Blog

  • সিংগাইর থানায় ওসি মোঃ আসলাম হোসেনর যোগদান

    সিংগাইর থানায় ওসি মোঃ আসলাম হোসেনর যোগদান

    সিংগাইর থানায় ওসি মোঃ আসলাম হোসেনর যোগদান

    সিংগাইর থানায় নবাগত ওসি মোঃ আসলাম হোসেনর যোগদান মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ হিসেবে যোগদান করেছেন মোঃ আসলাম হোসেন। তিনি বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) পুলিশ পরিদর্শক সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করেন।

    নবাগত অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ আসলাম হোসেনকে সিংগাইর থানার পুলিশের পক্ষ হইতে ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জনাব আবুল কালাম পিপিএম সহ অন্যান্য অফিসার ফোর্স-গণ ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

    স্থানীয় আরো গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নবাগত অফিসার ইনচার্জ এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ সহ ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করেন। পরে রাতে সদ্য যোগদানকারী অফিসার ইনচার্জ সিংগাইর থানা অফিসারদের সঙ্গে পরিচিত হন এবং ব্রিফিং করেন।

    এ ছাড়া শুক্রবার (১২ মার্চ) সংবাদ কর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন।

  • কাদের জন্য জান্নাত, আরশের নিচে ছায়াদান সম্পর্কে ইসলাম

    কাদের জন্য জান্নাত, আরশের নিচে ছায়াদান সম্পর্কে ইসলাম

    কাদের জন্য জান্নাত, আরশের নিচে ছায়াদান সম্পর্কে ইসলাম

    ইসলামঃ কাদের জন্য জান্নাত, কারা-ই বা যাবে?আরশের নিচে ছায়াদান সম্পর্কে ইসলাম।মুসলিম বলতেই জান্নাতের আকাঙ্ক্ষী। আর প্রত্যেক মানুষ চায় দুনিয়াতে ও আখিরাতে ভালো স্থানে থাকতে। কিন্তু সবাই কি জান্নাত পাবে? সবাই কি ভালো স্থানে থাকবে? এমন প্রশ্নের জবাব খোঁজা হয়েছে পবিত্র কোরআনে। কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে স্পষ্ট বর্ণিত যে কাদের জন্য জান্নাত এবং কারা জান্নাতে যাবে। সেসব আয়াত থেকে কিছু মানুষের কথা এখানে তুলে ধরা হয়েছে।

    ক্ষমাপ্রার্থীদের জন্য জান্নাত যারা তাওবা করে, তাদের জন্য জান্নাত। ইরশাদ হয়েছে, ‘যদি তারা কখনো কোনো অশ্লীল কাজ করে কিংবা নিজের ওপর জুলুম করে, তখন তারা আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজেদের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করবেন? তারা নিজের কৃত কর্মের জন্য হঠকারিতা প্রদর্শন করে না এবং জেনেশুনে তার পুনরাবৃত্তি করে না।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৩৫)

    আল্লাহ ও রাসুলের আদেশ মান্যকারীদের জন্য জান্নাত যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের সীমারেখা মেনে চলে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। ইরশাদ হয়েছে, ‘এগুলো আল্লাহর নির্ধারিত সীমা। যে ব্যক্তি আল্লাহর ও তাঁর রাসুলের আদেশমতো চলে, তিনি তাকে জান্নাতসমূহে প্রবেশ করাবেন, যেগুলোর তলদেশ দিয়ে নদী প্রবাহিত হবে। তারা সেখানে চিরকাল থাকবে। এটা বিরাট সাফল্য…।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১৩-১৪)

    ঈমানদার ও সৎকর্মশীলদের জন্য জান্নাত ঈমানদার ও নেককারদের জন্য জান্নাত। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর যারা ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে, অবশ্যই আমি তাদের প্রবিষ্ট করাব জান্নাতে, যার তলদেশে প্রবাহিত রয়েছে নহরসমূহ। সেখানে তারা থাকবে অনন্তকাল। সেখানে তাদের জন্য থাকবে পবিত্র স্ত্রী এবং তাদের আমি প্রবিষ্ট করাব ঘন ছায়ানীড়ে।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৫৭)

    নামাজি ও সচ্চরিত্রবানের জন্য জান্নাত যারা নিয়মিত নামাজ পড়ে, দান-খয়রাত করে এবং সচ্চরিত্রের অধিকারী, তাদের জন্য জান্নাত। ইরশাদ হয়েছে, ‘তবে তারা স্বতন্ত্র, যারা নামাজ আদায়কারী। যারা তাদের নামাজে সার্বক্ষণিক কায়েম থাকে। এবং যাদের ধন-সম্পদে নির্ধারিত হক আছে যাচ্ঞাকারী ও বঞ্চিতের এবং যারা প্রতিফল দিবসকে সত্য বলে বিশ্বাস করে। এবং নিশ্চয়ই তাদের পালনকর্তার শাস্তি থেকে নিঃশঙ্ক থাকা যায় না। এবং যারা তাদের যৌন অঙ্গকে সংযত রাখে। কিন্তু তাদের স্ত্রী অথবা মালিকানাভুক্ত দাসীদের বেলায় তিরস্কৃত হবে না, অতএব যারা এদের ছাড়া অন্যকে কামনা করে তারাই সীমা লঙ্ঘনকারী। এবং যারা তাদের আমানত ও অঙ্গীকার রক্ষা করে এবং যারা তাদের সাক্ষ্যদানে নিষ্ঠাবান এবং যারা তাদের নামাজে যত্নবান তারাই জান্নাতে সম্মানিত হবে।’ (সুরা : আল-মাআরিজ, আয়াত : ২২-৩৫)

    খোদাভীরু ও পরহেজগারদের জন্য জান্নাত যারা আল্লাহকে ভয় করে এবং তাকওয়া অবলম্বন করে, তাদের জন্য জান্নাত। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই খোদাভীরুরা থাকবে ছায়ায় ও প্রস্রবণসমূহে এবং তাদের বাঞ্ছিত ফলমূলের মধ্যে। বলা হবে, তোমরা যা করতে তার বিনিময় তৃপ্তির সঙ্গে পানাহার করো। এভাবেই আমি সৎকর্মশীলদের পুরস্কৃত করে থাকি।’ (সুরা : মুরসালাত, আয়াত : ৪১-৪৪)

    নারী-পুরুষ-নির্বিশেষে সবার জন্য জান্নাত নিজ নিজ আমল অনুযায়ী নারী-পুরুষ সবাই জান্নাতে যাবে। এ ক্ষেত্রে কোনো তারতম্য করা হবে না। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই মুসলমান পুরুষ, মুসলমান নারী, ঈমানদার পুরুষ, ঈমানদার নারী, অনুগত পুরুষ, অনুগত নারী, সত্যবাদী পুরুষ, সত্যবাদী নারী, ধৈর্যশীল পুরুষ, ধৈর্যশীল নারী, বিনীত পুরুষ, বিনীত নারী, দানশীল পুরুষ, দানশীল নারী, রোজা পালনকারী পুরুষ, রোজা পালনকারী নারী, লজ্জাস্থান হেফাজতকারী পুরুষ, লজ্জাস্থান হেফাজতকারী নারী—তাদের জন্য আল্লাহ প্রস্তুত রেখেছেন ক্ষমা ও মহাপুরস্কার।’ (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৩৫)

    মুমিনরা জীবন ও সম্পদের বিনিময়ে জান্নাত ক্রয় করে নিয়েছে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুসলমানদের থেকে তাদের জীবন ও সম্পদ। এর বিনিময়ে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর পথে, অতঃপর মারে ও মরে। তাওরাত, ইনজিন ও কোরআনে এ বিষয়ে তাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি রয়েছে। আর আল্লাহর চেয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কে শ্রেষ্ঠ? সুতরাং তোমরা আনন্দিত হও সে লেনদেনের ওপর, যা তোমরা করছ তাঁর সঙ্গে। আর এ হলো মহান সাফল্য। তারা তাওবাকারী, ইবাদতকারী, শোকরগোজার, সিয়াম পালনকারী, রুকু ও সিজদা আদায়কারী, সৎকাজের আদেশ দানকারী ও মন্দ কাজ থেকে নিবৃত্তকারী এবং আল্লাহর দেওয়া সীমাসমূহের হেফাজতকারী। সুসংবাদ দাও ঈমানদারদের।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ১১১-১১২)

    সাত ব্যক্তি আরশের ছায়ায় স্থান পাবে আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যেদিন আল্লাহর রহমতের ছায়া ছাড়া অন্য কোনো ছায়া থাকবে না, সেদিন আল্লাহ তাআলা সাত ধরনের মানুষকে তাঁর আরশের ছায়ায় আশ্রয় দেবেন—১. ন্যায়পরায়ণ শাসক। ২. যে যৌবনে আল্লাহর ইবাদতে লিপ্ত থাকে। ৩. যার অন্তর সর্বদা মসজিদের সঙ্গে লেগে থাকে। ৪. ওই ব্যক্তি, যারা আল্লাহর উদ্দেশে পরস্পরকে ভালোবাসে এবং আল্লাহর জন্যই পরস্পর একত্র হয় এবং তাঁর জন্যই সম্পর্ক ছিন্ন করে। ৫. ওই ব্যক্তি, যাকে কোনো বংশীয়ভাবে মর্যাদাবান রূপসী নারী কুকর্মের প্রতি আহ্বান জানায়; কিন্তু সে এ কথা বলে তা প্রত্যাখ্যান করে যে আমি আল্লাহকে ভয় করি। ৬. যে ব্যক্তি এমন গোপনে দান-সদকা করে যে তার ডান হাতে কী দান করেছে, বাম হাত তা জানে না। ৭. যে ব্যক্তি নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং তাঁর ভয়ে চক্ষুদ্বয় থেকে অশ্রু ঝরে।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৬০ মুসলিম, হাদিস : ১০৩১)

     

     

  • আজ বৃহস্পতিবার পবিত্র শবে মিরাজ,রাত ইবাদাত পালন করবে মুসলিমরা

    আজ বৃহস্পতিবার পবিত্র শবে মিরাজ,রাত ইবাদাত পালন করবে মুসলিমরা

    ছবি – সংগ্রহীত

    আজ বৃহস্পতিবার পবিত্র শবে মিরাজ,রাত ইবাদাত পালন করবে মুসলিমরা

    সারাদেশে আজ বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) দিবাগত রাতে পবিত্র শবে মিরাজ পালিত হবে। এ লক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে মিলাদ, দোয়া ও ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করেছে।

    এদিনে মহানবী (স.) আল্লাহর নৈকট্য লাভ করেছিলেন।

    আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য এদিন রাতে মুসলমানরা মসজিদে মিলাদ, নফল নামাজ আদায়, কোরআন তেলাওয়াত করেন। সারাদেশের মসজিদগুলোতে ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। করোনা মহামারির কারণে গত বছর শবে মিরাজের কোনও আয়োজন করেনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

    ১৩ ফেব্রুয়ারি পবিত্র জমাদিউস সানি মাস ৩০ দিন পূর্ণ হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি রোববার থেকে পবিত্র রজব মাস গণনা শুরু হয়। ফলে ১১ মার্চ বৃহস্পতিবার রাতে পবিত্র শবে মিরাজ পালিত হবে।

    ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার জোহরের নামাজের পর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ‘মিরাজুন্নবী (স.)’ এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা, দোয়া ও মোনাজাত হবে।

    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মুশফিকুর রহমান। আলোচনা করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সাবেক পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা রফিক আহমাদ ও জামেয়া ইসলামিয়া মাদরাসার শায়খুল হাদীস ড. মাওলানা মুশতাক আহমদ।

  • শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু” স্থান পেতে যাচ্ছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে

    শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু” স্থান পেতে যাচ্ছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে

    শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু” স্থান পেতে যাচ্ছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে

    ডেস্ক সংবাদঃ
    ধানখেতে ফুটিয়ে তোলা ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ পরিদর্শন করেছেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের প্রতিনিধিদল। মঙ্গলবার বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় ১০০ বিঘা আয়তনের এ ধানখেত পরিদর্শন শেষে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা জানিয়েছেন,

    শস্যখেতের বিশাল ‘ক্যানভাসে’ ফুটিয়ে তোলা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নান্দনিক প্রতিকৃতিটি বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের স্বীকৃতি মিলবে।

    গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের দুই সদস্য হলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক কামাল উদ্দিন আহাম্মদ এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক এমদাদুল হক চৌধুরী।

    তারা মঙ্গলবার বগুড়ার শেরপুরে আমিনপুর মাঠে প্রতিকৃতি স্থল পরিদর্শন শেষে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে বর্তমানে চীনের ৭০ বিঘার শস্যচিত্রের রেকর্ড ভাঙার ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

    অধ্যাপক এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, তারা পরিদর্শনের সময় কয়েকটি বিষয় গুরুত্ব দেন। এর মধ্যে শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি বা ক্রপ ফিল্ড মোজাইকে কী পরিমাণ কাজ হয়েছে, সেটি গুরুত্ব দিচ্ছেন।

    এ ছাড়া গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখাতে দুই রঙের শস্য দিয়ে প্রতিকৃতি ফুটিয়ে তুলতে হয়। আমিনপুর মাঠে সবুজ ও বেগুনি রঙের শস্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

    গিনেস বুকে নাম লেখাতে শস্যের রং অবশ্যই প্রাকতিক হতে হয়, আমিনপুর মাঠের দুই ধরনের শস্যের রংই প্রাকৃতিক পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে সব কটি শর্তই এখানে পরিপূর্ণভাবে মানা হয়েছে। ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের সনদ প্রদানের ক্ষেত্রে যা যা দরকার, সবই আছে এখানে।

  • সাভারে ১২টি ইটভাটার মালিককে ৬১ লাখ টাকা জরিমানা

    সাভারে ১২টি ইটভাটার মালিককে ৬১ লাখ টাকা জরিমানা

    সাভারে ১২টি ইটভাটার মালিককে ৬১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদফতর 

