Blog

  • সাভারে দিন রাতে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি,কর্তৃপক্ষের নেই কার্যকর পদক্ষেপ,সচেতন হতে বললেন চিকিৎসকরা

    সাভারে দিন রাতে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি,কর্তৃপক্ষের নেই কার্যকর পদক্ষেপ,সচেতন হতে বললেন চিকিৎসকরা

    সাভারে বিভিন্ন জায়গায় পরিত্যাক্ত ময়লা আবর্জনার স্তুপ,ড্রেনেজ ময়লা আবর্জনা পরে থাকলেও অপসারণের  উদ্যোগ কমই পরিলক্ষিত হয়।এর ফলে দিন রাতে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাচ্ছে।

     

    লেখক ও প্রতিবেদক,শেখ এ কে আজাদঃ

    সাভারে মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকার মানুষের। মশার ভয়াবহ আকারে দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে মশার বিস্তার ঘটে চলছে। দিন রাতে সব সময় মশার কামড়ে যেন নাজেহাল সাভার পৌর ও উপজেলার এলাকাবাসী।
    অনুসন্ধানে জানা গেছে, দিনের বেলায় স্কুল কলেজ অফিস থেকে শুরু করে বাসা বাড়িতে বিশাক্ত মশার কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে হচ্ছে তাদের। বিকেল ঘনিয়ে সন্ধ্যা হলে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাচ্ছে আরো কয়েক গুন বেশী। কিন্তু মশা নিধনে জন্য প্রতিবছর বাজেট থাকলেও পৌর কর্তৃপক্ষ মশা নিধনে তেমন কোন কার্যকর উদ্যোগ গ্রহন নেই।
    সাভার পৌর এলাকার মানুষের অভিযোগ করে আরো বলেন, এখন যেন কোন ঋতু মানে না ছোট বড় বিভিন্ন মশা। সাভারে বিভিন্ন জায়গায় পরিত্যাক্ত ময়লা আবর্জনার স্তুপ পরে থাকলে সরানোর উদ্যোগ কমই পরিলক্ষিত হয়। এসব ময়লা আবর্জনা পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার অভাবে মশার উপদ্রব ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে মানুষের দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত ঘটছে তার ফলে অনেকে বিশাক্ত মশার কামরে শরীর ব্যাথা, জ্বর-এলার্জিসহ বিভিন্ন রোগে ভোগে। কয়েল, স্প্রে বা মশারি টাঙ্গিয়েও মশার উৎপাত থেকে রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না মানুষ,মশার উৎপাত বেশী হওয়ায় টাঙ্গানো মশারীর ভিতর গিয়ে রক্ত চুশে খায় মশা। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর বেলা উঠার আগ পর্যন্ত মশার আক্রমন থেকে শেষ রক্ষা হচ্ছে না। কেউ স্বাধীন ভাবে কাজ ও শিক্ষার্থীরা লিখাপড়া করতে পারছে না।

    সাভার উপজেলায় শিল্প নগরী হওয়ায় কলকারখানার দূষিত পানি, বর্জ্য, বিভিন্ন স্থানের জমে থাকা ড্রেনে নোংরা পানি এবং যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলায় এ অঞ্চলটি মশার প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে বসানো ডাষ্টবিন ও আবর্জনা ফেলার স্থান নিয়মিত পরিস্কার না করার ফলে মশার বিস্তার ক্রমশ বাড়ছে মন্তব্য বিশেজ্ঞদের। আর এতে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুকিতে রয়েছে শিশুরা। তাদের ঠান্ডা জ্বর লেগে থাকে প্রায় সময়।

    শিক্ষার্থীদের অভিভাবগন উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সারাদিন মশার উপদ্রব থাকলেও সন্ধ্যার পর পরই যেন মশার রাজত্ব চলে কোথায় থেকে মশা এসে রুম ভরে যায় কামরিয়ে রক্ত চুষে খায় তাদের। ফলে সন্ধ্যায় থেকে মশার কয়েল জ্বালিয়ে বা স্প্রে ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের পড়তে বসতে হয়,ফলে ঠান্ডায় হাচি কাশির মত যন্ত্রনা ভোগ করতে হয় তাদেরও। উপান্তর না পেয়ে মশার উৎপাতে নাজেহাল হয়ে মশারি টাঙ্গিয়ে লেখাপড়া করতে হচ্ছে।
    সাভার বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে মশার কামড়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, এদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যাই বেশী।
    সাভার পৌরসভাধীন তালবাগের বাসিন্দা উন্নয়ন কর্মী আতিকুর রহমান জানান, মশা নিধনে পৌর কর্তৃপক্ষের কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেই। মশা মারার বাজেট থাকলেও মশা নিধনে পৌর এলাকার কোথাও স্প্রে করতে দেখা যায় না।

    কীটপতঙ্গের মাঝে মশা ও মাছি বাহিত রোগের সংখ্যাই বেশি, মশা সাধারনত ডোবা জলাশয়, উন্মুক্ত ড্রেইন, জমেথাকা পানি, পরিত্যাক্ত গাড়ীর ট্রায়ার, ডাবের খোসা এসব জায়গার জমে থাকা পানিতে বংশবিস্তার করে থাকে। মশাবাহিত রোগের মধ্য ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গী রোগসহ নানাবিধ ইনফেকশাস রোগ হয়
    ,বাড়ীর চারপাশ পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন রাখা,ডোবা জলাশয় সহ সব জায়গায় মশক নিধন স্প্রে নিয়মিত ভাবে প্রয়োগ করলে এই রোগের প্রকোপ কমে যাবে। ঘরের মেঝে মশারী, লম্বাজামা, বিবিধ জেল শরীরে মাখালে মশা সহজে কামড়াতে পারে না, মশার প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস করে, এবং নির্মূল করে মশার হাত থেকে আমরা রেহাই পেতে পারি, মশাবাহিত রোগবালাই থেকে মুক্তি পেতে পারি বলে জানিয়েছেন,বিএসএমএমইউ উচ্চতর প্রশিক্ষণরত শিশু স্বাস্থ্য ও প্রজনন স্বাস্থ্যের এবং সাবেক সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ আমজাদুল হক।

    মশা বাহিত রোগ প্রতিরোধ সম্পর্কে করণীয় সম্পর্কে সত্যেরসংবাদ.কম এ সাভার উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সের ইউএইচএফপিও এর কর্মকর্তা ডাঃমোঃ সায়েমূল হুদা বিশেষ এক সাক্ষাতকারে প্রতিবেদক শেখ এ কে আজাদের নিকট বলেন, মশা বাহিত ম্যালেরিয়া,ডেঙ্গু,চিকনগুনিয়া রোগসহ অনন্য রোগ হতে পারে আমাদের তবে বর্তমানে সাভারে এসব রোগের প্রাদূর্ভাব নেই। সাধারনত ছোট-বড় মানুষদের মশার কামরে এলার্জি হতে পারে এর সাথে শরীর ব্যাথা হলে জ্বর হওয়ার সম্ভবনা থাকে তবে ভয় পাওয়ার কারন নেই । এসব রোগ দেখা দিলে সাভার উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে সঠিক রোগ নির্ণয়সহ, চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। রোগ প্রতিরোধ করণী সম্পর্কে আরো তিনি আরো বলেন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান আঙ্গিনা সঠিকভাবে নিয়মিত পরিস্কার – পরিচ্ছন্ন রাখলে এর প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

  • অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ভারতকে হারিয়ে বাংলাদেশ বিজয়ী হওয়ায় সাভারে ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিল

    অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ভারতকে হারিয়ে বাংলাদেশ বিজয়ী হওয়ায় সাভারে ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিল

    অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ভারতকে হারিয়ে বাংলাদেশ ফাইনাকে বিজয়ী হওয়ায় সাভারে আনন্দ মিছিল করেছে ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগ। বুধবার দুপুরে নিউ মার্কেটের সামনে থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি ঢাকা আরিচা মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। এতে ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনির, সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ কবিরসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।

  • সাভারে অনুমোদনহীন ৩টি বেসরকারি হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনিষ্টিক সেন্টার সিলগালা ও অর্ধলক্ষাধিক টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত

    সাভারে অনুমোদনহীন ৩টি বেসরকারি হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনিষ্টিক সেন্টার সিলগালা ও অর্ধলক্ষাধিক টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত

    সাভারে অনুমোদনহীন ৩টি বেসরকারি হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনিষ্টিক সেন্টার সিলগালা ও অর্ধলক্ষাধিক টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।। ছবি প্রতীকী।। 

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
    সাভারে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ৩টি বেসরকারি হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনিষ্টিক সেন্টারে অভিযান করেছে সাভার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম ভ্রাম্যমান আদালত। মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করা হলে এসময় তিনটি প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিভিন্ন অংকের জরিমানা হাসপাতালকে সিলগালা করে বন্ধ করে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।

    হাসপাতাল গুলো হলো, সাভারের পৌর এলাকা গেন্ডায় অবস্থিত ল্যাবস্টার হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার, নিউ লাইফ কেয়ার হাসপাতাল, কর্ণপাড়া এলাকার যমুনা ডিজিটাল হাসপাতাল। এর মধ্যে যমুনা ডিজিটাল হাসপাতাল বন্ধের পাশাপাশি নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ল্যাবস্টার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নগদ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

    অভিযান শেষে নির্বাহী হাকিম মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ জানান, প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন যাবত সরকারী অনুমোদন ছাড়াই নিয়মনীতি না মেনে বিভিন্ন আবাসিক ভবনে হাসপাতাল খুলে রোগীদের সাথে প্রতারনা করে আসছিলো। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানগুলোতে পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি নেই।
    অপরদিকে যমুনা ডিজিটাল হাসপাতালের মালিক মোঃ আরিফ বিল্লাহ’র স্ত্রী চিকিৎসক না হয়েও রোগীদের ডিএনসি করাসহ বিভিন্ন গাইনী চিকিৎসা প্রদান করে আসছিলো যা অত্যন্ত ঝূকিপূর্ণ। এসব কারনে প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি দুটি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়েছে।
    ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা সময় যারা উপস্থিত ছিলেন সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ সায়েমুল হুদা, সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার নুসরাত জাহান সাথীসহ আরো অনেকে।

  • সাভারে র‍্যাব-৪ এর অভিযানে অবৈধভাবে গরু মাংশ আমদানী ও সংরক্ষন করার অপরাধে এনামূর রহমান (৪০)কে আটক ও অনাদায়ে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা,মাংশ জব্দ করেছে ভ্রাম্যমান আদালত

    সাভারে র‍্যাব-৪ এর অভিযানে অবৈধভাবে গরু মাংশ আমদানী ও সংরক্ষন করার অপরাধে এনামূর রহমান (৪০)কে আটক ও অনাদায়ে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা,মাংশ জব্দ করেছে ভ্রাম্যমান আদালত

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ

    সাভারের রেডিওকলোনি এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত র‍্যাব ৪ এর অভিযানে অবৈধভাবে গরু মাংশ আমদানী করে সংরক্ষন করার অপরাধে এনামূর রহমান (৪০)কে আটক ও অনাদায়ে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে র‍্যাব-৪ এর ভ্রাম্যমান আদালত।।

    আটককৃত এনামূর রহমান (৪০) গোপালগঞ্জ এলাকায় বাড়ী। বর্তমানে সাভার পৌর  বাটপাড়া এলাকায় একটি দোকান ভাড়া করে বেশ কিছুদিন যাবৎ মাংশ বিক্রি করে আসছিলো কর্মচারীদের দিয়ে। আর তিনি এ অবৈধভাবে আমদানীকৃত মাংশ সাভারসহ বিভিন্ন রেস্তোরায় কমদামে বিক্রি করে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা।  তিনি জানায়, প্রতিমাসে এক টন করে গরুর মাংশ তিনটি ডিপ ফ্রিজে রেখে বিক্রি করে।

    র‍্যাব-৪ এর কোম্পানী কমান্ডার মেজর শিবলী মোস্তফা জানান, এসব গরু মাংশ আমদানী ও বিক্রি নিষিদ্ধ থাকলেও সাভারের বিভিন্ন রেস্তোরাসহ চাইনিজ রেস্তোরায় এসব মাংশ কম দরে বিক্রি করে দীর্ঘ দিন থেকে ক্রেতাদের সাথে প্রতারনা করে আসছিলো। এ অবৈধ প্রতিষ্ঠান বিক্রিয় নিষিদ্ধ মজুদকৃত মাংশ জব্দ করা হয়। অভিযানের সময় সাভার পৌর ও প্রানী সম্পদ কর্মকর্তাসহ পর্যাপ্ত পরিমানে র‍্যাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলো

    র‍্যাব-৪ এর নির্বাহী হাকিম আনিছুর রহমান জানান, সাভারের রেডিওকলোনি দীর্ঘ দিন যাবৎ নয়াবাড়ী বাটপাড়া এলাকায় একটি বাসা বাড়ীতে অবৈধভাবে ইন্ডিয়া থেকে গরুর মাংশ আমদানী করে সংরক্ষন করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার র‍্যাব ৪ এর অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক, ২ লক্ষ টাকা জরিমানাসহ ফ্রিজে রাখা ৪ মন মাংশ জব্দ করা হয়েছে।আটকৃত গরুর মাংশ পরীক্ষা- নিরীক্ষা করার পর পরবর্তী আরো আইন আনুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান র‍্যাবের ভ্রাম্যমান আদালতের হাকিম।

    সাভারের এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত র‍্যাব ৪ এর অভিযানে অবৈধভাবে গরু মাংশ আমদানী করে সংরক্ষন করার অপরাধে এক ব্যবসায়ীকে আটক ও অনাদায়ে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে র‍্যাব-৪ এর ভ্রাম্যমান আদালত। – সত্যের সংবাদ.কম

     

  • প্রত্যাহারকৃত পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে আগামী ৫ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য

    প্রত্যাহারকৃত পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে আগামী ৫ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য

    প্রত্যাহারকৃত পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে আগামী ৫ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য

    নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রত্যাহারকৃত আলোচিত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগের পুলিশের পক্ষ থেকে
    তদন্ত শেষ করা হয়েছে। তবে ওই তদন্ত প্রতিবেদন এখনও দাখিল করা হয়নি।

    ১০ ফেব্রুয়ারি, সোমবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চকে এ তথ্য জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অমিত তালুকদার।

    রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার আদালতে বলেন, ‘মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগের পুলিশের তদন্ত শেষ হয়েছে। তবে রিপোর্ট আমরা এখনও হাতে পাইনি। আশা করি শিগগিরই এ রিপোর্ট আমরা পাবো।’

    তখন আদালত রিটকারী আইনজীবীকে উদ্দেশ্যে বলেন, তাহলে পুলিশের প্রতিবেদনটা আগে দেখুন। এরপর আদালত পরবর্তী শুনানির জন্য ৫ এপ্রিল দিন ধার্য করেন। আদালতে রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট সালেহ উদ্দিন নিজেই শুনানি করেন। আদালতের এ বিষয়টি ঢাকাটাইমসকে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

    এর আগে গত বছরের ১২ নভেম্বর মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ও ক্ষমতা অপব্যাবহারের তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে করা রিট শুনানি মুলতবি রাখেন আদালত।

    আদালত রিটকারী আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে ওইদিন বলেছিলেন, ‘আপনি তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো আগে দুনীর্তি দমন কমিশন ও পুলিশ মহাপরিদর্শকের কাছে দাখিল করেন। তারা যদি কোনো ব্যবস্থা না নেয় তারপর আপনারা হাইকোর্টে আসেন। তখন আমরা বিষয়টি দেখব।

    পরে পুলিশের পক্ষ থেকে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগের তদন্ত শুরু করা হয়।

  • পরিবেশ দূষণের দায়ে সাভারের রাজফুলবাড়িয়ায় অবৈধ দুটি ব্যাটারির কারখানা সিলগালা,১ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত

    পরিবেশ দূষণের দায়ে সাভারের রাজফুলবাড়িয়ায় অবৈধ দুটি ব্যাটারির কারখানা সিলগালা,১ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত

    • শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ

    পরিবেশ দূষণের অভিযোগে ঢাকার অদূরে সাভারে অবৈধ দুটি ব্যাটারি তৈরির কারখানা সিলগালা করে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত ।সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের রাজফুলবাড়িয়া এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কাজী তামজিদ আহমেদ।

    সেই সাথে আরও একটি কারখানার মালিককে নগদ এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।

    পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সাভারের রাজফুলবাড়িয়া এলাকার লিজেন্ড ব্যাটারি ও জেলটেক লিমিটেড ব্যাটারি কারখানা কর্তৃপক্ষ পরিবেশ দূষণ করে ব্যাটারি তৈরি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে আসছিলো। পরে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ওই দুটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে পরিবেশ দূষণের দায়ে কারখানা দুটি সিলগালা করে দেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী হাকিম কাজী তামজিদ আহমেদ। সেই সাথে ওই দুটি কারখানার পাশে পরিবেশ দূর্ষণের দায়ে সেভেন ষ্টার নামের একটি ব্যাগ তৈরিরি কারখানার মালিক শফিকুল ইসলামকে নগদ এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

    নির্বাহী হাকিম কাজী তামজিদ আহমেদ বলেন কারখানা দুটি অবৈধভাবে তাদের কারখানার বিষাক্ত গ্যাসে আশে পাশের এলাকার মানুষ শ্বাস কস্ট ও ক্যান্সারসহ নানা রোগে ভুগছিলেন। কারখানার শ্রমিকরাও বিভিন্ন অসুখে ভুগছিলো বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। জীবনের তাগিদে শ্রমিকরা এতোদিন অসুখ নিয়ে এ কাজ করছিলো বলে জানিয়েছে ।

    অবৈধ কারখানা দুটি সিলগালা করায় এলাকাবাসী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অভিযানে এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাহবুবুর রহমান,শরিফুল ইসলাম,হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা উজ্জল বড়ুয়াসহ আরো অনেকে। অভিযানের সময় পুলিশ মোতায়েন ছিলো।

  • রাষ্ট্রীয়য়ভাবে সংবর্ধনা দেওয়ার আহ্বান অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটারদেরঃ সংসদে বিরোধী দলীয় সংসদ

    রাষ্ট্রীয়য়ভাবে সংবর্ধনা দেওয়ার আহ্বান অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটারদেরঃ সংসদে বিরোধী দলীয় সংসদ

    সংসদ সংবাদঃ

    অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট বিজয়ের ঢেউ সংসদে। যুব বিশ্বকাপে শিরোপা অর্জন করায় অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি তাদের রাষ্ট্রীয়য়ভাবে সংবর্ধনা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা। এর সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মন্ত্রী-এমপিরাও। সোমবার বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাবিগুলো তুলে ধরেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু। এরপর তার সঙ্গে একমত পোষণ করে গণফোরামের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ একই দাবি জানান।

