স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে স্ত্রী জড়িয়ে পড়লো পরকীয়া প্রেমে। আর সেই পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে স্ত্রী দেখলো তার প্রবাসী স্বামীই সেই প্রেমিক। ভৈরবের কুলিয়ারচর ব্রিজে এ ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনাসূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা জেলার হোমনা থানার মণিপুর গ্রামের জিহান মিয়া একই উপজেলার আয়েশা বেগমকে বিয়ে করেন। ২০১৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের মাত্র দেড় মাস পরে সংসারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে জিহান পাড়ি জমান ওমানে। ফলে আয়েশা স্বামীর বাড়ি থেকে তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। প্রবাসে গিয়ে স্বামী নিজের স্ত্রীকে পরিক্ষা করার জন্য রাজা নামে একটি ভূয়া ফেসবুক আইডি খুলেন। সেই আইডি দিয়েই নিজের স্ত্রীর সঙ্গে নিজেকে একজন ভিন্ন পুরুষ হিসাবে পরিচয় দিয়ে কথা বলা শুরু করেন৷ এরপর থেকে দীর্ঘ দেড় বছর পর স্বামী দেশে ফিরতে চাইলে আপত্তি জানান স্ত্রী। এক সময় স্বামীর ফোন রিসিভ করাও বন্ধ করে দেন।
এ প্রসঙ্গে জিহান জানান, তার অনুপস্থিতিতে পরকীয়ায় মেতে ওঠে আয়েশা। পরে নিজের পরিচয় গোপন করে প্রেমিক সেজে ‘রাজা’ নামে আয়েশার সাথে প্রেম শুরু করে সে। প্রেমের সুবাদে ইমুতে সে নানা আপত্তিকর ছবি পাঠায়। তার বাবা ব্যবসার কারণে পরিবার নিয়ে নারায়ণগঞ্জে বসবাস করে। কিন্তু সে তার নানার বাড়ি কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে আছে বলে জানায়। এরই মধ্যে একদিন রাজাকে আয়েশা জানায়, তার আগে বিয়ে হয়েছিল। আগের স্বামীকে সে ডিভোর্স দিবে এবং রাজাকেই বিয়ে করবে। কথাটি শোনার পর থেকে মনে অনেক আঘাত পায় জিহান। পরে গেল ২৮ নভেম্বর কাউকে না জানিয়ে দেশে ফিরে আসে।
এর একদিন পর কুমিল্লা আদালতে স্ত্রীসহ ৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে জিহান। পরে র্যাবের পরামর্শ নিয়ে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর সেতুর প্রান্ত ভৈরবের মানিকদী এলাকা থেকে তার স্ত্রীকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। তাকে নিয়ে ভৈরব র্যাব ক্যাম্পে গেলে আয়েশা ও আমার পরিবারের লোকজন মিলে মীমাংসা করে দেয়। জীবনের আর এমন হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেয় আয়েশা। পরে তাকে জিহানের বাড়িতে নিয়ে আসে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে তা মুহূর্তই ভাইরাল হয়ে যায়।
ভাইরাল হওয়া প্রসঙ্গে জিহান বলেন, আসলে এমন হবে কোনোদিন ভাবিনি। দেরিতে হলেও আমার স্ত্রী তার ভুল বুঝতে পেরেছে। আমরা পেছনের সব ভুলে সংসারে সুখী হতে চাই। তাই সবার প্রতি অনুরোধ যারা এই ভিডিওটি ফেসবুকে দিয়েছেন তারা ডিলিট করে দেবেন।
]]>ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পহেলা মার্চ থেকে শুরু করে ১৭ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিজ এলাকায় ফিরেছেন ৮হাজার ৯৭৪জন প্রবাসী দেশে ফিরে আসলেও হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন মাত্র ১৪ জন।
তাদের অনেকে করোনা আক্রান্ত বিভিন্ন দেশ থেকেও এসেছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পুলিশ সুপারের কার্যালয়কে এই তথ্য জানিয়ে বুধবার মেইল পাঠানো হয়েছে।
তাদের অবস্থা পর্যবেক্ষন করে নিয়মিত প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশও দেয়া হয়। ১৪ প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার কথা স্বীকার করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন মো. শাহ আলম। তাদের মধ্যে ১২ জনই ইটালি থেকে এসেছেন। আর দু-জনের একজন সৌদি ও ক্রোয়োশিয়া থেকে আগত।
এদিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে না থাকায় বাঞ্ছারামপুরে ওমান ফেরত এক প্রবাসীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাছির উদ্দিন সারোয়ার জানান, মনির হোসেন ৮ দিন আগে দেশে আসেন। কিন্তু হোম কোয়ারেন্টাইনে না থেকে তিনি অবাধে বিভিন্ন বাজারে ও অন্যান্য এলাকা ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। সরকারী নির্দেশনা না মানায় এবং এই ব্যাপারে সবাই যাতে সচেতন হয় সেই কারনে তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এদিকে পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে পহেলা মার্চ থেকে বিভিন্ন সময় বিমানযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাসিন্দা ৮৯৭৮জন প্রবাসী বাংলাদেশে এসেছেন। ইতোমধ্যে তারা নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান করছেন বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাদেরকে পাঠানো এক মেইলে জানানো হয়েছে।
পুলিশ সুপার কার্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান জেলা প্রশাসক এবং সিভিল সার্জনের কাছে তারা এই চিঠি পাঠিয়েছেন এবং জেলার টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এই ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারা প্রবাসীদের অবস্থা পর্যবেক্ষন করবেন।
তারা অনেকে করোনা আক্রান্ত দেশ থেকে ফিরেছেন উল্লেখ করে মন্ত্রনালয় থেকে পাঠানো ওই মেইলে আরও বলা হয়, আগমনের তারিখ থেকে ১৪ দিন তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এছাড়াও যে সমস্ত যাত্রীরা বাংলাদেশে বিভিন্ন দেশ থেকে আসবে তাদের ক্ষেত্রেও একই ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
ঢাকার আশুলিয়ায় এক পোশাক শ্রমিকের রহস্যজনক মৃত্যুদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে আশুলিয়ার জিরানো বাজার টেঙ্গুরির কোনাপাড়া এলাকার বাচ্চু মন্ডলের ভাড়া বাড়ি থেকে তানজিনা আক্তার (২২) নামের এ মৃত্যদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত তানজিনা আক্তার গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার সিথা গ্রামের তারা মিয়ার মেয়ে। তিনি গোহাইলবাড়ি বটতলা এলাকার ডিজাইনার ফ্যাশনে জুনিয়র অপারেটর হিসাবে কাজ করতেন।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক ফরজ আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। মৃত্যুদেহের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছেন।
সাত দিনে ৪০ নারীসহ ৭৬৭ বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন।সৌদি আরব থেকে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আবারও দেশে ফিরেছেন ১৩২ জন সৌদি এয়ারলাইন্সের দুটি বিমানযোগে তারা দেশে ফেরেন।
তারা বলছেন, আকামা তৈরির জন্য কফিলকে (নিয়োগকর্তা) টাকা প্রদান করলেও কফিল আকামা তৈরি করে দেয়নি। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর কফিলের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও দায়িত্ব নিচ্ছে না। বরং কফিল প্রশাসনকে বলেছেন, ক্রুশ (ভিসা বাতিল) দিয়ে দেশে পাঠিয়ে দেশে ফেরত আসা অনেকেই অভিযোগ করেছেন।