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
    সাভারে ১২ ইটভাটাকে ৬১ লাখ টাকা জরিমানা
    সাভারে পরিবেশ দূষণ ও অবৈধভাবে জমি থেকে মাটি কাটার অভিযোগে ১২টি ইটভাটা ও একটি রিসাইক্লিলিং কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৬১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদফতর।গত ৮ মার্চ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমিনবাজার, সালেহপুর ও চাঁনপুর এলাকায় অবস্থিত ভাটাগুলোতে অভিযান পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজীদ আহমেদ।

    অভিযানে পরিবেশ অধিদফতরের ঢাকা জেলার উপ-পরিচালক জহিরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বে অংশ নেন ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোসাব্বের হোসেন মুহাম্মদ রাজীব ও হায়াত মাহমুদ রকিব এবং পরিদর্শক প্রতীক ইসলাম।

    পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক জহিরুল ইসলাম তালুকদার জানান, রাজধানীর পাশে আমিনবাজার ও আশপাশের এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা অন্তত ৫০টি ইটভাটায় দীর্ঘদিন ধরে ইট পোড়ানো হচ্ছে। পরিবেশ দূষণ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকাসহ নানা অভিযোগে আজ ১২টি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে মিথুন রিসাইক্লিং সেন্টারকে ২ লাখ, মেসার্স নুর ব্রিকসকে ৫ লাখ, মেসার্স এইচ এম ব্রিকস-২কে ৫ লাখ, মেসার্স একেবি ব্রিকসকে ৬ লাখ, মেসার্স এমএএইচ ব্রিকসকে ৫ লাখ, মেসার্স সোনার বাংলা ব্রিকসকে ৬ লাখ, মেসার্স ইউসুফ ব্রিকসকে ৬ লাখ, মেসার্স এমএইচএম ব্রিকসকে ৫ লাখ, মেসার্স এবিসি-১ ব্রিকসকে ৫ লাখ, মেসার্স এবিসি-২ ব্রিকসকে ৪ লাখ, মেসার্স এমআরবি ব্রিকসকে ৪ লাখ, মেসার্স মিতালী ব্রিকসকে ৫ লাখ এবং মেসার্স এমএসএম ব্রিকসকে ৪ লাখ টাকাসহ মোট ৬১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

    পরিবেশ অধিদফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজীদ আহমেদ জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকার চারপাশের বিভিন্ন জেলার অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে অভিযান চলছে। এর অংশ হিসেবে সাভারে অভিযান চালিয়ে অবৈধ এসব ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।

    সাভার ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলী আশরাফ ইফতেখার জানান, পরিবেশ অধিদফতরের সব ধরনের কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র মাটিকাটার অভিযোগ এনে আমার ইটভাটাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

    তিনি বলেন, করোনাকালীন ইটভাটার মালিকরা এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্ত। তার ওপর পরিবেশ অধিদফতরের হঠাৎ এ ধরনের অভিযান আমাদের জন্য মরার ওপর খাড়ার ঘাঁ করে দিল। মাটি কাটার ক্ষেত্রে অলাদা অনুমোদনের বিষয়টি পরিবেশ অধিদফতর আমাদের আগে কখনো জানায়নি।

  • আল্লামা মামুনুল হক চুয়াডাঙ্গায় ‘বঙ্গবাঘ’ উপাধি পেয়েছেন

    আল্লামা মামুনুল হক চুয়াডাঙ্গায় ‘বঙ্গবাঘ’ উপাধি পেয়েছেন

    আল্লামা মামুনুল হক চুয়াডাঙ্গায় ‘বঙ্গবাঘ’ উপাধি পেয়েছেন

    লাখো ধর্মপ্রাণ মানুষের সমাগমে বিপুল উৎসাহ, উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে চুয়াডাঙ্গায় দু’দিনব্যাপী জেলা উলামা পরিষদের ১৩তম ইসলামী মহাসম্মেলন ও ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    রোববার রাতে চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজ-সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত ইসলামি মহাসম্মেলন ও আলোচনা সভার মূল আকর্ষণ ছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব শায়খুল হাদিস আল্লামা মামুনুল হক। এই মাহফিলে শায়খুল হাদিস আল্লামা মামুনুল হককে চুয়াডাঙ্গা জেলা উলামা পরিষদের পক্ষ থেকে বাংলার বাঘ তথা ‘বঙ্গবাঘ’ উপাধি দেয়া হয়। ‘

    বঙ্গবাঘ’ উপাধি দিয়ে তা মাইকে ঘোষণা করা হলে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া ও যশোরসহ দেশের বিভিন্ন শহর, গ্রাম, পাড়া, মহল্লা থেকে আগত লাখ লাখ মানুষ নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবর ধ্বনিতে মাহফিলস্থল প্রকম্পিত করে তোলে।

    মাহফিলের প্রধান বক্তা শায়খুল হাদিস আল্লামা মামুনুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও ইসলাম অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। এদেশে ইসলাম বিপন্ন হলে স্বাধীনতাও হুমকির মুখে পড়বে। এ জন্য ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের একইসাথে দেশ ও দেশের স্বাধীনতা এবং ইসলামকে ভালোবাসতে হবে।

    দেশবিরোধী ও ইসলামবিরোধী শক্তি এক ও অভিন্ন। তাই মনে রাখবেন, যারা ইসলামবিরোধী তারাই বাংলাদেশবিরোধী। কাজেই দেশী-বিদেশী সকল আগ্রাসী আধিপত্যবাদী শক্তির হাত থেকে দেশ ও ইসলামকে রক্ষা করার জন্য সকল দেশপ্রেমিক ও ইসলামপ্রেমিক জনতাকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। আজকের এই মাহফিলে লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতি এটাই প্রমাণ করে যে বাংলাদেশে মাটি ইসলামের ঘাঁটি।

    তাই এদেশে আর কিছু থাক না থাক ইসলাম থাকবেই। ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার বড় তাৎপর্য ছিল ‘তবুও এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব, ইনশা-আল্লাহ’। যে দেশের নেতা ইনশা-আল্লাহ-এর মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন, যে দেশের মানুষ আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিনের শক্তির ওপর আস্থা ও অবিচল বিশ্বাস রেখে স্বাধীনভা লাভ করে, সে দেশের স্বাধীনতা থেকে ইসলামকে বিছিন্ন করা যাবে না। যারা স্বাধীনতা থেকে ইসলামকে বিছিন্ন করবার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, মনে রাখবেন তারাই স্বাধীনতা ও ইসলামের দুশমন।

    এসময় তিনি আলেম সমাবেশের উদ্দেশে বলেন, আলেম সমাজ আজ থেকে শপথ নাও, কাউকে খুশি করতে গিয়ে হক বলা থেকে বিরত থাকা যাবে না। প্রয়োজনে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে হলেও হক কথা বলতে হবে। শুধুমাত্র আল্লাহ খুশি করাই হবে আমাদের একমাত্র কাজ।’

    এছাড়া আল্লামা মামুনুল হক কোরআন-হাদিস থেকে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।
    মাহফিলে দেশের বিভিন্ন শহর, গ্রাম, পাড়া, মহল্লা থেকে আগত ধর্মপ্রাণ মুসল্লি, নারী-পুরুষসহ অন্তত দুই লাখ জনতার উপস্থিতি চোখে পড়ে। দেরিতে আসায় মাহফিল ময়দানে জায়গা না পেয়ে যেখানে-সেখানে, রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রধান বক্তার বক্তব্য উপভোগ করেন অনেকেই।

    মাহফিলের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সার্বক্ষণিক দায়িত্বে ছিলেন পুলিশসহ স্থানীয় কয়েক শ’ স্বেচ্ছাসেবক। প্রধান বক্তা আল্লামা মামুনুল হকের বক্তব্য রেকর্ড করতে মঞ্চের সামনে ক্যামেরা নিয়ে ভিড় করেন বিভিন্ন ইউটিউবার, আইপি টিভিসহ ফেসবুক পেজের অ্যাডমিনরা। বাস-ট্রাক, মাইক্রো-মিনিবাস, সিএনজি-অটো, মোটরসাইকেলসহ নানা ধরনের ছোট-বড় যানবাহনযোগে মাহফিলে উপস্থিত হয়ে আলোচনা শোনেন লাখ লাখ মানুষ।

    গতকাল বিকেলের পরপরই বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে সড়কে প্রচুর যানজটের সৃষ্টি হলেও ধর্মপ্রাণ মানুষেরা সেসব উপেক্ষা করেই পৌঁছান মাহফিলস্থলে। যদিও আয়োজকদের পক্ষ থেকে বিশালাকার প্যান্ডেলের প্রস্তুত রাখা হয়েছিল, তারপরও মাঠ ছাপিয়ে দর্শক শ্রোতাদের জায়গা নিতে হয় আশপাশের সড়ক ও খালি জায়গাগুলোতে। সন্ধ্যার আগেই আশেপাশের বেশকয়েকটি জেলা থেকে আগত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের অংশগ্রহণে কা’নায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় মাহফিল-প্যান্ডেল। তবে মাহফিলের মূল আ’নুষ্ঠানিকতা শুরু হয় মাগরিবের নামাজের পর।

