সত্যেরসংবাদডেক্স:
একমাত্র সন্তান ছিলেন আসিম জাওয়াদ, কান্না থামছে না মায়ের চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত আসিম জাওয়াদের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জে। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান ছিলেন তিনি। তার মৃত্যুর খবরে পরিবারে চলছে শোকের মাতম। বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন মা নিলুফা খানম।
মানিকগঞ্জ শহরের নগর ভবন সড়কের গোল্ডেন প্লাজায় আসিম জাওয়াদের বাসা। সেখানে থাকেন চিকিৎসক বাবা আমান উল্লাহ ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মা নিলুফা আক্তার খানম। আর স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে কর্মস্থল চট্টগ্রামে থাকতেন আসিম।
দুপুরে আসিম জাওয়াদের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, তার মা ছেলের কথা মনে করে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন স্বজনরা। চোখে পানি ধরে রাখতে পারেননি তারাও।একমাত্র সন্তান ছিলেন আসিম জাওয়াদ, কান্না থামছে না মায়ের
আসিম জাওয়াদের মা নিলুফা খানম আর্তনাদ করে বলছিলেন, ‘আমার ছেলে প্রতিদিন খোঁজ নেয় আমি খেয়েছি কি না, গোসল করেছি কি না। কই আজতো খোঁজ নিচ্ছে না? আজ কেন কথা বলছে না? আমি আমার ছেলের কাছে যাবো।
কিছুক্ষণ চুপ থেকে আবার বিলাপ করে বলতে থাকেন, ‘আমার আসিমের কত স্বপ্ন। কত পুরস্কার পেয়েছে। সেতো কারও ক্ষতি করে নাই। তাহলে এই অবস্থা হলো কেন? আল্লাহ তুমি এমন করলা কেন?’
আসিম জাওয়াদের মামা বাংলাদেশ বেতারের মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি সুরুজ খান জানান, দুর্ঘটনার পর তাদের কাছে খবর আসার পর পরিবারের সবাই পাগলপ্রায়। কে কাকে সান্ত্বনা দেবেন, সবাই শোকাহত।
তিনি জানান, আসিমের ছোটবেলা থেকেই পাইলট হওয়ার স্বপ্ন ছিল। সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করার পর প্রশিক্ষণ শেষে বিমানবাহিনীতে যোগ দেন। প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন মেধাবী আসিম। পেশাগত জীবনে পেয়েছেন সোর্ড অব অনারসহ বিভিন্ন সম্মাননা। পাইলট হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে আসিমের। কিন্তু আরও বড় হওয়ার আশা অকাল প্রয়াণে ভঙ্গ হলো।
একমাত্র সন্তান ছিলেন আসিম জাওয়াদ, কান্না থামছে না মায়ের
২০১১ সালে আসিম জাওয়াদ চাকরিতে যোগদান করেন। ব্যক্তিগত জীবনে এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক তিনি।
শোকাহত পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে আসা মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল বলেন, ‘আসিম জাওয়াদ সম্ভাবনাময় একটি ছেলে ছিল। তার মৃত্যুতে সবাই শোকাহত। এমন মেধাবী সন্তানকে হারিয়ে পরিবারসহ মানিকগঞ্জবাসীর অপূরণীয় ক্ষতি হলো।’
কর্ণফুলী নদীতে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত
চট্টগ্রামে বিধ্বস্ত হওয়া প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের এই পাইলট নিহত হয়।
সাভার থেকে, শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সাভারে অজিত ঘোষ গুলে দা স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে গরীব-অসহায় মানুষের মাঝে শতাধীক ঈদ উপহার
বিতরণ করলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মানবতার
উত্তম ঘোষ। রবিবার(১)মে তার নামাবাজার কার্যালয়ে ঈদ উপহার বিতরণ করেন।
সাভার নামা বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী উত্তম ঘোষ জানান গরীব অসহায় মানুষে মুখে একটু হাঁসি ফোটাতে এই প্রচেষ্টা এবং ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করতে পেরে আমি নিজেও শান্তি পেয়ে থাকি । তিনি আরো জানান মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকরা আমার নিকট শ্রদ্ধাশীল ব্যক্তি আমি সম্মান করে থাকি। ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ কালে তিনি আরো বলেন সমাজের বিত্তবান লোকরা এগিয়ে আসলে সকলের ঈদ উৎযাপন করে মনের আনন্দ উপভোগ করতে পারবে।
গরীব অসহায় এলাকা পুরুষ – মহিলাদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছে সাভার পৌর নামাবাজার এলাকার অফিস কার্যালয়ে। শনিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত শতাধীক মানুষের মাঝে এই ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়।
করোনা কালীন সময়ে হাজার হাজার মানুষকে তিনি খাদ্য সামগ্রী ও স্যানেটারিজ এবং ঔষধ বিতরন করে আসছিলেন।
গরীব-অসহায় মানুষের মাঝে প্রতি বছরই ঈদ উপহার হিসেবে শাড়ী,কাপর-লঙ্গী,পাঞ্জাবি বিতরন করে আসছে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী উত্তম ঘোষ। এবার অল্প পরিসরে ঈদ উদযাপন সামগ্রী বিতরণের মাধ্যমে সাথে ঈদ আনন্দ ভাগ করে নিলো সাভারে অজিত ঘোষ গুলে দা স্মৃতি সংসদ।
যারা ঈদ উপহার সামগ্রী পেয়েছেন তারা খুশী সকলেই। তারা কেউ কেউ বলেছেন আমরা গরীব মানুষ দিন আনি দিন খাই মানবতার উত্তম ঘোষের পক্ষে যা পেয়েছি তাই অনেক অনেক খুশি।
]]>
বিষেশ প্রতিবেদন,শেখ এ কে আজাদঃ ছয় হাজারের অধিক গানের লেখক স্বপন শাহ্ শ্যামলাপুরী, বিখ্যাত বিখ্যাত গান লিখেও অখ্যাত রয়ে গেছেন। তবু লিখে চলছেন অবিরাম। তার লেখা একটি গান গেয়েছেন বাংলাদেশের স্বনামধন্য শিল্পী মুজিব পরদেশী। এরপর আরো গান গেয়েছেন বাংলাদেশ ও পশ্চিম বঙ্গের বিভিন্ন বাউল শিল্পীগন। তার লেখা বিখ্যাত গান কাফনে তো পকেট নাই, আয় মানুষ থাকিরে থাকি মানুষের তরে, কোড নম্বরটি জাইনা লও, তালা মাইরাছেরে মাওলায় তালা মাইরাছে, বন্ধু আমার শ্যাম কালাচাঁন, আমার তো মরন হবে, দুনিয়াটাই পাগলা গারদ, কেউবা সাধু কেউবা নারদসহ অনেক গান।
স্বপন শাহ্ শ্যামলাপুরীর লেখা গান নিয়ে প্রথম ভিসিডি এ্যালবাম বেড়িয়েছে ২০০৮ইং সালে।
এ্যালবামের নাম “” কাফনে তো পকেট নাই “” শিল্পী হলো স্বপন শাহ্ শ্যামলাপুরীর আপন ছোট ভাই, মাতাল কবি রাজ্জাক দেওয়ানের শিষ্য, বৈতাল কালাম দেওয়ান , দ্বিতীয় ও তৃতীয় এ্যালবাম বেরোয় ২০১২ইং সালে, দ্বিতীয় এ্যালবামের নাম, “” বন্ধু আমার শ্যাম কালাচান “” বাউল শিল্পী সোনালী সরকার। তৃতীয় এ্যালবামের নাম “”” বন্ধুর প্রেম দিওয়ানা “”” এই এ্যালবামের শিল্পী ও স্বপন শাহ্ শ্যামলাপুরীর আপন ছোট ভাই দেওয়ান কালাম শাহ্ (বৈতাল কালাম দেওয়ান) । এ্যালবাম তিনটি প্রযোজনা করেছেন “” স্বপন মিডিয়া ভিশন “””।
এরপর আর কোনো এ্যালবাম বের না হলেও, গীতিকার স্বপন শাহ্ শ্যামলাপুরীর লেখা গান বিভিন্ন শিল্পীগন মঞ্চে ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গাচ্ছেন।
এবং তা শিল্পীদের নিজস্ব ফেসবুকে ও ইউটিউব চ্যানলে আপলোড করছেন। পশ্চিম বঙ্গের শিল্পীদের কেউ কেউ তার গান গেয়েছেন বলে তিনি জানান।
তিনি আরো জানান তার লেখা শত শত গান চুরি করে নিজের নামে গাইছেন, গাওয়াচ্ছেন, এমনকি বইয়ে ছাপিয়েন কিছু গান চোরেরা।
এই নিয়ে উল্টা তাহকেই মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে গান চোরের দলেরা। তবু তিনি দমে যাননি।
অকুতোভয় নির্ভিক কলম সৈনিক তার কলম চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্বপন শাহ্ শ্যামলাপুরী মুলত বাউল গান লিখলেও,তিনি আধুনিক, ভাওয়াইয়া, পল্লীগীতি, লোক গীতি, ভাব সংগীত, মুর্শিদী, কাওয়ালী, ভঁজন কীর্ত্তনসহ রাধা কৃষ্ণের প্রেমসহ প্রেম বিরহ বিচ্ছেদ গান ও হামদ্,নাত,গজলসহ কোরআন হাদিসের আলোকে অনেক গান লিখেছেন। লিখে চলেছেন অবিরাম, আমৃত্যু লিখে যেতে চান তিনি।
স্বপন শাহ্ শ্যামলাপুরীকে তার গান সম্পর্কে জিগ্যাসা করা হলে, তিনি দুহাত তুলে করোজোর করে বলে উঠেন, জয় গুরু জয় গুরু জয় গুরু, দুর হউক সকল আঁধার, জয় হউক মনুষ্যত্ব মানবতার।
স্বপন শাহ্ শ্যামলাপুরীর বাবার নাম- মরহুম আঃ বারেক, মাতার নাম – মরহুমা মেহের বানু। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি মেঝো। বিবাহিত জীবনে তার রয়েছে এক স্ত্রী, এক ছেলে এক মেয়ে।
তার মা বাবা গুরুবাদী ও তরিকাপন্থি হওয়ার সুবাধে তাদের বাড়িতে মুর্শিদী ও বাউল গানের আসর বসতো, সে সুবাধে ছোট বেলা থেকেই বাউল ও আধ্যাত্মিক গানের প্রতি তার ঝোক হয়। আর সেই প্রভাব তার মাঝে প্রকাশ পেয়েছে তার গানের মাধ্যমে।
স্বপন শাহ্ শ্যালাপুরী হিন্দুদের কীর্তন, কবি গান শুনেছেন প্রচুর, তাছাড়া বাউল শিল্পী মালেক দেওয়ান, খালেক দেয়ান, শামছু দেওয়ান, তোরাব আলী দেওয়ান, মাতাল কবি রাজ্জাক দেওয়ান, বড় আবুল সরকার, গণি সরকার, পাগল বাচ্চু দেওয়ান, আলেয়া, সালেহা, আকলিমা, মায়া রাণী, মাখন দেওয়ান, খবির দেওয়ান, পরশ আলী দেওয়ান, ইসলাম সরকারসহ বিভিন্ন গুণী শিল্পীদের গান শোনা ও সানিধ্য পাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে।
সব চেয়ে বেশি সানিধ্য পেয়েছেন যার তিনি হলেন মাতাল কবি রাজ্জাক দেওয়ান, কারণ স্বপন শাহ্ শ্যামলাপুরীর আপন ছোট ভাই, মাতাল কবি রাজ্জাক দেওয়ানের শিষ্য বৈতাল কালাম দেওয়ান, সে সুবাধে মাতাল কবি রাজ্জাক দেওয়ান তাদের বাড়িতে আসতেন, এবং তিনিও মাতাল কবি রাজ্জাক দেওয়ানের বাড়িতে যেতেন। তাই স্বপন শাহ্ শ্যালাপুরীর অনেক গানে মাতাল কবি রাজ্জাক দেওয়ানের গানের প্রভাব রয়েছে, তাছাড়া মাতাল কবি রাজ্জাক দেওয়ানকে নিয়ে অর্ধশতাধিক গানও লিখেছেন বলেও জানান তিনি।
তিনি আরো জানান, কবিতা লেখার সুবাদে বাংলাদেশের অনেক গুণী মানি স্বনামধন্য ব্যক্তিদের সানিধ্য পাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে, তম্মধ্যে, বিখ্যাত হাছন রাজার নাতি জাতীয় অধ্যাপক ডঃ দেওয়ান মুহম্মদ আজরফ, লোকগীতি গবেষক ডঃ আশরাফ সিদ্দিকী, কবি সামসুল ইসলাম, কবি আসাদ চৌধুরী, লেখক ও আমলা মঈনুদ্দিন কাজল, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, প্রধান বিচার পতি আব্দুর রউফ, বিচার পতি হাবিবুর রহমান, বিচার পতি এম এ ওহাব, ডঃ ফেরদৌস কোরশী, কবি নাসিম আনোয়ার, কবি তানভির আলাদিন প্রমুখসহ অগনিত কবি সাহিত্যক ব্যক্তিবর্গের সানিধ্য পাওয়ার সৌভাগ্য হয়।
এবং তিনি বিভিন্ন সংগঠন থেকে প্রশংসা পত্র, সনদ পত্র মেডেল পেয়েছেন। এবং ২০১৭ সালে ভারতের কোলকাতার সাহিত্য সংগঠন, বিশ্ব বঙ্গ বাংলা সাহিত্য একাডেমি ও যুথিকা সাহিত্য পত্রিকা থেকে, “”কাব্য ভারতি”” উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন, এবং প্রশংসা পত্র ও ক্রেষ্ট পেয়েছেন।
সেই সাথে কোলকাতার দর্পন পত্রিকাসহ বিভিন্ন সংকলনে তার লেখা ছাপা হয়েছে। তাছাড়া অনলাইনে বিভিন্ন সাহিত্য গ্রুপে প্রতিদিনই কোন না কোনো লেখা গান ঠাই করে নিচ্ছে। এবং সন্মাননা সনদ পাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন সাংবাদিকতা ও রাজনীতি করার সুবাধে, বাংলাদেশের বড় দুই দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সানিধ্য ও এক টেবিলে খাওয়ার সুযোগ হয়েছে, তারা হলেন আওয়ামী লীগের শেখ হাসিনা, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, মেয়র হানিফ, খ,ম জাহাঙ্গীর, কামাল আহম্মদ মজুমদার, আলহাজ্ব মকবুল হোসেন, শামছুদ্দোহা খান মজলিশ, আশরাফ উদ্দিন খান ইমুসহ প্রমুখ নেতার, বি এন পির খালেদা জিয়া, সালাম তালুকদার, কে এম ওবায়দুর রহমান, ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদা, মির্জা আব্বাস, আমান উল্লাহ আমানসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দের।
স্বপন শাহ্ শ্যামলাপুরীর, আধ্যাত্মিকতা ও সুফীবাদের প্রতি ঝোঁক থাকায় তিনি বিভিন্ন ওলি আউলিয়ার মাজার, পীরের দরগা, দরবার, সাধু গুরু বৈষ্ণবের আখড়া, আশ্রম, মসজিদ, মন্দির, গীর্জা প্যাগোডাসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন উপসনালয়ে অবাধে যাতায়াত করেছেন।
তিনি লালন সাঁইজির দরগা, বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথের কুঠি বাড়ি, হযরত শাহজালাল, শাহ পরাণ, চুষাণী পীর, শেখ বোরহান উদ্দিন শাহ, শাহ আলী বোগদাদি, শরফুদ্দিন চিশতি , ফখরুদ্দিন চিশতি, পীর ইয়ামেনী, গোলাপ শাহ্, মাক্কু শাহ্, পীর জঙ্গি, ঘোড়াপীর, সাত রওজা, দরবেশ শাহ্, সোলেমান শাহ্ লেংটা বাবার মাজারসহ, বিভিন্ন মাজার দরবারে গিয়েছেন বলে জানান।
স্বপন শাহ্ শ্যামলাপুরী আরো বলেন, আত্মশুদ্ধি ছাড়া মুক্তি নাই, প্রেম বিশ্বাস ভক্তি বিনে কোনো ইবাদত পূর্ণতা পায়না। তাই তার গানে প্রেম বিশ্বাস ভক্তি শব্দটি শত সহস্রবার স্থান পেয়েছে।
জয় গুরু বলা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি যা বলেছেন, তার সারমর্ম হলো, মুসলমানেরা সালাম দেন, হিন্দুরা আদাব নমস্কার দেন, খৃষ্টানেরা গড ব্লেস ইউ বলেন।
কিন্তু এখানে হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খৃষ্টানের সম্বোধন পেলেন। কিন্তু একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে কি বলে সম্বোধন করবে?
এক মানুষ আরেক মানুষকে দেখলে কি বলবে?
মানুষ মানুষের পরিচয় কি হবে,? বলেন, মানুষ হলে বলবে “”” জয় গুরু “”” আর জয় গুরু হবে মানুষের পরিচয় বহনকারী।
তিনি আরো বলেন সত্য সরল পথে গমন না করলে মানব জনম মুল্যহীন/অর্থহীন।
তাই তিনি তার গানে বলেছেন আয় মানুষ থাকিরে, থাকি মানুষের তরে, মানুষ হইলো সৃষ্টির সেরা জগত সংসারে, মিথ্যা ছাড়ো সত্য ধরো, মানুষ থাকার শপথ করো।
তিনি তার ষাট বছরের জীবনে সততার পরীক্ষায় বার বার উত্তীর্ণ হলেও, আর্থিক সচ্ছলতার মুখ দেখেনি কখনো। নুন আনতে পান্তা ফুরালেও, নীতি আদর্শ নৈতিকতার স্ফলন ঘটান নাই। রোগে শোকে ধুঁকে ধুঁকে মরলেও তিনি নীতি আদর্শ নৈতিকতায় অটল থাকার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন অবিরাম।
তাই তিনি স্বদর্পে বলেন,যতো কষ্টে থাকি মর্ত্যে, শয়তানের সাথে যাবোনা স্বর্গে, নরক অনলে জ্বালাও তুমি,ওগো আমার জগত স্বামী।
স্বপন শাহ্ শ্যামলাপুরী বলেন, দান করুণা চাইনা, চাইনা, সাহায্য নামীয় ভিক্ষা বা ঋণ, চাই সহযোগিতা, চাই পৃষ্ঠপোষকতা।
বড়ই স্পষ্টভাষী সাম্যবাদী ও মানবতাবাদী সরল মনের মানুষ তিনি, ভাংবেন তবু মচকাবেননা। তিনি নীতি আদর্শের মূর্ত প্রতীক এক মানুষ। তার সানিধ্যে না গেলে, তার সাথে কথা না বললে, তার সাথে না চললে বুঝার কোনো উপায় নাই। তিনি কতো বড় মাপের ও বড় ঊদার মনের মানুষ। দেখে তারে বেরসিক, গুরু গম্ভীর মানুষ মনে হলেও, তিনি বেশ রসিক, মজাদার মিশুক,সরল মনের মানবতাবাদী মানবিক মানুষ।
আমরা স্বপন শাহ্ শ্যামলাপুরীর সততা নিষ্ঠা একাগ্রতা দৃঢ়তাকে স্যালুট।
সে সাথে স্বপন শাহ্ শ্যামলাপুরীর তার উত্তর উত্তর সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনা,নেক হায়াত কামনা করছি।
আল্লাহ সহায় হোন তার উপর, আমীন।।
শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
সারা বাংলাদেশের সাভার উপজেলায় ভূমিহীন পরিবারের মাঝে গৃহ ও জমি বরাদ্দ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর প্রদান করতে পারা নিজের সবচেয়ে বড় আনন্দের বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (২৩ জানুয়ারি) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এদিন দেশের ৪৯২ উপজেলার প্রায় ৭০ হাজার পরিবারকে পাকাঘর হস্তান্তর করেন তিনি।
সাভার উপজেলায় ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন মাননীয় দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার এনামুর রহমান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব, পাথালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ পারভেজুর রহমান, সাভারব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহেল রানা, সাভার উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের কর্মকর্তা সায়েমুল হুদা, ঢাকা জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক জিএস মিজানুর রহমানসহ অন্যন্য নেতৃবৃন্দ এবং সাভার উপজেলা বিভিন্ন কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন সভায় সভাপতিত্ব করেন সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম আরা নিপা।
সাভারে ৪২০ জন গৃহহীন পরিবারের মধ্যে ৪১ জন পরিবারকে জমি ও ঘরের দলিল বুঝিয়ে দেন অতিথিগন।
]]>
সত্যের সংবাদঃ
আসন্ন সাভার পৌরসভার নির্বাচনে সাভার পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ এরশাদুর রহমান ব্রীজ মার্কায় নির্বাচনী প্রচারণায় ভোটারদের দ্বারে দ্বারে এখনো যাচ্ছেন,নির্বাচিনী পোষ্টার ছেয়ে গেছে ওয়ার্ডের ওলিগলিতে। নির্বাচনী প্রচারনাকালে একমাত্র তিনিই আচরন বিধি লঙ্গন না করে ব্যস্ত সময় পার করেন পৌর ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী এরশাদ। এখনো তার বিরুদ্ধে নেই কোন অভিযোগ, শান্তি প্রিয় এলাকাবাসীর কথা মনে রেখে তিনি কোন মটর মহরা,কারো সাথে ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত না হওয়া, কারো বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক কথা বলা থেকে বিরত থেকেছেন তিনি।ব্রীজ মার্কায় বিপুল ভোটে বিজয় হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন এই প্রার্থী।
কর্মী সমর্থকরা জানান, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজন কয়েকবার অফিসের সামনে মোটর মহড়া দিয়ে ভয়ভিতি প্রদর্শন করতে চেয়েছিল। কিন্তু শান্তি প্রিয় নেতা যিনি এখন কাউন্সিলর প্রার্থী এরশাদ। তার নির্দেশ মোতাবেগ সেই কথা মাথায় রেখে ব্রীজ মার্কায় প্রচারনা চালিয়েছেন তারা। তিনি একজন ন্যায় পরায়ন নেতা যিনি বিভিন্ন মসজিদ,মাদ্রাসা,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে,সামাজিক কর্মকান্ডে, এলাকার রাস্তা ও ড্রেনেজ কাজে উন্নয়নে হাত রয়েছে। তিনি মহামারি করোনার সময় সরকারী সহযোগিতা সহ নিজের অর্থায়নে গরীব-অসহায়দের মাঝে করেছেন ত্রান বিতরন ও নগদ অর্থ। তাই ভোট পাওয়ার যোগ্যতা তিনিই রাখেন। ভোটারগন সু- চিন্তায় মতামত রেখে নির্বাচিত হয়ে আসুক এটিই তাদের কাম্য।
এলাকার সাধারণ ভোটাদের সাথে রয়েছে কাউন্সিলর প্রার্থীর সুহৃদয় সম্পর্ক। খোঁজ নিয়ে জানা যায় এলাকার প্রায় ভোটারদের পছন্দের তালিকায় রয়েছেন ব্রীজ মার্কায় কাউন্সিলর পদপ্রার্থী বয়জিষ্ঠ্য এই নেতা।
এবারের নির্বাচনে অনেকের অঙ্গীকার ব্রীজ মার্কার হবেই জয়,কারন তিনি সমাজসেবক, গরীবের বন্ধু ও কর্মঠ ব্যক্তি,পড়েন ৫ ওয়াক্ত নামাজ,তিনি একজন মুসলিম, মাদকের সাথে নেই তার সম্পর্ক ।
দুইবারের নির্বাচনে নিকটে এসে থেমে গেলেও হার মানেনি এরাশাদুর রহমান।
তিনি বিনয়ী হয়ে এবার ভোটারদের নিকট চেয়েছেন ভোট। স্থানীয়দের মতে যে কোন সাহায্য সহোযোগীতায় মোঃ এরশাদুর রহমানকে কে নিঃস্বার্থভাবে পাশে পান।
মোঃ এরশাদুর রহমানের নিকট প্রতিবেদক জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি আজ শান্তি প্রিয় মানুষের পক্ষে। এই ওয়ার্ডে চাই শান্তি, শান্তির সুবাতাস বইছে, বইবে নির্বাচিত হওয়ার পরও োোো। আমি মনে করি আমি কারো সূত্র না, আমি একজন বন্ধু হতে চাই, ভোট প্রদানের মধ্য আমি নির্বাচিত হলে সকলকে আগলে রাখতে। তার জনপ্রিয়তা রয়েছে অন্তরের মানুষের মুখে মুখে। আমি দীর্ঘদিন হতে রাজনীতি করে আসছি, সমাজের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম অংশগ্রন করে থাকি। তিনি রেডিওকলোনি-নয়াবাড়ী এলাকায় একটি মসজিদের সাধারন সম্পাদকের দ্বায়িত্ব পাওয়ার পর আধুনিক ও নান্দনিক বহুতল ভবন নির্মিত হচ্ছে,তিনি সকলের নিকট দোয়া চান ।
এই ওয়ার্ড কে নিয়ে আমার অনেক অনেক ভাল স্বপ্ন রয়েছে যা জনগনই হবে উপকৃত। আমি নির্বাচিত হলে এই ওয়ার্ডের মানুষকে নিয়ে সুন্দর করে গড়ে তুলা হবে-ইনশাল্লাহ।
প্রতিবেদকঃ-শেখ এ কে আজাদ,সাভার,ঢাকা।
]]>দেখুন তার সাক্ষাতকার..
শেখ এ কে আজাদ সাভার থেকেঃ
সাভার পৌর নিবার্চনে ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মোঃইউনুস পারভেজের জনকল্যানমূলক বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি নিয়ে কর্মীসভা হয়েছে গতকাল রাতে।
তিনি বলেছেন সে একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান তাকে এলাকার ভোটাররা ১৬ জানুয়ারি ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে এলাকায় কোন চাঁদা বাজ ও সন্ত্রাস থাকবে না,
বাহিরের লোক মারা গেলে তাদের মাটি না দেয়ায় কবরস্থানের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি করে দেয়া হবে,এলাকায় যে সকল রাস্তাঘাট আটকিয়ে জনগনের অসুবিধা করা হচ্ছে সেগুলোকে উম্মুক্ত বা অবমুক্ত করে দিবেন তিনি।
তিনি আরো বলেছেন আপনারা আমাকে আপনার মূল্যবান ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন আগামীতে সকল রাস্তা পাকাকরণের আওতায় আনা হবে। সাভার টু বিরুলিয়া রোডকে হাইওয়ে করে প্রশস্ত করা হবে,দিলখুশাবাগ এলাকার রাস্তাটি অবমুক্ত করে ঢাকা- আরিচা রোডের সাথে মিলিত করা হবে। গরীব অসহায়,বিধবা বৃদ্ধদেরকে পাশে রেখে তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া হবে,ডিজিটাল আওয়াতায় এনে সকল নাগরিকের প্রত্যায়নপত্র ঘরে বসে পাবে,নিজের অর্থায়নে ছিন্নমূল শিশুদেরকে লিখাপড়ার আওতায় আনবেন বলে আরো অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
সাভার পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে শুক্রবার জুম্মার নামাজ আদায়ের পর ভোটের মাঠে পাড়া মহল্লায় ইতিমধ্যেই মোশাররফ হোসেন ডালিম প্রতিকে তিনি নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন । দোয়া নিচ্ছেন শিশু, তুরুন থেকে বয়জিষ্ঠ্য,মেহনতি,পুরুষ-মহিলা এলাকার ভোটারের নিকট থেকে। পৌরসভায় এ ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পাড়া- মহল্লায়, রাস্তা-ঘাটে, হোটেল-রেস্তোরায়, চায়ের দোকানে, রাজনৈতিক কার্যালয়ে আলোচনায় গুঞ্জরিত হচ্ছে মোশাররফ হোসেনকে নিয়ে। নির্বাচনকে ঘিরে সবার মুখে মুখে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে মোশাররফ হোসেনের ডালিম প্রতিক রয়েছেন আলোচনার শীর্ষে। তিনি অসহায় গরীব সাধারন জনগণের আস্থাভাজন ছিলেন এখনো রয়েছেন এই তরুন কাউন্সিলর প্রার্থী।
শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে ২০২০ সাভার পৌর নির্বাচন। পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামিলীগের সভাপতি মোঃহাফিজ উদ্দিন নির্বাচনে প্রার্থীতা বৈধ হওয়ায় এলাকাবাসীকে জানিয়েছেন অভিনন্দন। ৩০ ডিসেম্বর প্রতিক পাওয়ার পর গনসংযোগে থাকবেন বলে জানান তিনি।
বিগত দিনে সাভার পৌরসভার ৭ ওয়ার্ডের গরীব ও দুঃখী,সাধারণত মানুষের পাশে ছিলেন,আগামীতেও থাকবেন তিনি। জনবহুল এ ওয়ার্ড এলাকায় প্রায় ২৩ হাজার ভোটার রয়েছে। গত নির্বাচনে এলাকায় জনপ্রিয়তা থাকায় অল্পভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হতে পারেন নি তবে সকল ভোটারের প্রতি কৃতজ্ঞ প্রকাশ করেছেন।
তিনি এলাকাবাসীর নিকট দোয়া কামনা করে আগামী ১৬ জানুয়ারী নির্বাচনে ভোটাররা তাকে একবারের জন্য জয়যুক্ত করলে জনপ্রতিনিধি হয়ে জনগনের পাশে থাকতে চান এবং কি নির্বাচিত হতে পাড়লে পৌর এলাকার উন্নয়নের কাজে অগ্রণি ভূমিকা থাকবে।
তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বহু সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে জরিত রয়েছেন।
তিনি আরো জানান এ ওয়ার্ডে মাদকের ছড়াছড়ি মাদক নির্মূলে ভূমিকা রাখবেন ,বিভিন্নভাবে মানুষ দূর্ভোগ হচ্ছে তাদের পাশে থাকবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
]]>
শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
ঢাকায় বাস-ট্রাকের চাপ কমাতে সাভারের বিরুলিয়া,হেমায়েতপুর,কেরানীগঞ্জ,ও কাঁচপুর এলাকায় নতুন আন্তজেলা বাস-ট্রাক টার্মিনাল করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (২৩) দুপুরে সাভারের বিরুলিয়া ও ঢাকা আরিচা মহাসড়কের হেমায়েতপুর বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় প্রস্তাবিত এ আন্তজেলা বাস ট্রাক টার্মিনানের জায়গা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এসময় আরও বলেন,গণ পরিবহনে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে ও জন দুর্ভোগ কমানো হচ্ছে। এসব এলাকায় নতুন বাস ট্রাক টার্মিনাল হলে ঢাকা শহরে আর গাড়ির চাপ থাকবে না এছাড়া ঢাকার মহাখালী ও সায়দাবাদ বাস টার্মিনালে শুধু লোকাল থাকতে পাড়বে কিন্তু দুর পাল্লার বাস থাকতে পারবে না বলেও বলেন তিনি।
