আজ শনিবার থেকে তিনদিনের জন্য হিট এলার্ট জারি।
সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন চলচ্চিত্রের মুভি লর্ড ও দানবীর খ্যাত অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল (২২৫)। ১৬ ভোট কম পেয়ে পরাজিত হয়েছেন নিপুণ আক্তার (২০৯)। শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটের দিকে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
সহসভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন মাসুম পারভেজ রুবেল (২৩১) ও ডি এ তায়েব (২৩৪), সহসাধারণ সম্পাদক আরমান (২৩৭), সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী (২৫৫), আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো (২৯৬), দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর (২৪৫), সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন (২৩৫) এবং কোষাধ্যক্ষ কমল (২৩১)।
কার্যনির্বাহী সদস্য পদে মিশা-ডিপজল পরিষদ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৯ জন। তারা হলেন সুচরিতা (২২৮), রোজিনা (২৪৩), আলীরাজ (২৩৯), সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন (২১৮), শাহনূর (২৪৫), নানা শাহ (২১০), রত্না কবির (২৬৩) ও চুন্নু (২৪৮)। কলি-নিপুণ পরিষদ থেকে রিয়ানা পারভিন পলি (২২০) ও সনি রহমান (২৩০) নির্বাচিত।
বিজয়ী হয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ডিপজল বলেন, আমরা সবাই এক। সবাই একসঙ্গে কাজ করব।
এর আগে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে ভোট গ্রহণ শেষ হয়। এর আগে ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যে সকাল সাড়ে নয়টায় এফডিসির শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ৫৭০ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ৪৭৫টি। এবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু।
]]>শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকে:
লায়ন্স ক্লাব অব ঢাকা পলাশবাড়ী এর উদ্যোগে মিলাদ মাহফিল,নৈশভোজ ও ফ্রি চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে। চিকিৎসা সেবার মধ্যে ব্লাড প্রেশার, ডায়াবেটিস পরীক্ষা,চক্ষু সেবা,ব্লাড গ্রুপসহ পরীক্ষা করা হয়।
শনিবার (২৩) অক্টোবার বিকেলে আশুলিয়ার পল্লী বিদ্যুত এলাকার গনি জেনারেল হসপিটাল এর সামনে এ চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়।
এসময় সাভার ও আশুলিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য ও লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল ৩১৫ এ-১ ডিস্ট্রিক্ট গভর্ণর লায়ন ডাক্তার সালাউদ্দিন বাবু (এম জে এফ) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এসময় কয়েকশত ব্যক্তিদের মাঝে সংগঠনের পক্ষে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়।
