Warning: Creating default object from empty value in /home/sattersangbad24/public_html/wp-content/themes/ProfessionalNews/lib/ReduxCore/inc/class.redux_filesystem.php on line 29

Warning: Cannot modify header information - headers already sent by (output started at /home/sattersangbad24/public_html/wp-content/themes/ProfessionalNews/lib/ReduxCore/inc/class.redux_filesystem.php:29) in /home/sattersangbad24/public_html/wp-includes/feed-rss2.php on line 8
নারী ও শিশু – Satter Sangbad https://www.sattersangbad24.com Bangla News Paper Sun, 17 Dec 2023 14:38:58 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.7.4 মায়ের মানত পূরণ করতেই সাতটি বিয়ে..রবিজুলের https://www.sattersangbad24.com/archives/8181 https://www.sattersangbad24.com/archives/8181#respond Sun, 17 Dec 2023 14:37:04 +0000 https://www.sattersangbad24.com/?p=8181 সত্যের সংবাদ ডেস্ক:

একটি, দুটি কিংবা তিনটি নয়, সাতটি বিয়ে করেছেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার রবিজুল ইসলাম (৩৯) নামে এক যুবক। সাত বউকে নিয়ে সুখের সংসার তার। স্ত্রীরা মিলেমিশে থাকছেন একই বাড়িতে। মায়ের মানত পূরণ করতেই সাতটি বিয়ে করেন তিনি।

রবিজুল ইসলাম কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ি ইউনিয়নের পাটিকাবাড়ি গ্রামের মিয়াপাড়ার আয়নাল মন্ডলের ছেলে। তিনি ১৫ বছর লিবিয়াতে ছিলেন। দুই বছর আগে আসেন দেশে। লিবিয়াতে থাকার সময়ই ১৯৯৯ সালে করেন প্রথম বিয়ে। এরপর একে একে করেন আরও ছয়জনকে।

তার স্ত্রীরা হলেন- কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হালসা গ্রামের রুবিনা খাতুন (৩৫), একই উপজেলার গোস্বামী দুর্গাপুর এলাকার মিতা আক্তার (২৫), কিশোরগঞ্জের হেলেনা খাতুন (৩০), রাজশাহীর চাপাই এলাকার নুরুন নাহার (২৫), চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার শ্রীরামপুর এলাকার স্বপ্না (৩০), একই উপজেলার ডম্বল পুর এলাকার বানু আক্তার (৩৫) ও কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ এলাকার রিতা আক্তার (২০)।

রবিজুল ইসলাম বলেন, আমি মা-বাবার একমাত্র ছেলে। আমার একটা সমস্যা ছিল। সেজন্য আমার মা মানত করেছিলেন, ‘ছেলে বেঁচে থাকলে তাকে সাতটি বিয়ে দিবেন’। তাই মায়ের সেই মানত পূরণ করতে আমি সাতটি বিয়ে করেছি। এতে আমি, আমার পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয়রা সবাই খুশি। সাতটি বউ-ই খুব ভালো। স্ত্রীদের পরস্পরের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয় না। সাত স্ত্রী ও ৫ সন্তান নিয়ে সুখের সংসার আমার। সব স্ত্রীরা আমাকে আদর যত্ন করেন এবং খুব ভালোবাসেন। সারাদিন সবাই একসঙ্গে কাজ করেন। সপ্তাহের সাত রাতে সাত বউয়ের কাছে থাকি। এতে কোনো সমস্যা হয় না।

তিনি আরও বলেন, আমি ১৫ বছর লিবিয়াতে ছিলাম। গত দুই বছর আগে দেশে এসেছি। বর্তমানে আমার একটি ড্রাইভিং শেখার সেন্টার আছে। এ ছাড়া কয়েকটি মাইক্রোবাস রয়েছে। আমি এখন ড্রাইভিং শেখাই।

জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে রুবিনাকে বিয়ে করেন রবিজুল ইসলাম। এই দম্পতির ‍দুই ছেলে রয়েছে। এরপর লিবিয়ায় থাকা অবস্থায় ২০১৪ সালে হেলেনাকে বিয়ে করেন। এ স্ত্রীর ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে। করোনার সময় ২০২০ সালে নুরুন নাহারকে বিয়ে করেন। তার এক মেয়ে আছে। ২০২২ সালে বিয়ে করেন স্বপ্নাকে। তিন মাস আগে বানুকে, আড়াই মাস আগে রিতাকে এবং দুই মাস আগে মিতাকে বিয়ে করেন। সব বিয়েই করেন পারিবারিকভাবে।

