Blog

  • মোবাইল ফোন চুরি করতে গিয়ে চিনে ফেলায় প্রবাসীর স্ত্রী-সন্তান খুন, আদালতে স্বীকারোক্তি

    মোবাইল ফোন চুরি করতে গিয়ে চিনে ফেলায় প্রবাসীর স্ত্রী-সন্তান খুন, আদালতে স্বীকারোক্তি

    মোবাইল ফোন চুরি করতে গিয়ে
    চিনে ফেলায় প্রবাসীর স্ত্রী-সন্তান খুন, আদালতে স্বীকারোক্তি

    মোহাম্মদ আদনান মামুন, শ্রীপুর (গাজীপুর):
    গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বুধবার রাতে জৈনাবাজার আবদার এলাকায় মোবাইল চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে যাওয়ায় ঘরের ভেতরে মা ও তিন সন্তানকে গলাকেটে হত্যার কথা আদালতে স্বীকরোক্তি দিয়েছে গ্রেপ্তার মো. পারভেজ (২০)। গ্রেপ্তার পারভেজ, স্থানীয় আবদার গ্রামের কাজিম উদ্দিনের ছেলে।

    সোমবার বিকেলে পারভেজ গাজীপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. শরীফুল ইসলামের কাছে ১৬৪ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর জেলা আদালতের ইন্সপেক্টর মীর রকিবুল হক।

    পরিদর্শক মো. হাফিজুর রহমান জানান, রোববার মধ্যরাতে আবদার এলাকায় অভিযান চালিয়ে পারভেজকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে মা-সন্তানদের খুনের কথা স্বীকার করলে আদালতে ১৬৪ধারায় তার জবানবন্দি নেয়া হয়। ২মাস আগেও পারভেজ নুরাকে উত্যক্ত করতে গিয়ে তাদের ঘরের খাটের নিচ থেকে ধরা পড়ে। পরে ক্ষমা চেয়ে ছাড়া পায়। বুধবার মধ্যরাতে মোবাইল চুরি করতে গিয়ে চিনে ফেলায় প্রথমে বাটি দিয়ে মাকে (গৃহবুধ) এবং পরে ঘুম থেকে জেগে উঠলে একে একে ঘরের থাকা তিন সন্তানকে মাথা-শরীরে কুপিয়ে জখম করে রশিতে দিয়ে বেঁধে মা-মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। পরে ধারালো চাকু দিয়ে তাদের গলা কেটে হত্যা নিশ্চিত করে এবং কাঙ্খিত অপো ও ভিভো কোম্পনীর দুইটি মোবাইল ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে পালিয়ে যায়।

    পারভেজ ২০১৮সালের ফেব্রুয়ারিতে একই এলাকার বসবাসরত ৭বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় গ্রেপ্তারের পর ৯মাসের জেল খেটে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে আছে। সোমবার জবানবন্দি শেষে আদালতের নির্দেশে আবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

    রোববার রাতে গ্রেপ্তারের পর পারভেজের দেয়া তথ্যমতে তার ঘর থেকে নিহতদের রক্তমাখা কাপড় ও মাটির নিচে চাপা দেয়া অবস্থায় লুন্ঠিত দুইটি মোবাইল ফোন এবং একটি পায়জামার ভেতরে রাখা স্বর্ণের তিনটি গলার চেইন, কানের দুল, আংটি ও নাক ফুল উদ্ধার করা হয়েছে। পারভেজের নামে শ্রীপুর থানায় আগেও খুন ও ধর্ষণের মামলা রয়েছে।

    শ্রীপুর থানার ওসি মো. লিয়াকত আলী জানান, গত বুধবার রাতে আবদার এলাকায় নিজ বাড়িতে খুন হন মালয়েশিয়া প্রবাসী রেজওয়ান হোসেন কাজলের স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে। এ ব্যাপারে পরদিন কাজলের বাবা বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা খুনীদের উল্লেখ করে মামলা করেন এবং পিবিআই, র‌্যাবসহ পুলিশের তদন্তকারী একাধিক টিম জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে করে। খুনের তিনদিন পরই গ্রেপ্তার হলো পারভেজ।

  • করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি পালিয়ে ধামরাইয়ে শ্বশুর বাড়িতে

    করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি পালিয়ে ধামরাইয়ে শ্বশুর বাড়িতে

    টাঙ্গাইয়েলে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি পালিয়ে ধামরাইয়ে শ্বশুর বাড়িতে

