Blog

  • সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউপি চেয়ারম্যান ফকরুল আলম সমর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত,এলাকাবাসী খুশী

    সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউপি চেয়ারম্যান ফকরুল আলম সমর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত,এলাকাবাসী খুশী

    তেঁতুলঝোড়া ইউপি চেয়ারম্যান ফকরুল আলম সমর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত

     

    ৫ম ধাপের ইউপি নির্বাচন

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ সাভার উপজেলায় প্রতিক জমা, প্রত্যাহার ও বরাদ্দ শেষ দিনে তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নে কোনো প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নৌকা প্রতিকে ১ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তবে আজ কালের মধ্যে সাক্ষরিত ঘোষনা আসবে ।

    তিনি হলেন- সাভার উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও বর্তমান তেঁতুলঝোড়া ইউপি চেয়ারম্যান ফকরুল আলম সমর।
    আগামী ৫ জানুয়ারি সাভার ও আশুলিয়া ১০ টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তবে ১ টি ইউনিয়নে থাকছেনা চেয়ারম্যানের ভোট বাক্স।

    সাভার উপজেলার সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা নাজিয়াত আহাম্মেদ জানান, তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান কোনো প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।এ
    লাকাবাসী মনে করেন তিনি একজন ন্যায়পরায়ন জনপ্রতিনিধি, রাস্তা -ঘাট অবকাঠামো উন্নয়নসহ, গরিব ও দুঃখী মানুষের বন্ধু তার সাথে আর কেউ প্রার্থী না হওয়ায় খুশী তারা। তারা মনে করেন এলাকাবাসীর মনে প্রানে রয়েছে এই চেয়াম্যান যার নাম মানবতার ফকরুল আলম।

    উল্লেখ্য,সাভার উপজেলায় ১০ টি ইউনিয়নে ইউনিয়নে আগামী ৫ জানুয়ারী ব্যালটের মাধ্যেমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

     

  • জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন জাতীয় স্মৃতিসৌধে,ফুলে ফুল ভরে উঠবে শহীদ বেদী

    জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন জাতীয় স্মৃতিসৌধে,ফুলে ফুল ভরে উঠবে শহীদ বেদী

    জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন জাতীয় স্মৃতিসৌধে,ফুলে ফুল ভরে উঠবে শহীদ বেদী

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
    সর্য উঠার সাথে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন জাতীয় স্মৃতিসৌধে।ফুলে ফুল ভরে উঠবে শহীদ বেদী। বৃহস্পতিবার ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। জাতির শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হতে প্রস্তুত সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ। এরই মধ্যে পুরো স্মৃতিসৌধ এলাকা ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। সেইসঙ্গে জোরদার করা হয়েছে ওই এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

    অনশন করে স্বামীর বাড়ি গিয়ে নির্যাতনের শিকার
    বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ইউজিসি’র শ্রদ্ধা নিবেদন
    বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সর্ব সাধারণের শ্রদ্ধা
    ১৬ ডিসেম্বর ভোরের সূর্য ওঠার সাথে সাথে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে নাম না জানা লাখো শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রীপরিষদ সদস্য, কূটনৈতিক কোরের ডিন ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ। এ সময় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া হবে তিন বাহিনীর গার্ড অব অনার।

    রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পরে জনসাধারণের জন্য স্মৃতিসৌধ খুলে দেয়া হবে। পরে সেখানে শ্রদ্ধা জানাবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।

    জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, বাহারি ফুলের সমারোহে সাজিয়ে তোলা হয়েছে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ। ধুয়ে-মুছে পুরো এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। লাল ইটে সাদা রঙের ছোঁয়া শুভ্রতা ছড়াচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে লাল টবে শোভা পাচ্ছে বাহারি ফুল গাছ। লেকের পানিতে নতুন করে রোপণ করা হয়েছে লাল শাপলা। এছাড়া স্মৃতিসৌধ এলাকার সড়কগুলোতে বাহারি রঙের বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে। একইসঙ্গে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে চারদিক সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে।

    মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই সপ্তাহ ধরে শতাধিক পরিচ্ছন্নতা-কর্মী কাজ করছেন স্মৃতির এ মিনার ধোয়া-মোছা আর সাজ-সজ্জায়। লাল-সবুজ ফুলের সমারোহে ছোট ছোট বাগানগুলোকে সাজানো হয়েছে অপরূপ সাজে। চত্বরের সিঁড়ি ও নানা স্থাপনায় লেগেছে রঙ-তুলির আঁচড়।

    সাভার জাতীয় শহীদ স্মৃতি সৌধের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, এবার বিজয় দিবস উদযাপনে স্মৃতিসৌধকে দৃষ্টিনন্দন করা হয়েছে। নতুন নতুন ফুলের চারা রোপণ করা হয়েছে। এক মাস নিরলস পরিশ্রম করে সৌন্দর্যবর্ধনের সকল কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে।

    এ বিষয়ে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ হিল কাফি জানান, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এবার সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে ওয়াচটাওয়ার। সাদা পোশাকে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে পুলিশ ও গোয়েন্দা। জাতীয় স্মৃতিসৌধে লাখো শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসা সকলের নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি র‍্যাব ও সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।

    বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে লাখো শহীদের আত্মত্যাগকে বুকে ধারন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ আরও এগিয়ে যাবে এমনটিই প্রত্যাশা সকলের।

  • ভারতীয় রাষ্ট্রপতি জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা

    ভারতীয় রাষ্ট্রপতি জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা

    ভারতীয় রাষ্ট্রপতি রাম নাথ গোবিন্দ আজ ১৫ ডিসেম্বর দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে বাংলাদেশের সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধা ও সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

  • আড়াই ঘণ্টায় ৫০ মামলার রায় দিলেন ১জন বিচারক

    আড়াই ঘণ্টায় ৫০ মামলার রায় দিলেন ১জন বিচারক

    আড়াই ঘণ্টায় ৫০ মামলার রায় দিলেন ১জন বিচারক

    সত্যের সংবাদ ডেস্ক : একদিনে ৫০ মামলার রায় ঘোষণা করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন যশোরের যুগ্ম দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শিমুল কুমার। মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার পর থেকে বিকাল সাড়ে ৪টার মধ্যে তিনি এসব রায় ঘোষণা করেন।

    মাদক, চোরাচালান ও চেক জালিয়াতির অভিযোগে এই মামলাগুলো হয়েছিল। রায়ে ৩১ মামলায় ৩২ জনকে কারাদণ্ড ও ১৯ মামলার আসামিদের খালাস দিয়েছেন এই বিচারক। এর আগে ২৯ নভেম্বর তিনি ৪১টি মামলার রায় দিয়েছিলেন।

     

     

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী আইনজীবী লতিফা ইয়াসমীন ও বেঞ্চ সহকারী আব্দুল কাইয়ুম।

    আদালত সূত্রে জানা গেছে, চোরাচালান দমন আইনের মামলার মধ্যে ফেনসিডিল চোরাচালানের দায়ে বেনাপোলের কাগমারী গ্রামের মৃত আমির হোসেনের ছেলে আকরাম আলীকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। সাজাপ্রাপ্ত আকরাম আলী কারাগারে আছেন।

    এছাড়া টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানার যদুরগাটি গ্রামের আব্দুল আজিজ মাস্টারের ছেলে রাজিব হোসেনকে এক বছরের সাজা দিয়ে প্রবেশনে মুক্তি দিয়েছেন। বেনাপোলের গাতিপাড়া মাঠপাড়ার নজরুল ইসলামের ছেলে জহিরুল ইসলামকে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এক হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত জহিরুল ইসলাম পলাতক আছেন। বেনাপোলের বলফিল্ড এলাকার বাসিন্দা মৃত খোরশেদ মোল্লার ছেলে আব্দুল মজিদ মোল্লাকে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায় আরও এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত আব্দুল মজিদ পলাতক আছেন।

    চেক জালিয়াতির ২২ মামলার রায়ে শার্শার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলেকে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। যশোর শহরতলির শেখহাটির শাহীন মাহমুদকে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন।

    যশোর সদরের তরফ নওয়াপাড়ার মৃত আফছার আলী সরদারের ছেলে আশরাফ হোসেনকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৬৯ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ঢাকার মতিঝিলের ৬ সি/এ’র বাসিন্দা এম আশরাফ আলীর ছেলে এ কে আজাদকে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫৬ লাখ ৮২ হাজার টাকা জরিমানা, যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার পুরন্দরপুর গ্রামের মৃত আক্তার আলীর ছেলে শেখ আব্দুল ওয়াহিদকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৯৩ হাজার ৯৫১ টাকা জরিমানা, নড়াইলের লোহাগাড়ার জয়পুর গ্রামের নগেন বিশ্বাসের ছেলে মিলন বিশ্বাসকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানা, যশোরের অভয়নগর উপজেলার বিভাগদি গ্রামের ক্ষিতিশ হালদারের ছেলে গোবিন্দ হালদারকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ ২০ হাজার ১৩০ টাকা জরিমানা, পাবনার ঈশ্বরদীর মৃত রওশন আলম হায়দারের ছেলে মোহাম্মদ ইয়াকুবকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৯৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা, ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার বুজিডাঙ্গা মুন্দিয়া গ্রামের জিন্নাত আলীর ছেলে আব্দুস সবুরকে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানা, যশোরের চৌগাছা উপজেলার আফরা গ্রামের রহমত হোসেনের স্ত্রী মিনারা বেগমকে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা, যশোর সদর উপজেলার রুদ্রপুর গ্রামের আহম্মদ আলীর স্ত্রী ফিরোজা খাতুনকে তিন মাস কারাদণ্ড ও ৪৫ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা, অভয়নগর উপজেলার পালপাড়া গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে শরিফুল ইসলামকে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও আট লাখ ৩৪ হাজার ৮৩০ টাকা জরিমানা, কুষ্টিয়ার মিরপুরের পুরাতন বাজার এলাকার মৃত মেহের আলী মণ্ডলের ছেলে মনোয়ার হোসেন মানুকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৪৯ হাজার ৪৪২ টাকা জরিমানা, খুলনা বিকে মেইন রোডের পূর্ব বানিয়া খামার এলাকার সায়েদ আলীর ছেলে জি এম আব্দুল ওহাবকে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২৬ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

    এ ছাড়া, ২২ মাদক মামলায় ১২ জনকে সাজা দেওয়া হয়েছে এবং তাদের বিভিন্ন শর্তে প্রবেশনে মুক্তি দিয়েছেন বিচারক। প্রবেশনে মুক্তিপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোলের কেলেকান্দা গ্রামের মোস্তফার ছেলে মিলন, সাদীপুর গ্রামের মফিজ মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়া, গাজীপুরের হিম্মত খানের ছেলে সালাহউদ্দিন খান, মৃত আলী আকবরের ছেলে বকুল হোসেন, গয়ড়া গ্রামের সাহাজুল ইসলাম সাজুর স্ত্রী মাজেদা খাতুন, বড়আঁচড়া গ্রামের অশোক দের ছেলে চঞ্চল দে, যশোর শহরতলির কিসমত নওয়াপাড়ার মৃত মোজাম মোল্লার ছেলে শফিকুল ইসলাম নান্নু, চৌগাছা উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের শাহাদাৎ হোসেন ঢালীর ছেলে আতিয়ার রহমান ঢালী, ঝিকরগাছা উপজেলার শিয়ালখোলা গ্রামের ফিরোজ উদ্দিনের ছেলে আসাদুজ্জামান রনি, বল্লা গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলীর ছেলে তরিকুল ইসলাম ও ফুলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে ইমদাদুল।

