শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাভারে বংশী নদীর শাখা কর্ণপাড়া খাল দখল করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা বালুর গদি শুক্রবার (৭ মার্চ) গুঁড়িয়ে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম আদালত। এ সময় একটি ড্রেজার মেশিন ও পাইপ বিকল ও ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এ অভিযান পরিচালনা করেন সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবুবকর সরকার।
জানা যায় একাধিক প্রভাবশালী দীর্ঘদিন থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে আসছিল। সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুবকর সরকার জানান, গণমাধ্যমের খবরের ভিত্তিতে তিনি এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বংশী নদীর শাখা কর্ণপাড়া খালের ওপর বাঁশ এবং বালুর বস্তা দিয়ে বাঁধ দিয়ে বালুর গদি গড়ে তোলা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ ভাবে অবৈধ। অভিযানকালে ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া না গেলেও আমরা বালুর গদি গুঁড়িয়ে দিয়েছি এবং এ কাজে ব্যবহৃত ড্রেজার, পাইপ বিকল ও ধ্বংস করে দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আগামীতে নদী ও খাল দখল করে কেউ এ ধরনের গদি গড়ে তুললে অভিযান অব্যাহত থাকবে। অন্যদিকে সাভারের নয়ারহাট এবং ভাগলপুর এলাকায় দীর্ঘ্যদিন ধরে একইভাবে নদীর সীমান ও পাড় দখল করে বালুর গদি চালিয়ে যাচ্ছে একাধিক প্রভাবশালী মহল। স্থানীয়দের অভিযোগ প্রশাসন এসব জায়গা থেকে নিয়মিত মাসোহাড়া নিয়ে অবৈধ গদিগুলো পরিচালনার সুযোগ করে দিয়ে আসছিল।
যে কারনে নদীর সীমানা দখল ও পরিবেশ এবং জীব বৈচিত্র ধ্বংসকারী এসব বালুর গদির বিরুদ্ধে অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন।
০৮.০৪.২০২৫
]]>ভ্যানে লাশের স্তুপের একটা ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। গা শিউরে উঠা ভিডিওটি ছিল বৈশম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কয়েকজন ব্যক্তির।
ভিডিওতে দেখা যায়, একটা ভ্যানের মধ্যে বস্তার মতো লাশের ওপরে লাশ রাখছে পুলিশ। একজন হাত ধরছেন, অপরজন পা। এরপর লাশের ওপর ছুড়ে রাখছিলেম ভ্যানটি। পুলিশের এমন নিষ্ঠুর আচরণে হতভাগ হয়েছে দেশবাসী। পরে ভিডিওতে দেখা যাওয়া দেয়ালে সাটানো একটি পোস্টার দেখে ভিডিওটির ঘটনাস্থল ঢাকার অদূরে সাভারের আশুলিয়া থানার সামনে বলে জানা যায়।
এদিকে বিষয়টি জানাজানি হলে এঘটনায় নিহত আস-সাবুর নামে এক তরুণের মা রাহেন জান্নাত ফেরদৌস দাবি করেন এই মরদেহগুলো দিয়ে একটি পিকআপে তুলে আগুন দেওয়া হয়।
রাহেন জান্নাত ফেরদৌস বলেন, গত ৫ আগস্ট আন্দোলনকারীরা আশুলিয়া থানায় হামলা চালায়।
ঐসময় পুলিশ তাদের উপর গুলি ছুড়লে কয়েকজন আন্দোলনকারী মারা যায়। পরদিন ৬ আগস্ট সকালে আশুলিয়া থানার সামনে একটি পিকআপে পুড়ে যাওয়া কয়েকজনের লাশের খোঁজ মেলে। আমার ছেলের পুড়ে যাওয়া লাশ ওই পিকআপেই পেয়েছি। আজ ধারণা করছি ভাইরাল হওয়া ভিডিওর লাশ গুলো গুম করার জন্য ওই পিকআপে ভরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
ইমন নামে আরেক প্রত্যক্ষদর্শী জানান বলেন, সেদিন বিকেল ৪টার দিকে আন্দোলনকারীরা থানার সামনের গলিতে প্রবেশ করলে পুলিশ তাদের ওপর এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়ে। এ সময় বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে পরে গেলে তাদেরকে পুলিশ থানার সামনে নিয়ে যায়।
সেখানে পুলিশ ভ্যানে লাশগুলো রেখে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। আন্দোলনকারীরা পুলিশের গুলির মুখে পিছু হটে সেসময় থানার সামনে কোনো আন্দোলনকারী ছিল না। গুমের উদ্যেশে পিকআপে পুলিশই আগুন লাগিয়েছে। পরে পুলিশকে সেনাবাহিনী সেনানিবাসে নিয়ে গেলে আন্দোলনকারীরা থানায় প্রবেশ করে হামলা চালায়।
আশুলিয়া থানা সংলগ্ন বাইপাইল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোফাজ্জল হোসেনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ৫ আগস্ট দুপুরের পর থেকে তারা মসজিদে আসেননি। তবে পরদিন সকালে পুড়ে যাওয়া ছয়টি মরদেহের জানাজা পড়ানো হয় সেখানে।
এদিকে এ বিষয়ে জানতে সেসময়ের আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (সদ্য বদলিকৃত) এএফএম সায়েদের সাথে মোবাইলফোন যোগাযোগের চেষ্টা করে তার ফোনফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শনিবার সকালে আমি ভিডিওটি দেখেছি। এটি অ্যানালাইসিস করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করছি।
]]>
শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার :
সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
সোমবার সকাল সোয়া ৭টায় সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি।
এসময় তার হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের সকল বিচারপতিগণ তার সাথে উপস্থিত ছিলেন।
পরে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। এরপর সকাল সাড়ে টার দিকে স্মৃতিসৌধ এলাকা ত্যাগ করেন তিনি।
১২.০৮.২৪
]]>শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার :
সাভারের আশুলিয়া থানা পুলিশ পাঁচ দিন পর সীমিত পরিষরে কার্যক্রম শুরু করেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকালে সহিংসতায় থানায় হামলার ঘটনায় এ থানার কার্যক্র বন্ধ হয়ে যায়।
শনিবার (১০ আগস্ট) বিকেলের দিকে থানায় কাজে যোগ দেন অফিসার ইনচার্জ ও কয়েকজন পুলিশ সদস্যরা।
এর আগে, গত রবিবার আশুলিয়া থানায় হামলা চালিয়ে ভাংচুরের পর থানায় অগ্নিসংযোগ করে আন্দোলনকারীরা।
থানার মূল ফটক দিয়ে ঢুকেই থানার ভবনের সামনে স্তুপ করে রাখা হয়েছে পুড়ে যাওয়া জিনিসপত্র। সেখানে পুলিশের পোশাক, ট্রাঙ্ক, গাড়ি, এসিসহ থানার ব্যবহৃত বিভিন্ন পোড়া জিনিস দেখা যায়।
বিকেলে সেনাবাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তার সঙ্গে থানায় প্রবেশ করেন পুলিশ সদস্যরা। তাদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানায় শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা।
ভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে উপস্থিত জনতার সামনে বক্তব্য দেন ওসি। আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, আমরা সবসময় জনগণের নিরাপত্তা দিয়েছি। আমরা ছাত্র ও জনগণের সহযোগিতায় আবারও থানার কার্যক্রম শুরু করেছি। আমরা ছাত্র ও জনগণের সহযোগিতা চাই। তাদের সহযোগিতায় দেশে শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনব।
এর আগে, সকালের দিকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা থানা প্রাঙ্গণ পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করে।
এ সময় তারা পুলিশের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করার কথা জানান। তারা বলেন, নতুন বাংলাদেশ গঠনে আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে পুলিশের পাশে থাকবে শিক্ষার্থীরা।
অপরদিকে ঢাকা উত্তর ডিবি পুলিশের অফিস বন্ধ রয়েছে অফিসে কারো সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে তারা কখন কবে যোগদান করবে তার খবর এখনো মেলেনি।
১১.০৮.২৪ ইং।
]]>শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার:
ঈদুল আযহা উপলক্ষে বেশ লম্বা ছুটি থাকায় শহরের বেশিরভাগ মানুষ গ্রামের বাড়ি যাচ্ছে আপনজনের সঙ্গে ঈদ উৎসব পালন করতে । বরাবরের মত এবারও প্রধান যাতায়াত ব্যবস্থা হিসাবে যাত্রীবাহী পরিবহন সেবার উপর নির্ভরশীল। এবং পরিবহন কাউন্টারের টিকিট এবং গাড়ির সিট ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা থাকার কারণে অনেক যাত্রী সাধারণ সড়ক ও মহাসড়কে যত্রতত্র অবস্থান করতে পারে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য এবং এই কারণেই কিছু পরিবহন যাত্রী উঠানো নামানোর ফলে সড়কের যানজট সৃষ্টি হয় । তবে নির্বিঘ্নে যাতায়াতের জন্য পুলিশ সদস্যরা সড়কে থাকবেন।
দেশবাসীকে নিরাপদে ঈদের আনন্দ উপহার দিতে পারলেই পুলিশেরও ঈদ স্বার্থক হয় বলে জানিয়েছে পুলিশে আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকার সাভার-আশুলিয়ার ইপিজেড, চন্দ্রা-টাংগাইল মহাসড়ক পরিদর্শন শেষে আশুলিয়ার বাইপাইল বাসস্ট্যান্ডে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সময় উপস্থিত ছিলেন সাভার সার্কেলের এসপি, এএসপি, সাভার ও আশুলিয়া দুই থানার ওসি সহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ প্রধান বলেন- আমরা হাইওয়ে পুলিশ, নৌ পুলিশ, রেল পুলিশ, জেলা পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে মাঠে কাজ করছি। কোথাও কোন সমস্যা হলে সাথে সাথে আমাদের টিম পৌঁছে যাচ্ছে। যাত্রীদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে পুরো সড়কজুড়ে পুলিশের সদস্যরা রয়েছে।
ঈদে মহাসড়ক ও গরুর হাটের নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, পশুর হাটের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ বিশেষ গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে। যদি কোথাও কোনো সমস্যা হয় আমাদের কাছে অভিযোগ আসলেই আমাদের টিম সাথে সাথে সেখানে পৌঁছে যাবে এবং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সাথে সাথে ভুক্তভোগীকেও পূর্ণ সহযোগিতা করবে।এবং গরুর হাটের ব্যবসা-বাণিজ্যের যেকোনো টাকা পয়সা লেনদেনের বিষয়েও প্রয়োজনে পুলিশের সহযোগিতা নিতে বলেন ।এই সময়ে কাগজপত্র যাচাই নামে কোন ট্রাককে মহাসড়কের উপর দাঁড় করানো যাবে না। সুবিধাজনক স্থানে দাঁড় করিয়ে চেক করতে হবে।
ঈদের ছুটিতে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে অনেকে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যাবেন সেখানেও টুরিস্ট পুলিশ আছে। তারা যেকোনো সমস্যার সমাধানের জন্য তারা প্রস্তুত আছে। কোনো ঘটনা ঘটলে সাথে সাথে ৯৯৯ যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। আমাদের প্রতিটি পুলিশ সদস্য মানুষকে সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছে। আমারা উৎসব করব দেশের মানুষকে নিরাপত্তা দিতে পারার মাধ্যমে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা পুলিশে সর্বোচ্চ জিরো ট্রলারেন্স হিসেবে কাজ করি। যে সকল পুলিশ সদস্য অপরাধের সাথে জড়িত তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। ট্রাকে যে সকল পুলিশ সদস্যরা থামিয়ে চাঁদা নিয়েছে তাদের ব্যাপারে খোঁজ খবর নিচ্ছি আর নতুন কোন অভিযোগ পেলেও তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
]]>নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার :
সাভারে পৌর রেডিওকলোনী নয়াবাড়ী এলাকায় বৈধ ট্রেডমার্কের ১৭ টি মোড়ক নকল করে অবৈধ কারখানা চলে আসছিল দিনের পর দিন বছরের পর বছর। স্থানীয় প্রভাবশালী নাম ভাঙ্গিয়ে এই অবৈধ কারখানা চলে আসছিল। এলাকাবাসী মাঝে মাঝে প্রতিবাদ করে আসছিল এবং গত দের দুমাস আগে ৯৯৯ ফোন দিয়ে পুলিশের সগযোগিতা চাইলে অবৈধ কারখানা ও অবৈধ পন্য সামগ্রী বন্ধে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
পরিবহনে জব্দকৃত পন্যগুলো আটক এর জন্য ৯৯৯ ফোন দিলে দ্রুত সাভার মডেল থানার এসআই রুবেল উপস্থিত হয়। পুলিশের উপস্থিতে উভয় পক্ষের হাতাহাতি হয় মধ্যে হাতাহাতি হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু ঐ পন্যগুলো ঐসময় আটক করতে পারেনি পুলিশ।
নামবিহীন সেই কারখানার খাদ্য ও পন্য সামগ্রী এলাকাবাসী শনিবার সন্ধ্যায় আটক করার পর হামলা চালায় কারখানার পালিত লোকজন এতে করে গুরুতর ২ জন দাবী শামছুন্নাহারের। এসময়
আহত হয়েছেন শামচ্ছুন্নাহার ও তার বোন রোজি। তারা দুজন আহত হলে এলাকাবাসী উদ্ধার করে তাদেরকে চিকিৎসার জন্য সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়।
তারা আহত অবস্থ্যায় সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। শাজানসহ প্রধান আসামী করে কয়েক জনকে আসামী করে অভিযোগ দায়ের করেছে শামচ্ছুন্নাহার।
লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর রাত ১২ টায় ঘটনাস্থলে পরিদর্শন ও কারখানা পরিদর্শন করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে নকলপন্য সামগ্রীসহ অবৈধ পন্য বাজারজাত করা কয়েক প্রকার সেক্সুয়ালি জিংক সিং মিলে তাদের গোডাউনে। ট্রেডমার্ক সম্বলিত এসএমসির ওরস্যালাইন,ইন্ডিয়ান গুরুদেব এর মত আগরবাতি,বিদ্যুত নিমের কালো মাজন,হাকিমপুরী জর্দ্দা,ঈগল গোল। জব্দ করে পুলিশ।
সামচ্ছুনাহারের ছোট বোন রোজির স্বামী সুমন ওরফে শ্যামল মিয়া বেলা ১১ টার সময় সোহেল এর বাড়ির সামনে রাস্তা দিয়ে যাতাযাত করার সময় হুমকি দামকি দেয় বলে প্রতিবেদককে জানায়। সামচ্ছুনাহার জানায় জীবননাশের শঙ্কিত তার পরিবার তাই তারা পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা চায়। তারা চায় অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা কারখানার সকল পন্য নকল তাদের কারখানায় তৈরি করা হয়ে থাকে এ কারখানা ও অবৈধভাবে নকল পন্য বাজারজাত করার ফলে তারা এবার প্রতিকার চায়, এসব নকল পন্য শাজাহান নামে ঐ ব্যক্তি করে থাকে তিনি এখন বহুটাকার মালিক হয়েছে এমনটি অভিযোগ উঠে এসেছে তার কন্ঠে।
অপরদিকে কারখানার মালিক শাজাহান এর নিকট জানতে চাইলে তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, রোজির পরিবার আমার ব্যবসার সাথে জরিত ছিল। শক্রবার (৩) এপ্রিল কে বা কারা পুলিশ প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে তাদের নিকট থেকে ৫০/৬০ হাজার টাকা নেয়।তার জন্য তার বাড়ির সামনে রোজির পরিবারের কয়েকজন লাঠিসোডা এনে তাকে মারধর করে এবং তার স্ত্রী ৫ মাসের গর্ভবতী হলেও তার উপর হামলা চালিয়ে নিচে ফেলে পেটে পিঠে লাথি মারে এখন তিনি খুবই অসুস্থবোধ করছেন এমন অত্যাচারের সম্মূখীন হয়েছে তার পরিবার। অবৈধভাবে রোজির পরিবার ডারবি সিগারেট তৈরি করে বাজার জাত করে আসছিলো এবং তার বাড়ির পাশে দোকানদান এ ডারবি সিগারেট ও নকল বিদ্যুত নিমের কালো মাজন
বিক্রি করে অতিরিক্ত লাভ করে আসছিলো। নকল পন্য ডারবি সিগারেট তৈরি করে বিভিন্ন চা স্টলে বিক্রি করে আসছিল, এসব প্রতিবাদ না করলেও শাজাহানের পন্যপরিবহন আটক করে তারা পুলিশকে বলে দিয়ে পুলিশ প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে ৫০ হাজার টাকার জরিমানা করেছে।জরিমানার সেই টাকা ফেরত দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে শাজানানের পরিবারকে। কিছু দিন আগে এলাকার মুরুব্বিদের নিয়ে শালিসি বৈঠক করলে ৭০ হাজার টাকা চাপ প্রয়োগ করে দন্ডিত হয় বলে দাবি কারখানার মালিক শাজাহানের।
আহত সোহেল বলেন আমাকে ও আমার স্ত্রীকে আমার স্ত্রীকে বেদম মারধর করে শামছুন্নাহারের পরিবারের লোকজন।
এবিষয়ে সোহেলের স্ত্রী প্রতিবেদককে জানায় আটককৃত পরিবহনের সামনে গিয়ে তার স্বামীকে মারধরর করছে থামাতে গেলে হান্নান,শ্যামল এর পরিবারের লোকজন পুলিশের সামনেই শুয়ে ফলে তাকেও মারধর করে পেটে লাথি মারে তিনিসহ স্বামী গুরুত্বর আহত হোন ।
এসময় শাজাহানের পরিবার ও সোহেলের পরিবারের ৪ জনকে আহত করে তারাও সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। কারখানার মালিক শাজাহান ও তার স্ত্রী জানায় সোহেল আমাদের ব্যবসার সাথে কোনভাবে জরিত নয়, তিনি বলেন তাদের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে সোহেল ও তার স্ত্রীকে মারধর করে।
এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। তিনি বলেন উভয় পক্ষের অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তিনি আরো বলেন অবৈধভাবে পন্য সামগ্রিক বাজারজাত করা দন্ডনীয় অপরাধ হবে আমরা কর্তৃপক্ষদের জানিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
]]>
সত্যেরসংবাদ ডেক্স :
ঢাকার সাভারে পারিবারিক কলহের জেরে সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতার হাতে স্ত্রী ও বাবাকে বেধড়ক লাঠিপেটা ও ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ছাত্রলীগ নেতার বাবা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহমান ব্যাপারী ও তার স্ত্রী স্বর্ণা আক্তারকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভোর রাতে সাভার উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের লালটেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম সানোয়ার হোসেন হাফেজ(২৬)। তিনি সাভার সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং আহত সাভার সদর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান ব্যাপারীর একমাত্র ছেলে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আহত আব্দুর রহমানের এক নিকট আত্মীয় ও স্থানীয়রা সাংবাদিকদের জানান, সানোয়ার হোসেন হাফেজ বন্ধুদের সঙ্গে প্রায় প্রতি রাতে মাদক সেবন করে বাসায় এসে স্ত্রী স্বর্ণা আক্তারের সঙ্গে ঝগড়া বাধায়। প্রতিদিনের মতো বুধবার গভীর রাতে বাসায় ফিরে স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে সানোয়ার হোসেন। এর প্রতিবাদ করলে স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করেন তিনি। মারধর ঠেকাতে এগিয়ে আসলে স্ত্রী স্বর্ণা আক্তার ও বাবা আব্দুর রহমানকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যার চেষ্টা চালায় সানোয়ার হোসেন হাফেজ। এতে গুরুতর আহত হয় স্ত্রী স্বর্ণা আক্তার ও বাবা আব্দুর রহমান ব্যাপারী। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের পরামর্শে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। বর্তমানে তারা সেখানেই চিকিৎসাধীন।
স্থানীয়রা জানান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সানোয়ার হোসেন হাফেজ শুধু মাদক সেবন নয় বরং এলাকার উঠতি বয়সী যুবকদের দিয়ে সাভার সদর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সানোয়ার হোসেন হাফেজের কাছে জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোনে বলেন, এটা আমার একান্ত পারিবারিক বিষয়। রাগের মাথায় স্ত্রী ও বাবা ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের সাথে আমি নিজেও তাদের হাসপাতালে ভর্তি করেছি। ছুরিকাঘাতের কারন ও বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিবেদককে হত্যার হুমকি দিয়ে কলের সংযোগটি কেটে দেন।
এদিকে সন্তানের ছুরিকাঘাতে বাবা ও স্ত্রী আহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আব্দুর রহমানের স্বজন, শশুর বাড়ির লোকজন ও এলাকাবাসী। অভিযুক্ত সানোয়ার হোসেন হাফেজকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
বিষয়টি প্রতিবেদককে নিশ্চিত করে সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন বলেন, ঘটনাটি আমরা শুনেছি, তবে আমরা এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে, অভিযোগের ভিত্তিতে সিনিয়র অফিসারের পরামর্শক্রমে অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
]]>
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে থানাবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহজামান, পিপিএম।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে দেওয়া এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি সাভার মডেল থানাসহ সব প্রান্তে অবস্থানরত মুসলমানদের প্রতি অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর খুশি আর আনন্দের বার্তা নিয়ে আমাদের মাঝে সমাগত হয় পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদ সব শ্রেণীর মানুষের মাঝে গড়ে তোলে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও ঐক্যের বন্ধন। সাম্য মৈত্রী ও ভ্রাতৃত্বের মহিমান্বিত আহ্বানে শান্তি-সুধায় ভরে উঠুক প্রতিটি মানুষের হৃদয়।
এছাড়াও নিরবিচ্ছিন্ন যান চলাচলের জন্য নিরাপত্তাসহ থানার আভ্যন্তরীন ও মহাসড়ক সমূহে পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় সব ধরনের প্রটোকল ব্যবহৃত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ওসি মোহাম্মদ শাহজামান বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর খুশি আর আনন্দের বার্তায় উজ্জীবিত পবিত্র ঈদুল ফিতর সাভারবাসীর জন্য বয়ে আনুক স্বস্তির প্রকৃত আনন্দ। ঈদ আনন্দ নিশ্চিতকল্পে নিরাপদ পরিবেশ ও অত্র থানার উপর দিয়ে যাওয়া মহাসড়কগুলোতে নিরবিচ্ছিন্ন যান চলাচলের সাবির্ক নিরাপত্তার লক্ষ্যে ঢাকা জেলা পুলিশের নির্দেশনায় সাভার মডেল থানা পুলিশের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
শান্তিপূর্ন ও নিরাপদ পরিবেশে সাভারবাসীর পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনে সন্তুষ্টিই থানা পুলিশের প্রত্যাশা ও স্বার্থকতা। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সকল সাভারবাসীর জন্য সাভার মডেল থানা পুলিশের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা।
এদিকে পৃথক বার্তায় সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাশিদ, পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন, পুলিশ পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) আব্দুল্লা বিশ্বাস, ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রাসেল মোল্লা পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
]]>
শেখ এ কে আজাদ, প্রতিবেদক,সাভার থেকে:
সাভার পৌর মেয়র হাজী আব্দুল গনির ড্রাইভার মোঃ ফারুক হোসেন এর ফেসবুক আইডি ও ম্যাসেঞ্জার হ্যাক হওয়ায় সাভার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ফারুক হোসেন জানান,
২৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাত দশটায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক মেসেঞ্জার হ্যাক হলে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে হ্যাকার প্রতারক চক্র
টাকা হাতিয়ে নেয়ার খবর পায়। এমন ঘটনায় তার নিকট টাকা চাওয়ার অভিযোগ আসলে, কাছের এবং দূরের কোন ব্যক্তিকে বিকাশ ছাড়াও কোন মাধ্যমে টাকা পয়সা না পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আইডি হ্যাক ও মেসেঞ্জার হ্যাক হওয়ায় তিনি ও তার পরিবার চিন্তিত হয়ে পরলে স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে তার ভাগ্নে সূজন
ফারুক হোসেনের পক্ষে সাভার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
সূজন হোসেন জানান আমি মামা ফারুক হোসেনের পক্ষে শনিবার সন্ধ্যায় একটি লিখিত অভিযোগ করে আসছি,প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছেন।
২৪.০২.২৪ ইং।
]]>শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার থেকে:
সাভার উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৩৬৫জন বীরমুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের জন্য সংবর্ধনায় শীতের জন্য চাদর এবং কি খাবার উপহার দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। সাভার অধরচন্দ্র সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে কুচকাওয়াজ শেষে এ বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সম্মানিত করেন উপজেলা প্রশাসন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল ইসলাম রাজীব, সভাপতিত্ব করেন সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো:ফেরদৌস ওয়াহিদ। আরো অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আকবর আলী খান এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা মো:সায়েমুল হুদা সহ আরো অনেকে। প্রধান অতিথি বলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি তার ডাকে তখন সারা বাংলাদেশের কোটি কোটি জনগণ দেশকে স্বাধীন করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে দীর্ঘ নয় মাসের যুদ্ধের মধ্যে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। সেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
]]>