২০২০ শিক্ষাবর্ষে স্কুলে ভর্তি ক্ষেত্রে নীতিমালা সংক্রান্ত অনুসরণ  না করলে পুনঃভর্তি ফি ও অতিরিক্ত ভর্তি ফি নিলে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাঃ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর

  • ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

স্কুলে ভর্তি ও সেশনসহ অন্যান্য ফি বেশি নেওয়া হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে জানুয়ারিতে শুরু হয়েছে ২০২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম।
বেসরকারি স্কুল ভর্তি সংক্রান্ত নীতিমালা অনুযায়ী ভর্তির ক্ষেত্রে মহানগরগুলোতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তিন হাজার টাকার বেশি নিতে পারবে না বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।
এছাড়া এক শ্রেণি থেকে আরেক শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেও পুনঃভর্তি ফি নেওয়া যাবে না।
৩০ ডিসেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও সংযুক্তি প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে ২০১৬ সালের (সংশোধিত) পরিপত্র এবং ২০১৮ সালের ভর্তি নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে।

বেসরকারি স্কুল ভর্তি সংক্রান্ত নীতিমালা অনুযায়ী মেট্রোপলিটন এলাকায় (ঢাকা ছাড়া) ভর্তিতে ৩,০০০ হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না।
অন্যদিকে মফস্বল এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে সেশন ফিসহ সর্বোচ্চ ভর্তি ফি হবে ৫০০ টাকা।
পৌর (উপজেলা) এলাকায় ১ হাজার টাকা।
পৌর (জেলা সদর) এলাকায় ২ হাজার টাকা।
বেসরকারি স্কুল ভর্তি সংক্রান্ত নীতিমালা অনুযায়ী প্রথম শ্রেণিতে অবশ্যই লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে হবে। প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিশুর বয়স কমপক্ষে ছয় বছর হতে হবে। এই বয়স যাচাইয়ে ভর্তির আবেদন ফরমের সঙ্গে জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। লটারিতে ভর্তি কমিটির সদস্যদের উপস্থিতি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা ছাড়াও একইসাথে অপেক্ষমান তালিকা প্রকাশ করতে হবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থী নির্ধারিত তারিখের মধ্যে ভর্তি না হলে ওই তালিকা থেকে পর্যায়ক্রমে ভর্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আর দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণির শূন্য আসনে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী বাছাই করতে হবে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাক্রম অনুসারে।
তবে জেএসসি-জেডিসির ফলের ভিত্তিতেই নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে হবে। নবম শ্রেণি ভর্তিতে কোনো পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। বেসরকারি স্কুল ভর্তি সংক্রান্ত নীতিমালা অনুযায়ী, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নের পূর্ণমান হবে ৫০।
এর মধ্যে বাংলায় ১৫, ইংরেজিতে ১৫ এবং গণিতে ২০ নম্বরের উত্তর দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। সময় থাকবে এক ঘণ্টা।
আর চতুর্থ থেকে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নের পূর্ণমান থাকবে ১০০। বাংলায় ৩০, ইংরেজিতে ৩০ এবং গণিতে ৪০ নম্বরসহ মোট ১০০ নম্বরের উত্তর করতে হবে। সময় থাকবে দুই ঘণ্টা। ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে বাংলা, ইংরেজি ও গণিতের বাইরে কোনো প্রশ্ন করা যাবে না। আর প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করতে হবে পাঠ্যপুস্তক থেকেই। এর বাইরে কোনো প্রশ্ন করা যাবে না।

এসব নির্দেশনা না মানা হলে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে পাঠদানের অনুমতি বা একাডেমিক স্বীকৃতি বাতিলসহ প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি বাতিল করা হবে বলে জানানো হয়েছে বেসরকারি স্কুল ভর্তি সংক্রান্ত নীতিমালায়।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সরকারি স্কুল ও স্কুল অ্যান্ড কলেজের জন্য ২০১৬ সালের জারি করা পরিপত্র (সংশোধিত) অনুযায়ী এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ২০১৮ সালের ভর্তি নীতিমালা বহির্ভুত অর্থ আদায় সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন ও বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিভাবকদেরও এ বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *