Author: sattersangbad24

  • ঝালকাঠিতে যুবলীগ নেতা মিলন দেশীয় অস্ত্রসহ ৫জন গ্রেপ্তার

    ঝালকাঠিতে যুবলীগ নেতা মিলন দেশীয় অস্ত্রসহ ৫জন গ্রেপ্তার

    • সত্যেরসংবাদডেক্সঃ

    চাঁদাবাজি মামলায় ঝালকাঠিতে দেশীয় অস্ত্রসহ যুবলীগ নেতা সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলন ও তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
    মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে শহরের ডাক্তারপট্টি এলাকার বাসা থেকে জেলা যুবলীগ নেতা সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলন ও বিভিন্ন স্থান থেকে অন্যদের গ্রেপ্তার করা হয়।

    পুলিশ জানায়, গত ৫ জানুয়ারি সদর উপজেলার বিকনা গ্রামের বাসিন্দা ঠিকাদার কালাম হোসেন বাদী হয়ে সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

    গ্রেপ্তারকৃতরা হলো যুবলীগ নেতা সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলন, ঝালকাঠি সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম অপু, যুবলীগকর্মী সাইফুল ইসলাম, মামুন খান, মামুনুর রশীদ ও পলাশ দাস।
    পুলিশ জানায়, কালাম হোসেনের ঠিকাদারি কাজে বিভিন্ন সময় বাধা দিয়ে আসছিল যুবলীগ নেতা হাদিসুর রহমান মিলন। কাজ করতে হলে তাকে প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হবে বলেও হুমকি দেয় মিলন। টাকা না দেওয়ায় গত ৫ জানুয়ারি মিলন ও তার লোকজন এলজিইডি ভবনের সামনে ঠিকাদার কামাল হোসেনের ওপর হামলা চালিয়ে নগদ ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ছাড়াও সৈয়দ মিলনের বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজি ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর, সন্ত্রাসী বাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতা, জমি দখলসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।

    ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান জানান, মিলনের বাসা থেকে ১২টি বগি দা ও রামদা উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে আরো একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। তাদের কাছে আরো অস্ত্র রয়েছে, তাই এসব অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালানো হবে।

  • নোটিশ : আগামী ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি  স্ট্যান্ডার্ড পাইলট স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অনুশীলন এবং ৩০ জানুয়ারি চুড়ান্তপর্ব অনুষ্ঠিত হবে

    নোটিশ : আগামী ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি স্ট্যান্ডার্ড পাইলট স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অনুশীলন এবং ৩০ জানুয়ারি চুড়ান্তপর্ব অনুষ্ঠিত হবে

    নোটিশ : আগামী ২৩ জানুয়ারি স্ট্যান্ডার্ড পাইলট স্কুলের এস এস সি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও বার্ষিক মিলাদ মাহফিল, ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অনুশীলন এবং ৩০ জানুয়ারি চুড়ান্তপর্ব।

     


  • আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্টঃ আইআরআই

    আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্টঃ আইআরআই

    বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট। যে কারণে গত এক বছরে সরকারের প্রতি সমর্থন অনেক বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে বিরোধী দলের জনপ্রিয়তা। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এক জরিপ চালিয়ে সম্প্রতি এই তথ্য প্রকাশ করেছে।

    শেখ হাসিনার সরকারের তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বছর পূর্তিতে সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এই জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, সরকারের জনপ্রিয়তা অনেক বাড়লেও বাংলাদেশে মানুষ এখন দুর্নীতি ও বৈষম্য নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে।

    ২০০৮ সালে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ পরে আরও দুটি নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় নিয়ে এখন টানা তৃতীয় মেয়াদে দেশ পরিচালনা করছে। সর্বশেষ ২০১৮ সালের শেষদিকে অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো প্রশ্ন তুললেও তার কোনও প্রভাব দেখা যায়নি আইআরআরই জরিপে।

    আরেক জরিপের সঙ্গে তুলনা করে আইআরআই বলছে, সরকারের প্রতি সমর্থন গত বছরের তুলনায় ১৯ শতাংশ পয়েন্ট বেড়ে এখন ৮৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছে বলেও জরিপে অংশগ্রহণকারী ৭৬ শতাংশ মানুষ মতামত দিয়েছেন। ২০১৮ সালের জরিপে এই অঙ্ক ছিল ৬২ শতাংশ।

    অন্যদিকে, বিরোধী দলের কাজে সমর্থন জানিয়েছেন জরিপে অংশগ্রহণকারী ৩৬ ভাগ মানুষ। যা ২০১৮ সালে ছিল ৪২ শতাংশ।

    বাংলাদেশের ৮ বিভাগের ৬৪ জেলায় ‘মাল্টি স্টেজ স্টার্টিফাইড প্রবাবলিটি’ নমুনায়নের মাধ্যমে ব্যক্তি পর্যায়ে যোগাযোগ করে এই জরিপ চালানো হয়।

    আইআরআইর এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক জোহানা কাও বলেন, “অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার সাফল্য, বিশেষ করে অবকাঠামো উন্নয়ন, সরকারের জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে তুলেছে।”

    আইআরআই-এর এ জরিপে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কিছু খাতে জনসমর্থন বাড়ার বিষয়টি ফুটে উঠেছে। এর মধ্যে শিক্ষায় নেয়া পদক্ষেপকে সমর্থন করছে ৯০ শতাংশ নাগরিক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উন্নয়ন কার্যক্রমের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ৮৬ শতাংশ এবং যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ৮১ শতাংশ মানুষ।

    এ ছাড়াও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে ৭৭ শতাংশ, সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় ৭৬ শতাংশ, স্বাস্থ্য খাতে ৭৪ শতাংশ এবং শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্র ৭১ শতাংশ সরকারের কার্যক্রমকে সমর্থন জানিয়েছেন।

    এছাড়াও জরিপে অংশগ্রহণকারী অধিকাংশ মানুষ নিজ নিজ এলাকার সংসদ সদস্যের কাজে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। ৭৬ ভাগ নাগরিক মনে করেন, তার এলাকার সংসদ সদস্য দুর্দান্ত কাজ করছেন অথবা ভালো কাজ করছেন।

    জরিপে অংশগ্রহণকারী অধিকাংশ সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে সন্তুষ্ট ৫৯ শতাংশ নাগরিক, যা এক বছর আগের জরিপে ছিল ৪৮ শতাংশ। অর্থনৈতিক উন্নয়নে সন্তুষ্ট ৭৬ শতাংশ, নিরাপত্তা নিয়ে সন্তুষ্ট ৭২ শতাংশ।

    জরিপে অংশ নেওয়া ৪৩ শতাংশ মনে করেন, চলতি বছর রাজনৈতিক স্থিতিশীলতায় আরও উন্নতি হবে। ৫৪ ভাগ মনে করেন, অর্থনৈতিকভাবে আরও উন্নতি করবে বাংলাদেশ। নিরাপত্তার ক্ষেত্রে উন্নতি হবে বলে মনে করেন ৪৯ শতাংশ।

    তবে সরকারের প্রতি সমর্থন বাড়লেও দুর্নীতি এই সময় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে আইআরআইর জরিপে। জরিপে অংশগ্রহণকারী ৭৬ শতাংশ মনে করেন- বৈষম্য ক্রমেই বাড়ছে; ৩১ শতাংশ জানিয়েছেন, দুর্নীতির নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে তাদের জীবনে। ১৯ শতাংশ দুর্নীতিকেই এখন বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

    দুশ্চিন্তার আরেকটি বড় কারণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে আয় বৈষম্যকে। ৬১ ভাগ মানুষ মনে করেন ধনী-গরিবের বৈষম্য বাড়ছে। ২০১৮ সালের তুলনায় ৫৮ ভাগ নাগরিক এই বিষয়ে নিজেদের দুশ্চিন্তার কথা জানান।

    জরিপে অংশ নেওয়া ১৭ শতাংশ মাদকদ্রব্য বড় হুমকি হিসেবে দেখছেন। এছাড়াও বেকারত্ব ও নিরাপত্তা নিয়ে সংশয়েরকথা বলেছেন যথাক্রমে ১০ ও ৭ শতাংশ।

