Author: sattersangbad24

  • “মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার”যৌনপল্লির সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের শিক্ষা–উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানেঃ ডিআইজি হাবিবুর রহমান

    “মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার”যৌনপল্লির সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের শিক্ষা–উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানেঃ ডিআইজি হাবিবুর রহমান

    • ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

    যৌনপল্লির বাসিন্দাদের সমাজের আর সব সাধারণ মানুষের মতো বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। পল্লির শিশুদের সাধারণ সামাজিক মর্যাদার সঙ্গে বড় হয়ে ওঠার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। শিশুদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
    কথাগুলো বলেছেন পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) হাবিবুর রহমান। গতকাল বুধবার দৌলতদিয়ার যৌনপল্লির সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের মধ্যে শিক্ষা–উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। দৌলতদিয়ার যৌনকর্মীদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন মুক্তি মহিলা সমিতির (এমএমএস) মাঠে এই অনুষ্ঠান হয়।আয়োজন করে গোয়ালন্দ থানার পুলিশ।

    গোয়ালন্দ ঘাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল তায়াবীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন গোয়ালন্দ ঘাট থানার নবাগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশিকুর রহমান।
    গতকাল দৌলতদিয়া ঘাটের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে স্থাপিত ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকে উদ্বোধন করেন ডিআইজি হাবিবুর রহমান।

    হাবিবুর রহমান আরও বলেন, ‘যৌনকর্মীদের সন্তানদের পড়াশোনার সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার সঙ্গে মানুষ হওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার দায়িত্ব আমার আপনার সবার। শুধু যৌনকর্মী বা তাঁদের সন্তানেরাই নয়, এই সমাজে যাঁরা তৃতীয় লিঙ্গ বা হিজড়া হিসেবে পরিচিত, তাঁদেরও পুনর্বাসন করতে হবে। বেদে সম্প্রদায়কে নিয়েও ভাবতে হবে। এ কারণে আমাদের এবারের স্লোগান “মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার”।’
    আজকের অনুষ্ঠানে যৌনপল্লির সুবিধাবঞ্চিত দুই শতাধিক শিশু-কিশোরের হাতে শিক্ষা–উপকরণ হিসেবে স্কুলব্যাগ, খাতা-বই-কলম, বক্স, দুধের ফিডারসহ নানা ধরনের উপকরণ তুলে দেওয়া হয়।
    রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠান হয়।
    অনুষ্ঠানে অন্যন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন,
    রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আবদুল জব্বার, ফরিদপুর অঞ্চলের হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ শরীফ-উজ-জামান, গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান, মুক্তি মহিলা সমিতির নির্বাহী পরিচালক মর্জিনা বেগম, চাইল্ড ক্লাবের চেয়ারম্যান ফারহান রাসেল, যৌনকর্মীদের পক্ষে ঝুমুর বেগম প্রমুখ।

    এরপর বিকেলে কমিউনিটি পুলিশের উদ্যোগে রাজবাড়ী পুলিশ লাইন্সে সুধী সমাবেশে অংশ নেন এবং ‘লালজমিন’- একক নাট্যাভিনয় সহ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। রাজবাড়ী রিজার্ভ অফিস বাৎসরিক পরিদর্শনের পাশাপাশি এসব সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন ঢাকা রেঞ্জের
    ডিআইজি হাবিবুর রহমান।

  • কালের স্বাক্ষী মানিকগঞ্জের আটিগ্রাম ইউনিয়ন

    কালের স্বাক্ষী মানিকগঞ্জের আটিগ্রাম ইউনিয়ন

    মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী ইউনিয়ন হলো আটিগ্রাম ইউনিয়ন।

    আটিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ কালের স্বাক্ষী বহনকারী ধলেশ্বরী নদীর তীরে গড়ে উঠা কাল পরিক্রমায় আজ আটিগ্রাম ইউনিয়ন শিক্ষা, সংস্কৃতি, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, খেলাধুলা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার নিজস্ব স্বকীয়তা আজও সমুজ্জ্বল।

    নদী মাতৃক দেশ  বাংলাদেশ। এ দেশের এমন কোন স্থান নাই যার পাশ দিয়ে নদী বয়ে যায় নাই। মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার  মধ্যে  দিয়ে বয়ে গেছে  ধলেশ্বরী নদী।

  • বুনন থিয়েটার এর উপর ডাকাতি হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে শুক্রবারে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবেঃ সাধারন সম্পাদক নীল মনি

    বুনন থিয়েটার এর উপর ডাকাতি হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে শুক্রবারে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবেঃ সাধারন সম্পাদক নীল মনি

    বুনন থিয়েটার এর উপর ডাকাতি হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবীতে আগামীকাল ১৭ জানুয়ারি শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীতে বিকেল ৪.০০ টায় , বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী ,ঢাকা। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবীতে একটি শক্তিশালী সমাবেশের আয়োজন করছে – বাংলাদেশ সম্মিলিত সাংস্কৃতি জোট ও প্রথিতযশা নাট্যজন ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ববর্গরা।

    এহেন এই সংকট সময়ে দলেবলে উপস্থিত থেকে সবার উচিৎ সমাবেশটি সফল করা।

    এটা সবার জন্য সম্মানের। এ আয়োজনে সবাইকে সাথে পাবো এ আশা ও প্রত্যাশা করছি ।

    নীল মনি
    সাধারন সম্পাদক
    বুনন থিয়েটার

  • সাভার পৌর ব্যাংক কলোনি বাড়ি মালিক সমিতির সভাপতির মাতা মুরহুমার স্মরনে আগামী ১৮ জানুয়ারী দোয়া অনুষ্ঠিত হবে

    সাভার পৌর ব্যাংক কলোনি বাড়ি মালিক সমিতির সভাপতির মাতা মুরহুমার স্মরনে আগামী ১৮ জানুয়ারী দোয়া অনুষ্ঠিত হবে

    সাভার পৌর ব্যাংক কলোনি বাড়ি মালিক সমিতির সভাপতির মাতা মুরহুমার স্মরনে আগামী ১৮ জানুয়ারী দোয়া অনুষ্ঠিত হবে,সকলকে উপস্থিত হওয়া অনুরোধ করেছেন সমিতির কর্তৃপক্ষ।।

    সাভার পৌর ব্যাংক কলোনি বাড়ি মালিক সমিতির সভাপতি আযহারের মাতা মোসাঃ রাবেয়া খাতুন গত ১২ জুলাই সকালে সাভারের ব্যংক কলোনি নিজ বাসভবনে বার্ধক্য জনিত কারনে মারা গেছে( ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। সাভার পৌর এলাকার তালবাগ কবরস্থানে তার নামাজের জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মৃত্যুকালে তিনি ছেলে,নাতী,পুতিসহ বহুগুন গ্রাহী রেখে গেছেন।

    তার রুহের মাগফেরাত কামনার জন্য আগামী ১৮ জানুয়ারি শনিবার বিকালে বাদ মাগরিবের পর দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। সকলে উপস্থিত কামনা করছেন সমিতির কর্তৃপক্ষ।
    এলাকার প্রতিবেশী ব্যবসায়ী আব্বাস মোল্লা ভূইয়া জানান, মুরহুমা মোসাঃ রাবেয়া খাতুন তিনি একজন ধার্মিক মানুষ ছিলেন তার রুহের মাগফেরাত কামনার জন্য তিনি সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন। ।। বিজ্ঞপ্তি।।

    সম্পাদনায়ঃ আবুল কালাম আজাদ

  • ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জাবি এলাকায় ট্রাকে মালামাল পুড়ে ছাই, নিয়ন্ত্রনে ফায়ার সার্ভিস

    ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জাবি এলাকায় ট্রাকে মালামাল পুড়ে ছাই, নিয়ন্ত্রনে ফায়ার সার্ভিস

    • নিজেস্ব প্রতিবেক,সাভার থেকেঃ

    সাভারের আশুলিয়ায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে একটি ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির চলন্ত ট্রাকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গভীর রাত ৩টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে আশুলিয়ার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সাভার ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণ ট্রাক ও এতে থাকা আনুমানিক কয়েক লাখ টাকার মালামাল পুড়ে যায়।


    সাভার ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার লিটন আহমেদ বলেন, দিবাগত রাতে রাজধানীর ধোলাইখাল এলাকার থেকে বিপুল পরিমাণ ইলেকট্রিকপন্য স্টেশনারীজসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে বহন করে পাবনার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলো। ঐ ট্রাকটি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে আশুলিয়ার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ এর পিছনের অংশে আগুন ধরে দ্রুত পুরো ট্রাকে ছড়িয়ে পড়ে এবং মালামাল পুরে যায়।
    ইঞ্জিনের ওভারহিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে বলেও জানান এই ফায়ার কর্মকর্তা।

  • ধামরাইয়ে বিভিন্ন স্থানে ৩ দিন ব্যাপী পৌষ মেলা,উৎসবে বিভিন্ন এলাকার মানুষ

    ধামরাইয়ে বিভিন্ন স্থানে ৩ দিন ব্যাপী পৌষ মেলা,উৎসবে বিভিন্ন এলাকার মানুষ

    নিজেস্ব প্রতিবেদক, ধামরাই থেকেঃ ধামরাই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এই দিনটিকে ঘিরে ঐতিহ্যময় সাকরাইন মেলা হয়। ঘুড়ি ওড়ানো, মাটির তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি ও বিভিন্ন রকমের খাবার বিক্রি এই মেলার অন্যতম আকর্ষণ। পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে ধামরাইয়ের ১১টি স্থানে ৩ দিনব্যাপী পৌষ সংক্রান্তি ও হিন্দু সম্প্রদায়ের বুড়াবুড়ির মেলা শুরু হয়েছে।

    বাঙালির সংস্কৃতিতে বারো মাসে তের পার্বণের একটি পার্বণ হলো পৌষ সংক্রান্তি। পৌষ সংক্রান্তি বা মকর সংক্রান্তি বাঙালির সংস্কৃতিতে একটি বিশেষ উৎসবের দিন। বাংলা পৌষ মাসের শেষের দিন এই উৎসব পালন করা হয়। এই দিন বাঙালিরা বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে। তার মধ্যে পিঠা খাওয়া, ঘুড়ি উড়ানো, মাছের মেলা অন্যতম।

    ১৫ জানুয়ারি (বুধবার) ভোর থেকে ধামরাইয়ে শুরু হয়েছে পৌষ সংক্রান্তির মেলা। ধামরাই পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত যাত্রাবাড়ীর বটতলায় কাক ডাকা ভোরে শুরু হয় মেলা আর পৌষের শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করে গতকাল থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থীদের ভীড়ে মেলায় এক মিলন-মেলায় হয়ে উঠেছে। আগত ক্রেতারা কিনছে তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী যা স্থানীয় কামার কুমারের তৈরি জিনিসপত্র।

    এ মেলার অন্যতম আকর্ষণ হলো ঘুড়ি উড়ানো এবং হরেক রকম খাবারের বাহারী। মেলায় রয়েছে খই, বিন্নি, বাতাসা, চিনির তৈরীর খেলনা, ভাজা পেঁয়াজো, চানাচুর, বাদাম, মাটির তৈজষপত্র, বাঁশ-বেতের তৈজষ পত্র, বাচ্চাদের খেলনার দোকান সহ চটপটির দোকান গুলোতে বহু ভীড় দেখা যায়। সকল ধর্মের মানুষ এই মেলায় ভীড় করে লোহার তৈরি দা, বটি সহ গৃহস্থালীর প্রয়োজনীয় মিটানোর জন্য মাটির তৈরী জিনিষপত্র ক্রয় করার হিড়িক ।

    ধর্মীয় গন্ডির মধ্যে পূজা উৎসব হলেও মেলায় সার্বোজনীতা ফুটে উঠেছে। শিশু কিশোরদের জন্য আনন্দের দিন এটি; সকালে ঘুড়ি উড়ানো, হরেক রকমের খাবার আর খেলনা কেনার বায়নাতো রয়েছে মেলাগুলোতে।
    আজ ১৬ জুলাই মেলা হবে ধামরাই পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের আইঙ্গন গ্রামে যা স্থানীয়রা কান্দিকুলের মেলা বলে। কোথাও সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে কোথাও বিকেলে, কিছু এলাকায় আগামীকাল এভাবে  তিনদিন ব্যাপী বিভিন্ন স্থানে মেলা অনুষ্ঠিত হবে ধামরাইয়ের কালামপুর, সোমভাগ, সানোড়া, গোপালপুর, বাড়িগাও, সীতিপাল্লী সহ বিভিন্ন এলাকার মানুুুষ এখন উৎসব মূখর।

  • জাবিতে সেলিম আল দীনের ১২ তম প্রণায়ণ দিবসে যৈবতী কন্যার মন পেইজ উদ্বোধন

    জাবিতে সেলিম আল দীনের ১২ তম প্রণায়ণ দিবসে যৈবতী কন্যার মন পেইজ উদ্বোধন

    জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিশ্ববরেণ্য নাট্যকার সেলিম আল দীনের ১২ তম প্রণায়ণ দিবস উপলক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম আল দীনের কথানাট্য অবলম্বনে বিশিষ্ট চলচিত্র পরিচালক নারগিস আক্তারের পরিচালনায় চলচিত্র যৈবতী কন্যার মন এর ফেইজবুক পেইজ উদ্বোধন। 

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
    জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিশ্ববরেণ্য নাট্যকার সেলিম আল দীনের ১২ তম প্রণায়ণ দিবস উপলক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম আল দীনের কথানাট্য অবলম্বনে বিশিষ্ট চলচিত্র পরিচালক নারগিস আক্তারের পরিচালনায় চলচিত্র যৈবতী কন্যার মন এর ফেইজবুক পেইজ উদ্বোধন করা হয়েছে।
    বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন কলভবনের হলরুমে এ ফেইজ বুক পেইজ উদ্বোধন করেন চলচিত্রটির পরিচালক নারগিস আক্তারসহ নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক ও যৈবতী কন্যার মন ছবির অভিনয় শিল্পীরা। জাবির হলরুমে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় ছবির পরিচালক নারগিস আক্তার,নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সভাপতি ড.সোমা মুমতাজ,নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড.রশিদ হারুন. সেলিম আল দীন প্রয়াণ দিবসের আহবায়ক ইস্রাফিল,ছবির নায়ক গাজী আব্দুন নুরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রচারনের অংশ হিসেবে বুধবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচারণা করা হয়,এসময় ছবিটির কয়েটি গান শিক্ষার্থীদের শুনানো হয়। অনুষ্ঠানে আগতদশনার্থীরা ছবিটির গানের প্রশাংসা করেছেন।
    সরকারী অনুদান ও ফেমকম বাংলাদেশ এর যৌথ প্রয়াসে ছবিটি নির্মিতি হয়েছে এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে এর শ্যুাটিং হয়েছে। ছবিটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের গাজী আব্দুন নূর ও কলকাতার সায়ন্তনী দত্ত। ছবিতে কালিন্দী চরিত্রে সায়ন্তনী দত্ত এবং আলাল চরিত্রে অভিনয় করেছেন গাজী আব্দুন নূর।

    আগামী পহেলা এপ্রিল মাসে ছবিটি মুক্তিদেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ছবির পরিচালক নারগিস আক্তার। তিনি জানান ছবিটি নিয়ে তিনি অনেক আশাবাদী যে দর্শক হলে গিয়ে ছবিটি দেখবে।

    এছাড়া নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সভাপতি ড.সোমা মুমতাজ বলেন সেলিম আল দীনের কথানাট্য অবলম্বনে নির্মিত হওয়ায় ছবিটি ব্যবসা সফল হবে বলে তিনি আশা করেন। যৈবতী কন্যার মন ছবিটির মিডিয়া পার্টনার এটিএন বাংলা।

    সম্পাদনায়ঃ মর্জিনা পারভীন।

  • ঘুরে দেখা’ সাভার পৌর এলাকায় গড়ে উঠা ১০ বছরে এগিয়ে চলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “রায়হান ইনস্টিটিউট”

    ঘুরে দেখা’ সাভার পৌর এলাকায় গড়ে উঠা ১০ বছরে এগিয়ে চলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “রায়হান ইনস্টিটিউট”

    সংবাদটি সংগ্রহ করেছেন নিজস্ব প্রতিবেদক শেখ এ কে আজাদ বিস্তারিত;-

    শিক্ষার গুণগত মান ও ধারাবাহিকতা সাফল্যে অর্জন করে চলছে রায়হান ইনস্টিটিউট। সাভার পৌর এলাকার ডগরমোড়া, চাপাইন রোডে এ ইনস্টিউট গড়ে উঠে ২০১০ সনে। রায়হান ইনস্টিটিউট লিখাপড়ার মান উন্নয়নের জন্যে “শিক্ষা,স্বাস্থ ও মূল্যবোধ বিকাশে-শ্লোগানে প্রতিষ্ঠানটি

