-সম্পাদনায় শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক।
]]>তিনি লেখাপড়া জানতেন না। দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউনের বাসিন্দা, বিখ্যাত সার্জন ডাঃ হ্যামিল্টন। যাকে “মাষ্টার অফ মেডিসিন” সম্মানে সম্মানিত করা হয়।
এটা কিভাবে সম্ভব?
চলুন, একটু জেনে নেওয়া যাক।
“কেপটাউন মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি” চিকিৎসা জগত এবং ডাক্তারি পড়াশোনা করার জন্য বিশ্ব বিখ্যাত এক প্রতিষ্ঠান।এই বিশ্ববিদ্যালয় এমন একজন ব্যাক্তিকে মাষ্টার অফ মেডিসিন সম্মান জানিয়েছে, যিনি জীবনে কখনো স্কুলে যাননি।
পৃথিবীর প্রথম “বাইপাস সার্জারি” হয়েছিল, কেপটাউনের এই ইউনিভার্সিটিতে।
2003 সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রফেসর “ডাঃ ডেভিড ডেট” এক আড়ম্বর- পূর্ণ অনুষ্ঠানে ঘোষণা করেন, ” আজ আমরা এমন একজন ব্যাক্তিকে সম্মান জানাতে চলেছি, যার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় হাজারো পড়ুয়া সার্জারি শিখেছেন। যিনি কেবলমাত্র একজন শিক্ষক নন, বরং একজন উচ্চ মানের সার্জন এবং ভালো হৃদয়ের মানুষ।। ইনি চিকিৎসা বিজ্ঞানে যে অবদান রেখে গেছেন, সেটা পৃথিবীর খুব কম মানুষই রাখতে পেরেছেন।”
এরপর প্রফেসর “ডেভিড” সাহেব “সার্জন হ্যামিল্টন” এর নাম নিতেই,, উপস্থিত সকলে দাঁড়িয়ে পড়েন। উল্লাসে ফেটে পড়ে সভা ঘর। এটাই ছিলো এই বিশ্ব-বিদ্যালয়ের সবচেয়ে আড়ম্বর এবং ঐতিহাসিক অনুষ্ঠান।
হ্যামিল্টনের জন্ম কেপটাউনের প্রত্যন্ত এলাকা সোনিট্যানি ভিলেজ। তার পিতা-মাতা ছিলেন পশুপালক। ভেঁড়া এবং ছাগল পুষে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পিতা অসুস্থ হয়ে পড়লে,, হ্যামিল্টন কাজের খোঁজে কেপটাউন সিটি চলে যান।
শহরে গিয়ে তিনি রাজমিস্ত্রি জোগাড়ে হিসাবে কাজ শুরু করেন। কেপটাউন মেডিক্যালে তখন চলছে নির্মাণ কাজ। বেশ কয়েক বছর তিনি সেখানে কাজ করেন। এরপর নির্মাণ কার্য সমাপ্ত হয়ে যায়।
হ্যামিল্টনের কাজের মানসিকতা এবং কর্মের প্রতি নিষ্ঠা দেখে,, তাকে মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ সেখানেই রেখে দেয়। তার কাজ ছিলো টেনিস কোটে ঘাস ছাঁটাই করা। তিন বছর এভাবেই চলতে থাকে। এরপর তার সামনে আসে, এক সুবর্ণ সুযোগ।এবং সেই সুযোগ তাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এমন এক স্তরে পৌঁছে দেয়, যেখানে যাওয়া একজন সাধারণ মানুষের কাছে,আকাশ ছুঁয়ে দেখার সমতুল্য।
সেদিন প্রফেসর “রবার্ট ডায়াস” একটি জিরাফ নিয়ে গবেষণা করছেন। জিরাফ ঘাড় নিচু করে জলপান করার সময়, তার গলার ব্লাড সার্কুলেশন কমে কেনো? এটাই তার গবেষণার বিষয়। নিয়মমাফিক জিরাফকে অজ্ঞান করে দেওয়া হলো।অপারেশন চলছে, ঠিক সেই মুহূর্তে জিরাফ ঘাড় নাড়তে শুরু করে দিলো।এমতবস্থায় জিরাফের ঘাড়টা শক্ত করে ধরে রাখার জন্য, একজন শক্তপোক্ত মানুষের প্রয়োজন হয়ে পড়ে।
হ্যামিল্টন তখন ঘাস কাটায় মগ্ন।প্রফেসর তাকে ডেকে নিলেন,, অপারেশন থিয়েটারে। হ্যামিল্টন জিরাফের গর্দান ধরে রয়েছেন, অপারেশন করে চলেছেন
প্রফেসর।
অপারেশন কন্টিনিউ আট ঘন্টা চলতে থাকে। এর মধ্যে ডাক্টার-টিম ব্রেক নিতে থাকেন। কিন্তু হ্যামিল্টন টানা আট ঘন্টা ধরে থাকলেন জিরাফের গলা। অপারেশন সমাপ্ত হতেই, হ্যামিল্টন চুপচাপ বাইরে বেরিয়ে গিয়ে টেনিস কোর্টে ঘাস কাটতে লেগে যান।
প্রফেসর রবার্ট ডায়াস তার দৃঢ়তা এবং কর্মনিষ্ঠা দেখে আপ্লুত হয়ে গেলেন।। তিনি হ্যামিল্টনকে “ল্যাব এসিষ্ট্যান্ট” হিসাবে পদোন্নতি করিয়ে দেন।প্রতিদিন বিভিন্ন সার্জন তার সামনে হাজারো অপারেশন করে চলেছেন,
তিনি হেল্পার হিসাবে কাজ করে চলেছেন।এভাবেই চলতে থাকে বেশ কয়েক বছর।
এরপর ডাঃ বার্নড একদিন অপারেশন করে, হ্যামিল্টনকে ষ্টিচ দেওয়ার দায়িত্ব দেন। তার হাতের সুনিপুণ সেলাই দেখে, ডাঃ বার্নড অবাক হয়ে যান। এরপর,বিভিন্ন সার্জন তাকে সেলাইয়ের কাজ সপে দিতে থাকেন।
দীর্ঘকাল অপারেশন থিয়েটারে থাকার কারনে,, মানব শরীর সম্বন্ধে তার যথেষ্ট ধারণা তৈরী হয়ে যায়। তিনি ডিগ্রীধারী কোনো সার্জনের চেয়েও বেশী জানতেন,
