মোহাম্মদ আদনান মামুন, শ্রীপুর (গাজীপুর):
গাজীপুরের শ্রীপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে অসত্য তথ্য প্রচার দিয়ে অপ্রচার চালাচ্ছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন শ্রীপুর পৌরসভার ৪র্থ শ্রেণীর মাষ্টাররোলের অফিস সহায়ক জহিরুল হক সবুজ। সম্প্রতি মঙ্গলবার (২৮ই জুলাই) বেলা ১২টায় উপজেলার বরমী গ্রামের নিজ বাড়ীতে এক সংবাদ সম্মেলন এসব অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের কয়েকটি আইডি থেকে বেশ কিছুদিন যাবৎ আমার ও আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে নানা রকম অপ্রচার চালাচ্ছে একটি চক্র। তারা ফেসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইন সংবাদ মাধ্যমকে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে আমার নামে “পিয়ন থেকে কোটিপটি”সহ ভিন্ন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করাচ্ছে। উক্ত সংবাদ ও ফেসবুকের তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, বনোয়াট, ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তকর ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। আমাকে সামাজিক ও ব্যবসায়িক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই পায়তারা চালাচ্ছেন। আমি তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
তিনি বলেন, তার বাবা প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার হিসেবে কাজ করেছেন। তারও ঠিকাদারী ব্যবসা আছে। ঠিকাদারী ব্যবসার পাশাপাশি আমি দৈনিক হাজিরা ভিত্তিতে পৌরসভার ৪র্থ শ্রেণীর মাষ্টাররোলের অফিস সহায়ক হিসেবে কাজ করছি। এছাড়াও তার পৈত্রিক অনেক সম্পত্তি রয়েছে। পৈত্রিক একটি বাড়ি, উত্তরার একটি ব্যাংকে মর্টগেজ দিয়ে ২৪লাখ ঋণ নিয়ে বালুর ব্যবসা শুরু করি। পর্যায়ক্রমে বাবার কাছ নেয়া আরও টাকা মূলধন হিসেবে নিয়ে ব্যবসার প্রসার করি।
তিনি আরও বলেন, আমি দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত বলা হলেও আমি কোন দুর্নীতি করিনি। আমি বৈধ ঠিকাদার ব্যবসায়ী, সরকারকে ভ্যাট, ট্যাক্স দিয়ে ব্যবসা করছি। আমাকে কোটিপতি বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে ব্যাংক ঋণ ও বাবার কাছ নেয়া টাকা ছাড়া ব্যবসায় কোন মূলধন নেই।
]]>শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
সাভার পৌর এলাকায় এখনো করোনা ভাইরাস মুক্ত রয়েছে। সাভারে করোনার কোন প্রভাব নেই সাংবাদিকের সাথে আলাপকালে বললেন সাভার পৌর আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক সাগর সাহা। করোনা ও ডেঙ্গু থেকে মুক্তির উপায় একমাত্র পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা থাকা। যে কোন সাবান দিয়ে হাত পা মুখ পরিস্কার রাখা। ঠান্ডা হাঁচি কাশি বেশী হলে নিকটস্থ হাসপাতালে চিকিৎসকের নিকট পরামর্শ নিতে হবে।
একমাত্র আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। তাহলে করোনা ও ডেঙ্গু থেকে মুক্ত হতে পারবো।
মুমূর্ষু রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সকে সড়ক, ফেরি ও সেতুতে আর কোনো টোল দিতে হবে না। আজ, রোববার (১ মার্চ) থেকে পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্তটি কার্যকর হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি সকল ধরনের অ্যাম্বুলেন্স এই টোল মওকুফের আওতায় থাকবে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে। আদেশে বলা হয়েছে, অর্থ বিভাগের ২০১৯ সালের ৪ নভেম্বরের সম্মতির পরিপ্রেক্ষিতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের আওতাধীন সড়ক, ফেরি এবং সেতুতে সরকারি ও বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সে মুমূর্ষু রোগী বহনকালীন টোলের সমপরিমাণ অর্থ সেবা প্রদানকারী অ্যাম্বুলেন্সের চার্জ থেকে হ্রাস করার শর্তে সকল সরকারি ও বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের টোল মওকুফ করা হলো।
এ আদেশ আগামী ১ মার্চ থেকে কার্যকর হবে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়েছিল।
এদিকে, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) হিসাবে, গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট নিবন্ধিত অ্যাম্বুলেন্স ছিলো প্রায় ৬ হাজার ৪২৪টি। তবে নিবন্ধন ছাড়াও নগরীতে বেসরকারি অনেক অ্যাম্বুলেন্স চালু রয়েছে। এসব অ্যাম্বুলেন্স রেজিষ্ট্রেশন ছাড়া টোল মওকুফ হবে কিনা জানা যায় নি।
]]>সত্যের সংবাদ ডেস্ক: আত্মহত্যা নয়; স্বামীর নির্যাতনেই মারা গেছেন বরিশাল সরকারী ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী হেনা আক্তার (৩০)। দুধ গরম করতে দেরি হওয়ায় ক্ষুব্ধ স্বামী নিয়াজ মোর্শেদ সোহাগের নির্যাতনে তার (হেনা) মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এমনকি মারধরের পর আত্মহত্যার চেষ্টার নাটকও সাজিয়ে ছিলো হেনার চতুর স্বামী সোহাগ।
পুলিশের সুরতহালে নিহত হেনার শরীরের হত্যার আলামত পাওয়া গেছে। যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পেয়ে এনিয়ে পুরোপুরিভাবে মুখ খুলতে নারাজ পুলিশ। তবে হত্যার অভিযোগে হেনার স্বামী নিয়াজ মোর্শেদ সোহাগ ওরফে পাসপোর্ট সোহাগকে গ্রেফতারের বিষয়টি বুধবার সকালে নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম পিপিএম।
হেনার অপমৃত্যু মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আরাফাত রহমান হাসান জানান, গত ২৪ ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে বলে প্রচার করে সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী ও এক সন্তানের জননী হেনা আক্তারকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেন তার স্বামী। এরপর মঙ্গলবার ভোররাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেবাচিম হাসপাতালে মৃত্যু হয় হেনা আক্তারের। তবে তার মৃত্যু নিয়ে শুরু থেকেই সন্দেহের সৃষ্টি হয়। নিহতের পরিবারের সদস্যরা এটিকে সুপরিকল্পিত হত্যা বলে অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে হেনার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন পুলিশ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, একসময় হেনা আক্তার বিএম কলেজ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন। এমনকি তিনি (হেনা) বিএম কলেজের বনমালী গাঙ্গুলী ছাত্রী হোস্টেলের নিয়ন্ত্রক ছিলেন। একইসময় নগরীর অক্সফোর্ড মিশন রোড এলাকার বাসিন্দা নিয়াজ মোর্শেদ সোহাগ ওরফে পাসপোর্ট সোহাগের সাথে পরিচয় হয় হেনা আক্তারের। পরিচয় থেকে প্রেম। এমনকি সেই সম্পর্ক শেষপর্যন্ত বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়। দাম্পত্য জীবনে তাদের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
সূত্রমতে, দুইজনের মতেই বিয়ে হওয়া সত্বেও তাদের এ সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি সোহাগের পরিবার। এ কারনে তারা আলাদাভাবে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। এনিয়ে সোহাগ ও হেনার মধ্যে দাম্পত্য কলহ লেগেই ছিলো। তাছাড়া প্রায়ই হেনাকে মারধর করতো সোহাগ।
সূত্রমতে, ঘটনার দিন রাতে হেনাকে দুধ গরম করে আনতে বলে সোহাগ। হেনা পরে দুধ গরম দেয়ার কথা বলেন। এনিয়ে সোহাগ ও হেনার মধ্যে তুমুল বাগ্বিতন্ডা হয়। একপর্যায় স্বামী সোহাগ ক্ষুব্ধ হয়ে হেনাকে মারধর করেন। এতে হেনা জ্ঞান হারিয়ে ফেলার পাশাপাশি তার কান থেকে রক্ত ঝড়তে শুরু করে। ওই রাতেই হেনাকে মুমূর্ষ অবস্থায় শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে সোহাগ। ভর্তির সময় হেনা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে বলে চিকিৎসককে জানানো হয়।
