দ্রুত প্রশাসনের ও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করে ঐ ভূমিদস্যু বাবুলসহ তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে কঠোর বিচার দাবী করেছেন।
]]>শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার থেকে:
সাভার মডেল থানা পুলিশের অভিযানে অবৈধ বিদেশী পিস্তলসহ গ্রেফতার একজন। সোমবার ২২ জানুয়ারী সাভার মডেল থানায় অবৈধ বিদেশী পিস্তলসহ আসামী গ্রেফতারের বিষয়টি প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদ্য পদান্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার) আবদুল্লাহিল কাফি।
তথ্যমতে জানা যায় গত ২১ শে জানুয়ারী সাভার মডেল থানাধীন আমিনবাজার গ্যাস ট্রান্সমিশন লিমিটেড (জিটিসিএল) এর সামনে একজন ব্যক্তি অবৈধ অস্ত্র পিস্তল নিয়ে অবস্হান করিতেছিলো। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে এস আই মোঃ আসওয়াদুর রহমান ও টাইগার -১ ডিউটিতে নিয়োজিত অফিসার ও ফোর্সসহ ৪:২৫ মিঃ এ সাভার মডেল থানাধীন আমিনবাজার গ্যাস ট্রান্সমিশন লিমিটেড (জিটিসিএল) এর সামনে থেকে একজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীকে ধরার পর দেহ তল্লাশী করলে একটি খালি ম্যাগাজিনসহ পরিহিত প্যান্টের ডান পকেট থেকে একটি বিদেশী পিস্তল উদ্ধার করে যাহাতে ইংরেজিতে খোদাই করা MADE IN USA, NO-70 পাইয়া জব্দ তালিকামুলে জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় সাভার মডেল থানায় অস্ত্র আইনে ২২/১/২৪ইং তারিখে মামলা রজ্জু হয় যার নং- ৩৮, মামলাটি পরবর্তীতে এস আই হারুন- অর- রশীদের এর উপর তদন্তভার অর্পন করা হয় গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম পুলক কুমার সরকার (৩২) বলে জানা যায় তার পিতার নাম: রবীন্দ্রনাথ সরকার, মাতা: ঊষা রানী সরকার, সাং ডেমরা, থানা: ফরিদপুর, জেলা: পাবনা, এ/পি সাং- সাভারে ভাসমান ছিল বলে জানা যায়।
এ ছাড়া প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে জানা যায় আসামীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে, মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তরিত তথ্য জানা যাবে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফি।
এসময় উপস্হিত ছিলেন সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আকবার আলী খান, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাশিদ, এস আই সুদিপ কুমার ঘোপ সহ কর্মকর্তাবৃন্দ।
শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার থেকে:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা- ১৯ সাভার-আশুলিয়া আসনের সংসদীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) এর মনোনীত প্রার্থী আম প্রতিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কাজী মাওলানা মোঃ ইসরাফিল হোসেন সাভারী। গত ১৯ তারিখ থেকে নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছেন তিনি। ঢাকা ১৯ সাভার আসনের আওয়ামীলীগ ও সতন্ত্রসহ ১০ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ।
ন্যাশনাল পিপলস পার্টি সাভার সংসদীয় আসনের প্রার্থী কাজী মাওলানা মো: ইসরাফিল হোসেন সাভারী তার টাঙ্গানো পোস্টার ছিড়ে ফলাসহ বিভিন্ন ভাবে কর্মীদের হুমকি ধামকি দেয়ায় নাম উল্লেখ না করে শনিবার সকালে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সাভার উপজেলা নির্বাচনী সহকারী রিটার্নিং কার্যালয় বরাবর।
সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী কাজী মাওলানা মো: ইসরাফিল হোসেন সাভারী সাংবাদিকদের জানান আমার টাঙ্গানো পোস্টার ছিড়ে ফেলছে এবং কর্মীদের পোস্টার টাঙ্গাতে গেলে তাদেরকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে দুষ্কৃতকারীরা। তিনি আরো বলেন ভয়ভীতি প্রদর্শন করায় দুষ্কৃত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছেন তিনি,তিনি আরো বলেন অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক এমনটা আশা প্রকাশ করেছেন তিনিসহ এলাকার কর্মী সমর্থক ও ভোটাররা।
সম্প্রতি ক্যাম্প ভাংচুর ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করায় হকার্সলীগ এর নেতা নজরুলসহ নৌকার দুই সমর্থক গ্রেফতার হয়েছেন।
]]>
সাভার ; সাভারে সেলফি পরিবহনের চাপায় তাওহীদ (১০) নামে এক শিশু ঘটনাস্থলেই মারা গেছে। বার্ষিক পরীক্ষার ছুটি শেষে সাভারে পোশাক শ্রমিক মা-বাবার কাছে বেড়াতে এসে এমন দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল শিশুটির।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে সাভারের গেন্ডা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
শনিবার রাত ১১ দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের গেন্ডা বাসস্ট্যান্ডে লাঙ্গলের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুর বাবা মোস্তফা জানান, তার স্ত্রী শাপলাকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি পাবনা থেকে এসে সাভারের গেন্ডা এলাকায় ভাড়া থেকে আল মুসলিম গ্রুপের পোশাক কারখানায় কাজ করেন। তাদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে গ্রামে দাদা-দাদির বাড়িতে থেকে সেখানে পড়াশোনা করত। বার্ষিক পরীক্ষার ছুটিতে গ্রামের বাড়ি পাবনা থেকে শনিবার রাতে মা বাবার কাছে সাভারে বেড়াতে আসে তিন সন্তানরা।
এসময় সাভারের গেন্ডা বাসস্ট্যান্ডে গাড়ি থেকে নেমে তিন সন্তানকে নিয়ে মহাসড়ক পার হয়ে বিপরীত দিকে আসতেই দ্রুত গতিতে ছুটে আসা ঢাকা থেকে মানিকগঞ্জগামী সেলফি পরিবহনের একটি বাস তাদের বড় সন্তান তাওহীদকে চাপা দেয়। এ সময় মা-বাবার সামনেই বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা যায় শিশু তাওহীদ।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে সেলফি পরিবহনের প্রায় ২০টি বাস আটকে রাখে এলাকাবাসী। এছাড়া ভাঙচুর করা হয়েছে কয়েকটি বাস।
সাভার হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল খালেক বলেন, পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মোস্তফা ও শাপলা দম্পতির বাড়ি পাবনা জেলার সাথিয়া থানার ফকিরপাড়া এলাকায়। জীবিকার প্রয়োজনে সাভার এসে আল মুসলিম গ্রুপের একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন এই দম্পতি।
উল্লেখ্য, গত ৭ ডিসেম্বর ঢাকার ধামরাইয়ে সেলফি পরিবহনের দুই বাসে রেষারেষিতে দুই পথচারী নিহত হন। এছাড়াও বেপরাগুতিতে চলা এই সেলফি পরিবহনের চাপায় প্রাণ গেছে আরো বেশ কয়েকজনের।
]]>এছাড়াও এ মামলায় আসামি কর্তৃক ভোগকৃত হাজতবাস উল্লিখিত দণ্ড হতে বিধি মোতাবেক বাদ যাবে বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়। এদিন রায় ঘোষণার সময় আসামি অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিছু সময়ের পর তিনি সুস্থ হলে তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার সূত্রে জানা যায়, জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৪ জানুয়ারি রেজিস্ট্রার এসকেন্দারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম।