জনসাধারণের চলাচলের জন্য রাস্তার দু’ধারে রয়েছে ফুটপাত। অথচ পথচারীর নাগরিক অধিকার ফুটপাতে হাঁটাও কেড়ে নিয়েছে অবৈধ দখলদার। বিশেষ করে শহরাঞ্চলে, নগর-মহানগরে এই ফুটপাত তৈরি হয় জনগণের নির্বিগ্নে চলাচলের জন্য। অথচ সচেতনদের ছত্রছায়ায় অসচেতন কম পুঁজির কিছু মানুষ এই ফুটপাতের হাঁটার জায়গায় দোকান বসিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের নাগের ডগায় এসব পণ্যের পসরা সাজিয়ে কোনো রকম তোয়াক্কা না করেই ফুটপাত বন্ধ করে চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছে। আমাদের মহানগরগুলোয় ফুটপাত ও সড়ক দখল করে দোকান বসানো যেন একটি সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে হকারদের দখলে থাকা ফুটপাতে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা।
রাজধানীর প্রায় সব এলাকার সড়কের ফুটপাতই ভ্রাম্যমাণ হকারদের হাঁকডাকে সরগরম থাকে। ইচ্ছেমতো যে যার মতো করে বিভিন্ন পণ্যের দোকানপাট বসিয়ে জনগণের চলাচলে সমস্যা তো করছেই তার সঙ্গে সৃষ্টি হচ্ছে বিশাল যানজটের। আর দখলদারদের এই দখলে স্থানীয় রাজনৈতিক, প্রভাবশালীদের হাত থাকায় সহজেই কেউ কিছু বলতে পারছে না। অনেক সময় প্রশাসনের কিছু ব্যক্তির আইন প্রয়োগে অনীহা ও অব্যবস্থাপনার কারণে স্থায়ীভাবে ফুটপাত দখল হয়ে যাচ্ছে বলে বিজ্ঞ মহলের ধারণা। তীব্র যানজটের শহর ঢাকায় যানজট থেকে রেহাই পেতে অফিসগামী চাকুরে, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা পায়ে হেঁটে যাওয়ার চেষ্টা করেও এই ফুটপাত বন্ধ করে রাখায় সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। বেদখল হওয়া পথে পথচারীরা ফুটপাত সহজভাবে ব্যবহার করতে না পেরে অস্বস্তিতে পড়ছেন প্রায়ই।
গরিব কম পুঁজির মানুষগুলোর প্রতি আমাদের সহানুভূতি তখনই উবে যায় যখন দেখা যায় ফুটপাতের জন্য দৈনিক, মাসিক হারে ভাড়া দিয়ে তারা দোকান চালাচ্ছে। কোনো কোনো এলাকায় ফুটপাতের ওই জায়গার জন্য লাখ টাকা জামানতও গুনতে হয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে সরকারি জায়গা, রাস্তার ফুটপাত কে বাড়া দেয়? দেশে কি আইন বলতে কিছু নেই? কিন্তু আমরা তো জানি সড়ক ব্যবস্থপনায়, নগর-মহানগর পরিচালনায় আইন রয়েছে। তবে প্রয়োগ হচ্ছে না কেন? সাধারণ মানুষের এমন প্রশ্ন শোনারও কেউ নেই, আবার বললেও কাজ হচ্ছে না। কারণ এসব দখলে পেছনে রয়েছে লম্বা হাতের মানুষ। স্বার্থান্বেষী মহল। তাদের কে ঠেকাবে? ফুটপাতে প্রতিবন্ধকতা থাকায় স্থবির হচ্ছে চলাচল, যানজটে নাকাল হচ্ছে নগরবাসী আর এর প্রভাব পড়ছে অর্থনীতির ওপর। চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের ব্যক্তিগত অর্থনৈতিক অবস্থা ও জাতীয় অর্থনীতি।
?বেদখল সড়ক-ফুটপাতে পথ চলতে পথচারীর যন্ত্রণাময়-নাভিশ্বাস যেন নিত্যসঙ্গী। যে যার ইচ্ছামতো ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে ব্যবহার করছে, কেউ আবার অনেক এলাকায় নির্মাণ সামগ্রী মাসের পর মাস ফেলে রেখে সমস্যার সৃষ্টি করছে। ইট ভাঙার মেশিন, রড ট্রাক, বাস, প্রাইভেট গাড়িসহ বিভিন্ন যানবাহনও এই সড়ক-মহাসড়কের একটা অংশ বন্ধ করে ফেলে রাখা হয়। শহরে যানজটের একটা বড় কারণ, এই যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং আর ফুটপাত দখল করে স্থায়ী-অস্থায়ী দোকান নির্মাণ।
বিভিন্ন সময় সিটি করপোরেশন রাস্তা ও ফুটপাতের ওপর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত করে থাকে। কয়েক দিন পর আবার যেইসেই অবস্থা। আমাদের বিবেকবোধ জাগ্রত না হলে মনে হচ্ছে এর থেকে সহসাই মুক্তি মিলছে না। বর্তমানে ওভারব্রিজগুলোর অবস্থা আরও সূচনীয়। এমনিতেই নির্দিষ্ট জায়গা, তার ওপর দুই পাশে বসে থাকে বিভিন্ন পণ্যের দোকান। সঙ্গে ভিক্ষুকদের শুয়ে-বসে ভিক্ষা করার দৃশ্য। যত যন্ত্রণা পথচারীদের। ফুটপাত বেদখল থাকায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা, হতাহত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
নগর-মহানগরজুড়ে ভ্রাম্যমাণ দোকান আর ফুটপাতে হকারদের পণ্যের পসরা তো আছেই এর সঙ্গে নতুন করে আরেক যন্ত্রণা সম্প্রতি শুরু হয়েছে তার নাম ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল। সময় বাঁচাতে অনেকেই এখন মোটরসাইকেলে চলাচল করছেন। মোটরসাইকেলের আরেক সমস্যা হচ্ছে, জ্যাম এড়াতে ফুটপাতের ওপর দিয়ে বেপরোয়া ছুটে চলা। এতে আরও বেশি আতঙ্কিত পথচারী। যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা তো থাকছেই।
গবেষকদের মতে, ‘প্রায় পৌনে দুই কোটি জনসংখ্যার ঢাকা মহানগরে সড়ক ব্যবহারকারী মানুষের প্রায় ৭০ শতাংশই পথচারী। সমস্যা বাড়ছে পথচারীদের চলাচলের বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে সড়ক অবকাঠামোর বিন্যাস না করা।’ সঠিক ও নিয়মতান্ত্রিক ফুটপাত ব্যবস্থাপনার প্রতি গুরুত্বারোপ করা এবং অবৈধ দখলদারদের খুঁটির জোড় খুঁজে বের করে আইনের প্রয়োগ দরকার। সঙ্গে সঙ্গে হকারদের জন্য আরও নতুন জায়গা করে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।
জনসচেতনতা বাড়াতে সিটি করপোরেশনকে আরও নতুন পন্থা গ্রহণ করে নিয়মিত ফুটপাত থেকে অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করাও সময়ের দাবি। পুলিশ প্রশাসন এ ক্ষেত্রে সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলে বেশি কাজে আসতে পারে। অনিয়ম-দুর্নীতি মুক্ত সড়ক ব্যবস্থাপনা ও হকারদের আলাদা জায়গায় স্থানান্তর পথচারীদের কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে। শহরগুলোতে সড়ক অবকাঠামোর আধুনিকায়ন ও গণপরিবহনের অব্যবস্থাপনা দূর করে যানজট কমানোর সঙ্গেই ফুটপাত দখলমুক্ত করার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। ফুটপাত দখলমুক্ত করে পথচারীর বিড়ম্বনা লাঘবে সিটি করপোরেশন বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে এবং তাদেরই সুন্দর ও আদর্শ মহানগর উপহার দিতে হবে।
ফুটপাত যেহেতু হেঁটে চলাচলের জন্যই তাহলে শুধু পথচারীরাই ব্যবহার করবে, আর এটা তাদের নাগরিক অধীকার এই মানুষিকতা গড়ে তোলাও জরুরি। জনগণের দাবি দখলমুক্ত ফুটপাত, যানজটমুক্ত শহর, পরিচ্ছন্ন নগরী।
সফিউল্লাহ আনসারী
ভালুকা, ময়মনসিংহ
]]>
বিষয়ঃ কর্মরত নার্স ও স্টাফ এবং আয়াদের বকেয়া বেতন পাওয়ার জন্য আবেদন প্রসঙ্গে।
স্যার,
যথাবিহিত সন্মানের সহিত নিবেদন এই যে, আমরা ছয়জন সাভার মুক্তি হাসপাতাল এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার (প্রাঃ) লিঃ এ বিভিন্ন পদে কর্মরত আছি। বিগত ছয় মাস ধরে আমরা কোন বেতন পাচ্ছি না । পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। হাসপাতালের কর্তপক্ষেকে বারবার বলা সত্যও কোন প্রতিকার হয়নি। করোনা ভাইরাস ও দুর্যোগ পরিস্থিতি কাজে লাগিয়ে হাসপাতাল মালিক মহোদয় দীর্ঘদিন কাজ করে আসা আমাদের সঙ্গে অন্যায়-অসাদ আচরন করছেন।একান্ত নিরুপায় হয়ে আপনাদের শরনাপর্ন হয়েছি।
অবিলম্বে বকেয়াসহ পূর্ণ বেতন পরিশোধের উদ্যোগ নেবার জন্য সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষসহ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। পাশাপাশি চিকিৎসগনের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা দিতে প্রযোজনীয় পদক্ষেপ নেবার দাবি জানাচ্ছি। সকল বিষয় সু-ব্যবস্থা করে বাধিত করবেন
নিন্ম বকেয়া বেতনের নমুনা-
১/ক্লোদিয়া-৭৩,১৬০/-টাকা
২/নুপুর বিশ্বাস -২৬,৩০০/-টাকা
৩/এলিজাবেদ-২৪,৫৯২/-টাকা
৪/শিউলী পারভীন -২২,৬০০/-টাকা
৫/আয়শা-৩৫,৫০০/-টাকা
৬/জাহানারা-২৯,১৬৯/-টাকা
এর আগে আরো অনেকে পাওনা আছে কর্ম ছেড়ে চলে গেছে, মাঝে মাঝে পাওনা টাকার জন্য আসলে পাওনা না পেয়ে তারা কান্নাকাটি করে ফেরত যায়।
বিনীত নিবেদক
ক্লোদিয়া, নুপুর বিশ্বাস, এলিজাবেদ, শিউলী পারভীন, আয়শা, জাহানারা।
সাভার মুক্তি হাসপাতাল এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার (প্রাঃ) লিঃ,সাভার,ঢাকা।
বরাবর,
উপজেলা নির্বাহী অফিসা
সাভার, ঢাকা।
বিষয়ঃ- বিরুলিয়া ইউনিয়ন মহিলা জনপ্রতিনিধির দুর্নীতির তদন্তের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রসঙ্গে।
ম্যাডাম,
আপনার কাছে আমার আকুল আবেদন এই যে আমি একজন বাংলাদেশর সচেতন সাধারণ নাগরিক হিসেবে বিরুলিয়া ইউনিয়ন বাসীর পক্ষ থেকে আপনার সুদৃষ্টি কামনা করছি।
ঢাকা জেলার সাভার বিরুলিয়ার ইউনিয়ন পরিষদের ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ড মহিলা কাউন্সিলর নুরতাজ বেগম সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থ ও খাদ্য সামগ্রীসহ নানা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেটি কি-না অসহায় মানুষের মাঝে দেয়ার কথা থাকলেও দিচ্ছে না।
তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুর্নীতি
জমি আছে ঘর নেই প্রকল্প।
টিউবওয়েল।
সেলাই মেশিন।
বয়স্কদের বয়স্ক ভাতা।
গর্ভবতী ভাতা ইত্যাদি।
এইসব সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থ অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণ না করে তার নিজের পরিবারের সকল সদস্যদের মাঝে বিতরণ করে সরকারি সম্পত্তি লুট করছে।
মাননীয় সাভার উপজেলা প্রশাসন, আপনি জানেন যে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে গৃহহীন মানুষের মাঝে ঘর দেয়া হয়েছে। সে ঘর বিরুলিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নুরতাজ বেগম এর মাধ্যমে যে কয়টি বিতরণ করা হয়েছে তার সব কয়টি ঘর তিনি বিতরণ করেন তার বোন আমেনা খাতুন, তার স্বামী ও বাবা সহ আত্নীয় স্বজনের মাঝে।
নুরতাজ বেগম এর স্বামী ও বাবার নামে ঘর নিয়ে সেটি বিক্রি করে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। তাছাড়া টিউবওয়েল দেয়া কথা বলে অসহায় মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে বিরুলিয়া ইউনিয়নের হত-দরিদ্র পরিবারে পক্ষ থেকে আকুল আবেদন করছি আপনি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আমাদের ন্যায় অধিকার ফিরিয়ে দিবেন। আমরা অসহায় মানুষ আপনার হাসি ভরা মায়াবী সুন্দর হৃদয়ের দিকে পথ চেয়ে আছি।
বিনীত নিবেদন
মোহাম্মদ এন ইসলাম নিপু
বিরুলিয়ার সর্বস্তরের মানুষের পক্ষে
মুক্তিযুদ্ধের উত্তরসূরি
— মাহাবুব মন্ডল
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সমীপে বলছি,
অামি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠকের
উত্তরসূরি বলছি-
প্রায় দুই যুগ অাগে স্নাতক পাস করেছি
একটি সরকারি চাকুরী অামার ভাগ্যে জুটেনি!
