সাভার থেকে বিশ্ব আশেকান এ আর মো:আলামীন জানিয়েছেন,
আল্লাহপাক ও রাসুল এবং অলীর সান্নিধ্যে লাভের আশায় এ বিশ্ব আশেকান রাসুল (সা:)এর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে প্রতিবছর,লাখো লাখো ধর্মপ্রান আশেকানরা উপস্থিত হয় । এ বছর ২৩ ফেব্রুয়ারী সকাল ৭ থেকে বাদ জুম্মা আখেরি মনোজাতের মধ্য শেষ হবে । দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা,থানা প্রান্ত ও বিদেশ থেকে হাজার হাজার ধর্মপ্রান মুসলিম ও আসেকানরা উপস্থিত হয়ে বয়ান অংশগ্রহন করে আখেরি মনোজাতে অংশ নিবেন। বাদ জুম্মা আখেরি মনোজাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ময়মনসিংহে এর ত্রিশাল গোপালপুরের কাশীগঞ্জ এলাকায় বাবেবরকত দেওয়ানবাগী দরবার শরীফে এর আয়োজন করা হয়েছে।
” আমিত্বকে বিসর্জন দিতে গোলামীর বিকল্প নাই ” তার সাথে আল্লাহ ও রাসুলকে কিভাবে পেতে পারি ইসলামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে – মহা মূল্যবান বক্তব্য রাখবেন মোহাম্মাদী ইসলামের নেতৃত্ব প্রদানকারী মহামানব ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.)হজুর।
উক্ত জন্মদিন উপলক্ষে বার্ষিকী বিশ্ব আশেকান সম্মেলন অনুষ্ঠানে দেশ ও বিদেশে হতে অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও আশেকেগন অংশগ্রহণ করবেন।
-সূফী সম্রাট হযরত শাহ্ দেওয়ানবাগী (রহঃ) হুজুর রেখে যাওয়া কথা,অপরের দোষ দেখতে যেও না। নিজের দোষ তালাশ করো তা সংশোধন করার চেষ্টা করো। তিনি আরো বলে গেছেন,”মুরীদের ঈমানের স্থান হলো আপন মোর্শেদের ক্বালব। মোর্শেদের প্রতি যার যত বিশ্বাস থাকবে, তার ঈমান ততো বেশী মজবুত হবে”।
“দুনিয়ার যাবতীয় কাজ কর্মের মধ্যে সবচেয়ে সহজ ছিল আল্লাহকে পাওয়া। অথচ আল্লাহ্ সমন্ধে না জানার কারণে, আল্লাহ সম্বন্ধে পরিস্কার ধারনা না থাকার কারণে, সবচেয়ে কঠিন হয়েছে আল্লাহকে পাওয়া”।
যে শিক্ষা মানুষের জীবনকে সুন্দর করে, স্রষ্টা ও তার সৃষ্টিকে উপলব্ধি করার ক্ষমতা দান করে,লোভ, মোহ, দোষ, হিংসা, ক্রোধ প্রভৃতি রিপুর প্রভাব- মুক্ত থেকে জীবন পরিচালিত করার শিক্ষা দেয় এবং যে শিক্ষা মানুষকে স্রষ্টার মাঝেই লীন হওয়ার শিক্ষা দেয় তাহাই আধ্যাত্নিক শিক্ষা।
“আল্লাহ্ নিজেই বলে আমি মানুষের ভিতরে । কিন্তু এই কথাগুলোর সাথে সমাজের মানুষের কোন পরিচয় নাই । তিনি দেখা দেয়ার জন্য বসে আছেন, আমি চোখ বন্ধ করে থাকলে কি আর তিনি দেখা দেবেন ? সুতরাং চোখতো খুলতে হবে । অর্থাৎ হৃদয়ের চোখ জাগ্রত করতে হবে”।
“আপনি যদি দুনিয়াতে থাকতেই আল্লাহ্ ও হযরত রাসূল (সাঃ)-এর পরিচয় লাভ করতে না পারেন, তবে ঈমান নিয়ে কবরে যাওয়া কঠিন হবে।
সুতরাং – আপনারা মনোযোগ দিয়ে তরীকার আমল করবেন। কেউ গাফিলতি করবেন না”।
“হযরত রাসূল (সঃ) যেভাবে চলার নির্দেশ দিয়েছেন, আমাদেরকে সেইভাবেই চলতে হবে, ব্যক্তি স্বার্থে নয়”।
তিনি হাদীস শরীফে বর্ণিতর কথা বলে গেছেন তিনি-“আসসালাতু মি’রাজুল মু’মিনিন।” অর্থ-“নামাজ মুমিনদের জন্য মিরাজ।” হযরত রাসূল (সাঃ) যখন মিরাজ শরীফে গিয়েছিলেন, তখন নামাজের হুকুম নিয়ে এসেছিলেন। আমরা যদি ঠিক মতো নামাজ পড়ি, তবে এর ফজিলত, রহমত ও বরকত পাবো”।
সালাত প্রত্যেক মুসলমানদের জন্য ফরজ এবং ধর্মের অন্যতম ইবাদাত”।
“মিরাজ শব্দের অর্থ হল দিদার বা সাক্ষাৎ। হযরত রাসুল (সা.) মিরাজে মহান আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভ করেন এবং উম্মতে মোহাম্মাদির জন্য পুরষ্কার হিসেবে নামাজ নিয়ে আসেন। অতএব একজন মুমিন ব্যক্তি নামাজের মাধ্যমে দৈনিক পাঁচবার মিরাজ লাভ করতে পারে”।
]]>
শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার থেকে:প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ঢাকার অদূরে সাভারের আশুলিয়ায় বাইপাইল ডিইপিজেড সংলগ্ন ১৬ একর জায়গা জুরে লাখো মুসুল্লিদের সমাগমে দু-দিন ব্যাপী
বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস এর উদ্যোগে দা’ওয়াহ ও তাবলীগী মহাসম্মেলনের শেষ দিন আজ শুক্রবার । আজ শেষ দিন শুক্রবার গুরুত্বপূর্ণ দিন হওয়ায় লাখো মুসুল্লির সমাবেত হয়েছে এ ইসলামী তাবলীগী জমঈয়তে। দুপুরে জুম্মা’র নামাজে অংশগ্রহনে পর মনোযোগ সহাকারে শুনছেন বয়ান।
দেশ ও বিদেশের আন্তর্জাতিক ইসলামী বক্তারা এ তাবলীগী জমঈয়তে অংশগ্রনে মহাসম্মেলনে বয়ান অনুষ্ঠিত হচ্ছে ।
সাউদী আরবের ইসলামী বক্তাসহ কয়েয়কটি দেশের নামকরা ইসলামী আমন্ত্রিত বক্তা রয়েছেন , দেশগুলোর মধ্যে জর্দান,নেপাল,ভারত,ইন্ডিয়া,মিশর।
এসব দেশের বক্তারা বয়ান করার সময় বাংলায় অর্থ বুঝিয়ে দিচ্ছেন।
আজ দ্বিতীয়দিন বিদেশ হতে আমন্ত্রিত ইসলামী বক্তারা বয়ান করছেন তারা হলেন,মিশরের আল ইস্কান্দারিয়ার ইউনিভার্সিটির প্রফেসর শাঈখ ড.তলা’আত আব্দুর রাজ্জাক মাহমুদ যাহরান,ভারতের জামি’আ ইমাম বুখারীর শাঈখ আব্দুর রাকীব বুখারী আল মাদানী,অল ইন্ডিয়া জমঈয়তে আহলে হাদীস এর আমীর শাঈখ আসগর আলী আস সাহাফী আল মাদানী।
প্রথমদিন বিদেশ হতে আমন্ত্রিত অতিথি যারা ইসলামী বয়ান করেন তারা হলেন,
সাউদী আরবের ধর্ম মন্ত্রনালয়ের প্রখ্যাত দাঈ শাইখ মাহিরবিন যফির আল কাহ কাহতানী,জর্ডানের দাঈ শাঈখ ডা.উসামা আতায়া আল উতাইবী,নেপালের জমঈয়তে আহলে হাদীসের সভাপতি শাঈখ আব্দুল হাই মুহাম্মদ হানীফ মাদানী।
দু- দিন ব্যাপী মহাসম্মেলনে আরো উপস্থিত রয়েছেন,মহাসম্মেলনের বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক আলহাজ্ব আওলাদ হোসেন,বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস এর সেক্রেটারি জেনারেল ড.মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ খান মাদানী।
সভাপতিত্ব করছেন বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস এর সভাপতি ড.আব্দুল্লাহ ফারুক।
শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার থেকে:
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ঢাকার অদূরে সাভারের আশুলিয়ায় বাইপাইল ডিইপিজেড সংলগ্ন ১৬ একর জায়গা জুরে দু-দিন ব্যাপী শুরু হলো দা’ওয়াহ ও তাবলীগী মহাসম্মেলন । বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস এর উদ্যোগে দা’ওয়াহ ও তাবলীগী অনুষ্ঠিত হচ্ছে বৃহস্পতিবার( ৯) মার্চ বিকেল থেকে চলবে শুক্রবার (১০) মার্চ রাত্রি পর্যন্ত। দেশ ও বিদেশের আন্তর্জাতিক ইসলামী বক্তা থাকছেন এ তাবলীগী জমঈয়তে।
সাউদী আরবের ইসলামী বক্তাসহ কয়েয়কটি দেশের নামকরা ইসলামী বক্তা বয়ান করবেন, দেশগুলোর মধ্যে জর্দান,নেপাল,ভারত,ইন্ডিয়া,মিশর।
এসব দেশের বক্তারা বয়ান করার সময় বাংলায় অর্থ বুঝিয়ে দিবেন।
প্রথমদিন বিদেশ হতে আমন্ত্রিত অতিথি যারা ইসলামী বয়ান করেন তারা হলেন,
সাউদী আরবের ধর্ম মন্ত্রনালয়ের প্রখ্যাত দাঈ শাইখ মাহিরবিন যফির আল কাহ কাহতানী,জর্ডানের দাঈ শাঈখ ডা.উসামা আতায়া আল উতাইবী,নেপালের জমঈয়তে আহলে হাদীসের সভাপতি শাঈখ আব্দুল হাই মুহাম্মদ হানীফ মাদানী।
প্রথমদিনের আমন্ত্রিত দেশীয় ইসলামী আমন্ত্রিত অতিথি বক্তব্য রাখেন,
প্রফেসর ড.মুহম্মদ লোকমান হোসেন,
প্রফেসর ড.আহমাদুল্লাহ ত্রিশালী,শাঈখ সাইফুদ্দিন বেলাল মাদানী,উপাধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ গযন্ফর,শাঈখ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ,শাঈখ মাসউদুল আলম আল উমরী,শাঈখ মুহাম্মদ ইব্রাহীম,আব্দুল হালীম মাদানী,শাঈখ আব্দুল্লাহহিল কাফি মাদানী, শাঈখ হাফিজ হুসাইন বিন সোহরাব,শাঈখ ড.কাউসার এরশাদ মাদানী, শাঈখ ড.রেজাউল করীম মাদানী,শাঈখ মুহাম্মাদ এহসান উল্লাহ,শাঈখ ইসহাক বিন এরশাদ মাদানী,শাঈখ আনীসুর রহমান আনাস মাদানী সহ আরো অনেকে।
দ্বিতীয়দিন বিদেশ হতে আমন্ত্রিত ইসলামী বক্তা তারা হলেন,মিশরের আল ইস্কান্দারিয়ার ইউনিভার্সিটির প্রফেসর শাঈখ ড.তলা’আত আব্দুর রাজ্জাক মাহমুদ যাহরান,ভারতের জামি’আ ইমাম বুখারীর শাঈখ আব্দুর রাকীব বুখারী আল মাদানী,অল ইন্ডিয়া জমঈয়তে আহলে হাদীস এর আমীর শাঈখ আসগর আলী আস সাহাফী আল মাদানী।
দ্বিতীয় দিনের আমন্ত্রিত দেশীয় ইসলামী আমন্ত্রিত অতিথি বক্তব্য রাখবে তারা হলেন,প্রফেসর ড.আ.ব.ম সাঈফুল ইসলাম সিদ্দিকী,অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ রঈসুউদ্দিন শাইখ মোফাযযল হুসাইন মাদানী,শাঈখ ড.মুহাম্মদ শহরল্লাহ্ খান মাদানী,শাঈখ ড.ইমাম হোসেন,অধ্যক্ষ গোলাম কিবরিয়া নূরী,শাঈখ আবু আদেল মুহাম্মদ হারুন হুসাইন,শাঈখ আব্দুন নূর বিন আবু সাঈদ মাদানী,শাঈখ মুহাম্মদ আব্দুল মাতীন,অধ্যাপক ড.বারকুল্লাহ বিন দুরুল হুদা আইয়ুবী,শাঈখ নূরুল আবসার, শাঈখ আব্দুল্লাহ বিন শাহেদ মাদানী,শাঈখ আব্দুর রব আফফান মাদানী,শাঈখ ড.যাকারিয়া
আব্দুল জলীল মাদানী,ড.মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ সহ আরো অনেকে।
শুক্রবার জুমু’আর খুৎবা বয়ান করবেন,
সাউদী আরবের ধর্ম মন্ত্রনালয়ের প্রখ্যাত দাঈ শাইখ মাহিরবিন যফির আল কাহ কাহতানী।
দু দিন ব্যাপী মহাসম্মেলনে আরো উপস্থিত থাকবেন,মহাসম্মেলনের বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক আলহাজ্ব আওলাদ হোসেন,বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস এর সেক্রেটারি জেনারেল ড.মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ খান মাদানী।
সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস এর সভাপতি ড.আব্দুল্লাহ ফারুক।
শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার থেকে:
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস উপলক্ষে ৭৬ তম হায়াতী রহমানিয়া অর্থাৎ শাহী খোশরোজ মূসাবীয়া,আস্তানায়ে পাক দরবারে মুসাবীয়া সাভার দায়রার উদ্যোগে সাভার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভা,মিলাদ,এবাদতে সেম-আ ও দোয়া মাহফিল ২১ ফেব্রয়ারী ৮ ফাল্গুন ২৯ রজব রোজ মঙ্গলবার বাদ মাগরিব সাভার থানা বাসষ্ট্যান্ড বংশাই সুপার মার্কেট অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড.আব্দুল কাইয়ুম আজহারী।
প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এরশাদুত তবলীগ কমিটি
হাটহাজারী চট্রগ্রাম ও শাখা দায়রা সাভার এর সেক্রটারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব আহমেদ।
এসময় আরো অন্যন্য দরবারী ওলেমায়ে কেরাম,ওলি,শিল্পীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা ও আয়োজনে করেন ইন্তেজামিয়া কমিটি আস্তানায়ে পাক দরবারে মুসাবীয়া হাটহাজারী চট্রগ্রাম ও এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী সাভার শাখা দায়রা এর মো: সাইদুর রহমান জীবন।
]]>শেখ এ কে আজাদ ও রফিকুল ইসলাম জিল্লুঃ
সারা দেশের মতো সাভারের দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ জুন) দুপুরে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
ঢাকা আরিচা মহাসড়কের সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডে এই মডেল মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে। উদ্বোধনের পরেই মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেন মডেল মসজিদে। মডেল মসজিদ উদ্বোধনে সাভারে অংশ নেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজ গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সাভার মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন তিনি। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সাভার ও আশুলিয়াবাসীর পক্ষ থেকে গভীর কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা। নিঃসন্দেহে সাভারবাসীর জন্য আজকের দিনটি ঐতিহাসিক দিন। জাতীয় জীবনেও ইতিহাসে দিনটি স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। একসঙ্গে এত মসজিদ কেউ তৈরি করেনি, যা করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সারাদেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করছেন ইসলামের একজন অন্যতম শ্রেষ্ঠ খাদেম শেখ হাসিনা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইসলাম প্রচার ও প্রসারে এ এক অনন্য নজির। নামাজ আদায়ের পাশাপাশি ইসলামিক গবেষণা, সংস্কৃতি ও জ্ঞানচর্চার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে মসজিদের ব্যবহার আমাদের ঐতিহ্য। সেই ঐতিহ্যকেই মনেপ্রাণে লালন করেন আমাদের প্রাণপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিশ্ব ইজতেমার জন্য টঙ্গীতে সরকারি জায়গা বরাদ্দ থেকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়। এভাবে ইসলামের খেদমতে যেভাবে নিয়োজিত ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তেমনি তার যোগ্য উত্তরসূরি তথা একজন খাঁটি ঈমানদার মুসলমান হিসেবে আমরা পেয়েছি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে।
ডা. এনামুর রহমান মহান এই নেত্রীর হাত ধরেই আজ সাভার মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রসহ আটটি বিভাগের উদ্বোধন করা হলো ৫০ টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। তিনি বলেন, আমাদের রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য মসজিদ নির্মাণ করবে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে অনুরূপ ঘর নির্মাণ করবেন।
স্থান নির্বাচন, সব প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে সাভারে এই নান্দনিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত এই মসজিদটি নির্মাণে যারা আমার সঙ্গে ছিলেন, তাদের সবার প্রতি আমার প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
এসময় ঢাকা জেলা প্রশাসক (ডিসি) শহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেন সরদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ হিল কাফী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুুরুল আলম রাজীব, পৌর মেয়র আব্দুল গণি, আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ফারুক হাসান তুহিনসহ গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তা ও সাভারের বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
]]>
রফিকুল ইসলাম জিল্লুঃ
পবিত্র রমজানুল মোবারক উপলক্ষে ঢাকা কলেজের কর্মচারীদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
৭ই মে শুক্রবার ঢাকা কলেজ শহীদ মিনার এ ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেন ঢাকা কলেজের সাবেক ছাত্রনেতা বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ফরিদপুর -৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন এর পক্ষ থেকে ঢাকা কলেজের কর্মচারীদের মাঝে এ ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ফরিদপুর -৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, যুবলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, সহ-সম্পাদক রাজু আহমেদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরিফুল ইসলাম জোয়ারদার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের আহাদ হোসেন সোহাগ, এএসপি কাফি, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, কলেজের অধ্যক্ষসহ সকল শিক্ষক এবং কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
]]>ইসলামঃ কাদের জন্য জান্নাত, কারা-ই বা যাবে?আরশের নিচে ছায়াদান সম্পর্কে ইসলাম।মুসলিম বলতেই জান্নাতের আকাঙ্ক্ষী। আর প্রত্যেক মানুষ চায় দুনিয়াতে ও আখিরাতে ভালো স্থানে থাকতে। কিন্তু সবাই কি জান্নাত পাবে? সবাই কি ভালো স্থানে থাকবে? এমন প্রশ্নের জবাব খোঁজা হয়েছে পবিত্র কোরআনে। কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে স্পষ্ট বর্ণিত যে কাদের জন্য জান্নাত এবং কারা জান্নাতে যাবে। সেসব আয়াত থেকে কিছু মানুষের কথা এখানে তুলে ধরা হয়েছে।
ক্ষমাপ্রার্থীদের জন্য জান্নাত যারা তাওবা করে, তাদের জন্য জান্নাত। ইরশাদ হয়েছে, ‘যদি তারা কখনো কোনো অশ্লীল কাজ করে কিংবা নিজের ওপর জুলুম করে, তখন তারা আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজেদের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করবেন? তারা নিজের কৃত কর্মের জন্য হঠকারিতা প্রদর্শন করে না এবং জেনেশুনে তার পুনরাবৃত্তি করে না।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৩৫)
আল্লাহ ও রাসুলের আদেশ মান্যকারীদের জন্য জান্নাত যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের সীমারেখা মেনে চলে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। ইরশাদ হয়েছে, ‘এগুলো আল্লাহর নির্ধারিত সীমা। যে ব্যক্তি আল্লাহর ও তাঁর রাসুলের আদেশমতো চলে, তিনি তাকে জান্নাতসমূহে প্রবেশ করাবেন, যেগুলোর তলদেশ দিয়ে নদী প্রবাহিত হবে। তারা সেখানে চিরকাল থাকবে। এটা বিরাট সাফল্য…।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১৩-১৪)
ঈমানদার ও সৎকর্মশীলদের জন্য জান্নাত ঈমানদার ও নেককারদের জন্য জান্নাত। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর যারা ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে, অবশ্যই আমি তাদের প্রবিষ্ট করাব জান্নাতে, যার তলদেশে প্রবাহিত রয়েছে নহরসমূহ। সেখানে তারা থাকবে অনন্তকাল। সেখানে তাদের জন্য থাকবে পবিত্র স্ত্রী এবং তাদের আমি প্রবিষ্ট করাব ঘন ছায়ানীড়ে।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৫৭)
নামাজি ও সচ্চরিত্রবানের জন্য জান্নাত যারা নিয়মিত নামাজ পড়ে, দান-খয়রাত করে এবং সচ্চরিত্রের অধিকারী, তাদের জন্য জান্নাত। ইরশাদ হয়েছে, ‘তবে তারা স্বতন্ত্র, যারা নামাজ আদায়কারী। যারা তাদের নামাজে সার্বক্ষণিক কায়েম থাকে। এবং যাদের ধন-সম্পদে নির্ধারিত হক আছে যাচ্ঞাকারী ও বঞ্চিতের এবং যারা প্রতিফল দিবসকে সত্য বলে বিশ্বাস করে। এবং নিশ্চয়ই তাদের পালনকর্তার শাস্তি থেকে নিঃশঙ্ক থাকা যায় না। এবং যারা তাদের যৌন অঙ্গকে সংযত রাখে। কিন্তু তাদের স্ত্রী অথবা মালিকানাভুক্ত দাসীদের বেলায় তিরস্কৃত হবে না, অতএব যারা এদের ছাড়া অন্যকে কামনা করে তারাই সীমা লঙ্ঘনকারী। এবং যারা তাদের আমানত ও অঙ্গীকার রক্ষা করে এবং যারা তাদের সাক্ষ্যদানে নিষ্ঠাবান এবং যারা তাদের নামাজে যত্নবান তারাই জান্নাতে সম্মানিত হবে।’ (সুরা : আল-মাআরিজ, আয়াত : ২২-৩৫)
খোদাভীরু ও পরহেজগারদের জন্য জান্নাত যারা আল্লাহকে ভয় করে এবং তাকওয়া অবলম্বন করে, তাদের জন্য জান্নাত। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই খোদাভীরুরা থাকবে ছায়ায় ও প্রস্রবণসমূহে এবং তাদের বাঞ্ছিত ফলমূলের মধ্যে। বলা হবে, তোমরা যা করতে তার বিনিময় তৃপ্তির সঙ্গে পানাহার করো। এভাবেই আমি সৎকর্মশীলদের পুরস্কৃত করে থাকি।’ (সুরা : মুরসালাত, আয়াত : ৪১-৪৪)
নারী-পুরুষ-নির্বিশেষে সবার জন্য জান্নাত নিজ নিজ আমল অনুযায়ী নারী-পুরুষ সবাই জান্নাতে যাবে। এ ক্ষেত্রে কোনো তারতম্য করা হবে না। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই মুসলমান পুরুষ, মুসলমান নারী, ঈমানদার পুরুষ, ঈমানদার নারী, অনুগত পুরুষ, অনুগত নারী, সত্যবাদী পুরুষ, সত্যবাদী নারী, ধৈর্যশীল পুরুষ, ধৈর্যশীল নারী, বিনীত পুরুষ, বিনীত নারী, দানশীল পুরুষ, দানশীল নারী, রোজা পালনকারী পুরুষ, রোজা পালনকারী নারী, লজ্জাস্থান হেফাজতকারী পুরুষ, লজ্জাস্থান হেফাজতকারী নারী—তাদের জন্য আল্লাহ প্রস্তুত রেখেছেন ক্ষমা ও মহাপুরস্কার।’ (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৩৫)
মুমিনরা জীবন ও সম্পদের বিনিময়ে জান্নাত ক্রয় করে নিয়েছে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুসলমানদের থেকে তাদের জীবন ও সম্পদ। এর বিনিময়ে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর পথে, অতঃপর মারে ও মরে। তাওরাত, ইনজিন ও কোরআনে এ বিষয়ে তাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি রয়েছে। আর আল্লাহর চেয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কে শ্রেষ্ঠ? সুতরাং তোমরা আনন্দিত হও সে লেনদেনের ওপর, যা তোমরা করছ তাঁর সঙ্গে। আর এ হলো মহান সাফল্য। তারা তাওবাকারী, ইবাদতকারী, শোকরগোজার, সিয়াম পালনকারী, রুকু ও সিজদা আদায়কারী, সৎকাজের আদেশ দানকারী ও মন্দ কাজ থেকে নিবৃত্তকারী এবং আল্লাহর দেওয়া সীমাসমূহের হেফাজতকারী। সুসংবাদ দাও ঈমানদারদের।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ১১১-১১২)
সাত ব্যক্তি আরশের ছায়ায় স্থান পাবে আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যেদিন আল্লাহর রহমতের ছায়া ছাড়া অন্য কোনো ছায়া থাকবে না, সেদিন আল্লাহ তাআলা সাত ধরনের মানুষকে তাঁর আরশের ছায়ায় আশ্রয় দেবেন—১. ন্যায়পরায়ণ শাসক। ২. যে যৌবনে আল্লাহর ইবাদতে লিপ্ত থাকে। ৩. যার অন্তর সর্বদা মসজিদের সঙ্গে লেগে থাকে। ৪. ওই ব্যক্তি, যারা আল্লাহর উদ্দেশে পরস্পরকে ভালোবাসে এবং আল্লাহর জন্যই পরস্পর একত্র হয় এবং তাঁর জন্যই সম্পর্ক ছিন্ন করে। ৫. ওই ব্যক্তি, যাকে কোনো বংশীয়ভাবে মর্যাদাবান রূপসী নারী কুকর্মের প্রতি আহ্বান জানায়; কিন্তু সে এ কথা বলে তা প্রত্যাখ্যান করে যে আমি আল্লাহকে ভয় করি। ৬. যে ব্যক্তি এমন গোপনে দান-সদকা করে যে তার ডান হাতে কী দান করেছে, বাম হাত তা জানে না। ৭. যে ব্যক্তি নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং তাঁর ভয়ে চক্ষুদ্বয় থেকে অশ্রু ঝরে।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৬০ মুসলিম, হাদিস : ১০৩১)
]]>
আজ বৃহস্পতিবার পবিত্র শবে মিরাজ,রাত ইবাদাত পালন করবে মুসলিমরা
সারাদেশে আজ বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) দিবাগত রাতে পবিত্র শবে মিরাজ পালিত হবে। এ লক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে মিলাদ, দোয়া ও ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করেছে।
এদিনে মহানবী (স.) আল্লাহর নৈকট্য লাভ করেছিলেন।
আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য এদিন রাতে মুসলমানরা মসজিদে মিলাদ, নফল নামাজ আদায়, কোরআন তেলাওয়াত করেন। সারাদেশের মসজিদগুলোতে ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। করোনা মহামারির কারণে গত বছর শবে মিরাজের কোনও আয়োজন করেনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
১৩ ফেব্রুয়ারি পবিত্র জমাদিউস সানি মাস ৩০ দিন পূর্ণ হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি রোববার থেকে পবিত্র রজব মাস গণনা শুরু হয়। ফলে ১১ মার্চ বৃহস্পতিবার রাতে পবিত্র শবে মিরাজ পালিত হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার জোহরের নামাজের পর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ‘মিরাজুন্নবী (স.)’ এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা, দোয়া ও মোনাজাত হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মুশফিকুর রহমান। আলোচনা করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সাবেক পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা রফিক আহমাদ ও জামেয়া ইসলামিয়া মাদরাসার শায়খুল হাদীস ড. মাওলানা মুশতাক আহমদ।
]]>লাখো ধর্মপ্রাণ মানুষের সমাগমে বিপুল উৎসাহ, উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে চুয়াডাঙ্গায় দু’দিনব্যাপী জেলা উলামা পরিষদের ১৩তম ইসলামী মহাসম্মেলন ও ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার রাতে চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজ-সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত ইসলামি মহাসম্মেলন ও আলোচনা সভার মূল আকর্ষণ ছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব শায়খুল হাদিস আল্লামা মামুনুল হক। এই মাহফিলে শায়খুল হাদিস আল্লামা মামুনুল হককে চুয়াডাঙ্গা জেলা উলামা পরিষদের পক্ষ থেকে বাংলার বাঘ তথা ‘বঙ্গবাঘ’ উপাধি দেয়া হয়। ‘
