Blog

  • করোনা ভাইরাসে বিজয়ের নতুন পরিকল্পনাঃ সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর কর্মকর্তা সায়েমুল হুদা

    করোনা ভাইরাসে বিজয়ের নতুন পরিকল্পনাঃ সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর কর্মকর্তা সায়েমুল হুদা

    করোনা ভাইরাসে বিজয়ের নতুন পরিকল্পনাঃ সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর কর্মকর্তা সায়েমুল হুদা

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
    করোনা ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহে নতুন পরিকল্পনা মাফিক কার্যক্রম সোমবার পাথালিয়া ইউনিয়ন এর গেরুয়া সিসিতে শুরু করা হয়েছে করোনা ভাইরাস নমুনা সংগ্রহের কাজ ।

    সোমবারে ১৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সাভার উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে রোস্টার করা হয়েছে। সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে করোনা ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করবে। তাদের সহযোগিতার জন্য স্বাস্থ্য সহকারী, সিএইচসিপি,স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহঃস্বাস্থ্য পরিদর্শক, এমটিইপিআই, এমটি ল্যাব, সেনেটারি ইন্সপেক্টর সহ স্বেচ্ছাসেবকগন কাজ করবে বলে জানিয়েছেন সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর কর্মকর্তা সায়েমুল হুদা।

    সুরক্ষা বুথ উপহার দিবেন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও সদস্য সচিবের অনুরোধক্রমে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানগন।

    সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর কর্মকর্তা সায়েমুল হুদা জানান, আমরা বিশ্বাস করি সবাই মিলে কাজ করলে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আমরা জয়ী হবই হব ইনশাআল্লাহ। সার্বিক সহযোগিতা করবেন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাভার মডেল থানা।

    কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি।
    ভাল থাকুন, সুস্থ্য থাকুন সরকারি স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলুন এই শুভ কামনা রইল সাভারে সকল মানুষের জন্য।

  • সাভারে শপিং মার্কেট খুলে দেয়ার দাবীতে ব্যবসায়ীদের ১ ঘন্টা মহাসড়ক অবরোধ,দীর্ঘ যানজট নিয়ন্ত্রন (ভিডিও)

    সাভারে শপিং মার্কেট খুলে দেয়ার দাবীতে ব্যবসায়ীদের ১ ঘন্টা মহাসড়ক অবরোধ,দীর্ঘ যানজট নিয়ন্ত্রন (ভিডিও)

    সাভারে শপিং মার্কেট খুলে দেয়ার দাবীতে ব্যবসায়ীদের ১ ঘন্টা মহাসড়ক অবরোধ,দীর্ঘ যানজট নিয়ন্ত্রন

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সরকারের স্বাস্থ্য বিধি না মানায় সকল শপিং মার্কেট ও বিপনি বিতানগুলো বন্ধের গনবিজ্ঞপ্তির ২ দিন পর

    সাভার উপজেলা প্রশাসনের অনুমতিতে সাভার বাজার বাসষ্ট্যান্ডে সিটি মার্কেট খুলে দেয়া হয়।
    মঙ্গলবার সাকালে সাভারে সকল শপিং মার্কেট খুলে দেয়ার দাবীতে শত শত ব্যবসায়ীরা ঢাকা আরিচা মহাসড়কের বাজার বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় ১ ঘন্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।
    পরে সাভার মডেল থানস পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা মহাসড়কে অবরোধ নিয়ন্ত্রনে আনতে চেষ্টা করে এবং মার্কেটগুলো খুলে দেয়ার আশ্বাস দিলে ব্যবসায়ীরা মহাসড়ক থেকে সরে দাঁড়ায়। এসময় মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।
    উল্লেখ্য গত ১০ মে থেকে সকল শপিং মার্কেট খোলার অনুমতি দিলেও সরকারের স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ১৭ মে সকল শপিং মার্কেট ও বিপনি বিতান বন্ধের জন্য গনবিজ্ঞপ্তি দেন সাভার উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজুর রহমান জুম্মন। ২ দিন যেতে না যেতেই প্রশাসন আবার সাভার সিটি সেন্টার খোলার অনুমতি দেয়। এর ফলে সকল শপিং মার্কেটের ব্যবসায়ীরা সিটি সেন্টারসহ অন্যঅন্য মার্কেট খুলা রাখলে নিউ মার্কেট,রাজ্জাক প্লাজা,চৌরুঙ্গী মার্কেট,অন্ধ মার্কেট,কোরাইশী মার্কেটগুলো খোলার অনুমতি দিতে হবে বলে ব্যবসায়ীরা মহাসড়ক অবরোধ করে।