    ডেক্স সংবাদঃ
    করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর শুনে টাঙ্গাইল থেকে পালিয়ে আসা এক ব্যক্তিকে ধামরাই থেকে আটক করা হয়েছে।জানা যায়, ঐ ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় তথ্য গোপন করে শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।২৭ এপ্রিল সোমবার দুপুরে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দ্বীপক চন্দ্র সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি সাংবাদিকদেরকে বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ি টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলায়। তার বয়স ৪৬ বছর। তিনি অসুস্থ বোধ করায় গত ২৩ এপ্রিল ঢাকায় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) নমুনা জমা দিয়ে টাঙ্গাইলে চলে যান। এরপর জানতে পারেন, তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বিষয়টি গোপন করে ২৫ এপ্রিল তিনি ধামরাই উপজেলার চৌহাট ইউনিয়ন এলাকায় শ্বশুর বাড়িতে চলে আসেন।

    ঢাকার জেলা প্রশাসন থেকে তথ্যের ভিত্তিতে নির্বাহী অফিসারকে জানানো হয়, টাঙ্গাইলের ওই ব্যক্তি চৌহাট এলাকায় শ্বশুড় বাড়িতে অবস্থান করছেন। সেই তথ্যের ভিত্তিতে তাকে খুঁজে বের করা হয় তাকে জানিয়েছেন দ্বীপক চন্দ্র সাহা।

    ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নূর রিফফাত আরা জানান, প্রথমে ওই ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টিনে রেখে চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি স্বাস্থ্যবিধি কতটা মেনে চলবেন তা নিয়ে আমাদের সন্দেহ আছে। যে কারণে তাকে ঢাকায় মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। আমরা জানার চেষ্টা করছি এলাকায় কত জন তার সংস্পর্শে এসেছিলেন।’

    তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত ধামরাই উপজেলায় ১৯০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। গতকাল রাতে পাওয়া রিপোর্টে দেখা গেছে, ২৭ বছর বয়সী এক নারী করোনায় আক্রান্ত। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ইউনিটে রাখা হয়েছে।
    সূত্র-অনলাইন।

  • সাভারে বেতনের দাবীতে শতাধিক শ্রমিকদের বিক্ষোভ

    সাভারে বেতনের দাবীতে শতাধিক শ্রমিকদের বিক্ষোভ

    সাভারে বাকী বেতন ভাতার দাবীতে শতাধিক শ্রমিকদের বিক্ষোভ

    সাভারের রেডিওকলোনি নয়াবাড়ী এলাকায় মডেল লেনি ফ্যাশন পোষাক কারখানায় বেতন ভাতার পাওয়ানা দাবীতে আজ দুপুরে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছে।আজ সোমবার ২৭ এপ্রিল দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত শতাধিক কারখানার শ্রমিক বিক্ষোভে অংশ নেন। বিক্ষোভের সময় শ্রমিকরা করোনা ভাইরাসের  সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখেনি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

     

    শ্রমিকদের বেতন দেয়ার আশ্বস্ত করলে শ্রমিকরা গার্মেন্টস কারখানার ভিতরে অবস্থান নিয়েছেন তারা। পেটের দায়ে বহু শ্রমিক শহরের বাহির থেকে কাজে আসলে করোনা ভাইরাসের লকডাউনে বেতন ভাতা না পেয়ে তারা মানবেতর জীবন যাপন পালন করেছেন।

  • বগুড়ায় ৬০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ পৌঁছে দিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সজীব সাহা

    বগুড়ায় ৬০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ পৌঁছে দিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সজীব সাহা

    বগুড়ায় ৬০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ পৌঁছে দিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সজীব সাহা

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

    করোনায় কাঁপছে গোটা বিশ্ব।সেই আঁচ লেগেছে বাংলাদেশেও।প্রাণঘাতি এই ভাইরাসে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন।একদিকে কোভিড-১৯ আতঙ্ক অন্যদিকে বেঁচে থাকার নিরন্তর লড়াইয়ে সবচেয়ে বেশি বিপাকে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ, দুবেলা দুমুঠো খাবার জোগাড় করা নিয়েই যাদের কপালে এখন দুশ্চিন্তার ভাঁজ।এমন পরিস্থিতিতে যখন অনেকেরই দিন কাটছে খেয়ে না খেয়ে তখন খাবার নিয়ে মানুষের বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন একদল স্বপ্নবাজ মানুষ।তাদেরই একজন বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সজীব সাহা। যিনি অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায়। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করছেন ছাত্রলীগের এই নেতা।তার এই ধারাবাহিক কার্যক্রমে হাসি ফুটেছে অসহায় ৬০০ পরিবারের মুখে।

    সজীব সাহা জানান,বগুড়া চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাসুদুর রহমান মিলনের সহযোগিতায় শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন। এছাড়া দেয়া হচ্ছে নগদ অর্থও। সজীব সাহার মানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে তার পাশে রয়েছেন গোপাল,আরিফ,সাগর,লিখন,পাপ্পু,মোহন,আবু তাহের, সহন,সোহাগ,সবুজ,ফজলে রাব্বি,রকি,বাঁধন,মাসুদ,সুজন শয়নসহ আরও অনেকে।

  • মা ও তিন সন্তানকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় পারভেজ নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার

    মা ও তিন সন্তানকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় পারভেজ নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার

    মা ও তিন সন্তানকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় পারভেজ নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার

    মোহাম্মদ আদনান মামুন, শ্রীপুর (গাজীপুর):
    গাজীপুরের শ্রীপুরের আবদার গ্রামের জৈনাবাজার এলাকায় মা ও তিন সন্তানকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় পারভেজ নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগ্রেশন। গ্রেপ্তার হওয়া পারভেজ (২০) আবদার গ্রামের কাজিম উদ্দিনের ছেলে।
    গতকাল রাতে তাকে গ্রেফতার করেছে বলে জানায় গাজীপুরের পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগ্রেশনের পরিদর্শক হাফিজুর রহমান। এসময় পারভেজের ঘর থেকে তার দেয়া দেখানো মতো রক্তমাখা কাপড় ও মাটির নিচে চাপা দেয়া অবস্থায় মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
    এদিকে, আবদার এলাকায় মা ও তিন সন্তানকে হত্যার আগে ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রয়ারী নীলিমা নামের সাত বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের পর মাথায় আঘাত ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পারভেজ। ওই সময় এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, জোর পূর্বক ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, হত্যা ও সহায়তা করার অপরাধ এনে পারভেজের বিরুদ্ধে মামলাও হয়। বয়স বিবেচনায় হাইকোর্ট থেকে জামিন এনে মুক্ত হয় পারভেজ।
    জামিনের মুক্ত হওয়ার পরই মামলা প্রত্যাহারের করে নেয়ার জন্য বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি দেখায় ও হুমকি দেয়। মামলা প্রত্যাহার না করা হলে তাদের মারপিট করে এলাকা ছাড়া করবে বলে জানায় পারভেজ ও তার পরিবারের সদস্যরা। এবিষয়ে ২০১৮সালে ২৮ আগষ্ট নিরাপত্তা চেয়ে পারভেজ, তার বাবা কাজিম উদ্দিন, মা মোছা: কামরুন্নাহার ও আবুল কালামের নাম উল্লেখসহ শ্রীপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন বলে নিশ্চিত করেন শিশু নীলিমার বাবা হাসান ওরফে ফালান।
    মা ও শিশুসহ চারজনকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া পারভেজ এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত ছিল। মাদকসেবন থেকে শুরু করে বেচা কেনার সঙ্গেও তার সম্পর্ক ছিল। মাদক সম্পৃক্ততা ও বখাটে আচরণের কারণে স্থানীয় লোকজন তাকে এড়িয়ে চলতো বলে জানান ওই এলাকার বাসিন্দা হারুন অর রশিদ। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা অনেক চেষ্টা করেও তাকে ভাল পথে রাখতে পারেননি বলে জানান। অবশেষে শ্রীপুর ফোর মার্ডার মামলায় তাকে আটক পিবিআই।
    পারভেজের জেঠা আসাম উদ্দিন বলেন, পারভেজ অনেক আগে থেকেই মাদক খাওয়া বিক্রির সাথে সম্পৃক্ত। টাকার জোরে একটি মার্ডার মামলা থেকে পারভেজ পার পেয়ে যায়। তখন যদি সে ওই মামলা পার না পেতো তাহলে এমন রোম হর্ষক হত্যা কান্ড ঘটনোর মতো সাহস পেতো না।
    পিবিআইয়ের পরিদর্শক হাফিজুর রহমান, পারভেজের একা পক্ষে এমন হত্যাকান্ড ঘটনো কোন মতেই সম্ভব নয়। মামলার শুরুতেই ভিন্ন আঙ্গীকে তদন্ত শুরু করে পিবিআই। পূর্বের বিভিন্ন ধরনের ঘটনা পর্যবেক্ষণ, পর্যালোচনা, এলাকার বখাটে, মাদক সেবনকারী ও ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন জনের তথ্য সংগ্রহ করে পিবিআই। এসব তথ্য পর্যালোচনা করে গতকাল রাতে পারভেজকে আবদার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকান্ডের দায়িত্ব স্বীকার করে। পরে তাকে নিয়ে অভিযানে বের হয় পিবিআই। এসময় পারভেজের ঘর থেকে তার দেখানো মতো রক্তমাখা কাপড় ও মাটির নিচে চাপা দেয়া অবস্থায় মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এসময় একটি পায়জামার ভেতর থেকে তিনটি গলার চেন, ফাতেমার কানের দুলসহ কিছু স্বর্ণলংকার উদ্ধার করা হয়েছে।
    এবিষয়ে বিস্তারিত সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগ্রেশন পরিদর্শক হাফিজুর রহমান।