    উল্লেখ্য, প্রথমে বিভিন্ন দিকে কিছুটা কান কথা শোনা যায়, এ মহাসম্মেলন হচ্ছে না। তবে উলামা পরিষদ থেকে বারবার জানানো হয়েছিল দু’দিনের ম’হাসম্মেলন হচ্ছে। কিন্তু প্রথম দিন ও সকল প্রচার-প্রচারণাসহ ঘো’ষণা মঞ্চে এ আয়োজনকে ১৩তম ইসলামি মহাসম্মেলন বলা হলেও শনিবার মাহফিলের ব্যানার হঠাৎ করেই পরিবর্তন করে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উ’পলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় লেখা ছিল। এ নিয়ে উলামা পরিষদের এক সিনিয়র নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্ত দিয়ে বলেছেন, ‘প্রশাসন থেকে এমনটিই নির্দেশনা ছিল।- ডেক্স সংবাদ।

  • ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করলেন আশুলিয়া ইউপিলীগের সাধারন সম্পাদক আমজাদ

    ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করলেন আশুলিয়া ইউপিলীগের সাধারন সম্পাদক আমজাদ

    ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করলেন আশুলিয়া ইউপিলীগের সাধারন সম্পাদক আমজাদ

    নিজেস্ব প্রতিবেদক,শেখ এ কে আজাদঃ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছে আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগ।

    রবিবার (৭ মার্চ) প্রেসক্লাব চত্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আশুলিয়াথানা আওয়ামী লীগের আহবায়ক, ফারুক হাসান তুহিন ও যুগ্ন আহবায়ক সাইফুল ইসলাম এবং আশুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, লায়ন আমজাদ হোসেন সরকারসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

    এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি, শেখ হাসিনা সহ দেশের সকলের জন্য দোয়া করা হয়।

  • সাভারের আশুলিয়ায় কাভার্ড ভ্যানচাপায় শিল্প পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু

    সাভারের আশুলিয়ায় কাভার্ড ভ্যানচাপায় শিল্প পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু

    সাভারের আশুলিয়ায় কাভার্ড ভ্যানচাপায় শিল্প পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকে:সাভারের  শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় মহাসড়ক পারাপারের সময় মোনায়েম হোসেন নামে শিল্প পুলিশের একজন উপ পরিদর্শকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সকালে বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কের সরকার মার্কেট এলাকায় এই সড়ক দূর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশ নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

    নিহত মো. মোনায়েম হোসেন আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এ উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি সিরাজগঞ্জের কাজীপুর থানাধীন চকপাড়া এলাকার মৃত শমশের আলীর ছেলে।
    আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফরিদুল আলম জানান, শিল্প পুলিশের ওই উপ-পরিদর্শক সকালে দায়িত্বপালনকালে রাস্তা পার হওয়ার সময় প্রথমে একটি কাভার্ডভ্যান তাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় পেছনে থাকা দ্রুতগতির অপর একটি বাস তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এসময় ওই বাসটিও পালিয়ে যায়।
    তিনি আরো বলেন, নিহত মোনায়েম হোসেন সরকার মার্কেট এলাকায় বান্দু গার্মেন্টসের ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন। নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এছাড়া ঘাতক কভার্ডভ্যান ও বাসটি সনাক্ত করে চালকদের আটকের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। এই ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

  • সাভারের ভাগলপুর এলাকায়  জুমার নামাজের খুত্বার পূর্বে মুসল্লিদের সাথে পুলিশের জনসচেতনামূলক আলোচনা

    সাভারের ভাগলপুর এলাকায়  জুমার নামাজের খুত্বার পূর্বে মুসল্লিদের সাথে পুলিশের জনসচেতনামূলক আলোচনা

    সাভারের ভাগলপুর এলাকায়  জুমার নামাজের খুত্বার পূর্বে মুসল্লিদের সাথে পুলিশের জনসচেতনামূলক আলোচনা

     

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ

    শুক্রবার ৫ই ফেব্রুয়ারি সাভার ভাগলপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুমার নামাজের খুত্বার পূর্বে মুসল্লিদের সাথে মাদকবিরোধী ও জনসচেতনামূলক আলোচনা করেন সাভার মডেল থানা পুলিশ।
    এসময় জনসচেতনামূলক আলোচনায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি এএফএম সায়েদ। তিনি বলেন সাভারকে মাদকমুক্ত, কিশোর গ্যাং, সকল অপরাধ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সচেতনতার পাশাপাশি জনগণের সচেতনতাকে জরুরি আহবান জানিয়ে উপস্থিত মুসল্লিদের অংশগ্রহনে তাদের বক্তব্য/মতামত নিয়ে আলোচনা করেন। এসময় তিনি বলেন আমরা চাই না সমাজের কোন সন্তান (মাদক) নিয়ে নষ্ট হয়ে যাক। এজন্য কিশোর অপরাধ দমনের জন্য পরিবারকে দায় নিতে হবে। পরিবার থেকেই সুশিক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সন্ধার পর আপনার সন্তান কেন ঘরের বাহিরে থাকবে। সেদিকে আপনাকেই নজর দিতে হবে। স্কুলে পড়তে গিয়ে কিংবা এলাকায় আড্ডা দিতে গিয়ে শুরুতে মজার ছলে এসব গ্রুপ তৈরি হলেও পরে একসময় মাদক, অস্ত্র এমনকি খুনোখুনিতেও জড়িয়ে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তিনি বলেন নিম্নবিত্ত পরিবারে যেমন বাবা -মা দুইজনই কাজে বেরিয়ে যান, তেমনি মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্ত পরিবারেও বাবা-মা সন্তানকে সময় দেন না৷ তারা নানা ধরনের গেম, সিনেমা দেখে, একাকিত্বের কারণে অপরাধী হয়ে ওঠে৷ আর সমাজ ও রাষ্ট্রে অপরাধ, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহারও তাদের অপরাধে প্রলুব্ধ করে৷ সেইক্ষেত্রে পরিবারের নজরদারি ও মূল্যবোধ এই কিশোর অপরাধ অনেক কমিয়ে আনতে পারেন বলে মনে করেন তিনি। মাদক সেবন ও কিশোর গ্যাং গড়ে ওঠার সাথে এখন পরিবার, সমাজ ও সামাজিক অবস্থা, দুর্নীতি, অপরাধ এবং পরিবারের মধ্যে যে অপরাধের বীজ রয়েছে কিশোররা তার বাইরে নয়৷ এসব ক্ষেত্রে পরিবারেরও একটি বড় ভূমিকা আছে৷ কিন্তু চারপাশের পরিবেশ ঠিক না থাকলে শুধু পারিবারিক মূল্যবোধ দিয়ে কাজ হয় না৷ পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র সবখানে মূল্যবোধ, সতততা ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে হবে৷ এই কিশোর গ্যাং-এর পিছনে গডফাদার আছে, অপরাধী চক্র আছে, তাদের সবার আগে আইনের আওতায় আনা হবে৷
    পাশাপাশি আপনি বাড়িওয়ালা বা ভাড়াটিয়া নিবন্ধন ফর্ম পুরন করেছেন কি? যদি এখনো পুরন না করে থাকেন তাহলে আজই পুরন করে, থানায় অথবা থানার বিট অফিসার এর নিকট আজই জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করা আমাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য।
    পরিশেষে তিনি বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে স্বপ্ন দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আইনের শাসন সমুন্নত রেখে মানুষের নাগরিক এবং গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে যা যা করা প্রয়োজন আমরা তা করবো।