এসময় লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল ৩১৫ এ-১ ডিস্ট্রিক্ট কো-অর্ডিনেটর ও গনি জেনারেল হসপিটাল এর ব্যবস্থাপনা পরিচাল লায়ন ডাক্তার আসাদউল্লাহ আহমেদ (ডা::দুলাল)( এল সি আই এফ) উপস্থিত থেকে পরিচালনার করেন।
সুমন মন্ডল মাদ্রায় ৩৫০ শিক্ষর্থীসহ নৈশভোজ এর আয়োজন করা মধ্যে দিয়ে শেষ হয়।
ঢাকার অদূরে ধামরাইয়ের সিথিতে আলাদীনস আমিউজমেন্ট পার্কে ঈদের দিন থেকেই দর্শানার্থীদের উপচেপড়া ভিড় বাড়ছে।এলাকায় নিরিবিলি শান্ত,সুন্দর আবহাওয়া পরিবেশে পরিবারের সকলকে নিয়ে একটু আনন্দে সময় কাটানোর জন্য পার্কটিতে এবারের ঈদে নতুন সাজে সেজেছে। দিনের পর দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পার্কটি। ধামরাইয়ের কুল্ল্ াইউনিয়নের সিথি এলাকার ২৭ একর জমির উপর আলাদীনস নামে ধামরাইয়ের এক সৌখিন ব্যবসায়ী নির্মাণ করেছেন এ আলাদীনস আমিউজমেন্ট পার্ক এবং আলাদীনস ওয়াটার ওয়ার্ল্ড নামে বিনোদন কেন্দ্রটি জমে উঠেছে।এ পার্কটিতে বিনোদন ও আনন্দ দেয়ার জন্য ১২ডি ডায়নামিক সিনেমা হল, হাইড্রেলিক পেন্ডুলাম, স্পিড স্পিনিং কার, বাম্পার কার, বুল রাইডস, ট্রেন, ডাবল ডেক কেরোসেল, সুপার সুয়িং, মিনি সুইস ড্যান্সিং, ইনফ্লাটেবল কিংডম, জাম্পিং হর্স, কিডি বল গান, মিনি গেমস, কনি রাইডস জোন, প্যাডেল বোট, ভুতুড়ে বাড়ি ঝর্ণা। এছাড়াও রয়েছে আনন্দ দেয়ার জন্য বিভিন্ন নিদর্শন রয়েছে। এর মধ্যে শিশু-কিশোরদের পদচারণায় মুখর সবকটি রাইডের শিশু-কিশোররা হুমড়ি খেয়ে পড়েছে।
পার্কে বেড়াতে আসা লোকজনদের একটি বাড়তি আনন্দ দিতে পার্কটিকে নতুনভাবে সাজিয়েছে বলে জানান পার্কের মালিক মো: আলাউদ্দীন। এ পার্কটি টিকিট মূল্যে-রাইডার নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫০টাকা থেকে ৫৫০ টাকা । তবে ড্রাই পার্ক ও ওয়াটার ওযাল্ডে প্রবেশ মূল্যে ভিন্ন রকম রয়েছে। পরিবার-পরিজনের জন্য রয়েছে রিসোর্ট সেন্টার। এখানে প্রতি ঈদেই প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য বিনামূল্যে টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। এ পার্কটি ধামরাই ঢুলিভিটা ও জয়পুরা দক্ষিণ কেলিয়া হয়ে কার্পেটিং সড়ক দিয়ে, যে কোনো গাড়ি নিয়ে সহজে প্রবেশ করা এবং সাভার নামা থেকে ৮-১০ কিলোমিটারের পাকা রাস্তা সহজে যাওয়া যায়।
]]>
খাদেমুল আজাদ,টাংগাইল থেকে: বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সারা দেশ যখন স্থবির তখন নাগরপুর উপজেলার কাওয়াখোলা নামক গ্রামে সামান্য বিনোদন হিসেবে বাসায় অবস্থান নিশ্চিত করে চলছে ঘুড়ি বানিয়ে সময় অতিবাহিত করার প্রয়াস।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় লোকজন পুরোনো প্রতিভা কাজে লাগিয়ে বানাচ্ছে ঘুড়ি উড়াচ্ছে পুরোদমে, মেটাচ্ছে বিনোদনের খোরাক!
ফেইসবুক এর বিভিন্ন পোস্ট সূত্রে দেখা যায় অনেকে সময় কাটাচ্ছে ঘুড়ি বানিয়ে এবং উড়িয়ে। নাগরপুর এলাকার কাওয়াখোলা গ্রামে গিয়ে দেখা যায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে ঘুড়ি উড়িয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা অবসর সময় স্বাচ্ছন্দ্যে অতিবাহিত করার জন্য করছে এই কাজ ।বঝ
ডেক্স সংবাদঃ
সারাদেশ এখন পাপিয়াকে নিয়ে আলোচনা, ধিক্কার ও দেহ ব্যবসা নিয়ে নিন্দার ঝড় ও গ্রেপ্তার। ঠিক সেই মুহুর্তে সাভারে আওয়ামীলীগ নেতা ও সাভারের পাপিয়াদের রঙ্গলীলায় ব্যস্ত সময় কাটান বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২ মার্চ) ধামরাই আলাউদ্দিন পার্কে দুপুর ২ টায় থেকে রাত ৮ টার সময় এ ঘটনা ঘটে। সরেজমিনে গিয়ে কয়েক সংবাদ প্রতিনিধি এর খোজ খবর রাখেন ও দৃশ্য বন্ধি করে রেখেছেন।
সাভার পৌর ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের
সভাপতি হাফিজ উদ্দিনসহ তার ৫ থেকে ৬ জন সহযোগী নিয়ে সাভার পৌর আওয়ামীলীগের কয়েকজন নেত্রীকে নিয়ে ধামরাই আলাউদ্দিন পার্কে দুপুর ২ টার সময় প্রবেশ করে আর তারা বের হয় রাত ৮ টার সময়কাল।
এসময় রঙ্গমঞ্চে সাভার পৌর আওয়ামীলীগের একজন সিনিয়ার নেত্রী ও পৌর ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ আর ৩ নারী মিলে আলাউদ্দিন পার্কে রঙ্গলীলা করতে যায় তারা।
মহিলা নেত্রীদের অভিভাবক ও একজন স্বামী অভিযোগ করে বলেন ওই হাফিজ নেতার জন্য তার পরিবার ধ্বংশ হয়ে যাচ্ছে।
আওয়ামীলীগ নেতা হাফিজ উদ্দিন তার স্ত্রীকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় শারীরিক সম্পর্ক করে ঘুরে বেড়ায় অভিযোগ করেন।
অনুসন্ধানে জানা যায় হাফিজ উদ্দিন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা হলেও তার প্রভাব বহুগুনে। অভিযুক্তরা তার ভয়ে কেউ মুখ খুলে না। ৭ নং ওয়ার্ড এলাকায় হাফিজ উদ্দিনের একটি বাহিনী রয়েছে যারা সবসময় চাঁদাবাজি, জমিদখল, করে আসছে। হাফিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ রয়েছে ওই এলাকায়।
আলাউদ্দিন পার্কে মহিলা নেত্রীদের রঙ্গলীলা করার বিষয়ে হাফিজ উদ্দিনের নিকট জানতে চাইলে বলেন তারা কয়েকজন এমনি ঘুরতে গিয়েছিলো বলে জানায়। প্রতিবেদকের এক প্রশ্ন করেন আপনি দুপুরে পার্কে প্রবেশ করেছেন আর নেত্রীদের নিয়ে রাত ৮ দিকে বের হয়েছেন সেই ভিডিও ফুটেজ রয়েছে তাদের হাতে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন হাফিজ উদ্দিন বলেন দেখেন আমি শার্ট পড়ে গিয়েছি। তাকে আরো বলা হয় আপনি তো ডুকার সময় কালো গেঞ্জি পড়ে গিয়েছিলেন। উত্তরে বলে আমি ফুল শার্ট পড়ে গিয়েছে আপনি ভিডিও ফুটেজে দেখেন।
এই হাফিজ উদ্দিন এর খুটির জোর কোথায় ? তাকে ও সহযোগিদের কে থামাবে এবং কে বাঁচাবে এসব নেত্রীদের সংসারের বাহিরে ঘটে আসছে অনৈতিক কর্মকাণ্ড। তবু যেন আজ স্বামীর পরিবার এসব নারী কেলেঙ্কারীদের বিরুদ্ধ অভিযোগ দিতে ভয়ে কাপছে তারা। এ ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে প্রশাসনের নিকট অনুরোধ করছেন ভুক্তভোগি পরিবারের সদস্যরা।
বিনোদন ডেক্সঃ
সালমা বাংলাদেশের সঙ্গিতাঙ্গনে একটি জনপ্রিয় নাম। বাংলাদেশের সঙ্গিতাঙ্গনে তার বিচরণ অনেক দিন ধরেই। এর মধ্যে তার জীবনে ঘটে গেছে অনেক ঘটনা। জীবনেও পরিবর্তন এসেছে তার। তবে বর্তমানে তিনি আছেন বেশ সুখেই। স্বামী সাগরের সাথে তার সাংসারিক জীবন বেশ ভালোই কাটছে সালমার। ভালোবাসা দিবসের দিন তাই জানাচ্ছিলেন তাদের প্রেমের শুরুর কথা। জানাচ্ছিলেন কিভাবে তাদের প্রথম দেখা। এরপর বিয়ে। বলছিলেন স্বামী সাগর তার জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ন।
ময়মনসিংহ হালুয়াঘাটের সানাউল্লাহ নূর সাগরের সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন সালমা। লন্ডন কলেজ অব লিগ্যাল স্টাডিজ থেকে এলএলবি পড়ছেন এই সংগীতশিল্পী। পড়তে এসেই সাগরের সঙ্গে পরিচয়। সালমার ভাষায়, ’সাগর ও আমার দুজনেরই অতীত রয়েছে। সাগর প্রথম আমাকে বলে, আপনাকে আমার ভালো লাগে! আমার পরিবারও আপনাকে খুব পছন্দ করে। এরপর দুই পরিবার আলোচনা করে বিয়ের বিষয় চূড়ান্ত করে। তবে বিয়ের আগে প্রেম করার সুযোগ হয়নি। দুজনের ভালোবাসার বন্ধন বিয়ের পর তৈরি হয়েছে।’
সালমা আরো বলেন, ’দুজন দুজনকে পাগলের মতো ভালোবাসি। তেমনি সম্মানও করি। যাই করি না কেন আলোচনা করে করি। কাজও ভাগ করে নিই। যেমন: দেশের বাইরে গেলে কাগজপত্র সংক্রান্ত সব কাজ সাগর করে। ছোটবেলায় শোবিজ অঙ্গনে চলে আসার কারণে সেভাবে বন্ধুবান্ধব গড়ে ওঠেনি। এখন সাগরই আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। আসলে সাগরের গণ্ডিতে আমি থাকি, আমার গণ্ডিতে সাগর থাকে।’
সোনার মধ্যেও খাদ থাকে। ভালো-মন্দ মিলিয়েই মানুষের জীবন। সাগরের মধ্যেও নিশ্চয়ই ইতিবাচক-নেতিবাচক দুটি দিকই রয়েছে। আপনার মুখ থেকে জানতে চাই। জবাব দেয়ার আগে কিছুটা সময় নেন সালমা। তারপর ধীর কণ্ঠে বলেন, ’সাগরের ব্যবহারে বিভাজন নেই। এটা আমার খুব ভালো লাগে। মানুষের মন ভালো না হলে তার কিছুই ভালো হয় না। সাগরের মন অনেক ভালো, সাগরের মতোই। আর ব্যক্তিজীবনে সাগর অনেক সৎ। নেতিবাচক দিক হলো— সাগর রাগ করলে চুপ করে বসে থাকে। অনন্ত ৩০-৪০ মিনিট সে চুপচাপ থাকে। এটা আমার জন্য বেদনার কারণ। মন ভীষণ খারাপ হয় তখন। যদিও এক পর্যায়ে সাগরই আমার কাছে আসে। মাথায় হাত বুলিয়ে জিজ্ঞেস করে, ’মন খারাপ করছো কেন?’ সাগর চায় না এক সেকেন্ডও আমি আপসেড থাকি।’
সাগর-সালমার মন এক হলেও দুজনের পেশা ভিন্ন। সালমার ঢাকার বাইরে গানের প্রোগ্রাম থাকলে খুব চিন্তিত হয়ে পড়েন সাগর। সালমা এ প্রসঙ্গে বলেন, ’আমার প্রোগ্রাম থাকলে ও খুব চিন্তিত থাকে। একবার আমি বলেছিলাম—এই যে মেয়েকে নিয়ে প্রোগ্রামে যাই, যদি কিছু হয়ে যায়। এ কথা শোনার পর থেকে সাগর আমাদের একা যেতে দেয় না। সাগর বলে, ’মরলে আমরা একসাথে মরব।’
একটি সম্পর্ক গভীর ও সরল করার জন্য পরস্পরের ত্যাগ ও আন্তরিকতা প্রয়োজন। খুব ছোট ছোট বিষয়ে লুকিয়ে থাকে গভীর ভালোবাসার মন্ত্র। সুযোগ পেলেই সাগরের পছন্দের খাবার রান্না করেন সালমা। এ শিল্পী বলেন, ’এখন আমাদের খাবারের মেন্যু এক। সাগরের জন্য আমার খাবারের মেন্যুতে অনেকটা পরিবর্তন করেছি। এটা সেক্রিফাইস। কারণ আমি দেখেছি, ওর পছন্দের খবারগুলো অনেক হেলদি। তাহলে পরিবর্তন করতে অসুবিধা কোথায়?’
সাগরকে ভালোবেসে শুধু প্রিয় মানুষকেই পাননি সালমা। পেয়েছেন ভালো একটি পরিবার। সংসার জীবনে বউ-শাশুড়ির দ্বন্দ্ব বহুল চর্চিত বিষয়। কিন্তু সালমা সংসার জীবনে শাশুড়ি নয়, আরেকটি মা পেয়েছেন। সালমার ভাষায়, ’আমার শাশুড়ি খুবই ভালো। রাজনীতি করার কারণে ব্যস্ততা তারও কম নয়। তারপরও আমার নিজের মা-ও এতটা সময় আমাকে দিতে পারেননি, তিনি যতটা দিচ্ছেন। আমার একজন শক্ত অভিভাবক প্রয়োজন ছিল। আমি সেটা পেয়েছি।’
দুটি মানুষের হৃদয়ের বন্ধন শক্ত হলেও লুকিয়ে থাকে অদৃশ্য কিছু ভয়। বিচ্ছেদে দারুণ ভয় সালমার। এ বন্ধন ছিঁড়তে চান না কিছুতেই। সালমা বলেন, ’আমার কাছ থেকে সাগরকে দূরে কোথাও রাখলে নিশ্চিত থাকবেন- আমি শারীরিকভাবে অর্ধেক হয়ে যাব অথবা কিছুদিন পর মারা যাব। সাগরও আমাকে ছাড়া দূরে থাকতে পারবে না। আসলে দুজন দুজনকে ছাড়া কিছু ভাবতে পারি না।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের জনপ্রিয় বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভি এক সময় প্রচারিত হতো জনপ্রিয় সঙ্গিতের অনুষ্ঠান ক্লোজাপ ওয়ান তোমাকেই খুজছে বাংলাদেশ। আর ২০০৬ এই অনুষ্ঠানেই শুরু সালমার।
এই অনুষ্ঠানের মাধ্যোমেই তিনি সকলের কাছে পরিচিত হয়ে ওঠেন। ২০০৬ সালের তোমাকেই খুজছি বাংলাদেশের বিজয়ী ছিলেন তিনি। এখনো কাপিয়ে যাচ্ছেন সঙ্গিতাঙ্গন।
]]>ডেক্স সংবাদঃ
সালমান শাহের মৃত্যুর তেইশ বছরেরও বেশী সময় পরে বাংলাদেশের তদন্ত সংস্থা পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (পিবিআই) নিশ্চিত করেছে যে ওই সময়ের জনপ্রিয় এই চিত্রনায়ক পারিবারিক কলহের জের ধরে আত্মহত্যা করেছিলেন।
১৯৯৬ সালের ৬ই সেপ্টেম্বর চিত্রনায়ক সালমান শাহকে ঢাকায় তাঁর বাসভবনে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তবে তার পরিবার এবং ভক্তদের অনেকেই দাবি করছিলেন যে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
সালমান শাহের মৃত্যুর ঘটনায় সর্বশেষ তদন্তটি করার দায়িত্ব পায় পিবিআই। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলন করে তারা জানায় যে একাধিক সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে তারা নতুন তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছেন।
পুলিশ বলছে, তদন্ত করার ক্ষেত্রে সালমান শাহের দেহরক্ষী, মালী, প্রতিবেশী, বাড়ির কাজের সহকারীসহ অনেক ব্যক্তির সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
পিবিআই’র ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, “এই সাক্ষীদের প্রত্যেকেই সেই সময় সালমান শাহের একজন সহশিল্পীর সাথে তার মেলামেশা করাকে পারিবারিক কলহের একটি কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন”।
তবে সালমান শাহের মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল যে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর মা নীলা চৌধুরীর অভিযোগ ছিল পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করতে গেলে পুলিশ সেটিকে অপমৃত্যুর মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে।
পুলিশ বলেছিল, অপমৃত্যুর মামলা তদন্তের সময় যদি বেরিয়ে আসে যে এটি হত্যাকাণ্ড, তাহলে সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে হত্যা মামলায় রূপ নেবে।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে অন্যতম জনপ্রিয় নায়কের আকস্মিক মৃত্যুতে তখন স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল পুরো দেশ।
সালমান শাহের মৃত্যুকে ঘিরে যখন একের পর এক প্রশ্ন উঠতে থাকে, তখন পরিবারের দাবির মুখে দ্বিতীয়বারের মতো ময়না তদন্ত করা হয়। মৃত্যুর আটদিন পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে তিন সদস্য বিশিষ্ট মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
দ্বিতীয় ময়নাতদন্তে আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করা হলে মামলার কাজ সেখানেই থেমে যায়।
পরে পরিবারের দাবির প্রেক্ষিতে পিবিআই এই মামলা আবার তদন্তের কাজ শুরু করে।
১৯৯২ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আসেন সালমান শাহ।
জনপ্রিয় একটি হিন্দি সিনেমার অফিসিয়াল রিমেক ছিল ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’। এ সিনেমাটি মুক্তির পর থেকেই চলচ্চিত্রে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেন সালমান।
সূত্রঃবিবিসি
]]>জাগরণী থিয়েটারের ২৫ বছর পূর্তিতে শুরু হয়েছে ৯ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক থিয়েটার উৎসব। সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ মিলনায়তনে শুক্রবার রাতে এই উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
জাগরণী সম্মাননা উৎসবে সংবর্ধিত হয়েছেন নাট্যজন আবুল হায়াত, দিলারা জামান ও শর্মিলী আহমেদ। সাভার শিল্পকলা একাডেমি বাস্তবায়নের জোরালো দাবি তুলে ধরা হয় এই উৎসবে।
জাগরণী থিয়েটারের রজত জয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশের ৯টি ও ভারতের পাঁচটি দল তাদের নাটক মঞ্চস্থ করবে। গতকাল উদ্বোধনী দিনে মঞ্চস্থ হয় জাগরণী থিয়েটারের প্রযোজনায় নৃত্যনাট্য ‘মহুয়া সুন্দরী’।
উৎসবের বিভিন্ন দিনে শহিদুজ্জামান সেলিম, রোজী সিদ্দিকী, আজিজুল হাকিম, জিনাত হাকিম, আফসানা মিমি, মুনিরা ইউসুফ মেমি, আজাদ আবুল কালাম, আব্দুল হালিম আজিজ, লুৎফর রহমান জর্জ, শামস সুমন, তানভিন সুইটি, আবু নাসের বেগ, প্রণব কুমার ঘোষ, নিরঞ্জন দাস, রওনক হাসান, তপন হাফিজ, ড. কিষান মোস্তফা, তপু খান, আজমল আমিন, অরূপ রায়, শাহেদুল ইসলাম শাহেদ, শচিন সরকার, নিরঞ্জন সরকার, শফিকুল আলম বাবুল প্রমুখকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে জাগরণী সেরা নাট্যকর্মী ২০১৯ ঘোষণা ও সম্মাননা প্রদান করা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ ও সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজুর রহমান, নাট্যব্যক্তিত্ব ঝুনা চৌধুরী, কামাল বায়েজীদ, আহমেদ গিয়াস, কাদের তালুকদার, সালাউদ্দিন খান নঈম প্রমুখ।
৩১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় একই মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে থিয়েটার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনার। সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ভারতের নাট্য গবেষক ড. আশিষ গোস্বামী ও বিভিন্ন অতিথি বৃন্দরা।
]]>শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিশ্ববরেণ্য নাট্যকার সেলিম আল দীনের ১২ তম প্রণায়ণ দিবস উপলক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম আল দীনের কথানাট্য অবলম্বনে বিশিষ্ট চলচিত্র পরিচালক নারগিস আক্তারের পরিচালনায় চলচিত্র যৈবতী কন্যার মন এর ফেইজবুক পেইজ উদ্বোধন করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন কলভবনের হলরুমে এ ফেইজ বুক পেইজ উদ্বোধন করেন চলচিত্রটির পরিচালক নারগিস আক্তারসহ নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক ও যৈবতী কন্যার মন ছবির অভিনয় শিল্পীরা। জাবির হলরুমে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় ছবির পরিচালক নারগিস আক্তার,নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সভাপতি ড.সোমা মুমতাজ,নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড.রশিদ হারুন. সেলিম আল দীন প্রয়াণ দিবসের আহবায়ক ইস্রাফিল,ছবির নায়ক গাজী আব্দুন নুরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রচারনের অংশ হিসেবে বুধবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচারণা করা হয়,এসময় ছবিটির কয়েটি গান শিক্ষার্থীদের শুনানো হয়। অনুষ্ঠানে আগতদশনার্থীরা ছবিটির গানের প্রশাংসা করেছেন।
সরকারী অনুদান ও ফেমকম বাংলাদেশ এর যৌথ প্রয়াসে ছবিটি নির্মিতি হয়েছে এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে এর শ্যুাটিং হয়েছে। ছবিটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের গাজী আব্দুন নূর ও কলকাতার সায়ন্তনী দত্ত। ছবিতে কালিন্দী চরিত্রে সায়ন্তনী দত্ত এবং আলাল চরিত্রে অভিনয় করেছেন গাজী আব্দুন নূর।
আগামী পহেলা এপ্রিল মাসে ছবিটি মুক্তিদেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ছবির পরিচালক নারগিস আক্তার। তিনি জানান ছবিটি নিয়ে তিনি অনেক আশাবাদী যে দর্শক হলে গিয়ে ছবিটি দেখবে।
এছাড়া নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সভাপতি ড.সোমা মুমতাজ বলেন সেলিম আল দীনের কথানাট্য অবলম্বনে নির্মিত হওয়ায় ছবিটি ব্যবসা সফল হবে বলে তিনি আশা করেন। যৈবতী কন্যার মন ছবিটির মিডিয়া পার্টনার এটিএন বাংলা।
সম্পাদনায়ঃ মর্জিনা পারভীন।
]]>