পুলিশের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা গেছে, হেনার মৃত্যুর পর থেকেই ঘটনাটি নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। এমনকি নিহতের মৃতদেহের সুরতাহাল করতে গিয়ে হত্যার আলামতও খুঁজে পায় পুলিশ। এ কারনে মঙ্গলবার বিকেলে সোহাগকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ।
বুধবার সকালে কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম জানান, ঘটনার রাতে সোহাগ ও হেনার মধ্যে দুধ গরম দেয়া নিয়ে ঝগড়ার কথা স্বীকার করেছে সোহাগ। তবে এরপর হেনাকে মারধর করা হয়েছে কিনা সে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে সোহাগকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছিলো। জিজ্ঞাসাবাদে হেনার মৃত্যুর পেছনে সোহাগের হাত রয়েছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তাই তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
]]>নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সাভারে আধিপত্ত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এসময় উভয় পক্ষের হামলায় কমপক্ষে ৫ জন আহত হলে তাদেরকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার রাতে উপজেলার ভাকুর্তা ইউনিয়নের
মোগড়াকান্দা এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এঘটনায় উভয়পক্ষ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও মারধরসহ লুটপাটের অভিযোগ তুলেছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল
পরিদর্শন করেছে। এছাড়া এঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছেন হামলার শিকার ইউপি ওয়ার্ড সদস্য জাকির হোসেন।
সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানা যায়, আধিপত্ত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ভাকুর্তা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী
শহিদুল্লাহ বেপারী ও যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল বাতেনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মনোমালিন্য চলে আসছিলো। এরই মধ্যে আব্দুল বাতেন আগামীতে সভাপতি
প্রার্থী হওয়ার ঘোষনা দেওয়ায় তাদের মধ্যকার বিরোধ আরও চাঙ্গা হয়ে এ ঘটনা ঘটে।
একটি বিচারকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন আওয়ামীগের
সভাপতি শহিদুল্লাহ বেপারী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ বাতেন এর লোকজনদের সাথে সংঘর্ষ বাধে ।
খবর পেয়ে ইউপি ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য জাকির হোসেন বিষয়টি জানার জন্য ইসমাইলের বাসার সামনে আসলে হামলাকারীরা তার উপরও হামলা
চালায়। এসময় জাকির হোসেন ও শহিদুল্লাহ বেপারী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
একপর্যায়ে জাকির হোসেন গ্রুপ পিছু হটলে পরে শহিদুল্লাহ বেপারীর বড় ভাই বিল্লালের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়।
এদিকে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ভাকুর্তা পুলিশ
ফাঁড়ির ইনচার্য এনামুল হক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা চালান। কিন্তু উভয়পক্ষ মারমুখি হওয়ায় পুলিশ তাদেরকে থামাতে ব্যার্থ হলে শহিদুল্লাহ বেপারী লোকজন জাকির মেম্বারের কার্যালয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালায়।
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শহিদুল্লাহ বেপারী অভিযোগ করেন, জাকির মেম্বার, কবির, নাদির, আবু তাহেরসহ প্রায় ২০-৩০ জনের সন্ত্রাসী প্রথমে আমার অফিসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে তাকে মারধরের
চেষ্টা করে। এসময় স্থানীয়রা তাদেরকে প্রতিহত করলে সন্ত্রাসীলা তার ভাই বিল্লালের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়।
হামলায় আহত হাসনেয়ারা বেগম অভিযোগ করেন, জাকির, আবু তাহের,
মজিবর, ইসমাইল, মালেক ও খালেকসহ ২০-৩০ জন সন্ত্রাসী রাম দা, চাপাতি ও পিস্তল নিয়ে আমাদের বাড়িতে হামলা চালায় ব্যাপক ভাংচুর
করে। এসময় তারা বাড়ির প্রতিটি কক্ষের দরজা-জানালা, বিদ্যুৎ এর মিটার, আসবাবপত্র ভাংচুর করে এবং লকার ভেঙ্গে দশ ভরি স্বর্ন এবং নগদ
দশ লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
এ হামলার সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও
তারা নিরব ভূমিকা পালন করেছে।
হামলার বিষয়ে জাকির মেম্বার বলেন, শহিদুল্লাহ বেপারী ও তার ছেলে রহমত
আলী সন্ত্রাসী নিয়ে আমার ভাতিজি জামাই ইসমাইলের তিন তলা বাড়িতে হামলা চালায়। খবর পেয়ে আমরা সেখানে গেলে তারা পুর্ব প্রস্তুতি অনুযায়ী আমাদের উপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে তারা আমার
কার্যালয় ভাংচুর করে এবং সাথে থাকা নগদ ৯ লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
হামলায় আমার তার আব্দুর রশিদ গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে এনাম মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া তার ভাতিজি ও জামাইকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে তালা লাগিয়ে দিয়েছে।
সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম ভাকুর্তায় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এঘটনায় ইউপি সদস্য জাকির হোসেন একটি মামলা দায়ের করেছেন।
যাথাযোগ্য মর্যদায় মহান একুশে ফেব্রয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সকালে সাভারের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন সাভার পৌর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের নেতা-কর্মীরা।
যাথাযোগ্য মর্যাদায় ভাষা দিবসে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন সাভার পৌর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের নেতা-কর্মীরা।
এসময় আলোচনাসভা,র্যালী ও শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা। এসময় একুশে ফেব্রুয়ারি আলোচনাসভা,র্যালী ও শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় সভাপতিত্ব করেন সাভার পৌর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের সাভার পৌর সভাপতি এম এম জাহেরুল আহসান ফারুক।
প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের ঢাকা জেলার উত্তরের সভাপতি জি,এম নজরুল ইসলাম নিরব।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের ঢাকা জেলার উত্তরের সিনিয়র সহ-সভাপতি এ বি আনোয়ার হোসেন, সাভার উপজেলার বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি মোঃ
ছফুর উদ্দিন ও সাভার উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মোঃ উজ্জল হোসাইন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাভার পৌর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের ঢাকা জেলার
সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক জাকারিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইয়াছিন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আক্তার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বলে বিষয়ক সম্পাদক মোঃ হালিম।
বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের
সাভার ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ রাজু আহম্মেদ, ধামসোনা ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ মাহাবুব আলমসহ সাভার পৌর ও সাভার উপজেলা ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা।
গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় সকল কর্মকর্তা, কর্মচারীদের জন্য অফিস চলাকালীন প্রতিদিন মসজিদে গিয়ে যোহর, আসর ও মাগরিবের নামাজ পড়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
গত ৯ তারিখে জারি করা একটি নোটিশে লেখা রয়েছে, এই তিন ওয়াক্ত নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় পাঞ্চ মেশিনে পাঞ্চ করতে হবে। যদি কোন কর্মী মাসে সাত ওয়াক্ত পাঞ্চ করে নামাজ না পড়েন; তবে একদিনের সমপরিমাণ হাজিরা কেটে নেয়া হবে তার বেতন থেকে।
ফ্যাক্টরিটির অপারেশন্স বিষয়ক পরিচালক মেসবাহ ফারুকী জানিয়েছেন, এটি শুধু উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা সহ সকল স্টাফদের নামাজ পড়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এক প্রশ্নে জবাবে ফারুকী সাংবাদিকদের বলেন, সবাই আমরা নামাজ পড়ি। আমরা ইসলাম ধর্মের অনুসারী, আমাদের নামাজ পড়া ফরজ। এখানে মুসলমান যারা আছে তারা সবাই নামাজ পড়ে। কিন্তু তারা নামাজ পড়ে বিক্ষিপ্তভাবে।
তিনি আরও বলেন, কর্মীদের মধ্যে মতভেদ-দূরত্ব কমানোর একটি উপায় হিসাবে কারখানায় নামাজ বাধ্যতামূলক করার এই সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন। আমাদের এখানে বিভিন্ন মতভেদের লোক আছে। এখানে একটা টিম হিসেবে কাজ করতে হয়। এখানে ফেব্রিক ডিপার্টমেন্টের সাথে নিটিং সেক্টরের হয়ত একটা সমস্যা থাকে। একেকজন একেকজনের উপর দোষারোপ সারাদিন চলতেই থাকে। তো আমি এটার সমাধান হিসেবে চিন্তা করলাম তাদের যদি একসাথে বসানো যায়, একসাথে কিছু সময় যদি তারা কাটায়, তাদের মধ্যে দূরত্বটা কমবে বলে আশা করছেন ।
তিনি বলেন, তার কাছে মনে হয়েছে মসজিদ ছাড়া একসাথে বসানোর কোন পন্থা তিনি খুঁজে পাননি।তাই এই একত্র করার জন্য নামাজ পড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ফারুকী তাদের সিদ্ধান্তের বিষয়ে স্বাস্থ্যগত একটি ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। তিনি বলছেন, সারাদিন বসে বসে কাজ করায় কোলেস্টেরল বেড়ে ডায়াবেটিসসহ আরো রোগ দেখা দেয়। মসজিদ চারতলায় হওয়াতে আসা যাওয়া ও নামাজের মাধ্যমে সকলের কিছুটা ব্যায়ামও হচ্ছে।
এ ধরণের নির্দেশনাকে সংবিধানবিরোধী আখ্যা দিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। সংবিধানেই তো বলা আছে ধর্ম কারো ওপর চাপিয়ে দেয়া যাবে না।
তিনি বলেন, কোন আইন দিয়েই এটা বাধ্যবাধকতা দেয়া যায় না। ইসলাম ধর্মও বলে না কারো ওপরে ধর্ম চাপিয়ে দেয়া যাবে। আপনি যেমনটি বলছেন, তেমনটি হলে তো এটা খতিয়ে দেখতে হবে।
অনেক মুসলিম শ্রমিকরাও নামাজ পড়ার আহবান করায় স্বাগত জানিয়েছেন। পরিস্কার – পরিছন্নতার মাধ্যমে দেহে বহু রোগ থেকে মুক্ত হয়। তবে মহিলা শ্রমিকদের ক্ষেত্র একটু শিথীল যোগ্য হয় সেটিও মনে করছেন তারা।
]]>সরকারি কর্মচারীদের নিজ অফিসে নিয়মিত উপস্থিতির বিষয়ে নতুন বিধিমালা প্রণয়ন করছে সরকার। এজন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ‘সরকারি কর্মচারী (নিয়মিত উপস্থিতি) বিধিমালা- ২০১৯ এর খসড়া প্রণয়ন করেছে। মূলত ‘গণকর্মচারী শৃঙ্খলা (নিয়মিত উপস্থিতি) অধ্যাদেশ, ১৯৮২’ পরিমার্জন করে নতুন বিধিমালা করা হচ্ছে। খসড়া বিধিমালাটি সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পাঠিয়ে মতামত নিচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (বিধি) আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, কিছু বিধিমালা না হওয়ায় সরকারি চাকরি আইন এখনও বাস্তবায়নে যায়নি সরকার। সংশ্লিষ্ট বিধিগুলো প্রণীত হলে এ আইন বাস্তবায়নে যাবে সরকার। উপস্থিতি বিধিমালা তেমনই একটি বিধিমালা। ‘সরকারি চাকরি আইন-২০১৮’ এর আওতায় সরকারি কর্মচারী (নিয়মিত উপস্থিতি) বিধিমালার খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে।
খসড়ার বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মতামত নেয়া হচ্ছে জানিয়ে যুগ্ম সচিব আরো বলেন, ‘সবার মতামত নিয়েই এটি চূড়ান্ত করা হবে। ১৯৮২ সালের গণকর্মচারী শৃঙ্খলা (নিয়মিত উপস্থিতি) অধ্যাদেশ ছিল, সেটি আদালতের রায় অনুযায়ী বাতিল হয়েছে। এখন ওই অধ্যাদেশটি যুগোপযোগী করে নতুন বিধিমালাটি প্রণয়ন করা হয়েছে।’
যুগ্ম সচিব বলেন, আশা করি নতুন বিধিমালা সরকারি কর্মচারীদের উপস্থিতি নিশ্চিতে আরও সহায়ক হবে।
খসড়া নীতিমালায় যা আছে: সরকারি কর্মচারীর অফিসে যথাসময়ে উপস্থিতি নিশ্চিতে প্রত্যেক অফিসে নির্ধারিত হাজিরা বইতে স্বাক্ষর গ্রহণের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এ হাজিরা বই সংশ্লিষ্ট শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে অফিস সময় শুরু হওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যে উপস্থাপন করতে হবে। বিলম্বে উপস্থিত কর্মচারীর নামের পাশে লাল কালি দিয়ে বিলম্ব উপস্থিতি চিহ্নিত করতে হবে। এ ব্যবস্থার পাশাপাশি বা বিকল্প হিসেবে ডিজিটাল হাজিরা ব্যবস্থা চালু করা যাবে। সেক্ষেত্রে উপস্থিতি নিশ্চিতে অফিসপ্রধান এক বা একাধিক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োজিত করতে পারবেন।
এতে আরো বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ছাড়া কোনো সরকারি কর্মচারী ছুটিতে যেতে বা নিজ কর্মে অনুপস্থিত থাকতে পারবেন না। তবে শর্ত থাকে যে, রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের সার্টিফিকেট ও দুর্ঘটনার বিষয়ে যথাযথ সাক্ষ্যপ্রমাণের মাধ্যমে সমর্থিত হলে গুরুতর এবং আকস্মিক অসুস্থতা বা হঠাৎ দুর্ঘটনার জন্য অননুমোদিত অনুপস্থিতি সন্তোষজনক বলে গ্রহণযোগ্য হবে।
কোনো কর্মচারী অনুমতি ছাড়া অফিসে অনুপস্থিত থাকলে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর যুক্তিসংগত সুযোগ দিয়ে কর্মচারীর প্রতিদিনের অনুপস্থিতির জন্য একদিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ কেটে নিতে পারবেন বলে খসড়া বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
‘উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ছাড়া কোনো সরকারি কর্মচারী অফিস ত্যাগ করতে পারবেন না। তবে শর্ত থাকে যে, জরুরি প্রয়োজনে অফিস ত্যাগের ক্ষেত্রে সহকর্মীকে অবগত করে নির্ধারিত রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে। নির্ধারিত রেজিস্টারে কর্মচারীর নাম, পদবি, অফিস ত্যাগের কারণ, অফিস ত্যাগের সময় ও আসার সম্ভাব্য সময় লিপিবব্ধের ব্যবস্থা থাকবে।’
বিধিমালা অনুযায়ী, পূর্বানুমতি ছাড়া কোনো সরকারি কর্মচারী অফিস ত্যাগ করলে কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর সুযোগ দিয়ে প্রতিক্ষেত্রের জন্য ওই কর্মচারীর একদিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ কাটতে পারবে।
কোনো সরকারি কর্মচারী যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া দেরিতে অফিসে উপস্থিত হতে পারবেন না উল্লেখ করে বিধিমালায় বলা হয়েছে, এ বিধান লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর সুযোগ দিয়ে প্রতি দুদিনের বিলম্বে উপস্থিতির জন্য একদিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ কাটা যাবে।
এছাড়া কোনো সরকারি কর্মচারী ৩০ দিনের মধ্যে একাধিকবার বিনা অনুমতিতে অফিসে অনুপস্থিত, অফিস ত্যাগ ও দেরিতে অফিসে উপস্থিত হলে ওই কর্মচারীর আরও অতিরিক্ত সাতদিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ কাটা যাবে।
বিধিমালা অনুযায়ী, কোনো সরকারি কর্মচারীর বেতন কাটা হলে তিনি তিন কার্যদিবসের মধ্যে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করতে পারবেন। পুনর্বিবেচনার কোনো আবেদন করা হলে, আদেশ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ, সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে শুনানির যুক্তিসঙ্গত সুযোগ দিয়ে, বেতন কর্তনের আদেশ সংশোধন বা বাতিল বা বহাল রাখতে পারবে। পুনর্বিবেচনার আবেদন শুনানির ক্ষেত্রে সাক্ষ্যের সংক্ষিপ্তসার, প্রাপ্ত তথ্যাদি ও সিদ্ধান্ত লিপিবদ্ধ করতে হবে।