    আওয়ামী লীগ সরকার যদি তাদের ক্রমবর্ধমান জনসমর্থন ধরে রাখতে চায়, তবে দুর্নীতি দমন ও বৈষম্য হ্রাসে উদ্যোগী হতে হবে বলে মনে করেন আইআরআই কর্মকর্তা জোহানা কাও।

  • কুরআনের হাফেজ বানাতে চাই,ছেলেকে ক্রিকেটার হিসেবে গড়ে তোলার আগেঃতাইজুল

    কুরআনের হাফেজ বানাতে চাই,ছেলেকে ক্রিকেটার হিসেবে গড়ে তোলার আগেঃতাইজুল

    পুত্রসন্তানের বাবা হ ক্রিকেটার তাইজুল ইসলাম।প্রথম সন্তানের বাবা হওয়ার আনন্দের আত্মহারা জাতীয় দলের এই তারকা ক্রিকেটার।বাবা হিসেবে দায়িত্ব আরও বেড়ে গেলে জাতীয় দলের এই টেস্ট স্পেশালিস্ট বোলারের।

    একান্ত সাক্ষাৎকারে নাটোরের এ ক্রিকেটার বলেন, ছেলেকে ক্রিকেটার হিসেবে গড়ে তোলার আগে কুরআনের হাফেজ বানাতে চাই।তাইজুল বলেন, এখন ওইভাবে চিন্তা করিনি। ক্রিকেটার পরের ব্যাপার।আমি চাইছি যে হয়তোবা হাফেজ যদি করা যায়, আল্লাহ যদি রহম করেন। কুরআনের হাফেজ করার ইচ্ছা আছে আরকি।

  • সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়নে সার্বিক উন্নতির লক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হলো

    সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়নে সার্বিক উন্নতির লক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হলো

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ

    সাভার উপজেলার অন্তর্গত শিমুলিয়া ইউনিয়নে সার্বিক উন্নতির লক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় মাঠে সাভার উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠানে এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাভার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজিব।
    মতবিনিময় সভায় এসময় প্রধান অতিথি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজিব বলেন,শিমুলিয়া ইউনিয়নের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য এক’শ ১৮ কোটি টাকার একটি রুপরেখা প্রনোয়ণ করা হয়েছে। এসময় শিমুলিয়া ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের কাজ থেকে শিমুলিয়ার সমস্যাগুলো তিনি শুনেন এবং সমাধানের জন্য তাৎক্ষনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এসময় তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশের সামাজিক উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গুলো আলোচনা করেন এবং তা বাস্তবায়নে সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।
    সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন খাঁন আশুলিয়া সকারী কমিশনার (ভুমি),তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদসহ আরো অনেকে।

    -ভিডিওঃ

  • ছয় মাসের ৩ শিশু কোরআনের হাফেজ

    ছয় মাসের ৩ শিশু কোরআনের হাফেজ

    পৃথিবীতে প্রায় এক কোটি হাফেজে কোরআন রয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ঝালকাঠির এক শিশু মাত্র ছয় মাসে পুরো কোরআন মুখস্থ করে সবাইকে চমকে দিয়েছে। শিশুটির নাম মো. বায়েজিত।

    পবিত্র কোরআন মাজিদ মুখস্থ করেন তাদের হাফেজ বা হাফেজে কোরআন বলা হয়। কোরআন শুধু সর্বাধিক পঠিত গ্রন্থই নয় বরং মুখস্থকরণের দিক থেকেও কোরআন রয়েছে বিশ্বে শীর্ষে। কোরআন যত মানুষ মুখস্থ করেছেন পৃথিবীর আর কোনো গ্রন্থ মুখস্থ করেনি কেউ।

    পবিত্র কোরআন মাজিদের অসংখ্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর অন্যতম হলো কোনো কোনো বক্তব্য ও ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এসব পুনরাবৃত্তি সৃষ্টিশীল ও নতুনত্বে ভরপুর হওয়ায় অত্যন্ত মনোজ্ঞ এবং আকর্ষণীয়।

    ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার দারুল উলুম কওমিয়া মাদরাসার ছাত্র বায়েজিত। মাত্র ছয় মাসে কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হয়েছে সে। পুরো কোরআন মুখস্থের আগে দেড় বছর সময় নিয়ে দেখে দেখে তিলাওয়াত করা শিখে বায়েজিত।

