Author: sattersangbad24

  • সাভারে একটি স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে গরীব-অসহায় মানুষের মাঝে শতাধীক ঈদ উপহার বিতরণ

    সাভারে একটি স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে গরীব-অসহায় মানুষের মাঝে শতাধীক ঈদ উপহার বিতরণ

    সাভারে একটি স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে গরীব-অসহায় মানুষের মাঝে শতাধীক ঈদ উপহার
    বিতরণ করলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মানবতার উত্তম ঘোষ

    সাভার থেকে, শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সাভারে অজিত ঘোষ গুলে দা স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে গরীব-অসহায় মানুষের মাঝে শতাধীক ঈদ উপহার

    বিতরণ করলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মানবতার
    উত্তম ঘোষ। রবিবার(১)মে তার নামাবাজার কার্যালয়ে ঈদ উপহার বিতরণ করেন।

    সাভার নামা বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী উত্তম ঘোষ জানান গরীব অসহায় মানুষে মুখে একটু হাঁসি ফোটাতে এই প্রচেষ্টা এবং ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করতে পেরে আমি নিজেও শান্তি পেয়ে থাকি । তিনি আরো জানান মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকরা আমার নিকট শ্রদ্ধাশীল ব্যক্তি আমি সম্মান করে থাকি। ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ কালে তিনি আরো বলেন সমাজের বিত্তবান লোকরা এগিয়ে আসলে সকলের ঈদ উৎযাপন করে মনের আনন্দ উপভোগ করতে পারবে।

    গরীব অসহায় এলাকা পুরুষ – মহিলাদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছে সাভার পৌর নামাবাজার এলাকার অফিস কার্যালয়ে। শনিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত শতাধীক মানুষের মাঝে এই ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়।

    করোনা কালীন সময়ে হাজার হাজার মানুষকে তিনি খাদ্য সামগ্রী ও স্যানেটারিজ এবং ঔষধ বিতরন করে আসছিলেন।
    গরীব-অসহায় মানুষের মাঝে প্রতি বছরই ঈদ উপহার হিসেবে শাড়ী,কাপর-লঙ্গী,পাঞ্জাবি বিতরন করে আসছে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী উত্তম ঘোষ। এবার অল্প পরিসরে ঈদ উদযাপন সামগ্রী বিতরণের মাধ্যমে সাথে ঈদ আনন্দ ভাগ করে নিলো সাভারে অজিত ঘোষ গুলে দা স্মৃতি সংসদ।

    যারা ঈদ উপহার সামগ্রী পেয়েছেন তারা খুশী সকলেই। তারা কেউ কেউ বলেছেন আমরা গরীব মানুষ দিন আনি দিন খাই মানবতার উত্তম ঘোষের পক্ষে যা পেয়েছি তাই অনেক অনেক খুশি।

     

  • সাভারে একটি সমবায় সমিতির সদস্য ছাড়াও গরীব-অসহায় মানুষের মাঝে ৩ শতাধীক ঈদ উপহার বিতরণ

    সাভারে একটি সমবায় সমিতির সদস্য ছাড়াও গরীব-অসহায় মানুষের মাঝে ৩ শতাধীক ঈদ উপহার বিতরণ

    সাভারে একটি সমবায় সমিতির সদস্য ছাড়াও গরীব-অসহায় মানুষের মাঝে ৩ শতাধীক ঈদ উপহার
    বিতরণ

    সাভার থেকে শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদকঃসদস্য ও গরীব অসহায় মানুষে মুখে একটু হাঁসি ফোটাতে এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা এবং ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করতে পেরে আমি একটু আনন্দ পাই ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ কালে একথা বললেন সমিতির চেয়ারম্যান তালুকদার মোঃজাহিদুল ইসলাম জুয়েল।

    গরীব অসহায় এলাকা পুরুষ – মহিলাদের মাঝে এবং সমিতির নিয়মিত সদস্যদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছে সাভার পৌর বক্তারপুর এলাকার ভাগ্য উন্নয়ন শ্রমজীবি সমবায় সমিতি। বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত প্রায় ৩০০ শতাধীক মানুষের মাঝে এই ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়।

    সমিতির সদস্য ছাড়াও গরীব-অসহায় মানুষের মাঝে প্রতি বছরই ঈদ উপহার হিসেবে শাড়ী,কাপর-লঙ্গী বিতরন করে আসছে এই সেবামূলক সংগঘঠনটি।এবার অল্প পরিসরে ঈদ উদযাপন সামগ্রী বিতরণের মাধ্যমে সাথে ঈদ আনন্দ ভাগ করে নিলো প্রানের সংঘঠনটি।

    যারা ঈদ উপহার সামগ্রী পেয়েছেন তারা খুশী সকলেই। তারা কেউ কেউ বলেছেন আমরা গরীব মানুষ দিন আনি দিন খাই এ সমিতির পক্ষে যা পেয়েছি তাই অনেক অনেক খুশি।

  • ঈদের পূর্ব মূহুর্তে গোয়েন্দা নজরদারিতে দেশের ৩৫০ পোশাক কারখানা

    ঈদের পূর্ব মূহুর্তে গোয়েন্দা নজরদারিতে দেশের ৩৫০ পোশাক কারখানা

    সত্যেরসংবাদ ডেক্স : পবিত্র ঈদুল ফিতরের ঈদের আগে বেতন-বোনাস নিয়ে সঙ্কট হতে পারে এমন ৩৫০ গার্মেন্টস কারখানার তালিকা করেছে শিল্প পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। এসব তালিকা শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএসহ সরকারের বিভিন্ন দফতরে দেওয়া হয়েছে।

    গোয়েন্দা নজরদারিতে থাকা তালিকা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এসব কারখানায় বেতন-বোনাস প্রদানে আগে থেকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, নতুবা বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। শিল্প পুলিশ ও বিজিএমইএ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

    শিল্প পুলিশের মতে, প্রায় ৩০ শতাংশ কারখানা মালিক এখনও মার্চ মাসের মজুরি দিতে পারেননি। তবে তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ মনে করে, প্রতিবছরই কিছু কিছু কারখানাকে নজরদারিতে রাখতে হয়। এবারও এই রকম বেশ কিছু কারখানা আছে। তবে এসব কারখানাকে নজরদারিতে রাখা হলেও মজুরি ও উৎসব বোনাস নিয়ে তেমন অসন্তোষ সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা নেই।

    অন্যদিকে শ্রমিক নেতারা মনে করছেন, এখনও মার্চ মাসের মজুরি দেওয়া হয়নি ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কারখানায়। এসব কারখানায় ঈদের আগে সঙ্কট হতে পারে। এমনটিই মনে করছেন শ্রমিক নেতা ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, চলতি এপ্রিল মাসের অর্ধেক মজুরি যেন দেওয়া হয় সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এখনও মার্চ মাসেরই বেতন দিতে পারেনি প্রায় অর্ধেক কারখানা। এর সঙ্গে চলতি মাসের অর্ধেক মজুরি এবং ঈদ বোনাস দিতে হবে।

    তিনি বলেন, আমাদের হিসাবে এবং গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, ৪০০ থেকে ৫০০ কারখানায় ঈদের আগে বেতন-বোনাস নিয়ে সমস্যা হতে পারে। তবে আমরা চাইব একজন শ্রমিকও যেন মজুরি না নিয়ে ঈদ করতে যায়। তবে আমরা চাই, ২০ রোজার মধ্যে যেন বেতন-বোনাস দিয়ে দেওয়া হয়।

    এছাড়া গত সোমবার রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের (টিসিসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান সরকারি ছুটির সঙ্গে সঙ্গে পোশাক কারখানায় ছুটি এবং ঈদের আগে শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি ও উৎসবভাতা পরিশোধের আহ্বান জানিয়েছেন।

    বৈঠকে শ্রমিক নেতারা দাবি জানিয়েছেন, ২০ রোজার মধ্যে বেতন এবং ঈদের বন্ধের আগে এপ্রিলের ১৫ দিনের অগ্রিম মজুরি দিতে হবে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট কারখানার মালিক-শ্রমিকদের যৌথভাবে সমন্বয় করে ঈদের আগে-পরে কারখানায় ছুটি দিতে হবে।

    বাংলাদেশ শিল্প পুলিশের উপমহাপরিদর্শক আওলাদ হোসেন এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, তৈরি পোশাক ও কারখানার শ্রমমান ও শ্রমিক-মালিকদের সম্পর্ক আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় ভালো। তবে প্রায় ৩০ শতাংশ কারখানা মার্চ মাসের মজুরি দিতে পারেনি। চলতি সপ্তাহের মধ্যে এসব কারখানার মালিক তাদের মজুরি পরিশোধ করতে পারবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

    বিজিএমইএ সহসভাপতি মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ঈদের আগে মজুরি ও উৎসবভাতা নিয়ে বড় ধরনের সঙ্কট হওয়ার তেমন আশঙ্কা নেই। তিনি বলেন, ‘প্রতিবারের মতো এবারও আমাদের কিছু কিছু কারখানায় বেতন-বোনাস নিয়ে সঙ্কট আছে। এসব কারখানাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আমাদের আশা ৯৯ শতাংশ মালিক ঈদের আগে শ্রমিকদের মজুরি ও বোনাস পরিশোধ করবেন।’ তিনি বলেন, ‘গাজীপুর ও আশুলিয়ায় যেসব কারখানায় কিছু সঙ্কট আছে; সেগুলোর বিষয়ে দ্রুত সমাধান আসবে।’

    নাসির উদ্দিন আরও বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনার ধাক্কা সামলে অনেকটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের তৈরি পোশাক খাত। সরকারের সময়োপযোগী উদ্যোগ, শ্রমিকের বেতন পরিশোধে মালিকদের ৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা ও সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধে উৎপাদন কার্যক্রম ঠিক থাকায় এমন সাফল্য এসেছে।

    এদিকে ঈদ আসন্ন হওয়ায় শ্রমিক সংগঠনগুলো অধিকার আদায়ে মাঠ পর্যায়ে কর্মসূচি পালন শুরু করেছে। জাতীয় প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান কর্মসূচি থেকে ২০ রমজানের মধ্যে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের দাবি জানাচ্ছে তারা। একই সঙ্গে চলতি মাসের পুরো বেতন যেন দিয়ে দেওয়া হয় ঈদের আগে সে দাবিও জানাচ্ছে তারা। আগের বছরগুলোর অভিজ্ঞতার আলোকে সরকারের এজেন্সিগুলোও এবার বিশেষ নজর রাখছে।

  • সাভার সরকারি কলেজ অধ্যক্ষের জন্মদিন আজ ৯ এপ্রিল

    সাভার সরকারি কলেজ অধ্যক্ষের জন্মদিন আজ ৯ এপ্রিল

    সাভার সরকারি কলেজ অধ্যক্ষের জন্মদিন আজ ৯ এপ্রিল

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
    ঢাকার অদূরে সাভার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. ইমরুল হাসানের ৫৭তম জন্মদিন আজ ৯ এপ্রিল।

    ১৯৬৬ সালের এই দিনে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের মিরপুর গ্রামে তাঁর জন্ম।

    সাভার সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ ও ডায়নামিক লিডার খ্যাত ইমরুল হাসানের জন্মদিনে দোয়া, ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন অনেকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শিক্ষার্থী, সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা অজস্র শুভ কামনা ও প্রীতি জানিয়েছেন তাঁকে।

    অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই সাভার সরকারি কলেজকে সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী শিক্ষার প্রসার ও মানোন্নয়নকল্পে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আলোচনায় আনেন। শিক্ষক-কর্মচারী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে নন্দিত হয়েছেন তিনি।

    আবদুল মাজিদ ও মাজেদা বেগম দম্পতির কনিষ্ঠ সন্তান মো. ইমরুল হাসান। বাবা আবদুল মজিদ দীর্ঘ কর্মজীবনে ১৯৬০ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত প্রায় দশ বছর সাভার ভূমি অফিসে কর্মরত ছিলেন। মা মাজেদা বেগম একজন রত্নগর্ভা মা। বিভিন্ন গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকায় প্রতিষ্ঠিত নয় ভাইবোনের মধ্যে মো. ইমরুল হাসান সবার ছোট।

    প্রফেসর মো. ইমরুল হাসান গ্রামের ফরিজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবন শুরু করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন।

    তিনি ১৯৯৩ সালে ১৪শ বিসিএসে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে যোগদান করেন। এ পর্যন্ত বিভিন্ন কলেজ এবং সরকারি দপ্তরে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে সাভার সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত আছেন।

  • মেয়েকে ‘গলাটিপে হত্যার’ পর বাবার ‘আত্মহত্যা’

    মেয়েকে ‘গলাটিপে হত্যার’ পর বাবার ‘আত্মহত্যা’

    ডেক্সসংবাদঃসিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় মেয়েকে হত্যার পর এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।  শনিবার (১২)সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বাঙালা ইউনিয়নের বিনায়েকপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

    জানা গেছে, উল্লাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক রাজিব আহমেদ (৪৫) নিজ বাড়িতে তার আট বছরের মেয়ে রাকা খাতুনকে গলাটিপে হত্যা করেন।পরে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

    স্থানীয় বাসিন্দা জহুরুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে রাজিব মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছিলেন।

    ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার কথা জানিয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে তাদের মৃত্যুর বিষয়ে সঠিক তথ্য জানা যাবে।

  • সাভারে খেলার সময় এককন্যা শিশু চুরি করে তুলে নিয়েছে অজ্ঞাত বোরখা পড়া নারী

    সাভারে খেলার সময় এককন্যা শিশু চুরি করে তুলে নিয়েছে অজ্ঞাত বোরখা পড়া নারী

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ

    সাভারে খেলার সময় জামেলা (৩) নামের এক শিশুকে চুরি করে তুলে নিয়ে গেছে অজ্ঞাত এক নারী। এ ঘটনায় সাভার থানায় মামলা দায়ের করেছেন চুরি হওয়া কন্যা শিশুর মা শিলা বেগম।
    বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আতিকুর রহমান রাসেল। এর আগে বুধবার (৯) মার্চ সাভারের থানা রোড এলাকা থেকে দুপুরের দিকে কন্যাশিশু জামেলাকে চুরি করে নিয়ে যায় ওই নারী।
    চুরি যাওয়া শিশু জামেলা রাজবাড়ী জেলার বাসিন্দা। শিশুটি তার নানি ও মা শিলা বেগমের সঙ্গে থাকত জানা যায়।
    তারা থানা রোড এলাকার মৃত আরব আলীর বাড়িতে ভাড়া থাকেন। ভুক্তভোগী শিলা বেগম বলেন, দুই বছরের বেশি সময় ধরে তার স্বামী ভরণপোষণ দেয় না। তিনি ১০ বছর আগে রাজবাড়ী থেকে সাভারে আসে। তারা স্বামীসহ বসবাস করত।
    মা শিলা বেগমের
    স্বামী রেখে চলে গেছে। তিনি আরো জানান মানুষের বাসায় কাজ করে মেয়েটাকে দেখাশোনা করি ও সংসার চালাই। বুধবারের আমি কাজে গেলে দুপুর ১২টার দিকে আমার মেয়ে রাস্তায় বের হয়। এ সময় একজন বোরকা পরা নারী তাকে তুলে নিয়ে চলে যায়। বিষয়টি আমরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখে নিশ্চিত হই। গতকাল থেকে খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে রাতেই থানায় মামলা দায়ের করি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সাভার মডেল থানার এসআই আতিকুর রহমান রাসেল বলেন, আমরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। সেখানে শিশুটি হাঁটতে হাঁটতে সড়কের দিকে এলে চকোলেটজাতীয় কিছু দিয়ে তাকে কোলে করে নিয়ে যায় এক নারী। অভিযুক্ত ওই নারীর পরনে বোরকা ছিল। ফলে তাকে চেনা যাচ্ছে না। তবে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে মামলা দায়ের হয়েছে। আমরা শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

  • সাভারের বিরুলিয়ায় প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে বক্তব্যকারীকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি

    সাভারের বিরুলিয়ায় প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে বক্তব্যকারীকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি

    সাভারের বিরুলিয়ায় প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে বক্তব্যকারীকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি

    নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার থেকেঃ সাভার উপজেলার বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগের দলীয় নৌকা প্রতীকের পরাজিত সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ সাইদুর রহমান সুজন গত শনিবার ৫ মার্চ দুপুরে বিরুলিয়ার শ্যামপুরে একটি বনভোজনের আয়োজন করে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমান এম.পি আমাকে ম্যাকানিজম করে হারিয়েছেন আমার কাছে সে ডকুমেন্টস আছে বলে তিনি দাবি করেন।

    পড়ে বক্তব্যটি সোস্যাল মিডিয়ায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নজরে এলে তোলপাড় শুরু হয়, নেতা কর্মীরা বলেন এমন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের জন্য অবিলম্বে সাইদুর রহমান সুজনকে দল থেকে বহিষ্কার করার জোর দাবিও জানান তারা । আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলেন, সাভার-আশুলিয়ার মাটি ও মানুষের নেতা ডাঃ এনামুর রহমান কে নিয়ে অশালীন বক্তব্যকারী কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

    সাভার বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে পরাজিত হন স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকের সেলিম মন্ডলের কাছে। নৌকার প্রার্থী নির্বাচনে পরাজিত হয়ে পাগলের প্রলাপ করছে এবং সকল দায় সাংসদের উপর চাপাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা ।

    শনিবার ৫ মার্চ দুপুরে বিরুলিয়ায় শ্যামপুরে একটি বনভোজনে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ সাইদুর রহমান সুজনের বক্তব্য রাখেন।

  • সাভারে ৫ লাখ টাকা অনুদানে বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু দেহ দাফন হয়েছিল !তদন্ত শুরু

    সাভারে ৫ লাখ টাকা অনুদানে বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু দেহ দাফন হয়েছিল !তদন্ত শুরু

    সাভারে ৫ লাখ টাকা অনুদানে বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর দাফন সম্পন্ন হয়েছিল!তদন্ত শুরু

    ডেস্ক সংবাদঃসাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ও বিএনপির সাবেক নেতা আবুল হারিছ চৌধুরীকে ‘মাহমুদুর রহমান’ পরিচয়ে ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার বিরুলিয়া ইউনিয়নের কমলাপুরের জালালাবাদ এলাকায় জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন ঢাকা মাদ্রাসার কবরস্থানে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসের ৪ তারিখ দাফন করা হয়। তার পরিবারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনও প্রতিক্রিয়া না জানানোয় বিষয়টি নিয়ে এখনও ধুম্রজাল রয়েছে।

    তবে, সরেজমিনে খোঁজ নিতে গেলে জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন ঢাকা নামের মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আশিকুর রহমান জানান, গত বছরের সেপ্টেম্বরের ৪ তারিখ আছরের নামাজের পর ‘মাহমুদুর রহমান’ নামে একজনকে দাফন করা হয়েছে। যার মরদেহ সামিরা নামে একজন নিয়ে আসেন। সামিরা নিজেকে মৃত ব্যক্তির কন্যা হিসেবে পরিচয় দেন। ৫ লাখ টাকা অনুদানের মাধ্যমে মাদ্রাসার গোরস্থানে ‘মাহমুদুর রহমানকে’ দাফন করা হয় বলে জানান জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আশিকুর রহমান।
    তবে সেই ব্যক্তি হারিছ চৌধুরী কিনা সে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। কবর দেওয়ার সময় পর্যন্ত তার নাম মাহমুদুর রহমান বলেই জানানো হয়েছিল। এমনকি কবর দেওয়ার সময় সেখানে থাকা মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বললেও তারা একই কথা জানান।

    জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন ঢাকা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আশিকুর রহমান কাশেমী আরও জানান, গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বরের আগেদিন পরিবারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করে তারা প্রবাসী বলে দাবি করেন। তাদের কোনও আত্মীয়-স্বজন দেশে নেই, সবাই প্রবাসী, সে কারণেই সন্তানেরা ঢাকাতে দাফন করতে চায়। পরে ৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে তিনি নিজেই মাদ্রাসায় জানাজার নামাজ শেষ করে আঙিনায় কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করেন।

    মাদ্রাসার আহসানউল্লাহ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘প্রায় এক বছর আগে একদিন বিকালের দিকে ঢাকা থেকে মাহমুদুর রহমান নামের একজনের মরদেহ নিয়ে আসা হয়। পরে তাদের মাদ্রাসার প্রায় সাড়ে তিনশত শিক্ষার্থী ও বহিরাগত আরও একশ লোক এই জানাজায় অংশগ্রহণ করে।’

    মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের এখানে মাদ্রসার নিয়ম অনুযায়ী ছদকায়ে জারিয়া (অনুদান) যারা দেয় তাদের জন্য একটা সারিতে কবর দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ‘মাহমুদুর রহমানের’ পরিবারও কবরের জন্য পাঁচ লাখ টাকা দান করে এখানে কবর দেয়।’ তাদের এখানে কবর দেওয়া যায় বা এই নিয়মে কবর দেওয়া হয়, সেটি মাহমুদুর রহমানের পরিবার কীভাবে জানলো বিষয়টি তার জানা নেই, বলে জানান মোস্তাফিজুর রহমান।

    তিনি আরও জানান, ৪ সেপ্টেম্বর ‘মাহমুদুর রহমানের’ মেয়ে সামিরা চৌধুরী এসে বলেন, তার বাবার মৃতদেহ এখানে দাফন করতে চান। পরের দিন মাগরিবের আগ মুহূর্তে জানাজা দেওয়া হয়। নিহতের পরিবারের ৪/৫ জন সদস্য দাফনের সময় মাদ্রাসায় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও আশপাশের লোকজন জানাজায় অংশগ্রহণ করে’ বলে তিনি জানান।

    তবে তিনিই হারিছ চৌধুরী কিনা বা সে সময় পরিচয় গোপন করে মৃতদেহ দাফনের বিষয়টি নিয়ে তাদের কোনও সন্দেহ দেখা যায়নি বলে উল্লেখ করেন মাদ্রাসা শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘একটু তাড়াহুড়ো ছিল তাদের। রাত হয়ে যাচ্ছে বলে রাতের আগেই কবর দিয়ে দিতে বলেন পরিবারের সদস্যরা। এছাড়াও এখানে শুধু জানাজা আর কবর দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও মারা যাওয়ার দুই সপ্তাহ পরে তার দুই থেকে তিন আত্মীয় কবর দেখতে এসেছিলেন। তবে গত এক বছরের মধ্যে আর কেউ আসেনি বলে তিনি জানান।

    হারিছ চৌধুরী মারা গেছেন নাকি মারা যাননি; এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যেও তৈরি হয়েছে নানা কৌতূহল। এবার এই আলোচনায় অনুসন্ধানী তথ্য এনে হাজির করেছে জাতীয় দৈনিক মানবজমিন। সংবাদমাধ্যমটির দাবি, আত্মগোপনে থেকে হারিছ চৌধুরী ঢাকায় মারা গেছেন। তবে ভিন্ন পরিচয় ও নামে।

    গত ১৫ জানুয়ারি বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, হারিছ চৌধুরী করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় মারা গেছেন। হারিছের বিলেত প্রবাসী মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা চৌধুরী এটা নিশ্চিত করেন। বলেন, তার বাবা হারিছ চৌধুরী গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে মারা গেছেন।

    এক-এগারোর পালাবদলে দেশ ছাড়েন হারিছ চৌধুরী। তিনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ, এম, এস, কিবরিয়া হত্যা ও বিস্ফোরক মামলারও আসামি ছিলেন তিনি। কিন্তু ১৪ বছর কোন হদিস ছিলো না তাঁর। গোয়েন্দা সংস্থাও হন্যে হয়ে খুঁজেছেন তাকে। ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহকর্মী বা আত্মীয়-স্বজন কেউ তাঁর ব্যাপারে কিছু বলতে পারেননি।

    জানা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী দীর্ঘ ১৪ বছর গোয়েন্দাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে আত্মগোপনে ছিলেন। দেশেই মাহমুদুর রহমান নামে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। সেই মাহমুদুর রহমানেই মারা গেছেন। হারিছ চৌধুরী ওয়ান ইলেভেনের পরপরই কিছুদিন সিলেটে অবস্থান করেন। এরপর ঢাকায় আসেন। ঢাকায় তিনি নাম বদল করেন। পরিচয় দিতেন একজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক হিসেবে। ঢাকার পান্থপথে প্রায় ১১ বছর কাটিয়ে দেন এই পরিচয়ে। তিনি মাহমুদুর রহমান নামে একটি পাসপোর্টও নেন। পাসপোর্ট নম্বর ইড০৯৫২৯৮২। এতে ঠিকানা দেন শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার। বাবার নাম আবদুল হাফিজ। ২০১৮ সনের ৬ই সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে এই পাসপোর্ট ইস্যু হয়। পাসপোর্টে দেয়া ছবিতে দেখা যায় এ সময় তার চেহারায় এসেছে অনেক পরিবর্তন। সাদা লম্বা দাড়ি। চুলের রঙ একদম সাদা। বয়সের ছাপ পরেছে। শুধু পাসপোর্ট নয় জাতীয় পরিচয় পত্রও পেয়ে যান মাহমুদুর রহমান নামে। তার এনআইডি নম্বর হচ্ছে ১৯৫৮৩৩৯৫০৭।
    ঢাকায় যেভাবে ছিলেন হারিছ চৌধুরী

    ঢাকার পান্থপথে একটি ভাড়া করা এপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে থাকতেন। বাসা থেকে খুব একটা বের হতেন না। একজন কাজের বুয়া ও একটি ছেলে থাকতো তার সঙ্গে। বই পড়ে সময় কাটাতেন। নামাজ আদায় করতেন নিয়মিত। নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন। এই এপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম বলেছেন, আমি তিন বছর ধরে এখানে কাজ করি। তার সম্পর্কে ব্যক্তিগত তথ্য খুব একটা জানতাম না। শুনেছি তার স্ত্রী ও সন্তানরা থাকেন লন্ডনে। তাকে সবাই প্রফেসর সাহেব বলেই জানতো।
    সাইফুল জানান, একদিন ভোর রাতে কেউ একজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। শুনেছি হাসপাতালে থাকার পর তার মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর পর তার মেয়েকে দেখি। প্রথমে আমাদেরকে জানাতেও চাননি স্যার মারা গেছেন। মারা যাবার পর দুই মাস এই বাড়িতেই ছিলেন জামাইসহ। গত জানুয়ারিতে তারা বাসা ছেড়ে দেন। হারিছ চৌধুরী খুব একটা বের হতেন না। কথাও বলতেন না। এই বাসার সামনের একটি ফার্মেসী থেকে ওষুধ কিনতেন।

    সেই ফার্মেসী সূত্রে জানা যায়, তিনি উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিক ও হৃদরোগের ওষুধ কিনতেন। ফার্মেসীর মালিক সুমন খন্দকার বলেন, স্যার খুব ভাল মানুষ ছিলেন। কখনো বাকিতে ওষুধ নিতেন না। পাশেই একটি মুদি দোকান। এই দোকান থেকেই জিনিষপত্র কিনতেন।
    মারা যাওয়া

    করোনা আক্রান্ত হলে হারিছ চৌধুরী মাহমুদুর রহমান নামেই হাসপাতালে ভর্তি হন। দাফনও হয় এই নামে। গত বছর ২৬ আগস্ট করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। মারা যান ৩ সেপ্টেম্বর। ডেথ সার্টিফিকেটে বলা হয়েছে তিনি ঈড়ারফ রিঃয ঝবঢ়ঃরপ ঝযড়পশ এ মারা গেছেন। তিনি প্রফেসর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মাহবুব নূরের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যু সনদ ইস্যু করেন সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আ, ক, ম, নূর।

