শেখ এ কে আজাদ,প্রতিবেদক,সাভার ;
প্রিয় সাভারসহ দেশবাসী সকল মুসলিম জাহানের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ- উল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে অগ্রীম ঈদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনারকে মৃত্যু মুখ থেকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবন বাজী রেখে মৃত্যু মুখোমুখি হয় ২১ শে গ্রেনেড হামলার আহত ও ঢাকা জেলা উত্তর সেচ্ছাসেবকলীগ এর সিনিয়র সহসভাপতি এবং বাঁশ বাড়ী শিশু ও যুব কল্যান সংস্থার প্রধান উপদেষ্টা মাহাবুবা পারভীন।
মাহাবুবা পারভীন জানান, দীর্ঘ ১ মাস সিয়াম সাধনার (রোজা রাখার) পরে আসে পবিত্র ঈদুল ফিতর। আর এই ঈদ সারাবিশ্বের মুসলমানদের জন্য বয়ে আনে আনন্দের বার্তা। সকল প্রকারের ভেদাভেদ ভুলে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে এক সাড়িতে দাঁড় করায় এই ঈদ।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জননেত্রী মানবতার মা শেখ হাসিনার কামনা করি ও দীর্ঘজীবি হোক শুভ কামনা জানিয়ে পবিত্র ঈদের শুভেচ্ছা অভিনন্দন রইল।
এদেশের সকল জনপ্রতিনিধি সংসদ সদস্য,চেয়ারম্যান,মেয়র,কাউন্সির, মেম্বাররা জনকল্যানে নিবেদিত প্রান হোক শুভ কামনা জানিয়ে পবিত্র ঈদের শুভেচ্ছা অভিনন্দন রইল।
প্রতিবছরের ন্যায় ঈদ আসে আমাদের জীবনে আনন্দ আর সীমাহীন প্রেম প্রীতি ও কল্যাণের বার্তা নিয়ে৷ তাই এ ঈদ সকল কলুষতাকে ধুয়ে মুছে হিংসা বিদ্বেষ ভুলে পরস্পরকে ভালোবাসা ও প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ করে জাতিকে।
তিনি আরও জানান বর্তমান সরকার দেশের দারিদ্র বিমোচন, অর্থনৈতিক বৈষম্য দুর করে মানুষের আর্থ-সামাজিক ও ধর্মীয় অবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করতে সক্ষম হয়েছেন। ঈদ হল খুশি আর আনন্দের উৎসব। শান্তি সম্প্রীতির উৎসব। তিনি আগামী দিনেও দেশে এই শান্তি সম্প্রীতি বজায় থাকুক এই কামনা করেন।
তিনি বলেন পবিত্র ঈদুল ফিতর আমাদের একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধ সমাজ গঠনে উদ্ধুদ্ধ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি ঈদ আনন্দে সবার জীবন ভরে উঠুক এই প্রত্যাশায় সকলকে ঈদুল ফিতরের অগ্রিম শুভেচ্ছা এবং সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন।।
আনন্দের বার্তা নিয়ে এসেছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। মুসলমানদের প্রধান দুটি ধর্মীয় উৎসবের অন্যতম এই ঈদুল ফিতর। প্রতিবছর ছেলে-বুড়ো, নারী-পুরুষ, ধনী-দরিদ্র-নির্বিশেষে সবাই শরিক হয় এই আনন্দ উৎসবে। যে যার সাধ্যমতো এই দিনটি আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপন করে থাকে।দেশবাসী সকলকে জানাই ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ট্রাফিক আইন মেনে চলুন। ‘যত গতি তত ক্ষতি’ ‘অতিরিক্ত গতি পরিহার করুন-দুর্ঘটনামুক্ত দেশ গড়ুন’ ‘গতিকে মারুন জীবনকে নয়’। সুস্থ থাকুন। নিরাপদ থাকুন। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে সড়ক দুর্ঘটনা থেকে মুক্তি দিন সেই কামনা করি।
মাহাবুবা পারভীন আরও বলেন, ঈদের দিন সবাই পরিবারকে নিয়ে সময় দিন, সকল দুঃখ, ব্যথা, বেদনা, হিংসা, বিবাদ ভুলে গিয়ে ঈদের দিনে প্রিয়জনদেরকে উপহার দিন, সবাই হাসি-খুশি থাকবেন, আবারও সবাইকে জামগড়া বয়েজ ক্লাব পক্ষ থেকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের ঈদের শুভেচ্ছা-“ঈদ মোবারক” ঈদ মোবারক” ঈদ মোবারক”।
বিষেশ প্রতিবেদন,শেখ এ কে আজাদঃ ছয় হাজারের অধিক গানের লেখক স্বপন শাহ্ শ্যামলাপুরী, বিখ্যাত বিখ্যাত গান লিখেও অখ্যাত রয়ে গেছেন। তবু লিখে চলছেন অবিরাম। তার লেখা একটি গান গেয়েছেন বাংলাদেশের স্বনামধন্য শিল্পী মুজিব পরদেশী। এরপর আরো গান গেয়েছেন বাংলাদেশ ও পশ্চিম বঙ্গের বিভিন্ন বাউল শিল্পীগন। তার লেখা বিখ্যাত গান কাফনে তো পকেট নাই, আয় মানুষ থাকিরে থাকি মানুষের তরে, কোড নম্বরটি জাইনা লও, তালা মাইরাছেরে মাওলায় তালা মাইরাছে, বন্ধু আমার শ্যাম কালাচাঁন, আমার তো মরন হবে, দুনিয়াটাই পাগলা গারদ, কেউবা সাধু কেউবা নারদসহ অনেক গান।
স্বপন শাহ্ শ্যামলাপুরীর লেখা গান নিয়ে প্রথম ভিসিডি এ্যালবাম বেড়িয়েছে ২০০৮ইং সালে।
এ্যালবামের নাম “” কাফনে তো পকেট নাই “” শিল্পী হলো স্বপন শাহ্ শ্যামলাপুরীর আপন ছোট ভাই, মাতাল কবি রাজ্জাক দেওয়ানের শিষ্য, বৈতাল কালাম দেওয়ান , দ্বিতীয় ও তৃতীয় এ্যালবাম বেরোয় ২০১২ইং সালে, দ্বিতীয় এ্যালবামের নাম, “” বন্ধু আমার শ্যাম কালাচান “” বাউল শিল্পী সোনালী সরকার। তৃতীয় এ্যালবামের নাম “”” বন্ধুর প্রেম দিওয়ানা “”” এই এ্যালবামের শিল্পী ও স্বপন শাহ্ শ্যামলাপুরীর আপন ছোট ভাই দেওয়ান কালাম শাহ্ (বৈতাল কালাম দেওয়ান) । এ্যালবাম তিনটি প্রযোজনা করেছেন “” স্বপন মিডিয়া ভিশন “””।
এরপর আর কোনো এ্যালবাম বের না হলেও, গীতিকার স্বপন শাহ্ শ্যামলাপুরীর লেখা গান বিভিন্ন শিল্পীগন মঞ্চে ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গাচ্ছেন।
এবং তা শিল্পীদের নিজস্ব ফেসবুকে ও ইউটিউব চ্যানলে আপলোড করছেন। পশ্চিম বঙ্গের শিল্পীদের কেউ কেউ তার গান গেয়েছেন বলে তিনি জানান।
তিনি আরো জানান তার লেখা শত শত গান চুরি করে নিজের নামে গাইছেন, গাওয়াচ্ছেন, এমনকি বইয়ে ছাপিয়েন কিছু গান চোরেরা।
এই নিয়ে উল্টা তাহকেই মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে গান চোরের দলেরা। তবু তিনি দমে যাননি।
অকুতোভয় নির্ভিক কলম সৈনিক তার কলম চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্বপন শাহ্ শ্যামলাপুরী মুলত বাউল গান লিখলেও,তিনি আধুনিক, ভাওয়াইয়া, পল্লীগীতি, লোক গীতি, ভাব সংগীত, মুর্শিদী, কাওয়ালী, ভঁজন কীর্ত্তনসহ রাধা কৃষ্ণের প্রেমসহ প্রেম বিরহ বিচ্ছেদ গান ও হামদ্,নাত,গজলসহ কোরআন হাদিসের আলোকে অনেক গান লিখেছেন। লিখে চলেছেন অবিরাম, আমৃত্যু লিখে যেতে চান তিনি।
স্বপন শাহ্ শ্যামলাপুরীকে তার গান সম্পর্কে জিগ্যাসা করা হলে, তিনি দুহাত তুলে করোজোর করে বলে উঠেন, জয় গুরু জয় গুরু জয় গুরু, দুর হউক সকল আঁধার, জয় হউক মনুষ্যত্ব মানবতার।
স্বপন শাহ্ শ্যামলাপুরীর বাবার নাম- মরহুম আঃ বারেক, মাতার নাম – মরহুমা মেহের বানু। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি মেঝো। বিবাহিত জীবনে তার রয়েছে এক স্ত্রী, এক ছেলে এক মেয়ে।
তার মা বাবা গুরুবাদী ও তরিকাপন্থি হওয়ার সুবাধে তাদের বাড়িতে মুর্শিদী ও বাউল গানের আসর বসতো, সে সুবাধে ছোট বেলা থেকেই বাউল ও আধ্যাত্মিক গানের প্রতি তার ঝোক হয়। আর সেই প্রভাব তার মাঝে প্রকাশ পেয়েছে তার গানের মাধ্যমে।
স্বপন শাহ্ শ্যালাপুরী হিন্দুদের কীর্তন, কবি গান শুনেছেন প্রচুর, তাছাড়া বাউল শিল্পী মালেক দেওয়ান, খালেক দেয়ান, শামছু দেওয়ান, তোরাব আলী দেওয়ান, মাতাল কবি রাজ্জাক দেওয়ান, বড় আবুল সরকার, গণি সরকার, পাগল বাচ্চু দেওয়ান, আলেয়া, সালেহা, আকলিমা, মায়া রাণী, মাখন দেওয়ান, খবির দেওয়ান, পরশ আলী দেওয়ান, ইসলাম সরকারসহ বিভিন্ন গুণী শিল্পীদের গান শোনা ও সানিধ্য পাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে।
সব চেয়ে বেশি সানিধ্য পেয়েছেন যার তিনি হলেন মাতাল কবি রাজ্জাক দেওয়ান, কারণ স্বপন শাহ্ শ্যামলাপুরীর আপন ছোট ভাই, মাতাল কবি রাজ্জাক দেওয়ানের শিষ্য বৈতাল কালাম দেওয়ান, সে সুবাধে মাতাল কবি রাজ্জাক দেওয়ান তাদের বাড়িতে আসতেন, এবং তিনিও মাতাল কবি রাজ্জাক দেওয়ানের বাড়িতে যেতেন। তাই স্বপন শাহ্ শ্যালাপুরীর অনেক গানে মাতাল কবি রাজ্জাক দেওয়ানের গানের প্রভাব রয়েছে, তাছাড়া মাতাল কবি রাজ্জাক দেওয়ানকে নিয়ে অর্ধশতাধিক গানও লিখেছেন বলেও জানান তিনি।
তিনি আরো জানান, কবিতা লেখার সুবাদে বাংলাদেশের অনেক গুণী মানি স্বনামধন্য ব্যক্তিদের সানিধ্য পাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে, তম্মধ্যে, বিখ্যাত হাছন রাজার নাতি জাতীয় অধ্যাপক ডঃ দেওয়ান মুহম্মদ আজরফ, লোকগীতি গবেষক ডঃ আশরাফ সিদ্দিকী, কবি সামসুল ইসলাম, কবি আসাদ চৌধুরী, লেখক ও আমলা মঈনুদ্দিন কাজল, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, প্রধান বিচার পতি আব্দুর রউফ, বিচার পতি হাবিবুর রহমান, বিচার পতি এম এ ওহাব, ডঃ ফেরদৌস কোরশী, কবি নাসিম আনোয়ার, কবি তানভির আলাদিন প্রমুখসহ অগনিত কবি সাহিত্যক ব্যক্তিবর্গের সানিধ্য পাওয়ার সৌভাগ্য হয়।
এবং তিনি বিভিন্ন সংগঠন থেকে প্রশংসা পত্র, সনদ পত্র মেডেল পেয়েছেন। এবং ২০১৭ সালে ভারতের কোলকাতার সাহিত্য সংগঠন, বিশ্ব বঙ্গ বাংলা সাহিত্য একাডেমি ও যুথিকা সাহিত্য পত্রিকা থেকে, “”কাব্য ভারতি”” উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন, এবং প্রশংসা পত্র ও ক্রেষ্ট পেয়েছেন।
সেই সাথে কোলকাতার দর্পন পত্রিকাসহ বিভিন্ন সংকলনে তার লেখা ছাপা হয়েছে। তাছাড়া অনলাইনে বিভিন্ন সাহিত্য গ্রুপে প্রতিদিনই কোন না কোনো লেখা গান ঠাই করে নিচ্ছে। এবং সন্মাননা সনদ পাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন সাংবাদিকতা ও রাজনীতি করার সুবাধে, বাংলাদেশের বড় দুই দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সানিধ্য ও এক টেবিলে খাওয়ার সুযোগ হয়েছে, তারা হলেন আওয়ামী লীগের শেখ হাসিনা, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, মেয়র হানিফ, খ,ম জাহাঙ্গীর, কামাল আহম্মদ মজুমদার, আলহাজ্ব মকবুল হোসেন, শামছুদ্দোহা খান মজলিশ, আশরাফ উদ্দিন খান ইমুসহ প্রমুখ নেতার, বি এন পির খালেদা জিয়া, সালাম তালুকদার, কে এম ওবায়দুর রহমান, ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদা, মির্জা আব্বাস, আমান উল্লাহ আমানসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দের।
স্বপন শাহ্ শ্যামলাপুরীর, আধ্যাত্মিকতা ও সুফীবাদের প্রতি ঝোঁক থাকায় তিনি বিভিন্ন ওলি আউলিয়ার মাজার, পীরের দরগা, দরবার, সাধু গুরু বৈষ্ণবের আখড়া, আশ্রম, মসজিদ, মন্দির, গীর্জা প্যাগোডাসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন উপসনালয়ে অবাধে যাতায়াত করেছেন।
তিনি লালন সাঁইজির দরগা, বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথের কুঠি বাড়ি, হযরত শাহজালাল, শাহ পরাণ, চুষাণী পীর, শেখ বোরহান উদ্দিন শাহ, শাহ আলী বোগদাদি, শরফুদ্দিন চিশতি , ফখরুদ্দিন চিশতি, পীর ইয়ামেনী, গোলাপ শাহ্, মাক্কু শাহ্, পীর জঙ্গি, ঘোড়াপীর, সাত রওজা, দরবেশ শাহ্, সোলেমান শাহ্ লেংটা বাবার মাজারসহ, বিভিন্ন মাজার দরবারে গিয়েছেন বলে জানান।
স্বপন শাহ্ শ্যামলাপুরী আরো বলেন, আত্মশুদ্ধি ছাড়া মুক্তি নাই, প্রেম বিশ্বাস ভক্তি বিনে কোনো ইবাদত পূর্ণতা পায়না। তাই তার গানে প্রেম বিশ্বাস ভক্তি শব্দটি শত সহস্রবার স্থান পেয়েছে।
জয় গুরু বলা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি যা বলেছেন, তার সারমর্ম হলো, মুসলমানেরা সালাম দেন, হিন্দুরা আদাব নমস্কার দেন, খৃষ্টানেরা গড ব্লেস ইউ বলেন।
কিন্তু এখানে হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খৃষ্টানের সম্বোধন পেলেন। কিন্তু একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে কি বলে সম্বোধন করবে?
এক মানুষ আরেক মানুষকে দেখলে কি বলবে?