বঙ্গবাঘ’ উপাধি দিয়ে তা মাইকে ঘোষণা করা হলে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া ও যশোরসহ দেশের বিভিন্ন শহর, গ্রাম, পাড়া, মহল্লা থেকে আগত লাখ লাখ মানুষ নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবর ধ্বনিতে মাহফিলস্থল প্রকম্পিত করে তোলে।
মাহফিলের প্রধান বক্তা শায়খুল হাদিস আল্লামা মামুনুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও ইসলাম অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। এদেশে ইসলাম বিপন্ন হলে স্বাধীনতাও হুমকির মুখে পড়বে। এ জন্য ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের একইসাথে দেশ ও দেশের স্বাধীনতা এবং ইসলামকে ভালোবাসতে হবে।
দেশবিরোধী ও ইসলামবিরোধী শক্তি এক ও অভিন্ন। তাই মনে রাখবেন, যারা ইসলামবিরোধী তারাই বাংলাদেশবিরোধী। কাজেই দেশী-বিদেশী সকল আগ্রাসী আধিপত্যবাদী শক্তির হাত থেকে দেশ ও ইসলামকে রক্ষা করার জন্য সকল দেশপ্রেমিক ও ইসলামপ্রেমিক জনতাকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। আজকের এই মাহফিলে লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতি এটাই প্রমাণ করে যে বাংলাদেশে মাটি ইসলামের ঘাঁটি।
তাই এদেশে আর কিছু থাক না থাক ইসলাম থাকবেই। ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার বড় তাৎপর্য ছিল ‘তবুও এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব, ইনশা-আল্লাহ’। যে দেশের নেতা ইনশা-আল্লাহ-এর মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন, যে দেশের মানুষ আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিনের শক্তির ওপর আস্থা ও অবিচল বিশ্বাস রেখে স্বাধীনভা লাভ করে, সে দেশের স্বাধীনতা থেকে ইসলামকে বিছিন্ন করা যাবে না। যারা স্বাধীনতা থেকে ইসলামকে বিছিন্ন করবার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, মনে রাখবেন তারাই স্বাধীনতা ও ইসলামের দুশমন।
এসময় তিনি আলেম সমাবেশের উদ্দেশে বলেন, আলেম সমাজ আজ থেকে শপথ নাও, কাউকে খুশি করতে গিয়ে হক বলা থেকে বিরত থাকা যাবে না। প্রয়োজনে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে হলেও হক কথা বলতে হবে। শুধুমাত্র আল্লাহ খুশি করাই হবে আমাদের একমাত্র কাজ।’
এছাড়া আল্লামা মামুনুল হক কোরআন-হাদিস থেকে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।
মাহফিলে দেশের বিভিন্ন শহর, গ্রাম, পাড়া, মহল্লা থেকে আগত ধর্মপ্রাণ মুসল্লি, নারী-পুরুষসহ অন্তত দুই লাখ জনতার উপস্থিতি চোখে পড়ে। দেরিতে আসায় মাহফিল ময়দানে জায়গা না পেয়ে যেখানে-সেখানে, রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রধান বক্তার বক্তব্য উপভোগ করেন অনেকেই।
মাহফিলের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সার্বক্ষণিক দায়িত্বে ছিলেন পুলিশসহ স্থানীয় কয়েক শ’ স্বেচ্ছাসেবক। প্রধান বক্তা আল্লামা মামুনুল হকের বক্তব্য রেকর্ড করতে মঞ্চের সামনে ক্যামেরা নিয়ে ভিড় করেন বিভিন্ন ইউটিউবার, আইপি টিভিসহ ফেসবুক পেজের অ্যাডমিনরা। বাস-ট্রাক, মাইক্রো-মিনিবাস, সিএনজি-অটো, মোটরসাইকেলসহ নানা ধরনের ছোট-বড় যানবাহনযোগে মাহফিলে উপস্থিত হয়ে আলোচনা শোনেন লাখ লাখ মানুষ।
গতকাল বিকেলের পরপরই বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে সড়কে প্রচুর যানজটের সৃষ্টি হলেও ধর্মপ্রাণ মানুষেরা সেসব উপেক্ষা করেই পৌঁছান মাহফিলস্থলে। যদিও আয়োজকদের পক্ষ থেকে বিশালাকার প্যান্ডেলের প্রস্তুত রাখা হয়েছিল, তারপরও মাঠ ছাপিয়ে দর্শক শ্রোতাদের জায়গা নিতে হয় আশপাশের সড়ক ও খালি জায়গাগুলোতে। সন্ধ্যার আগেই আশেপাশের বেশকয়েকটি জেলা থেকে আগত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের অংশগ্রহণে কা’নায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় মাহফিল-প্যান্ডেল। তবে মাহফিলের মূল আ’নুষ্ঠানিকতা শুরু হয় মাগরিবের নামাজের পর।
