Blog

  • করোনায় পোশাক কারখানাগুলোতে স্বাস্থ্য বিধি না মানলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত

    করোনায় পোশাক কারখানাগুলোতে স্বাস্থ্য বিধি না মানলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত

    করোনায় পোশাক কারখানাগুলোতে স্বাস্থ্য বিধি না মানলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত

    নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভারঃ
    সাভারে বিভিন্ন পোশাক কারখানাগুলোতে স্বাস্থ্য বিধি না মানলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। কারখান খুলে দেওয়ার পর একদিনে সাত পোশাক শ্রমিক করোনায় আক্রান্তের ঘটনায় উপজেলা প্রশাসন জরুরী বৈঠকে বসে।

    শনিবার দুপুরে সাভার উপজেলা পরিষদ ভবনের হল রুমে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট বিভিাগের কর্মকর্তার নিয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

    বৈঠক শেষে জানানো হয়, রোবার থেকে সকল পোশাক কারখানাগুলো আসছে বিশেষ নজদারীতে। অবশ্যই সরকার ও বিজিএমইএর নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। যারা বিধি অমান্য করবেন তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    এসময় সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজিব, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজুর রহমান, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদাসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    উল্লেখ্য,
    শুক্রবার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা করোনা সংক্রামক বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় বিভিন্ন বিভাগে চিঠি দিয়েছেন।

  • ১ মে শ্রমিক দিবসে সাভারে ৭ জন পোশাক শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত

    ১ মে শ্রমিক দিবসে সাভারে ৭ জন পোশাক শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত

    ১ মে শ্রমিক দিবসে সাভারে ৭ জন পোশাক শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত

    শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার থেকেঃসাভারে ২৪ ঘণ্টায় আটজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে সাভারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৪ জনে। নতুন আক্রান্ত হওয়া ৭ জন সাভারের বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিক।

    তাঁদের বয়স ৩৫ থেকে ৩৮ বছরের মধ্যে। তাঁরা যেসব এলাকায় থাকতেন শুক্রবার ওই সব এলাকা লকডাউন করে দিয়েছে পুলিশ।

    সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার শতাধিক পোশাককর্মী করোনার পরীক্ষার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। যাচাই-বাছাই করে ৫০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য সাভারের প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের ল্যাবে পাঠানো হয়। এই ৫০ জনের মধ্যে আটজনের নমুনায় করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়। এদের একজন ধামরাইয়ের বাসিন্দা।

    সাভারে আক্রান্ত সাতজন পৌর এলাকার উলাইলের তিনটি কারখানার শ্রমিক। তাঁদের রাজধানীর মিরপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এর কর্মকর্তা সায়েমুল হুদা বলেন, পোশাক কারখানা খোলার পর থেকে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তিনি বলেন, উপজেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে পোশাক কারখানা বন্ধের পাশাপাশি উপজেলার প্রবেশপথগুলো বন্ধ করা জরুরি হয়ে পড়েছে এবং একটি চিঠি দিয়েছেন তিনি।

    তিনি এর মধ্যে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে বৃহস্পতিবার পাঠানো এক চিঠিতে এ শঙ্কার কথা জানিয়ে কারখানা বন্ধের পাশাপাশি উপজেলার প্রবেশপথগুলো বন্ধ করার অনুরোধ জানিয়েছেন। একই চিঠির অনুলিপি তিনি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠিয়েছেন।

    ইউএনওর কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, সাভার একটি জনবহুল ও শিল্প-অধ্যুষিত এলাকা। এই উপজেলা প্রায় ৫০ লাখ লোকের বসবাস, যার অধিকাংশই পোশাক শ্রমিক। এ কারণে পোশাক কারখানা বন্ধ থাকা অবস্থায় সাভারে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কম ছিল। কারখানা খোলার পর থেকে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে।
    ওই চিঠিতে আরো বলা হয়, পোশাক কারখানার হাজারো শ্রমিক কর্মস্থলে পাশাপাশি অবস্থান করার কারণে তাঁরা করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছেন। তাঁদের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন পর্যাযের মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে। এ অবস্থায় সাভারে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে পোশাক কারখানা বন্ধের পাশপাশি উপজেলার প্রবেশপথগুলো বন্ধ করার জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।

  • মেয়ের সামনে মাকে গণধর্ষণ

    মেয়ের সামনে মাকে গণধর্ষণ

    মেয়ের সামনে মাকে গণধর্ষণ

    ডেক্সসংবাদঃ
    বরগুনার তালতলী উপজেলায় সাত বছরের মেয়ে শিশুকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে তার মাকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। গত ২৩ এপ্রিল উপজেলার শুভসন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    ঘটনার এক সপ্তাহ পর ভুক্তভোগী নারী গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে থানায় মামলা করতে যান। কিন্তু পুলিশ গণধর্ষণের মামলা না নিয়ে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা নিয়েছে।

    জানা গেছে, গত ২৩ এপ্রিল পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় শ্বশুরবাড়ি থেকে একমাত্র সন্তানকে নিয়ে ফিরছিলেন পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ওই মা। এ সময় পাথরঘাটা খেয়া পার হয়ে তালতলীর শুভসন্ধ্যা ঘাটে ওঠেন তিনি। সেখান থেকে নিশানবাড়িয়া খেয়াঘাট যাওয়ার জন্য স্থানীয় জহিরুলের মোটরসাইকেলে ওঠেন তিনি। জহিরুল বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে মোটরসাইকেলে করে ওই নারীকে নিয়ে শুভসন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতের গহীন জঙ্গলে নিয়ে যান।

    পরবর্তীতে জহিরুল তার চার বখাটে সহযোগীকে (এমাদুল, নজরুল, সোহাগ, সাইদুল) মুঠোফোনে কল দিয়ে সেখানে নিয়ে আসেন। ওই নারীর সঙ্গে থাকা তার মেয়েকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মেরে ফেরার ভয় দেখিয়ে সবাই মিলে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। এতে ওই নারী জ্ঞান হারালে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ওই নারীর জ্ঞান ফিরলে মেয়েকেসহ পাশের লোকজনের কাছে আশ্রয় চান। কিন্তু তারা আরেকটি মোটরসাইকেলে করে তাকে নিশানবাড়িয়া খেয়াঘাটে পৌঁছে দেন।

    ভুক্তবোগী গৃহবধূ বলেন, ‘মোটরসাইকেলচালক জহিরুলসহ পাঁচজন আমার মেয়েকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে খুনের ভয় দেখায়। পরে আমাকে বেলা ১১টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ধর্ষণ করেছে। পরবর্তীতে তারা আমাকে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়। আমার জ্ঞান ফেরার পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় অন্য মোটরসাইকেলে নিশানবাড়িয়া এসে খেয়া পার হয়ে বাড়িতে পৌঁছাই।’

    ওই নারী আরও বলেন, ‘লোকলজ্জার ভয়ে এ ব্যাপারে আমি কোথাও অভিযোগ করিনি। কিন্তু বিষয়টি ব্যাপকভাবে জানাজানি হওয়ায় আমি থানায় এসে বিচার চাইতে বাধ্য হই।’

    এ ঘটনায় একাধিক স্থানীয় ব্যক্তি জানান, মোটরসাইকেলচালক জহিরুল সকাল ১০টার দিকে ওই নারীকে শুভসন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতের জঙ্গলের দিকে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পরে এমাদুল, নজরুল, সোহাগ, সাইদুল ও জঙ্গলের দিকে যান। বিকেল ৪টার দিকে ওই নারী রাস্তায় এসে জনসম্মুখে ঘটনাটি প্রকাশ করলে অন্য মোটরসাইকেল করে নিশানবাড়িয়া খেয়াঘাটে পৌঁছে দেওয়া হয়।

    তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান জানান, অভিযোগ দিতে ভুক্তভোগী নিজেই থানায় এসেছেন। তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

    গণধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষণচেষ্টার মামলা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘ভুক্তভোগী মহিলা আমাদের কাছে ধর্ষণচেষ্টার কথা বলেছেন। আমরা সেই মামলা নিয়েছি।’

  • ঢাকার ন্যাম ভবনে থাকা সংসদ সদস্য করোনায় আক্রান্ত

    ঢাকার ন্যাম ভবনে থাকা সংসদ সদস্য করোনায় আক্রান্ত

    ঢাকার ন্যাম ভবনে থাকা সংসদ সদস্য করোনায় আক্রান্ত

    ডেক্স সংবাদঃ

    বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের শিকার হয়েছেন বাংলাদেশের একজন সংসদ সদস্য। সংগত কারণেই তার নাম এখন প্রকাশ করা হচ্ছে না। তবে তিনি দেশের উত্তরাঞ্চলের একটি আসনের সংসদ সদস্য। তিনি দশম সংসদের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। এই প্রথম বাংলাদেশের কোনো সংসদ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হলেন।

    জানা গেছে, ওই সংসদ সদস্য গত মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) নিজ নির্বাচনী এলাকা থেকে ঢাকায় আসেন। এরপর সরকারি বাস ভবনে ওঠেন। ঢাকায় আসার পর শরীরে জ্বর দেখা দিলে আইইডিসিআর থেকে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আজ শুক্রবার বিকাল ৫টায় আইইডিসিআর থেকে প্রাপ্ত রিপোর্ট জান যায় তার শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে।

    এদিকে সংসদ সচিবালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ওই সাংসদের বাসস্থানটি লকডাউন করে রাখা হতে পারে। উল্লেখ্য, আজ শুক্রবার পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ২৩৮ জন। শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭০ জন হয়েছে। এর বিপরীতে ১৪ জন জন সুস্থ হয়ে ওঠায় এ পর্যন্ত মোট ১৭৪ জন সুস্থ হয়েছেন।

    সূত্র-অনলাইন

  • সাভারে ৩০০ পরিবারের মাঝে নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিদিন ইফতার বিতরণ করছেন সাভার উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মিসেস হাসিনা দৌলা

    সাভারে ৩০০ পরিবারের মাঝে নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিদিন ইফতার বিতরণ করছেন সাভার উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মিসেস হাসিনা দৌলা

    সাভারে ৩০০ পরিবারের মাঝে নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিদিন ইফতার বিতরণ করছেন সাভার উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মিসেস হাসিনা দৌলা

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
    সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক হাসিনা দৌলা নিজ উদ্যোগে ৩০০ অসহায়, হতদরিদ্র ও কর্মহীন পরিবারের মাঝে রোজার ইফতার বিতরণ করে আসছেন।

    নিজস্ব বাসভবনে তৈরি করে ভুনা খিচুড়ি করে পাঠাচ্ছেন ঐসব অসহায় পরিবারের মাঝে।

    সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিসেস হাসিনা দৌলা প্রতিবেদকের মাধ্যমে বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলা এ দূর্যোগ মূহুর্তে এবারে রমজানের প্রথম থেকে এই উদ্যোগ শুরু করেছি ইনশাল্লাহ রমজানের শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সমাজের হতদরিদ্র ও কর্মহীন মানুষের কথা চিন্তা করেই এ ইফতার বিতরণ কার্যক্রম চলবে। এছাড়াও তিনি নিরবে মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করে যাচ্ছি এবং সকলকে সরকারি স্বাস্থ্য নির্দেশনা মেনে খাদ্য বিতরণ ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

  • করোনা সংক্রামণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায়   সাভারের সকল কারখানাসহ উপজেলার প্রবেশ পথগুলো বন্ধ চেয়ে চিঠি স্বাস্থ্য বিভাগের

    করোনা সংক্রামণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায়  সাভারের সকল কারখানাসহ উপজেলার প্রবেশ পথগুলো বন্ধ চেয়ে চিঠি স্বাস্থ্য বিভাগের

    করোনা সংক্রামণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় 

    সাভারের সকল কারখানাসহ উপজেলার প্রবেশ পথগুলো বন্ধ চেয়ে চিঠি স্বাস্থ্য বিভাগের

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
    ঢাকা জেলার সাভারে দিন যাচ্ছে আর পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে চলছে। এমন পরিস্থিতিতে সকল পোশাক কারখানা বন্ধের পাশাপাশি উপজেলার প্রবেশ পথগুলো বন্ধের অনুরোধ জানিয়ে প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

    বৃহস্পতিবার‌ সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে পাঠানো এক চিঠিতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব সায়েমুল হুদা এমন আশঙ্কার কথা জানান।

    প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো ওই চিঠিতে সাভার শিল্পাঞ্চল ও আশুলিয়ার সব তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধের পাশাপাশি উপজেলার প্রবেশপথগুলো দ্রুত বন্ধের অনুরোধ জানানো হয়।

    চিঠিতে বলা হয়, ‘জনবহুল ও শিল্প অধ্যুষিত সাভারে প্রায় ৫০ লাখ লোকের বসবাস। যার বেশিরভাগই পোশাকশ্রমিক। এ কারণে পোশাক কারখানা বন্ধ থাকায় করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কম ছিল। তবে কারখানা খোলার পর থেকে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। অবিলম্বে বিষয়টির প্রতি নজর না দেওয়া হলে সাভারে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।

    ‘পোশাক কারখানার হাজারো শ্রমিক কর্মস্থলে পাশাপাশি অবস্থান করার কারণে তারা করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছে। তাদের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে। এ অবস্থায় সাভারে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে পোশাক কারখানা বন্ধের পাশপাশি উপজেলার প্রবেশপথগুলো বন্ধ করার জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে‘, জানানো হয় ওই চিঠিতে।

    উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব সায়েমুল হুদা চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘গত ২২ এপ্রিল পর্যন্ত সাভারে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৯ জন। আর কারখানা খোলার পরে গত সাত দিনে আক্রান্ত হয়েছে আরো ১৪ জন।
    এর মধ্যে ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার আক্রান্ত হয়েছে আরো দুজন।’

  • মৃত্যুর পূর্বে প্রবাসীর মাকে নিয়ে হৃদয়স্পর্শী স্ট্যাটাস “মায়ের হাতটা আমার মাথায় রাখলে আমি অর্ধেক ভাল হয়ে যেতাম”!

    মৃত্যুর পূর্বে প্রবাসীর মাকে নিয়ে হৃদয়স্পর্শী স্ট্যাটাস “মায়ের হাতটা আমার মাথায় রাখলে আমি অর্ধেক ভাল হয়ে যেতাম”!

    মৃত্যুর পূর্বে প্রবাসীর মাকে নিয়ে হৃদয়স্পর্শী স্ট্যাটাস “মায়ের হাতটা আমার মাথায় রাখলে আমি অর্ধেক ভাল হয়ে যেতাম”!

    ডেক্স সংবাদঃ

    সৌদি আরব প্রবাসী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু। মৃত্যুর আগে তার ফেসবুকে লিখেন’:-এই রকম প্রচন্ড জ্বরে কপালের উপর মায়ের হাতটা রাখলেই অামি অর্ধেক ভাল হয়ে যেতাম, অাজ মা অনেক দূরে। দোয়ার দরখাস্ত রহিল।’

    ঠিক চৌদ্দ দিন পূর্বে এভাবে নিজের ফেইসবুক টাইম লাইনে স্ট্যাটাস দিয়ে অসুস্থ হওয়ার বিষয়টি জানান দিয়েছিলেন ফটিকছড়ির সৌদি অারবের দাম্মাম প্রবাসী মিজানুল আলম।

    স্ট্যাটাস দেয়ার ঠিক কয়েকদিন পর শরীরে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। তিনি দাম্মাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বিগত পাঁচদিন যাবৎ তিনি হাসপাতালের অাইসিইওতে ছিলেন। তার সাথে পরিবারের কারো সাথে অার যোগাযোগ করা সম্ভবপর হয়নি। অাজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেখানে থাকা তার চাচা ফজলুল অালমকে জানায়, মিজান সাড়ে নয়টার দিকে মারা যান (ইন্নালিল্লাহী..রাজিউন)।
    মিজানুল অালম ফটিকছড়ির লেলাং ইউনিয়নের উত্তর ঘোপালঘাটা গ্রামের মৃত মো.ইউনুসের দ্বিতীয় পুত্র। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৬ বছর।

    মিজানুল অালম অাওয়ামী রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন। তার মৃত্যুতে রাজনৈতিক সহযোদ্ধারাসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দূর প্রবাসে অসুস্থ হয়ে যখন কাতরাচ্ছিলেন, তখন মায়ের সাথে সাথে ছয় মাস বয়সের শিশুপুত্রের কথা মনে করে করে কাঁদছিলেন মিজান।

    কারণ প্রবাসে থাকায় ওই সন্তানকে যে জন্মের পর থেকে নিজ চোখে দেখাও হয়নি। মিজানের রেখে যাওয়া দুই পুত্র সন্তান অার এক কন্যা বাবা হারানোর পাশাপাশি বাবার লাশটিও হারিয়ে ফেলেছে। কারণ লাশটিও যে দেশে এনে মাটি দেয়ার কোন সুযোগ নেই।

  • করোনায় অসহায়দের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব

    করোনায় অসহায়দের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব

    করোনায় অসহায়দের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
    সাভারে করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া প্রায় কয়েক’শ মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেছে সাভার উপজেলা পরিষদ।

    ২৯ বুধবার বিকেলে বিকেলে সাভার উপজেলা পরিষদে সামাজিক নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ৫ম দিনের মত এ ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব।

    ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদ চৌধুরী,সাভার উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত হোসেন,আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন মাদবর,সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক,তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ-আলম,আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য হোসেন আলী মাষ্টার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ খানসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

    মাসব্যাপী এ ইফতার সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম চলবে বলে জানা গেছে।

  • সাভারে শতাধিক অসহায় ড্রাইভারদের মাঝে ত্রান সামগ্রী নিয়ে এগিয়ে আসলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ব্যবসায়ি রঞ্জিত ঘোষ

    সাভারে শতাধিক অসহায় ড্রাইভারদের মাঝে ত্রান সামগ্রী নিয়ে এগিয়ে আসলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ব্যবসায়ি রঞ্জিত ঘোষ

    সাভারে শতাধিক অসহায় ড্রাইভারদের মাঝে ত্রান সামগ্রী নিয়ে এগিয়ে আসলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ব্যবসায়ি রঞ্জিত ঘোষ

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
    সাভারে শতাধিক ড্রাইভারদের মাঝো ত্রান সামগ্রী বিতরণ করলেন সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এএফএম সাহেদ। বুধবার ২৯ এপ্রিল দুপুরে সাভার অধরচন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে তাদের পাশে এগিয়ে আসলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ব্যবসায়ি রঞ্জিত ঘোষ।

    রঞ্জিত ঘোষ এর নিজস্ব উদ্যোগে সাভার পৌর এলাকায় ৯ টি ওয়ার্ডে ১৮০০০ পরিবারের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম চলছে বলে জানান রঞ্জিত ঘোষ।
    তিনি করোনা ভাইরাস ক্রান্তি লগ্নে ত্রান নিয়ে এগিয়ে আসলেন গরীব, অসহায়,দুস্থ ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে।

    বুধবার ২৯ এপ্রিল দুপুরে সাভার অধরচন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে তাদের পাশে এগিয়ে আসলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ব্যবসায়ি রঞ্জিত ঘোষ। ছবিঃ সত্যের সংবাদ

    শতাধিক ড্রাইভারদের মাঝে ত্রান বিতরণে ছিল ৮ প্রকার দ্রব্যসামগ্রী।খাদ্য সামগ্রী পেয়ে খুশি ড্রাইভাররা।

    খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এএফএম সাহেদ বলেন, সকলে সামজিক দূরত্ব মেনে চলি এবং সমাজে বিত্তবানরা আশে পাশে অসহায় ব্যক্তিদের পাশে থাকারও অনুরোধ করেন তিনি।