দেশে ফেরত আসা এক নারী কর্মী জানান, ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে তিনি সৌদি আরব গিয়েছিলেন তারা। সেখানে নিয়োগকর্তার নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের সেফ হোমে। একই পরিস্থিতির শিকার হয়ে একসঙ্গে দেশে ফিরেছেন যশোর জেলার খাদিজা বেগম, নারায়ণগঞ্জের সেফালী বেগম, ঝিনাইদহের শিল্পি খাতুন ও ঢাকার সুবর্ণা বেগম।
ফেরা রাজবাড়ী জেলার রউছ শেখ জানান, মাত্র এক বছর আগে সৌদি আরব গিয়েছিলেন। কর্মস্থল থেকে রুমে ফেরার পথে পুলিশ আটক করে। পুলিশের কাছে আকামা দেখিয়েও কোনো কাজ হয়নি। এমনকি নিয়োগকর্তাও দায়িত্ব না নেয়ায় দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
রউছ শেখের সাথে দেশে ফিরেছেন নোয়াখালীর ফারুক, কুমিল্লার সাইফুল, চট্টগ্রামের তাসলিম আরিফ, পাবনার জুয়েল শেখসহ আরও ১৩২ বাংলাদেশি।
সূত্র-অনলাইন
]]>বাংলাদেশি আনোয়ার হোসেন নামে এক সৌদি আরবে প্রবাসী ৪দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। গত ৩১ ডিসেম্বর দাম্মাম শহরের আলবাদিয়া এলাকার ভাড়া বাসা থেকে বের হয়ে তিনি আর ফিরে আসেননি।
আনোয়ার হোসেনের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার চর আজিমপুর গ্রামে। তার বাবার নাম ফজু শেখ।ছেলে নিখোঁজ থাকার খবরে আনোয়ার হোসেনের পরিবারের সদস্যরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিখোঁজ আনোয়ার আলী ১৫ বছর আগে কাজের জন্য সৌদি আরবে যান। তিনি দেশটির পূর্ব প্রদেশের রাজধানী দাম্মাম শহরের আলবাদিয়া এলাকার ১২ নম্বর রোডের ২২৬ নম্বর ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন। সেখানে আল-ইব্রাহীম নামে এক সৌদি নাগরিকের তত্ত্বাবধানে বাসা-বাড়ির প্রিন্টিং ও রংয়ের কাজ করতেন। তিন মাস আগে আনোয়ার দেশে ছুটি কাটিয়ে আবার সেখানে গিয়ে কাজে যোগ দেন।
আনোয়ার আলীর বড় ভাই শের আলী জানান, গত ৩১ ডিসেম্বর সৌদি আরবের সময় বেলা ১১টার দিকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির ফোন পেয়ে ভাড়া বাড়ি থেকে বেড় হন আনোয়ার আলী। এরপর সে আর বাসায় ফিরেনি। নিখোঁজের পর থেকে তার ব্যবহৃত মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। সেখানে অবস্থানরত স্বজনরাও কোনো সন্ধান পাচ্ছেন না। কফিল (মালিক) আল-ইব্রাহীমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনিও আনোয়াকে খুঁজে পাচ্ছেন না বলে জানান।
এদিকে সৌদি প্রবাসী আনোয়ার আলীর নিখোঁজের ঘটনায় তার মা-বাবা ও আত্মীয় স্বজনরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। কি করবে বুঝে উঠতে পারছেন না তারা। নিখোঁজ আনোয়ার আলীর সন্ধান পেতে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস ও সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের সহযোগিতা কামনা করেছেন স্বজনরা।
সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাহেলা রহমত উল্লাহ জানান, সৌদি প্রবাসী আনোয়ার আলীর নিখোঁজের বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।
বলেন, নিখোঁজ আনোয়ার আলীর পাসপোর্ট ও আকামাসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পেলে যত দ্রুত সম্ভব তার সন্ধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসার মুস্তাফিজুর রহমান ।
]]>
মালয়েশিয়ার সরকার ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত বেধে দেয়া সময়ে অবৈধ অনেক বাংলাদেশী দেশে ফিরে না আসায় বিপাকে পড়েছে। ১লা জানুয়ারি থেকে মালয়েশিয়ার পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২২৫ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে, যাদের মধ্যে ৭৮জন বাংলাদেশি রয়েছে বলে জানা গেছে। অনেক বাংলাদেশী এখন সেখানে গ্রেফতার আতঙ্কে আছেন। অবৈধ অভিবাসীদের দেশে ফিরে যাবার জন্য মালয়েশিয়ার সরকার সুযোগ দিয়েছিলো সে অনুযায়ী দেশে ফেরার টিকিট এবং মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র লাগবে। ইমিগ্রেশনের ছাড়পত্র সংগ্রহ করতে হলে সাথে বিমানের টিকিটও দিতে হয়। এছাড়া জরিমানা হিসেবে ৭০০ রিঙ্গিত অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৫ হাজার টাকা প্রদান করতে হবে। অবৈধভাবে বসবাস করা বহু বাংলাদেশী অর্থ সংকটের কারণে সেটি করতে পারেননি তারা। আবার যারা বিমানের টিকিট জোগাড় করেছেন তারাও মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র পাননি।
এজন্য ইমিগ্রেশন অফিসে ছিল উপচে পড়া ভিড়। মালয়েশিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন আহমেদুল কবির, যিনি সাংবাদিকতার সাথেও জড়িত।তিনি বলেন, “ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ ১১ টি প্রদেশে ৮০টি কাউন্টার করেছিল। প্রতিদিন গড়ে ৪০০ স্পেশাল পাস ইস্যু করেছে। প্রতিদিন হাজার-হাজার অবৈধ অভিবাসী স্পেশাল পাস নেবার জন্য কাউন্টারে ভিড় করেছে।”
“অনেকে টাকার অভাবে টিকিট করতে পারেননি। আবার অনেকে টিকিট করলেও স্পেশাল পাস নিতে পারেননি,” বলছিলেন আহমেদুল কবির।পরিস্থিতি বিবেচনা করে, ডিসেম্বর মাসের শেষ দুই সপ্তাহে বাংলাদেশ বিমান মালয়েশিয়া থেকে প্রতিদিন অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।
একজন অবৈধ অভিবাসী দেশে ফিরে আসার জন্য বাংলাদেশ সরকার প্রতিটি বিমান টিকিটে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি দিয়েছে মালোশিয়ার সরকার। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি পুরোপুরি সামলানো যায়নি।ছাত্র ভিসা নিয়ে পাঁচ বছর আগে মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন বাংলাদেশের জুবায়ের আহেমদ। সে ভিসার মেয়াদ শেষ হবার পর কয়েক বছর আগে মালয়েশিয়া সরকার অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ হওয়ার যে সুযোগ দিয়েছিলেন, তাতে আবেদন করেন জুবায়ের আহেমদ। কিন্তু লাভ হয়নি। তাকে দেশে ফিরে আসতে হচ্ছে।বিমানের টিকিট জোগাড় করার পরেও নির্দিষ্ট তারিখে বাংলাদেশে আসতে পারেননি তিনি। ভিড়ের কারণ মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ছাড়পত্র নিতে দেরি হয়েছে জুবায়ের আহেমদ।
জুবায়ের আহমেদ বলেন, “স্পেশাল পাস নেবার জন্য আমি ভোর সাড়ে তিনটায় গিয়ে ইমিগ্রেশন অফিসে পৌঁছি। স্পেশাল পাস না পেয়ে অনেকে কান্নাকাটি করছে সে। ”
কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, মালয়েশিয়ায় বৈধভাবে ছয় লাখের বেশি বাংলাদেশি বসবাস করছে। তবে অবৈধদের বিষয়ে তাদের কোন ধারণা নেই।ঐ কর্মকর্তা দাবি করেন, যারা বাংলাদেশে ফিরে যেতে ইচ্ছুক তারা সবাই মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র পেয়েছেন। কিন্তু সেখানকার বাংলাদেশিরা বলছেন, অর্থ সংকটের কারণে অনেকে যে বিমান টিকিট কিনতে পারেনি এবং জরিমানার টাকা জোগাড় করতে পারেননি সে ধারণা নেই বাংলাদেশ দূতাবাসের। এ সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ দূতাবাসকে অনুরোধ জানিয়েছেন অবৈধ অভিবাসী বাংলাদেশী অনেকে।সুত্র-অনলাইন।
]]>