    পরে মাত্র ছয় মাসে পুরো কোরআন মুখস্থ করে ১০ বছর বয়সী এই শিশু। বায়েজিতের শিক্ষক ক্বারি মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, বায়েজিত নাজেরা পড়া শেষ করে শুরুর দিকে দুই পৃষ্ঠা করে কোরআন মুখস্থ করত।

    পরে ৭-৮ পৃষ্ঠা করে মুখস্থ শুরু করে সে। এভাবে ছয় মাসে পুরো কোরআন মুখস্থ করে ফেলে বায়েজিত। এখন সকালে আধা পারা, বিকেলে আধা পারা করে মোট এক পারা কোরআন আমাকে মুখস্থ পড়ে শুনায় সে।

    বায়েজিতের বাবা মো. সাইদুল ইসলাম ঝালকাঠি পৌরসভার সহকারী কর নির্ধারক এবং মা শিরীন সুলতানা গৃহিণী। বিস্ময় সৃষ্টিকারী কোরআনের হাফেজ বায়েজিতের বাড়ি ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার আলগি গ্রামে।

    এদিকে, দেড় বছরে কোরআন হাফেজ হয়েছেন একই উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের নুরুল ইসলামিয়া দিনিয়া হাফেজি মাদরাসার ছাত্র মো. জোবায়ের খান মোত্তাকিন। উপজেলার শেখেরহাট ইউনিয়নের রাজপাশা গ্রামের কৃষক জামাল উদ্দিন খানের ছেলে মোত্তাকিন।

    তার মা মরিয়ম বেগম গৃহিণী। ঠিক মোত্তাকিনের মতোই দেড় বছরে কোরআন হাফেজ হয়েছেন মো. ওমর ফারুক হাওলাদার। রাজাপুরের মনোহরপুর গ্রামের মো. শফিকুল ইসলামের ছেলে ফারুক।

    তার মা মাহমুদা বেগম গৃহিণী। নুরুল ইসলামিয়া দিনিয়া হাফেজি মাদরাসার পরিচালক হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বলেন, জোবায়ের খান মোত্তাকিন ২০১৮ সালের জুলাই মাসে ভর্তি হয়ে নাজেরা থেকে ছবক শুরু করে চলতি বছরের ২৫ নভেম্বর হাফেজ হয়। একইভাবে মো. ওমর ফারুক হাওলাদার ২০১৮ সালের মে মাসে ভর্তি হয়ে নাজেরা থেকে ছবক শুরু করে চলতি বছরের ২৫ নভেম্বর হাফেজ হয়েছে।

  • সাভারে ছিনতাইকারীকে ধরতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে এক ট্রাফিক পুলিশ

    সাভারে ছিনতাইকারীকে ধরতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে এক ট্রাফিক পুলিশ

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ

    ঢাকার সাভারে ছিনতাইকারীকে ধরতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে সাব্বির (২৪) নামে এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।

    পুলিশ জানায়, আহত সাব্বির পুলিশের ১৮০০ ব্যাচের সদস্য বলে জানা গেছে। তিনি গাজীপুরের বদ্ধবাজার এলাকার বাসিন্দা।

    ছিনতাই করে পালানোর সময় ওই ছিনতাইকারীকে ধরে ফেলেন সাব্বির। এ সময় তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারী। পরে তাকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি এখন সম্পূর্ণ আশঙ্কামুক্ত।
    মঙ্গলবার রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সাভার ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আবুল হোসেন।

  • ‘স্ত্রী ডিভোর্স দিলে দেনমোহরের টাকা পাবে কেন? ‘স্লোগানে’ মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ মেন’স রাইটস ফাউন্ডেশন

    ‘স্ত্রী ডিভোর্স দিলে দেনমোহরের টাকা পাবে কেন? ‘স্লোগানে’ মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ মেন’স রাইটস ফাউন্ডেশন

    • ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

    বর্তমানে প্রচলিত আইন অনুযায়ী স্ত্রী ডিভোর্স দিলে তাকে দেন মোহর পরিশোধের বিধান রয়েছে। আইনটি সংশোধনের দাবি জানিয়ে শনিবার বিকালে ‘স্ত্রী ডিভোর্স দিলে দেনমোহরের টাকা পাবে কেন?’ এমন স্লোগানকে সামনে রেখে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ মেন’স রাইটস ফাউন্ডেশন। মানববন্ধনে বক্তারা তাদের দাবির পক্ষে নানা যুক্তি তুলে ধরেন।