  • দেশে টাকার বিনিময়ে তাস খেলাসহ সব ধরনের জুয়া অবৈধ ঘোষণাঃ হাইকোর্ট

    দেশে টাকার বিনিময়ে তাস খেলাসহ সব ধরনের জুয়া অবৈধ ঘোষণাঃ হাইকোর্ট

    • ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

    বাংলাদেশে তাস খেলাসহ সব ধরনের জুয়া খেলা নিষিদ্ধ করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সাথে দেশের কোথাও জুয়ার উপকরণ পাওয়া গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তা জব্দের নির্দেশ দেয়া হয়েছে রায়ের পক্ষ থেকে।

    সোমবার এক রিট শুনানি শেষে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। নিষিদ্ধ হওয়া ১৩টি অভিজাত ক্লাবের মধ্যে রয়েছে— ঢাকা ক্লাব, গুলশান ক্লাব, বনানী ক্লাব, অফিসার্স ক্লাব ঢাকা, ঢাকা লেডিস ক্লাব, ক্যাডেট কলেজ ক্লাব গুলশান, চিটাগাং ক্লাব, চিটাগাং সিনিয়র্স ক্লাব, নারায়ণগঞ্জ ক্লাব ও খুলনা ক্লাব। রায়ে বলা হয়, যেসব খেলার ফল দক্ষতার বদলে ‘চান্স’ বা ভাগ্য দিয়ে নির্ধারিত হয়, সেগুলোই জুয়া খেলা। এগুলো বন্ধ থাকবে।

    দেশজুড়ে সরকার যে ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরু করেছে, তার প্রশংসা করে বিচারপতিরা বলেন, ‘বর্তমান সরকার ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান পরিচালনা করছে। এই অভিযানের মুখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে ক্যাসিনো ও জুয়া খেলাকে নিরুৎসাহিত করা।’ জুয়া খেলায় সাজার পরিমাণ নিয়ে কিছুটা ক্ষোভও প্রকাশ করে ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, ‘জুয়া খেলার জন্য মাত্র ২০০ টাকা জরিমানা ও ৩ মাসের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। এই আইন সংশোধন করে সাজার পরিমাণ বাড়ানো উচিত।’

    আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রেদওয়ান আহমেদ রানজীব। আর ঢাকা ক্লাবের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৬ সালের ৪ ডিসেম্বর ঢাকা ক্লাবসহ দেশের ১৩টি ক্লাবে টাকার বিনিময়ে জুয়া খেলা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি জুয়াসহ অবৈধ ইনডোর খেলা যেমন– কার্ড, ডাইস ও হাউজি খেলা অথবা এমন কোনো খেলা যাতে টাকা বা অন্য কোনো বিনিময় হয়ে থাকে, তা বন্ধের নির্দেশনা কেন দেয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছিলেন আদালত।

    সোমবার মামলার রায় দিতে গিয়ে বিচারপতিরা বলেন, ‘যেসব খেলার ফলাফল দক্ষতার বদলে ‘চান্স’ বা ভাগ্য দিয়ে নির্ধারিত হয়, তা আসলে জুয়া খেলা। হাউজি, ডাইস, থ্রি কার্ড, ফ্লাস, ওয়ান টেন-সহ এই ধরনের জাতীয় অন্যান্য খেলা দক্ষতার পরিবর্তে ভাগ্যের ওপর নির্ভরশীল। আইনে এসব খেলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এসব খেলার আয়োজন করা অপরাধ। যারা এই ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত, তারা আইনের দৃষ্টিতে অপরাধী।’

    ব্যারিস্টার রেদওয়ান আহমেদ রানজীব বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিন পুলিশ অধ্যাদেশ-১৯৭৬, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ-১৯৭৮ এবং পাবলিক গেম্বলিং অ্যাক্ট-১৮৬৭ অনুযায়ী জুয়া খেলা দণ্ডনীয় অপরাধ। একইসঙ্গে সংবিধানের ১৮(২) অনুচ্ছেদে সরকারকে গণিকাবৃত্তি(পতিতাবৃত্তি) ও জুয়া খেলা বন্ধে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্র ও যথাযথ কর্তৃপক্ষ তখন কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় রিট আবেদন করা হয়। এই রিট আবেদনে আদালত জুয়া খেলা নিষিদ্ধ করেছেন।

    আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রেদওয়ান আহমেদ রানজীব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

    পরে আইনজীবী রেদওয়ান আহমেদ রানজীব বলেন, এ রায়ের ফলে অর্থের বিনিময়ে কোনো জুয়া আর খেলা যাবে না।

    এদিন গোটা দেশে জুয়া খেলা নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি অভিজাত ক্লাব-সহ প্রকাশ্য স্থানে জুয়ার উপকরণ পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্ত করতেও পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতিরা। পাশাপাশি এই ধরনের খেলার আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

  • অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে বাংলাদেশের কাছে হেরে গিয়ে সহ্য করতে না পেরে পতাকা কেড়ে নেয় ভারতের ক্রিকেটাররা,এনিয়ে তোলপার নেট দুনিয়া

    অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে বাংলাদেশের কাছে হেরে গিয়ে সহ্য করতে না পেরে পতাকা কেড়ে নেয় ভারতের ক্রিকেটাররা,এনিয়ে তোলপার নেট দুনিয়া

    • স্পোর্টস ডেক্স সংবাদঃ

    অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে বাংলাদেশের কাছে হেরে গিয়ে ক্ষেপে গিয়েছিল ভারতের ক্রিকেটাররা। বাংলাদেশি ক্রিকেটাররাও তাতে তাল দিয়ে গেছে। যে কারণে ম্যাচ শেষে তুমুল হট্টগোল শুরু হয় মাঠে। সম্প্রচার ক্যামেরায় তা পুরোপুরি দেখা না গেলেও মাঠে থাকা বেশ কিছু ক্যামেরায় এই ঘটনার ভিডিও ধরা পড়েছে। তাতে দেখা যায়, বাংলাদেশের পতাকা কেড়ে নিয়ে ফেলার চেষ্টা করছেন এক ভারতীয় ক্রিকেটার!

    ক্রিকেটকে বলা হয় ভদ্রলোকের খেলা। এখানে ট্রফি হাতছাড়া হলেও মেজাজ গরম করা মানায় না। কিন্তু বিশ্বকাপে হারের পর সেই ভদ্রতা ধরে রাখতে পারেনি ভারতের ক্রিকেটাররা। বাংলাদেশের উদযাপন সহ্য করতে না পেরে মেজাজ হারিয়ে ভারতীয় একজন খেলোয়াড় এক বাংলাদেশি ক্রিকেটারের থেকে লাল-সবুজের পতাকা ছিনিয়ে নেন! যা রীতিমতো জাতীয় পতাকার অবমাননা। ক্রিকেট মাঠে এমন দৃশ্য একেবারেই বিরল ঘটনা!

    পুরো ম্যাচ জুড়ে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের আজে-বাজে ভাষায় স্লেজিং করে গেছে ভারতীয় ক্রিকেটাররা। দক্ষিণ আফ্রিকায় দলের সঙ্গে থাকা বিসিবির জুনিয়র নির্বাচক কমিটির সদস্য হাসিবুল হোসেন কালের কণ্ঠকে ফোনে জানিয়েছেন, ‘ওরা পুরো ম্যাচজুড়েই প্রচুর স্লেজিং করেছে। আমরা জেতার পর তা মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। আমাদের ক্রিকেটাররা যখন উৎসব করতে শুরু করল, তখনই ওরা এসে মা-বাপ তুলে গালিগালাজ শুরু করে। কত আর সহ্য করা যায়! ছেলেরা সহ্য করতে না পেরে প্রতিবাদ করতে যায়। এতেই শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি।’

