Author: sattersangbad24

  • বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ‘বাঙালী’ ও ‘মুসলমান’ বিষয়ের জ্ঞানগর্ভ

    বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ‘বাঙালী’ ও ‘মুসলমান’ বিষয়ের জ্ঞানগর্ভ

    বোরহান বিশ্বাসঃ

    ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটলেও বঙ্গবন্ধু তখনও বন্দী ছিলেন পাকিস্তান কারাগারে। দেশ-বিদেশে চলছিল বঙ্গবন্ধুকে ফিরিয়ে আনার সংগ্রাম। তাঁকে ছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা, ৩০ লাখ মানুষের আত্মাহুতি ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম হারানোর বেদনার ইতিহাস- সবকিছুই ছিল অসম্পূর্ণ।

    ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানী হানাদাররা বাঙালীর এই অবিসংবাদিত নেতাকে তাঁর ধানম-ির বাসা থেকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী করে রাখে। বাঙালী যখন স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করছে, বঙ্গবন্ধু তখন পাকিস্তানের কারাগারে প্রহসনের বিচারে ফাঁসির আসামি হিসেবে মৃত্যুর প্রহর গুনছিলেন। আন্তর্জাতিক চাপে পরাজিত পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী শেষ পর্যন্ত ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বন্দীদশা থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ২৯০ দিন পাকিস্তানের কারাগারে কাটানোর পর লন্ডন-দিল্লী হয়ে তিনি ঢাকায় পৌঁছান ১০ জানুয়ারি।

    সেদিন বাংলাদেশে ছিল উৎসবের আমেজ। পূর্ণতা পেয়েছিল অর্জিত স্বাধীনতা আর বিজয়। বঙ্গবন্ধুর জন্য গোটা বাঙালী জাতির সে কি রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষা! বিমানবন্দর থেকে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দান (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পর্যন্ত রাস্তা ছিল লোকে লোকারণ্য। স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বঙ্গবন্ধু। দীর্ঘ নয় মাস পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের গণহত্যার কথা শুনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি। তেজগাঁও বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধুকে বহনকারী বিমানটি অবতরণ করার পর খোলা গাড়িতে দাঁড়িয়ে জনসমুদ্রের ভেতর দিয়ে রেসকোর্স ময়দানে এসে পৌঁছাতে আড়াই ঘণ্টা সময় লেগে যায়। এই ময়দানেই বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে বজ্রকণ্ঠে যে ভাষণ দিয়েছিলেন সেটি ছিল ১৮ মিনিটের। আর ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে তিনি প্রায় ১৭ মিনিট জাতির উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা করেন।

    যাদের ত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সেদিন বঙ্গবন্ধু ভাষণের শুরুতে বলেছিলেন, ‘স্মরণ করি আমার বাংলাদেশের ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক, বুদ্ধিজীবী, সিপাই, পুলিশ, জনগণ, হিন্দু, মুসলমান যাদেরকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের আত্মার মঙ্গল কামনা করে, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে আপনাদের কাছে দুই একটা কথা বলতে চাই।’

    আবেগের আতিশয্যে মাইকের সামনে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু শিশুর মতো কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘সাত কোটি সন্তানেরে হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ বাঙালী করে মানুষ করোনি। কবিগুরুর কথা মিথ্যা প্রমাণ হয়ে গেছে, আমার বাঙালী আজ মানুষ।’

    ভাষণের এক পর্যায়ে তিনি বলেন, ‘আমার সেলের পাশে কবর খোঁড়া হয়েছিল। আমি প্রস্তুত হয়েছিলাম। বলেছিলাম, আমি বাঙালী, আমি মানুষ, আমি মুসলমান, মুসলমান একবার মরে দুইবার মরে না।’ কত বড় দার্শনিকের কথা! ‘বাঙালী’ এবং ‘মুসলমান’।

    বাঙালী হয়ে আমরা সবাই বাংলা নববর্ষ ‘পহেলা বৈশাখ’ উদযাপন করি। বৈশাখী মেলায় যাই। এই সংস্কৃতি বাঙালীর চিরায়ত ঐতিহ্যেরই অংশ। আবার ধর্মীয় বিশ্বাসের জায়গা থেকে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ কিংবা খ্রিস্টান হিসেবে আমরা ঈদ, পূজা, পূর্ণিমা কিংবা বড়দিন উদযাপন করে থাকি। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ থেকে মুসলমান হয়েও বাঙালী হিসেবে আমরা মন্দিরে যাই। বন্ধু হিসেবে তাদের আতিথেয়তা গ্রহণ করি। তাইতো বলা হয়ে থাকে ধর্ম যার যার উৎসব সবার। কখনও কখনও ঈদ, পূজায় আমরা হয়তো ভাগ হয়ে যাই। যার যার মতো করে উৎসব পালন করি। কিন্তু বৈশাখের প্রথম দিন, একুশে ফেব্রুয়ারি, স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসে সবাই এক হয়ে যাই। কারণ ওই দিনগুলোতে আমরা হিন্দু-মুসলিম থাকি না, বাঙালী হয়ে যাই; দেশটা হয়ে যায় সবার। ‘গ্রামের নওজোয়ান হিন্দু-মুসলমান, মিলিয়া বাউলা গান আর মুর্শিদী গাইতাম/আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম…।’ এর চেয়ে সুন্দর কথা কি হতে পারে!

    হিন্দু অধ্যুষিত বৃহৎ রাষ্ট্র ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেই পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে স্বদেশে ফেরার পথে দিল্লীর প্যারেড গ্রাউন্ডের জনসভায় বঙ্গবন্ধু তাঁর সংক্ষিপ্ত ও মর্মস্পর্শী ভাষণের এক জায়গায় বলেছিলেন, ‘আমাকে প্রশ্ন করা হয় শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে আপনার আদর্শের এত মিল কেন? আমি বলি- এটা আদর্শের মিল, নীতির মিল, এটা মনুষ্যত্বের মিল, এটা বিশ্বশান্তির জন্য মিল।’

    বংশপরম্পরায় বাগদাদের দরবেশ বংশের উত্তরাধিকার ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তাঁর বাবা-মা ছিলেন ধার্মিক মানুষ। মানুষের নিজ নিজ ধর্মের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন তিনি। স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে তাঁর ধর্মনিরপেক্ষতার উৎস ছিল রাসুল (সা.)-এর মদিনা সনদের শিক্ষার অনুসরণে।

    ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বেতার ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে, আমরা ইসলামে বিশ্বাসী নই। এ কথার জবাবে আমাদের সুস্পষ্ট বক্তব্য, আমরা লেবাসসর্বস্ব ইসলামে বিশ্বাসী নই। আমরা বিশ্বাসী ইনসাফের ইসলামে। আমাদের ইসলাম হজরত রাসুলে করিম (সা.)-এর ইসলাম। যে ইসলাম জগদ্বাসীকে শিক্ষা দিয়েছে ন্যায় ও সুবিচারের অমোঘ মন্ত্র। ইসলামের প্রবক্তা সেজে পাকিস্তানের মাটিতে বারবার যারা অন্যায়, অত্যাচার, শোষণ, বঞ্চনার পৃষ্ঠপোষকতা করছে, আমাদের সংগ্রাম সেই মুনাফিকদের বিরুদ্ধে। যে দেশের শতকরা ৯৫ জন মুসলমান, সে দেশে ইসলামবিরোধী আইন পাসের ভাবনা ভাবতে পারে তারাই, ইসলামকে যারা ব্যবহার করে দুনিয়াকে শায়েস্তা করার জন্য।’ ১৯৭৫ সালের ২৮ মার্চ রাষ্ট্রপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক অধ্যাদেশ জারি করে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেন। মেশকাত শরিফের অনুবাদক হিসেবে সুপরিচিত মাওলানা ফজলুল করিমকে সেই ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক নিয়োগ করেন। ‘বায়তুল মোকাররম সোসাইটি’ এবং ‘ইসলামিক একাডেমি’ নামে তৎকালীন দুটি সংস্থার বিলোপ সাধন করে এই ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়। বঙ্গবন্ধু মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডকে পুনর্গঠন করেন। জুয়া, হাউজি, মদসহ অসামাজিক কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করে শাস্তির বিধান করেন। কাকরাইল মসজিদের সম্প্রসারণ করে রমনা পার্কের অনেকখানি জায়গা নেয়ার প্রয়োজন দেখা দিলে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে বঙ্গবন্ধু নির্দ্বিধায় সরকারের পক্ষ থেকে জমি দেয়ার যাবতীয় ব্যবস্থা করে দেন।

    বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ‘বাঙালী’ ও ‘মুসলমান’ বিষয়ে যে জ্ঞানগর্ভ বিষয়ের দিকে ইঙ্গিত করেছেন আজ সময় এসেছে তা নিয়ে গবেষণার। বিষয় দুটির ওপর আলোকপাত করে তার যথার্থ ও সুষ্ঠু প্রয়োগ করা গেলেই রাতারাতি পাল্টে যেতে পারে আমাদের বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা। প্রকৃত বাঙালী ও মুসলমানের দ্বারা কখনই অন্যায় ও নীতিহীন কাজ সম্ভব নয়।

    লেখক : সাংবাদিক
    সূত্রঃ অনলাইন

  • দেশের ১৬ কোটি মানুষকেই ইন্টারনেট সেবার আওতায় আনবোঃ প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা জয়

    দেশের ১৬ কোটি মানুষকেই ইন্টারনেট সেবার আওতায় আনবোঃ প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা জয়

    • সত্যেরসংবাদডেক্সঃ

    দেশের ১৬ কোটি মানুষকে ইন্টারনেট সেবার আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। রবিবার সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।

    সজীব ওয়াজেদ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে সবার দাবি সব জায়গায় ওয়াইফাই জোন করে দেওয়ার। বিশেষ করে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের। সে কারণেই আমরা এই প্রকল্প হাতে নিয়েছিলাম। ডিজিটাল বাংলাদেশের যাত্রা যখন শুরু করি, তখন অনলাইন তো দূরের কথা, ইন্টারনেট কানেকশনেরই অভাব ছিল। মাত্র ১ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট সুবিধা পেত। এখন সেটা প্রায় ৬০ শতাংশে চলে এসেছে। আমরা গত ১০ বছরে ১০ কোটির বেশি মানুষকে অনলাইনে এনেছি।

    এদিন দেশের সব সরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের আওতাধীন সাতটি কলেজে ওয়াইফাই সংযোগ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জয়।

    তিনি বলেন, আমাদের তরুণদের দাবি, সব জায়গা তাদের ওয়াইফাই করে দেওয়া। সেটা কিন্তু আমাদের আওয়ামী লীগ সরকার করে যাচ্ছে। এই প্রকল্প হলো সেটারই অংশ। এই কাজ চলমান থাকবে। সারাদেশেই আমরা ইন্টারনেট আনছি, ইউনিয়ন পর্যন্ত আমরা ফাইবার নিয়ে যাচ্ছি।

    প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, আমার স্বপ্ন হচ্ছে দেশের সকল ১৬ কোটি মানুষকেই আমরা অনলাইনে আনবো। এটা হচ্ছে আমাদের ওয়াদা।

    অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, সচিব নূর-উর-রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ডাক ও টেলিযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার দায়িত্ব গ্রহণের পর ‘ইনস্টলেশন অব অপটিক্যাল ফাইভার ক্যাবল নেটওয়ার্ক অ্যাট গভর্মেন্ট কলেজ, ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট’ শীর্ষক প্রকল্পটি গৃহীত হয়। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন বিটিসিএল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

    প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ৫৮৭টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড (উচ্চগতি) ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। পর্যায়ক্রমে বেসরকারি কলেজ ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং এরপর স্কুলসহ অন্য সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও ওয়াইফাই চালু করা হবে।

    প্রথম এক বছর সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ১০ এমবিপিএস বা প্রয়োজনমতো বিনামূল্যে ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হবে। চলতি বছরের জুনের মধ্যে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন শেষ হবে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫ কোটি টাকা।

    ৫৮৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৪৩, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৫, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০৭, বরিশাল বিভাগে ৪৫, খুলনা বিভাগে ৮৩, রাজশাহী বিভাগে ৮৫, রংপুর বিভাগে ৫৬ ও সিলেট বিভাগের ৩৩টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

  • বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা

    বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা

    • নিজেস্ব প্রতিবেকঃ

    সাভারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    রবিবার দুপুরে সাভারের মুক্তিরমোড় এলাকায় বঙ্গবন্ধু চত্বর থেকে এই বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়।

    সাভার উপজেলা প্রশাসন ও সাভার পৌরসভার যৌথ আয়োজনে আনন্দ শোভাযাত্রাটি ঢাকা আরিচা মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাভার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজীব ও সাভার পৌরসভার মেয়র হাজী আব্দুল গণি, পৌর প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম মানিক মোল্লা, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন খাঁন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজুর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক প্রমুখ সহ বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

    সম্পাদনায়ঃ নাছিমা আক্তার।।

  • সাভার ফুলবাড়িয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ছিরহাদ তপদার নিখোঁজ

    সাভার ফুলবাড়িয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ছিরহাদ তপদার নিখোঁজ

    ঢাকা জেলার সাভার ফুলবাড়িয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ছিরহাদ তপদার নিখোঁজ। শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ থানার মোঃ হাবিব তপদারের ছেলে ছিরহাদ (১৪) তপদার। রবিবার সকালে সাভার ফুলবাড়িয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা থেকে নিখোঁজ হয়।

    ছিরহাদ তপদারের সন্ধান পেলে নিচের নাম্বারে যোগাযোগ করার আহবান রইলোঃ 01791330070,
    01736839886। বিজ্ঞপ্তি

  • সাভারে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মাফুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

    সাভারে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মাফুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

    ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

    সাভারের অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মাহফুজুর রহমান মাফু (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ছাত্রলীগনেতা সাভার পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রুবেল মন্ডল। রোববার রাতে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের অন্ধ কল্যাণ মার্কেটে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ওই যুবককে।

    প্রত্যক্ষদর্শী ও মার্কেটের ব্যবসায়ী সূত্রে জানা যায়, সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মাহফুজুর রহমান মাফু ও সাভার পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রুবেল মন্ডলের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। মার্কেট থেকে মাসোহারা, মার্কেটের সামনে রাস্তার পাশের দোকান ও লেগুনা স্ট্যান্ডে পরিবহন থেকে চাঁদা আদায় নিয়ে এর আগেও বিভিন্ন সময়ে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।

    এরই জেরে বোরবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মাহফুজুর রহমান মাফুসহ তার লোকজনক অন্ধ মার্কেটে গেলে তাদের ধাওয়া করে ছাত্রলীগ নেতা রুবেল মন্ডল ও তার লোকজন। ধাওয়ারমুখে সবাই পালিয়ে গেলেও মাফুকে ধরে এনে বেধড়ক পিটুনি দেয় তারা। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ। রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ ও ডিবি। পরের দিন মঙ্গলবার ১৩ জনসহ অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জনকে আসামী করে সাভার মডেল থানায় নিহতের স্ত্রী একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত মাফু সাভার পৌর এলাকার শাহীবাগ মহল্লার একটি ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে থাকতেন।

    সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূর মোহাম্মদ খান বলেন, এঘটনার পর অভিযান চালিয়ে আমির হোসেন টিপু, ফরিদ হোসেন বাবু ও দেলোয়ার হোসেন দুলাল নামে ৩ আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে বাকী আসামীদের ব্যাপারে এ মূহুর্তে বিস্তারিত বলা যাচ্ছেনা। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে হত্যাকান্ডে জড়িত সকল আসামীকে গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।

    এদিকে, এই হত্যাকান্ডের থেকেই পলাতক রয়েছেন ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত রুবেল মন্ডল। তার বিরুদ্ধে চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে নির্যাতনসহ মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। সাভারে একক অধিপত্য বিস্তার করতে গিয়ে তার বিরুদ্ধে দলীয় নেতাকর্মীকেও নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে চাঁদাবাজি ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা দয়ের করেন স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা রায়হান ইসলাম রিপন। এছাড়া সাভার বাসস্ট্যান্ডের চৌরঙ্গী সুপার মার্কেটের সামনে সাভার পৌর শ্রমিকলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগে দায়েকৃত মামলার প্রধান আসামীও রুবেল মন্ডল।

    এব্যাপারে অভিযুক্ত রুবেল মন্ডলের সাথে বার বার যোগেযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

    সাভার পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আতাউর রহমান অভি জানান, রুবেল মন্ডল সাভার পৌর ছাত্রলীগের চলতি কমিটির সাধারণ সম্পাদক। তবে কোন ব্যক্তির অপকর্মের দায় কখনও ছাত্রলীগ নেবেনা।

  • ধামরাইয়ে ধর্ষন মামলার প্রধান আসামী সোহেলকে ১১ দিন পর শ্রীপুর থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৪

    ধামরাইয়ে ধর্ষন মামলার প্রধান আসামী সোহেলকে ১১ দিন পর শ্রীপুর থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৪

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃধামরাই থানা এলাকায় একটি ধর্ষণের ঘটনায় র‌্যাবের গোয়েন্দা দল আসামীদের গ্রেফতারের জন্য সিপিসি-২, র‌্যাব-৪ এর কোম্পানী কমান্ডার মেজর শিবলী মোস্তফার অভিযানে একটি দল ১১ দিন পর সোমবার ১৩ জুলাই দুপুর ২ টায় শ্রীপুর থানার তেলীহাটি এলাকা প্রধান আসামী মোঃ সোহেল রানা ওরফে বাবু (৩০), পিতা- আঃ আহাদ, ভাড়ারিয়া উত্তরপাড়া, থানা- মানিকগঞ্জ সদর, জেলা- মানিকগঞ্জকে গ্রেফতার করেছে।

    সম্প্রতি ৩ জানুয়ারি ধামরাই থানা এলাকায় একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঐ ঘটনায় ধর্ষনের শিকার তার ভাই বাদী হয়ে ধামরাই থানায় ০৪ জন সহ অজ্ঞাতনামা ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ধামরাই থানায় মামলা নং-০২,৬ জানুয়ারি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এর ৯(১)/৩০। ধর্ষণের ঘটনা বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচার হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার পর আসামীরা এলাকা ছেড়ে অন্যত্র আত্বগোপন করে।
    বাকী আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান র‌্যাব-৪ এর কোম্পানী কমান্ডার মেজর শিবলী মোস্তফা।

  • সাভারের আশুলিয়ায় পুলিশের অভিযানে জাবির নব্য জেএমবি’র আইটি প্রধানের স্ত্রী গ্রেফতারের পর পরিচয় মিলছে

    সাভারের আশুলিয়ায় পুলিশের অভিযানে জাবির নব্য জেএমবি’র আইটি প্রধানের স্ত্রী গ্রেফতারের পর পরিচয় মিলছে

    • শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ

    আশুলিয়ার থানার এস আই আব্দুল জলিল প্রাথমিকভাবে জানায়, শায়লা শারমিন গাজীপুর জেলার সদর থানার বহরিয়াচালা গ্রামের মো. দুলাল আহমেদের মেয়ে। শায়লা শারমিনের স্বামীর নাম তানভীর আহাম্মেদ (২৪)। সে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এর ৪৬ তম আবর্তনের আইআইটি বিভাগের শিক্ষার্থী। সে ঢাকা বনশ্রীর (ব্লক এল) মো. আলীর ছেলে।