মানব দেহ সম্পর্কে। এরপর ইউনিভার্সিটি তাকে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রাকটিক্যাল শেখানোর কাজে নিয়োগ করে।
জুনিয়র ডাক্তারদের শিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি তিনি ইউনিভার্সিটির একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে ওঠেন। তিনি অবলীলায় যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন করে দিতে পারতেন। বহু সার্জন যে অপারেশন করতে কুন্ঠিত
হতেন, তিনি অতি সহজেই সেই কাজ করে ফেলতে পারতেন।
1970 সালে এই ইউনিভার্সিটিতে লিভার নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা শুরু হয়।তিনি লিভারের মধ্যে অবস্থিত এমন একটি ধমনী চিহ্নিত করেন, যার কারনে লিভার প্রতিস্থাপন অত্যন্ত সহজ হয়ে যায়।বিশ্ব বিখ্যাত চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা অবাক হয়ে যান।।আজ তার দেখানো পথ ধরেই,লিভার ট্রান্সফার করা হয়ে থাকে।
নিরক্ষর হ্যামিল্টন জীবনের পঞ্চাশ বছর কেপটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটিয়ে দেন।এই পঞ্চাশ বছরে তিনি একদিন ও ছুটি নেননি। প্রতিদিন ১৪ মাইল পায়ে হেঁটে
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতেন। তার অবদান কেপটাউন মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি তথা বিশ্ব চিকিৎসা বিজ্ঞান কোনোভাবেই অস্বীকার করতে পারবে না।
তিনি মোট ত্রিশ হাজার সার্জনের শিক্ষা-গুরু ছিলেন।
2005 সালে এই কিংবদন্তি মানুষটি মারা যান। তার মৃতদেহ ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের মধ্যেই দাফন করা হয়। এই বিরলতম সম্মান একমাত্র তিনিই অর্জন করতে পেরেছেন।
কিংবদন্তি সার্জন ডাঃ হ্যামিল্টন প্রমাণ করে গেছেন, কেবলমাত্র পুঁথিগত শিক্ষাটুকুই যথেষ্ট নয়।
]]>একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির অনলাইন আবেদন শুরু হয়েছে। আপনি / আপনার সন্তান আবেদন করছে, আপনি খেয়াল রাখছেন তো? কষ্ট করে হলেও আমার লিখাটি পড়ুন।
সাভার অঞ্চলের অনেক কলেজ আছে যারা ইতোমধ্যে শিক্ষার্থী সংখ্যা ও ফলাফলে সুনাম অর্জন করেছে। আপনার সন্তান যদি ভর্তিচ্ছু হয় তাহলে কয়েকটি বিষয় ভেবে অনলাইন আবেদনের সিদ্ধান্ত নিন।
১। আপনার সন্তান কি নিজেই নিজের পড়াশোনার বিষয়ে মনযোগী?
২। আপনার সন্তান কি অনলাইনে অর্থাৎ ফেসবুক, ইউটিউবসহ অন্যান্য মাধ্যমে অতিমাত্রায় আসক্ত নয়?
৩। আপনার সন্তান কি রুটিন মেনে পড়াশোনা করে?
৪। আপনার সন্তান কি শ্রেণি কার্যক্রমে স্ব-ইচ্ছায় নিয়মিত?
৫। আপনার সন্তানের কলেজে যাতয়াতে কি আপনি উদ্বিগ্ন থাকেন?
উত্তর যদি হা হয় তবে আপনার খুব বেশি চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নেই, তার জিপিএ অনুসারে যে কোন কলেজে ভর্তি করালেই সে ভালো করবে ইনশাআল্লাহ।
তবে যদি উত্তর হয় ‘না, তাহলে একটু ভেবে সিদ্ধান্ত নিন। এমন একটি কলেজ নির্বাচন করুন, যারা উপরোক্ত বিষয় সমূহ আন্তরিকতার সাথে যত্ন নিয়ে থাকে। অল্পকিছু প্রতিষ্ঠান এসব বিষয়ে যত্ন নিয়ে থাকে তাই আপনার সন্তানের বিষয়ে আপনাকেই বিবেচনা পূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আবেগের বশে একটি ভূল সিদ্ধান্ত আপনার স্বপ্নের বাস্তবায়নে অনেক বড় বাধা হয়ে দাড়াতে পারে।
লিজেন্ড কলেজ আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ বিনির্মানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আমাদের সেবা সমূহঃ
১। আমরা শিক্ষার্থীর জিপিএ উন্নয়নে নিরলস কাজ করছি।
২। শিক্ষার্থী কলেজে প্রবেশের সাথে সাথেই অটোমেটিক এসএমএস দ্বারা অভিভাবকদের নিশ্চিত করে থাকি।
৩। শিক্ষার্থী অনুপস্থিতি ক্লাস শুরুর ১ঘন্টার মধ্যে অভিভাবকদের নিশ্চিত করে থাকি।
৪। কোন শিক্ষার্থীর বিশেষ প্রয়োজনে ছুটির দরকার হলে অভিভাবকের অনুমতি সাপেক্ষে ছুটি মঞ্জুর করে থাকি।
৫। প্রত্যেক শিক্ষকের নিবিড় তত্ত্বাবধানে ২০/২৫ জন শিক্ষার্থীর গ্রুপ করে পড়াশোনাসহ সার্বিক খোঁজ খবর নিয়ে থাকি।
৬। প্রত্যেক বিভাগের জন্য রয়েছে নিজস্ব সুসজ্জিত মাল্টিমিডিয়া ও সাউন্ড সিস্টেম সমৃদ্ধ শ্রেণিকক্ষ।
৭। সুপরিসর শ্রেণিকক্ষ লিজেন্ড কলেজের একটি স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য।
৮। একদল মেধাবী, অভিজ্ঞ শিক্ষকের নিবিড় পরিচর্যায় শিক্ষার্থীদের পাঠানুরাগী করে তুলে।
৯। সুপরিসর সমৃদ্ধ পাঠাগার, হলরুম, কমনরুম কলেজের অনন্য বৈশিষ্ট।
১০। প্রায় তিন হাজার স্কয়ার ফুটের সমৃদ্ধ ল্যাবরেটরি ( রসায়ন, জীববিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান)।
১১। প্রত্যেক বিভাগের জন্য আবশ্যিক (১২০ আসনের) কম্পিউটার সমৃদ্ধ আইসিটি ল্যাবরেটরি।
১২। শিক্ষার্থী নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বিধানে পুরো কলেজ ক্যাম্পাস (সকল শ্রেণিকক্ষসহ) ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার পর্যবেক্ষণে ২৪ ঘন্টা চালু থাকে।
১৩। ২৪ ঘন্টা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নিজস্ব ব্যবস্থাপনা।
১৪। পূর্ণ কলেজ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ১০০% ডিজিটাল (একাউন্টস, পরীক্ষা, ফলাফল, বায়োমেট্রিক ফিংগারপ্রিন্ট ইত্যাদি)।
১৫। প্রত্যেক সিমেস্টার পরীক্ষার ফলাফল অভিভাবক সমাবেশের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রদান করা হয়।
প্রিয় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী, সম্মানিত সচেতন অভিভাবক আমাদের এ সকল শৃঙ্খলা ও নিয়মনীতি শুধুমাত্র শিক্ষার্থীর একজন নৈতিক মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার লক্ষ্যে।
সার্বিকভাবে আমাদের প্রচেষ্টা আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ বিনির্মানে নিবন্ধিত।
সর্বশেষ আবেদন আপনার কাছে।
আপনার সন্তানের ভর্তির সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একবার লিজেন্ড কলেজ ভিজিট করুন অথবা আপনার আশেপাশে ছড়িয়ে আছে আমাদের অনেক গর্বিত শিক্ষার্থী তাদের সাথেও কথা বলে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আপনার ও আপনার সন্তানের সু-সাস্থ্য কামনা করছি।
মোঃ আব্দুর রাজ্জাক
কলেজ সমন্বয়কারী ও প্রভাষক, ব্যবস্থাপনা।
কলেজের ফেসবুক লিংকে ক্লিক করুন…
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=3315245368562895&id=346680692086059
মোঃ রফিকুল ইসলাম জিলু
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ও অত্যাধুনিক এন,আর,কে নামে একটি অটো রাইস মিলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে।
গত শুক্রবার বিকেলে মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মোছাঃ মমতাজ বেগম অটো রাইস মিলটি উদ্বোধন করেন। এবং কারখানাটি ঘুুুরে দেখেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এন,আর,কে অটো রাইস মিলস লিমিটেড এর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক হাজী মোঃ কায়সার হামিদ।
এসময় উদ্বোধনীয় অনুষ্ঠানে এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য মমতাজ এমপি বলেন, নতুন চালু হওয়া রাইস মিলটি ক্ষুদ্র পরিসরে হলেও দেশের শিল্প উন্নয়নের অংশীদার এবং এ মিলে উৎপাদিত উন্নতমানের চাল ভোক্তার উৎকৃষ্ট চাহিদা পূরণ করবে।
এসময় এন,আর,কে অটো রাইস মিলস লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, এ মিলের উৎপাদিত চাল স্বপ্ল মুল্যে এলাকার চাহিদা পুরন করে দেশের বাজারে যেমন গুণগত মানসম্পন্ন হবে তেমনি রফতানি পণ্য হিসেবে বহির্বিশ্বে অবস্থান সৃষ্টি করবে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জনাব মোঃ শহিদুর রহমান( ভিপি শহিদ )সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিঙ্গাইর থানা আওয়ামী লীগ,আলহাজ ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ইউনুস ,সিংগাইর থানার জামিত্তা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানাব আব্দুল হালীম রাজু , জয়মন্টপ ইউপি চেয়ারম্যান জনাব মোঃ শাহাদাৎ হোসেন , সহস্থানীয় সকল গন্য মান্য ব্যক্তি বর্গ ।
সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ,মোঃ রিয়াদ হোসেন প্রকল্প পরিচালক , এন,আর,কে অটো রাইস মিল লিঃ ,ইউপি সদেস্য জামিত্তা ইউনিয়ন পরিষদ ।
ডেক্স রিপোর্ট: করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে চিকিৎসা নেওয়া ব্যক্তির সংস্পর্শে এলেই সতর্ক করবে স্মার্টফোন। বৃহস্পতিবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই অ্যাপ চালু করতে যাচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহেমদ পলক জানান, নাগরিকদের সুরক্ষায় কন্টাক্ট ট্রেসিং অ্যাপ নিয়ে আমরা বেশ কিছু দিন থেকে কাজ করছিলাম। অবশেষে আমরা এটি চালু করতে পেরেছি। আজ এর উদ্বোধন করা হবে।
কন্টাক্ট ট্রেসিং অ্যাপ ডাউনলোড করার পর স্মার্টফোনের লোকেশন এবং ব্লুটুথ অন রেখে বাড়ির বাইরে বের হলে এটি এক-দুই মিটারের মধ্যে যারা থাকবে তাদের হিস্ট্রিগুলো আমাদের ডাটাবেইসে পাঠাবে। কেউ যদি আক্রান্তের কাছাকাছি চলে যায় তাহলে সে স্মার্টফোনে অ্যালার্ট পাবে। তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিরা যদি কয়েক দিন পরও করোনা পজিটিভ হয় তাহলেও স্মার্টফোন থেকে সতর্কবার্তা পাওয়া যাবে। সে ক্ষেত্রে ফোন করে প্রয়োজনীয় পরামর্শও দেওয়া হবে।
]]>করোনা মোকাবেলায় দেশবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার আহ্বানঃ প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা জয়
মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবেলায় দেশবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
রোববার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ বিষয়ে পোষ্ট করেছেন তিনি। জয়ের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো
জয় লিখেছেন, ‘‘আপনারা জানেন নভেল করোনা ভাইরাস বা কোভিড ১৯ একটি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংকট হিসেবে দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর প্রায় ১৮০টি দেশে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। যেহেতু এই ভাইরাসের কোনো ওষুধ বা প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কার হয়নি, তাই ভাইরাসটিকে ছড়িয়ে পড়া থেকে রোধ করাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকার দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
৪টি বাদে বাংলাদেশে আসা সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বিদেশ ফেরতদের আলাদা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাদের বাসায় থাকতে বলা হয়েছে, তাদের ব্যাপারে সজাগ আছে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। জনস্বার্থে আমরা মুজিববর্ষের কার্যক্রম সীমিত করেছি। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। সকল সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও পদক্ষেপ নিতেও আমরা প্রস্তুত আছি।
আমাদের চিকিৎসা সেবা কর্মীদের সুরক্ষিত রাখার বিষয়ে আমরা তৎপর আছি। ভাইরাসটি পরীক্ষা করার সক্ষমতাও আমরা বাড়াচ্ছি। আইইডিসিআর ব্যতিত আরও তিনটি হাসপাতলে বর্তমানে চিকিৎসার সুবিধা আছে। অন্যান্য সরকারি হাসপাতালেও এই ভাইরাসের উপসর্গসহ রোগীদের আলাদা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
যার যার জায়গা থেকেও আমাদের অনেক কিছু করার আছে। বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সকল নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। অসুস্থ বোধ করলে বাসায় থাকতে হবে। নিয়মিত সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুতে হবে অথবা স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। নাকে, মুখে ও চোখে হাত দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। হাঁচি, কাশি দেয়ার সময় মুখ ঢেকে নিতে হবে। হাত মেলানো ও আলিঙ্গন থেকে বিরত থাকতে হবে। সম্ভব হলে গণপরিবহনে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে ভূমিকা রাখার সবচেয়ে কার্যকর দুটি উপায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সামাজিকভাবে দূরত্ব বজায় চলা।
বাঙালী জাতি সহনশীল ও সাহসী। অনেক বড় দুর্যোগও সফলভাবে মোকাবেলার করার অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। সব নির্দেশনা মেনে চললে, এই সংকটও আমরা সফলভাবে মোকাবেলা করতে পারবো। এই মুহূর্তে গুজব থেকেও আমাদের সাবধান থাকতে হবে। সকল তথ্য আপনাদের কাছে পৌঁছে দিতে প্রতিদিনই সরকারের পক্ষ থেকে ব্রিফিং এর আয়োজন করা হচ্ছে।
আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সরকার আপনাদের পাশেই আছে। আতংকিত হবেন না, সতর্ক থাকুন। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জয় আমাদের হবেই।
জয় বাংলা।’’
সূত্রঃঅনলাইন
]]>লেখকঃ বকুল হাসান খান
ফুল কেনা ভালবাসে? সবাই। যে কোন ফুলের সৌন্দর্য মনের তৃষ্ণা মেটায়। পরিবেশকে সুন্দর করে মন প্রশান্তিতে ভরে দেয়। নিরন্তর ফুলের শোভা দেখে মনে হয় দীর্ঘ এক স্বপ্ন দেখতে দেখতে পার করে দেই ক্ষুদ্র এই পৃথিবীর জীবন। কিন্তু না। অপার্থিব অনুভূতির মত পার্থিব জীবন নয়। দেহের মধ্যে বাসা বাধে নানা রকম অসুখ বিসুখ। স্বপ্ন প্রশান্তি তখন ধীরে ধীরে ভাঙ্গতে শুরু করে। কোন কোন সময় সে অবস্থায় সুন্দর ফুল আর পৃথিবীকে কুৎসিত মনে হয়। কিন্তু ফুলের সৌন্দর্যের মত অনেক ফুল গাছের মধ্যেই রয়েছে আর এক মহা সুন্দর, তা হচ্ছে গাছের ভেষজ গুণ। এসব ফুলগাছ আঙিনায় রেখে একদিকে যেমন পেতে পারি স্বর্গের আনন্দ অন্যদিকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন পরিবেশ সম্মতভাবে সারিয়ে তুলতে পারি আমাদের অসুখগুলো। প্রাথমিক চিকিৎসা তো বটেই- ক্যান্সারের মত কঠিন রোগও সারিয়ে তুলতে পারি ফুল গাছ দিয়ে।
গাঁদা ফুল ঃ হঠাৎ শরীরে কোথাও কেটে গেলে গাঁদা ফুলের পাতার রস অব্যর্থ। পাতা ঘষে বা বেটে সে কাটা জায়গায় প্রলেপ দিলে তৎক্ষণাৎ রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়, ব্যথা কমে যায় ও তাড়াতাড়ি জোড়া লাগে। পাতার রস দিয়ে ঘা দুয়ে দিলে দ্রুত তা সেরে যায়। গাদা ফুলের পাঁপড়ি সামান্য মাখনের সাথে মিশিয়ে অল্প পরিমাণে কয়েকদিন খেলে অর্শের রক্ত পড়া বন্ধ হয়।
অপরাজিতাঃ প্রস্রাব কম হলে বা কষ্ট পেলে অপরাজিতা গাছের শিকড়ের ছাল পানিতে সিদ্ধ করে দু’চার দিন খেলেই এ অসুবিধা চলে যাবে। সহজ প্রসবের জন্য সাদা অপরাজিতার শিকড় বাঁটা ১ গ্রাম পরিমাণ খাওয়ালে উপকার পাওয়া যেতে পারে। আর নীল অপরাজিতার শিকড় এক চামচ ঘি, মধু বা চিনির সঙ্গে খেলে অবশ্যই শুক্র রোগ সেরে যাবে ও শুক্র বৃদ্ধি হবে। ঠান্ডা লেগে চোখ দিয়ে পানি পড়তে থাকলে বা চোখ জালা যন্ত্রণা হলে নীল অপরাজিতার পাতা পানি দিয়ে বেঁটে কপালে প্রলেপ দিলে যন্ত্রণা কমে যায়। কোষ্ঠকাঠিণ্য দুর করতে সাদা বা নীল অপরাজিতার বীজ গুড়ো করে ২ গ্রাম পরিমাণ নিয়ে তাতে সামান্য চুন মিশিয়ে গরম দুধ বা পানি দিয়ে রাতে শোয়ার আগে খেতে হবে। নীল অপরাজিতার শিকড় বাঁটা খেলে বাত রোগের উপকার পাওয়া যায়।
নয়ন তারা ঃ ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসায় নয়ন তারা অনন্য। এ রোগে আক্রান্ত হলে নয়নতারা গাছের কচি ডালের টাটকা রস ১০ মিলিলিটার বা ২ চা চামচ পরিমাণ কয়েকদিন রোজ সকাল বিকেলে খেলে এ রোগের উপশম হয়। ইতোমধ্যেই ভেষজ বিজ্ঞানীরা এ গাছের ডাল ও পাতা থেকে কান্সার নিরাময়ের প্রায় ৭০ টি ওষধ আবিস্কার করেছেন। শরীরের কোথাও কেটে গেলে বা ঘা বিষাক্ত হয়ে পেকে গেলে গাছের রস সাত দিন ব্যবহার করলে কাটা জোড়া লেগে যায়। এবং ঘা সেরে যায়। ব্লাড প্রেসার বা রক্ত চাপ বেড়ে গেলে নয়নতারা গাছের শিকড়ের রস এক চা চামচ পরিমাণ সকালে খালি পেটে একবার করে ৩-৪ দিন খেলে কিছুটা উপকার হতে পারে। বহুমূত্র বা ডায়াবিটিস রোগ সারাতে প্রতিদিন সকালে সাদা নয়নতারা ফুল গাছের দু’টি পাতা খালি পেটে চিবিয়ে খেলে এ রোগ মোটেই বাড়তে পারে না। পাতা বেটে রস খেলেও একই উপকার। এতে বহুমূত্র রোগ সারে না, তবে নিয়ন্ত্রণে থাকে। বাসায় কিছু প্রাথমিক চিকিৎসা যেমন বিষ পিঁপড়া, মাঝালি পিঁপড়া, বোলতা, মৌমাছি ইত্যাদি পোকা কামড়ালে বেশ যন্ত্রণা হয়, কামড়ানো জায়গা ফুলে যায়। সে জায়গায় নয়নতারা পাতা হাতে ডলে রস লাগালে তাৎক্ষণিক ভাবে উপশম পাওয়া যায়।
বকফুল ঃ- বকফুলের গাছ এক ধরনের আয়ুর্বেদিক তেল তৈরি করা হচ্ছে। এ তেল ব্যবহারে গণোরিয়া রোগে সুফল পাওয়া যায়। বুকে সর্দি বসলে এক চা চমচ পরিমাণ বকফুলের রস দিনে ৩ বার খেলে বসে যাওয়া সর্দি নরম হয়ে বেরিয়ে আসে। নাকে এলার্জি অর্থাৎ বার বার হাঁচি আসে, নিচু হলেই নাক দিয়ে পানির মত সর্দি গড়িয়ে পড়ে। এরূপ হলে পাতার টাটকা রস ২ চা চামচ পরিমান হালকা গরম করে খেলে উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া নাকের ছিদ্রে তিন ফোঁটা কারে পাতার ঠান্ডা রস দিলে পানির মত সর্দি পড়া বন্ধ হবে। বক ফুলে আছে প্রচুর ভিটামিন এ বা ক্যারোটিন। তাই রাতকানা রোগ হলে ফুল ভাজা নিয়মিত খেলে বা টাটকা পাতার রস ঘি দিয়ে গরম করে রোজ সকালে ১ চা চামচ খেলে উপকার পাওয়া যায়। গরম করা বা ফুটানো রস বেশি করে তৈরি করে ছেঁকে কাঁচের শিশিতে রেখে বহুদিন তা ব্যবহার করা যায়।
জবাঃ যে কোন সর্দি কাশি হলে জবা গাছের ৩-৪ গ্রাম টাটকা শিকড় পরিষ্কার করে পানি দিয়ে বেঁটে তার আধা কাপ ঠান্ডা পানিতে মিশিয়ে পর পর তিন দিন রোজ সকাল বিকালে খেলে তা সেরে যায়। টাক পোকায় অনেক সময় চুল গোড়া থেকে কেটে যে। সেখানে নতুন চুল গজালেও তা খেতে থাকে এ অবতস্থায় গোসল করার পর চুল শুকিয়ে জবাফুল বেটে লাগালে চুল গজায়। জবা ফুল বেঁটে চোখের উপর এবং নীচের পাতায় প্রলেপ দিলে উপকার পাওয়া যায়।
সন্ধ্যামণিঃ পেট পরিষ্কার করতে সন্ধ্যামণি ফুলের পাকা কালো শুকনো বীজ ৩-৪ গ্রাম ভালভাবে গুঁড়ো করে রাতে খাবার পর শোয়ার সময় এক গ্লাস ঠান্ডা পানির সাথে খেলে সকালে কয়েক বার পায়খানার সাথে পেটে জমে থাকা মল বেরিয়ে পেট পরিষ্কার হয়ে যায়। অর্শ রোগ কমোতে শিকড় সিদ্দ করে খেতে পারেন।
করবী গাছের কচি পাতার টাটকা রস চোখে দিলে চোখ ওঠায় আরাম পাওয়া যায়। দিনে দু’বার দিতে হবে। আঘাত লেগে ফুলে গেলে ৫০ গ্রাম কচি পাতা কুচি কুচি করে কেটে মাটির পাত্রে ১০০ মিলিলিটার পানি দিয়ে সিদ্ধ করে পানি কাইয়ের মত হলে তা সহ্যমত গরম অবস্থায় কয়েকদিন ফোলা জায়গায় লাগালে ফোলা কমে যায়। বিছে, মৌমাছি, বোলতা, ভীমরুলে কামড়ালে কচি পাতা সিদ্ধ করে তার পানি দিয়ে কামড়ানো জায়গা ধুয়ে দিলে সেখানকার বিষ নষ্ট হয়, ফোলা যন্ত্রনাও কমে যায়। খোস পাঁচড়া সারাতে ব্যবহার করা হয় গাছের ছাল বাটা রস। করবীর শিকড় দুধ দিয়ে বেঁটে গোসলের তিন ঘন্টা আগে মাথায় মাখলে অকালে চুল পাকা বন্ধ হয়ে যায়।
লজ্জবতীঃ দীর্ঘদিন ধরে ঘা কমছে না। সে ক্ষেত্রে ৫ গ্রাম টাটকা পাতা সামান্য পানি দিয়ে বেটে ৩০ মিলি পরিমাণ জ্বাল দেয়া গরুর দুধে মিশিয়ে দিনে একবার খেতে হবে। এছাড়া তাজা পাতা বেঁটে ঘায়ে লাগিয়ে শুকনো পাতলা কাপড় দিয়ে বেঁধে দিলে তা সেরে যায়। এ সময় লবণ না খাওয়াই ভাল। দাঁতের মাড়ির ক্ষতে পাতাসহ ডাঁট ১০-১২ গ্রাম বেঁটে ক্বাথ তৈরি করে ১০-১৫ মিনিট মুখে নিয়ে বসে থাকলে ধীরে ধীরে তা সেরে যায়। দিনে ২-৩ বার এভাবে মুখে রেখে কুলি করলে উপকার পাওয়া যায়। সাদা আমাশয় সারাতে লজ্জাবতীর পাতাসহ ডাটা ১০ গ্রাম ১ গ্লাস পানিতে সিদ্ধ করে ২-৩ দিন রোজ সকাল সন্ধ্যায় ছেঁকে সে পানি পান করলে উপশম পাওয়া যায়। হাত পায়ের জ্বালা যন্ত্রণা কমাতে শিকড়সহ গাছ ১০ গ্রাম পরিমাণ ৪ কাপ পানিতে জ্বাল দিতে দিতে যখন পানি ১ কাপের মত হবে তখন তা নামিয়ে ঠান্ডা করে ছেঁকে খেতে হবে।
শিউলী ঃ জ্বর সে নতুনই হোক বা পুরানোই হোক, ২চা চামচ পরিমাণ শিউলী পাতার রস একটু গরম করে সকাল বিকাল খেলে জ্বর ভাল হয়ে যাবে। এ ছাড়া এ রোগে ৬/৭ টি কচি পাতা সামান্য আদা দিয়ে বেঁটে সে রস ছেঁকে খেলে উপকার পাওয়া যায়। এতে শরীরে জ্বালা বা দাহ কমাতে ভাল ফল দেয়। ক্রিমি কমাতে ২চামচ পরিমাণ পাতার রস রোজ সকাল বিকাল কয়েকদিন খাওয়ালে উপকার পাওয়া যায়। শিশুরা তিতা রস খেতে চায়না । তাই শিশুদের জন্য তিতা রসের সাথে একটু চিনি মিশিয়ে ১ চা চামচ খাওয়াতে হবে। অরুচি হলে শিউলী পাতা ঘিয়ে ভেজে খেলে বা কচি পাতা মুগডাল বেঁটে বড়া বানিয়ে খেলে মুখে রুচি আসে। কফ বের করতে পাতার রস ২চা চামচ একটু গরম করে খেতে হবে। এতে বাত রোগের ও কিছুটা উপশম হয়। শিউলী বীজের গুড়ো সামান্য পানিতে গুলে মাথায় সব জায়গায় ভালভাবে ঘষে কয়েকদিন মাখলে খুসকি চলে যায়।
তরুলতা বা কুঞ্জলতাঃ যাদের রাতে ভাল ঘুম হয়না তারা তরুলতা গাছের শুকনো ডাল ও পাতার গুঁড়ো ৩ চা চামচ পরিমাণ,ঘি ১ চা চামচ এবং সমপরিমাণ মধু বা চিনি মিশিয়ে তাতে শোয়ার আগে খেয়ে দেখতে পারেন, সুনিদ্রা হবে। কোথাও কেটে গিয়ে বা আঘাত লেগে শরীরে যদি বিষাক্ত ঘা হয়ে যায় তবে কচি ডাল পাতা বেঁটে তার রস দিয়ে ঘা ভালভাবে ধুয়ে দিলে উপকার পাওয়া যায়। শুকনো গাছের গুড়ো ঘায়ের উপর ছড়িয়ে দিয়েও উপকার পাওয়া যায়। পিটে ফোঁড়া হলে পাত বেটে প্রলেপ দিলে ফোঁড়া পেকে ফেটে যায়। অর্শ রোগ কমাতে গাছের পাতা বেঁটে ২ মিলি বা ৪ চা চামচ রস ২ চা চামচ ঘি দিয়ে খেলে উপকার হবে। উচ্চ রক্ত চাপের রোগীরা অর্শ সারাতে ঘি ছাড়াই খাবেন।
টগরঃ ক্রিমি কামতে ৫ গ্রাম পরিমাণ তাজা শিকড় সামান্য পানি দিয়ে বেঁটে সকালে খেলে ক্রিমি মরে যায়। অনেক সময় খাওয়ার পরদিন মলের সাথে মৃত ক্রিমি বেরিয়ে আসে। যে কোন কারণে দাঁতে যন্ত্রণা হলে শিকড় পরিস্কার করে অল্প করে চিবালে যন্ত্রণা কমে যায়। এ সময় লালা বা থুতু ফেলে দিতে হবে। গাছের সাদা কষ দিনে দু তিন ফোঁটা চোখে দিলে তিন দিনেই চোখ ওঠা ভাল হয়ে যায়। চোখ লাল হলে তাও কেটে যায়। বিষাক্ত ক্ষতে টগর গাছের কষ ও রস বিশেষ উপকারি। দুধের মত আঠা বা কষ দিনে একবার ক্ষত স্থানের উপর লেপে দিলে জ্বালা যন্ত্রণা কমে ও তাড়াতাড়ি সেরে যায়।
আসুন ছোট্র একটা ফুলের বাগান গড়ে তুলিঃÑ যেসব ফুল আমাদের এত উপকার করে হাতের কাছে তাদের গাছগুলো নিয়ে গড়ে তুলুন ছোট্র সুন্দর একটি ফুলের বাগান। বাড়ির সামনেই লাগান নানা রকম ফুলের গাছ। আর যেখানে ছাদ বারান্দাই শেষ ভরসা সেখানে টবে লাগান এসব ফুলের গাছ। পরিবেশ ও মনকে ভাল রাখি।
]]>
প্রাণঘাতী নভেলা করোনাভাইরাসের কারণে গুগল চীনে তাদের সব অফিস বন্ধ করেছে। এছাড়া তাইওয়ান ও হংকংয়েও গুগল তাদের অফিস বন্ধ রাখবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।
গুগল ওয়েবসাইটের তথ্য অনুয়ায়ী, বুধবার দুপুর থেকেই গুগল চীনে তাদের অফিস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে থাকে।
চীনের বেইজিং, সাংগাই, শেনজেন ও গুয়ানজোহোতে গুগলের অফিস রয়েছে।
এসব অফিস কবে খুলবে তা এখনও বলা হয়নি। এছাড়া গুগল তাদের কর্মীদের ভ্রমণের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
-খবর ফক্স নিউজ
পদ্মা নদীর তলদেশের মাটি খুঁজে পেতে বেগ পেতে হয়েছে সেতু নির্মাণকারী প্রকৌশলী ও বিশেষজ্ঞদের। তলদেশে স্বাভাবিক যে মাটি পাওয়ার কথা, সেটি মেলেনি। সেতুর পাইলিং কাজ শুরু হলে বিষয়টি টের পান সংশ্লিষ্টরা। এ জন্য গতবছর আটকে যায় ২২টি পিলারের কাজ। তবে স্বপ্নের পদ্মাসেতু তৈরিতে একে প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়াতে দেননি প্রকৌশলী ও বিশেষজ্ঞরা। তারা এমন একটি পদ্ধতি প্রয়োগ করেন, যাতে করে নদীর তলদেশে কৃত্রিম প্রক্রিয়ায় মাটি বদলে নতুন মাটি তৈরি করে পিলার গাঁথা যায়। ‘স্ক্রিন গ্রাউটিং’ নামের এই বিরল পদ্ধতিতেই বসানো হয়ছে পদ্মাসেতুর বেশকিছু পিলার, যার ওপর বসেছে সেতুর সর্বশেষ স্প্যানটি।
‘স্ক্রিন গ্রাউটিং’য়ের মতো বিরল পদ্ধতিতে কিভাবে এগিয়ে যাচ্ছে পদ্মাসেতুর কাজ, তা নিয়ে সারাবাংলার কথা হয় পদ্মাসেতুর আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ প্যানেল প্রধান অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরীর। তিনি জানান, এরকম পদ্ধতির ব্যবহারের নমুনা বিশ্বে খুব একটা নেই। এ প্রক্রিয়ায় ওপর থেকে পাইপের ছিদ্র দিয়ে কেমিক্যাল নদীর তলদেশে পাঠিয়ে মাটির শক্তিমত্তা বাড়ানো হয়েছে। তারপর ওই মাটিতে গেঁথে দেওয়া হয়েছে পিলার।
জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, পদ্মাসেতু নির্মাণে সবচেয়ে বড় জটিলতা তৈরি হয়েছিল সেতুর পাইল ড্রাইভিং নিয়ে। সেতু নির্মাণের আগে নদীর তলদেশের মাটি সম্পর্কে যে ধারণা করা হয়েছিল, কাজ শুরুর পর সেই ধারণা বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি।
বর্ষীয়ান এই প্রকৌশলী বলেন, কাজ শুরু করতে গিয়ে নদীর নিচে মাটির যে স্তর পাওয়া গেছে, তা পিলার গেঁথে রাখার উপযোগী নয়। এমন অবস্থায় কাজ করার জন্য দু’টি পদ্ধতি রয়েছে। প্রথমত, পাইল নিয়ে যেতে হবে আরও গভীরে, তা না হলে সেতু ভেঙে বা দেবে যেতে পারে। আর দ্বিতীয়ত, গভীরতা কমিয়ে পাইলের সংখ্যা বাড়িয়ে দিতে হবে।
জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, প্রথম পদ্ধতিটি সম্ভব ছিল না। কারণ বিশ্বের সর্বোচ্চ শক্তির হ্যামার দিয়েও এত গভীরে পাইল ড্রাইভিং করা যাবে না। পদ্মাসেতুতে যে হ্যামার ব্যবহার করা হচ্ছে, তার সর্বশক্তি প্রয়োগ করেই পাইল ড্রাইভিং করা হচ্ছে। প্রথম পদ্ধতি প্রয়োগ করতে চাইলে আরও ১৩০ মিটার গভীরে পাইল নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন, যা এই হ্যামার দিয়ে সম্ভব না। এ ক্ষেত্রে নতুন আরেকটি হ্যামার আনতে হবে এবং সে ধরনের হ্যামার জার্মানিতে তৈরি করে আনতে এক থেকে দেড় বছর লাগবে। এ অবস্থায় পদ্মাসেতু নির্মাণের কাজ দেরি হয়ে যেতে পারে।
এ পরিস্থিতিতেই পদ্মাসেতুর পিলার বসাতে বিরল হলেও দ্বিতীয় পদ্ধতিটি বেছে নেন বিশেষজ্ঞরা। ‘স্ক্রিন গ্রাউটিং’ নামের এই পদ্ধতিতে নদীর তলদেশে মাটির গুণগত বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করে তারপর পাইল ড্রাইভিং করা হয়। এমন পদ্ধতির প্রয়োগ বাংলাদেশে এই প্রথম। গোটা বিশ্বেও এই পদ্ধতি প্রয়োগের নজির খুব একটা নেই।
-ডেক্স সংবাদ
অনলাইনে আমরা কত সময়ই না ব্যয় করে থাকি। কিছু সময় ব্যয় করি সম্পূর্ন অযথা। অথচ অনেক প্রয়োজনীয় কাজও আমরা ঘরে বসেই করতে পারি ইন্টারনেটের মাধ্যমে। তাই আসুন অনলাইনে কিছু কাজের কাজও করি।
ঘরে বসেই আমরা চেক করতে পারি পাসপোর্ট এর বিস্তারিত তথ্য এবং জাতীয় পরিচয় পত্র। এজন্য পাসপোর্ট অফিস বা দূতাবাসে যাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।
আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কীভাবে ঘরে বসে অনলাইনে পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র চেক করা যায়ঃ-
পাসপোর্টের অনলাইন ইনকোয়ারি বা পাসপোর্টের সত্যতা নিশ্চিতকরণে যারা যারা নতুন পাসপোর্ট আবেদন করেছেন তারা এখন থেকে অনলাইনেই দেখতে পারবেন আপনার পাসপোর্টটি তৈরি হয়েছে কি না। প্রথমে আপনাকে নিচের ঠিকানায় যেতে হবে: http://www.immi.gov.bd/passport_verify.php
তার পর নিচের মত একটি পেইজ আসবে।
Passport Office Slip No: এর জায়গায় আপনার পাসপোর্ট আবেদনের রিসিট কপি
এবং Date of Birth: এর জায়গায় আপনার জন্ম তারিখটি দিন। তার পর Submit: এ ক্লিক করুন। আপনার তথ্যটি পেয়ে যাবেন সাথে সাথেই।
জাতীয় পরিচয়পত্র বা ন্যাশনাল আইডি কার্ড চেক করবেন যেভাবে : প্রথমে আপনাকে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে www.ecs.gov.bd/Bangla প্রবেশ করতে হবে। এরপর ওয়েব পেজের ডানদিকের জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের ওয়েব লিংকে ক্লিক অথবা সরাসরি এ লিঙ্কে (www.nidw.gov.bd) (সরাসরি) যেতে হবে। তারপর বামপাশে তৃতীয় লাইনে ‘ভেরিফাই এনআইডি লিংকে ক্লিক করলে লগিং অপশন আসবে।
এখানে ক্লিক করুন একটা ছবি আসবে সেখানে রেজিস্ট্রারে ক্লিক করতে হবে রেজিস্ট্রার আসলে এবার ফরমটা পূরণ করুন।
ই-মেইল, মোবাইল নং দিন, এনআইডি ঘরে আপনার বার্থ ইয়ার দিয়ে হুবহু আইডি নম্বর লিখুন, এবার জন্ম তারিখ লিখুন, পাসওয়ার্ডের ঘরে ইংরেজির বড় একটি অক্ষর, একটি ছোট আর একটি সংখ্যা দিতেই হবে আগে পরে।
আপনার পাসওয়ার্ড সারাজীবন সংরক্ষণ করবেন এজন্য পাসওয়ার্ড বিভিন্ন জায়গায় লিখে সংরক্ষণ করুন ।
সাবমিটে ক্লিক করার পরপরই আপনার মোবাইলে একটি মেসেজ কোড আসবে। এবার কোডটা বসিয়ে দিন ব্যস হয়ে গেল আপনার এনআইডি ভেরিফাই রেজিস্ট্রেশন।
এর পাশেই রেজিস্ট্রার বাটনে ক্লিক করলেই রেজিস্ট্রেশন ফর্ম আসবে। এবার ফর্মটা পূরণ করুন। ই-মেইল, মোবাইল নম্বর দিন, এনআইডি ঘরে আপনার জন্ম তারিখ দিয়ে হুবহু আইডি নম্বর লিখুন, এবার জন্ম তারিখ লিখুন, পাসওয়ার্ডের ঘরে পাসওয়ার্ড লিখুন। এবার সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান যে, প্রকল্পটি পরীক্ষাধীন অবস্থায় থাকার কারণে একসেসে সমস্যা হতে পারে। তবে নির্বাচন কমিশনের ইন্টারনাল সার্ভারের মাধ্যমে ভোটারদের তথ্য দেখা যাচ্ছে।
]]>