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
৯০’এর গণ-অান্দোলনে গণতন্ত্র-পুণরুদ্ধারে
অামি ঐ রাজপথে মিছিলে
কাংঙ্খিত গণতন্ত্র ফিরিয়ে অানতে
রক্ত দিয়েছি ;
পরবর্তী সময় বেকারত্বের ঘানি
টানতে টানতে অবশেষে অামি
খবরের কাগজের রিপোর্টার হয়ে
জীবিকা নির্বাহ করছি!
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
অামার পুর্বপুরুষরা
মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করেছে
বাংলার স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছে
দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য
যুদ্ধ করেছে
মায়ের ভাষায় কথা বলার জন্য
যুদ্ধ করেছে
নতুন একটি কবিতার জন্য
যুদ্ধ করেছে
বাংলার মানচিত্র ছিনিয়ে অানতে
যুদ্ধ করেছে
শোষন মুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয়ে
যুদ্ধ করেছে
ঐ লাল-সবুজের পতাকার জন্য
যুদ্ধ করেছে
অতঃপর কাংঙ্খিত স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে!
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
অামি বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচরের
উত্তরসূরি বলছি
স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরেও
এই বাংলার বুঁকে অামি
মৌলিক অধিকার খুঁজি
দু-বেলা দু-মুঠো ভাতের জন্যে
জীবন সংগ্রামে যুদ্ধ করি!
অামি ভাষা সংগ্রামী ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠকের উত্তরসূরি বলছি
অামি অাজ অাপনার নিকট
দু-বেলা দু-মুঠো ভাতের অধিকার চাইছি;
অামি অাজ অাপনার নিকট
অামার পরিবারের সু-চিকিৎসার
সুযোগ চাইছি
অামি অাজ অাপনার নিকট অামার সন্তানদের সু-শিক্ষার সুযোগ চাইছি
অামি অাজ অাপনার নিকট স্বাধীন বাংলার মানচিত্রে একটু মাথা গুজার ঠাঁই চাইছি!
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
যদি অামার এতটুকুন অধিকার না পাই
তবে অাপনার নিকট অাজ অামি
শুধু… এক…পেয়ালা….বিষ….চাই….!!
??