স্থানীয়রা বলেন, রবিজুল ইসলাম সাতটি বিয়ে করেছেন। সাত বউ নিয়ে একই বাড়িতে বসবাস করেন। সাত বউ মিলেমিশে সংসার করে। এলাকার মানুষ তাদের বাড়িতে বেড়াতে যান। তারা ভালোই আছে।

তার স্ত্রীরা বলেন, আমরা সাত বোনের মতো। আমরা সারাদিন মিলেমিশে সংসারের কাজ করি। সবার সঙ্গে সবার ভালো সম্পর্ক। বোনের মতো এক বাড়িতে বসবাস করি। কেউ কাউকে হিংসা করি না। কে কম কাজ করল বা বেশি করল, তা নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো সমস্যা হয় না। আমরা জেনে শুনেই বিয়ে করেছি। আমাদের স্বামী এমন কিছু করেন না যাতে আমাদের মন খারাপ হবে। আমাদের স্বামী খুবই ভালো মানুষ।

]]>
https://www.sattersangbad24.com/archives/8181/feed 0
সাভারে সেলফি পরিবহনের চাপায় এবার প্রাণ গেল শিশুর https://www.sattersangbad24.com/archives/8178 https://www.sattersangbad24.com/archives/8178#respond Sun, 17 Dec 2023 14:15:14 +0000 https://www.sattersangbad24.com/?p=8178 সাভারে সেলফি পরিবহনের চাপায় এবার প্রাণ গেল শিশুর

সাভার ; সাভারে সেলফি পরিবহনের চাপায় তাওহীদ (১০) নামে এক শিশু ঘটনাস্থলেই মারা গেছে। বার্ষিক পরীক্ষার ছুটি শেষে সাভারে পোশাক শ্রমিক মা-বাবার কাছে বেড়াতে এসে এমন দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল শিশুটির।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে সাভারের গেন্ডা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

শনিবার রাত ১১ দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের গেন্ডা বাসস্ট্যান্ডে লাঙ্গলের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশুর বাবা মোস্তফা জানান, তার স্ত্রী শাপলাকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি পাবনা থেকে এসে সাভারের গেন্ডা এলাকায় ভাড়া থেকে আল মুসলিম গ্রুপের পোশাক কারখানায় কাজ করেন। তাদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে গ্রামে দাদা-দাদির বাড়িতে থেকে সেখানে পড়াশোনা করত। বার্ষিক পরীক্ষার ছুটিতে গ্রামের বাড়ি পাবনা থেকে শনিবার রাতে মা বাবার কাছে সাভারে বেড়াতে আসে তিন সন্তানরা।

এসময় সাভারের গেন্ডা বাসস্ট্যান্ডে গাড়ি থেকে নেমে তিন সন্তানকে নিয়ে মহাসড়ক পার হয়ে বিপরীত দিকে আসতেই দ্রুত গতিতে ছুটে আসা ঢাকা থেকে মানিকগঞ্জগামী সেলফি পরিবহনের একটি বাস তাদের বড় সন্তান তাওহীদকে চাপা দেয়। এ সময় মা-বাবার সামনেই বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা যায় শিশু তাওহীদ।

এ ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে সেলফি পরিবহনের প্রায় ২০টি বাস আটকে রাখে এলাকাবাসী। এছাড়া ভাঙচুর করা হয়েছে কয়েকটি বাস।

সাভার হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল খালেক বলেন, পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মোস্তফা ও শাপলা দম্পতির বাড়ি পাবনা জেলার সাথিয়া থানার ফকিরপাড়া এলাকায়। জীবিকার প্রয়োজনে সাভার এসে আল মুসলিম গ্রুপের একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন এই দম্পতি।

উল্লেখ্য, গত ৭ ডিসেম্বর ঢাকার ধামরাইয়ে সেলফি পরিবহনের দুই বাসে রেষারেষিতে দুই পথচারী নিহত হন। এছাড়াও বেপরাগুতিতে চলা এই সেলফি পরিবহনের চাপায় প্রাণ গেছে আরো বেশ কয়েকজনের।

]]>
https://www.sattersangbad24.com/archives/8178/feed 0
সাভারে একটি হাসপাতালের অবহেলা ভূল সিদ্ধান্তের কারনে নারীর মৃত্যু https://www.sattersangbad24.com/archives/7706 https://www.sattersangbad24.com/archives/7706#respond Tue, 07 Feb 2023 10:39:43 +0000 https://www.sattersangbad24.com/?p=7706 শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার :সাভারের পলাশ হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভূল চিকিৎসায় নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। স্বজনদের দাবি ডাক্তার এবং হাসপাতাল কতৃপক্ষের অবহেলা ও ভূল সিদ্ধান্তের কারনে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।

সোমবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে এসব অভিযোগ তোলেন নিহতের স্বামী হাজী আব্দুল মান্নান ও তার মেয়ের জামাই হুমায়ুন। এর আগে রবিবার গভীর রাতে সাভার থানা স্ট্যান্ড এলাকার পলাশ হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ওই রোগীর নাম নাহার (৪৮), তিনি সাভারের ইমান্দিপুর চৌরাস্তার হাজী আব্দুল মান্নানের স্ত্রী। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি জরায়ু টিউমার রোগে ভুগছিলেন।

নিহতের স্বামী মান্নান বলেন, গত শুক্রবার আমার স্ত্রী নাহারকে সাভারের পলাশ হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে ডাক্তার বলেন অপারেশন করতে হবে। পরে বিভিন্ন পরিক্ষা নিরিক্ষার করে দেখা যায় রোগীর রক্ত চাপের সমস্যা। এজন্য অপারেশন একদিন পরে করার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। অপারেশন তারা করেছে তবে রোগীকে মেরে ফেলেছে। তাদের হাসপাতালে কোন ডাক্তারই থাকে না। ডিউটি ডাক্তার নামে দুই জন ডাক্তার ডিউটি করেন। আর যদি সিজার, ও অন্যান্য অপারেশন করতে হয় তারা ডাক্তার ভাড়া করে আনেন। আমার স্ত্রীর অপারেশন করেছেন ডা. পলাশ। তাকেও খবর দিয়ে আনতে হয়েছে। যদিও তার মালিকানাধীন ও তার নামেই এই হাসপাতাল।

রোগীর মেয়ের জামাই হুমায়ুন খান বলেন, হাসপাতাল কতৃপক্ষ ও ডাক্তারের গাফিলতির জন্য আমার শ্বাশুড়ি মারা গেছেন। অপারেশনের পরে রোগীকে বেডে দেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পরে তারা আবারও অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। এর কারন কি? এর অর্থ কি দাঁড়ায়। তাদের অপারেশনে ভূল কিছু হয়েছিল। পরে তারা এনাম মেডিকেলের আইসিইউতে নিয়ে যায়। তারা প্রথমেই আবার ওটিতে না নিয়ে আইসিইউতে নিলে হয় তিনি বেঁচে থাকতেন। তিনি পলাশ হাসপাতালেই মারা গেছেন। মারা যাওয়ার পরে আইসিইউ এর পরামর্শ দেন হাসপাতাল কতৃপক্ষ। তারা আমাদের সাথে নানা ধরনের নাটক করে কালক্ষেপন করেছেন। আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।

এব্যাপারে হাসপাতালের ম্যানেজার এমএ কাশেম বলেন, ভূল চিকিৎসার ব্যাপারে আমি জানি না। তবে হাসপাতালে ডিউটি ডাক্তার সবসময় থাকেন। এব্যাপারে ডাক্তাররাই ভাল বলতে পারবেন।

তবে এই রোগীর চিকিৎসক সৈয়দ মোকাররম হোসেন পলাশের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায় নি।

এব্যাপারে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা বলেন, এব্যাপারে অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে শুনেছি। আমরা তদন্ত করে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো। যদি ভূল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হয় তাহলে যাবতীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

]]>
https://www.sattersangbad24.com/archives/7706/feed 0
গাইবান্ধা  বাড়ি যাবার পথে গোবিন্দগঞ্জের দুই কলেজছাত্রী নিখোঁজ https://www.sattersangbad24.com/archives/7695 https://www.sattersangbad24.com/archives/7695#respond Mon, 06 Feb 2023 17:40:17 +0000 https://www.sattersangbad24.com/?p=7695  

গাইবান্ধা শহরের ‘ছালমা মঞ্জিল’ নামের মেস থেকে গোবিন্দগঞ্জ নিজ বাড়িতে যাবার পথে দুই কলেজ ছাত্রী নিখোঁজের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার ৪ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও সন্ধান মেলেনি তাদের।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) তাদের কোনো সন্ধান পায়নি বলে জানিয়েছে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান।গত (২ ফেব্রুয়ারি) তারা নিখোঁজ হবার পর পরিবারের পক্ষ থেকে গাইবান্ধা সদর থানায় সাধারণ ডায়রী করা হয়।

নিখোঁজ দুই ছাত্রীর বাবা রউফ মন্ডল ও আব্দুল লতিফ সরকার জানান, রিফাত জান্নাত ও লাবিবা খাতুন দুজনই উচ্চ মাধ্যমিকের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। জান্নাত গাইবান্ধা সরকারি কলেজে এবং লাবিবা সরকারি মহিলা কলেজে পড়াশুনা করেন। তাদের বাড়ি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাখালবুরুজ ও পাড় সোন্দইল গ্রামে। একই এলাকার হওয়ায় তারা একসঙ্গে গাইবান্ধা শহরের পলাশপাড়ার ‘ছালমা মঞ্জিল’ নামের মেসে থাকতেন।

গত (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তারা বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে একসাথে মেস থেকে বের হয়ে বাস টার্মিনালের দিকে রওনা হন। কিন্তু দীর্ঘসময় পরও বাড়ি গিয়ে না পৌঁছায় মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে দুজনেরই মোবাইল তখন থেকে বন্ধ পাওয়া যায়।

লাবিবা খাতুনের বাবা আব্দুল লতিফ সরকার বলেন, মেয়ে দুজনের কোন খোঁজ না পাওয়ায় বাড়িতে কান্নাকাটি চলছে। আমরা কোন কুলকিনারা পাচ্ছি না। আমরা দুই পরিবারের আত্নীয় স্বজন থেকে পরিচিত এমন কোন জায়গা নেই যে খোঁজ নেইনি। কোথায়ও পাওয়া যাচ্ছে না।

এ ব্যাপারে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান বলেন, ওই ছাত্রীদের নিখোঁজ দেখিয়ে থানায় দুটি পৃথক জিডি করেছে অভিভাবক। তাদের উদ্ধারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

]]>
https://www.sattersangbad24.com/archives/7695/feed 0
সাভারে স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রীর মৃত্যু,ঘাতক স্বামী গ্রেফতার https://www.sattersangbad24.com/archives/7669 https://www.sattersangbad24.com/archives/7669#respond Thu, 02 Feb 2023 21:59:48 +0000 https://www.sattersangbad24.com/?p=7669 শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার থেকে:

সাভারে স্বামীর নির্যাতন সহ্য না করতে পেরে শুশুরবাড়ী বাড়িতে না যেতে চাওয়ায় স্ত্রী পোশাক শ্রমিককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে স্বামী। এঘটনায় দিবাগত রাতে ঘাতক স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সাভার পৌর এলাকার আনন্দপুর মহল্লায় এ হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ বলছে,আশুলিয়ার আনারকলি এলাকায় স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে বৃহস্পতিবার বিকেলে স্ত্রী সুলতানা সাভারের আনন্দপুর এলাকায় খালুর বাড়িতে চলে আসে। এসময় রাতে স্বামী বাবু তার স্ত্রীকে নিতে খালুর বাড়িতে আসে স্ত্রী তাকে বলে আমি যাবো না। এ কথা বলার পরেই ঘাতক স্বামী বাবু কোমর থেকে ছুরি বের করে স্ত্রী সুলতানাকে এলোপাথারী ছুরিকাঘাত করে আহত করে। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় স্ত্রীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করে।
পরে খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। এঘটনায় স্থানীয়রা ঘাতক স্বামীকে গণপিটুনি দিয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।

এবিষয়ে সাভার মডেল থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন,এঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

০৩.০২.২৩ ইং।

]]>
https://www.sattersangbad24.com/archives/7669/feed 0
কলেজে ভর্তি হওয়ায় নির্যাতন গৃহবধূকে অবশেষে আত্মহত্যা https://www.sattersangbad24.com/archives/7623 https://www.sattersangbad24.com/archives/7623#respond Tue, 24 Jan 2023 20:35:06 +0000 https://www.sattersangbad24.com/?p=7623
  • নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঢাকার নিকটে সাভারে মোফাজ্জল মোমেনা চাকলাদার মহিলা ডিগ্রি কলেজে এ ডিগ্রি অর্জনের লক্ষ্যে পড়াশুনার তাগিদে কলেজে ভর্তি হওয়ায় স্বামী, শশুর ও ননদের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে মারজাহান আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
  • বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮ টার পর সাভার পৌরসভার দক্ষিণ দরিয়ারপুর ১২৮/১০ নং ফ্লাটের চতুর্থ তলায় এই ঘটনা ঘটে।

    খবর পেয়ে পুলিশ ওইদিন রাতে ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় সাভার মডেল থানা পুলিশ।

    মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা।

    পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ৯ মাস আগে লক্ষ্মীপুর জেলার সদর থানার গন্ধব্যপুর গ্রামের প্রবাসী মোঃ রেজওয়ানুল রহমানের মেয়ে মারজাহান আক্তারের সঙ্গে লক্ষ্মীপুর জেলার সদর উপজেলার লাহারকান্দি গ্রামের সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের অবসরপ্রাপ্ত কেরানি নুরুল আমিনের ছেলে রাশেদুল ইসলাম খান ওরফে রাশেদের সঙ্গে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়।

    মারজাহান আক্তার গ্রামের গন্ধব্যপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণী পাস করে মান্দারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৯ সালে এসএসসি, লক্ষ্মীপুর সরকারি মহিলা কলেজ থেকে ২০২২ সালে এইচএসসিতে কৃতিত্বের সাথে পাস করে স্বামীর বাড়ি সংলগ্ন সাভারের মোমেনা চাকলাদার মহিলা কলেজে ডিগ্রী প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়ার জন্য আগ্রহী ছিলেন।

    গৃহবধূ মারজাহান আক্তারের শশুর নুরুল আমিন সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে চাকরি করার সুবাদে সাভারে স্থায়ী হন। পরে এখান থেকে অবৈধ উপায়ে অঢেল সম্পদ অর্জন করে অবসর গ্রহণ করে বসবাস শুরু করেন। মেয়ের খালু সাভারের বাসিন্দা হুমায়ুন কবিরের মাধ্যমে পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে নুরুল আমিনের ছেলে রাশেদুল ইসলাম খান ওরফে রাশেদের সঙ্গে বিবাহ হয়।

    বিয়ের কদিন পরই গৃহবধূ মারজাহান আক্তার জানতে পারেন তার স্বামী রাশেদুল ইসলাম খান ওরফে রাসেল তন্নী নামের এক তরুণীর সঙ্গে পূর্বের বিয়ে গোপন রেখে তাকে বিয়ে করে। বিষয়টি পরিবারকে জানালে যৌতুকসহ বিভিন্ন অজুহাতে রাশেদুল ইসলাম খানসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা মারজাহানকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন শুরু করে। ধীরে ধীরে মারজাহানের স্বামী রাশেদুল ইসলাম খান ওরফে রাশেদ ও শ্বশুর নুরুল আমিননের অপকর্ম বেরিয়ে আসতে শুরু করে।

    এই নিয়ে দুই পরিবারের মাঝে টানাপোড়েন শুরু হয়। বিয়ের ৮ মাসের মাথায় দুইবার মারধর করে মারজাহানকে বাবার বাড়ি যেতে বাধ্য করা হয়। মেয়ের সুখের জন্য গলার হার, কানের দুল, ছেলের জন্য আংটি, ছেলের ভাই রাকিবের জন্য আংটি, মারজাহানের ননদ অন্তুর জন্য আংটি সহ ৫০ হাজার টাকা নগদ দিয়ে আরো বেশ কয়েকবার সাধ্য অনুযায়ী ছেলের দাবি পূরণ করে আপস মীমাংসা করে মারজাহানের পরিবার।

    সর্বশেষ একমাস পূর্বে বিবাদ মীমাংসা করে কলেজে ভর্তি হওয়ার উদ্দেশ্যে সাভারে স্বামীর বাড়ি আসেন গৃহবধূ মারজাহান। ভর্তির জন্য আবেদন করে অনলাইনে চান্স পাওয়ায় বৃহস্পতিবার ১৯ জানুয়ারি সকালে সাভারের মোমেনা চাকলাদার মহিলা কলেজের ডিগ্রী প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়ার জন্য কলেজে যায় মারজাহান। পরে বিষয়টি জানতে পেরে তার স্বামী রাশেদুল ইসলাম খান ওরফে রাশেদ কলেজের শিক্ষক ও অন্যান্য ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সামনেই অপমান অপদস্ত করে বোরকার মুখোশ খুলে নির্যাতন করার পর পড়ালেখা বন্ধের চাপ প্রয়োগ করেন। বিষয়টি তার শশুর নুরুল আমিন ও ননদ অন্তুকে জানায় মারজাহান। একথা জানার পর তারাও ক্ষুব্ধ হয়ে মারজাহানকে অকথ্য গালিগালাজ করেন। স্বামী, শশুর ও ননদের এ নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বৃহস্পতিবার রাতে গলায় ওড়না ও গামছা পেঁচিয়ে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে মারজাহান আক্তার।

    এ ঘটনায় শুক্রবার মারজাহান আক্তারের মা পারভিন আক্তার বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় মেয়ের জামাই রাশেদুল ইসলাম খান (২৫), মারজাহানের ননদ অন্তু (২৩), শশুর নুরুল আমিন (৬১)কে আত্মহত্যা প্ররোচনায় অভিযুক্ত করে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে মামলা হলে গৃহবধূ মারজাহানের স্বামী সাভার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের নকলনবীশ রাশেদুল ইসলাম খান ওরফে রাশেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গৃহবধূ মারজাহান আক্তারের শশুর লক্ষ্মীপুর জেলার নাহার কান্দি গ্রামের মৃত গোলাম রহমানের ছেলে নুরুল আমিন নকলনবীশ হিসেবে সাব রেজিস্ট্রি অফিসে চাকুরী শুরু করেন। সেই সুবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানে সার্ভিস দেন। টাকার রাজ্যে প্রবেশ করায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে সাভার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে নকলনবীশ হিসেবে দীর্ঘদিন চাকুরি করেন। পরে কেরানি পদে পদোন্নতি পেয়ে ২০২০ সালে অবসরে যান। চাকুরী জীবনে অবৈধ উপায়ে অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছেন নুরুল আমিন। তার মধ্যে সাভারের মুক্তির মোড় এলাকায় ৮ শতক জমির উপর বাড়ি, এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল সংলগ্ন পৃথক ১১ শতাংশের উপর বাড়ি, মডার্ন প্লাজার পেছনে ১৮ শতাংশের উপর বহুতল ভবন, গেন্ডা এলাকায় ৫ শতাংশের উপর বাড়ি, দরিয়ারপুর তারা মসজিদ সংলগ্ন ছয়তলা বহুতল ভবনসহ প্রায় ২শ কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তুলেছেন নুরুল আমিন। সেই ভবনের চতুর্থ তলায় নিজেকে আত্মহূতি দেন মারজাহান আক্তার।

    বৈবাহিক জীবনে নুরুল আমিন ৫ টি বিয়ে করেছেন। প্রথম স্ত্রী আমেনা বেগমকে ৩ মাসের মাথায় তালাক দিয়ে রাশেদুল ইসলাম খান ওরফে রাশেদের মা চাহেরা বেগমকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করেন। পরে তাকে ২০০৭ সালে হত্যার অভিযোগ উঠে নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে। এরপর রাশেদা খাতুনের সঙ্গে ৬ মাস, সুলতানা বেগমের সঙ্গে ৩ মাস সংসার করে তাদের তালাক দেন। সর্বশেষ সুমি আক্তার নামের এক তরুণীকে বিয়ে করেন নুরুল আমিন। বর্তমানে তার সঙ্গে সংসার জীবনে রয়েছেন এই বহুবিবাহের চতুর পন্ডিত । বর্তমানে পুত্রবধূকে আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলায় পলাতক রয়েছেন তিনি।

    সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে নানা উপায়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

    এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ আব্দুর রহিম রাজু জানান, খবর পেয়ে তিনি গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে থানায় নিয়ে আসেন। পরে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। নিহতের মা বাদী হয়ে মামলা করলে মারজাহানের স্বামী রাশেদুল ইসলাম খান ওরফে রাশেদকে গ্রেফতার করে তাকে ৩ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে তৎপরতাসহ বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

    ]]>
    https://www.sattersangbad24.com/archives/7623/feed 0
    মায়ের মরদেহ বাড়িতে রেখে এক ছাত্রী পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহন https://www.sattersangbad24.com/archives/7494 https://www.sattersangbad24.com/archives/7494#respond Sun, 06 Nov 2022 17:57:27 +0000 https://www.sattersangbad24.com/?p=7494 ‘জীবন যুদ্ধ”
    মায়ের মরদেহ বাড়িতে রেখে এক ছাত্রী পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহন

    মায়ের মরদেহ বাড়িতে রেখে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে শারমিন আক্তার নামের এক এইচএসসি পরিক্ষার্থী। রোববার (৬ নভেম্বর) পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার মাজিদা বেগম মহিলা কলেজের পরীক্ষাকেন্দ্রে সে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে।

    শারমিন আক্তার উপজেলার ৭নং গৌরীপুর ইউনিয়নের উত্তর পৈকখালী গ্রামের ফারুক ফকিরের মেয়ে এবং ভান্ডারিয়া সরকারি কলেজের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী।

    পরিক্ষা কেন্দ্র ছিল ভান্ডারিয়া মাজদা বেগম মহিলা কলেজ।

    বিঃদ্রঃ
    নারী হলে তিনি কিন্তু ছাত্রী তাই শিরোনামে উল্লেখ করা হলো ছাত্রী দিয়েই।

    ]]>
    https://www.sattersangbad24.com/archives/7494/feed 0
    সাভারে খেলার সময় এককন্যা শিশু চুরি করে তুলে নিয়েছে অজ্ঞাত বোরখা পড়া নারী https://www.sattersangbad24.com/archives/7425 https://www.sattersangbad24.com/archives/7425#respond Thu, 10 Mar 2022 14:03:35 +0000 https://www.sattersangbad24.com/?p=7425 শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ

    সাভারে খেলার সময় জামেলা (৩) নামের এক শিশুকে চুরি করে তুলে নিয়ে গেছে অজ্ঞাত এক নারী। এ ঘটনায় সাভার থানায় মামলা দায়ের করেছেন চুরি হওয়া কন্যা শিশুর মা শিলা বেগম।
    বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আতিকুর রহমান রাসেল। এর আগে বুধবার (৯) মার্চ সাভারের থানা রোড এলাকা থেকে দুপুরের দিকে কন্যাশিশু জামেলাকে চুরি করে নিয়ে যায় ওই নারী।
    চুরি যাওয়া শিশু জামেলা রাজবাড়ী জেলার বাসিন্দা। শিশুটি তার নানি ও মা শিলা বেগমের সঙ্গে থাকত জানা যায়।
    তারা থানা রোড এলাকার মৃত আরব আলীর বাড়িতে ভাড়া থাকেন। ভুক্তভোগী শিলা বেগম বলেন, দুই বছরের বেশি সময় ধরে তার স্বামী ভরণপোষণ দেয় না। তিনি ১০ বছর আগে রাজবাড়ী থেকে সাভারে আসে। তারা স্বামীসহ বসবাস করত।
    মা শিলা বেগমের
    স্বামী রেখে চলে গেছে। তিনি আরো জানান মানুষের বাসায় কাজ করে মেয়েটাকে দেখাশোনা করি ও সংসার চালাই। বুধবারের আমি কাজে গেলে দুপুর ১২টার দিকে আমার মেয়ে রাস্তায় বের হয়। এ সময় একজন বোরকা পরা নারী তাকে তুলে নিয়ে চলে যায়। বিষয়টি আমরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখে নিশ্চিত হই। গতকাল থেকে খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে রাতেই থানায় মামলা দায়ের করি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সাভার মডেল থানার এসআই আতিকুর রহমান রাসেল বলেন, আমরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। সেখানে শিশুটি হাঁটতে হাঁটতে সড়কের দিকে এলে চকোলেটজাতীয় কিছু দিয়ে তাকে কোলে করে নিয়ে যায় এক নারী। অভিযুক্ত ওই নারীর পরনে বোরকা ছিল। ফলে তাকে চেনা যাচ্ছে না। তবে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে মামলা দায়ের হয়েছে। আমরা শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

    ]]>
    https://www.sattersangbad24.com/archives/7425/feed 0
    সাভারের আশুলিয়ায় এক নারীশ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ,কর্মবিরতি পালন   https://www.sattersangbad24.com/archives/7366 https://www.sattersangbad24.com/archives/7366#respond Tue, 28 Dec 2021 16:22:14 +0000 https://www.sattersangbad24.com/?p=7366 সাভারের আশুলিয়ায় একটি তৈরি পোশাক কারখানার এক নারীশ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ,কর্মবিরতি পালন

     

    শেখ কে আজাদ,সাভার থেকে:

    সাভারের আশুলিয়ায় একটি তৈরি পোশাক কারখানায় ঘুমের ইনজেকশন পুশ করে এক নারীশ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।এ খবর জানার পর কর্মবিরতি পালন করেছেন কারখানার শ্রমিকরা।

    মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) আশুলিয়ার টঙ্গী আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের ছয়তলা এলাকার ইয়াগি বাংলাদেশ লিমিটেড কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।

     

    আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, ভুক্তভোগী ওই শ্রমিক ১৮ ডিসেম্বর কারখানায় যোগদান করেন। বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) তাকে কারখানার তিনজন স্টাফ ডেকে নিয়ে ঘুমের ইনজেকশন পুশ করে ধর্ষণ করেন। মঙ্গলবার ওই নারী কাজে এসে বিষয়টি তার সহকর্মীদের জানান। পরে ঘটনা জানাজানি হলে কারখানার শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করেন।

    ভুক্তভোগী ওই শ্রমিক জানান, ‘আমি কারখানায় নতুন যোগদান করেছি। তাই তিনি অভিযুক্তদের নাম জানাতে পারেনি। দেখলে চিনতে পারবে তিনি। আমি তাদের শাস্তি চাই।’

    তবে ঐ সময় কারখানায় গিয়ে কর্তৃপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে কারখানার অ্যাডমিন ম্যানেজার শহিদুলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তারও যোগাযোগ নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

     

    এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সামিউল বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। বিস্তারিত জেনে আপনাদের পরে জানানো হবে।

    ]]>
    https://www.sattersangbad24.com/archives/7366/feed 0
    সাভার তুরাগ নদে ট্রলার ডুবি উদ্ধার ৫,নিখোঁজ আরো ২ https://www.sattersangbad24.com/archives/7234 https://www.sattersangbad24.com/archives/7234#respond Sat, 09 Oct 2021 16:52:15 +0000 https://www.sattersangbad.com/?p=7234 সাভার তুরাগ নদে ট্রলার ডুবি উদ্ধার ৫,নিখোঁজ আরো ২

    শেখ এ কে আজাদ,রফিকুল ইসলাম জিল্লুঃ সাভার থেকেঃ
    ঢাকার সাভারের আমিন বাজারের তুরাগ নদে বালুভর্তি বাল্কহেডের ধাক্কায় ইঞ্জিঞ্চালিত নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৪ শিশুসহ ৫ মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শিশুসহ ৪ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দল।

    সাভারে উপজেলায় বিভিন্ন এলাকা ভিত্তিক জরুরি ভাবে ক্ষুদ্র বিনিয়োগের মাধ্যমে উদ্যোগতা প্রয়োজন। ঝুঁকিহীনভাবে ব্যবসায় আপনাকে নিয়ে যাবে সাফল্যর শীর্ষে।
    সরাসরি সিলেটের শীর্ষ স্থানীয় চা পাতার মধ্য গ্রীন লেভেল টির সকল প্যাকেট ও টি ব্যাগ,বিটি২ পাইকারি মূল্যে সরাসরি সেলস ডিস্ট্রিবিউট করা হচ্ছে এখন সাভারে। আপনার এলাকায় কাজ করতে আগ্রহী ব্যক্তিরা যোগাযোগ করুনঃ (MCATC), সাভার,ঢাকা।০১৬৭৩০৮৬৮১৪।


    শনিবার(৯ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে সাভারে আমিনবাজার তুরাগ নদে ইঞ্জিনচালিত নৌকা কেবলার চর থেকে গাবতলীর দ্বীপনগর পাড়ে যাওয়া সময় নদীর মাঝপথে উভয় দিক থেকে দুই বালুভর্তি কার্গো যাত্রীবাহী ট্রলার ওপর উঠে যায়। এসময় ট্রলার থেকে কেউ কেউ সাঁতরে তীরে পৌছালেও ৫ শিশু ও দুই নারী নিখোঁজ হন।

    বড়দেশী এলাকার নারী চমক জান হারিয়েছেন দুই মেয়ে ও ৩ নাতিকে। তিনি বলেন, তার মেয়েরা হলেন সোয়ালা(২০, রুপায়ন(২৪)। ৩ নাতি হল জেসমিন(২), আরমান(৫) ও ইমরান(৪)। চমক জানের মেয়েরা নদীর পাশে কয়লা লোড আনলোডের শ্রমিক হিসেবে কাজ করত।

    বড়দেশী এলাকার শ্রমিক রুপায়ানা ও হোসাইন দম্পতি আজকের পত্রিকাকে বলেন, তারা ছিলেন নৌকায়। তাদের নিখোঁজ দুই মেয়ে হল ফারহা মনি(৫), আলমিনা(৮)। দেড় বছরের টুম্পাকে সাথে নিয়ে সাঁতরে উঠতে পেরেছিলেন রুপায়ন।

    ফায়ার সার্ভিস জানান, যাত্রীবাহি ট্রলারটিতে শিশুসহ মোট ১৮ জন যাত্রী ছিলেন। তারা সবাই দিনমজুর শ্রমিক। ট্রলার ডুবে গেলে ১১ জন সাতঁরে তীরে উঠতে পারলেও নিখোঁজ হয় ৭ জন। খবর পেয়ে সাভার ও হেডকোয়ার্টার ফায়ার সার্ভিসসহ একাধিক ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে। পাশাপাশি সাভার থানা ও নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন।

    ফায়ার সার্ভিসের ওয়ারহাউজ ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান বলেন, নিখোঁজ ৪ শিশুসহ ৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

    জানা যায় নিখোঁজরা মূলত সিলেটের বাসিন্দা। কয়লার কাজ চলাকালীন সময়ে তারা সিলেট থেকে এই এলাকায় এসে কাজ করত। সকলেই আমিনবাজার ইউনিয়নের বড়দেশী গ্রামে ভাড়া থাকত।

    নৌকা ডুবির নিহত প্রত্যেকের লাশ দাফনের জন্য ২০ টাকার অনুদান ঘোষনাঃ-

    গাবতলীর তুরাগ নদীতে নৌকা ডুবির ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের মৃতদেহ দাফন করার হন্য ২০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার ঘোষনা দিয়েছেন জেলা প্রশাষক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রনালয় এর প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। তিনি বলেন, নৌকা ডুবির ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেকের মরদেহ দাফনে ২০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
    সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মজিহারুল ইসলাম বলেন, প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে ঢাকা জেলা প্রশাষকের মাধ্যমে নিহত প্রত্যেক সদস্যের জনের কাছে মৃতদেহ দাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া ঘোষনা করা হয়েছে।

     

    ]]>
    https://www.sattersangbad24.com/archives/7234/feed 0