  • সাভার পৌর সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর মোসাঃ শাহীনুর বেগমের স্বামী মো.শাহজাহান মিয়ার মৃত্যু

    সাভার পৌর সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর মোসাঃ শাহীনুর বেগমের স্বামী মো.শাহজাহান মিয়ার মৃত্যু

    সাভার পৌর সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর মোসাঃ শাহীনুর বেগমের স্বামী মো.শাহজাহান মিয়ার মৃত্যু

    সত্যেরসংবাদঃ
    সাভার পৌরসভার সংরক্ষিত ৭,৮,৯নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর মোসাঃ শাহীনুর বেগমের স্বামী মো.শাহজাহান মিয়া ইন্তেকাল করেছেন ( ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজেউন)।মৃত্যুকালে ছেলে-মেয়ে স্ত্রীসহ গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
    গভীর রাতে ১.৩০মি ঘুমের মধ্যে স্ট্রোক করে তার মৃত্যু হয় জানায় তার পরিবার।
    মঙ্গলবার সকাল ১১টায় রাজাশন প্রাইমারি মাঠ প্রাঙ্গনে তার জানাযা অনুষ্ঠিত হবে।
    উল্লেখ্য, মো.শাজজাহান মিয়া মরহুম হাজী আব্দুল কাদের মিয়া কাউন্সিলর ও মরহুম বিল্লাল মিয়ার ছোট ভাই এবং ৮নং ওয়ার্ডের বর্তমান কমিশনার হাজী সেলিম মিয়ার ছোট চাচা।
    তার মাগফেরাত কামনা করতে দোয়া চেয়েছেন তার স্ত্রী মোসাঃ শাহীনুর বেগম। -বিজ্ঞপ্তি

  • সাভারে বিজেএসসির উদ্যোগে রোজাদারদের মাঝে ইফতার বিতরণ

    সাভারে বিজেএসসির উদ্যোগে রোজাদারদের মাঝে ইফতার বিতরণ

    সাভারে বিজেএসসির উদ্যোগে রোজাদারদের মাঝে ইফতার বিতরণ

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ

    সারা বাংলাদেশের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংগঠন বাংলাদেশ জার্নালিজম স্টুডেন্টস কাউন্সিলের (বিজেএসসি) উদ্যোগে সোমবার (১৮ই মে) সন্ধ্যায় সাভারের ছায়াবিথী এলাকায় অসহায় ও দুঃস্থ রোজাদারদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

    বিজেএসসি কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ সভাপতি গাজী মোহাম্মদ হিরক এবং সাধারণ সম্পাদক জাবিদ হাসান ফাহিমের উদ্যোগে ও বিজএসসি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের উদ্যোগে এ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।

    এব্যাপারে বিজেএসসি কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি গাজী হিরক গণমাধ্যমকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেন, করোনা প্রকোপে অনেক মানুষ অসহায় ও কর্মহীন হয়ে পড়েছে। ইতোপূর্বে আমরা সাভারে বিভিন্ন অসহায় মানুষের মাঝে এক সপ্তাহের খাদ্য সহায়তা দিয়েছি। বাগেরহাটেও খাদ্য ও ঈদ উপলক্ষে পোশাক বিতরণ করা হয়েছে। যতদিন করোনা প্রকোপ থাকবে আমাদের জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