ডেক্সসংবাদঃ
করোনা থাকবে-যতদিন বাড়ি ভাড়া দিতে হবে না ততদিন রাজধানীর সায়েদাবাদের ওই বাড়ি মালিকের নাম শেখ শওকত আলী। তিনি মার্চ ও চলতি মাসের ভাড়াও মওকুফ করলেন।
বাসা ভাড়া পরিশোধ করতে না পারায় যেখানে ঝড়ের রাতেও ভাড়াটিয়াকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনা ঘটছে সেখানে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ওই বাড়ির মালিক। করোনাভাইরাসের প্রকোপ যতদিন থাকবে ততদিন ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে বাড়িভাড়া না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে গত মার্চ ও চলতি মাসের ভাড়াও নেননি তিনি।
রাজধানীর সায়েদাবাদের এলাকার ওই বাড়ি মালিকের নাম শেখ শওকত আলী। তার এমন উদ্যোগে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেক বাড়ি মালিক ভাড়া মওকুফের চিন্তাভাবনা করছেন বলে জানা গেছে। মহান ব্যক্তি শওকত আলী বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
শওকত আলী জানান, রাজধানীতে তার দুটি বাড়িসহ কয়েকটি দোকান রয়েছে। সেখানে প্রায় ৩৫জন ভাড়াটিয়া রয়েছে। এ থেকে তিনি প্রতিমাসে অন্তত চার লাখ টাকা ভাড়া মওকুফ করেছেন। আজ করোনাভাইরাসের কারণে তার ভাড়াটিয়াদের মধ্যে অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। মানবিক দৃষ্টিতেই তিনি গত দুই মাসের সব ভাড়া মওকুফ করে দিয়েছেন। করোনাভাইরাস যতদিন থাকতে ততদিন তিনি বাড়ি ভাড়া নিবেন না বলেও ঘোষণা দেন। এ ছাড়া প্রত্যেক ভাড়াটিয়ার মাঝে চাল, ডাল, আলু, লবণ, চিনি ও সাবানসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও বিতরণ করে যাচ্ছেন তিনি। আমি আশা করবো এই পরিস্থিতিতে ঢাকার সব বাড়ি মালিক অন্তত এ ধরনের উদ্যোগ নেবেন এবং তারা যেন ভাড়াটিয়ার সাথে সত্য আচরন করেন । কারণ ঢাকায় যারা ভাড়া বাড়িতে থাকেন তাদের বেতন বা আয়ের অর্ধেকই বাড়ি বাড়ায় চলে যায়। এটা মওকুফ করে দিলে মানুষকে আর কারও কাছে হাত পাততে হবে না। এই উদ্যোগ নিলে মধ্যবিত্তসহ সবার উপকার হবে। এতে রাষ্ট্রের উপর চাপ কমবে।
এই বাড়ি মালিক আরও বলেন, মাত্র এক মাসের ভাড়া পরিশোধ করতে না পারায় কলাবাগানের একজন বাড়ি মালিকের কাণ্ড আমার হৃদয়ে পীড়া দিয়েছেন। প্রতিদিন এমন অহরহ ঘটনা ঘটছে। আগামী মাস থেকে অনেক ভাড়াটিয়া ভাড়া দিতে পারবেন না। তাই আমি সব বাড়ি-মালিকদের অনুরোধ করবো তারা যেন এই উদ্যোগটি নেন।
সাভারে কোথায় কোথায় লকডাউন হবে তা নিয়ে চিন্তিত না হয়ে নিজের ও নিজের পরিবারের কথা ভাবুন।
প্রথমত আসুন সবাই সচেতন হই, তারপর সবাই মাস্ক সঠিকভাবে পরিধান করি, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখি সাবান দিয়ে বারবার হাত ধোয়ার অভ্যাস করি।
সমাজের বিত্তবান ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ, সুশীল সমাজ, যুব সমাজ, স্বেচ্ছাসেবক,সকলের প্রতি অনুরোধ থাকবে যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী যার যার এলাকা ভিত্তিক০৩ (তিন)লেয়ার বিশিষ্ট মাস্ক বিতরণ করুন বিনামূল্যে।
দেখবেন জীবন ও জীবিকা দুটোই ফলপ্রসূ হবে।
বিঃদ্রঃ বাস্তবতার সাথে মিল রেখে আমাদের কাজ করতে হবে।প্রানবন্ত থাকতে হবে,পজিটিভ চিন্তা করতে হবে।ভাল ঘুম খুবই প্রয়োজন, আপনার হাসিমুখ আপনার, আপনার পরিবারের ও দেশের রোগমুক্তির আরেকটি মহৌষধ।
ডা. সায়েমুল হুদা
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা
সাভার, ঢাকা।
সম্পাদনায়ঃ আবুল কালাম আজাদ।
]]>সাংবাদিক জাহিদুর রহমানের ফেসবুক থেকে হুবহুব তুলে ধরা হলো..
এই মুহূর্তে আমার চোখের সামনে দেখা ভয়ানক এক
অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার আমি। কেন করছি? যদি আপনাদের কারো জীবনে রক্ষায় ন্যূনতম কাজে আসে,কেবলমাত্র সে বিষয়ে আপনাদের সতর্ক ও সচেতন করতেই এই পোস্ট।
গাজীপুরের টঙ্গীর একটি তৈরি পোশাক কারখানার শীর্ষ সারির কর্মকর্তা মিরাজুর রহমান। জটিল হৃদরোগের কারণে রোগীর আগে থেকেই রিং পরানো ছিলো এবং পরে বাইপাস সার্জারিও করা হয়।
বিভিন্ন উপসর্গে কোভিড-১৯ সন্দেহে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গবেষকদের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস শনাক্তে ‘জিআর র্যাপিড ডট ব্লট’ কিটের মাধ্যমে তিন দিন আগে তিনি পরীক্ষা করালেন।
রিপোর্ট আসলো “নেগেটিভ”। মানসিকভাবে কিছুটা স্বস্তি পেলেও দিনদিন অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে তার।
আজ সন্ধ্যায় কোভিড-১৯ এর সকল উপসর্গসহ প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটতে থেকে।
তিন কন্যার মধ্যে বিবিএ পড়ুয়া বড় মেয়ে নিপা। অনেক কষ্টে আম্বুলেন্স জোগাড় করে বাবাকে নিয়ে অসহায়ের মতো এক হাসপাতাল থেকে আর এক হাসপাতালে ছুটছেন।
যেন মোরশেদুল ইসলামের সাড়া জাগানো চাকা ছবির দৃশ্য!
যে কয়টি নন কোভিড হাসপাতালে যাচ্ছেন, জরুরী বিভাগের চিকিৎসকদের একটাই বক্তব্য,র্যাপিড ডট ব্লট’ পরীক্ষার রিপোর্ট এর সাথে রোগীর বাস্তবতার আকাশ-পাতাল তফাৎ।
রোগীর যে অবস্থা তাতে ঘন্টা দুয়েকের মধ্যে রোগীকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) লাইফ সাপোর্টে নেয়া না হলে রোগীর প্রাণ রক্ষা করাই কঠিন।
করনো হাসপাতালগুলোর অবস্থা এমন, সংকটপূর্ণ এবং পজিটিভ রিপোর্ট ছাড়া তারা কাউকে ভর্তি করতে পারছেন না। আবার নন করোনা হাসপাতালগুলো সরকার অনুমোদিত টেস্ট রিপোর্ট নয়, উপরন্তু চিকিৎসক-নার্স সহ অন্যান্য রোগীদের ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে গণস্বাস্থ্যের র্যাপিড ডট ব্লট’ পরীক্ষার রিপোর্ট আমলেও নিচ্ছেন না।
এইযে রাতের আঁধারে একটা অসহায় কন্যা তার বাবাকে নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালের ছুটছেন। আহাজারি করছেন। ভাবুন তো তাদের মানসিক পরিস্থিতির কথা।
আমার একটি প্রশ্ন, সরকারি অনুমোদন ছাড়া গণস্বাস্থ্য কি করে র্যাপিড ডট ব্লট’ পরীক্ষার রিপোর্ট করালো?
আর আল্লাহ না করুক আজ রাতে সেই রোগীর কিছু একটা যদি হয়ে যায় তাহলে সেটার দায় দায়িত্ব কে নেবে?