  • সাভারে হতদরিদ্র অসহায় কর্মহীন দরিদ্র মানুষের মাঝে নিজ উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করলেন ঢাকা জেলা পরিষদের সদস্য হাজী মোঃসেলিম মন্ডল

    সাভারে হতদরিদ্র অসহায় কর্মহীন দরিদ্র মানুষের মাঝে নিজ উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করলেন ঢাকা জেলা পরিষদের সদস্য হাজী মোঃসেলিম মন্ডল

    সাভারে হতদরিদ্র অসহায় কর্মহীন দরিদ্র মানুষের মাঝে নিজ উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করলেন ঢাকা জেলা পরিষদের সদস্য হাজী মোঃসেলিম মন্ডল

    নিজস্ব প্রতিবেদ, শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ

    সাভারের বিরুলিয়ায় নিয়মিতভাবে বিভিন্ন এলাকার হত-দরিদ্র অসহায়, দরিদ্র, দিনমজুর কর্মহীন, অসচ্ছল, মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে যাচ্ছেন ঢাকা জেলা পরিষদের সদস্য হাজী মোঃ সেলিম মন্ডল। প্রতিদিনের ন্যায় শনিবার আক্রান স্কুল মাঠ প্রাঙ্গনে বিভিন্ন এলাকার প্রায় ২০০ মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের পর গত ২৭ শে এপ্রিল সোমবার বিকালে বিরুলিয়া ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের গরীব অসহায় দিনমজুর দুস্থ ও কর্মহীন পরিবারের মাঝে ঢাকা জেলা পরিষদের সদস্য হাজী মোঃ সেলিম মন্ডল নিজ উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।অনেক অসহায় গরীব মানুষ খাদ্য সামগ্রী পাইনি যেনে, নিজে শ্যামপুর গ্রামে গিয়ে এলাকার বিভিন্ন পরিবারের মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
    খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল,ডাল,তৈল,লবন,সাবান সহ বিভিন্ন খাদ্য উপকরণ।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন বিরুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী অঙ্গ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
    প্রায় প্রতিদিনই সমাজের অসহায় আর হত দরিদ্র কর্মহীন মানুষের মাঝে নিজ হাতে এবং বিরুলিয়া ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দদের সাথে নিয়ে বিতরন করে যাচ্ছেন খাদ্যদ্রব্য সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী।

    এ বিষয়ে হাজী মোঃ সেলিম মন্ডল বলেন, সমাজের মধ্যবিত্তদেরও কথা চিন্তা করে তাদের পাশে দাড়িয়েছি। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে খাদ্য সামগ্রী সর্বস্তরের মানুষের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ একজন মানুষও যেন না খেয়ে না থাকে, সেই উদ্দেশ্যে প্রতিদিন খোঁজ খবর নিচ্ছি এলাকার কোথায় কে না খেয়ে আছে, অভাবে আছে, তাদের বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছি নিজের সাধ্যমত।

    বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানান করোনা ভাইরাসের মোকাবেলায় দেশের অসহায়, হতদরিদ্র, দিনমজুরি ও কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়াতে এবং তাদের সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করতে।
    তিনি আরও বলেন,২৫ শে মার্চ হতে সারা দেশে সকল প্রকার প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা হওয়ার পর থেকে মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ায় খাদ্য সহ বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন,তাই প্রথম দিন থেকেই কোন কিছু চাওয়া, কিংবা পাওয়ার আশায় নয়, মানবতার মা, বঙ্গবন্ধু কন্যা,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডাঃএনামুর রহমানের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী
    যতদিন করোনা ভাইরাসের মহামারীর প্রভাবে দেশের মানুষ কর্মহীন হয়ে থাকবে ততদিন পর্যন্ত সাভার থানা সহ বিরুলিয়ার মানুষের জন্য খাদ্য সামগ্রী বিতরণ সহ বিভিন্ন সহযোগীতা অব্যাহত থাকবে।