বাড়ির আশেপাশে জন্মানো কচু শাকের উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না৷ পাশাপাশি এই শাক মানবদেহের অনেক জটিল রোগের নিরাময় ও প্রতিরোধ করে থাকে। সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য কচু শাক কিভাবে মানবদেহে কাজ করে, তা নিয়েই আজ ভিডিওটি প্রচার করা হচ্ছে। যাদের বেশি এনার্জি রয়েছে কচুশাক এড়িয়ে চলাই ভাল
কচু শাকের ৯টি উপকারিতা রয়েছে।
শুধু উওকারিতার টিপস তুলে ধরছি মাত্র..
১. হাড় ও দাঁত গঠন করে ২. রক্তশূন্যতা কমায় ৩. ভিটামিনের যোগান দেয় ৪. ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে ৫. ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় ৬. প্রদাহ ও জ্বালাপোড়া কমায় ৭. কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করে ৮. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে ৯. এক কথায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
কচু শাকের উপকারিতাঃ
১. হাড় ও দাঁত গঠন করেঃ
কচু শাকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে, এটি হাড় ও দাঁত গঠনে সাহায্য করে৷ ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, এবং ম্যাগনেসিয়ামে ভরপুর কচু শাক দাঁত ও হাড় ভালো রাখার পাশাপাশি ক্ষয়রোগও প্রতিরোধ করে। তাই হাড়ের ক্ষয়রোগে ভোগা রোগীদের ডায়েটে নিয়মিত কচু শাক রাখা উচিত।
২. রক্তশূন্যতা কমায়ঃ
কচু শাক আয়রনের একটি উৎকৃষ্ট উৎস। আয়রন দেহে রক্তের পরিমাণ বাড়ায়। তাই কচু শাক রক্তশূন্যতায় ভোগা রোগীদের জন্য অবশ্য গ্রহণীয় একটি খাবার। নিয়মিত কচু শাক খেলে রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণও বেড়ে যায়।কারণ এতে বিদ্যমান আয়রন ও ফোলেট রক্তের পরিমাণ বাড়ায় এবং অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করে। আবার শাকের ভিটামিন কে রক্তপাত প্রতিরোধ করে বলে রক্তের ঘাটতি দেখা দেয় না।
৩. ভিটামিনের যোগান দেয়ঃ
কচু শাক দেহে প্রয়োজনীয় ভিটামিনের অভাব পূরণ করে৷ সেই সাথে ভিটামিনের অভাবজনিত রোগ আগাম প্রতিরোধ করে। যেমন এর ভিটামিন এ চোখের যাবতীয় রোগ, যেমন রাতকানা, ছানি পড়া প্রতিরোধ করে। সেই সাথে দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। আবার এই শাকের ভিটামিন সি দেহে আয়রনের শোষণ সহজ করে, ক্ষত দ্রুত সারাতে ভূমিকা রাখে, এবং ত্বকে বয়সের ছাপ কমায়। কচু শাকে বিদ্যমান ভিটামিনস ও মিনারেলস গর্ভবতী মা, বাড়ন্ত শিশুর দৈহিক গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। এই শাকের ভিটামিন বি মুখ ও ত্বকের রোগ প্রতিরোধ করে।
৪. ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ করেঃ
কচু শাকে শর্করা আছে, সেই সাথে চিনিও আছে সামান্য পরিমাণে। কিন্তু এই শাক রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই ডায়বেটিক রোগীদের ডায়েটে নিয়মিত কচু শাক রাখা উচিত। এতে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আবার যাদের এখনো ডায়বেটিস হয়নি তারা যদি নিয়মিত কচু শাক খায় তাহলে তাদের দেরিতে ডায়বেটিস হয়।
৫. ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়ঃ
কচু শাকের পুষ্টি উপাদানগুলো ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়তে সক্ষম। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস ও ভিটামিনস ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত কচু শাক খায় তাদের শরীরে কোলন ক্যান্সার, ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি যারা কচু শাক খায় না তাদের চাইতে অনেক কম থাকে।
৬. প্রদাহ ও জ্বালাপোড়া কমায়ঃ