হুজুগে জাতি আমরা। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন মেয়র কিন্তু আগবাড়িয়ে চীন থেকে রেপিড টেস্টের কিট এনেছিলেন। সেটা নিয়ে কেউ কিছু লিখেছেন? কারণ সরকার সেটার ও কোনো অনুমোদন দেয়নি।
তাই এই করোনা মহামারী সময় সবার প্রতি বিনীত অনুরোধ,সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়ে হোক কোভিড-১৯ নির্ভুল নির্ণয়ের জন্য পিসিআর বা পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন মেশিনের উপর নির্ভর করুন।
অবশ্যই বাংলাদেশী বিজ্ঞানীদের সকল অর্জন এবং সাফল্য কে আমি শ্রদ্ধা করি। সম্মান করি, তাদের প্রচেষ্টাকে। তবে সেটা অবশ্যই হতে হবে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ অ্যাক্রিডিটেশন বডি কর্তৃক স্বীকৃতি প্রাপ্ত।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্ত্রী শিরিন পারভিন হক ও ছেলে বারিশ হাসান চৌধুরী করোনা পজিটিভ। এখন তিনিও বলছেন, পিসিআরে টেস্ট করাতেও নমুনা দেওয়া হবে।
তাই করোনার উপসর্গ দেখা দিলে হুজুগে না চলবেন না।দয়া করে শর্টকাট ওয়ে না খুঁজে বরং নিজের জ্ঞান বুদ্ধি কে কাজে লাগান। আপনি বাঁচলে, বাঁচবে আপনার পরিবার।
মনে রাখবেন, রাষ্ট্রের কাছে আমরা কিন্তু প্রত্যেকে একটা মাত্র সংখ্যা। কিন্তু পরিবারের কাছে এক একটা মানুষ যেন এক একটা পৃথিবী।
সম্পাদনায়ঃআবুল কালাম আজাদ।
]]>করোনায় আক্রান্তের বাড়ী লকডাউনে পরিবারগুলো দেখার দ্বায়িত্ব কার? করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বলবো যার যার প্রতিষ্ঠান থেকে করোনা আক্রান্তে বা সন্দেহ সনাক্ত হওয়ার পর তাদের বাড়ী লকডাউন হওয়ায় করোনা রোগীসহ তার পরিবার এবং পুরো বাড়ি লকডাউনের আওতায় থাকে ওইসব লোকদের তাদের নিজ নিজ প্রাতিষ্ঠানিকভাবে খাওয়ার ব্যবস্থা করার অনুরোধ রইলো।
নতুবা কে খাবার দিবে তার জন্য ঠ্যালাঠিলিতে না খেয়ে মরা ছাড়া উপায় থাকবে না অসহায় করোনা আক্রান্ত রোগি ও তার পরিবারের। এসব না করলে হয়তো পেটের দায়ে সুযোগ পেলে করোনা আক্রান্ত রোগি বা তার পরিবারের লোকজন কাজে গেলে করোনা আক্রান্ত রোগী আরো ছড়িয়ে পরার আশঙ্কা রয়েছে।
আরো বলবো কোন প্রাতিষ্ঠানিক লোক যেমন শ্রমিক/ষ্টাফ /কর্মকর্তা ছাড়া করোনা আক্রান্তে বাড়ি লকডাউন হলে সেটি সরকারের প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি অথবা বিত্তবান লোকরা দেখাশুনার দ্বায়দ্বায়িত্ব নেয়ার অনুরোধ রইলো।
করোনা রোগির স্বাস্থ্য বিধি খোঁজ খবরসহ খাদ্য নিশ্চিত করতে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ যেন মনিটরিংয়ের দ্বায়িত্ব পালন করেন এমনটি আশা করছি। “পরামর্শ বার্তা”
শেখ এ কে আজাদ,সংবাদকর্মী
আহবায়কঃ সাভার প্রেস মিডিয়া কল্যান সমিতি।
সদস্য সচিবঃ সাভার রেডিওকলোনি সেচ্ছাসেবী সংগঠন।
সাভারের সকল কারখানাসহ উপজেলার প্রবেশ পথগুলো বন্ধ চেয়ে চিঠি স্বাস্থ্য বিভাগের
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ঢাকা জেলার সাভারে দিন যাচ্ছে আর পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে চলছে। এমন পরিস্থিতিতে সকল পোশাক কারখানা বন্ধের পাশাপাশি উপজেলার প্রবেশ পথগুলো বন্ধের অনুরোধ জানিয়ে প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
বৃহস্পতিবার সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে পাঠানো এক চিঠিতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব সায়েমুল হুদা এমন আশঙ্কার কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো ওই চিঠিতে সাভার শিল্পাঞ্চল ও আশুলিয়ার সব তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধের পাশাপাশি উপজেলার প্রবেশপথগুলো দ্রুত বন্ধের অনুরোধ জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ‘জনবহুল ও শিল্প অধ্যুষিত সাভারে প্রায় ৫০ লাখ লোকের বসবাস। যার বেশিরভাগই পোশাকশ্রমিক। এ কারণে পোশাক কারখানা বন্ধ থাকায় করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কম ছিল। তবে কারখানা খোলার পর থেকে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। অবিলম্বে বিষয়টির প্রতি নজর না দেওয়া হলে সাভারে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
‘পোশাক কারখানার হাজারো শ্রমিক কর্মস্থলে পাশাপাশি অবস্থান করার কারণে তারা করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছে। তাদের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে। এ অবস্থায় সাভারে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে পোশাক কারখানা বন্ধের পাশপাশি উপজেলার প্রবেশপথগুলো বন্ধ করার জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে‘, জানানো হয় ওই চিঠিতে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব সায়েমুল হুদা চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘গত ২২ এপ্রিল পর্যন্ত সাভারে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৯ জন। আর কারখানা খোলার পরে গত সাত দিনে আক্রান্ত হয়েছে আরো ১৪ জন।
এর মধ্যে ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার আক্রান্ত হয়েছে আরো দুজন।’
ঢাকাঃ বৃহস্পতিবার ২৩ এপ্রিল ২০২০: দ্বিতীয় দফায় সারাদেশের সাংবাদিকদের অনুকূলে বিশেষ বরাদ্দের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রীর নিকট ইমেইলে আজ বৃহস্পতিবার সকালে স্মারকলিপি পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম-বিএমএসএফ’র কেন্দ্রীয় সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাইলট ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর সকল জেলা-উপজেলার সাংবাদিকদের পক্ষে স্মারকলিপিটি পাঠান।
স্মারকলিপিতে দাবি করা হয়, চলমান মহামারী করোনা মোকাবেলায় সরকারের প্রশাসন ও চিকিৎসকের পাশাপাশি সাংবাদিকরা দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখছেন। সরকারের পক্ষ থেকে একমাত্র সাংবাদিক ছাড়া বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষকে প্রণোদনার আওতায় আনা হয়েছে। যা সাংবাদিকদের জন্য ভীষন বেদনা ও পীড়াদায়ক।
এদিকে গত ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল থেকে সারাদেশের সাংবাদিকদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য সকল জেলা প্রশাসককে চিঠি প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু ওই চিঠিটি অনিবার্যকারন দেখিয়ে ২১ এপ্রিল প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। এতে সারাদেশের সাংবাদিকেরা লজ্জিত ও ব্যথিত হয়েছে। ফলে গত দু’দিন ধরে প্রেস কাউন্সিলের দায়িত্বে থাকা চেয়ারম্যান-সচিবের অপসারণ ও পরিচালনা কমিটি পূনর্গঠনের দাবি করা হয়েছে।
এছাড়া ২১ এপ্রিল ঢাকায় তথ্যমন্ত্রীর নিকট কিছু সাংবাদিকের একটি তালিকা দাখিল করে বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতৃবৃন্দ। এতে কেবল তাদের সংগঠনের সাংবাদিকদের স্বার্থই দেখা হয়েছে। কিন্তু মহামারী করোনায় সারাদেশের সাংবাদিকরাইতো দায়িত্ব পালন করছেন, তবে কেনো তাদেরকে সহায়তার আওতায় আনা হবেনা! সকল ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রীর আশু নির্দেশণা আশা করছে দেশের সকল সাংবাদিকেরা।
সারাদেশের সংকটময় মূহূর্তে সাংবাদিকরাই তাৎক্ষনিক খবর পৌঁছে দিয়ে জনসচেতনতা তৈরী করে থাকেন। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভূত্থান ও ৭১’র মুক্তিযুদ্ধসহ রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে সাংবাদিকদের ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৯ বছর পেরিয়ে গেলেও একমাত্র সাংবাদিকরাই রাষ্ট্রের কাছ থেকে কোন সুবিধাদি গ্রহন করেনি।
ইতিমধ্যে চলমান করোনায় প্রায় ১৫-১৬ জন সাংবাদিক আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের সুচিকিৎসার দাবি করা হয়।
স্মারকলিপিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রীর প্রতি বিশেষ অনুরোধ রাখা হয় যে, কোন কুলীন সাংবাদিক কিংবা তাদের সংগঠনের নেতাদের কথায় কান না দিয়ে আপনার প্রশাসনের দ্বারা খোঁজ নিয়ে অথবা নিজগুনে দাবির বিষয়টি বিবেচনা করবেন। তথ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জেলা-উপজেলা অনুযায়ী কর্মরত পেশাদার সাংবাদিকদের অনুকূলে চলমান করোনা মোকাবেলায় বিশেষ অর্থ সহায়তা বরাদ্দেরও দাবি করেন নেতৃবৃন্দ (খবর বিজ্ঞপ্তি)।
]]>