    আজ ১০ বছর পদার্পনে পা রাখছে,এগিয়ে চলছে আগামীর আলোর পথে। সাভারে লিখা পড়ার মান উন্নয়নে বিশেষ ভুমিকা পালন করে এ প্রতিষ্ঠান।

    আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রায়হান ইনস্টিটিউটে১.প্রাক প্রাথমিক ২.প্রাথমিক ৩. মাধ্যমিক স্তরে ভাগ করে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম।

    ধারাবাহিক সাফল্যে অর্জনে গত ২০১৯ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক সমাপনী ও জেএসসিতে এ+সহ শতভাগ পাশের হার রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।

    গত ২০১৯ ইং সনে মোঃ আবুল মনসুর প্রিন্সিপাল পদে দ্বায়িত্ব পালনকালের পর থেকে ইনস্টিটিউটে লিখাপড়ার গুণগত মান উন্নয়ন ও বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নে সাফল্যের সহিত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
    রায়হান ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠতা চেয়ারম্যান শেখ মোঃ মাজহারুল ইসলাম পেশায় একজন আইনজীবী তিনি তার নিজস্ব জায়গায় এ ইনস্টিটিউটি গড়ে তুলেছেন।

    ১৫ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে রায়হান ইনস্টিটিউটের ক্যাম্পাসের মাঠে আংশিক নতুন ও পুরাতন বর্ষের শিক্ষার্থীদের সাথে প্রিন্সিপাল আবুল মনসুরসহ সাংবাদিক শেখ এ কে আজাদ উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রিন্সিপাল আবুল মনসুর সাংবাদিক শেখ এ কে আজাদকে তাদের ইনস্টিটিউটের ক্যাম্পাসটি ঘুরে দেখান। প্রিন্সিপাল ও ক্যাম্পাসে সকলের আচার-আচরন দেখে মুগ্ধ ।

  • বিএনপি যদি সম্মান দেখাতে না চায়, কী করার আছে, আইন দিয়ে সম্মান আদায় করা যায় না:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    বিএনপি যদি সম্মান দেখাতে না চায়, কী করার আছে, আইন দিয়ে সম্মান আদায় করা যায় না:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    কে মানল আর কে মানল না তার জন্য বাঙালি জাতি বসে থাকেনি, থাকবে না। তারা বিএনপি যদি সম্মান দেখাতে না চায়, কী করার আছে, আইন দিয়ে সম্মান আদায় করা যায় না।আইন করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান আদায় করা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আজকে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ ইউনেস্কোর মাধ্যমে বিশ্বের সব দেশ ও জাতিসংঘভুক্ত দেশ উদযাপন করছে।

    বুধবার (১৫ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে মুজিববর্ষ উদযাপনে বিএনপির অংশ নেয়ার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের যে সব দেশে দূতাবাস আছে, প্রত্যেক দেশে দূতাবাসের মাধ্যমে মুজিববর্ষ পালন করা হবে। আমাদের দূতাবাসগুলো উদ্যোগ নিচ্ছে। মুজিববর্ষে অনেক দেশের সরকারপ্রধান, রাষ্ট্রপ্রধান আসবেন। আমরা ভাগে ভাগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেব। সংসদের বিশেষ অধিবেশনেও অনেককে দাওয়াত দেব, সেখানে এসে বক্তব্য দিয়ে যাবেন।

    তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫ এর পর থেকে ২১ বছর ধরে জাতির পিতার নাম নিশানা ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। ৭ই মার্চের ভাষণের জয়বাংলা স্লোগান এবং শেখ মুজিবের নাম সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল বাংলার মাটিতে। সত্যকে কখনো মিথ্যা দিয়ে বা বাধা দিয়ে রাখা যায় না, মুছে ফেলা যায় না, সেটা আজ প্রমাণিত সত্য। এজন্যই ৭ মার্চের ভাষণ আন্তর্জাতিক ঐতিহ্য প্রামাণ্য দলিলে স্থান পেয়েছে। বিশ্ব স্বীকার করে নিয়েছে, বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণ হচ্ছে আড়াই হাজার বছরের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ।মুজিববর্ষ পালনে বিএনপির অংশ নেয়ার বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কে সম্মান দেবে, কে দেবে না। বঙ্গবন্ধুকে যারা সপরিবারে হত্যা করেছিল সেই খুনিদের বিচারের হাত থেকে মুক্ত করে তাদের যারা পুরস্কৃত করেছে, যারা স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধে যাদের বিচার শুরু হয়েছিল বিচারের পথ বন্ধ করে দিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে মর্যাদা দিয়ে মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর পদ দিয়েছে বা সাত খুনের আসামিদের ছেড়ে দিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছেন, তাদের কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না। তারা সম্মান দেখাতে না চাইলে কী করার আছে। আইন করে সম্মান নেয়া যায় না।’

    জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমামের অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কী পেলাম, কী পেলাম না সে হিসাব কখনো মেলাই না। আমার চিন্তা একটাই, দেশের জন্য কতটুকু করতে পারলাম, যে মানুষগুলোর জন্য আমার পিতা জীবন দিয়ে গেছেন তার স্বপ্ন পূরণ করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। এর বাইরে আর কোনো চিন্তা আমার নেই।

  • সাভারের আশুলিয়ায় স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের শিকারে,আটক-১

    সাভারের আশুলিয়ায় স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের শিকারে,আটক-১

    সাভারের আশুলিয়ায় স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের শিকারে,আটক-১

    শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেক,সাভার থেকেঃ
    সাভারের আশুলিয়ায় বাসা ভাড়া দিতে না পারায় স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত বাড়ির মালিক মো. কালাম (৪৫) আটক করেছে পুলিশ।
    আটক হওয়া ধর্ষনকারী পেশায় একজন ফার্মেসী ব্যবসায়ী তিনি আশুলিয়ার পশ্চিম জামগড়া এলাকার ফকির বাড়ির বাসিন্দা।
    গার্মেন্ট শ্রমিক ঐ নারীকে (২৪) কয়েকজন মিলে রাতভর গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তবুধবার দুপুরে আশুলিয়ার পশ্চিম জামগড়া এলাকার ফকির বাড়ি থেকে বাড়ির মালিক মো. কালামকে পুলিশ আটক করলেও বাকিরা রয়েছে পালাতক।

    ভুক্তভোগী নারী শ্রমিকের অভিযোগ, তিনি পশ্চিম জামগড়া এলাকায় মো. কালামের বাড়ির একটি কক্ষে ভাড়া থেকে পোশাক কারাখানায় কাজ করেন। মঙ্গলবার রাতে পরিবহন চালক স্বামী ও স্ত্রী নিজ কক্ষেই ছিলেন।

    নির্যাতিতা নারী শ্রমিক জানান, রাত ১২টার দিকে বাড়ির মালিক কালাম ও তার পাঁচ সঙ্গী নিয়ে বকেয়া ডিসেম্বরের মাসের ২ হাজার টাকা ভাড়ার জন্য তার কক্ষে ঢুকে পরেন। তিনি বলেন কারখানায় তাদের বেতন পরিশোধ করা হয়নি। কিন্তু মালিক কালামের সহযোগী দুইজন তার স্বামীকে পাশের কক্ষে আটকে রেখে জোরপূর্বক তার স্বর্ণের চেইন, চুরি, কানের দুল ও নাকের ফুল খুলে নিয়ে সঙ্ঘবদ্ধ তিনজন তার হাত-পা চেপে ধরলে বাড়ির মালিক তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বাকি তিনজন পরবর্তীতে ভোর ৪টা পর্যন্ত তাকে ধর্ষণ করে কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকি চলে যায়। সকালে আশুলিয়া থানায় গিয়ে ঐ নির্যাতিতা নারী শ্রমিক অভিযোগ করেন।
    এদিকে, ঘটনার পরপর আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক সেলিম রেজা ঘটনাস্থল গিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত বাড়ির মালিক মো. কালামকে আটক করেন। বাকি অভিযুক্তদের আটকের জন্য চেষ্টা চলবে।

    মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে একই বাড়িতে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ উঠেছে।