মানুষ মানুষের পরিচয় কি হবে,? বলেন, মানুষ হলে বলবে “”” জয় গুরু “”” আর জয় গুরু হবে মানুষের পরিচয় বহনকারী।
তিনি আরো বলেন সত্য সরল পথে গমন না করলে মানব জনম মুল্যহীন/অর্থহীন।
তাই তিনি তার গানে বলেছেন আয় মানুষ থাকিরে, থাকি মানুষের তরে, মানুষ হইলো সৃষ্টির সেরা জগত সংসারে, মিথ্যা ছাড়ো সত্য ধরো, মানুষ থাকার শপথ করো।
তিনি তার ষাট বছরের জীবনে সততার পরীক্ষায় বার বার উত্তীর্ণ হলেও, আর্থিক সচ্ছলতার মুখ দেখেনি কখনো। নুন আনতে পান্তা ফুরালেও, নীতি আদর্শ নৈতিকতার স্ফলন ঘটান নাই। রোগে শোকে ধুঁকে ধুঁকে মরলেও তিনি নীতি আদর্শ নৈতিকতায় অটল থাকার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন অবিরাম।
তাই তিনি স্বদর্পে বলেন,যতো কষ্টে থাকি মর্ত্যে, শয়তানের সাথে যাবোনা স্বর্গে, নরক অনলে জ্বালাও তুমি,ওগো আমার জগত স্বামী।
স্বপন শাহ্ শ্যামলাপুরী বলেন, দান করুণা চাইনা, চাইনা, সাহায্য নামীয় ভিক্ষা বা ঋণ, চাই সহযোগিতা, চাই পৃষ্ঠপোষকতা।
বড়ই স্পষ্টভাষী সাম্যবাদী ও মানবতাবাদী সরল মনের মানুষ তিনি, ভাংবেন তবু মচকাবেননা। তিনি নীতি আদর্শের মূর্ত প্রতীক এক মানুষ। তার সানিধ্যে না গেলে, তার সাথে কথা না বললে, তার সাথে না চললে বুঝার কোনো উপায় নাই। তিনি কতো বড় মাপের ও বড় ঊদার মনের মানুষ। দেখে তারে বেরসিক, গুরু গম্ভীর মানুষ মনে হলেও, তিনি বেশ রসিক, মজাদার মিশুক,সরল মনের মানবতাবাদী মানবিক মানুষ।
আমরা স্বপন শাহ্ শ্যামলাপুরীর সততা নিষ্ঠা একাগ্রতা দৃঢ়তাকে স্যালুট।
সে সাথে স্বপন শাহ্ শ্যামলাপুরীর তার উত্তর উত্তর সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনা,নেক হায়াত কামনা করছি।
আল্লাহ সহায় হোন তার উপর, আমীন।।
শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
বিএনপিকে খুনির দল উল্লেখ করে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত সাভারের মাহবুবা পারভিন বলেছেন তারা সন্ত্রাস বিরোধী জনসভায় গ্রেনেড হামলা করে ২৬টি তাজা প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। তাদেরকে এই বাংলায় শুধু ফাঁসি দিলে হবে না, জনসভায় ফাঁসির মঞ্চ তৈরি করে ফাঁসি দেয়ার দাবি জানান। যাতে করে সারা বিশ্বে এই ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটানোর সাহস কেউ না পায়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপা সবসময় আমার খোঁজ খবর নেন। কিন্তু স্থানীয়রা খুজ রাখেন না।
তিনি দুইবারে আমাকে ২০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন এবং মিরপুরে ১৪শ স্কয়ার ফিটের একটি ফ্ল্যাটও দিয়েছেন।
কিন্তু সাভারের আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় আমি সাভার পৌর আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ছিলাম ঢাকা জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা সময় গ্রেনেড হামলার শিকার হতে হয়। সাভারের আওয়ামী লীগ অনেকে নেতারা আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে। একেকজনের বাড়িতে সারি সারি গাড়ি ও বাড়ি রয়েছে তবুও তাদের কোন সহযোগিতা নেই।
তিনি আরো জানান, দিনের পর রাতে বাসার সবাই যখন ঘুমিয়ে পরে আমি তখন সারারাত জেগে থাকি। আমার শরীরে থাকা ভয়াবহ সেই ২১ আগস্টের গ্রেনেডের স্প্লিন্টারগুলো আমাকে ঘুমাতে দেয় না,বার বার নাড়া দেয় । সারা শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা। করোনার কারণে কোথাও চিকিৎসা নিতে যেতেও পারছি না। এক হাজার আটশ’ স্প্লিন্টার আমাকে কুরে কুরে খাচ্ছে। এ যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতা আমি ছাড়া কেউ বুঝবে না।
তবে একজন খুব অন্তর দিয়ে বোঝেন। তিনি মানবতার জননী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার অসামান্য অবদান ও সহযোগিতার কারণেই আমরা গ্রেনেড হামলায় আহতরা এখনও বেঁচে আছি।’
কথাগুলো বলছিলেন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত ও ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেত্রী মাহবুবা পারভিন। গ্রেনেড হামলাস্থলে যেভাবে তিনি পড়েছিলেন অনেকেই মনে করেছিলেন মারা গেছেন। তার সেই ছবিটি পরিনত হয়েছে সেই মামলার প্রতীকী ছবিতে।
মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা মাহবুবা সমকালকে বলেন, ‘আহতদের প্রধানমন্ত্রী বিদেশে চিকিৎসা করিয়েছেন বলেই আমরা এখনও কিছুটা সুস্থ রয়েছি। তিনি আমাকে সুন্দরভাবে থাকার জন্য ঢাকায় একটি ফ্ল্যাট দিয়েছেন। আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছেন। যতদিন আমি বেঁচে থাকব তার জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া চাইব। তার মতো এমন মমতাময়ী নেত্রী আছেন বলেই আমার মতো একজন কর্মী বেঁচে আছে। আমি দলের দুঃসময়ে রাজনীতি করেছি। এখনও দলের সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যাওয়ার চেষ্টা করি। তবে শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় সব ক্ষেত্রে যেতে পারি না।
মাহবুবা পারভিনের ক্ষোভ সাভারের স্থানীয় নেতাদের ওপর। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় রাজনীতিবিদরা আমাকে তেমন মূল্যায়ন করেন না। এতে অবশ্য আমার কোনো দুঃখ নেই। কারণ আমার পাশে আছেন নেত্রী। যেখানে নেত্রীই আমার খোঁজখবর রাখেন, সেখানে অন্য নেতারা কে, কী করল তা নিয়ে আফসোস করি না।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় যদি নেত্রীর কিছু হয়ে যেত তাহলে আমরা এভাবে বেঁচে থাকতে পারতাম না। রচনা হতো অন্য একটি বাংলাদেশের। নেত্রী বেঁচে আছেন বলেই আজ মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত উন্নয়নের বাংলাদেশ সারাবিশ্বে রোলমডেল হিসেবে পরিচিত লাভ করছে। উন্নয়নের মহাসড়কে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এ উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে এ দেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে অচিরেই আত্মপ্রকাশ করবে।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নির্মিত অস্থায়ী মঞ্চে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতি বিরোধী সমাবেশে চালানো হামলায় প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমানের স্ত্রী নারী নেত্রী আইভী রহমানসহ ২৬ জন নিহত হয়। আহত হয় কয়েকশ মানুষ। আহতদের মধ্যে যারা বেঁচে আছেন তারা শরীরে অসংখ্য গ্রেনেডের স্পিন্টার নিয়ে প্রতিনিয়ত মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছেন তারাও। অনেকেই আবার চিরদিনের মতো পঙ্গু হয়ে গেছেন। এদেরই একজন ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া এক নারী সাভারের মাহবুবা পারভীন। তবে মনবতার মা শেখ হাসিনা শুরু থেকে তাদের খুজ খবর নিয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।
—–
]]>শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ সাভারে শিল্প প্রতিষ্ঠানসহ সকল শপিং মার্কেট খুলা রাখায় করোনা প্রাদুর্ভাব বিস্তার লাভ করে। এ পর্যন্ত সাভারে গত ৩ মাস ১৬ দিনে ৪৬৪০ জন করোনা ভাইরাসে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
২৫ জুলাই শনিবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডাক্তার সায়েমুল হুদা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সাভারে ইতিমধ্যে ৪৬৪০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার মধ্যে ৯২৩ জনের দেহে করোনায় পজিটিভ আসে। এর মধ্য ৮৬৯ জন সুস্থ্য হয়েছেন আর মৃত্যু হয়েছে ২৯ জন ।
তিনি জানান, সাভারে সকলের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে ও করোনাভাইরাসের ক্রান্তি লগ্নে সরকারের প্রশাসন,সাংবাদিক,রাজনৈতিক,ব্যবসায়ীরা কাজ করার কারনে এ মহামারি করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা ও আক্রান্তের সংখ্যা কম হয়েছে বলে মন্তব্য করেন।
ডাক্তার সায়েমুল হুদা তিনি বলেছেন সকলে যেন স্বাস্থ্য বিধি মেনে কাজ করেন এবং একে অপরের সাথে কথা বললে মুখের লালা যাতে অন্যের শরীরে না যায় সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে,দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর এতে প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।
২৫ জুলাই বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২,৫২০ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন।এই সময়ের মধ্যে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৮ জন।
এ নিয়ে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মোট ২,৮৭৪ জনের মৃত্যু হল।আর বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হলেন মোট ২,২১,১৭৮ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানিয়েছেন। অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১০,৪৪৬টি।
দেশে এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১১,০১,৪৮০টি।
শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
সাভার পৌর বক্তারপুর এলাকার ভাগ্য উন্নয়ন শ্রমজীবি সমবায় সমিতি লিঃ এর কর্ণধার তালুকদার মোঃ জাহিদুল ইসলাম(জুয়েল) সাভারসহ দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সমিতির পক্ষে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।
তালুকদার মোঃ জাহিদুল ইসলাম(জুয়েল) জানান,করোনা ভাইরাস দূর্যোগকালীন সময় পবিত্র ঈদ এসেছে আমাদের মাঝে। দিন দেশে করোনা আক্রান্ত রোগি ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে।
ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নিজেদের ও অপরকে করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষায় পরিবারের সাথে সময় কাটানোর অনুরোধ করেছেন। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা থেকে সামাজিক দূরুত্ব মেনে চলার জন্য আহবান করেছেন,,।
তিনি আরো জানান করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে সকল সময় মাস্ক পরতে হবে দূর্যোগকালীন সময় তিনি গোপনে অসহায় কর্মহীন ও সমিতির সদস্যদের পাশে রয়েছেন। এবারের ঈদে খাদ্য সামগ্রীসহ দেড় শতাধিক অসহায় পুরুষ ও মহিলাদের মাঝে কাপর, লঙ্গী বিতরণ করেছেন।
এ মহামারি রোগে আজ দূর্যোগের সময় সরকারের পাশাপাশি সকল এনজিও-মাল্টিপারপাসসহ অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকে দেশের ক্রান্তিলগ্নে অসহায়-কর্মহীন হয়ে পরা মানুষের পাশে থেকে মানবিক সহায়তায় এগিয়ে আসার আহবান করেছেন তালুকদার মোঃ জাহিদুল ইসলাম(জুয়েল)।
লায়ন্স ক্লাব অব ঢাকা ইউনিক গ্রীন, জেলা ৩১৫এ১,বাংলাদেশ চার্টার প্রেসিডেন্ট ও রিজিয়ন চেয়ার পার্সন কবি লায়ন শামছুন নাহার আহমেদ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও দূর্যোগ মোকাবেলায় পরিবারের নিজস্ব অর্থায়নে সরকারী নির্দেশে গন সচেতনতায় মাস্ক,স্যানেটারিজ পন্য ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ সহ ঈদুল ফিতরে সকলকে সচেতন থেকে পরিবারের মাঝে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে অনুরোধ করেছেন। তিনি সকলকে লায়ন্স ক্লাব অব ঢাকা ইউনিক গ্রীন, জেলা ৩১৫এ১,বাংলাদেশ পক্ষে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছে।
যুক্ত হয়েছিলে সেই দানবীর ও সাহসি নারী কবি লায়ন শামছুন নাহার আহমেদ’র নিকট…শেখ এ কে আজাদ