    এব্যাপারে বিজেএসসি ঢাবি সংসদের সভাপতি মীর সাদ্দাম হোসেন গণমাধ্যমকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেন, করোনা প্রকোপে অসহায় ও কর্মহীন মানুষের পাশে সবসময় আমরা আছি ও থাকবো। ভবিষ্যতেও আমাদের জনকল্যাণমূলক কার্যক্রমগুলো অব্যাহত থাকবে। সমাজের সকল মানুষ এগিয়ে আসলে কেউ অসহায় থাকবে না। কর্মহীন মানুষদেরও তখন আর অভুক্ত থাকবে না। সমাজের বিত্তবানদের অসহায়দের পাশে দাড়ানোর জন্য আহ্বানও জানান তিনি।

    ইফতার বিতরণ কার্যক্রমে “সময় এখন আমাদের” পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক কামরুজ্জান হিমু এবং বিজেএসসি ঢাবি শাখা সংসদের সভাপতি মীর সাদ্দাম হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

  • সাভার পৌরসভা এলাকার মসজিদগুলোর ঈমাম মোয়াজ্জেম ও খতিবদের মাঝে ত্রান বিতরণ এগিয়ে আসলেন রঞ্জিত ঘোষ

    সাভার পৌরসভা এলাকার মসজিদগুলোর ঈমাম মোয়াজ্জেম ও খতিবদের মাঝে ত্রান বিতরণ এগিয়ে আসলেন রঞ্জিত ঘোষ

    সাভার পৌরসভা এলাকার মসজিদগুলোর ঈমাম মোয়াজ্জেম ও খতিবদের মাঝে ত্রান বিতরণ এগিয়ে আসলেন রঞ্জিত ঘোষ

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
    সাভার পৌরসভার ১২০টি মসজিদের ঈমাম মোয়াজ্জেম ও খতিবদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

    ১৭ মে রবিবার দুপুরে সাভার সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে এ ত্রান সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
    ত্রান বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফ চৌধুরী মাসুদ ও সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এএফএম সায়েদ।
    সাভারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রঞ্জিত ঘোষ বলেন তিনি ২৫০ জন ঈমাম, মোয়াজ্জেম ও খতিবকে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করেছেন। করোনা ভাইরাসের

    ক্রান্তিলগ্ন মসজিদের ঈমাম মোয়াজ্জেম ও খতিব
    খুবই অসহায় হয়ে পরছিলো। তিনি আরও জানান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আহবানে সাড়া দিয়ে গত দুই মাস ধরে সাভার ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ২৭ হাজার পরিবারকে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করেন। যতদিন করোনা ভাইরাস এর প্রার্দুভাব থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি ত্রান হিসেবে খাদ্য সামগ্রী দিয়ে যাবেন বলেও জানান।

  • শ্রীপুরে বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির উদ্যোগে ১২’শত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিরতণ

    শ্রীপুরে বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির উদ্যোগে ১২’শত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিরতণ

    শ্রীপুরে বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির উদ্যোগে ১২’শত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিরতণ

    মোহাম্মদ আদনান মামুন, শ্রীপুর (গাজীপুর):
    গাজীপুরের শ্রীপুরে বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির উদ্যোগে কর্মহীন, হত দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের ১ হাজার ২০০শত পরিবারের মাঝে সামাজিক দুরত্য বজায়ে রেখে খাদ্য সহায়তা সহায়তা দিয়েছেন।

    রবিবার (১৭ মে) দুপুরে শ্রীপুর সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাব জনিত কর্মহীন, হত দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মাঝে সহায়তা প্রদানের প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- গাজীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ।

    খাদ্য বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন-কমান্ডার শাহজাহান মৃধা, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি, বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির অফিস সেক্রেটারীর আবু তাহের, শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ শামছুল আরেফীন, গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শ্রীপুর পৌর সভার বার বার নির্বাচিত মেয়র আলহাজ্ব আনিছুর রহমান, শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শামসুল আলম প্রধান, গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগের ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন কবির হিমু, শ্রীপুর পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরে আলম মোল্লা, যুবলীগ নেতা হাবিবুর রহমান জুয়েল প্রমুখ।

     

  • শ্রীপুরে ৫ম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা

    শ্রীপুরে ৫ম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা

    শ্রীপুরে ৫ম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা

    মোহাম্মদ আদনান মামুন, শ্রীপুর (গাজীপুর):

    গাজীপুরের শ্রীপুরে ৫ম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে পরে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

    রবিবার (১৭মে) বিকাল ৩টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের গাজীপুর উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

    নিহত শোভা আক্তার (১১) শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের গাজীপুর উত্তরপাড়া গ্রামের স্বপন মিয়ার মেয়ে। সে গাজীপুর বাঘার বাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল।

    নিহতের মা জানান,সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শোভা আক্তার ঘুড়ি উড়ানোর জন্য বায়না ধরে। কিন্তু আমি তার কথা না শোনে ঘাস কাটার জন্য বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায়। তার কিছুক্ষণ পর আমার ছেলে তারিকুল আমাকে ডাকাডাকি শুরু করে। পর তার ডাক শুনে আমি বাড়িতে এসে দেখি শোভা আক্তার আম গাছের সাথে ওড়না দিয়ে ঝুলতেছে। পরে আমি তাড়াতাড়ি করে উড়না কেটে নামাতেই মারা যান শোভা আক্তার । পরে আমাদের কান্নাকাটির শব্দ পেয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেয়।

    মাওনা চকপাড়া পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেন জানান, এঘটনায় স্থানিয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুর লাশ উদ্ধার করে। লাশ উদ্ধারের পর স্থানীয়দের অনুরোধ এবং নিহতের পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় ময়না তদন্ত ছাড়া পরিবারের কাছে লাশ হস্থান্তর করা হয়েছে ।

  • ধামরাইয়ে দেড় শতাধিক পরিবারের মাঝে ঈদের ত্রান সামগ্রী বিতরণ করলেন মালয়েশিয়া প্রবাসী আনিসুর রহমান

    ধামরাইয়ে দেড় শতাধিক পরিবারের মাঝে ঈদের ত্রান সামগ্রী বিতরণ করলেন মালয়েশিয়া প্রবাসী আনিসুর রহমান

    করোনায় মানবতার জন্য এগিয়ে এসেছেন ধামরাই বাথুলী এলাকার মালয়েশিয়া প্রবাসী আনিসুর রহমান, দেড় শতাধিক পরিবারের মাঝে ঈদের ত্রান সামগ্রী বিতরন

    শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার থেকেঃ
    করোনা ভাইরাস দূর্যোগ মোকাবেলায় মানবতার জন্য এগিয়ে এসেছেন মালয়েশিয়া প্রবাসী ও মালয়েশিয়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এএন গ্লোবাল এসডিএন বিএসডি এর স্বাধিকার এবং ধামরাই উপজেলার সূতিপাড়া ইউনিয়নের বাথুলী গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে মোহাম্মদ আনিসুর রহমান তিনি গরীব-দুঃস্থ,অসহায়- কর্মহীন হয়ে পরা এলাকা মানুষের মাঝে ঈদ খাদ্য ও পন্য সামগ্রী হিসেবে ত্রান বিতরণ করেছেন।

    এসময় এলাকার রাজনৈতিক,সমাজসেবক,ব্যবসায়ি নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    তিনি রবিবার (১৭) মে সকালে ধামরাই উপজেলার সূতিপাড়া ইউনিয়নের বাথুলী গ্রামের নিজ এলাকায় দেড় শতাধিক পরিবারের মাঝে ঈদের খাদ্য সামগ্রী অসহায়-মধ্যবিত্ত-কর্মহীন হয়ে পরা মানুষের মাঝে এ ত্রান সামগ্রী উপহার তুলে দিয়েছেন।
    ত্রান সামগ্রী উপহার মধ্যে ছিলো চাল,পোলাওর চাল,ডাল,চিনি,তেল,লবন,আলু,পিয়াজ,সাবান,সেমাইসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ১০ প্রকার খাদ্য ও পন্য সামগ্রী।