  • কিট গ্রহন করেনি ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর,কিটের জন্য কাউকে ঘুষ দেবে না গণস্বাস্থ্য

    কিট গ্রহন করেনি ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর,কিটের জন্য কাউকে ঘুষ দেবে না গণস্বাস্থ্য

    কিট গ্রহন করেনি ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর,কিটের জন্য কাউকে ঘুষ দেবে না গণস্বাস্থ্য

    ডেক্স সংবাদঃ করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র যে কিট উদ্ভাবন করেছে, সেটা সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর নেয়নি উল্লেখ করে কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, সরকারের ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর ব্যবসায়িক স্বার্থে জাতীয় স্বার্থের বিপক্ষে কাজ করছে। তারা নানা অজুহাত দেখিয়ে গণস্বাস্থ্যের কিট গ্রহণ করেনি। আমরা জনগণের স্বার্থে শুধু সরকারের মাধ্যমে পরীক্ষা করে কিটটি কার্যকর কি-না, তা দেখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সরকারিভাবে প্রতি পদে পদে পায়ে শিকল দেয়ার চেষ্টা হয়েছে।

    রোববার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এ কথা বলেন। এর আগে শনিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে একই জায়গায় করোনাভাইরাস পরীক্ষার কিট ‘জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লট’ হস্তান্তর করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। আমন্ত্রণ জানানোর পরও যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার্স ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) ছাড়া গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত এ কিট গ্রহণের জন্য যায়নি সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠান। পরদিনই এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে সংবাদ সম্মেলন ডাকলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি।

    ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের কার্যালয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের করোনা কিটের উদ্ভাবক ড. বিজন কুমার শীলসহ তিনজন এটি জমা দিতে যান। তবে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর তা গ্রহণ করেনি। এমনকি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের তিনজনের একজনকে ওষুধ প্রশাসনের কার্যালয়ে প্রবেশও করতে দেয়া হয়নি।

    তিনি বলেন,‘কর্তৃপক্ষ জমা নেবেন না। আমরা গিয়েছিলাম, তারা জমা নেননি। বললেন যে সিআরও নিয়ে আসেন। তারপরে বললেন, এটা আপনারা ভেরিফিকেশন করে আনেন সিআরও থেকে। সিআরও হলো চুক্তিভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান। ওখানে পয়সা দিতে হবে। কত খরচ লাগবে, তা উনারা (সিআরও) বাজেট দেবেন।’

    জাফরুল্লাহ চৌধুরী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আপনাদের বুঝতে হবে, কিভাবে তারা ব্যবসায়িক স্বার্থকে রক্ষা করছেন। তারা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে রেখে চলেন, তাতে তাদের লেনদেনে সুবিধা হয়। গত ৪৮ বছরে গণস্বাস্থ্য কাউকে ঘুষ দেয়নি, দেবে না। গণস্বাস্থ্যের উদ্ভাবিত কিট (ব্যবহারযোগ্য হয়ে) আসুক আর না আসুক, কাউকে ঘুষ দেব না। কিন্তু লড়াই করে যাব।

    গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান বলেন, প্রথমে আমাদের বললো- অনুমোদন নেই দেখে আমরা আসতে পারব না। আমরা তো আপনাদের হাতে দিতে চাই, যাতে আপনারা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। আমাদের শনিবার বলা হলো- তারা আসবেন না। ঠিক আছে, আজকে আমরা গেলাম। আজকে গণস্বাস্থ্যের ড. বিজন কুমার শীলসহ তিনজন গেলেন। তারপরও দেখেন, কেমন আমলাতান্ত্রিকতা। দুজনকে ঢুকতে দেবে, আরেকজনকে দেবে না। অথচ বাইরের তিনজন লোককে ভেতরে বসিয়ে রেখেছেন। তাদের ব্যবসা সংশ্লিষ্ট লোকদের ভেতরে বসিয়ে রেখেছেন। ফিরোজ, তিনি হেড অব এ ডিপার্টমেন্ট অব নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পদমর্যাদায় ওই ডিজি সাহেবের সমতুল্য তিনি। এ জাতীয় লোককে ভেতরে ঢুকতে দেয়নি।

    ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, শনিবার আমরা এখানে কিট হস্তান্তরের একটি উদ্যোগ নিয়েছিলাম, এটার অনুমোদনের জন্য। এটা অনুমোদন করার দায়িত্ব হলো ওষুধ প্রশাসনের। দুর্ভাগ্যবশত, ওষুধ প্রশাসন এমনভাবে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে, তারা না ফার্মাসিস্ট, না ফার্মাকোলজিস্ট। তার ফলে এই জিনিসগুলোর গুরুত্ব সেভাবে তারা উপলব্ধি করতেই সক্ষম হচ্ছেন না।

  • শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

    শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

    শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

    মোহাম্মদ আদনান মামুন, শ্রীপুর (গাজীপুর):

    গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জৈনাবাজারে বেতনের দাবিতে এটিএস সোয়েটার কারখানার শ্রমিকেরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে তারা বিক্ষোভ করেছে শ্রমিকেরা।

    লিংকিং সুপারভাইজার হৃদয় ও সুমন জানান, কয়েকমাস যাবৎ কারখানার তিন-চারশ শ্রমিকের বেতন কর্তৃপক্ষ পরিশোধ করছে না। বিভিন্ন সময় তারিখ দিলেও তারা পরিশোধ করছেন না। সবশেষ বিকাশ ও রকেটে দেয়ার কথা বললেও বেতন দিচ্ছে না।

    আকলিমা নামের এক শ্রমিক জানান, করোনা আতঙ্কের মধ্যেই আমাদের আয় রোজগার কমে যাওয়ায় খুব কষ্ট হচ্ছে। সন্তানদের নিয়ে খেয়ে না খেয়ে আমাদের চলতে হচ্ছে। কারখানার কর্তৃপক্ষ একাধিকার সময় নিলেও বেতন পরিশোধ করছেন না। শ্রমিকরা জানায়, বকেয়া বেতন না দিয়ে কর্তৃপক্ষ কারখানা বন্ধ করে পালিয়ে গেছে।

    শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি লিয়াকত আলী জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশের এসআই আশিষ কুমার এসে শ্রমিকদের লাঠি পেটা করে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। এসময় বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছে বলে জানায় কারখানার লিংকিং সুপার ভাইজার হৃদয় আহমেদ।

  • সাভারের কাউনদিয়ায় এলাকায় দেড় শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলেন সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান

    সাভারের কাউনদিয়ায় এলাকায় দেড় শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলেন সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান

    রমজানে সাভারের কাউনদিয়ায় এলাকায় দেড় শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলেন সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান

    নিজস্ব প্রতিবেদক,জিল্লু ও আজাদ,সাভারঃ
    সারাবিশ্বে মহামারি আকার ধারন করা মরনঘাতি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সারাদেশে একটানা লকডাউনের কারণে ঘরবন্দী থাকা ও রমজান উপলক্ষে দুঃস্থ, হতদরিদ্র, অসহায় ও কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী উপহার তুলে দেন সাভার উপজেলার কাউনদিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান।

    শনিবার (২৫) এপ্রিল দুপুরে নিজ এলাকা কাউনদিয়াতে সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান তার নিজ উদ্যোগে ১৫০ শতাধিক পরিবারকে মাহে রহমান উপলক্ষ্যে ৭ দিনের খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন তিনি।
    এ সময় সামাজিক দুরত্ব মেনে খাদ্য সামগ্রী নেন এলাকাবাসী। রমজান মাসের খাদ্য সামগ্রী পেয়ে খুশি হন এলাকার হতদরিদ্র এসব লোকজন।
    সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান বলেন, করোনা করোনাভাইসের কারনে অনেকের কোন কাজ নেই। তাই আমার এলাকা কাউনদিয়াতে মাহে রমজান উপলক্ষ্যে ১৫০ টি পরিবারকে ৭ দিনের খাদ্য সামাগ্রী তুলে দেয়া হয়েছে । এরপর দ্বিতীয় দফায় ফের এসব পরিবারকে চাল, ডাল, তেল, সেমায়, চিনি, লবন, আলুসহ অন্যান্য সামগ্রী বিতরণ করা হবে। যাতে তারা কোন কষ্ট না করে খাদ্যের অভাবে।

    উল্লেখ্য,করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ১২০০ শতাধিক পরিবারের মাঝে বিভিন্ন সময় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন।তার নেতাকর্মীকে নিয়ে এলাকায় অসহায় কৃষকের ৫ বিঘা ধান কেটে দিয়েছেন।

  • করোনায় লকডাউম হয়ে অসহায় ও রোজা উপলক্ষে সাভারে ৫ শতাধিক পরিবারের মাঝে ত্রান বিতরণ করলেনঃ মাসুদ চৌধুরী

    করোনায় লকডাউম হয়ে অসহায় ও রোজা উপলক্ষে সাভারে ৫ শতাধিক পরিবারের মাঝে ত্রান বিতরণ করলেনঃ মাসুদ চৌধুরী

    করোনায় লকডাউম হয়ে অসহায় ও রোজা উপলক্ষে সাভারে ৫ শতাধিক পরিবারের মাঝে ত্রান বিতরণ করলেনঃ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মাসুদ চৌধুরী

    নিজস্ব প্রতিবেদককেঃ
    করোনায় লকডাউনে অসহায় ও রোজা উপলক্ষে
    সাভারে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া প্রায় ৫ শতাধিক পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

    শুক্রবার বিকেলে সাভার পাবলিক লাইব্রেরী এলাকায় নিজস্ব অর্থায়নে বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মাসুদ চৌধুরী।

    এর আগে বৃহস্পতিবার একই এলাকায় প্রায় তিন’শ দুস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন তিনি।

    এ ব্যাপারে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাসুদ চৌধুরী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিতেই এমন উদ্যোগ। করেনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে কর্মহীন অসহায় মানুষের জন্য এ ধরনের বিভিন্ন সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এছাড়া করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সকলকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

    এদিকে খাদ্য পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে দুস্থ ও অসহায় পরিবারগুলো। বিতরণ করা ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে- চাল, ডাল, পিঁয়াজ, আলুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য।

    সাভারে অসহায় ও দুস্থদের পাশে আওয়ামীলীগ নেতা মাসুদ চৌধুরী

  • নারায়ানগঞ্জে কারফিউ জারির দাবি

    নারায়ানগঞ্জে কারফিউ জারির দাবি

    ডেক্সসংবাদঃ

    ক’রোনা ভাই’রাসের ঝুঁ’কি সবচেয়ে বেশি ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর এলাকায়। সারাদেশে ৩ হাজার ৭৭২ জন মোট আ’ক্রান্তের মধ্যে প্রায় ৮৩ শতাংশই ঢাকা বিভাগের। এর মধ্যে ৪১ শতাংশ ঢাকার, ৪২ শতাংশ ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জে’লার। ঢাকা বিভাগে মোট আ’ক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৫১০ জন।

    এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ২৭৭ জন ঢাকায় আ’ক্রান্ত এবং মা’রা যায় তিন জন। নারায়ণগঞ্জে ৪৯৯ জন আ’ক্রান্ত ও মা’রা গেছে ৩৫ জন এবং গাজীপুরে ২৬৯ জন আ’ক্রান্ত এবং মা’রা গেছেন দুই জন। আ’ক্রান্তদের মধ্যে তরুণদের সংখ্যা ২৫ থেকে ৩০ ভাগ। কিন্তু এই তিন এলাকায় লকডাউন মানছেন না কেউই। প্রধান সড়ক কিছুটা ফাঁকা থাকলেও অলিগলির চিত্র পুরোপুরি ভিন্ন। সেখানে মানা হচ্ছে না ‘সামাজিক দূরত্ব’ বজায়ের কোনো পরামর্শ-নির্দেশনা।

    কিশোর ও উঠতি বয়সি তরুণরা আড্ডা দিচ্ছেন যত্রতত্র। কোথাও কোথাও আবার যানবাহনের চা’প তো আছেই, জ্যামও পড়ছে। এর সঙ্গে রিকশা ও অটোরিকশা চলছে দেদারসে। এমন অবস্থার মধ্যে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জে’লায় কারফিউ জারি করার দাবি জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, দীর্ঘ সময়ের দুর্ভোগের চেয়ে স্বল্পসময়ের ক’ষ্ট সহনশীল। তাই এখনো সময় আছে।

    ক’রোনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে ক’রোনার খনি হিসেবে চিহ্নিত ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। কারফিউ জারি বা ফিলিপাইনের মতো ব্যবস্থা চালু করতে হবে। এতে দেশ ও জাতি রক্ষা পাবে। প্রসঙ্গত, ফিলিপাইনে মানুষকে ঘরে রাখতে ক’ঠোর হয়েছে দেশটির স’রকার। দেখামাত্র গু’লি করা হচ্ছে সেখানে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য চিকিত্সক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, দেশ ও জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর এলাকায় মানুষকে ঘরে রাখতে ক’ঠোর থেকে ক’ঠোরতর হতে হবে। সার্বিক ব্যবস্থাপনার স্বার্থে এটা প্রয়োজন। এতে মানুষ বাঁচবে, দেশ বাঁচবে।

    ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. খান মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর হলো ক’রোনার খনি।সেখান থেকে কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, মানিকগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে। প্রয়োজনে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করতে হবে।

    তিনি বলেন, দুই সপ্তাহ ঘরে থাকলে কিছুই হবে না। কিন্তু ঘরে না থাকলে চিকিত্সা ব্যবস্থা, অর্থনীতিসহ সব কিছু ভে’ঙে পড়বে। তাই এখন থেকেই সতর্ক থাকতে হবে।

    দেশের ৬৪টি জে’লার মধ্যে বুধবার পর্যন্ত ৫৮টিতে মানুষ ক’রোনা ভাই’রাসে আ’ক্রান্ত হয়েছে। আ’ক্রান্ত জে’লাগুলোর মধ্যে অন্তত ২১টিতে সং’ক্র’মণ হয়েছে নারায়ণগঞ্জ থেকে যাওয়া লোকজনের মাধ্যমে। আর নারায়ণগঞ্জে সং’ক্র’মণ হয়েছে ইতালিফেরত প্রবাসীর মাধ্যমে। এদিকে আ’ক্রান্ত অন্য জে’লার মধ্যে কয়েকটিতে সং’ক্র’মণ হয়েছে ঢাকা ও গাজীপুর থেকে যাওয়া ক’রোনা রো’গীর মাধ্যমে। বেশ কয়েকটি জে’লার সং’ক্র’মণের কারণ স্পষ্ট হওয়া যায়নি।

    স’রকারের রো’গতত্ত্ব, রো’গ নির্ণয় ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এবং সংশ্লিষ্ট জে’লা প্রশাসন ও জে’লা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে ৮ মার্চ প্রথম তিন ক’রোনা রো’গী শনাক্ত হয়। এই তিন জনের দুজন ইতালি থেকে দেশে এসেছিলেন। তাদের মাধ্যমেই তৃতীয় ব্যক্তির সং’ক্র’মণ হয়। এই তিন জনই নারায়ণগঞ্জের।

    এরপরই ঢাকা মহানগরীতে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়। টাঙ্গাইলে প্রথম ক’রোনা রো’গী শনাক্ত হয় ৮ এপ্রিল। ৪৭ বছর বয়সি ঐ ব্যক্তির বাড়ি মির্জাপুর উপজে’লা বৈরাগী ভাওড়া পশ্চিমপাড়া এলাকায়। শনাক্ত হওয়ার তিন দিন আগে তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে মির্জাপুরের বাড়িতে যান। লোকটি নারায়ণগঞ্জে একটি ক্লিনিকে চাকরি করতেন। বুধবার পর্যন্ত এ জে’লার ক’রোনা পজিটিভ রো’গীর সংখ্যা ১৩ জন। গত ১৯ এপ্রিল সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে জে’লার প্রথম ক’রোনা ভাই’রাস আ’ক্রান্ত শনাক্ত হয়। তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে উপসর্গ নিয়ে নিজের এলাকায় যান।

    পরে তার নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হলে ক’রোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা ব্যক্তির মাধ্যমে হবিগঞ্জ জে’লায় সং’ক্র’মণ হয়। ১১ এপ্রিল তার ক’রোনা পজিটিভ হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়। লালমনিরহাটে প্রথম ক’রোনা পজিটিভ হয় সদর উপজে’লায় গোকুণ্ডা ইউনিয়নের গুড়িয়া দহগ্রামের এক বাসিন্দার। তিনি নারায়ণগঞ্জে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। দিনাজপুর জে’লায় প্রথম ক’রোনা রো’গী শনাক্ত হয় ১৪ এপ্রিল। একই দিনে জে’লার তিনটি উপজে’লার সাত জন ক’রোনা শনাক্ত হয় বলে জানান দিনাজপুরের সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল কুদ্দুছ। আ’ক্রান্তদের মধ্যে দুজন হলেন নারায়ণগঞ্জ ফেরত।

    দুজন গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। তারা স্বামী-স্ত্রী। বাকিদের সং’ক্র’মণের কারণ চিহ্নিত করা যায়নি। চাঁদপুরে প্রথম ক’রোনা আ’ক্রান্ত ব্যক্তিটি নারায়ণগঞ্জ থেকে যাওয়া। ঐ ব্যক্তি ক’রোনা উপসর্গ নিয়ে লকডাউনের মধ্যে ৫ এপ্রিল নৌপথে চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানায় শ্বশুরবাড়িতে যান। পরে শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হলে ৯ এপ্রিল তার ক’রোনা শনাক্ত হয়। পিরোজপুরে প্রথম ক’রোনা পজিটিভ হয় মঠবাড়িয়ার এক ব্যক্তির। লকডাউনের মধ্যে তিনি ১০ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে পিরোজপুর যান। পরে তার নমুনা পরীক্ষা করলে ১৩ এপ্রিল ক’রোনা পজিটিভ হয়। ফরিদপুর প্রথম ক’রোনা রো’গী শনাক্ত হয় ১২ এপ্রিল।

    আ’ক্রান্ত ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জ থেকে যাওয়া। তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে ফরিদপুরের নগরকান্দা গেলে তার ক’রোনা উপসর্গ দেখা দেয়। পরে পরীক্ষার পজিটিভ আসে। পাবনায় প্রথম ক’রোনা ভাই’রাসে আ’ক্রান্ত রো’গী শনাক্ত হয় ১৬ এপ্রিল। ৩২ বছর বয়সি ঐ ব্যক্তি চাটমোহর উপজে’লার মূলগ্রাম ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় টাইলস মিস্ত্রির কাজ করতেন। ঐ ব্যক্তি ৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে পাবনায় গ্রামের বাড়িতে এসে জ্বর, ঠান্ডায় আ’ক্রান্ত হন। পরে তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করলে ক’রোনা ধরা পড়ে।

    নরসিংদীতে প্রথম ক’রোনা চিহ্নিত ব্যক্তির বাড়ি জে’লার পলা’শ উপজে’লার ইসলামপাড়া গ্রামে। মুফতি শামীম মিয়া নারায়ণগঞ্জের একটি গার্মেন্টে চাকরি করতেন। তিনি ওই গার্মেন্টের মসজিদে ইমামতিও করতেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রথম ক’রোনা ভাই’রাসে সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত হয় ২০ এপ্রিল। জে’লা শহরের পৌর এলাকার দক্ষিণ চ’রমোহনপুর এলাকার ঐ ব্যক্তি ১৫ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে এলাকায় যান। পটুয়াখালীতে প্রথম ক’রোনা রো’গী শনাক্ত হয় ৯ এপ্রিল। বরিশাল বিভাগের মধ্যেও এটি প্রথম শনাক্ত হওয়া ক’রোনা রো’গী।

    তিনি নারায়ণগঞ্জে গার্মেন্ট কারখানায় চাকরি করতেন। ক’রোনা পরীক্ষার ফলাফল পাওয়ার আগে তিনি মা’রা যান। গাজীপুর জে’লার প্রথম ক’রোনা রো’গীও নারায়ণগঞ্জ থেকে সং’ক্র’মণ হয়েছে। অন্যান্য জে’লার প্রথম আ’ক্রান্তের মধ্যে পঞ্চগড়, জামালপুর, লক্ষ্মীপুর, কুড়িগ্রাম ও ফেনীতে ঢাকা থেকে যাওয়া লোকজনের মাধ্যমে ছড়িয়েছে। এছাড়া কয়েকটি জে’লায় আ’ক্রান্ত হয়েছে প্রবাসীদের মাধ্যমে। কয়েকটি হয়েছে গাজীপুর থেকে। এর বাইরে কয়েকটি জে’লার সং’ক্র’মণের উত্স নিশ্চিত হওয়া যায়নি।