Category: জাতীয়

  • ট্রাকে টিসিবির পণ্য  বিক্রি কার্যক্রম শুরু হলো 

    ট্রাকে টিসিবির পণ্য  বিক্রি কার্যক্রম শুরু হলো 

    সত্যেরসংবাদ ডেস্ক : সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ট্রাকসেল কার্যক্রম সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) থেকে আবারও শুরু হচ্ছে। ভর্তুকি মূল্যে এবার মিলবে ভোজ্যতেল, ডাল, চিনি, ছোলা ও খেজুর।

    রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠানটি।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিম্নআয়ের উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য (ভোজ্যতেল ও ডাল) সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
    উক্ত কার্যক্রমের পাশাপাশি সাধারণ ভোক্তাদের কাছে ঢাকা মহানগরী ও চট্টগ্রামে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভতুর্কি মূল্যে টিসিবির পণ্য ভোজ্যতেল, ডাল, চিনি, ছোলা ও খেজুর বিক্রি করা হবে।
    যে কোনো ভোক্তা লাইনে দাঁড়িয়ে ট্রাক থেকে পণ্য কিনতে পারবেন। ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে বিক্রি কার্যক্রম আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে।
    এ দফায় সর্বোচ্চ ২ লিটার ভোজ্যতেল, ২ কেজি মসুর ডাল, ১ কেজি চিনি, ২ কেজি ছোলা ও ৫০০ গ্রাম খেজুর কিনতে পারবেন উপকারভোগীরা। প্রতি লিটার ভোজ্যতেল ১০০ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডাল ৬০ টাকা, চিনি ৭০ টাকা, ছোলা ৬০ টাকা ও খেজুরের দাম পড়বে ১৫৫ টাকা।

     

  • ভ্যানের সেই মরদেহগুলো আশুলিয়ার আগুনে পোড়ানো হয়, পুলিশের এমন নিষ্ঠুর আচরণে হতভাগ দেশবাসী

    সত্যেরসংবাদডেক্স:ভ্যানের সেই মরদেহগুলো আগুনে পোড়ানো হয়

    ভ্যানে লাশের স্তুপের একটা ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। গা শিউরে উঠা ভিডিওটি ছিল বৈশম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কয়েকজন ব্যক্তির।

    ভিডিওতে দেখা যায়, একটা ভ্যানের মধ্যে বস্তার মতো লাশের ওপরে লাশ রাখছে পুলিশ। একজন হাত ধরছেন, অপরজন পা। এরপর লাশের ওপর ছুড়ে রাখছিলেম ভ্যানটি। পুলিশের এমন নিষ্ঠুর আচরণে হতভাগ হয়েছে দেশবাসী। পরে ভিডিওতে দেখা যাওয়া দেয়ালে সাটানো একটি পোস্টার দেখে ভিডিওটির ঘটনাস্থল ঢাকার অদূরে সাভারের আশুলিয়া থানার সামনে বলে জানা যায়।

    এদিকে বিষয়টি জানাজানি হলে এঘটনায় নিহত আস-সাবুর নামে এক তরুণের মা রাহেন জান্নাত ফেরদৌস দাবি করেন এই মরদেহগুলো দিয়ে একটি পিকআপে তুলে আগুন দেওয়া হয়।

    রাহেন জান্নাত ফেরদৌস বলেন, গত ৫ আগস্ট আন্দোলনকারীরা আশুলিয়া থানায় হামলা চালায়।

    ঐসময় পুলিশ তাদের উপর গুলি ছুড়লে কয়েকজন আন্দোলনকারী মারা যায়। পরদিন ৬ আগস্ট সকালে আশুলিয়া থানার সামনে একটি পিকআপে পুড়ে যাওয়া কয়েকজনের লাশের খোঁজ মেলে। আমার ছেলের পুড়ে যাওয়া লাশ ওই পিকআপেই পেয়েছি। আজ ধারণা করছি ভাইরাল হওয়া ভিডিওর লাশ গুলো গুম করার জন্য ওই পিকআপে ভরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

    ইমন নামে আরেক প্রত্যক্ষদর্শী জানান বলেন, সেদিন বিকেল ৪টার দিকে আন্দোলনকারীরা থানার সামনের গলিতে প্রবেশ করলে পুলিশ তাদের ওপর এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়ে। এ সময় বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে পরে গেলে তাদেরকে পুলিশ থানার সামনে নিয়ে যায়।
    সেখানে পুলিশ ভ্যানে লাশগুলো রেখে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। আন্দোলনকারীরা পুলিশের গুলির মুখে পিছু হটে সেসময় থানার সামনে কোনো আন্দোলনকারী ছিল না। গুমের উদ্যেশে পিকআপে পুলিশই আগুন লাগিয়েছে। পরে পুলিশকে সেনাবাহিনী সেনানিবাসে নিয়ে গেলে আন্দোলনকারীরা থানায় প্রবেশ করে হামলা চালায়।

    আশুলিয়া থানা সংলগ্ন বাইপাইল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোফাজ্জল হোসেনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ৫ আগস্ট দুপুরের পর থেকে তারা মসজিদে আসেননি। তবে পরদিন সকালে পুড়ে যাওয়া ছয়টি মরদেহের জানাজা পড়ানো হয় সেখানে।

    এদিকে এ বিষয়ে জানতে সেসময়ের আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (সদ্য বদলিকৃত) এএফএম সায়েদের সাথে মোবাইলফোন যোগাযোগের চেষ্টা করে তার ফোনফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

    এ ব্যাপারে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শনিবার সকালে আমি ভিডিওটি দেখেছি। এটি অ্যানালাইসিস করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করছি।

  • বিশ্ব আশেকে রাসুল (সা:)এর সম্মেলন এক দিনব্যাপী শুক্রবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে

    বিশ্ব আশেকে রাসুল (সা:)এর সম্মেলন এক দিনব্যাপী শুক্রবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে

    ময়মসিংহে দেওয়ানবাগী দরবার শরীফে সূফি সম্রাটের ৭৪ তম জন্মদিনে স্বরনে বিশ্ব আশেকে রাসুল (সা:)এর সম্মেলন এক দিনব্যাপী আজ শুক্রবার  অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

     

    শেখ এ কে আজাদ, প্রতিবেদক:আজ ২৩ ফেব্রয়ারি ২০২৪ সূফি সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুবা -এ- খোদা দেওয়ানবাগী (রহ্) এর ৭৪ তম জন্মদিন স্বরনে বিশ্ব আশেকে রাসুল (সা:)এর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

    সাভার থেকে বিশ্ব আশেকান এ আর মো:আলামীন জানিয়েছেন,
    আল্লাহপাক ও রাসুল এবং অলীর সান্নিধ্যে লাভের আশায় এ বিশ্ব আশেকান রাসুল (সা:)এর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে প্রতিবছর,লাখো লাখো ধর্মপ্রান আশেকানরা উপস্থিত হয় । এ বছর ২৩ ফেব্রুয়ারী সকাল ৭ থেকে বাদ জুম্মা আখেরি মনোজাতের মধ্য শেষ হবে । দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা,থানা প্রান্ত ও বিদেশ থেকে হাজার হাজার ধর্মপ্রান মুসলিম ও আসেকানরা উপস্থিত হয়ে বয়ান অংশগ্রহন করে আখেরি মনোজাতে অংশ নিবেন। বাদ জুম্মা আখেরি মনোজাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ময়মনসিংহে এর ত্রিশাল গোপালপুরের কাশীগঞ্জ এলাকায় বাবেবরকত দেওয়ানবাগী দরবার শরীফে এর আয়োজন করা হয়েছে।

    ” আমিত্বকে বিসর্জন দিতে গোলামীর বিকল্প নাই ” তার সাথে আল্লাহ ও রাসুলকে কিভাবে পেতে পারি ইসলামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে – মহা মূল্যবান বক্তব্য রাখবেন মোহাম্মাদী ইসলামের নেতৃত্ব প্রদানকারী মহামানব ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.)হজুর।

    উক্ত জন্মদিন উপলক্ষে বার্ষিকী বিশ্ব আশেকান সম্মেলন  অনুষ্ঠানে দেশ ও বিদেশে হতে অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও আশেকেগন অংশগ্রহণ করবেন।

    -সূফী সম্রাট হযরত শাহ্ দেওয়ানবাগী (রহঃ) হুজুর রেখে যাওয়া কথা,অপরের দোষ দেখতে যেও না। নিজের দোষ তালাশ করো তা সংশোধন করার চেষ্টা করো। তিনি আরো বলে গেছেন,”মুরীদের ঈমানের স্থান হলো আপন মোর্শেদের ক্বালব। মোর্শেদের প্রতি যার যত বিশ্বাস থাকবে, তার ঈমান ততো বেশী মজবুত হবে”।
    “দুনিয়ার যাবতীয় কাজ কর্মের মধ্যে সবচেয়ে সহজ ছিল আল্লাহকে পাওয়া। অথচ আল্লাহ্ সমন্ধে না জানার কারণে, আল্লাহ সম্বন্ধে পরিস্কার ধারনা না থাকার কারণে, সবচেয়ে কঠিন হয়েছে আল্লাহকে পাওয়া”।

    যে শিক্ষা মানুষের জীবনকে সুন্দর করে, স্রষ্টা ও তার সৃষ্টিকে উপলব্ধি করার ক্ষমতা দান করে,লোভ, মোহ, দোষ, হিংসা, ক্রোধ প্রভৃতি রিপুর প্রভাব- মুক্ত থেকে জীবন পরিচালিত করার শিক্ষা দেয় এবং যে শিক্ষা মানুষকে স্রষ্টার মাঝেই লীন হওয়ার শিক্ষা দেয় তাহাই আধ্যাত্নিক শিক্ষা।

    “আল্লাহ্‌ নিজেই বলে আমি মানুষের ভিতরে । কিন্তু এই কথাগুলোর সাথে সমাজের মানুষের কোন পরিচয় নাই । তিনি দেখা দেয়ার জন্য বসে আছেন, আমি চোখ বন্ধ করে থাকলে কি আর তিনি দেখা দেবেন ? সুতরাং চোখতো খুলতে হবে । অর্থাৎ হৃদয়ের চোখ জাগ্রত করতে হবে”।

    “আপনি যদি দুনিয়াতে থাকতেই আল্লাহ্ ও হযরত রাসূল (সাঃ)-এর পরিচয় লাভ করতে না পারেন, তবে ঈমান নিয়ে কবরে যাওয়া কঠিন হবে।
    সুতরাং – আপনারা মনোযোগ দিয়ে তরীকার আমল করবেন। কেউ গাফিলতি করবেন না”।

    “হযরত রাসূল (সঃ) যেভাবে চলার নির্দেশ দিয়েছেন, আমাদেরকে সেইভাবেই চলতে হবে, ব্যক্তি স্বার্থে নয়”।
    তিনি হাদীস শরীফে বর্ণিতর কথা বলে গেছেন তিনি-“আসসালাতু মি’রাজুল মু’মিনিন।” অর্থ-“নামাজ মুমিনদের জন্য মিরাজ।” হযরত রাসূল (সাঃ) যখন মিরাজ শরীফে গিয়েছিলেন, তখন নামাজের হুকুম নিয়ে এসেছিলেন। আমরা যদি ঠিক মতো নামাজ পড়ি, তবে এর ফজিলত, রহমত ও বরকত পাবো”।
    সালাত প্রত্যেক মুসলমানদের জন্য ফরজ এবং ধর্মের অন্যতম ইবাদাত”।
    “মিরাজ শব্দের অর্থ হল দিদার বা সাক্ষাৎ। হযরত রাসুল (সা.) মিরাজে মহান আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভ করেন এবং উম্মতে মোহাম্মাদির জন্য পুরষ্কার হিসেবে নামাজ নিয়ে আসেন। অতএব একজন মুমিন ব্যক্তি নামাজের মাধ্যমে দৈনিক পাঁচবার মিরাজ লাভ করতে পারে”।

     

  • বিশ্ব ইজতেমায় নামাজ পড়তে এসে শতাধিক হকারদের সাথে জেলে গেল নূর

    বিশ্ব ইজতেমায় নামাজ পড়তে এসে শতাধিক হকারদের সাথে জেলে গেল নূর

    বিশ্ব ইজতেমায় নামাজ পড়তে এসে শতাধিক হকারদের সাথে জেলে গেল নূর

    সত্যেরসংবাদডেক্স;
    ১পর্বে বিশ্ব ইজতেমায় শুক্রবার
    জুম্মার নামাজ পড়তে আসেন আলেয়া এমব্রয়ডারির উৎপাদন বিভাগের ম্যানুয়াল অপারেটর নূর মোহাম্মদ। নামাজ শেষে ফেরার পথে পুলিশ তাকে আটক করে। গতকাল সড়কে ভ্রাম্যমাণ হকারদের উচ্ছেদ অভিযানে নামে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এসময় নূর মোহাম্মদকে বিনা অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয় বলে দাবি তার সহকর্মীদের।

    নূর মোহাম্মদের সহকর্মী আনোয়ার হোসেন দেশ রূপান্তরকে জানান, গতকাল শুক্রবার জুম্মার নামাজ পড়তে আসেন নূর মোহাম্মদ। দুপুরে বাসায় ফেরার পথে উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টর থেকে বেশ কিছু হকারের সাথে তাকেও ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। সংবাদটি শোনার পর আমরা কয়েকজন সহকর্মী মিলে উত্তরা পশ্চিম থানায় যাই। অনেক ঘোরাঘুরির পর তার সঙ্গে দেখা করতে পারি। এ সময় নূর লজ্জায় আমাদের সামনে কাঁদতে থাকে। মধ্যরাত পর্যন্ত থানার সামনে অপেক্ষায় থাকি। অনেক জায়গায় ফোন দিয়ে বিষয়টি জানাই। তার অফিসের আইডি কার্ড থানায় দেখানোর পরেও তাকে ছাড়েনি পুলিশ। আজ সকালে জানতে পারি তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

    শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর থেকে এই অভিযানের নেতৃত্ব দেয় উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার মির্জা সালাউদ্দিন। গতকালের ওই অভিযানে শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে বলে দেশ রূপান্তরকে জানান তিনি।

    এডিসি বলেন, যারা জনগণের চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে ও গণ উপদ্রব সৃষ্টি করছে তাদেরকে আমরা আইনের আওতায় এনেছি। কে হকার কে হকার না এটা আমাদের দেখার বিষয় না। কী ধরনের বিঘ্ন সৃষ্টি তৈরি হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভাই আমি আপনাকে যথেষ্ট পরিমাণে তথ্য দিয়েছি, এখন বেশি কথা বলার সময় আমার হাতে নাই।

    এ ধরনের অভিযান অনেকে স্বাগত জানিয়েছে অনেক মুসুল্লিরা।
    এর পূর্বে সাভারের মহাসড়কে অবৈধভাবে স্থাপনা গড়ে তুলা ফুটপাতো হকার উছেদ হওয়ায় সাভারের সুনাগরিকগন খুশি হয়েছে যা ইজতেমার ময়দানে এটি দ্বিতীয় হকার উচ্ছেদ অভিযান, হকার উচ্ছেদ।

  • সাভার প্রশাসনের উদ্যোগে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের জন্য শীতের চাদর উপহার

    সাভার প্রশাসনের উদ্যোগে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের জন্য শীতের চাদর উপহার

    সাভার প্রশাসনের উদ্যোগে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের জন্য শীতের চাদর উপহার

    শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার থেকে:
    সাভার উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৩৬৫জন বীরমুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের জন্য সংবর্ধনায় শীতের জন্য চাদর এবং কি খাবার উপহার দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। সাভার অধরচন্দ্র সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে কুচকাওয়াজ শেষে এ বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সম্মানিত করেন উপজেলা প্রশাসন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল ইসলাম রাজীব, সভাপতিত্ব করেন সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো:ফেরদৌস ওয়াহিদ। আরো অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আকবর আলী খান এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা মো:সায়েমুল হুদা সহ আরো অনেকে। প্রধান অতিথি বলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি তার ডাকে তখন সারা বাংলাদেশের কোটি কোটি জনগণ দেশকে স্বাধীন করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে দীর্ঘ নয় মাসের যুদ্ধের মধ্যে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। সেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান তিনি।

     

  • সাভার প্রশাসনের উদ্যোগে বিজয় দিবস উপলক্ষে কুচকাওয়াজ, ক্রিয়ায় অংশগ্রহনে মহিলা ডিগ্রি কলেজ শীর্ষে

    সাভার প্রশাসনের উদ্যোগে বিজয় দিবস উপলক্ষে কুচকাওয়াজ, ক্রিয়ায় অংশগ্রহনে মহিলা ডিগ্রি কলেজ শীর্ষে

    সাভার প্রশাসনের উদ্যোগে বিজয় দিবস উপলক্ষে কুচকাওয়াজ, ক্রিয়ায় অংশগ্রহনে মহিলা ডিগ্রি কলেজ শীর্ষে

    শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার থেকে:
    সাভার প্রশাসনের উদ্যোগে বিজয় দিবস উপলক্ষে কুচকাওয়াজ ও শরীর চর্চায় অংশ নেয় বিভিন্ন স্কুল কলেজ। সাভার অধরচন্দ্র সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে ১৬ ডিসেম্বর সকালে কুচকাওয়াজ  ক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
    এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল ইসলাম রাজীব, সভাপতিত্ব করেন  সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো:ফেরদৌস ওয়াহিদ। আরো অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আকবর আলী খান এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা মো:সায়েমুল হুদা সহ আরো অনেকে।
    অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মাঝে সম্মামনা ক্রেষ্ট প্রদান করেন।

    সাভারের মোফাজ্জল মোমেনা চাকলাদার ডিগ্রি কলেজ থেকে কুচকাওয়াজ ও শরীর চর্চায় অংশ গ্রহন করে দুটিতে তৃতীয় অপরটিতে প্রথম চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন বলে জানালেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এস এম এ জামান এবং ক্রিয়া শিক্ষিকা ইতি রানি দাস জানান তাদের ১ মাসের কঠোর পরিশ্রম ফসল এবং উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যেয় ব্যক্ত করেছেন।

  • বিএনপির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জনমত গড়ে তোলার দাবি জানালো

    বিএনপির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জনমত গড়ে তোলার দাবি জানালো

    সত্যেরডেক্সসংবাদ:

    বাসে আগুন, পেট্রোলবোমা মারা কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড হতে পারে না। যারা এসব করছে তারা কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নয়। তাদের বিরুদ্ধে দেশ ও বিদেশে জনমত গড়ে তুলতে হবে। যারা মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলে মানুষ পুড়িয়ে মারে তাদের রাজনৈতিকভাবে বয়কট করতে হবে, রাজনীতি করার অধিকার তাদের নেই। গতকাল রবিবার রাজধানী শিল্পকলা একাডেমিতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ‘মায়ের কান্না’ ও ‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’ সংগঠনের যৌথ আয়োজনের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন হরতাল-অবরোধ, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আহতরা।

    অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদসহ দলটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

    বক্তারা বলেন, রাজনীতি যদি মানুষের কল্যাণের জন্য হয়, তাহলে বিএনপি-জামায়াত কীসের রাজনীতি করছে? কার জন্য সাধারণ মানুষের শরীরে আগুন দিচ্ছে? তাদের এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরে রাজনৈতিকভাবে বয়কট করতে হবে। অনুষ্ঠানে গত ২৮ অক্টোবর রাজধানী নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সহিংসতায় নিহত পুলিশ সদস্য আমিরুল ইসলাম পারভেজের স্ত্রী রুমা আক্তার বলেন, ‘২৮ অক্টোবর বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার শিকার আমার স্বামী। তার কী দোষ ছিল? কেন তাকে হত্যা করা হলো? সে তো কোনো রাজনীতি করত না। তাকে কেন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে হত্যা করা হলো? আমার দুই সন্তান তাদের বাবার লাশ ধরতে পারেনি। তাদের এখন একটাই প্রতিজ্ঞা আর তা হলো পুলিশ হয়ে বাবা হত্যার বিচার করা। পুলিশ দেখলেই তারা তার বাবাকে খোঁজে।’

    গত নভেম্বরে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বাসে দেওয়া আগুনে মারা যান ওই বাসের চালকের সহকারী (হেলপার) আবু নাঈম। তার মা বলেন, ‘আমার ছেলে তো রাজনীতি করত না। কেন তাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হলো? বাবা সংসারের হাল ধরতে পারেনি তাই নাঈম বাসের হেলপারি শুরু করে। পুরো পরিবারের খরচ বহন করত সে। তাকে হারানোর পর পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে।’

    ‘বিএনপি নেতাকর্মীদের হাতে’ হত্যার শিকার যুবলীগের আজাদের ভাই বলেন, ‘আমি রাস্তায় গেলে আমাকে হত্যা করবে, তাই আমার পরিবার আমাকে রাস্তায় বের হতে দেয় না। এমন শঙ্কায় আমরা জীবন পার করছি।’

    নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের সালাউদ্দিন বলেন, ‘২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি কোনাবাড়ীতে গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। সেই আগুনে আমি পঙ্গুত্ব বরণ করি। এরপরও বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাস থামেনি। তাদের আগুনে সারা দেশ জ্বলছে।’

    ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর বিদ্রোহ দমনের নামে বিমানবাহিনীর সহস্রাধিক সদস্যকে গুমের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গঠিত হয় ‘মায়ের কান্না’ সংগঠনটি। ওই বছর মৃত্যুদণ্ড পাওয়া বিমানবাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা সার্জেন্ট সাইদুর রহমান মিঞার ছেলে মো. কামরুজ্জামান মিঞা লেলিন এ সংগঠনের সমন্বয়ক।

    তিনি বলেন, ‘১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর ঢাকায় জাপানি বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনায় তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান পরিকল্পিতভাবে একটি অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট তৈরি করেন। পরে তথাকথিত বিদ্রোহ দমনের নামে জিয়াউর রহমান একদিনের সামরিক আদালতে বিচার করে সেই রাতেই ফাঁসি সম্পন্ন করতেন নিরপরাধ সামরিক সদস্যদের। রাতের আঁধারে কারফিউ দিয়ে ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, রংপুর, যশোর ও বগুড়া কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি কার্যকর করা হতো। আমরা জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবি করছি। একই সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করায় তার গড়া দল বিএনপিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানাচ্ছি।’

  • শামস’র মায়ের দোয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারামুক্ত হয়ে ফিরলো মায়ে’র কোলে

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার: প্রথম আলো’র নিজস্ব প্রতিবেদক সাভার এর শামসুজ্জামান শামস রাজধানীর রমনা থানায় দ্বায়েরকৃত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিনে মুক্ত হয়ে তার মায়ে’র কাছে ফিরে এসেছেন।

    মা ফিরে পেয়েছে তার সন্তানকে। আবেগঘন পরিবেশ। মা করিমন নেছা তার সন্তানকে ফিরে পেয়ে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন ও দেশবাসীর কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

    সোমবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে শামসুজ্জামান শামসকে ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালত।

    বিকালে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে প্রথমে তিনি নিজ কর্মস্থল প্রথম আলো’র কার্যালয়ে যায়। প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান সেখানে তাকে সংবর্ধণা দেয়। সংবর্ধণাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামসহ প্রথম আলো’র সহকর্মীরা।

    এরপর প্রথম আলো’র মাইক্রোবাস করে তাকে তার নানার বাড়ি ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলা’র সোমবাগ ইউনিয়নের ডাউটিয়া গ্রামে শামস এর নানা বাড়ি। শামস এর মামার বাসায় তার মায়ে’র কাছে রাত ১০টার দিকে পৌঁছে দিয়ে যায় তার দুই সহকর্মী
    দৈনিক প্রথম আলোর বাংলা বিভাগের প্রধান তুহিন সাইফুল্লাহ ও হেড অব অ্যাডমিন উৎপল রায়।

    এরপর স্থানীয় সংবাদকর্মীরা শামস এর সাথে কুশল বিনিময় করে। অনেকেই আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। অনেকেই ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় এই তরুণ সাংবাদিককে।

    এ ব্যাপারে সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামস বলেন, দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা। সকল সহকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। সকলের ভালবাসা ও সাপোর্ট পেয়েছি। বিশেষ করে আমার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের তারা আমার সঙ্কট কালীন মুহূর্তে আমার পাশে থেকেছে। আর জেলখানায় আমি একবারের জন্যও বিচলিত হয়নি। শুধু মায়ে’র জন্য খারাপ লেগেছে।

    তিনি আরো বলেন, আমি আগেও সাংবাদিকতার নীতিনৈতিকতা মেনে সাংবাদিকতা করেছি। ভবিষ্যতেও করবো। সৎ নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে চাই।

    আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এই ব্যাপারটিও আমরা আইনি ভাবেই লড়বো।

  • সর্যোদয়ের সাথে সাথে লাখো মানুষের শ্রদ্ধায় ফুলে ফুলে ভরে উঠবে জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহীদবেদী

    সর্যোদয়ের সাথে সাথে লাখো মানুষের শ্রদ্ধায় ফুলে ফুলে ভরে উঠবে জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহীদবেদী

    শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার :

    রোববার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দিবসটির সুচনা লগ্নে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের মূল শহীদ বেদী সর্যোদয়ের সাথে সাথে লাখো মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে ফুলে ফুলে ভরে উঠবে। সুর্যোদয়ের সঙ্গে-সঙ্গে প্রথমে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন- রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।

    দিবসটির সুচনা লগ্নে সাভার জাতীয় শহীদ স্মৃতিসৌধে শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শহীদদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী পরিষদ সদস্যবৃন্দ, বিদেশি কুটনৈতিকবৃন্দ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন,স্কুল,কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়সহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
    ঢাকার আমিনবাজার থেকে নবীনগর পর্যন্ত নেতাকর্মীদেরব ব্যানার ফেস্টুন ছেয়ে গেছে।

    রবিবার সুর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদন করার সময় তাঁদের সেখানে দেওয়া হবে তিন বাহিনীর গার্ড অব অনার। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পরে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গন সর্ব সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

    ছাব্বিশে মার্চ উপলক্ষে ধোয়া-মোছা ও প্রস্তুতির জন্য জনসাধাণের জন্য প্রবেশ বন্ধ রয়েছে স্মৃতিসৌধে। ইতিমধ্যেই সকল প্রস্তুতির কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
    স্মৃতিসৌধের ধোয়া-মোছা ও রঙ-তুলির কাজও শেষ হয়েছে। বিভিন্ন ফুলের গাছ সাজানোসহ স্মৃতিসৌধ সাজানো হয়েছে নান্দনিক রূপে। দিবসটি পালনে সব প্রস্ততি সম্পন্ন করেছে সাভার গণপূর্ত বিভাগ।

    মাসব্যাপী চলা পরিস্কার পরিচ্ছন্নতাসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে এ কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা জানান, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ চলেছে মাসব্যাপী। ধোয়া-মোছা ও রং তুলির কাজও শেষ হয়েছে।

    সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্নের কথা উল্লেখ করে সাভার গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান গতকাল বলেন, ’২৬ মার্চ উদযাপনে যাবতীয় প্রস্তুতি এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।’

    জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাভারের সংসদ সদস্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। তিনি বলেন, ‘এদিন ভোরে রাস্তার দুই পাশে দলীয় নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীসহ নেতৃবৃন্দকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত থাকবেন।’

    জাতীয় স্মৃতিসৌধসহ এর আশেপাশে চারস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে স্মৃতিসৌধ ও এর আশেপাশের এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারী বাড়ানো এবং পুলিশ ওয়াচ টাওয়ার স্থাপনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। পোশাকে এবং সাদা পোশাকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এদিন সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকবেন।

     

  • টঙ্গী সাভার কেরানীগঞ্জ ঢাকা সিটি করপোরেশনের সঙ্গে যুক্ত হতে চলছে

    সত্যেরসংবাদ ডেস্ক: ঢাকা সিটি করপোরেশনের সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছে এর পার্শ্ববর্তী শহর টঙ্গী, সাভার ও কেরানীগঞ্জ। অত্যাধুনিক বাসযোগ্য শহর হিসেবে ঢাকাকে গড়ে তুলতে এটি সহায়ক হবে বলে জানিয়েছেন সার্ভেয়ার জেনারেল অব বাংলাদেশ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. হাবিবুল হক। ২০ মার্চ সোমবার বিজয় সরণির বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরের মাল্টিপারপাস হলে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ জরিপ অধিদফতরের শীর্ষ এ কর্মকর্তা এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আকাশ আলোকচিত্র ধারণের মাধ্যমে ঢাকা শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার বৃহৎ স্কেলের টপোগ্রাফিক্যাল মানচিত্র প্রণয়ন করার জন্য জরিপ অধিদফতর থেকে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। কারণ টঙ্গী, সাভার ও কেরানীগঞ্জ বাইরে হলেও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছে। আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানায়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ জরিপ অধিদফতরের নেওয়া ‘আকাশ আলোকচিত্র ধারণের মাধ্যমে ঢাকা শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার বৃহৎ স্কেলের টপোগ্রাফিক্যাল মানচিত্র প্রণয়ন (২য় সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পের অবহিতকরণ সেমিনার ছিল এটি। সেমিনারে জরিপ অধিদফতরের সার্ভেয়ার জেনারেল ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. হাবিবুল হক বলেছেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন কাজে নিয়োজিত সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও গবেষণা সংস্থাকে ঢাকা শহরের সর্বশেষ ভূ-স্থানিক তথ্য-উপাত্ত সমৃদ্ধ বৃহৎ স্কেলের (১:২,৫০০) জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম (জিআইএস) ডাটাবেজসহ ডিজিটাল মানচিত্র সরবরাহ করা সম্ভব হবে। এর মাধ্যমে ঢাকাকে অত্যাধুনিক বাসযোগ্য শহর হিসাবে গড়ে তোলার জন্য সহায়ক হবে। ঢাকা নগরীকে আধুনিক, দৃষ্টিনন্দন ও বাসযোগ্য করতে এবং সকল ধরনের নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার কাজ করছে। এ যাত্রায় বাংলাদেশ জরিপ অধিদফতরের ভূ-স্থানিক তথ্য-উপাত্ত এক নতুন মাত্রা যোগ করবে। তিনি বলেন, ড্যাপ অনুযায়ী ঢাকা শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আয়তন আনুমানিক এক হাজার ৫২৮ বর্গ কিলোমিটার। ২০০৩ সালে বাংলাদেশ জরিপ অধিদফতরের ধারণ করা আকাশ আলোকচিত্রের মাধ্যমে ঢাকা শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ১২২টি ১:৫,০০০ স্কেলের মানচিত্র প্রণয়ন করেছে। ওই মানচিত্র ব্যবহার করে বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নাধীন আছে। এ মানচিত্রগুলো পুরনো বিধায় এর সাহায্যে পরিকল্পনাবিদদের চাহিদা পূরণ করা যাচ্ছে না। ইতোমধ্যে শহরের জনসংখ্যা ও অবয়ব অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ঢাকা শহরের পার্শ্ববর্তী শহর টঙ্গী, সাভার ও কেরানীগঞ্জ ঢাকা সিটি করপোরেশনের বাইরে হলেও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাথে যুক্ত হতে চলেছে। ঢাকা শহর ও তৎপার্শ্ববর্তী শহরগুলোতে শিল্পায়ন দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের প্রত্যন্ত এলাকা হতে বিপুল সংখ্যক লোক কর্মসংস্থানের জন্য ঢাকায় ছুটে আসছে। ড্যাপ-এর সফল বাস্তবায়নের জন্য নগরীর উন্নয়নের সাথে জড়িত সকল সংস্থা ও সর্বোপরি জনসাধারণের সমন্বিত প্রচেষ্টা এবং উদ্যোগ একান্তভাবে প্রয়োজন। বর্তমানে ঢাকাবাসী নানা সমস্যায় জর্জরিত। যানজট, জলাবদ্ধতাসহ অন্যান্য নাগরিক সমস্যায় প্রতিনিয়ত নাকাল হচ্ছে মানুষ। যত্রতত্র কলকারখানা স্থাপনের কারণে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। নদী, খাল, জলাশয় ভরাট, ও নির্বিচারে কৃষিভূমি ধ্বংস করে আবাসিক এলাকায় পরিণত করা হচ্ছে। ডিটেইল্ড এরিয়া প্লান মূলত সমাজের সকল স্তরের মানুষের চাহিদা এবং চিন্তাভাবনার একটি মিশ্র প্রতিফলন। এটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা শহরের সামগ্রিক উন্নয়নে একটি সাম্যাবস্থা তৈরি হবে বলে আশা করা যায়। আর ড্যাপ-এর সফল বাস্তবায়নের জন্য ‘আকাশ আলোকচিত্র ধারণের মাধ্যমে ঢাকা শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার বৃহৎ স্কেলের টপোগ্রাফিক্যাল মানচিত্র প্রণয়ন’ প্রকল্প থেকে প্রাপ্ত ডাটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা, জরিপ অধিদফতরের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা এবং ভূ-স্থানিক তথ্য-উপাত্ত ব্যবহারকারী বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।