    এসব ত্রানের ঈদ উপহার হিসেবে পেয়ে খুশি অসহায় হয়ে পরা পরিবারগুলো।
    মালয়েশিয়া প্রবাসী ও মালয়েশিয়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী
    মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, খাদ্য ও পন্য সামগ্রীর পাশাপাশি ক্রান্তিলগ্নে গোপনে
    আর্থিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন এবং অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরে খুশি বলে জানিয়েছেন তিনি।

  • শ্রীপুরে গ্যাস পাইপ লিকেজ হয়ে দোকান ও বসতবাড়ির ৩ টি ঘর পুড়ে ছাই

    শ্রীপুরে গ্যাস পাইপ লিকেজ হয়ে দোকান ও বসতবাড়ির ৩ টি ঘর পুড়ে ছাই

    শ্রীপুরে গ্যাস পাইপ লিকেজ হয়ে দোকান ও বসতবাড়ির ৩ টি ঘর পুড়ে ছাই

    মোহাম্মদ আদনান মামুন, (গাজীপুর):

    গাজীপুরের শ্রীপুরে সিলিন্ডার গ্যাস পাইপ লিকেজ হয়ে এক কৃষকের দোকান ও বাড়ির তিনটি ঘর পুড়ে গেছে ।

    রবিবার (১৭ মে) সকালে শ্রীপুর উপজেলার এমসি বাজারের পূর্ব পাশে সাইফুল মাস্টার মোড় সংলগ্ন প্রয়াত রহমত আলীর ছেলে রইছ উদ্দিনের ভাড়া বাড়িতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে । এতে তাঁর বাড়ির তিনটি কক্ষ ও একটি দোকান এবং ঘরের ভেতরে থাকা জিনিসপত্র পুড়ে গেছে । খবর পেয়ে মাওনা ফায়ার সার্ভিসের ২ ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে ।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান , এমসি বাজার থেকে ছাতির বাজার যাওয়ার পথে হঠাৎ দেখি দাও দাও করে দোকানঘড় ও বাড়িতে আগুন জ্বলছে ।পরে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায় ।

    বাসার মালিক রইছ উদ্দিন জানান, ভাড়াটিয়ার রুমে গ্যাস পাইপ লিকেজ হয়ে এ অগিনকান্ডের ঘটনা ঘটেছে ।

    মাওনা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা রাম প্রাসাদ পাল জানান, আগুন লাগার খবর শুনে মাওনা ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিটের ৩০ মিনিটের প্রচেষ্টায় আগুন সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে আসে । সিলিন্ডারের গ্যাস পাইপ লিকেজ হয়ে আগুনের সূত্রাপাত হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা । এতে আনুমানিক প্রায় ২ লক্ষ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে । তবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি ।

  • ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক হাইওয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে মহাসড়ক দাবড়াচ্ছে অবৈধযান

    ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক হাইওয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে মহাসড়ক দাবড়াচ্ছে অবৈধযান

    ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক
    হাইওয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে মহাসড়ক দাবড়াচ্ছে অবৈধযান

    মোহাম্মদ আদনান মামুন, শ্রীপুর, (গাজীপুর):
    গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা উত্তরপাড়া গ্রামে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বাস করেন আনোয়ার হোসেন, সে পেশায় অটোরিক্সা চালক। তিনি বলেন, করোনা ক্লান্তিকালের শুরুতে কাজ না থাকায় ঘরে খাবার সংকট ছিল। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মানবেতর অবস্থায় দিন কাটাচ্ছিলাম। ক্ষুধার তাড়নায় এক সময় বাধ্য হয়ে অটোরিক্সা চালানোর সিদ্ধান্ত নিই। আঞ্চলিক সড়কে যাত্রী না থাকায় অন্যান্য অটো চালকদের মতই পেটের ক্ষুধায় অনেকটা বাধ্য হয়েই মহাসড়কে উঠেছিলাম। পুলিশের এক সোর্স প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে বিকেল পর্যন্ত মাওনা থেকে জৈনাবাজার পর্যন্ত অটো চলাচলে ২০০টাকা দাবি করেন। সোর্স বলেন, এ টাকা দিলে পুলিশ কোন ডিস্টার্ব করবে না। তার দাবি অনুযায়ী টাকা না দেয়ায় ০২ মে বিকেলে ওই সোর্সের সহায়তায় তার গাড়িটি আটক করে ১০হাজার টাকা দাবি করেন মাওনা হাইওয়ে থানার এসআই শাহজাহান। পরে স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছ থেকে মাসে ১হাজার টাকা সুদ দেয়া শর্তে ৫হাজার টাকা এনে ওই পুলিশ কর্মকর্তার হাতে দিলেও এখনো অটোরিক্সাটি ছাড়িয়ে নিতে পারেননি তিনি।

    উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের গোদারচালা গ্রামের অটো চালক আব্দুর রাজ্জাক জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে তার অটোরিক্সাটি আটক করে মাওনা হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক শাহজাহান। পরে তার গাড়িটি ছাড়াতে দুই হাজার টাকা নিয়ে দেখা করতে বলেন। ঘন্টা খানেক পর এক হাজার টাকায় অটোরিক্সাটি ছাড়িয়ে আনেন। এসময় পুলিশের এই কর্মকর্তা তাঁর সোর্সকে একশ টাকা ও তালা খুলতে আরও একশ টাকা দিতে বলেন। এর আগের দিনও জৈনাবাজারের সড়ক বিভাজন থেকে তার গাড়িটি এই পুলিশ কর্মকর্তা অটোরিক্সাটি আটক করলে দুই হাজার একশ টাকা বিমিয়ে তিনি ছাড়িয়ে আনেন। আঞ্চলিক সড়কে যাত্রী না থাকা ও গণপরিবহন বন্ধ থাকায় যাত্রীর চাপ মহাসড়কে বেড়েছে। এর ফলে কিছু সিএনজি ও ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সাসহ সরকার ঘোষিত অবৈধ যান সড়কে চলতে দেখা গেছে। আর হাইওয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করেই মহাসড়কে অবৈধ যান চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছে চালকরা। পুলিশের চাহিদামত টাকা না দেয়া হলেই লাঞ্চিত হতে হয়।

    করোনা ভাইরাসের সংক্রমণরোধে সরকার দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়কে সকল ধরণের গণপরিবহন বন্ধ রাখায় এখন বিকল্পযানের দাপটে নিরব ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক হঠাৎ ব্যস্ত হয়ে উঠছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এসব যানে করে রাজধানীমুখী হচ্ছেন। মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে তল্লাশীচৌকি বসিয়ে হাইওয়ে পুলিশও অর্থের মাধ্যমে এসব যানকে নিরাপদে মহাসড়ক ব্যবহারের সুযোগ করে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন চালকরা। সরেজমিন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জৈনাবাজার থেকে ভবানীপুর এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

    পরিবহন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও যাত্রী সূত্রে জানা যায়, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশের মানুষকে নিরাপদে রাখতে সরকার গত ২৪ মার্চ থেকে জরুরী কাজে নিয়োজিত যানবাহন ব্যতীত গণপরিবহনসহ সকল ধরনের যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেন। প্রথম দিকে মহাসড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতির কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এখন আর পূর্বের অবস্থা নেই। দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ থাকলেও মহাসড়কের নিষিদ্ধ যান তিন চাকার ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা, সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, তিন চাকার ব্যাটারী চালিত ভ্যানের দাপটে মহাসড়ক ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন এসব যানে করে সাধারণ মানুষ নিরাপদে ময়মনসিংহ হতে গাজীপুর পর্যন্ত গমন করছেন। সড়কে নিয়মিত পুলিশী তল্লাশী চৌকি থাকলেও তারা নানাভাবে প্রলুব্ধ হয়ে এসব যানকে নিরাপদে মহাসড়ক ব্যবহারের সুযোগ করে দিচ্ছেন। এছাড়াও গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ছোট মাঝারী পিক-আপ, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল, ব্যক্তিগত গাড়ীতেও (প্রাইভেটকার) যাত্রী পরিবহণ করা হচ্ছে। প্রতিটি তল্লাশী চৌকি পার হতে যান অনুযায়ী পাঁচশ থেকে এক হাজার পর্যন্ত টাকা গুণতে হচ্ছে এসব যানের চালকদের। অন্যথায় মামলা দেয়াসহ নানা ভাবে ভয়ভীতি দেখানো হয়।