উল্লেখ্য, প্রথমে বিভিন্ন দিকে কিছুটা কান কথা শোনা যায়, এ মহাসম্মেলন হচ্ছে না। তবে উলামা পরিষদ থেকে বারবার জানানো হয়েছিল দু’দিনের ম’হাসম্মেলন হচ্ছে। কিন্তু প্রথম দিন ও সকল প্রচার-প্রচারণাসহ ঘো’ষণা মঞ্চে এ আয়োজনকে ১৩তম ইসলামি মহাসম্মেলন বলা হলেও শনিবার মাহফিলের ব্যানার হঠাৎ করেই পরিবর্তন করে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উ’পলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় লেখা ছিল। এ নিয়ে উলামা পরিষদের এক সিনিয়র নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্ত দিয়ে বলেছেন, ‘প্রশাসন থেকে এমনটিই নির্দেশনা ছিল।- ডেক্স সংবাদ।
]]>
শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
শুক্রবার ৫ই ফেব্রুয়ারি সাভার ভাগলপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুমার নামাজের খুত্বার পূর্বে মুসল্লিদের সাথে মাদকবিরোধী ও জনসচেতনামূলক আলোচনা করেন সাভার মডেল থানা পুলিশ।
এসময় জনসচেতনামূলক আলোচনায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি এএফএম সায়েদ। তিনি বলেন সাভারকে মাদকমুক্ত, কিশোর গ্যাং, সকল অপরাধ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সচেতনতার পাশাপাশি জনগণের সচেতনতাকে জরুরি আহবান জানিয়ে উপস্থিত মুসল্লিদের অংশগ্রহনে তাদের বক্তব্য/মতামত নিয়ে আলোচনা করেন। এসময় তিনি বলেন আমরা চাই না সমাজের কোন সন্তান (মাদক) নিয়ে নষ্ট হয়ে যাক। এজন্য কিশোর অপরাধ দমনের জন্য পরিবারকে দায় নিতে হবে। পরিবার থেকেই সুশিক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সন্ধার পর আপনার সন্তান কেন ঘরের বাহিরে থাকবে। সেদিকে আপনাকেই নজর দিতে হবে। স্কুলে পড়তে গিয়ে কিংবা এলাকায় আড্ডা দিতে গিয়ে শুরুতে মজার ছলে এসব গ্রুপ তৈরি হলেও পরে একসময় মাদক, অস্ত্র এমনকি খুনোখুনিতেও জড়িয়ে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তিনি বলেন নিম্নবিত্ত পরিবারে যেমন বাবা -মা দুইজনই কাজে বেরিয়ে যান, তেমনি মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্ত পরিবারেও বাবা-মা সন্তানকে সময় দেন না৷ তারা নানা ধরনের গেম, সিনেমা দেখে, একাকিত্বের কারণে অপরাধী হয়ে ওঠে৷ আর সমাজ ও রাষ্ট্রে অপরাধ, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহারও তাদের অপরাধে প্রলুব্ধ করে৷ সেইক্ষেত্রে পরিবারের নজরদারি ও মূল্যবোধ এই কিশোর অপরাধ অনেক কমিয়ে আনতে পারেন বলে মনে করেন তিনি। মাদক সেবন ও কিশোর গ্যাং গড়ে ওঠার সাথে এখন পরিবার, সমাজ ও সামাজিক অবস্থা, দুর্নীতি, অপরাধ এবং পরিবারের মধ্যে যে অপরাধের বীজ রয়েছে কিশোররা তার বাইরে নয়৷ এসব ক্ষেত্রে পরিবারেরও একটি বড় ভূমিকা আছে৷ কিন্তু চারপাশের পরিবেশ ঠিক না থাকলে শুধু পারিবারিক মূল্যবোধ দিয়ে কাজ হয় না৷ পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র সবখানে মূল্যবোধ, সতততা ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে হবে৷ এই কিশোর গ্যাং-এর পিছনে গডফাদার আছে, অপরাধী চক্র আছে, তাদের সবার আগে আইনের আওতায় আনা হবে৷
পাশাপাশি আপনি বাড়িওয়ালা বা ভাড়াটিয়া নিবন্ধন ফর্ম পুরন করেছেন কি? যদি এখনো পুরন না করে থাকেন তাহলে আজই পুরন করে, থানায় অথবা থানার বিট অফিসার এর নিকট আজই জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করা আমাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য।
পরিশেষে তিনি বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে স্বপ্ন দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আইনের শাসন সমুন্নত রেখে মানুষের নাগরিক এবং গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে যা যা করা প্রয়োজন আমরা তা করবো।