পরিদর্শনে এসময় উত্তর সিটি করর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামসহ ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
শেখ এ কে আজাদ ও রফিকুল ইসলাম জিল্লু থেকেঃ
ঢাকা জেলার সাভার পৌরসভা নির্বাচনে মনোয়নপত্র দাখিলের ২০ ডিসেম্বর রবিবার পর্যন্ত দিন ছিল শেষ এদিন পর্যন্ত ৪ জন মেয়র প্রার্থী ও সাধারন কাউন্সিলর ৪৯ জন,সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১০ জন মোট ৬৩ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ গ্রহণের জন্য মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন,বাছাই পর্ব ২২ ডিসেম্বর, ভোট ১৬ জানুয়ারি।
রবিবার শেষ দিন সকালে হতে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত প্রার্থীরা তাদের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে
সিনিয়র জেলা রিটার্ণিং কার্যালয় ও সাভার পৌর নির্বাচনী রিটার্ণিং অফিসারের কার্যালয়ের সাভার সরকারী কলেজে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
এসময় সাভার পৌরসভার নির্বাচনে অংশ গ্রহণের লক্ষ্যে মেয়র পদে ২০ ডিসেম্বর রবিবার সকালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সাভার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেয়র হাজী আব্দুল গণি মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিসেস হাসিনা দৌলা, আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ফারুক হাসান তুহিন, সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক কামরুজ্জামান, গোলাম ফয়েজ উদ্দিন খান শিহাব,সাভার উপজেলা বেশীরভার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সহ অসংখ্য নেতাকর্মী। পরে দুপুর আড়াইটারদিকে ইসলামি আন্দোলনের প্রার্থী মো: মোশারফ হোসেন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।এসময় তার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
তারপর পরই বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী সাবেক পৌরসভার মেয়র ও পৌর বিএনপি’র সভাপতি হাজী মো: রেফাত উল্লাহ নেতাকর্মীদের নিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
বিকাল ৫ টায় সর্বশেষ মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সিনিয়র জেলা রিটার্ণিং অফিসার ও সাভার পৌর রিটার্ণিং এর নিকট মনোনয়নপত্র দাখিল করেন আক্তারুজ্জামান কুটি মোল্লা। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন সাভার সরকারী কলেজের উপাধ্যক্ষ দিল আফরোজ প্রমুখ।
সাভার পৌরসভার সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে মোট ১০ জন প্রার্থী। ১, ২ ও ৩ আসনে ৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড থেকে ২ জন এবং ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড থেকে ৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
সাভার পৌরসভার সাধারণ ৯ টি ওয়ার্ড থেকে মোট ৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
তাদের মধ্যে ১ নং ওয়ার্ড থেকে ৭ জন, ২ নং ওয়ার্ড থেকে ২ জন, ৩ নং ওয়ার্ড থেকে ৭ জন, ৪ নং ওয়ার্ড থেকে ৪ জন, ৫ নং ওয়ার্ড থেকে ৭ জন, ৬ নং ওয়ার্ড থেকে ৯ জন, ৭ নং ওয়ার্ড থেকে ৬ জন, ৮ নং ওয়ার্ড থেকে ৩ জন এবং ৯ নং ওয়ার্ড থেকে ৪ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন।
সাভার পৌরসভা সাধারন নির্বাচনে রিটার্ণিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন ঢাকা জেলার সিনিয়র নির্বাচন অফিসার মো: মুনীর হোসাইন খান। তিন জন সহকারী রিটার্ণিং অফিসার হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। তারা হলেন, সাভার উপজেলা নির্বাচন অফিসার ফখর উদ্দিন শিকদার, কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো: আ: আজিজ ও মিরপুর থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ শাহজালাল।