    সংগঠনটির চেয়ারম্যান শেখ খায়রুল আলম বলেন, ‘আমাদের দেশে সাধারণত বিয়ের সময় পাত্রী পক্ষ জোরপূর্বক পাত্রকে সাধ্যের অতিরিক্ত টাকা কাবিন নামায় ধার্য করতে বাধ্য করেন। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব কাবিন হয় বাকিতে। অর্থাৎ দেখা গেল কনে পক্ষের দাবি অনুযায়ী, কাবিন করা হল ১০ লাখ। এর মধ্যে গহনা ও অন্যান্য জিনিস বাবদ ২ থেকে ৩ লাখ টাকা পরিশোধ দেখিয়ে পুরোটাই বাকি রাখা হয়।’

    তিনি বলেন, ‘ইসলামী বিধান হল বিয়ের সময়ই দেনমোহর পুরোটা পরিশোধ করা। তবে এই কথা শুনে কে? বাকি থাকা বা বাড়তি এই দেনমোহন পরে কাল হয়ে দাড়ায়। বিভিন্ন কেস স্টাডি থেকে জানা গেছে, অতিরিক্ত দেনমোহরের কারনে স্বামী তার স্ত্রী ও পরিবারের লোকজনের অনৈতিক দাবি মেনে নিতে বাধ্য হন।’

    বক্তারা বলেন, ‘পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার আয়াত নং- ২২৯ অনুসারে যদি কোন স্ত্রী তার স্বামীর কাছ থেকে মুক্ত হতে চান তবে কোন কিছুর বিনিময় হতে হবে, যা তার মোহরানার অতিরিক্ত হবে না।

    তাই ইসলাম অনুসারে দেখা যায়, স্ত্রী কর্তৃক স্বামী ক্ষতিগ্রস্ত হলে স্ত্রী স্বামীকে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য। কিন্তু আমাদের দেশীয় আইন অনুযায়ী স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে তালাক প্রদান করা হলেও স্বামীকে দেনমোহর প্রদান করতে হয়, যা ইসলামের সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।’

    বক্তরা অভিযোগ করেন, ‘এই আইনটিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে কিছু সংখ্যক ‘দুষ্টু’ নারী বিয়ের নামে কাবিনের ব্যবসা করছে। ঐ সমস্ত নারীরা বিয়ে করে এবং ১ মাস পরে স্বামীকে তালাক দিয়ে কাবিনের টাকা আদায় করে। অথচ স্বামীরা নিরুপায়। কারণ আইনে আছে স্বামীকে কাবিনের টাকা পরিশোধ করতে হবে।’

    শেখ খায়রুল আলম বলেন, ‘লন্ডন প্রবাসী এক নারী প্রতি বছর বাংলাদেশে এসে বিয়ে করে কাবিনের ২০ লাখ টাকা নিয়ে যায়। যার শিকার হয়েছে আমার পাশের গ্রামের এক ছোট ভাই। অনেক নারী কাবিনের ব্যবসা করে কোটিপতি হয়েছে। তাই বহু বিবাহ রোধে বিবাহের রেজিষ্ট্রেশন ডিজিটালাইজেশন করা হোক। এভাবে চলতে পারে না।’ পাশাপাশি বাংলাদেশ মেন’স রাইটস ফাউন্ডেশন -এর পক্ষ থেকে এই আইনটির সংশোধনের দাবি জানানো হয়।

    মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সংগঠনটির মহাসচিব প্রকৌশলী ফারুক শাজেদ শুভসহ জে.এইচ. খান শাহীন, মোঃ আনোয়ার হোসেন, পটুয়াখালী জেলা শাখার আহ্বায়ক কাজী মোঃ সুমন, সাকসেস হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোঃ সোবাহান বেপারী, ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোঃ আতিকুর রহমান, ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক লিটন গাজী ও ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এর ব্যক্তিগত সহকারী মেহেদী হাসান। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান শেখ খায়রুল আলম।