    এ বিষয়ে আদালতের বেঞ্চ সহকারী আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ‘মামলার জট কমানোর জন্য বিচারক একই দিনে একাধিক মামলার রায় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মূলত প্রতিটি মামলার যুক্তিতর্কে রায় লেখা সম্পন্ন করেছেন বিচারক। এরপর সব মামলার রায়ের দিন একটি নির্দিষ্ট তারিখে দিয়েছেন।’

    তিনি আরও বলেন, ‘১২ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্তরা প্রবেশনের আওতায় মুক্তি পেয়েছেন। তাদের অসুস্থতাকে আমলে নিয়ে প্রবেশনের রায় দিয়েছেন বিচারক।’

  • বিরুলিয়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজি সেলিম মন্ডলের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু

    বিরুলিয়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজি সেলিম মন্ডলের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু

    সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজি সেলিম মন্ডলের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছে।১০ ডিসেম্বর শুক্রবার সন্ধায় বিরুলিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের খুনডা গ্রাম থেকে এ নির্বাচনি প্রচারনা শুরু করেন তিনি।ইউনিয়ন এলাকা ছাড়াও সাভার উপজেলায় তার জনপ্রিয়তা রয়েছে।সকলের নিকট দোয়া ও ভোট প্রার্থনা করেছেন।
    তিনি ঢাকা জেলা প্রশাসকের মেম্বার হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন।

    সম্পাদনায়ঃআবুল কালাম আজাদ।

  • কাউন্দিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত,আমিনবাজার ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে 

    কাউন্দিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত,আমিনবাজার ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে 

    কাউন্দিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত,আমিনবাজার ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে 

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
    দুর্নীতি এবং অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগে সাভার উপজেলার  কাউন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান খান শান্তকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার ২৫ নভেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে এ আদেশ জারি করা হয়েছে।

    স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় উপসচিব আজিজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ কথা জানানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ঐ ইউনিয়নের একাধিক প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে মন্ত্রণালয়।

    এরমধ্যে সিঙ্গাসার গ্রামের একটি রাস্তা নির্মাণে অর্থ আত্মসাৎ এবং টিআর কাবিখা প্রকল্পের অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া পরিষদের সভায় ভুয়া রেজুলেশন তৈরি করে তা দেখানোর অভিযোগও রয়েছে।
    সম্প্রতি আমিন বাজার ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ৬ ছাত্র হত্যা মামলার আসামী হয়ে তিনি কারাগারে রয়েছে। আগামী রবিবার হত্যা মামলার রায় ঘোষনা করবে আদালত।

  • মুসলিমদের বিপদ থেকে বাঁচতে ১০ কার্যকরী দোয়া

    মুসলিমদের বিপদ থেকে বাঁচতে ১০ কার্যকরী দোয়া

    মুসলিমদের বিপদ থেকে বাঁচতে ১০ কার্যকরী দোয়া

    ইসলামঃ
    বিপদ ও সমস্যা থেকে বেঁচে থাকতে কুরআন-সুন্নায় অসংখ্য দোয়া ও আমলের বর্ণনা রয়েছে। যা কার্যকর এবং পরীক্ষিত। নবি-পয়গাম্বরদের থেকে শুরু করে অসংখ্য নেককার বনি আদমের বাস্তব জীবনেই তা পরীক্ষিত ও প্রমাণিত।

    তাই বিপদে কিংবা সমস্যায় পড়লে মুমিন মুসলমানের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। মহান আল্লাহ তাআলার উপর আস্থা এবং বিশ্বাসের সঙ্গে এসব দোয়ার যথাযথ আমলেই সম্ভব বিপদমুক্ত হওয়া। বিপদ ও সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য মুমিনের বিশেষ কার্যকরী ১০ দোয়া হচ্ছে-

    > সুরা আল-ফাতেহা
    الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ – الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ – مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ – إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ – اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ – صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ
    এ সুরাটির বিশেষ একাধিক নাম হলো- আল-কাফিয়া বা যথেষ্টকারী, আশ-শাফিয়া বা আরোগ্যকারী। এটি আল্লাহর গুণ-প্রশংসার সুরা হওয়ায় এ সুরার আমলের দ্বারা ঝাঁড়-ফুক করাও হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।

    > اَللهُ… اللهُ رَبِّىْ لَا اُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا
    উচ্চারণ : ‘আল্লাহু… আল্লাহু রাব্বি; লা উশরিকু বিহি শাইআ।’
    অর্থ : ‘হে আল্লাহ!… আল্লাহ তুমিই আমার প্রভু। আমি তোমার সঙ্গে কাউকে শরিক করি না।’ (আবু দাউদ)

    > لَا اِلَهَ اِلَّا اَنْتَ سُبْحَانَكَ اِنِّى كَنْتُ مِنَ الظَّالِمِيْنَ
    উচ্চারণ : ‘লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জ্বলিমিন।’
    অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি ছাড়া কোনো সত্য উপাস্য নেই; আমি তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। নিঃসন্দেহে আমি জালিমদের অন্তর্ভুক্ত।’ (তিরমিজি)
    > প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুঃখ-কষ্ট, বিপদ-আপদ কিংবা দুশ্চিন্তা ও পেরেশানিতে উত্তীর্ণ হতে তাঁর উম্মতকে এ দোয়া পড়ার জন্য উৎসাহিত করেছেন-
    حَسْبُنَا اللهُ وَنِعْمَ الْوَكِيْل – نِعْمَ الْمَوْلِى وَ نِعْمَ النَّصِيْر
    উচ্চারণ : হাসবুনাল্লাহু ওয়া নেমাল ওয়াকিল; নেমাল মাওলা ওয়া নেমান নাছির।’
    অর্থ : আল্লাহ তাআলাই আমাদের জন্য যথেষ্ট, তিনি কতই না উত্তম কাজ সম্পাদনকারী। আল্লাহ তাআলাই হচ্ছে উত্তম অভিভাবক এবং উত্তম সাহায্যকারী।’

    > لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إلَّا بِالله
    উচ্চারণ : ‘লা হাওলা ওয়া লা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ।’
    অর্থ : ‘আল্লাহর সাহায্য ব্যতিত কোনো উপায় নেই আর কোনো ক্ষমতাও নেই।’ এ দোয়াটি জান্নাতের গোপন ভাণ্ডারসমূহের একটি। বিপদ ও সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বহু মানুষ থেকে পরিক্ষীত দোয়াও এটি।

    > أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّومُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ – أَستَغْفِرُ اللهَ
    উচ্চারণ : ‘আস্তাগফিরুল্লাহ; আস্‌তাগফিরুল্লাহাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলায়হি।’
    অর্থ : ‘আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমি ওই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, যিনি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোনো মাবুদ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং তাঁর কাছেই (তাওবাহ করে) ফিরে আসি।’

    > لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ الْعَظِيمُ الْحَلِيمُ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ رَبُّ السَّمَوَاتِ، وَرَبُّ الْأَرْضِ، وَرَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيمِ
    উচ্চারণ : ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল আজিমুল হালিম; লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আজিম; লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়া রাব্বুল আরদি ওয়া রাব্বুল আ’রশিল কারিম।’
    অর্থ : ‘আল্লাহ্ ব্যতিত সত্য কোনো মাবুদ নেই, তিনি অতি মহান, অতি সহনশীল। আল্লাহ ব্যতিত কোনো সত্য ইলাহ বা উপাস্য নেই, তিনি বিশাল আরশের মালিক। আল্লাহ ব্যতিত সত্য কোনো মাবুদ নেই, তিনি আসমান-জমিনের এবং মহান আরশের মালিক।’ (বুখারি)

    > اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَ أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَ أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَ أَعُوذُ بِكَ مِن ضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ
    উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল আজযি ওয়াল কাসালি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়া আউজুবিকা মিন দ্বালায়িদ দাইনি ওয়া ক্বাহরির রিজাল।’ (তিরমিজি)
    অর্থ : ‘হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার আশ্রয় চাই দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে।’ ((বুখারি, মুসলিম, তিরমিজি ও মিশকাত)

    > হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন কোনো দুঃখ-কষ্ট বা চিন্তা, অস্থিরতা তথা হতাশাগ্রস্ত হতেন তখন বলতেন-
    يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيْثُ
    উচ্চারণ : ইয়া- হাইয়ু ইয়া- ক্বাইয়ূ-মু বিরাহমাতিকা আস্তাগিছ।
    অর্থ : ‘হে চিরঞ্জীব! হে চিরস্থায়ী! আপনার রহমতের মাধ্যমে আপনার নিকটে সাহায্য চাই।’ (তিরমিজি, মুসতাদরেকে হাকেম, মিশকাত)

    > হজরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, বিপদগ্রস্তের দোয়া হচ্ছে-
    اَللّهُمَّ رَحْمَتَكَ أَرْجُوْ فَلَاتَكِلْنِىْ اِلَي نَفْسِيْ طَرْفَةَ عَيْنٍ وَ أَصْلِحْ لِيْ شَانِي كُلُّهُ لا اِلَهَ اِلَّا أَنْتَ
    উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা রাহমাতাকা আরঝু ফালা তাকিলনি ইলা নাফসি; ত্বারফাতা আইন; ওয়া আসলিহলি শানি কুল্লুহু; লা ইলাহা ইল্লাহ আনতা। (আবু দাউদ, মিশকাত)
    অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার দয়া কামনা করি। তুমি আমাকে এক মুহূর্তের জন্যও আমার নিজের হাত ছেড়ে দিও না। বরং তুমি স্বয়ং আমার সমস্ত ব্যাপার ঠিক করে দাও। তুমি ব্যতীত কোনো মা’বুদ নাই।

    আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সব সময় উল্লেখিত দোয়াগুলো বেশি বেশি পড়ার তাওফিক দান করুন। বিপদ ও সমস্যা থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

  • সাভারে অস্ত্রসহ পাঁচ ডাকাত গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৪

    সাভারে অস্ত্রসহ পাঁচ ডাকাত গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৪

    সাভারে অস্ত্রসহ পাঁচ ডাকাত গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৪

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সাভার তুরাগ নদীর পাড় হতে অস্ত্রশস্ত্রসহ ৫ জন ডাকাত গ্রেফতার করছে র‍্যাব-৪।
    রোববার (২১ নভেম্বর) র‍্যাব -৪ এর এএসপি (মিডিয়া) মাজহারুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. রাসেল মিয়া (২৩), মো. আইয়ুব আলী (২৩), মো. সুমন মিয়া (২৭), মো. আবু হানিফ মিয়া (৪০), মোঃ সুমন (৩৫)। র‍্যাব -৪ এর দেওয়া তথ্য মতে, সাম্প্রতিক সময়ে সাভার থনাধীন এলাকায় জলদস্যু, ভূমিদস্যু ও ডাকাত দল কর্তৃক সাধারণ মানুষের জীবন নাশের হুমকি প্রদান, ডাকাতির চেষ্টা, চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া যায়।

    একাধিক ভুক্তভোগী নিকট থেকে অভিযোগ এবং এ সংক্রান্তে একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত গ্রুপ সদস্যদের নাম ও তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেলে সুনির্দিষ্টভাবে একাধিক ভুক্তভোগীর নিকট হতে ট্রলার ছিনতাইসহ হত্যার হুমকি ও ডাকাতির অভিযোগ পাওয়া যায়।

    মাজহারুল ইসলাম বলেন, এসব অভিযোগ প্রাপ্তির পর ডাকাত গ্রুপ সম্পর্কে র‍্যাব -৪ তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে। গোপনীয় ও স্থানীয় তদন্তে উক্ত ডাকাত দলের কর্মকাণ্ড ও অবস্থান সম্পর্কে প্রাপ্ত তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়। জানা যায়, র‍্যাব -৪ এর অভিযানে সাভার থানার বড় বরদেশী এলাকায় তুরাগ নদীর পাড়ে ব্যাবিলনিয় সিটির কাশ বনের মাঝে টিনের ছাপড়া ঘরে ডাকাত গ্রুপের সংঘটিত হওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়।

    গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিকভাবে র‍্যাব -৪ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল (২০ নভেম্বর) ও (২১ নভেম্বর) ভোর ২টার দিকে বিশেষ এক অভিযান পরিচালনা করে ১ টি পিস্তল সদৃশ্য উন্নত মানের পাইপগান, ২ টি দেশীয় তৈরি পাইপ গান, ১ রাউন্ড শটগানের কার্তুজ, ২ টি বড় রামদা, ৩ টি বড় চাপাতি, পাইপগান তৈরির সরঞ্জামাদি, ১ টি কাঁচি, ১ টি লোহার পাইপ, ৪ টি লোহার রড এবং ৭ টি মোবাইলসহ ডাকাতির প্রস্তুতি নেয়া সংঘবদ্ধ ডাকাত গ্রুপের নিন্মোক্ত পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।

  • সাভারে নারীসহ পাঁচ প্রতারক গ্রেপ্তার

    সাভারে নারীসহ পাঁচ প্রতারক গ্রেপ্তার

    সাভারে নারীসহ পাঁচ প্রতারক গ্রেপ্তার

    বিশেষ প্রতিনিধি : সাভারে নিরাপত্তাকর্মীর চাকরি নামে বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে নারীসহ ৫ প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৪ এর একটি দল। তাদের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৬ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাব-৪। এর আগে ১৫ নভেম্বর সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৪ এর একটি দল সাভারের গেন্ডায় বন্যা সিকিউরিটি সার্ভিস (প্রাঃ) লিঃ অফিসে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। তাদের অফিস থেকে ২টি কম্পিউটার, নিরাপত্তাকর্মীর ৭ ইউনিফর্ম, অঙ্গীকার নামাসহ ভর্তির অসংখ্য আবেদন ফরম জব্দ করা হয়।

    গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হলেন, কুড়িগ্রাম জেলা মোছা; সাহের বানু (৩২), মো. সুমন বাবু, জামালপুর জেলার, মো. খাইরুল ইসলাম (৫০), বরিশাল জেলার, মো. রবিউল ইসলাম রবি (২২) ও চুয়াডাঙ্গা জেলার, মো. হিরন পারভেজ (২১)। র‌্যাব -৪ এর মিডিয়া অফিসার ও এএসপি মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, তারা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন যাবত সাভারে বন্যা সিকিউরিটি সার্ভিস (প্রাঃ) লিঃ নামে অফিস খুলে বিজ্ঞাপন দিয়ে সাধারন লোকজনকে আকৃষ্ট করে। পরবর্তীতে নিরীহ লোকজনদের কাছ থেকে ফরম, ইউনিফরম ক্রয় বাবদ বিভিন্ন অংকের টাকা হাতিয়ে নিত। পরে চাকুরী না দিয়ে অসংখ্যা লোকের এ অর্থ তারা আত্মসাৎ করত। কেউ টাকা ফেরত চাইলে হুমকি সহ বিভিন্ন ভয়ভীতিও দেখাত তারা। তাদের বিরুদ্ধে এক ভুক্তভোগী বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় মামালা দায়ের করেছেন।

  • বাসাবাড়িতে আবাসিক গ্যাস সংযোগ চালুর দাবিতে সাভারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

    বাসাবাড়িতে আবাসিক গ্যাস সংযোগ চালুর দাবিতে সাভারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

    বাসাবাড়িতে আবাসিক গ্যাস সংযোগ চালুর দাবিতে সাভারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

    শেখ এ কে আজাদ,রফিকুল ইসলাম জিলুঃ সাভার আবাসিক গ্যাস সংযোগ চালুর দাবিতে সাভার তিতাস গ্যাস অফিসের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে ঠিকাদার ও গ্রাহকরা।

    মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের শিমুলতলা সাভার-আশুলিয়া গ্যাস ঠিকাদার ও গ্রাহক ঐকি পরিষদ ব্যানারে এই মানববন্ধন কর্মসূচি করেন তারা।

    মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, একটি স্বার্থনেষি মহল সরকারকে ভূল তথ্য দিয়ে আবাসিক সংযোগ বন্ধ রেখেছে। এতে করে সরকার হারাচ্ছে মোটা অঙ্কের রাজস্ব। শুধু তাই নয় বৈধ সংযোগ না পেয়ে গ্রাহকরা অবৈধ সংযোগের দিকে ঝুকছে।

    এ সময় বক্তারা আরও বলেন, বর্তমানে তিতাসের সাভার অফিসে যে পরিমাণ বৈধ চুলার সংযোগ আছে তার চেয়েও চারগুণ বেশি অবৈধ চুলা ব্যবহার হচ্ছে। তাই দ্রুত বৈধ সংযোগের দাবি জানিয়েছেন উপস্থিত গ্রাহক ও ঠিকাদাররা।

    তারা আরও বলেন, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে আবাসিক গ্যাস সংযোগ পেতে ব্যাংকে অনেক গ্রাহক ডিমান্ডনোটের টাকা জমা দিয়েও কোন সুরাহা পাচ্ছে না।

    সাভার তিতাস গ্যাস কোম্পানির সাভার ও আশুলিয়ায় অবৈধ চুলা বৈধকরণের লক্ষ্যে আবেদনকৃত গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ১৫হাজার ২০৪ জন। এদের চুলার সংখ্যা ৪০ হাজার ৫৬৪টি। তিতাসের ইস্যুকৃত চাহিদাপত্রের অর্থ প্রদানকারী নতুন গ্রাহকের সংখ্যা ৪৪ হাজার ১৪৭ জন। যাদের চুলার সংখ্যা ১লক্ষ ১৯ হাজার ১১৮টি। এসব গ্রাহকরা সংযোগ পেলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় করতে পারবেন।

    সাভার তিতাস গ্যাস ঠিকাদার প্রতিনিধি কল্যাণ সমিতির আহবায়ক মো. নুরুল হক বলেন, যে সমস্ত গ্রাহক বৈধ সংযোগ পাওয়ার আশায় ডিমান্ড নোট ব্যাংকে জমা করে রেখেছেন বছরের পর বছর। তিতাস কর্তৃপক্ষ তাদের কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত না দেওয়ায় প্রতিনিয়ত তারা ঠিকাদারদের উপর চাপ করে আসছে। এ কারণে গ্রাহকদের সাথে মানববন্ধনে আমরাও একাত্মতা পোষণ করেছি।

    সাভার তিতাস গ্যাস ঠিকাদার প্রতিনিধি কল্যাণ সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক কাওছার আহমেদ বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ অজানা কারণে আবাসিক বাসা বাড়িতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ রাখায় সাভার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড সকল ঠিকাদার পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। দীর্ঘদিন কাজ না থাকায় বর্তমানে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে তারা। সরকারের কাছে দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান দাবি করছি। এসময় মানববন্ধনে ঠিকাদার সংগঠনের নেতাকর্মীসহ এক হাজার গ্রাহক অংশগ্রহণ করে।