    বিশেষ করে মাওনা হাইওয়ে থানার অধীন মহাসড়কের প্রায় ২৫ কিলোমিটার এলাকায় নানা ধরনের বাণিজ্যে নেমেছে হাইওয়ে পুলিশ। প্রতিদিনই মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান হতে অর্ধশত বাহন আটক করা হলেও পরে বিভিন্ন অংকের অর্থ নিয়ে সন্ধ্যার পর ছেড়ে দেয়া হয়। এছাড়াও মাওনা হাইওয়ে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে রয়েছে স্পট বাণিজ্যের অভিযোগও। সারাদিনই হাইওয়ে থানাকে ঘিরে গড়ে উঠেছে পুলিশের সোর্সদের সিন্ডিকেট। তারা গাড়ী আটক ও ছাড়িয়ে নিতে পুলিশের সাধে মধ্যস্থতা করে থাকেন।

    ময়মনসিংহ থেকে অটোরিক্সায় গাজীপুর পর্যন্ত এসেছেন চৌরাস্তা শাখার ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ। তিনি জানান, জরুরী প্রয়োজনে তাকে ময়মনসিংহে যেতে হয়েছিল। তিনি ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সায় গিয়ে ফের ফিরে আসেন। মহাসড়কে চলতে গিয়ে তার অভিজ্ঞতা হয়েছে, মহাসড়কে সব ধরনের যান চলছে, মানুষও চলাফেরা করছে, শুধু বন্ধ গণপরিবহন। ব্যাটারী চালিত গাড়ীতেও চারজনের জায়গায় ছয়জন যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। এখানেও নেই তেমন সামাজিক দুরুত্ব। সাধারণ মানুষও তো স্বাস্থ্য বিধি মানছেই না, কয়েকগুণ অতিরিক্ত ভাড়ায় ভোগান্তি নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে।

    মহাসড়কের জৈনা বাজারে কথা হয় ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা চালক মানিক মিয়ার সাথে। তিনি জানান, বেশী ভাড়া আদায় করলেও আমাদের তেমন লাভ হচ্ছে না। মহাসড়কে নিষিদ্ধ থাকায় পুলিশকে ম্যানেজ করতে টাকা গুণতে হয়। অন্যথায় গাড়ী আটকিয়ে রাখে, পরে আবার টাকা দিয়েই গাড়ি ছাড়িয়ে আনতে হয়।

    মেহেদী ইঞ্জিনিয়ারিং নামের একটি অটোরিক্সা গ্যারেজের মালিক রাকিব মিয়ার ভাষ্য, এসময়টা আমাদের নানা কৌশলে গাড়ী মহাসড়কে চালাতে হচ্ছে। একবার ধরলে দুই থেকে পাঁচ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে হাইওয়ে পুলিশকে। অন্যথায় গাড়ী আটকিয়ে রাখে। কয়েকদিন আটকিয়ে রাখলে ব্যাটারী নষ্ট হয়ে গাড়ীটিই অচল হয়ে যায়।

    এ বিষয়ে মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, মহাসড়কে তিন চাকার যান নিষিদ্ধ থাকার পরও নানা অজুহাতে মানুষ এসব গাড়ী মহাসড়কে নিয়ে বের হয়েছে। পুলিশ প্রতিনিয়ত এসব যান আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে হাইওয়ে পুলিশের টাকা নেয়ার বিষয়টা অবান্তর। তিনি আরো জানা