    ম্যাচের পরপরই ভারতীয়রা ভদ্রতাসূচক করমর্দনও করেননি। তারা রীতিমতো মা-বাপ তুলে গালাগাল করেছিল বলে জানা গেছে। পরে অবশ্য পরিস্থিতি ঠান্ডা হলে আনুষ্ঠানিকতা মেনে করমর্দন করেন দুই দলের ক্রিকেটাররা। এই ঘটনায় বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর আলী দুঃখ প্রকাশ করলেও ভারতীয় অধিনায়ক কোনো দুঃখপ্রকাশ করেনি। তারা বাংলাদেশের ওপর দোষ চাপিয়েই বসে আছেন। এই ঘটনা নিয়ে তদন্তে নেমেছে আইসিসি। আজ বিকালেই এ বিষয়ে রিপোর্ট দেওয়ার কথা রয়েছে।

  • বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে একটি হাউজিং কোঃ খাল দখলে মহোৎসব সংবাদ প্রচার হলে সাভার উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের উদ্ধার অভিযান পরিচালিত

    বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে একটি হাউজিং কোঃ খাল দখলে মহোৎসব সংবাদ প্রচার হলে সাভার উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের উদ্ধার অভিযান পরিচালিত

    বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে একটি হাউজিং কোঃ খাল দখলে মহোৎসব সংবাদ প্রচার হলে সাভার উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের উদ্ধার
    অভিযান পরিচালিত

    সত্যেরসংবাদঃবিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে অবৈধ দখলে সাভারের হেৃায়েতপুরে বামনী সরকারী খাল বালি দিয়ে ভরাট মহোৎসবে সংবাদ প্রচার হলে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন হলে খালে বালি ভরাট উদ্ধারে অভিযান চালায় সাভার উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমান আদালত।

    https://www.sattersangbad.com/archives/2758

    রবিবার (০৯ ফেব্রুয়ারী) সকালে সাভার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাহফুজের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা এই অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় খালের জমি মাপ দিয়ে সীমানা নির্ধারন করে দিলেন উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত।

    সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ জানান, ”আলমনগর হাউজিং কোম্পানীর লোকজন তাদের সীমানা সংলগ্ন সরকারি বামনী খালের একাংশ দখল করে বালু ভরাট করছে এমন অভিযোগে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রচার হলে সেটি প্রশাসনের নজরে আসলে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এসময় দেখা যায় প্রতিষ্ঠানটি খালের একাংশ ইতিমধ্যে বালু দ্বারা ভরাট করে ফেলেছে একটি হাউজিং কোঃ। পরবর্তীতে উপজেলা প্রশাসনের সরকারী সার্ভেয়ার দ্বারা খালের জমি মাপ দিয়ে খালের সীমানা নির্ধারন করে দেওয়া হয়েছে। সেইসাথে খালের যে অংশটুকু প্রতিষ্ঠানটি ভরাট করেছে সেই অংশ তাদেরকে নিজ দায়িত্বে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”

    তিনি আরও বলেন, ”ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ খননযন্ত্র দিয়ে ভরাটকৃত কিছু অংশের বালু অপসারন করেছে, বাকিটা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অপসারন না করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।”

    অপরদিকে খাল দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে আলমনগর হাউজিং প্রপার্টির সেক্রেটারী সেলিম রেজা বলেন, ”কোন খাল দখল করা হয়নি। একটি পরিত্যক্ত খাল আমাদের সীমানা সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে, আমাদের জমিতে বালু ভরাটের সময় তার কিছু হয়তো খালে গিয়ে পড়তে পারে। যদি এমনটা হয় তবে তা আমরা অপসারন করবো।”

    স্থানীয়দের অভিযোগ সুযোগ পেলেই খালটিতে বালু ফেলে ভরাট করে সুগন্ধা হাউজিং কোম্পানীর লোকজন। বিভিন্ন সময় এলাকাবাসী এ নিয়ে মানবন্ধন করলে দিনের বলায় বালু দিয়ে ভরাট না করে তাদের বাহিনী দ্বারা রাতের আধারে ভরাট করে দখলের পায়তারা চালায়।