  • ধামরাইয়ে বছরে হাজারো এসি-নন এসি লাক্সারি বাস তৈরি করবে ইফাদ

    ধামরাইয়ে বছরে হাজারো এসি-নন এসি লাক্সারি বাস তৈরি করবে ইফাদ

    ধামরাইয়ে বছরে হাজারো এসি-নন এসি লাক্সারি বাস তৈরি করবে ইফাদ

    ধামরাইয়ের সংবাদঃ
    জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে সাশ্রয়ী মূল্যে বিশ্বমানের গাড়ি দেশেই উৎপাদন করা বর্তমান সরকারের অন্যতম লক্ষ্য অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এমপি এ কথা বলেন।
    তিনি আরো বলেন লক্ষ্য অর্জনে শিল্প মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে অটোমোবাইল শিল্পের বিকাশে একটি নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে । এ শিল্পের উত্তরোত্তর উন্নয়ন এবং টেকসই বিকাশের লক্ষ্যে এ নীতি প্রণয়ন করা হচ্ছে ।
    তিনি আরো জানান, বর্তমানে অটোমোবাইল শিল্প উন্নয়ন নীতি প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে । শিঘ্রই এর খসড়া অনুমোদন করে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সাথে পরামর্শক্রমে তা চূড়ান্ত করা হবে । এর মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে অস্থিলিক অটোমোবাইল শিল্প উৎপাদনের কেন্দ্রে উন্নীত হবে । এ লক্ষ্য অর্জনে সরকার অটোমোবাইল শিল্প উন্নয়নে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে । এ লক্ষ্য অর্জনে তিনি সরকারের পাশাপাশি অটোমোবাইল শিল্প উদ্যোক্তাদেরকেও এগিয়ে আসার আহবান জানান । অটোমোবাইল শিল্পের বিকাশে প্রকৃত অর্থেই নীতিমালা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিক রাখবে । সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ গাড়ি সংযোজনকারী দেশের গণ্ডি পেরিয়ে গাড়ি উৎপাদনকারী দেশের অন্তর্ভুক্ত হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন শিল্পমন্ত্রী।
    মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার ২০২০ সালকে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছেন । ২০৪১ সালে উন্নত আয় ও শিল্প সমৃদ্ধ দেশ গড়তে সরকার দেশে শিল্প কারখানা স্থাপনের উপর গুরুত্ব দিয়ে দেশি – বিদেশি বিনিযয়োগকারীদের সব ধরণের সহায়তা প্রদান করা হবে।
    বছরে এক হাজার বিশ্বমানের এসি, নন-এসি লাক্সারি বাস তৈরির লক্ষ্য নিয়ে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করেছে ইফাদ অটোস লিমিটেড। বছরে ১২ হাজার গাড়ি সংযােজনের লক্ষ্য নিয়ে ২০১৭ সালে ইফাদ অটোস লিমিটেডের সংযােজন কারখানা চালু হয় । কারখানাটিতে ভারতের অশোক লেল্যান্ড ব্র্যান্ডের বিভিন্ন মডেলের গাড়ি তৈরী হচ্ছে।
    বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার ধামরাইয়ে ঢাকা – আরিচা মহাসড়কের পাশে প্রতিষ্ঠিত ইফাদের নিজস্ব কারখানায় এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।এসময় ইফাদ গ্রুপের চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ টিপুর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে
    উপস্থিত ছিলেন দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার এনামুর রহমান , ঢাকা -১০ আসনের এমপি বেনজির আহমেদ এবং বাংলাদেশ স্ট্রড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান নুপী শাহাবুদ্দিন আহমেদ ।
    অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ইফাদ গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর তানভীর আহমেদ, ইফাদ অটোসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর তাসকিন আহমেদ, গ্রুপ ডিরেক্টর তাসফিন আহমেদ সহ বিভিন্ন অর্থলগ্নি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ , ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ , বাস – ট্রাক মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতা – কর্মিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।

    অনুষ্ঠানে ইফাদ গ্রুপের চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ টিপু বলেন, বেসরকারী উদ্যোগে ইতিহাসে নব দিগন্তের সূচনা করেছে ইফাদ অটোস। এতদিন এই কারখানায় শুধু গাড়ি সংযোজন করা হতো । এখন বিলাসবহুল এসি, নন-এসি বাসের বডি তৈরী করা হবে। বর্তমানে বিদেশ থেকে গাড়ি আমদানী করতে বেশ সময় লাগে। এই কারখানা চালু হওয়ার ফলে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী দ্রুততম সময়ে গাড়ি সরবরাহ করা সম্ভব হবে । ইফতেখার আহমেদ টিপু বলেন , বাংলাদেশে বিগত কয়েক বছরে ভারী যানবাহনের ক্ষেত্রে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে । চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে আমদানীকৃত গাড়িতে আমদানী বাবদ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হচ্ছে । বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ইফাদ অটোস লিমিটেড বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় ও দেশে শিল্প বান্ধব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এই কারখানা স্থাপন করেছে ।
    তিনি আরও জানান , ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে । যেখানে লাক্সারী এসি ও নন – এসি বাস তৈরী হবে । বছরে ১ হাজারেরও বেশী গাড়ির বডি তৈরী হৰে এবং ভবিষ্যতে এ সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি । তিনি বলেন, যেহেতু এই কারখানায় বিভিন্ন মডেলের এসি – নন এসি বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান সংযোজন হবে, তাই তার উৎপাদন খরচ আমদানীকৃত তৈরী গাড়ির চেয়েও কম হবে। এর সুবিধা গাড়ীর মালিক ও যাত্রীরা ভোগ করবেন। দেশী – বিদেশী বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে তৈরী হবে নতুন গাড়ি। শুধু বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে না, দেশের অনেক ছোট ছোট বিশেষায়িত কারখানায় তাদের উৎপাদিত মানসম্পন্ন বিভিন্ন পণ্য এই সংযোজন কারখানায় সরবরাহের দ্বার উন্মোচন হবে । জাতীয় অর্থনীতিতে এই সংযোজন কারখানা বিশেষ ভুমিকা পালন করবে । যেমন- দেশীয় কাঁচামালের সঠিক ব্যবহার, দক্ষ কর্মী সৃষ্টি, নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা। বিশেষ অতিথি ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেন, বাইরে থেকে গাড়ি আমদানি করলে যে অতিরিক্ত ট্যাক্স দিতে হয়। কিন্তু আমাদের দেশে গাড়ি তৈরি হলে অনেক অল্প দামে কিনতে পারবে মানুষ। ইফাদ অটোস দেশে গাড়ি তৈরির খাতে বিপ্লব ঘটাবে বলে আশা তাদের।