করোনা ভাইরাসের এই পৃথিবীতে প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে ঈদ এসেছে খুশির বার্তা নিয়ে।
কিন্তু করোনা সৃষ্ট পরিস্থিতিতে আমরা এবার ঈদের প্রকৃত আনন্দ উপভোগ করতে পারছিনা।
আমাদের অনেক বন্ধু, স্বজন করোনা আক্রান্ত হয়ে চলে গেছেন পৃথিবী ছেড়ে। অনেকেই লড়াই করে চলেছেন ভাইরাসের বিরুদ্ধে।
যে যেখানে আছি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি।
মহান আল্লাহ পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সকলকে হেফাজত করুন।
সম্পাদনায়ঃআবুল কালাম আজাদ।
]]>করোনা ভাইরাসে ক্রান্তিলগ্নে মানবতার লক্ষে
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক উত্তমঘোষ করোনা দূর্যোগ ও প্রতিরোধে অসহায় মানুষ ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের
পাশে ত্রান ও ঈদ সামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি ঔষদ বিতরণ করছেন নিয়মিত। তিনি দেশবাসীকে এ ঈদুল ফিতরে পরিবারের সাথে থেকে ও সচেতন হয়ে ঈদ পালন করতে আহবান জানিয়েছে এবং ঈদের শুভেচ্ছা জানান তিনি।
সম্পাদনায়ঃ আবুল কালাম আজাদ।
]]>শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
করোনা ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহে নতুন পরিকল্পনা মাফিক কার্যক্রম সোমবার পাথালিয়া ইউনিয়ন এর গেরুয়া সিসিতে শুরু করা হয়েছে করোনা ভাইরাস নমুনা সংগ্রহের কাজ ।
সোমবারে ১৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সাভার উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে রোস্টার করা হয়েছে। সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে করোনা ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করবে। তাদের সহযোগিতার জন্য স্বাস্থ্য সহকারী, সিএইচসিপি,স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহঃস্বাস্থ্য পরিদর্শক, এমটিইপিআই, এমটি ল্যাব, সেনেটারি ইন্সপেক্টর সহ স্বেচ্ছাসেবকগন কাজ করবে বলে জানিয়েছেন সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর কর্মকর্তা সায়েমুল হুদা।
সুরক্ষা বুথ উপহার দিবেন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও সদস্য সচিবের অনুরোধক্রমে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানগন।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর কর্মকর্তা সায়েমুল হুদা জানান, আমরা বিশ্বাস করি সবাই মিলে কাজ করলে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আমরা জয়ী হবই হব ইনশাআল্লাহ। সার্বিক সহযোগিতা করবেন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাভার মডেল থানা।
কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি।
ভাল থাকুন, সুস্থ্য থাকুন সরকারি স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলুন এই শুভ কামনা রইল সাভারে সকল মানুষের জন্য।
শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
সাভার পৌর নামাবাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক উত্তম ঘোষ করোনা ভাইরাস দূর্যোগ মোকাবেলায় অসহায় হয়ে পরা কর্মহীন মধ্যবিত্ত,হত দরিদ্র ও হিন্দু-মুসলিম ও সুবিধাবঞ্চিত হিজরা-বেদে সম্প্রদায়ের মাঝে ত্রান বিতরণ করছেন নিয়মিত।
তিনি সাভার নামা বাজার স্বর্ণ শিল্পি মালিক ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক উত্তম ঘোষ। তার নিজ কার্যালয় জনতা গোল্ড প্লাজা থেকে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় প্রথম থেকেই প্রকাশ্যে,গোপনে খাদ্য কষ্টে থাকা অসহায় মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন ।
এ পর্যন্ত ৩ হাজার পরিবারকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।
ত্রান সামগ্রীর মধ্যে কয়েক খাদ্য ও করোনায় প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে ঔষধ সামগ্রীসহ জিবানুমুক্ত রাখতে স্যানেটারিজ পন্য পৌঁছে দেন ভুক্তভোগী পরিবার গুলোর মাঝে এবং নিজস্ব কর্মীর মাধ্যমে ঘরে ঘরে ত্রান পৌঁছে দেন তিনি।
তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিদিনের ন্যায় ১৬ মে শনিবার সন্ধ্যায় তার কার্যালয় থেকে এসব খাদ্য ও ঔষধ সামগ্রী অসহায় কর্মহীন মানুষ ও সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশু পরিবারের মাঝে খাদ্য হাতে তুলে দেন তিনি।
এসব খাদ্যদ্রব্য পেয়ে খুশি সকলের পরিবার।
তিনি প্রতিদিন ১৫ জন শিশুর দ্বায়িত্ব নিয়েছেন। তাদের পরিবারকে দুধ, বিস্কুট,কলা,কেকসহ অন্যঅন্য খাদ্যদ্রব্য দেন। প্রি-পেইড মিটারের বিদ্যুৎ বিল শেষ হয়ে গেছে তার হাতে টাকা নেই, ঘর অন্ধকার তাদেরকে আর্থিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন বলে জানালেন তিনি।
যিনি মানবতার জন্য এগিয়ে এসেছেন
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক উত্তমঘোষের সাথে আমাদের প্রতিবেদক শেখ এ কে আজাদ প্রতিবেদন করতে তার নিকটে যান। তুলে আনেন তার মানবতার লক্ষে করোনায় অসহায় ব্যক্তিদের জন্য প্রতিদিন নিজস্ব অর্থায়নে ত্রান সামগ্রী বরাদ্দ দেয়া।
এ ব্যাপারে উত্তম ঘোষ বলেন, “শুধু খাদ্য সামগ্রী নয় তার সাধ্যমতে মানুষকে আর্থিক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন, করোনায় ভাইরাসে লকডাউনে কাজ না থাকায় মানুষগুলো অসহায় হয়ে পরছে। অসহায় হয়ে পরা মানুষগুলো বিভিন্ন রকম সমস্যা নিয়ে তার নিকট যায়, কারো বাসায় প্রি-পেইড মিটারের বিদ্যুৎ বিল শেষ হয়ে গেছে তার হাতে টাকা নেই ঘর অন্ধকার, কারো বাসায় খাবার নেই, কারো বাসায় সন্তানের দুধ কেনার মত পরিস্থিতি নেই যেগুলো শুনলে তার হৃদয় কেঁপে ওঠে। তিনি যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করে থাকেন আর সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করেন। সৃষ্টিকর্তা বাংলাদেশ থেকে এই করোনা ভাইরাস কে যত দ্রুত সম্ভব নিমূল করে দেন।
তিনি আরো বলেন, ” যতদিন পর্যন্ত করোনাভাইরাস বিরাজমান থাকবে ততদিন পর্যন্ত সাধারণ অসহায় মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করব”।
]]>
প্রিয় বিরুলিয়া ইউনিয়নবাসী,
আসসালামু আলাইকুম ।
দেশে নিত্য প্রয়োজনীয় চাল, ডাল, আটা, তেল, পেয়াজ, রসুনসহ সকল প্রকার মালামাল পর্যাপ্ত পরিমানে মজুদ আছে । তাই আপনারা আতঙ্কিত হয়ে অতিরিক্ত দ্রব্য সামগ্রী ক্রয় বা মজুদ না করার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হলো।
এলাকায় যে সকল দোকানদার ও ব্যবসায়ী কারসাজির মাধ্যমে দ্রব্য মূল্যের অতিরিক্ত দাম নেয়ার চেষ্টা করবেন তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের মোবাইল কোর্টসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
অত্র ইউনিয়নের সকল হাট-বাজার সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ও হাট-বাজার কমিটির সমন্বয়ে মনিটরিংয়ে ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং ব্যবসায়ীদের কোন ধরনের অসংগতি কিংবা মূল্য বৃদ্ধির চেষ্টা পরিলক্ষিত হলে ইউপি চেয়ারম্যান অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সাভারকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
মহামারী মোকাবিলায় আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হোন।
মহান আল্লাহ আমাদের সকলের সহায় হোক-আমিন ।
সাইদুর রহমান সুজন
চেয়ারম্যান
বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ
সম্পদনায়ঃ আবুল কালাম আজাদ।
তাং-২০ মার্চ ২০২০ ইং।