দণ্ডের অর্থ কর্তন সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারীর মাসিক বেতন বিল থেকে দণ্ডের অর্থ কেটে আদায় করতে হবে। ওই কর্মচারী নিজের বিল নিজে উত্তোলনকারী হলে, তাকে বেতন বিল থেকে দণ্ডের অর্থ কাটার নির্দেশ দিতে হবে। নির্দেশের কপি নিরীক্ষা অফিসে পাঠাতে হবে। ওই কর্মচারী বেতন বিল থেকে দণ্ডের অর্থ কর্তন না করলে নিরীক্ষা অফিস তা কেটে বিল পাস করবে বলে সরকারি কর্মচারী (নিয়মিত উপস্থিতি) বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
সূত্র: বিডি-জার্নাল প্রকাশ ২১.১.২০২০ ইং।
]]>তিনি বলেন, দেশে মাদকের ব্যবহার রয়েছে। মাদক যেভাবে বিস্তার হয়েছে তার জন্য অনেক বড় পদক্ষেপ নিতে হবে। মাদক নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। তবে পুলিশের পক্ষে একা মাদক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সবাই জানে কে কে মাদকের সঙ্গে জড়িত। সরাসরি বলতে অসুবিধা থাকলে গোপনে পুলিশকে জানান। অথবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানান, আপনার পরিচয় গোপন রাখব আমরা।
সম্প্রতি শনিবার বিকেলে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার সরকারি হলদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সুবিধাবঞ্চিত বেদে সম্প্রদায়ের সঙ্গে মাদক-সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিষয়ে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ডিআইজি হাবিবুর রহমান বলেন, ২০২০ সালকে ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করেছে সরকার। ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার’ অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করতে চায় পুলিশ। তবে পুলিশ সবসময়ই জনতার। ‘মুজিববর্ষে’ জনতার আরও কাছে যেতে চাই আমরা।
]]>কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের ২৭০২ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে, এবং প্রতিষ্ঠানটির ৪২০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশে এর আগে আরো কয়েকটি মাল্টি লেভেল মার্কেটিং কোম্পানির বিরুদ্ধে গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠলেও এবার এই প্রথম এ ধরণের কোন প্রতিষ্ঠানের কারো সাজা হলো।
দুর্নীতি দমন কমিশনের কৌঁসুলি মোশাররফ হোসেন কাজল জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটির ছয়জন কর্মকর্তাকে ১৩৫১ কোটি টাকা দুর্নীতির দায়ে মানি লণ্ডারিং আইনে সাজা দিয়েছেন আদালত।
এর মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মুনতাসীর হোসেন, পরিচালক আরশাদ উল্লাহ এবং জেনারেল ম্যানেজার এএম জামশেদ রহমান এই তিনজন ইতোমধ্যে কারাগারে রয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত বাকি তিনজন পলাতক।
দুদক ২০১১ সালের ২৫শে জানুয়ারি ইউনিপেটুইউ -এর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করে।
বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে ডেসটিনি ও যুবকসহ আরো কয়েকটি মাল্টি লেভেল মার্কেটিং কোম্পানির বিরুদ্ধে গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
সেসব ঘটনায় একাধিক মামলা হবার পর সেগুলো এখনো বিচারাধীন রয়েছে।
মাল্টি লেভেল মার্কেটিং কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ, এ প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাংকিং রেজিস্ট্রেশন না নিয়ে শুধুমাত্র সমবায়ের লাইসেন্স দিয়ে ব্যাংক সমতুল্য কিছু কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল।
শুরুতে মাল্টি লেভেল মার্কেটিং প্রতিষ্ঠানগুলো সমবায়ের লাইসেন্স দিয়ে গ্রাহকের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করতো এবং কখনো তারা ঋণও প্রদান করতো।
কিন্তু সমবায়ের লাইসেন্সের আওতায় সেটি করার জন্য তাদের অনুমতি নেই।
যদিও সেসময় এ ধরনের কার্যক্রম তদারকি করার মতো লোকবল সমাজ কল্যাণ বা সমবায় অধিদফতরের ছিল না।
এ ধরণের কয়েকটি অর্থ কেলেংকারির পরে ২০১৩ সালে সরকার মাল্টি লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করে।
]]>