সাভার পৌরসভার রেডিওলোনির নিকটে জ্বালেশ্বর এলাকায় শীর্ষ স্থানীয় প্রেসিডেন্সি স্কুলের পক্ষ থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী,অভিভাবক, দেশবাসী সকলকে ২৬ মার্চ ২০২৫ মহান স্বাধীনতা দিবস ও পবিত্র রমজান এবং অগ্রীম ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন স্কুলটির প্রিন্সিপাল সাবীরা ইয়াসমিন।
রমজান ও ঈদের ছুটি কাটানোর সময় ছাত্র ছাত্রীদের হোম ওয়ার্ক থাকে তারা যেন উৎসবের সাথে সাথে লেখাপড়া চালিয়ে যায়।নিয়মিত পড়াশুনা করলে স্কুলের শিক্ষার্থী ভাল রেজাল্ট করবে ইনশাআল্লাহ ।
সাবীরা ইয়াসমিন
প্রিন্সিপাল
জ্বালেশ্বর,সাভার,ঢাকা।
শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার থেকে:
সাভার পৌর রেডিওকলোনী কলোনি নিকটে জলেশ্বর এলাকার শীর্ষস্থানীয় প্রেসিডেন্সি স্কুলে ক্ষুদে ডাক্তার কর্মসূচি ২০২৪ উপলক্ষে বর্ষসেরা অনুপ্রেরক নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (২৫) নভেম্বার সকালে স্কুল ক্যাম্পাসে এ ক্ষুদে ডাক্তার নির্বাচক অনুষ্ঠান হয়।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাভারের সুপার মেডিকেল হসপিটাল প্রাইভেট লিমিটেড এর ফিজিওথেরাপি বিভাগের প্রধান বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিষ্ট ও কনসালটেন্ট ডা:মো:আমিনুল ইসলাম।এসময় ডা:মো:আমিনুল ইসলাম বলেন ক্ষুদে ডাক্তাররা তাদের পারফরম্যান্স সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পেরেছেন এই পারফরম্যান্স ধরে রাখতে সহযোগিতা দরকার পরলে সুপার মেডিকেলের পক্ষে করা হবে এবং মেডিকেল হসপিটাল থেকে আরো অন্যঅন্য সহযোগিতা করবে বলেও জানান।
এসময় আরো অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,ডা: মো: লুৎফর রহমান,স্কুলটি উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নাদিয়া নূর জুঁইসহ আরো অনেকে। সভাপতিত্ব করেন প্রেসিডেন্সি স্কুলের প্রিন্সিপাল সাবীরা ইয়াসমিন।
এসময় ক্ষুদে ডাক্তার শিক্ষার্থীর মাঝে উপহার তুলে দেয়া হয়। ক্ষুদে ডাক্তারদের পারফরম্যান্স অনুষ্ঠানে গানের সাথে সাথে নৃত্য ও যাদু উপভোগ করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।
]]>
শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদনে, সাভার:
বৈশম্যবিরোধী চলমান ছাত্র আন্দোলনে এবার শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের তোপের মুখে শুকুরজান জিন্নত আলী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ।সোমবার থেকে ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সংস্করন আন্দোলনে প্রধান শিক্ষকসহ সহকারি কয়েকজন শিক্ষকের পদত্যাগ দাবী করে আসছিল।বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের দাবীর মুখে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক নওসের আলী পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন ।
শিক্ষার্থীরা এক দফা দাবীর সাথে কয়েটি দফা যোগ করে বিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি অভিযোগ এনে প্রধান শিক্ষকসহ সহকারী শিক্ষকদের পদত্যাগ করার জন্য সোমবার থেকে বিদ্যালয়ে আন্দোলন করে।
মঙ্গলবার সকালে আবারো ছাত্র আন্দোলনের মুখে বিদ্যালয়ের আরো কয়েকজন শিক্ষকের পদত্যাগ দাবী করলে বিদ্যালয়ে প্রধান ফটকে দিয়ে তারা সাভার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে চলে যায়। শিক্ষকরা হলেন লাবনী,মিজান, বুলবুলি, সুমাসাহা,আশরাফুন্নছে।
চলবে..
]]>বৈশম্যবিরোধী ছাত্র সংস্করন আন্দোলনে সাভার মডেল কলেজের বুধবার ও বৃহস্পতিবার ছাত্রদের দাবীর মুখে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আলী হোসেন এর পদত্যাগে ফলে পূণরায় পূর্ণবহাল হলেন অধ্যক্ষ তৌহিদুল ইসলাম।
প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ তৌহিদুল ইসলাম দ্বায়িত্ব পালনকালে শিক্ষারমান ভালো ছিল, দুদিনের সংস্করন আন্দোলনে পূনরায় পদটি তিনি ফিরে পান।
তিনি স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগের শাসন আমলে রাজনৈতিক মামলায় হেনস্থা হলে বারবার অধক্ষের পদটিতে আসন হয় বিগত কয়েকজন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সংস্করন আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের প্রবল আন্দোলনের মুখে সাভার সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ ড. দিল আফরোজা শামীম হেনাকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সাভার সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদের তিন ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে সর্বসম্মতিক্রমে তাকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
সাভার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ ইমরুল হাসান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট ৯ দপ্তরে পাঠানো এক চিঠিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। আদেশের একটি কপি প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে।
অব্যাহতির আদেশের পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সকল দাবি মেনে নিয়েছেন মর্মে ঘোষণাও দেন অধ্যক্ষ। এ সময় শিক্ষক পরিষদ, বিভাগীয় প্রধানগণসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পরাজিত স্বৈরাচার সরকারের অন্যতম সহযোগী এবং সাভার সরকারি কলেজের অবৈধ উপাধ্যক্ষ উল্লেখ করে ড. দিল আফরোজা শামীম হেনার অপসারণ ও অবিলম্বে পদত্যাগসহ ১৮ দফা দাবি পেশ করে কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, ড. দিল আফরোজা শামীম হেনা পহেলা নভেম্বর ১৯৯৫ সালে প্রভাষক হিসেবে সাভার সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে যোগদান করেন।
২০১৬ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৎকালীন বিভাগীয় প্রধান মঞ্জুরুল আলম খান তপনকে রাজনৈতিকভাবে হেনস্তার পর সাময়িক বরখাস্ত করিয়ে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে ওই বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব বাগিয়ে নেন। এরপর পালাক্রমে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ২০১৭ সালে সরকার দলীয় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পুনরায় জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষের দায়িত্ব নেন ড. দিল আফরোজা শামীম হেনা। তিনি সাভার পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মানিক মোল্লার স্ত্রী। দীর্ঘ ৭ বছর ধরে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে সবার মুখ বন্ধ করে রাখেন অব্যাহতি প্রাপ্ত এই উপাধ্যক্ষ। তার বিরুদ্ধে স্বৈরতান্ত্রিক ভাবে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। ড. দিল আফরোজা শামীম হেনার অব্যাহতির পর কলেজে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বছর ঘুরে আবার ফিরে এলো ভাষা দিবস। পৃথিবীতে একমাত্র আমরাই যারা মায়ের ভাষা কথা বলতে লড়াই করেছি।এই ভাষায় কথা বলে আমি আমরা যে শান্তি পাই তা আর কোন ভাষাতে পাই না।বাংলা ভাষাকে আমাদের মায়ের ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ে লড়াই করেছে বর্গীদের ওপরে।ভাষার জন্য অকুতোভয় দুঃসাহসী সংগ্রাম করে নিজেদের জীবন বাজি ধরতে কুন্ঠাবোধ করেনি।এই ভাষাতেই বাংলা ভাষা ভাষি মানুষেরা পরম তৃপ্তি লাভ করে।কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে রফিক সালাম জব্বার শফিউলদের মহান ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত সেই ভাষার মান আজও দিতে পারি না।তাদের ত্যাগের সেই মহিমাগাথা ইতিহাস। এই প্রজন্মের তরুনেরা জানে না তাদের বীরত্বের সেই ইতিহাস। সম্প্রতিকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একট নিউজ বুলেটিন আমাদের ভাবাচ্ছে যাদের ত্যাগ তিতিক্ষার জন্য আমরা বাংলা ভাষা পেয়েছি, আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম পরম্পরায় জানে না ভাষা শহীদদের ত্যাগ সম্পর্কে। জানে না ভাষা দিবস সম্পর্কে। কোন বছর কোন মাস কত তারিখ। এটা আমাদের ভাববার বিষয়। অথচ এ ব্যার্থতার দায আমরা অস্বীকার করবো কি করে।ভাষা সংগ্রামের প্রায় ৪৭ বছর পর কানাডা প্রবাসী দুই ভাষা গবেষক আবদুস সালাম ও মোঃ রফিকুল ইসলাম নামে বাংগালী তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে সারা বিশ্ববাসী জানতে পারে আমাদের ভাষা আন্দোলনের কথা। পরিশেষে ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের ইওনোস্ক বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।সারা বিশ্বের মানুষ জানতে পারে বাংলা ভাষা সর্ম্পকে। ভাষার জন্য সংগ্রাম করতে হয়।বাংগালীর গৌরবগাঁথা ইতিহাস জানতে পার। ২১ শে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে নির্বিবাদে পালন করা হয় ভাষা দিবস হিসেবে।দীর্ঘ দিন পর ২০০৬ সালের পর সেনা সমর্থিত সরকার ভাষা শহীদদের ত্যাগ তিতিক্ষার গৌরবগাঁথা ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্বলিত স্মৃতি চিন্হ সংরক্ষণে।ভাষা শহীদর নিজ গ্রামে প্রতিষ্ঠা করে ভাষা শহীদ স্মৃতি পাঠাগার। আজ মহান শহীদ দিবসের এক্ষনে চাই দেশের সর্বত্র বাংলা ভাষার প্রচলন। দেশের জাতীয় পাঠ্যক্রম মহান ভাষা শহীদদের ত্যাগের ইতিহাস অন্তর্ভুক্ত করণ।সারাদেশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে শহিদ দিবস উদযাপন ও শহীদ মিনার স্থাপন। পাশাপাশি পাঠ্যপুস্তকে তাদের জীবনী অন্তর্ভুক্ত করা তরুণ প্রজন্মকে তাদের গৌরব গাঁথা ইতিহাস জানানো।
পরিশেষে বলতে চাই
মোদের গবর মোদের আশা
আ-মরি বাংলা ভাষা।
]]>
শেখ এ কে আজাদ, প্রতিবেদক,সাভার:
সাভার পৌর এলাকার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে ব্যাংকলোনি ল্যাবরেটরি স্কুলে ২০২৪ বার্ষিকী ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রতিযোগি শিক্ষার্থীর মাঝে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সাভার পৌর ব্যাংক কলোনি ক্যাম্পাসে এ পুরস্কার বিতরণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকলোনি ল্যাবরেটরি স্কুলের প্রিন্সিপাল আমিনুর রহমান,কো-অর্ডিনোট রুবিউল ইসলাম ও ব্যাংকলোনী ক্যাম্পাসের আনন্দপুর ল্যাবরেটরি কলেজ’এর প্রিন্সিপাল মো: খালিদ হোসেন উপস্থিত থেকে পুরুস্কার বিতরণ করেন।
এসময় ব্যাংককলোনী ল্যাবরেটরি স্কুলের ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জারিন রিয়েল এ্যাস্টেট এন্ড ডেভলপারের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন। এছাড়াও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য এপোজি ড্রিম হাউজিং এর ডিরেক্টর মো: জুলফিকার আনসারি,মো: আলীনুর রহমান শাওন (বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক সত্বাধীকার শাওন ইলেক্ট্রিক)
যেমন খুশি তেমন সাজো ও অভিভাবক মহিলাদের বালিশ খেলা এবং হাড়ি ভাঙ্গাসহ ৫১ টি বিজয়ী প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরণী করা হয়।
শেখ এ কে আজাদ, প্রতিবেদক,সাভার থেকে:
সাভার পৌর ব্যাংক কলোনি এলাকা হ্যাপী আইল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে ২০২৪ বার্ষিকী ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রতিযোগিতা অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃহস্পতিবার পুরুস্কার বিতরণ করা হয়। এসময় স্কুলের ফাউন্ডার ও প্রিন্সিপাল আহাম্মেদ আলী প্রতিযোগিতা অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করেন।
অংশগ্রহনকারী ক্লাস ফোরের এক শিক্ষার্থী সে কাতলাপুরের নূরুল ইসলামে ছেলে হ্যাপী আইল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে ২০২৪ বার্ষিকী ক্রিড়া প্রতিযোগিতায় ক্লাস ফোরের শিক্ষার্থী আবু তালেব নিরব বেলুন খেলায় প্রথম স্থান অধিকার করায় তার পিতা মাতা ও আত্মীস্বজন মনের আনন্দ উপভোগ করেছেন।
নূরুল ইসলাম জানান, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনকারী ছেলে-মেয়েদের মধ্যে আমার ছেলে আবু তালেব একটি খেলায় প্রথম স্থান অধিকার করায় আমি ও আমার পরিবার মহাখুশী। তিনি আরো জানান,পুরুস্কার ছোট হোক আর বড় হোক তা কোন সমস্যা না এটিও সম্মান বয়ে আনে আগামীতে লিখাপড়া ও খেলাধুলায় অংশগ্রহন করে এগিয়ে যাবে এটি আমাদের চাওয়া।
শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার থেকে:
সাভারে জাবাল ই নূর ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো মেধা মূল্যায়ন বৃত্তি ২০২৩। প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে । সাভার পৌরসভা কেন্দ্রিক ৯টি মাদরাসা এ পরীক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেয়।অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৫০০ জন। বৃত্তি পরীক্ষার হল পরিদর্শন করেন সাভার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জনাব মোঃ শহিদুল হক ,ড. মোঃ ইলিয়াস মোল্লা, অধ্যাপক ডক্টর মোঃ সাইফুল ইসলাম রফিক , জনাব মোঃ আবুল হোসেন, অধ্যক্ষ মুহাম্মদ হোসাইন উদ্দিন সহ বিভিন্ন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বৃন্দ।
বালক বালিকাদের জন্য পৃথক দুটি কেন্দ্রে এই বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
]]>
সাভার উপজেলা মাধ্যমিক সূত্রে জানা যায়, সাভার উপজেলায় এবার ১৭ টি কেন্দ্রে মোট ছাত্র-ছাত্রী প্রায় ১৪৬১৮ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করে এবং পরীক্ষার প্রথমদিন এসএসসিতে বাংলা প্রথমপত্র, দাখিলে কুরআন মাজিদ ও তাজবিদ এবং ভোকেশনালে বাংলা-২ বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।
১৭ টি কেন্দ্রে এর মধ্যে সরেজমিনে গিয়ে তিনটি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী উপস্থিত ও অনুপস্থিত জানা গেছে ১.সাভার অধরচন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১১১০ জন পরীক্ষার্থীর অংশ গ্রহনের মধ্য ৭ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ২. সাভার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১০৪৯ জন পরীক্ষার্থীর অংশ গ্রহনে ১৫ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ৩.রেডিও কলোনী মডেল স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে ৭৭৬ জন পরীক্ষার্থীর অংশ গ্রহনে গ্রহনের মধ্য ৪ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।
১৪ টি কেন্দ্রের মধ্য পরীক্ষার্থী উপস্থিত এর কথা জানলেও ও অনুপস্থিত জানা যায়নি এসব কেন্দ্রগুলোতে ৩. বি.পি.এ.টি.সি স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে ৭৮১ জন পরীক্ষার্থীর অংশ গ্রহন ৪. মিরপুর মফিদ-ই আম স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে ৬৩৯ জন পরীক্ষার্থীর অংশ গ্রহন ৫. জাহাঙ্গীরনগর স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে ৬১০ জন পরীক্ষার্থীর অংশ গ্রহন ৬. সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে ৯১৮ জন পরীক্ষার্থীর অংশ গ্রহন ৭.আলহাজ্ব জাফর বেপারী হাই স্কুল কেন্দ্রে ৯১৮ জন পরীক্ষার্থীর অংশ গ্রহন ৮. আশুলিয়া স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে ২৯৬৭ জন পরীক্ষার্থীর অংশ গ্রহন ১০. দোসাইদ অধন্য স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে ১৩৮১ জন পরীক্ষার্থীর অংশ গ্রহন অংশগ্রহন ১১.বেপজা স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে ৬৪৬ জন পরীক্ষার্থীর অংশ গ্রহন অংশগ্রহন ১২.মোহাম্মদ আলী ইয়াকুব আলী স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে ৪৭৮ জন পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহন ১৩.নয়ারহাট গনবিদ্যাপিঠ কেন্দ্রে ৯৬৩ জন পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহন ১৪. তেঁতুলঝোড়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩৯৭ জন পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহন ১৫.কোন্ডা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১৬৫ জন (ভোকেশনাল/কারিগরির) পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহন এবং দুটি মাদ্রাসা কেন্দ্রে রয়েছে তার মধ্য ১৬. সাভার ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ২৭৪ জন পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহন ১৭. গাজীরচট মদিনাতুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৩৭১ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন ।
সাভার উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোছা: রানী বেগম জানান, এবারে এস.এস.সি ও (ভোকেশনাল/কারিগরির,সমমানের দাখিল পরীক্ষায় সাভার উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের মধ্য ছাত্র-ছাত্রী প্রায় ১৪৬১৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করছে এবং কি মোট ১৭টি কেন্দ্রে একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
রোববার উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিভিন্ন পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন এবং দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। সাভার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শহিদুল হক প্রতিবেদক জানান, শান্তিপূর্ণভাবে ১ম দিনের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা পিপিএম আইনসৃঙ্খলা ঠিক রাখতে বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
সাভার অধরচন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব পিটার গমেজ জানান,নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রায় শতভাগ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করেছে।.রেডিও কলোনী মডেল স্কুল এন্ড কলেজ অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব এইচ এম শাহআলম জানান এ কেন্দ্রে সশৃঙ্খলভাবে পরীক্ষা অনষ্ঠিত হয়েছে এসময় কেন্দ্রটিতে দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুস সিহাদ,মেডিকেল টিম এর মেহেদী বাশার ও কামরুন্নাহার দ্বায়িত্বপালন করেছেন। সাভার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব শেখ মোঃ রফিকুজ্জামান জানান কেন্দ্রটির ভিতরে প্রশাসনের সহযোগিতা ছিল এবং শন্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে এসময় সাভার উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো: খালিদ হোসেন দ্বায়িত্ব পালন করেছেন।
সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্্েরট মো:ইসমাইল হোসেন বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন প্রতিবেদককে জানান, আইনসৃঙ্খলা ঠিক আছে এবং শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এছাড়া পরীক্ষা শান্তিপূর্ণ ও সুন্দর করার লক্ষে যানজট নিরসন, স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা, কেন্দ্রে নিরবিছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, পুলিশ ফোর্স নিয়োগ এবং প্রতিটি কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি ও পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন ব্যবহার না করার জন্য তদারিকার কমিটি থেকে এ ঘোষনা করা হয়। এ ব্যাপারে সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাজহারুল ইসলাম জানান, প্রতিটি কেন্দ্র সচিব ও পরীক্ষা সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা রয়েছে সাভার উপজেলায় এস.এস.সি ও (ভোকেশনাল/কারিগরির,সমমানের দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে নকল মুক্ত পরিবেশে ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি জানিয়েছিলেন।
]]>]]>