  • নাসায় যাচ্ছে বাংলাদেশের ৬ শিক্ষার্থী

    নাসায় যাচ্ছে বাংলাদেশের ৬ শিক্ষার্থী

    নাসায় যাচ্ছে বাংলাদেশে ৬ শিক্ষার্থী

    খবর দেখুনঃ-

    সূত্রঃইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি

  • জনপ্রিয় আইনজীবী নেতা এড. মোহাম্মদ আলী হোসেন ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

    জনপ্রিয় আইনজীবী নেতা এড. মোহাম্মদ আলী হোসেন ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

    জনপ্রিয় আইনজীবী নেতা এড. মোহাম্মদ আলী হোসেন ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

    কোর্ট রিপোর্টঃ
    ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য জনপ্রিয় আইনজীবী নেতা অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী হোসেন ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

    সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরের পর ঠান্ডাজনিত কারণে অসুস্থ অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর। স্ত্রী-সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন এই প্রবীণ আইনজীবী।

    সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা আইনজীবী, সৎ ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আদর্শে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নিবেদিত প্রাণ। তাঁর বাবা মরহুম এম.এ. হান্নান এবং মা মরহুম নুরজাহান বেগম।

    ১৯৫৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদ আলীর জন্ম। ১৯৭২ সালে সরকারী গ্র্যাজুয়েট হাই স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করেন। ’৭৪ সনে সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। জগন্নাথ কলেজ বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি (অনার্স) রসায়ন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ’৭৮ সনে এমএসসিপাশ করেন। ’৮৪ সনে ঢাকা সিটি ল’ কলেজ থেকে এলএল.বি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরের বছরই অর্থাৎ ’৮৫ সনের ৩ মার্চ বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে সনদ নিয়ে একই বছরের ২৮ নভেম্বর ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্যভুক্ত হন। এরপর ’৮৮ সনে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্য হন তিনি।

    অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী ’৯৩ সনে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১২ সনে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। সুপ্রিম কোর্টের সনদপ্রাপ্ত হলেও মূলত তিনি ঢাকা জজকোর্ট কেন্দ্রীক দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলা পরিচালনা করতেন।

    তিনি ১৯৭১ সনে মহান মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ গ্রহণ করেন। মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর ট্রেনিং ক্যাম্প থেকে ট্রেনিং নিয়ে ক্যাপ্টেন আলীম চৌধুরীর নিয়ন্ত্রণাধীন মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান ও শ্রীনগর এলাকায় কমান্ডার তাহেরের অধীনে মুক্তিযুদ্ধ করেন।

    ’৮৬ সনে বঙ্গবন্ধু পরিষদের ব্যানারে সারা দেশের আইনজীবীদের মধ্যে ঢাকা আইনজীবী সমিতির পক্ষে প্রথম ১৫ আগস্ট জাতির জনকের মৃত্যুদিনে শোক পালনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন এই আইনজীবী। ’৮৮ সনে এরশাদের জরুরী অবস্থা ভঙ্গ করে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের আন্দোলনে মিছিল করলে ১১ জন আইনজীবীর সাথে তিনিও গ্রেফতার হন। এরপর আরো ২টি ভুয়া মামলা দিয়ে তাঁকে হয়রানি করা হয়।

    মোহাম্মদ আলী হোসেন ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের একজন সক্রিয় সদস্য। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত এই মুক্তিযোদ্ধা আইনজীবী সৎ, ন্যায়পরায়ণ ও পরহেজগার ব্যক্তি ছিলেন। তিনি সরকারী ছুটি ছাড়া প্রতিদিন সকাল সকাল কোর্ট চেম্বারে আসেন এবং সন্ধা পর্যন্ত কোর্ট আঙ্গিনায় থাকতেন। ২০১২-১৩ সনে সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত আইনজীবীদের সেবায় সময় দিয়েছেন। ভবিষ্যতে আইনজীবীদের সেবা করার অভিপ্রায়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে সভাপতি পদে নির্বাচন করার ইচ্ছা থাকলেও হঠাৎ মৃত্যুতে তাঁর সে আশা আর পূরণ হলো না।
    প্রয়াত এই আইনজীবীর নামাযের জানাজা সোমবার বাদ এশা ঢাকা জজকোর্ট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন।