Author: sattersangbad24

  • টাকার লোভে বোনকে যৌনপল্লীতে বিক্রি

    টাকার লোভে বোনকে যৌনপল্লীতে বিক্রি

    টাকার লোভে বোনকে যৌনপল্লীতে বিক্রি

    অনলাইন সংবাদ ডেস্কঃ সামান্য টাকার লোভে বোনের সঙ্গে কেউ এমন করতে পারে! ১৩ বছর বয়সী বোনকে যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দিয়েছে তারই সৎ‌ ভাই। মাত্র ২৭ হাজার রুপির বিনিময়ে বোনকে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেছে।

    ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের প্রকাশম জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে। সেখানকার সিঙ্গারায়াকোন্ডার যৌনপল্লিতে অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর প্রকাশ্যে আসে পেছনের ঘটনা। পুলিশের কাছে দেওয়া বয়ানে মেয়েটি তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে।
    গত ১৮ জুলাই ঘটনাটি ঘটে। তবে তখনো পুলিশের কাছে কোনো খবর ছিল না। নিজেকে বাঁচানোর মরণপণ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল মেয়েটি। সে উপস্থিত বুদ্ধির জোরে ১০০ ডায়াল করে পুলিশের কাছে সাহায্য চায়। কান্দুকুর থানায় পুলিশ ইন্সপেক্টর বিজয় কুমার জানিয়েছেন, মেয়েটির ফোন ট্র্যাক করে পুলিশ ওই এলাকায় পৌঁছায়। এরপর সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে।

    পুলিশকে ওই কিশোরী জানিয়েছে, বাবার দ্বিতীয় বিয়ে হওয়ার পর তার জন্ম হয়। কিন্তু বাবা ও মায়ের মধ্যে প্রচণ্ড ঝগড়া হওয়ায় সে সৎ‌ ভাইয়ের কাছে গিয়ে থাকত।

    পুলিশ জানতে পেরেছে, মেয়েটির বাবার দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে একটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল। এ ছাড়াও জমি নিয়ে বিবাদও ছিল। নেল্লোরের কাভালি থেকে শিশুটিকে নিয়ে যায় তার সৎ‌ ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রী। তারা মেয়েটিকে সিঙ্গারায়াকোন্ডায় নিয়ে গিয়ে ২৭ হাজার রুপিতে যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেয়।
    যদিও চুপ করে বসে ছিল না মেয়েটি। সে ক্রমাগত পালাবার পথ খুঁজতে থাকে। অবশেষে একটি মোবাইল পেয়ে সেখান থেকে ১০০ ডায়াল করে। খবর পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দেয় বিরাট পুলিশ।

    সেখানে গিয়ে তারা মেয়েটিকে উদ্ধার করে। গ্রেফাতার করা হয় ওই বাড়ির মালিককে। পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনার পর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ওই বালিকা। তার কাছ থেকে বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। বর্তমানে কাউন্সিলিং দেওয়া হচ্ছে।

  • সাভারে নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ, ঘাতক স্বামী গ্রেফতার

    সাভারে নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ, ঘাতক স্বামী গ্রেফতার

    সাভারে নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ, ঘাতক স্বামী গ্রেফতার

     

    নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার থেকেঃ

    সাভার পৌরসভাধীন ৭ নং ওয়ার্ডের সাভার নিউমার্কেট এর পিছন ডগরমোড়া রোডের রাইসা ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী রাশেদুল ইসলাম(৩০) তার দ্বিতীয় স্ত্রী মুক্তা পারভিন (১৮) কে হত্যা করে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ। ২২ জুলাই মঙ্গলবার রাত দশটার দিকে মৃতদেহ উদ্ধার করে।

    মানিকগঞ্জের শিবালয় থানার দুলাল মিয়ার কলেজপড়ুয়া মেয়ে মুক্তা পারভিন কে ব্ল্যাকমেইল করে দেড় মাস আগে বিয়ে করে রাশেদ।

    এ ব্যাপারে মুক্তার ভাবি লিলি বেগম( ২৫ ) বলেন, ২১ জুলাই মঙ্গলবার বিকাল ৩ ঘটিকায় মুক্তা তার মোবাইল নাম্বারে ফোন দিয়ে বলে, ভাবি তুমি ফোন কেটো না রাশেদ আমাকে মেরে ফেলবে গুন্ডা ভাড়া করছে আমাকে মারার জন্য, আমাকে প্রচুর মারধর করছে তুমি যতক্ষণ লাইনে থাকবে ততক্ষণ আমি বেঁচে থাকব, আমাকে বাঁচাও সন্ত্রাসী মুন্না আসতেছে আমাকে মেরে ফেলবে। তারপরে ব্যাপারটি আমি আমার স্বামী আলাউদ্দিন কে জানাই আমার স্বামী এবং আমার শ্বশুর এসে রাশেদের বাসা তালাবদ্ধ এবং তার মোবাইল ফোন বন্ধ পায়, অনেক ফোন দিয়েও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তারপর আজ ২২ জুলাই রাত দশটার দিকে মুক্তার মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় তালাবদ্ধ রুম থেকে উদ্ধার করে।

    এব্যাপারে মুক্তার ভাই আলাউদ্দিন বলেন, আমার কলেজ পড়ুয়া বোনকে গত দেড়মাস আগে ব্লাকমেইল করে বিয়ে করে এই ভন্ড প্রতারক লম্পট রাশেদুল ইসলাম, বিয়ের কিছুদিন পরেই ২ লক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ ও শারীরিক নির্যাতন শুরু করে রাশেদুল ইসলাম। একপর্যায়ে নির্যাতনের আকার চরম পর্যায়ে পৌঁছলে মুক্তা পরিবারকে জানাতে বাধ্য হয়। এরপর আমার বাবা ও আত্মীয়-স্বজন এসে মীমাংসা করে, রাশেদুল তার ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চায় কিন্তু রাশেদুল আমার বোনের উপর নির্যাতন চালিয়ে যায় একপর্যায়ে আমার বোনকে হত্যা করে লাশ ওড়না পেচিয়ে ঝুলিয়ে দেয়, এ ব্যাপারটা আমি আমার স্ত্রী লিলি বেগমের কাছে জানতে পেরে আমার বাবা কে জানাই আমার বাবা এসে বাড়ি তালাবদ্ধ থাকার কারণে বাড়িতে ঢুকতে না পেরে আমাকে জানায় আমরা ২১ জুলাই রাত দুইটার দিকে সাভার মডেল থানার দ্বারস্থ হই কিন্তু ওই রুমে তালাবদ্ধ থাকার কারণে থানা পুলিশ পরবর্তী দিন এসে ব্যবস্থা নেবে বলে চলে যায়, এরপর আজ ২২ জুলাই রাত দশটার দিকে সাভার মডেল থানা পুলিশ এসে আমার বোন মুক্তা পারভীন এর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে এবং পুলিশ রাশেদুল ইসলামকে আটক করে।

    এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক অপূর্ব দাস জানায়, আমরা খবর পেয়ে রুমের তালা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার করি এবং ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে অভিযুক্ত রাশেদুল ইসলামকে আটক করি, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে, হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।

  • বিকাশ একাউন্ট হোল্ডারের জন্য ১০ হাজার টাকার ঋণ

    বিকাশ একাউন্ট হোল্ডারের জন্য ১০ হাজার টাকার ঋণ

    বিকাশ একাউন্ট হোল্ডারের জন্য ১০ হাজার টাকার ঋণ

    অর্থবানিজ্যসংবাদঃ
    বিকাশ ব্যাংক ঋণকারও নামে যদি আগে থেকেই বিকাশ অ্যাকাউন্ট থাকে, আর তিনি যদি ঋণ চান, তাহলে ব্যাংক তাকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ দেবে। প্রথমবারের মতো ডিজিটাল এই ঋণ চালু করলো সিটি ব্যাংক। জরুরি প্রয়োজনে সিটি ব্যাংকে জামানতবিহীন এই ঋণ মিলবে।

    যেকোনও সময় যেকোনও স্থান থেকে মোবাইল ওয়ালেটের মাধ্যমে সঙ্গে সঙ্গে এই পরিমাণ ঋণ পাওয়া যাবে। প্রাথমিকভাবে একটি পাইলট প্রকল্পের আওতায় সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ গ্রহণের সুযোগ পাওয়া যাবে। তবে প্রথমে নির্বাচিত সীমিত সংখ্যক বিকাশ অ্যাপ-গ্রাহক এ সুবিধা পাবেন।

    আর্থিক অন্তর্ভুক্তির কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ক্রমে, ব্যাংক ঋণকে প্রযুক্তির সহায়তায় আরও জনমুখী করতেই এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

    প্রকল্পের সফল সমাপ্তি শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন ক্রমে, ঋণ পাওয়ার উপযুক্ত বিকাশ গ্রাহকদের জন্য এই সেবা আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করবে সিটি ব্যাংক। ঋণ নেওয়ার পর তিন মাসে, সমপরিমাণ তিন কিস্তিতে নির্ধারিত তারিখে গ্রাহকের বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিশোধিত হয়ে যাবে।

    নির্ধারিত তারিখের আগে গ্রাহক এসএমএস এবং অ্যাপের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত নোটিশ পাবেন।

    পাইলট প্রকল্পে ঋণ পেতে নির্বাচিত গ্রাহকরা তাদের বিকাশ অ্যাপে ঋণ বা লোন আইকনটি দেখতে পাবেন। ঋণ নিতে গ্রাহককে তার ই-কেওয়াইসি ফরমে (নো-ইয়োর কাস্টমার ফর্ম) বিকাশে দেওয়া তথ্য সিটি ব্যাংককে দেওয়ার সম্মতি দিতে হবে।

    পরবর্তীতে ঋণের পরিমাণ এবং নিজের পিন দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে বিকাশ অ্যাকাউন্টে ঋণের টাকা পেয়ে যাবেন। কোনও গ্রাহক ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে বিধিবিধান অনুসরণ করে সিটি ব্যাংক ঋণখেলাপির তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাবে।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, এই ঋণের সঙ্গে প্রযোজ্য সুদ ও অন্যান্য বিধিবিধান প্রতিপালিত হবে।

    চীন, ভারত, ফিলিপাইনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ধরনের ঋণ প্রকল্পে এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্রেডিট অ্যাসেসমেন্ট সুবিধা দেয় বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আলিবাবা গ্রুপের অ্যাফিলিয়েট ‘অ্যান্ট ফিন্যান্সিয়াল’। এই প্রকল্পেও গ্রাহকদের ক্রেডিট অ্যাসেসমেন্ট করবে বিশ্বখ্যাত এই ফিনটেক প্রতিষ্ঠানটি।

    প্রকল্পটির বিষয়ে সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন বলেন, ‘আমরা সবসময় গ্রাহকের প্রয়োজনে তাদের কাছে থাকার চেষ্টা করি।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেকেরই, বিশেষত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের হঠাৎই অর্থের প্রয়োজন হয়। সেটি কীভাবে সহজে তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় এবং তারা যেন স্বাচ্ছন্দ্যে সেই অর্থ ব্যবহার করতে পারেন, সেটি মাথায় রেখেই এই ডিজিটাল ঋণের যাত্রা।’

    উদ্যোগটি সম্পর্কে বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর বলেন, ‘প্রান্তিকসহ সব শ্রেণির মানুষের জীবনের মানোন্নয়ন এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে আরও জোরালো ভূমিকা রাখতে বিকাশের মতো কার্যকর ডিজিটাল আর্থিক প্লাটফর্ম ও বিশাল গ্রাহক ভিত্তিকে ব্যবহার করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সৃজনশীল নতুন নতুন সেবা প্রচলন করতে পারে। সিটি ব্যাংকের এই ডিজিটাল ঋণ প্রকল্প তারই একটি উদাহরণ।’

  • খ্রিস্টানদের ধর্মের যিশুর স্থান নিতে চান চীনের প্রেসিডেন্ট,রাখা যাবে না যিশুর কোনো ছবি

    খ্রিস্টানদের ধর্মের যিশুর স্থান নিতে চান চীনের প্রেসিডেন্ট,রাখা যাবে না যিশুর কোনো ছবি

    খ্রিস্টানদের ধর্মের যিশুর স্থান নিতে চান চীনের প্রেসিডেন্ট,রাখা যাবে না যিশুর কোনো ছবি

    অনলাইন সংবাদডেস্কঃ খ্রিস্টানদের ধর্ম নিয়ে টানাটানি, যিশুর স্থান নিতে চান চীনের প্রেসিডেন্ট?
    আবারো সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে চীনে। সে দেশের গির্জাগুলোকে আজব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
    চীন সরকার জানিয়েছে, নির্দিষ্ট কয়েকটি প্রদেশের গির্জার ক্রশগুলিকে ভেঙে ফেলতে হবে। রাখা যাবে না যিশুর কোনো ছবি। শুধু গির্জা নয়, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা নিজেদের বাড়িতে যিশুর কোনো ছবি রাখতে পারবেন না। এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    আনহুই, জিয়াংসু, হুবেই ও ঝেজিয়াং প্রদেশের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এমন নির্দেশনা জারি করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম রেডিও ফ্রি এশিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এমনই তথ্য মিলেছে। এরই মধ্যে ওই সব প্রদেশের গির্জাগুলোতে রাখা ক্রশ নামিয়ে নষ্ট করে ফেলা হয়েছে।
    আরো বলা হয়েছে, এই প্রদেশ ছাড়াও শাংসি প্রদেশের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি থেকে যিশুর ছবি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার বদলে চীনের কমিউনিস্ট নেতাদের ছবি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য ধর্মের ওপর এই রাষ্ট্রীয় আঘাতের নিন্দা করেছে চীনেরই একাংশ মানুষ।

    বিশেষত খ্রিস্টান ও মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর চীনের দখলদারি মনোভাব নিয়ে সরব হয়েছে বিশ্বের বহু দেশ। শনিবার ও রবিবার আনহুই প্রদেশের একাধিক গির্জার ক্রশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। রেডিও ফ্রি এশিয়া জানিয়েছে, এক সপ্তাহ আগেই এই নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।

    প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ক্রশ ভাঙতে এলে একাধিক খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী সেখানে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানান। তবে বলপূর্বক তা ভেঙে ফেলা হয়। ঝেজিয়াং প্রদেশে ইয়ঙ্গজিয়া এলাকায় ৭ জুলাই একই ঘটনা ঘটে।
    প্রায় একশজন প্রাদেশিক প্রশাসনের কর্মী গির্জা থেকে ক্রশ নামিয়ে ফেলে সেটিকে ধ্বংস্ব করেন। প্রাদেশিক কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যেসব দরিদ্র বাসিন্দারা সরকারের পক্ষ থেকে সামাজিক কল্যাণ বাবদ আর্থিক সাহায্য পেয়ে থাকেন, তারা যিশুর আরাধনা করতে পারবেন না।

    তার বদলে মাও সেতুং ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ছবি রাখতে হবে। একই রকম রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার চীনের সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়। জানা গেছে, কেবল ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে উইঘুর মুসলিমদের আটক করছে কমিউনিস্ট সরকার।

    সূত্র : ডেইলি মেইল, ইন্ডিয়া টুডে

  • মুন্সীগঞ্জে ৪ নারী ছিনতাইকারী গ্রেফতার

    মুন্সীগঞ্জে ৪ নারী ছিনতাইকারী গ্রেফতার

    মুন্সীগঞ্জে ৪ নারী ছিনতাইকারী গ্রেফতার

    ডেস্ক সংবাদ: মুন্সীগঞ্জ সদরের সিপাহীপাড়া এলাকায় ছিনতাইকালে ৪ নারী ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে মুন্সীগঞ্জ থানা পুলিশ। সকালে সিপাহীপাড়া বল্লালবাড়ী মামুনের গ্যারেজের সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

    স্থানীয় জনতা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় , সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ৪ নারী ছিনতাইকারী ইজিবাইকে করে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ইজিবাইকে যাত্রী বেশে অবস্থান করেছিল। এ সময় এক মহিলা যাত্রী ওই ইজ বাইকটিতে উঠলে ওই নারীর ব্যাগে থাকা একটি ইমিটেশনের চেইন ও নগদ ১১৫০ টাকা ছিনতাইকালে ভোক্তভোগী নারীর চিৎকারে আশেপাশে লোকজনের চেষ্টায় পুলিশ যাত্রী বেশী ৪ মহিলা ছিনতাইকারীকে হাতে নাতে গ্রেফতার করে।

    এর আগে মিরকাদিম বউবাজার এলাকায় বাজার করতে আসা আসমা বেগম নামের এক মহিলার কাছ থেকে ১ টি স্বর্ণের চেইন ছিনতাই করে এই চক্রটি। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী থানার ছোটরা গ্রামের একেএম এনামুল হকের স্ত্রী হনুফা (৩৫), একই জেলার দেবিদ্বার থানার ছোট আলম গ্রামের মো. মাসুদ রানার স্ত্রী হাসিনা বেগম (২৭) ওই জেলার মুরাদনগর থানার নয়াকান্দি গ্রামের রাসেল মিয়ার স্ত্রী আখি বেগম (২৪) এবং রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ থানার গোয়ালন্দ গ্রামের শেখ মামুনের স্ত্রী সাথী বেগম (২৮)।

    গ্রেফতারকৃত আসামীরা নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার নামাপাড়ার নয়ামাটি এলাকার ফারুক মিয়ার বাড়ি ভাড়াটিয়া। আসামীরা বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন বেশে ছিনতাই করে এবং তারা ছিনতাইকারী চক্রের সক্রীয় সদস্য বলে প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছে পুলিশ। ছিনতাইকারীদের মুল হোতা এবং তাদের সহযোগী অন্যান্য ছিনতাইকারীদের নাম ঠিকানা ও ছিনতাই হওয়া মালামাল উদ্ধারে অনুসন্ধানের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড চেয়েছে মুন্সীগঞ্জ থানা পুলিশ।

    এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ থানার ওসি আনিচুর রহমান জানায়, মুন্সীগঞ্জ থানার বিশেষ অভিযান চলাকালীন সময়ে ৪ নারী ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়। আমাদের কাছে অভিযোগ আছে তারা বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময় অসহায় মানুষকে ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন কায়দায় ছিনতাই করে। আমরা এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে বিজ্ঞ আদালতে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছি।

  • সাভারে নির্বাহী অফিসার পদে যোগদান শামীম আরা নীপার

    সাভারে নির্বাহী অফিসার পদে যোগদান শামীম আরা নীপার

    সাভারে নির্বাহী অফিসার পদে যোগদান শামীম আরা নীপার

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ

    সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার পারভেজুর রহমানকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়েছে। তার শুণ্যস্থানে দায়িত্ব পালন করবেন টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলা থেকে আগত নির্বাহী অফিসার শামীম আরা নীপা।

    সাভারের নির্বাহী অফিসার পারভেজুর রহমানকে বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের উপ-পরিচালক পদে বদলি করা হয়েছে। ২১ জুলাই মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে এ বদলি করা হয়‌।

    উল্লেখ্য, সাভার উপজেলা পরিষদে প্রথমবারের মতো কোনো নারী নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করতে যাচ্ছেন এই নির্বাহী অফিসার ।

    শামীম আরা নীপা ২৯ ব্যাচের ক্যাডার বলে জানা গেছে। এদিকে একাধিক সূত্র দাবি করেছে, সাভার উপজেলার বিদায় নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সরকারের ত্রাণ বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে। এ নিয়ে গত সপ্তাহে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার অফিসের একজন পদস্থ কর্মকর্তা সরেজমিন তদন্তে আসেন। সাভারের একাধিক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এর উপস্থিতিতে ওই কর্মকর্তা পারভেজুর রহমানকে ভর্ৎসনা করেন। এছাড়া সাভারের একাধিক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সঙ্গে তার বনিবনা হচ্ছিল না দীর্ঘদিন ধরে।

    এর বাইরে সাভারে সরকারের একাধিক প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগের খবর আসছিল গণমাধ্যমে। এরমধ্যেই আসলো এ বদলির খবর। যদিও করোনা পরিস্থিতিতে ঝুঁকি নিয়ে তিনি কাজ করছিলেন এবং নিজেও করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন।

  • সাভারে দুটি কারখানাকে চার লক্ষ টাকা র‌্যাবের অভিযানে জরিমানা

    সাভারে দুটি কারখানাকে চার লক্ষ টাকা র‌্যাবের অভিযানে জরিমানা

    সাভারে দুটি কারখানাকে চার লক্ষ টাকা র‌্যাবের অভিযানে জরিমানা

    সাভারঃঅস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে সাভারে সেমাই তৈরি করে বাজারে বিক্রি করার অভিযোগে একটি সেমাই কারখানাসহ দুটি কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেছেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় দুটি কারখানাকে নগদ চার লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।

    সোমবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সাভারের গেন্ডা এলাকার অনিক ফুড সেমাই কারখানা ও কাজী মোকমাপাড়া এলাকায় রেবা রানী কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আনিসুর রহমান।

    র‌্যাব ৪ জানায়, দীর্ঘ দিন ধরে সাভারের গেন্ডা এলাকার অনিক ফুড সেমাই কারখানার মালিক ইমরান হোসেন প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে সেমাই তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন। পরে এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিতিত্বে সোমবার ওই সেমাই কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেন র‌্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আনিসুর রহমান।

    এসময় অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে কাপড়ের রঙ মিশিয়ে সেমাই তৈরির অভিযোগে কারখানাটির মালিক ইমরান হোসেনকে নগদ তিন লক্ষ টাকা জরিমানা করেন ও অনাদায়ে তিন মাসের কারদন্ড প্রদান করেন। সেই সাথে কারখানাটি থেকে চার’শ লিটার পোড়া তৈল, বেশ কয়েক কেজি সেমাই,ডালডাসহ নানা উপকরণ জব্দ করেন র‌্যাব। সেই সাথে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে কারখানার মালিককে সেমাই তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিকে কারখানাটিতে সেমাই তৈরির সময় শ্রমিকদের করোনা ভাইরাসের কারণে কোন স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেখা যায়নি। কারখানাটির মেঝ সাঁতসেধে ও সেমাই তৈরির সময় ময়দা দিয়ে ইদুরের দৌড়া দৌড়ি দেখা গেছে।

    অন্যদিকে সাভারের নামাবাজারের কাজীমোকমাপাড়া এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে নিমকিসহ নানা ফুড জাতীয় আইডেম তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে আসছিলো রেবা রানী কারখানার মালিক দুলাল সাহা । পরে এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিতিত্বে ওই কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। কারখানাটির মালিক দুলাল সাহা নিমকি, চানাচুর, ডালভাজাসহ পাঁচটি আইটেম তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে আসছিলো।

    ইতি মধ্যে এইসব মুখরোচক খাবার খেয়ে শিশুসহ নানা মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। এছাড়া কারখানাটিতে যেখানে খাবার তৈরি করা হতো সেখানে দেখা গিয়েছে ভেড়ার দল। সেই ভেড়ার বিষ্টা মিশে যাচ্ছে খাবারে। এসময় র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ওই কারখানার মালিক দুলাল সাহাকে নগদ এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেন ও অনাদায়ে এক মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন।

    এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রতিটি ঈদের আগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে সেমাইসহ বিভিন্ন খাবার তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে আসছে। যা খেয়ে মানুষ প্রতিনিয়ত অসুস্থ হয়ে পড়েছে।এলাকাবাসী অবিলম্বে এই সব অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

    এব্যাপারে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আসিনুর রহমান বলেন, অসাধু ব্যক্তিরা নোংরা পরিবেশে কেউ খাবার তৈরি করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

    বিশেষজ্ঞরা বলছে কাপড়ের রঙ দিয়ে তৈরি করা সেমাই ও নিমকিসহ ফুড জাতীয় খাবার খেলে মানুষের ক্যান্সারসহ নানা রোগ হতে পারে। অভিযানে এসময় র‌্যাব ৪ এর সিনিয়র এএসপি উনু মংসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

  • একাদশ শ্রেণী কলেজ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২০

    একাদশ শ্রেণী কলেজ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২০

    একাদশ শ্রেণী কলেজ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২০

    কলেজ ভর্তি ২০২০-২১। একাদশ শ্রেণী ভর্তি বিজ্ঞপ্তি 2020 এর আবেদন আগামী ৯ আগস্ট ২০২০ থেকে শুধু মাত্র অনলাইনে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি আবেদন শুরু হবে । ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট সময়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবে । একাদশ শ্রেণী কলেজ ভর্তির আবেদন সংক্রান্ত ওয়েবসাইটের ঠিকানা www.xiclassadmission.gov.bd এই ঠিকানায় কলেজ ভর্তি ২০২০ বিষয়ক সকল তথ্য পাওয়া যাবে । একাদশ শ্রেণী ভর্তি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল ।

    একাদশ শ্রেণী কলেজ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২০
    আগামী ৯ আগস্ট থেকে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইন ভর্তির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভর্তি কার্যক্রম চলবে রোববার অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক (ঢাকা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিগত বছরের ন্যায় এবারও এসএসসি রেজাল্টের উপর ভিত্তি করে প্রার্থী বাছাই করা হবে । একজন শিক্ষার্থী সর্বনিম্ন ০৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন । তাছাড়া সকল যোগ্যতার মাপকাঠিতে যে যোগ্য তাকেই ভর্তির জন্য বাছাই করা হবে ।


    ভর্তি বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
    আবেদন শুরু : ৯ আগস্ট ২০২০
    আবেদনের শেষ সময় : ২০ আগস্ট ২০২০

    আবেদন ফি : ১৫০/- টাকা

    ফলাফল প্রকাশ : ২৫ আগষ্ট ২০২০

    ভর্তির তারিখ : ১৩-১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

    আবেদনের যোগ্যতা
    ২০১৮, ২০১৯ ও ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে । তাছাড়া ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ সালের বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষার্থীরাও একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন । তবে তাদের বয়সসীমা ২২ বছর।

    অনলাইনে ভর্তি
    শিক্ষা বাের্ড কর্তৃক অনুমােদিত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনলাইনে অথবা টেলিটক মােবাইল এস.এম.এস, এর মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। অনলাইনে আবেদনের জন্য ওয়েবসাইট এর ঠিকানা: www.xiclassadmission.gov.bd

    কলেজ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২০

    ২য় পর্যায়ে কলেজ ভর্তি আবেদন
    যেসকল ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ইতিপূর্বে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়নি একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে ২য় পর্যায়ে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন ।যাদের পূর্বে আবেদন ফি দেওয়া আছে তাদের নতুন করে কোন প্রকার ফি প্রদান করতে হবে না এবং তারা তাদের আবেদন আপডেট করেত পারবেন । যেমন : নতুন কলেজ সংযুক্ত করা বা বিয়োজন করা ।

    আবেদন ফি সংক্রান্ত তথ্যাবলী
    অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে ১৫০/- (একশত পঞ্চাশ) টাকা আবেদন ফি জমা সাপেক্ষে সর্বনিম্ন ৫(পাঁচ)টি এবং সর্বোচ্চ ১০(দশ) টি কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের জন্য পছন্দক্রমের ভিত্তিতে আবেদন করতে পারবে। এস.এম.এস, এর মাধ্যমে প্রতি কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের জন্য ১২০/- (একশত বিশ) টাকা আবেদন ফি প্রদান সাপেক্ষে একাধিক কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে পর পর পছন্দক্রমের ভিত্তিতে আবেদন করতে পারবে। অনলাইন এবং এস.এম.এস. উভয় পদ্ধতিতে সর্বোচ্চ ১০(দশ) টি কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবে। একজন শিক্ষার্থী যতগুলাে কলেজে আবেদন করবে তার মধ্য থেকে শিক্ষার্থীর মেধা, কোটা (প্রযােজ্য ক্ষেত্রে) ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি মাত্র কলেজে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।

    শাখা নির্বাচন
    বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণরা শিক্ষার্থীরা যেকোনো বিভাগে ভর্তি হতে পারবে।
    মানবিক শাখা থেকে উত্তীর্ণরা শিক্ষার্থীরা মানবিক বিভাগের পাশাপাশি ব্যবসায় শিক্ষা শাখায়ও ভর্তি হবে পারবে
    ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষার্থীরা ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগে ভর্তি হতে পারবে।
    ভর্তি ফি সংক্রান্ত নীতিমালা
    সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি সর্বসাকুল্যে মফস্বল/পৌর (উপজেলা) এলাকায় ১,০০০/- (এক হাজার), পৌর (জেলা সদর) এলাকায় ২,০০০/- (দুই হাজার), ঢাকা ব্যতীত অন্যান্য মেট্রোপলিটান এলাকায় ৩০০০/- (তিন হাজার) টাকার বেশি হবে না।
    ঢাকা মেট্রোপলিটান এলাকায় অবস্থিত এম.পি.ও.ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে ৫,০০০/(পাঁচ হাজার) টাকার অতিরিক্ত অর্থ আদায় করতে পারবে না।
    ঢাকা মেট্রোপলিটান এলাকায় অবস্থিত আংশিক এম.পি.ও.ভুক্ত বা এম.পি.ও.বহির্ভুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন এবং এম.পি.ও. বহির্ভূত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা প্রদানের জন্য শিক্ষার্থী ভর্তির সময় ভর্তি ফি, সেশন চার্জ ও উন্নয়ন ফিসহ বাংলা মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৯,০০০/- (নয় হাজার) টাকা। এবং ইংরেজি ভার্সনে সর্বোচ্চ ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা গ্রহণ করতে পারবে। উন্নয়ন খাতে কোন প্রতিষ্ঠান ৩,০০০/(তিন হাজার) টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না।
    সরকারি কলেজসমূহ সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী প্রয়ােজনীয় ফি সংগ্রহ করবে।
    দরিদ্র, মেধাবী ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ভর্তিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ উল্লিখিত ফি যতদূর সম্ভব মওকুফের প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

    কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন
    সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বাের্ডের পূর্বানুমতি ছাড়া একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিকৃত কোন ছাত্র/ছাত্রীর ছাড়পত্র ইস্যু করা যাবে না। কিংবা বাের্ডের পূর্বানুমতি ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইস্যুকৃত ছাড়পত্রের বরাতে ভর্তি করা যাবে না।
    শুধুমাত্র সরকারি/ আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকুরিজীবী পিতা বা মাতার বদলিজনিত কারণে কোন ছাত্র/ছাত্রীর ছাড়পত্র ইস্যু করতে বা ভর্তি করতে বাের্ডের পূর্বানুমতি নেয়ার প্রয়ােজন হবে না। এরূপ ক্ষেত্রে বদলিকৃত কর্মকর্তা/কর্মচারির বদলির আদেশপত্র প্রদর্শন করে প্রতিষ্ঠান হতে ছাড়পত্র নেয়া যাবে এবং নতুন কর্মস্থলে যােগদানপত্র দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট চাকুরিজীবীর সন্তানকে বদলিকৃত কর্মস্থলে উপযুক্ত কোন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করা যাবে। এক্ষেত্রে কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে এ ধরনের ভর্তিকৃত ছাত্র/ছাত্রী ভর্তির ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন ফিসহ প্রয়ােজনীয় কাগজ-পত্র সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বাের্ডে জমা দিতে হবে।
    | কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোন অবস্থাতেই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান হতে এস.এস.সি. বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কোন শিক্ষার্থীর মূল একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট উক্ত শিক্ষার্থী বা তার অভিভাবক ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হস্তান্তর করা যাবে না বা অন্য কোন অজুহাতে কোন শিক্ষার্থীর একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট আটক রাখা যাবে না।

  • সাভারে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে এখন সুস্থ হয়েছেন ফুলকির সম্পাদক নাজমুস সাকিব

    সাভারে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে এখন সুস্থ হয়েছেন ফুলকির সম্পাদক নাজমুস সাকিব

    সাভারে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে এখন সুস্থ হয়েছেন দৈনিক ফুলকির সম্পাদক নাজমুস সাকিব

    তার ফেসবুক আইডি শেয়ার থেকে হুবহুব তুলে ধরা হলো…

    আলহামদুলিল্লাহ।মহান রাব্বুল আলামীনের অশেষ মেহেরবানী এবং আপনাদের দোয়ায় এখন আমি সুস্থ্য।আমি গত ৩ জুলাই শুক্রবার কোন উপসর্গ ছাড়াই কৌতুহল বশত করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেই।আলহামদুলিল্লাহ, ৯ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে জানতে পারি আমার করোনা পজিটিভ।সে থেকে আমি হোম আইসোলেশনে ছিলাম।গত ১৮ জুলাই শনিবার দ্বিতীয় দফায় পরীক্ষার জন্য নমুনা দেই । মহান আল্লাহপাকের দরবারে কোটি কোটি শুকরিয়া, রবিবার ১৯ জুলাই রাতে জানতে পারি আমার করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে।

    সাভার উপজেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জনাব ডা. মোহাম্মদ সায়েমুল হুদা, সাভার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার জনাব ডা. নাজমুল হুদা মিঠু আমার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট দেখে সঙ্গে সঙ্গে ফোনে শারীরিক খোঁজ-খবর নেন এবং আমাকে তাৎক্ষণিক হোম আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেন।তারা আমাকে অনেক অভয় এবং সাহস দেন। সঙ্গে কিছু মেডিকেল টিপস্ও দেন। তারা দু’জনই প্রায় প্রতিদিনই আমার খোঁজ-খবর নিয়েছেন এবং সাহস যুগিয়েছেন।শারীরিক যে কোন সমস্যায় যে কোন সময়ে পাশের থাকার কথা জানান । আমি তাদের সেবা এবং আন্তরিকতায় অনেক অনেক মুগ্ধ।

    পাশাপাশি আমার ভাগ্নে ডা. মহিবুর রহমানও আমার চিকিৎসা দিয়েছেন।লন্ডনপ্রবাসী তাসেক সরকারও আমার অসুস্থ্যতার খবর শুনে তাঁর তৈরিকৃত ভেষজ ওষুধ পাঠিয়ে দিয়েছেন এবং অনেক অভয় দিয়েছেন।আর আমার পরিবার, আত্মীয়-স্বজন এবং ভালোবাসার মানুষ আপনারাও আমার অসুস্থ্যতার খবর শুনে মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে সুস্থ্যতার জন্য দোয়া করেছেন।আমি আপনাদের সকলের কাছে অনেক অনেক কৃতজ্ঞ এবং ঋণী।

    আপনারা সকলেই ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন মহান সৃষ্টি কর্তার দরবারে এ প্রার্থনা রইলো।

  • নতুন রূপ হচ্ছে পুরুষ নির্যাতন…যাকারিয়া ইবনে ইউসুফ

    নতুন রূপ হচ্ছে পুরুষ নির্যাতন…যাকারিয়া ইবনে ইউসুফ

    নতুন রূপ হচ্ছে পুরুষ নির্যাতন…যাকারিয়া ইবনে ইউসুফ

    পুরুষশাসিত এ সমাজে সবসময়ই আলোচনায় আসে নারী নির্যাতনের খবর। তবে জগৎ সংসারে কি শুধুই নারী তাদের স্বামীর দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছেন? পুরুষ কি নারীর দ্বারা নির্যাতিত হন না? বিভিন্ন মামলার পর্যালোচনা আর বর্তমান প্রেক্ষাপট বলছে, সমাজের অনেক পুরুষ তার নিজ ঘরে প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হচ্ছেন।

    চক্ষুলজ্জা আর পরিবারের কথা চিন্তা করে দিনের পর দিন বউয়ের এসব নির্যাতন-নিপীড়ন আর হুমকি-ধমকি নীরবে সহ্য করে যাচ্ছেন। পুরুষ অধিকার নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন বলছে, সমাজে অনেক পুরুষই স্ত্রীর যন্ত্রণায় নীরবে কাঁদেন। লোকচক্ষুর আড়ালে গিয়ে চোখ মোছেন; কিন্তু দেখার কেউ নেই। বলারও উপায় নেই। বিভিন্নমহল থেকে পুরুষ নির্যাতন বন্ধে আইন প্রণয়নেরও জোর দাবি জানানো হচ্ছে।

    বর্তমান প্রধানমন্ত্রী একজন নারী। বিরোধীদলীয় নেত্রী একজন নারী। দেশের অন্যতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের প্রধান একজন নারী। অর্থাৎ নারীরা পিছিয়ে আছে বা তারা অনগ্রসর একথা আর সেভাবে বলা যায় না। বরং নারী সমাজ পরাধীনতার খোলস ভেঙে, নিজ যোগ্যতায় এগিয়ে গেছে অনেকটা পথ। এটা আমাদের গৌরব ও অহংকার। তারপরও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নারীরা স্বামী কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, যৌতুকের জন্য শ্বশুরবাড়িতে নিগৃহীত হচ্ছেন। এছাড়াও ধর্ষণ, অত্যচার, যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটছে অহরহ।

    সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, সমাজ দ্রুত বদলে যাচ্ছে। বদলে যাওয়া সমাজেরই নতুন রূপ হচ্ছে পুরুষ নির্যাতন। নির্যাতিত পুরুষের কেউ শারীরিক, কেউ মানসিক, কেউ দৈহিক-আর্থিক, কেউ সামাজিকভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন। ঘরে-বাইরে এ ধররের নির্যাতন প্রায়ই ঘটছে। তুলনামূলক কম হলেও নির্যাতিত পুরুষের সংখ্যা এদেশে নেহায়েত কম নয়। মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কাছে নারী নির্যাতনের পরিসংখ্যান থাকলেও নেই পুরুষ নির্যাতনের সঠিক তথ্য। ফলে নারী নির্যাতনের খবর ফলাও করে প্রকাশ করা হলেও অন্ধকারেই থেকে যাচ্ছে পুরুষ নির্যাতনের ঘটনাগুলো। তবে সাম্প্রতিককালে পুরুষ নির্যাতনকে কেন্দ্র করে বেশকিছু সংগঠন গড়ে উঠছে।

    পুরুষরা কেন নিগৃহীত হচ্ছেন?

    সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, বর্তমানে দাম্পত্য জীবনে ভালোবাসার বন্ধন আগের চেয়ে অনেকটা হালকা। এছাড়া সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়, নৈতিক স্খলন, লোভ-লালসা, উচ্চবিলাসিতা, পরকীয়া, মাদকাসক্তি, অর্থনৈতিক বৈষম্য, বিশ্বায়নের ক্ষতিকর প্রভাব, অবাধ আকাশ সাংস্কৃতিক প্রবাহসহ নানা কারণেই এমনটা ঘটছে। যার চরম পরিণতি হচ্ছে সংসারের ভাঙন ও নির্যাতন। পারিবারিক অশান্তি ও সংসার ভাঙনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নারী-পুরুষ উভয়ই। উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত সমাজের সব অংশই প্রতিনিয়ত ভুগছেন নানা পারিবারিক যন্ত্রণায়। এক্ষেত্রে নির্যাতিত নারীর পাশে সমাজের অনেকেই সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু পুরুষশাসিত এ সমাজে পুরুষও যে নির্যাতিত হতে পারে সেটি যেন কারও ভাবনাতেই নেই। ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আড়ালেই থেকে যায় পুরুষ নির্যাতনের করুণ কাহিনী।

    বিশ্লেষকরা বলছেন, স্ত্রী কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হলেও আইনের আশ্রয় নিতে পারছেন না পুরুষ। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সন্তানের ভবিষ্যৎ, সামাজিক মর্যাদা, চক্ষুলজ্জা, জেল-পুলিশ আর উল্টো মামলার ভয়ে বাধ্য হয়ে স্ত্রীর নির্যাতন নীরবে সহ্য করে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন। পুরুষ চাইলেও নির্যাতনের কথা বলতে পারছে না। অন্যদিকে একজন নারী আইনের অপব্যবহার করে ইচ্ছে করলেই ঘটনা সাজিয়ে পুরুষের বিরুদ্ধে থানা বা আদালতে সহজেই নারী নির্যাতনের মামলা বা যৌতুক মামলা দিতে পারছেন।

    মানবাধিকার আইনজীবী সালমা সুলতানা বলেন, স্ত্রীরা নির্যাতিত হওয়ার পাশাপাশি অনেক সময় পুরুষও স্ত্রী কর্তৃক শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। পুরুষ নির্যাতন প্রতিরোধে সুনির্দিষ্টভাবে নেই কোনো আইন। নারী ও শিশু নির্যাতনে পাঁচটি ট্রাইব্যুনাল তৈরি হলেও পুরুষদের জন্য একটিও নেই। ফলে ভুক্তভোগীদের আইনি সহায়তা দেয়াটা দুরূহ হয়ে পড়ছে। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে সমাজের উচ্চ পদধারী থেকে শুরু করে নিুশ্রেণীর রিকশাচালক পর্যন্ত অনেক পুরুষই আইনি সহায়তা পাওয়ার জন্য আমাদের কাছে আসছেন।

    নারী নির্যাতন আইনের খক্ষ

    নারী উন্নয়ন ছাড়া একটি সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়ন কল্পনা করা যায় না। তাইতো পৃথিবীর অনেক দেশ নারী উন্নয়নের প্রসার ঘটিয়ে উন্নতির শিখরে অবস্থান করছে। আমাদের দেশও নারী উন্নয়নের ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। অতীতের অনেক সময় থেকে বর্তমানে আমাদের দেশের নারী সর্বক্ষেত্রে পুরুষদেরও ছাড়িয়ে গেছে। আমাদের সংবিধানের ২৭, ২৮ ও ২৯ নং অনুচ্ছেদে নারীর অধিকারের কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে নারীর সুরক্ষার জন্য দেশে একাধিক আইন রয়েছে। এর মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন-২০০০, এসিড নিরোধ আইন-২০০২, পারিবারিক সহিংসতা ও দমন আইন-২০১০, যৌতুক নিরোধ আইন-১৯৮০ উল্লেখযোগ্য। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য নারীর সুরক্ষার জন্য আইনগুলো তৈরি হলেও বর্তমানে এ আইনগুলোকে কিছু নারী পুরুষ দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। সামান্য কিছুতেই স্বার্থান্বেষী নারী স্বামীদের নাজেহাল করতে এসব আইনের অপপ্রয়োগ করছেন। অন্যদিকে দেশে ‘পুরুষ নির্যাতন প্রতিরোধ’ আইন এখনও সৃষ্টি হয়নি। নেই পুরুষ নির্যাতনবিরোধী ট্রাইব্যুনালও। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব কারণে আইনি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ভুক্তভোগী পুরুষ।

    নারী নির্যাতন ও যৌতুক মামলায় হয়রানির শিকার নারায়ণগঞ্জ জেলার ভুইগড়ের শেখ খায়রুল আলম। একদিনের জন্য ঘরে বউ তুলতে না পারলেও সেই বউয়ের মামলায় হাজতে থাকতে হয়েছিল ৭৭ দিন। খায়রুল আলম দাবি করেন, কোনো ধরনের অপরাধ না করেও হাজতে থাকতে হয়েছে। কোনো অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ার পরও ঝুলে আছে ২০১৪ সালের মামলা। প্রতি ২-৩ মাস পরপর দিতে হয় হাজিরা। তিনি বলেন, নারী নির্যাতন মামলা হলেই আগে হাজত, তারপর তদন্ত। ফলে দেশব্যাপী অনেক পুরুষকে বিনা অপরাধে জেল খাটতে হয়।

    যৌতুক আইনের অপপ্রয়োগ

    পুরুষ নির্যাতনের ক্ষেত্রে যৌতুক আইনের অপপ্রয়োগ সবচেয়ে বেশি। আইনজীবীরা বলেন, যৌতুক আইনের অধিকাংশই মিথ্যা ও হয়রানিমূলক। পারিবারিক যে কোনো বিষয়ে চূড়ান্ত ঝগড়া হলে সেটি থানা পুলিশে গড়ালে পরিণত হয় যৌতুক মামলায়। কোনো কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হলে অথবা স্ত্রীকে তালাক দিলে অথবা উচ্ছৃঙ্খল স্ত্রীকে শাসন করলে অথবা স্ত্রীর পরকীয়ায় বাধা দিলে সেই স্ত্রী ও তার পরিবারের লোকজন থানায় বা আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন-২০০০-এর ১১(খ) অথবা যৌতুক নিরোধ আইন-১৯৮০-এর ৪ ধারায় একটি মামলা করেন। একজন পুরুষের জীবন অতিষ্ট করার জন্য এ একটি মামলাই যথেষ্ট।

    ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের উপকমিশনার ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, শুধু নারীই নন, পুরুষও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। অনেক পুরুষ খারাপ মেয়েদের ট্র্যাপে পড়ে যাচ্ছেন। তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করছে। শুধু নারীই নন, পুরুষও নারীর দ্বারা ভিকটিমাইজ হচ্ছে। এক্ষেত্রে আমরা পেশাগত দায়িত্বের বাইরে অনেক কিছু গোপন রেখে কাউন্সেলিং ও আইনি পরামর্শ দিয়ে থাকি।

    ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, পারিবারিক মামলার ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি, স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য জীবনের সঙ্গে যৌতুকের কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু দাম্পত্য কলহ হলেই যৌতুকের মামলা দেয়া হয়। এতে পরিবারের সন্তানরাও কিন্তু দিশেহারা হয়ে যায়।

    পারিবারিক মামলা শুধু পুলিশ দিয়ে ঠেকানো যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, পুরুষ নির্যাতনের সংখ্যা নারীর তুলনায় অনেক কম। পরিবারে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে চলতে হবে। ছাড় দেয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। ভুল বোঝাবুঝি হলে নিজেদের মধ্যে সমাধান করতে হবে। নির্যাতন বন্ধ হতে হবে ঘর থেকেই।

    দেনমোহর কেলেঙ্কারি

    আমাদের দেশে সাধারণত বিয়ের সময় পাত্রী পক্ষ জোরপূর্বক পাত্রকে সাধ্যের অতিরিক্ত টাকা কাবিন নামায় ধার্য করতে বাধ্য করেন। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব কাবিন হয় বাকিতে। অর্থাৎ দেখা গেল কনে পক্ষের দাবি অনুযায়ী, কাবিন করা হল ১০ লাখ। এর মধ্যে গহনা ও অন্যান্য জিনিস বাবদ ২ থেকে ৩ লাখ টাকা পরিশোধ দেখিয়ে পুরোটাই বাকি রাখা হয়। যদিও ইসলামী বিধান হল বিয়ের সময়ই দেনমোহর পুরোটা পরিশোধ করা। তবে এই কথা শোনে কে? বাকি থাকা বা বাড়তি এই দেনমোহরই পরে কাল হয়ে দাঁড়ায়। বিভিন্ন কেস স্টাডি থেকে জানা গেছে, অতিরিক্ত দেনমোহরের কারণে স্বামী তার স্ত্রী ও তার পরিবারের লোকজনের অনৈতিক দাবি মেনে নিতে বাধ্য হন।

    পবিত্র কোরআনের সুরা আল বাকারার আয়াত নং-২২৯ অনুসারে যদি কোনো স্ত্রী তার স্বামীর কাছ থেকে মুক্ত হতে চান তবে তাকে কোনো কিছুর বিনিময়ে হতে হবে; যা তার মোহরানার অতিরিক্ত হবে না। তাই ইসলাম অনুসারে দেখা যায়, স্ত্রী কর্তৃক স্বামী ক্ষতিগ্রস্ত হলে স্ত্রী স্বামীকে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য। কিন্তু আমাদের দেশীয় আইন অনুযায়ী স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে তালাক প্রদান করা হলেও স্বামীকে দেনমোহর প্রদান করতে হয়; যা ইসলামের সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

    বাংলাদেশ মেন’স রাইট ফাউন্ডেশনের সভাপতি শেখ খায়রুল আলম বলেন, অনেক পুরুষ বউয়ের যন্ত্রণায় নীরবে কাঁদেন বিষয়টি শুনতে হয়তো হাস্যরসের সৃষ্টি করছে; কিন্তু নির্যাতনের শিকার অনেক পুরুষ চক্ষুলজ্জায় বিষয়টি গোপন রাখেন। নারীকে সামান্য কিছু বললেই যৌতুক ও নারী নিযার্তনের মামলা দেয়। পুরুষ নির্যাতিত হয়েও কিছু বলতে পারেন না। স্বামীকে সামান্য অপরাধে শায়েস্তা করতে স্ত্রী যৌতুক নির্যাতনের মামলা দিচ্ছেন। পুরুষ নির্যাতন রোধে কোনো আইন না থাকায় পুরুষ অসহায়। অনেকেই আত্মহননের মতো সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছেন। তাই যত দ্রুত সম্ভব পুরুষ নির্যাতন রোধে আইন পাস করার তাগিদ দিচ্ছেন অনেকেই।

    কেস স্টাডি : পুরুষকে অক্ষমতার কালিমা

    স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বিশ বছর ধরে একাকী জীবনযাপন করছেন সরকারি কর্মকর্তা মাহমুদুল হক (ছদ্মনাম)। বিয়ের দশ বছরের মাথায় তার স্ত্রী পরকীয়া করে অন্য পুরুষের হাত ধরে চলে যায়। মাহমুদুল হকের ১০ বছরের সংসারে এক ছেলে ও মেয়ে জন্ম নিয়েছিল। তিনি বলেন, একটু বেশি বয়সে বিয়েটা করেছিলাম। আমার স্ত্রী তখন অনার্সে পড়াশোনা করতেন। বিয়ের পর আমার দায়িত্বেই অনার্স-মাস্টার্স শেষ করাই। এরপর তার উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন আমাকে ভাবিয়ে তোলে। বিভিন্ন বন্ধুর সঙ্গে মেলামেশা করত। আমি কিছু বললেই পরিবারের লোকজনকে জানানো হতো আমি নির্যাতন করছি। একবার আমার সঙ্গে ঝগড়া করে ১০ দিন কোনো যোগাযোগ ছিল না। পরে জানতে পারলাম অন্য ছেলেকে নিয়ে সে কক্সবাজার গেছে। এভাবেই চলছিল সংসার।

    চক্ষুলজ্জায় কাউকে কিছু বলতাম না। কাছের দুই একজন শুধু জানত। এভাবে পারিবারিক অশান্তির মধ্যেই একদিন আমার সন্তানদের ফেলে অন্য পুরুষের হাত ধরে পালিয়ে যায়। এরপর ডিভোর্স এবং নতুন বিয়ে কার্যকর করে সে প্রকাশ্যে আসে। আমাকে নিঃস্ব করেই সে ক্ষান্ত হয়নি, নতুন বিয়ের পর সবাইকে বলে বেরিয়েছে আমি শারীরিকভাবে অক্ষম। সেজন্যই আমাকে ছেড়ে গেছে। অক্ষমতার সেই কালিমা নিয়েই সন্তানদের নিয়ে জীবন কাটছে। হাটে-বাজারে এমনকি অফিসেও স্ত্রীর বেহাল্লাপনার জন্য কটাক্ষ শুনতে হয়েছে আমাকে। পরকীয়ার পর অধিকাংশ নারীই পুরুষের বিরুদ্ধে এমন নোংরা অভিযোগ তোলেন।

    সূত্রঃঅনলাইন