    ১৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার নারীর রবাত দিয়ে আরও জানা যায়, গত দুই বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। ফেসবুকের মাধ্যমে দুইজেনর পরিচয় থেকে প্রেম, তারপর বিয়ে। গত ৫ মাস আগে শায়লা বাপের বাড়ি থেকে তানভীর তাকে আশুলিয়ার গোকুলনগর এলাকায় নিয়ে এসে বসবাস শুরু করে।

    এদিকে তানভীর নব্য জেএমবি’র আইট প্রধান বলে নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার। তাকে গ্রেপ্তার করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যহত রয়েছে বলেও নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার।

  • সাভারের আশুলিয়া পুলিশ অভিযান চালিয়ে জাবির নব্য জেএমবির আইটি বিভাগের প্রধানের স্ত্রীসহ সরঞ্জামদী আটক

    সাভারের আশুলিয়া পুলিশ অভিযান চালিয়ে জাবির নব্য জেএমবির আইটি বিভাগের প্রধানের স্ত্রীসহ সরঞ্জামদী আটক

    শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার থেকেঃ

    সাভারের আশুলিয়ায় নব্য জেএমবির আইটি বিভাগের প্রধান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইটি বিভাগের প্রধান তানভীর আহমেদ এর স্ত্রী শায়েলা শারমীনকে আটক করেছে পুলিশ।
    সোমবার ১৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের গকুলনগর এলাকায় সৌদি প্রবাসী জনৈক আখতার হোসেনের দোতলা বাড়ির নিচ তলার ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে আশুলিয়া থানা পুলিশ।পুলিশ জানায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে গোপন সংবাদের ভিতিত্বে ওই দোতলা বাড়িটি ঘিরে রাখা হয়। পরে বাড়ির নিচতলার একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালায় পুলিশ।

    https://youtu.be/6IWzBF_ZTjQ (ভিডিও)
    এসময় ফ্ল্যাটে তল্লাশী চালিয়ে বেশ কয়েটি হাত বোমা,তিন টি খেলনা পিস্তল,ছুরিসহ বিভিন্ন সরঞ্জামদী উদ্ধার করে পুলিশ। আইআইটি বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ জেএমবির স্ত্রী শায়েলা শারমীনকে আটক করা হয়। এছাড়া নব্য জেএমবির আইটি বিভাগের প্রধান তারভীর আহমেদ পলাতক থাকায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
    অভিযান পরিচালনা শেষে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, উদ্ধার করা বিভিন্ন সরঞ্জামদী দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলার পরিকল্পনা করতে চেয়েছি ওই নব্য জে এমবির আইটি বিভাগের প্রধান। তাকে আটকের প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া তার সাথে অন্য কোন জেএমবির সদস্যদের যোগাযোগ ছিলো কিনা সেটিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তিনি আরও জানান গত দেড় মাস আগে ওই নব্য জেমবির আইটি বিভাগের প্রধান ও তার স্ত্রী দোতলা বাড়ির নিচ তলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। বাড়িটি সবসময় বাহিরে থেকে তালা বন্ধ থাকতো বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তাদের গ্রামের বাড়ির ঠিকানা এখনো জানাতে পারেনি পুলিশ। এঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ওল বাড়িতে জেএমবি আইটি বিভাগের প্রধান থাকতো এবং সবসময় বাহিরে থেকে তালাবদ্ধ থাকতো এমন সংবাদ পেয়ে সন্ধ্যা থেকে পুলিশ অভিযানের খবর পেয়ে ভিড় করে এলাকাবাসী।

     

  • পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অভিযানে সাভারে জঙ্গি সন্দেহে এক নারীকে আটক

    পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অভিযানে সাভারে জঙ্গি সন্দেহে এক নারীকে আটক

    সাভারের আশুলিয়ার গকুলনগর এলাকায় জঙ্গি সন্দেহে ঘিরে রাখা দুই তলা ভবন থেকে এক নারীকে আটক করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) সদস্যরা।

    সোমবার (১২ জানুযারী) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওই নারীকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু।

    বিকেল ৫টা থেকে গকুলনগর বাজার সংলগ্ন আক্তার হোসেনের বাড়িটি ঘিরে রাখা হয়।
    জানা গেছে, ১ বছর ধরে দুই তলা ওই বাড়িটি নির্মাণ করা হয় এক প্রবাসী। জানুয়ারির প্রথম দিকে এক দম্পতি বাড়িটি ভাড়া নিয়েছেন।

    আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু বলেন, জঙ্গি সন্দেহে আমরা বিকেল থেকে এই বাড়িটিতে অভিযান পরিচালনা করছি। এখন পর্যন্ত এক নারীকে আটক করা হয়েছে। অভিযান চলছে-

  • হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনো সংবাদ সংগ্রহ এবং ছবি তোলা যাবে নাঃ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনো সংবাদ সংগ্রহ এবং ছবি তোলা যাবে নাঃ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়

     

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনো সংবাদ সংগ্রহ এবং ছবি তোলা যাবে না। রোববার ১২ জানুয়ারি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে এ ব্যাপারে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
    প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গবেষণা, জরিপ, অন্য কোনো তথ্য বা সংবাদ সংগ্রহের জন্য তথ্য সংগ্রহকারী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন অথবা সংগৃহীত তথ্য বা সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতার বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন। বিনা অনুমতিতে হাসপাতালের ভেতরে রোগী বা স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের কোনো স্থিরচিত্র বা ভিডিও চিত্র ধারণ করতে পারবেন না।
    মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো: আবু রায়হান মিঞা স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনটির অনুলিপি স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, সব বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক, হাসপাতাল ও ক্লিনিকের পরিচালক, সব বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য), সব সিভিল সার্জন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের দেয়া হয়েছে।
    সরকারি হাসপাতালে দর্শনার্থী ব্যবস্থাপনা শীর্ষক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দেশের সব সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে মানসম্মত চিকিৎসা দেয়া সরকারের লক্ষ্য। নিরাপদ চিকিৎসার জন্য রোগীর সাথে আসা দর্শনার্থীদের নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। কেননা তাদের স্বাস্থ্যবিষয়ক অজ্ঞতা এবং রোগজীবাণুর সংক্রমণ রোধে করণীয় বিষয়ে জ্ঞানের অভাবে অধিকাংশ সময়ই কাক্সিক্ষত পরিবেশ বা পরিস্থিতির অবনতি হয়। এ অবস্থায় দেশের সব সরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকে নির্দেশক্রমে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো।

    প্রত্যেক হাসপাতালে দর্শনার্থী পাস চালু করতে হবে এবং প্রতিটি পাসের জন্য নিরাপত্তা জামানত চালু করা যেতে পারে। রোগীর অসুস্থতা বিবেচনায় একজন রোগীকে সহায়তা করার জন্য সর্বোচ্চ দুইজন দর্শনার্থীকে পাস দেয়া যেতে পারে। হাসপাতাল ত্যাগের আগেই পাস ফেরত দিয়ে নিরাপত্তা জামানত ফেরত নিতে পারবেন।
    নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, হাসপাতালের সব চিকিৎসক, নার্সসহ কর্মচারীরা বৈধ পরিচয়পত্র দৃশ্যমানভাবে বহন করবেন। আগত দর্শনার্থীদের জন্য পাস ইস্যু করার সময় নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, পরিদর্শনের কারণ ইত্যাদি তথ্য সংবলিত রেজিস্ট্রার সংরক্ষণ করা যেতে পারে। দর্শনার্থী বিষয়ক নিয়মাবলি রোগী বা রোগীর সাহায্যকারীকে অবহিত করতে হবে। এ ছাড়া দর্শনার্থীবিষয়ক নিয়মাবলি সহজে দৃষ্টিগোচর হয় এমন জায়গায় রাখতে হবে।