কচু শাকের অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান যেকোন ধরণের প্রদাহ ও জ্বালাপোড়া কমায়। বুক জ্বালা, পেট জ্বালা, অ্যাসিডিটি ইত্যাদি সারাতে কচু শাক চমৎকার ভূমিকা পালন করে। রক্তের ইনফ্লেমেশনও সারে এই শাক খেলে। এছাড়াও শরীরের কোন অঙ্গের প্রদাহ সারতে পারে কচু শাকের টোটকায়।
৭. কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করে:
কচু শাক একটি আঁশসমৃদ্ধ খাবার। এই শাক কোষ্ঠকাঠিন্য সারায়। সেই সাথে হজমশক্তিও বাড়ায়। ফলে বদহজম বা পেট ফাঁপা হয় না। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা প্রবল থাকলে মেডিসিনের বদলে টানা কয়েকদিন কচু শাক খাওয়া উচিত। এতে খরচও বাঁচবে আবার ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার হাত থেকেও বাঁচা যাবে। আবার এই শাকের ডাঁটায় প্রচুর জল আছে। জলের অভাবে শরীরে রুক্ষতা, পেট ও অন্ত্রের সমস্যা দেখা দিলে কচুর ডাঁটা রান্না করে খেতে হবে। এতে শরীরে জলের অভাব পূরণ হবে আর পেটের গন্ডগোল সেরে যাবে।
৮. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কচু শাকের জুড়ি নেই। এতে আছে ফ্ল্যাভোনয়েডস, স্যাপোনিনস, টেনিনস নামক উপাদান। এই উপাদানগুলো হুট করে রক্তচাপ বাড়তে বা কমতে দেয় না। আর রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকিও থাকে না। আবার এই শাক রক্ত থেকে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণও কমিয়ে দেয়। ফলে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে।
৯. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ
কচু শাকে আছে বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়ামের মত বহু উপকারী উপাদান। এগুলো দেহে প্রবেশ করলে দেহ সুস্থ সবল থাকে, পুষ্টির অভাবও কমে যায়। তাই কচু শাক বাড়ন্ত শিশু, গর্ভবতী ও প্রসূতি মা, এবং বয়স্কদের জন্য খুবই উপকারী। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, প্রতি ১০০ গ্রাম কচু শাকে যতটুকু ক্যালরি পাওয়া যায় তা দৈনন্দিন ক্যালরির চাহিদা অনেকটাই মিটিয়ে দেয়। ফলে বাড়তি ক্যালরির তেমন দরকার পড়ে না। আর ওজনও বাড়ে না। কচু শাক রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়িয়ে দেয়। তাই ডাক্তাররা হিমোগ্লোবিনের ঘাটতির জন্য কচু শাক খাওয়া প্রেসক্রাইব করে থাকেন।
সতর্কতাঃ
কচু ও কচু শাকে বিদ্যমান অক্সালেটের কারণে হাত চুলকায়, গলা ফুলে যায়। ধোয়া ও রান্নার সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
আগে থেকে অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে কচু বা কচু শাক এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ অক্সালেট অ্যালার্জির সমস্যা তীব্র করে তোলে।
নিজস্ব প্রতিবেক, সাভার থেকে:
সাভারে একটি গার্মেন্টস ওয়াশ কারখানায় দাবিকৃত চাঁদার ১০ লাখ টাকা না দেওয়ায় কারখানার মালিকসহ প্রায় ৫ জনকে বেধরক পিটিয়ে মারাত্মক আহত করেছে সাভার পৌর ছাত্রলীগ নেতা ও তার সহযোগীরা। এঘটনায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ওই গার্মেন্টস ব্যবসায়ী।
শনিবার (৬ মে) রাত ১০ টার দিকে অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ইনটেলিজেন্ট) নয়ন কারকুন। এর আগে বিকেল ৫ টার দিকে সাভারের আনন্দপুর এলাকার বিসমিল্লাহ ওয়াশ কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- আনন্দপুর এলাকার মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে ও বিসমিল্লাহ ওয়াশ কারখানার স্বত্বাধিকারী ইউসুফ আলী চুন্নু (৪৫), তার ছেলে আবির হোসেন (২১), ছোট ভাই নান্নু, স্ত্রী রত্না ও ভাতিজা বাহাদুর (২৭)।
অভিযুক্তরা হলেন- সাভারের নামাগেন্ডা এলাকার হোসেন আলীর ছেলে ও সাভার পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুম দেওয়ান ওরফে মুরগী মাসুম (২৫), একই এলাকার ইমান আলির ছেলে ওরফে টেন্ডার আলমগীর (৩০), চাপাইন এলাকার সোহেল রানা ওরফে ধর্ষণ সোহেল (৩৩), নামাগেন্ডা এলাকার হাবু মিয়ার ছেলে নাদিম দেওয়ান ওরফে গুন্ডা নাদিম (২৪), উলাইল এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে টিপু ওরফে বালু টিপু (২৮), কাতলাপুর এলাকার বাবু ওরফে রড বাবু (২৮), একই এলাকার পলাশ ওরফে খাটা পলাশ (৩০), মজিদপুর এলাকার পাবেল ওরফে চাঁদাপাভেল (৩৫), নামাগেন্ডা এলাকার হানিফের ছেলে সজীব (২৪)সহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জন। ভুক্তভোগী
অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১ মাস ধরে ভুক্তভোগীর কারখানায় গিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল অভিযুক্তরা। এরই ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫ টার দিকে ওই কারখানায় অনধিকার প্রবেশ করে চাঁদাবাজরা। এসময় পূর্বের মত ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ভুকভোগীদের বেধরক মারধর করে নান্নুর পকেটে থাকা ৮৫ হাজার ও প্রতিষ্ঠানের ক্যাশ বাক্স থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে ১০ লাখের বাকি টাকা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে চলে যায়। পরবর্তীতে আহতদের উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এব্যাপারে সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ইনটেলিজেন্টস) নয়ন কারকুন বলেন, ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
]]>বৃহস্পতিবার সকাল আটটার দিকে ঢাকার ধামরাই ঢুলিভিটা বাসস্ট্যান্ডের পাশে স্নোটেক্স আউটার ওয়্যার লিমিটেডে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত গার্মেন্ট শ্রমিক বৃষ্টি আক্তার শিলা (২১) রাজবাড়ি জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দরাপের ডাঙ্গা এলাকার মো. বাচ্চু শেখের মেয়ে।
পুলিশ ও কারখানা সূত্রে জানা যায়, স্নোটেক্স গার্মেন্টসের এস এস এল ভবনের ছয়তলা ছাদের উপর থেকে লাফ দিয়ে বৃষ্টি আক্তার নামে ঐ গার্মেন্টস শ্রমিক গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ বৃষ্টি আক্তারকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশ বস্ত্র ও পোশাক শিল্প শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক মো. রাসেল প্রমানিক বলেন, বৃষ্টি নামের শ্রমিক কেন আত্মহত্যা করেছে, কি কারণে ছাদে আত্মহত্যা করছে বা ছাদ থেকে কেন লাফিয়ে আত্মহত্যা করছে। এটা আসলে তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে। কিন্তু নিরাপত্তা কর্মী কর্তব্যরত থাকলে সে ছাদে উঠে আত্মহত্যা করতে পারতো না। এঘটনায় অবশ্যই কারখানা কর্তৃপক্ষের গাফিলতি রয়েছে।
এবিষয়ে স্নোটেক্স কারখানার এসিস্টেন্ট ডিরেক্টর (অপারেশন) জয়দুল হোসাইন বলেন আমরা মুমূর্ষু অবস্থায় শিলাকে দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেই এবং চিকিৎসার জন্য এনাম মেডিকেল কলেজে পাঠাই সেখানে এক ঘন্টা চিকিৎসাধীন থাকার পরে তাকে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে, ফুটেজে দেখা যায় মেয়েটি একাই ছাদে গিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ছাদে কিভাবে গেলো এবং ছাদে নিরাপত্তা কর্মী থাকলে সে কিভাবে ছাদ থেকে লাফ দিলো এমন প্রশ্নের উত্তরে জয়দুল হোসাইন বলেন, সে সময় নিরাপত্তা কর্মী ওখানে ছিলো না। নিরাপত্তা কর্মী ছাদে কখনও থাকেন না? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সবসময়ই ছাদে নিরাপত্তা কর্মী থাকে কিন্তু ওই সময়ে ছিলো না।
ধামরাই থানার ওসি আতিকুর রহমান বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে একটি ছেলের সঙ্গে ওই নারী শ্রমিকের কথা বলার দৃশ্য দেখা যায়। পরে তিনি ছাদে গিয়ে লাফ দেন। এসব বিষয় পর্যবেক্ষণে তাঁদের ধারণা, প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখছে বলেও জানান।
]]>শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকার ধামরাইয়ে বিসিক শিল্পনগরীর ভেতরে একটি কীটনাশক উৎপাদনকারী রাসায়নিক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের প্রায় ছয় ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও পুরো ভবনে ফাটল ধরেছে। তাৎক্ষণিক ভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
শনিবার ভোররাত ৩ টা ১৬ মিনিটে ধামরাইয়ের সোমভাগ ইউনিয়নের বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় বাংলাদেশ এগ্রিকালচার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামের কারখানায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানিয়েছেন এই কারখানায় বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক ব্যাবহার করে কীটনাশক তৈরি ও প্যাকেটজাত করার আলামত পাওয়া গেছে।
ধামরাই ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সোহেল রানা জানান, ভোর রাতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ধামরাই ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। আগুনের তীব্রতা বেশি হওয়ায় সাভার ফায়ার সার্ভিস, ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিস ও কল্যাণপুর ফায়ার সার্ভিসকেও খবর দেওয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। সাড়ে ৮টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দেড় বছর যাবত বাংলাদেশ এগ্রিকালচার ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেড কীটনাশক উৎপাদন করে সারাদেশে বাজারজাত করে আসছিল। আজ হঠাৎ করেই ভোররাত ৩ টা ১৬ মিনিটে আব্দুল মান্নানের মালিকানাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগে। পরে কয়েকজন মিলে স্থানীয়দের সহায়তায় সেই আগুন নিভিয়ে ফেলে এবং কারখানার কিছু কেমিক্যাল বাইরে নিয়ে আসে। পরে তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় আগুনের ভয়াবহতা বাড়তে থাকে। রাতে এই ভবনে কেউ থাকেন না। বিদ্যুতের সর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে।’
এ ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (অপারেশন) নজমুজ্জামান বলেন, ‘৪টা ৪৫ মিনিটে আমরা আগুনের খবর পাই। খবর পেয়ে ধামরাই, সাভার ও ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে আসে। তারা আসার পর দেখে আগুনের তীব্রতা অনেক বেশি। পরে কল্যাণপুর থেকে আমরাসহ মোট ৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করি। আমরা ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। ভবনে আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
]]>শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
সাভার পৌর বক্তারপুর এলাকায় একটি সমবায় সমিতির অফিসের সামনে ভাংচুর করেছে দুষ্কৃতকারীরা সাভার মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়রি করেছে সমিতির কর্তৃপক্ষ।
জানা যায় গত বুধবার রাত ১০ টায় অফিস বন্ধ করে বাসায় চলে যায় অফিস কর্মকর্তারা। গভীররাতে সাভার পৌর বক্তারপুর এলাকার ভাগ্য উন্নয়ন শ্রমজীবি সমবায় সমিতি অফিসের সামনে ভাঁংচুর চালায় দুষ্কৃতিকারীরা। বৃহস্পতিনার অফিস কর্তৃপক্ষ মোঃ জাহিদুল ইসলাম জুয়েল সাভার মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়রি করেছেন।
তিনি জানান প্রতিদিনের ন্যায় অফিস বন্ধ করে নিজ কর্মস্থল ত্যাগ করে বাসায় যায়। পরের দিন বৃহস্পতিবার সকালে এসে দেখেন অফিসের সামনে ব্যানার,সাইনবোর্ড, লাইট ভাংচুর ও তালায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়ে নিরাপত্তা ও মূলআসামী সনাক্তকরণের জন্য একটি সাধারন ডায়েরি করা হয়।
স্থানীয় একটি সমিতির কর্মকর্তা বলেন
আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এভাবে আঘাত করা দন্ডনিয় অপরাধ। তাই পুলিশকে দুষ্কৃতকারী আসামী বেড় করে তাদের দ্রুত আটকের অনুরোধ জানিয়েছেন। সংবাদ লিখা পর্যন্ত পুলিশ এখনো দুষ্কৃতকারী আসামীকে সনাক্ত বা আটক করতে পারেনি বলে জানা গেছে।
সাভার থেকে, শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সাভারে অজিত ঘোষ গুলে দা স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে গরীব-অসহায় মানুষের মাঝে শতাধীক ঈদ উপহার
বিতরণ করলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মানবতার
উত্তম ঘোষ। রবিবার(১)মে তার নামাবাজার কার্যালয়ে ঈদ উপহার বিতরণ করেন।
সাভার নামা বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী উত্তম ঘোষ জানান গরীব অসহায় মানুষে মুখে একটু হাঁসি ফোটাতে এই প্রচেষ্টা এবং ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করতে পেরে আমি নিজেও শান্তি পেয়ে থাকি । তিনি আরো জানান মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকরা আমার নিকট শ্রদ্ধাশীল ব্যক্তি আমি সম্মান করে থাকি। ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ কালে তিনি আরো বলেন সমাজের বিত্তবান লোকরা এগিয়ে আসলে সকলের ঈদ উৎযাপন করে মনের আনন্দ উপভোগ করতে পারবে।
গরীব অসহায় এলাকা পুরুষ – মহিলাদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছে সাভার পৌর নামাবাজার এলাকার অফিস কার্যালয়ে। শনিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত শতাধীক মানুষের মাঝে এই ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়।
করোনা কালীন সময়ে হাজার হাজার মানুষকে তিনি খাদ্য সামগ্রী ও স্যানেটারিজ এবং ঔষধ বিতরন করে আসছিলেন।
গরীব-অসহায় মানুষের মাঝে প্রতি বছরই ঈদ উপহার হিসেবে শাড়ী,কাপর-লঙ্গী,পাঞ্জাবি বিতরন করে আসছে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী উত্তম ঘোষ। এবার অল্প পরিসরে ঈদ উদযাপন সামগ্রী বিতরণের মাধ্যমে সাথে ঈদ আনন্দ ভাগ করে নিলো সাভারে অজিত ঘোষ গুলে দা স্মৃতি সংসদ।
যারা ঈদ উপহার সামগ্রী পেয়েছেন তারা খুশী সকলেই। তারা কেউ কেউ বলেছেন আমরা গরীব মানুষ দিন আনি দিন খাই মানবতার উত্তম ঘোষের পক্ষে যা পেয়েছি তাই অনেক অনেক খুশি।
]]>
গোয়েন্দা নজরদারিতে থাকা তালিকা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এসব কারখানায় বেতন-বোনাস প্রদানে আগে থেকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, নতুবা বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। শিল্প পুলিশ ও বিজিএমইএ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
শিল্প পুলিশের মতে, প্রায় ৩০ শতাংশ কারখানা মালিক এখনও মার্চ মাসের মজুরি দিতে পারেননি। তবে তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ মনে করে, প্রতিবছরই কিছু কিছু কারখানাকে নজরদারিতে রাখতে হয়। এবারও এই রকম বেশ কিছু কারখানা আছে। তবে এসব কারখানাকে নজরদারিতে রাখা হলেও মজুরি ও উৎসব বোনাস নিয়ে তেমন অসন্তোষ সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা নেই।
অন্যদিকে শ্রমিক নেতারা মনে করছেন, এখনও মার্চ মাসের মজুরি দেওয়া হয়নি ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কারখানায়। এসব কারখানায় ঈদের আগে সঙ্কট হতে পারে। এমনটিই মনে করছেন শ্রমিক নেতা ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, চলতি এপ্রিল মাসের অর্ধেক মজুরি যেন দেওয়া হয় সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এখনও মার্চ মাসেরই বেতন দিতে পারেনি প্রায় অর্ধেক কারখানা। এর সঙ্গে চলতি মাসের অর্ধেক মজুরি এবং ঈদ বোনাস দিতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের হিসাবে এবং গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, ৪০০ থেকে ৫০০ কারখানায় ঈদের আগে বেতন-বোনাস নিয়ে সমস্যা হতে পারে। তবে আমরা চাইব একজন শ্রমিকও যেন মজুরি না নিয়ে ঈদ করতে যায়। তবে আমরা চাই, ২০ রোজার মধ্যে যেন বেতন-বোনাস দিয়ে দেওয়া হয়।
এছাড়া গত সোমবার রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের (টিসিসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান সরকারি ছুটির সঙ্গে সঙ্গে পোশাক কারখানায় ছুটি এবং ঈদের আগে শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি ও উৎসবভাতা পরিশোধের আহ্বান জানিয়েছেন।
বৈঠকে শ্রমিক নেতারা দাবি জানিয়েছেন, ২০ রোজার মধ্যে বেতন এবং ঈদের বন্ধের আগে এপ্রিলের ১৫ দিনের অগ্রিম মজুরি দিতে হবে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট কারখানার মালিক-শ্রমিকদের যৌথভাবে সমন্বয় করে ঈদের আগে-পরে কারখানায় ছুটি দিতে হবে।
বাংলাদেশ শিল্প পুলিশের উপমহাপরিদর্শক আওলাদ হোসেন এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, তৈরি পোশাক ও কারখানার শ্রমমান ও শ্রমিক-মালিকদের সম্পর্ক আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় ভালো। তবে প্রায় ৩০ শতাংশ কারখানা মার্চ মাসের মজুরি দিতে পারেনি। চলতি সপ্তাহের মধ্যে এসব কারখানার মালিক তাদের মজুরি পরিশোধ করতে পারবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
বিজিএমইএ সহসভাপতি মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ঈদের আগে মজুরি ও উৎসবভাতা নিয়ে বড় ধরনের সঙ্কট হওয়ার তেমন আশঙ্কা নেই। তিনি বলেন, ‘প্রতিবারের মতো এবারও আমাদের কিছু কিছু কারখানায় বেতন-বোনাস নিয়ে সঙ্কট আছে। এসব কারখানাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আমাদের আশা ৯৯ শতাংশ মালিক ঈদের আগে শ্রমিকদের মজুরি ও বোনাস পরিশোধ করবেন।’ তিনি বলেন, ‘গাজীপুর ও আশুলিয়ায় যেসব কারখানায় কিছু সঙ্কট আছে; সেগুলোর বিষয়ে দ্রুত সমাধান আসবে।’
নাসির উদ্দিন আরও বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনার ধাক্কা সামলে অনেকটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের তৈরি পোশাক খাত। সরকারের সময়োপযোগী উদ্যোগ, শ্রমিকের বেতন পরিশোধে মালিকদের ৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা ও সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধে উৎপাদন কার্যক্রম ঠিক থাকায় এমন সাফল্য এসেছে।
এদিকে ঈদ আসন্ন হওয়ায় শ্রমিক সংগঠনগুলো অধিকার আদায়ে মাঠ পর্যায়ে কর্মসূচি পালন শুরু করেছে। জাতীয় প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান কর্মসূচি থেকে ২০ রমজানের মধ্যে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের দাবি জানাচ্ছে তারা। একই সঙ্গে চলতি মাসের পুরো বেতন যেন দিয়ে দেওয়া হয় ঈদের আগে সে দাবিও জানাচ্ছে তারা। আগের বছরগুলোর অভিজ্ঞতার আলোকে সরকারের এজেন্সিগুলোও এবার বিশেষ নজর রাখছে।
]]>শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
গত ১৫ কার্যদিবসে দেশের শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন চলছে।গত ১৪ ফেব্রয়ারি যার সূচক ছিল ৭০১২০ কমতে কমতে ৬৪৫৬ পয়েন্ট পৌঁছায়। ১৫ তম কার্য দিবসে ৬৭০ পয়েন্ট সূচক কমে যায়। লাগামহীনভাবে সূচক এবং শেয়ারদর কমতে থাকায় সাধারন শেয়ারবাজার বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা।
প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স সোমবার ১৮৪ পয়েন্ট কমে যায় যা চলতি বছরের মধ্যে এখন পর্যন্ত এটিই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরপতন।
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ইউক্রেন- রাশিয়ার হামলার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে শেয়ারবাজারের দ্রুত সূচকের পতন ঘটতে থাকে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিক্রির চাপ বেড়ে যাওয়ায় এ পতন সম্মূখীন।
ইউক্রেন- রাশিয়ার হামলার কারনেও বিশ্ব শেয়ারবাজারে নিম্নগামী প্রবনতা চলছে এবং বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে এর প্রবনতা শুরু হয়।
সর্বশেষ এ বছরের ১৪ ফেব্রয়ারি ডিএসইতে সর্বোচ্চ হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হলেও পরবর্তী দিবগুলোতো সর্বনিম্ন লেন হতে থাকে।
গতকাল (৭)মার্চ সোমবার ১৮৪ পয়েন্ট সূচক কমে ৬৪৫৬ সূচক দাঁড়ায়।সোমবার দিন ৭৪০ কোটি টাকার লেনদেন হয়।
দরপতনের কারণে ব্রোকার হাউজে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কমে গেছে। গত বছরের মার্চে মাসে শেয়ারদর সূচকের এতটা পতন আর কখনও হয়নি।
অনেক শেয়ারের দাম ১৫ থেকে ৩০ শতাংশের বেশি কমে যাওয়ায় বেশি রিক্সে রয়েছেন ঋণ করে যাঁরা বিনিয়োগ করেছেন তাঁরা। মার্জিন
ঋণগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা লোকসানে শেয়ার বিক্রির চাপ হলে তাতে পুঁজি হারানোর ভয়ে রয়েছেন। সূচক নিম্নগামী হওয়ায় সাথে শেয়ারদর কমায় বিনিয়োগকারীরা প্রতিদিনের লেনদেনে অংশ নিতে পারছেন না ।
এদিকে সাভারে ব্রোকার হাইজের এক বিনোয়োগকারী কয়েক হাজার বিএসসির শেয়ার ক্রয় করা থাকলেও আতঙ্কে তিনি গতকাল ও আজ ৪০ টাকা কমে প্রতিটি শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। এতে করে কয়েক লক্ষ টাকা লোকসানে পড়েছেন তিনি।এমন করে শেয়ারবাজার নিম্মগামীদর হওয়ায় ক্রয় না করে অনেক বিনিয়োগ কারী শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন বলে জানা যায়।
এদিকে সাভার শাখার স্কয়ার সিকিউরিটি ব্রোকার হাউজের কর্মকর্তা আল-আমিন বলেন সূচক ও শেয়ারদর নিম্নগামী হওয়ায় হাউজের বিনিয়োগকারীদের মধ্য চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে, প্রতিদিন ক্লাইন্ড প্রশ্ন করছে আগামীতে বাজার আরো নিম্নগামী হবে কিনা? এইভাবে অব্যাহত থাকলে হয়তো পথে নামতে হবে। এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বলে দিচ্ছেন বাজার আবার একসময় ঘুরে দাঁড়াবে আতঙ্ক হয়ে শেয়ার ছাড়ার প্রয়োজন নেই। একসময় লাভের মুখ দেখবেন।
]]>শেখ এ কে আজাদ,রফিকুল ইসলাম জিলুঃ সাভার আবাসিক গ্যাস সংযোগ চালুর দাবিতে সাভার তিতাস গ্যাস অফিসের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে ঠিকাদার ও গ্রাহকরা।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের শিমুলতলা সাভার-আশুলিয়া গ্যাস ঠিকাদার ও গ্রাহক ঐকি পরিষদ ব্যানারে এই মানববন্ধন কর্মসূচি করেন তারা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, একটি স্বার্থনেষি মহল সরকারকে ভূল তথ্য দিয়ে আবাসিক সংযোগ বন্ধ রেখেছে। এতে করে সরকার হারাচ্ছে মোটা অঙ্কের রাজস্ব। শুধু তাই নয় বৈধ সংযোগ না পেয়ে গ্রাহকরা অবৈধ সংযোগের দিকে ঝুকছে।
এ সময় বক্তারা আরও বলেন, বর্তমানে তিতাসের সাভার অফিসে যে পরিমাণ বৈধ চুলার সংযোগ আছে তার চেয়েও চারগুণ বেশি অবৈধ চুলা ব্যবহার হচ্ছে। তাই দ্রুত বৈধ সংযোগের দাবি জানিয়েছেন উপস্থিত গ্রাহক ও ঠিকাদাররা।
তারা আরও বলেন, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে আবাসিক গ্যাস সংযোগ পেতে ব্যাংকে অনেক গ্রাহক ডিমান্ডনোটের টাকা জমা দিয়েও কোন সুরাহা পাচ্ছে না।
সাভার তিতাস গ্যাস কোম্পানির সাভার ও আশুলিয়ায় অবৈধ চুলা বৈধকরণের লক্ষ্যে আবেদনকৃত গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ১৫হাজার ২০৪ জন। এদের চুলার সংখ্যা ৪০ হাজার ৫৬৪টি। তিতাসের ইস্যুকৃত চাহিদাপত্রের অর্থ প্রদানকারী নতুন গ্রাহকের সংখ্যা ৪৪ হাজার ১৪৭ জন। যাদের চুলার সংখ্যা ১লক্ষ ১৯ হাজার ১১৮টি। এসব গ্রাহকরা সংযোগ পেলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় করতে পারবেন।
সাভার তিতাস গ্যাস ঠিকাদার প্রতিনিধি কল্যাণ সমিতির আহবায়ক মো. নুরুল হক বলেন, যে সমস্ত গ্রাহক বৈধ সংযোগ পাওয়ার আশায় ডিমান্ড নোট ব্যাংকে জমা করে রেখেছেন বছরের পর বছর। তিতাস কর্তৃপক্ষ তাদের কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত না দেওয়ায় প্রতিনিয়ত তারা ঠিকাদারদের উপর চাপ করে আসছে। এ কারণে গ্রাহকদের সাথে মানববন্ধনে আমরাও একাত্মতা পোষণ করেছি।
সাভার তিতাস গ্যাস ঠিকাদার প্রতিনিধি কল্যাণ সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক কাওছার আহমেদ বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ অজানা কারণে আবাসিক বাসা বাড়িতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ রাখায় সাভার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড সকল ঠিকাদার পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। দীর্ঘদিন কাজ না থাকায় বর্তমানে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে তারা। সরকারের কাছে দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান দাবি করছি। এসময় মানববন্ধনে ঠিকাদার সংগঠনের নেতাকর্মীসহ এক হাজার গ্রাহক অংশগ্রহণ করে।
]]>সাভারে আল মুসলিম গ্রুপের প্যাসিফিক ব্লু জিন্স ওয়্যার গার্মেন্টস উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে সাভার পৌর এলাকার রেডিও কলোনীতে আল মুসলিম গ্রুপের নতুন একটি গার্মেন্টস কারখানা উদ্বোধন করা হয়।
নতুন এই পোশাক কারখানাটিতে ১০হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে।
গার্মেন্টস উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথি ডা.এনামুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, সারা বাংলাদেশেই তৈরি পোশাক কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের সরকার করোনা ভাইরাসের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
করোনা কালীন সময়েও বাংলাদেশের রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে এবং রপ্তানী খাতে ১৩ পারসেন আয় বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা দক্ষ ও পরিশ্রমী তাদের আরও সুযোগ সুবিধা দিলে কাজের মান আরও ভালো করবে বলে জানা তিনি।
পরে কারখানা উদ্বোধন শেষে প্রতিমন্ত্রী শ্রমিকদের সাথে খোলা মেলা কথা বলেন। এর আগে উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও কারখানাটির সাফল্য কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়।
এসময় সাভার পৌর মেয়র আব্দুল গণি,আল মুসলিম গার্মেন্টস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ আব্দুল্লাহ ১ওয়ার্ডের কমিশনার রমজান আহমেদসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
]]>