ছবিটি বুধবার সকাল ৭টায় গেন্ডা বাসষ্ট্যান্ড থেকে তোলা হয়েছে। ছবিঃ সত্যের সংবাদ
নিজেস্ব প্রতিবেদক,সাভারঃ
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গেন্ডা বাসস্ট্যান্ডের পাশে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ পরে আছে। ময়লা-আবর্জনার স্তূপে দূর্গন্ধে এলাকা হয়ে পড়েছে বিষময়। বুধবার (১) জানুয়ারি সকাল ৭টায় গেন্ডা বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় এ ময়লা স্তুপ পরে থাকতে দেখা গেছে ।
প্রতিদিনের মত এ বাসস্ট্যান্ড দিয়ে যাতায়াত করে হাজার হাজার সাধারন মানুষ, শিক্ষার্থী, পোশাক শ্রমিক, কর্মজীবী ও পথচারীরা। প্রতিদিন সকালে একাধিক স্কুল বাস এই বাসষ্ট্যান্ড থেকে শিক্ষার্থীদের তুলে স্কুলে নিয়ে যায়। ফলে বাসের অপেক্ষায় আবর্জনার স্তুপের পাশেই বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
পৌরসভা ভবনের সন্নিকটে হওয়া সত্বেও কর্তৃপক্ষ যেন দেখেও না দেখার ভান করছে অভিযোগ করছেন চলাচলকারী সাধারন মানুষ।
সংবাদডেক্সঃ
সাবধান হতে প্রত্যেক অভিভাবকের ভিডিওটি দেখা উচিৎ। বাবা-মায়ের সবচাইতে প্রিয় হলো নিজের সন্তান। আর সন্তানকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বাবা-মা সব কিছুই করতে পারেন। তাই ছোটবেলা থেকেই চেষ্টার কোনো কমতি থাকে না কোনো কিছুর। পড়াশোনা, খেলাধুলা, আদব-কায়দা শেখানো, সামাজিকতা শেখানোসহ খুঁটিনাটি সব বিষয়েই খেয়াল রাখেন তারা। কিন্তু আপনি কি খেয়াল করছেন যে আপনার সন্তান বয়সের সাথে সাথে সবার সাথে মিশতে শিখছে কিনা?
কলেজ পড়ুয়া মেয়েরা ঘন্টা চুক্তিতে আবাসিক হোটেলে এসব কি করছে? বার বার সংবাদ হচ্ছে। শতর্ক থাকতে হবে অভিভাবকদের।
সবার শেখার ক্ষমতা একরকম না। আর তাই কিছু শিশু একটু দেরীতে শিখে। বিশেষ করে একক পরিবারে কর্মজীবি বাবা-মায়ের সন্তানদের সবার সাথে মিশতে সমস্যা হওয়া, সমবয়সী শিশুদের সাথে খেলতে না চাওয়া, কথা কম বলা, বাসায় মেহমান এলে পালিয়ে যাওয়াসহ আরো নানা রকম সমস্যা হতে পারে।
এক্ষেত্রে শিশুর প্রয়োজন বাবা-মায়ের সহযোগিতা। অনেক ক্ষেত্রে বাবা মায়েরা সন্তানকে এসব কারণে বকা দেন কিংবা অন্য শিশুর সাথে তুলনা করেন। এতে সন্তানের আত্মবিশ্বাস আরো কমে যায় এবং সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেন।
*জেনে নিন এক্ষেত্রে কি করা উচিত।
খেলনা ছাড়া কিছু খেলা খেলুন সন্তানের সাথে। যেমন ছোঁয়াছুঁয়ি, কানামাছি, ইচিং-বিচিং, লুকোচুরি ইত্যাদি। এই ধরণের খেলাগুলো নিয়মিত খেললে আপনার সন্তান আপনার সাথে আই কন্টাক্ট করতে পারবে সহজেই এবং আপনি কি বলছেন সেটা অনুসরণ করতে পারবে।
আপনার সাথে সহজভাবে খেলতে পারলে কাছের আত্মীয়দের কিংবা বন্ধুদের বলুন তার সাথে এভাবে খেলার জন্য। ধীরে ধীরে সহজভাবে মিশতে শিখে ফেলবে আপনার সন্তান।
সূত্র-অনলাইন
]]>সাভারের হেমায়েতপুর এলাকায় জাহাঙ্গীর হাজির পাঁচ তলায় ভবনে নিখোঁজে ১ দিন পর সাভার মডেল থানা পুলিশ অভিযান করেনা নাজিফা ( ৮) নামের একটি মেয়ে শিশু শিক্ষার্থীর রহস্যজনক লাশ উদ্ধার, আটক-২।
নিহত শিশু শিক্ষার্থী নাফিজার লাশ উদ্ধার।
নিহত শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত শিশু নাফিজা হেমায়েতপুর এলাকার গোল্ডেন বাংলা স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিলো।
স্থানীয় সূত্রে জানায়, ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় শিশুটি নিখোঁজ হলে সন্ধান চেয়ে চারপাশে মাইকিং করে শিশুর স্বজনরা । শিশুটি তার মা ফাতেলা বেগমের বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় একটি নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি করেন।
পুলিশ জানায়,সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের হেমায়েতপুরের জয়নাবাড়ী মোল্লাপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর হাজীর পাঁচতলা বাড়ির একটি কক্ষ থেকে
নিখোঁজের একদিন পরে শুক্রবার (২৭) ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭ টার দিকে পুলিশ খবর পেয়ে নাফিজা (৮) নামে রহস্যজনক নিহত শিশু মেয়েটির লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তারা জাহাঙ্গীর হাজীর পাঁচ তলায় ভবন ভাড়া বাসায় বাস করতো এবং সন্দেহমূলক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোনালী (৩০) ও তার স্বামীকে নামে আটক করা হয়েছে।
জানা যায়, নিহত শিশু মেয়েটির বাসায় ঐ সময় কেউ না থাকার সুযোগে মেয়েটিকে মেরে নিজের বক্স খাটের নিচে বস্তা বন্ধি করে রাখে পাশের বাড়াটিয়া সোনালী নামের মহিলা। নিহত মেয়েটির বাসায় কেউ না থাকলে সে তাকে দেখা শুনা করতো তারা। শিশু নাফিজার বাবা হাবিবুল্লাহ নিপু তিনি এক মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে বেশ কিছুদিন যাবৎ একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
শিশু মেয়েটির মা ম্যাক্স নামে একটি গার্মেন্টস কারখানায় চাকরী করে। তিনি গতকাল বাসায় ফিরে অনেক খুজাখুজির পর শিশু সন্ধান না পেয়ে সাভার মডেল থানায় নিখোঁজের একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে একদিন পর শুক্রবার ঐ ভবনে প্রতিটি ফ্লাটের ১ ঘন্টা অভিযান করে শিশুটির দেহ সোনালীর ফ্লাটের বক্সখাটের ভিতর থেকে বস্তাবন্ধি অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত নাফিজার আর এক বোন নিপা (১৪) নামে বিকেলে মাদ্রাসায় পড়তে গেলে এই সুযোগে তাকে নির্যাতন করে শ্বাসরুদ্ধ খুন করে ।
হত্যাকারী সোনালী ও তার স্বামী মোকছেদুল ইসলামকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ।
সাভার মডেল থানার এসআই এনামুল হক জানান, শিশুটির লাশ উদ্ধার করতে বাড়ির প্রতিটি ফ্লাটে অভিযান করা হয়। পরে পাশের ফ্লাটের সোনালীর রুমে বস্তাবন্ধি অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে হত্যাকারী সোনালী ও তার স্বামী মোকছেদুল ইসলামকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় আনা হয়েছে। তবে শিশুটিকে নির্যাতনের পর শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারনা।
সাভার মডেল থানায় শিশু অপহরণ ও হত্যা মামলা দায়ের এর প্রস্তুতি চলছে।
সাভারের শীর্ষ সন্ত্রাসী ডজনখানী মামলার উপরে আসামী আল-আমিন ও তার ৩ সহযোগীসহ গ্রেফতার হয়েছে। এ সময় তার নিকট থেকে সাড়ে ১৬ লাখ টাকা মূল্যের হোরাইন, ওয়ান শুটারগান ও ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে র্যাব-৪।
র্যাব-৪ এ উদ্ধার অভিযানে তিনজনকে গ্রেফতার করে র্যাব বাদী হয়ে দারুস সালাম থানায় ২৭ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুরে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য আইনে পৃথক দু’টি মামলা (নং-২৭ ও ২৯) দায়ের করা হয়েছে।
র্যাব জানায় , রাজধানীর দারুস সালাম থানার লালকুটি এলাকার এডভোকেট রেজাউর রহমানের বাসার ভাড়াটিয়া হিসেবে আল আমিন বসবাস করতেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে র্যাব-৪-এর পুলিশ সুপার নরেশ চাকমার নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টায় এ বাসায় অভিযান চালিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী আল-আমিনকে ৩ সহযোগীসহ আটক করা হয়। পরে আল আমিনের বাসায় তল্লাসী চালিয়ে ১৬৬ গ্রাম হেরোইন যার মূল্য আনুমানিক ১৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ২ রাউন্ড গুলিসহ একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলো, সাভার উপজেলার বিরুলিয়া ইউনিয়নের ভবানীপুর এলাকার আব্দুল অলির ছেলে স্থানীয় শীর্ষ সস্ত্রাসী আল আমিন (৩৫), সাভার উপজেলার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের পদ্মার মোড়ের বাসিন্দা শাজাহান তালুকদারের ছেলে আলম (৪২), সাভার উপজেলার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের হেমাযেতপুরের জয়নাবাড়ি এলাকার লাবু মিয়ার ছেলে সালাউদ্দিন (৩৯) ও সাভার উপজেলার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের হেমায়েতপুর এলাকার মতি মিয়ার ছেলে (৩৫)।
র্যাব জানায়, আল আমিনের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় একাধিক খুন, ডাকাতি, অস্ত্র, চাঁদাবাজিসহ ১৭টি মামলা রয়েছে তাকেসহ তার তিন সহযোগিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঢাকার সাভারে শিশু ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে ১ জন ৫০ বছরের বৃদ্ধধাকে আটক করে সাভার মডেল থানা পুলিশ।
সাভারে নামা গেন্ডা বটতলায় এলাকায় শুক্রবার দুপুরে ৪ বছরের শিশু ধর্ষণের চেষ্টা অভিযোগ আটক একজন।
সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক আসাদ বলেন শিশু ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে ১ জনকে আটক করে সাভার মডেল থানায় আনা হয়েছে। তিনি আরও বলেন শিশু ধর্যনের চেষ্টায় সাভার মডেল থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
]]>ঢাকার সাভারে শীত বস্ত্র বিতরণে অনিয়ম ও দলীয় নেত্রীদের মাঝে বিতরণে অভিযোগ উঠেছে আর কম্বল বিতরণে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় সাভার উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াসমিন আক্তার সুমির বিরুদ্ধে।
বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে এবারের শীতে সাধারন গরীব ও অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণের জন্য সারা বাংলাদেশের ন্যায় সাভারে কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে।
কিন্তু অসহায় ও গরীব মানুষকে না দিয়ে স্থানীয় নেত্রীদেরকে দিয়ে অন্যায় অপরাধ করেছেন বলে জানিয়েছেন অনেকে।
সাভারে কম্বল বিতরনের ছবি নিউজ গার্ডেন নামকসহ একটি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আলোরন সৃষ্টি করেছে ঐ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুমির।
বর্তমানে কম্বল বিতরনের অনিয়মের অভিযোগ বিভিন্ন ফেসবুকে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াসমিন আক্তার সুমির বিরুদ্ধে ‘টক অব দ্য সাভার’ আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
ধারাবাহিকতায় সাভারে কম্বল বিতরণের জন্য সাভার উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের মাধ্যমে গরীব,অসহায় ও দুঃখী মানুষের মাঝে সরকারি কম্বল বিতরণ করা জন্য কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিলো। তা না করে দলীয় নেত্রীদের দেওয়া অন্যায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ২৬ ডিসেম্বর সাভার উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তার বাস ভবনে দলীয় নেত্রীদের মাঝে কম্বল বিতরণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ফেসবুকে পোস্ট করে ইয়াসমিন আক্তার সুমি। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াসমিন আক্তার সুমির মুঠোফোনে কম্বল বিতরণের বিষয়ে জানতে চাইলে তার মঠোফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজুর রহমান এর মোবাইল ফোন বন্ধ থাকার কারনে যোগাযোগ করা যায়নি এবং তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সাভার উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান এর ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে জানা যায় তিনি গতকাল আনুমানিক ৫০ টির মতো কম্বল দলীয় নেত্রীদের হাতে দিয়েছিলেন অসহায় ও গরীব মানুষকে বিতরণে জন্য। ঢাকা জেলা মহিলা লীগের আহবায়ক আলেয়া বেগমসহ কয়েকজন নেত্রিকে কম্বল গ্রহন করতে দেখা গেছে।
]]>