    তার মৃতদেহ গ্রহণ করেন মেয়ে সামিরা চৌধুরী। এরপর একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে গোসলের জন্য মোহাম্মদপুর নিয়ে যান। কাফনের কাপড় কেনেন মোহাম্মদপুরের মাইকআউস স্টোর থেকে। দাফনের বিষয়ে সামিরা চৌধুরী বলেন, আত্মীয়স্বজনের পরামর্শে বাবাকে সাভারে দাফনের সিদ্ধান্ত হয়। লাশ নিয়ে যাওয়া হয় সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের জালালাবাদ কমলাপুরে। তাকে জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন ঢাকা মাদ্রাসা প্রাঙ্গণেই দাফন করা হয়।

    বাবা গোপনীয়তা সম্পর্কে সামিরা চৌধুরী বলেন, ১৪ বছর যে মানুষটি আত্মগোপনে ছিলেন তার খবর প্রকাশ করা সহজ ছিল না। নানা ভয় আর আতঙ্ক কাজ করেছে। তবে এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি অধ্যাপক মাহমুদুর রহমানই আমার বাবা হারিছ চৌধুরী। ডিএনএ টেস্ট করলেই এটা খোলাসা হয়ে যাবে। জীবিত থাকা অবস্থায় আমি লন্ডন থেকে টেলিফোনে উনার সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছি। সুইজারল্যান্ডে অবস্থানরত আমার ভাই নায়েম শাফি চৌধুরীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল।
    মৃত্যু ও দাফন নিশ্চিত হতে তদন্ত করবে পুলিশ

    আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র বলছে, এ বছরের শুরুতে হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু হয়েছে— এমন খবর নিশ্চিত হতে সিআইডিকে চিঠি দেয় ইন্টারপোল। ওই চিঠির পর তদন্ত করে সিআইডি। মৃত্যু তথ্য নিশ্চিত হতে পারার বিষয়টি জানিয়ে সদর দফতরকে অবহিত করে সংশ্লিষ্টরা। এখন আবারও নতুন করে হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু ও তার দাফনের বিষয়টি সামনে আসায় নতুন করে খোঁজ খবর নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

    সূত্রের দাবি, সাভারে দাফন হওয়া ‘মাহমুদুর রহমান’ই হারিছ চৌধুরী কিনা, তা নিশ্চিত হতে আইনি প্রক্রিয়ায় আগাবে পুলিশ। এক্ষেত্রে তার মরদেহ উত্তোলন করে ডিএনএ টেস্ট করার প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে পারে তারা। আদালতের নির্দেশনা পেলে দ্রুতই এ প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছে পুলিশের একটি সূত্র।
    জানতে চাইলে সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান বলেন, ‘এই বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।’

    ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলাসহ একাধিক মামলার অভিযুক্ত আসামি ছিলেন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের প্রভাবশালী নেতা সিলেটের হারিছ চৌধুরী। ওই হামলার টার্গেট ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই হামলা মামলার চার্জশিটেও অভিযুক্ত আসামি ছিলেন হারিছ চৌধুরী। অভিযোগপত্রে তাকে লাপাত্তা দেখানো হয়। ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসার পর হারিছ চৌধুরী গা ঢাকা দেন।

     

    ২১ আগস্ট হামলা মামলায় তিনি অভিযুক্ত হওয়ার পর ২০১৫ সালে তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি হয়। ইন্টারপোলের রেড নোটিশে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা বলা হয়েছে, ‘খুন এবং আওয়ামী লীগের সমাবেশে হ্যান্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ।’ রবিবার (৬ মার্চ) ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটের রেড নোটিশে তার ছবিসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্যও উল্লেখ রয়েছে।

    সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনও তথ্য আপাতত নেই। তদন্ত করা হলে জানা যেতে পারে। আর রেড নোটিশের বিষয়টি আমার জানা নেই।’

  • টানা শেয়ারবাজার ধস হওয়ায় চরম আতঙ্ক সাভারের সাধারন বিনিয়োগকারীরা

    টানা শেয়ারবাজার ধস হওয়ায় চরম আতঙ্ক সাভারের সাধারন বিনিয়োগকারীরা

    প্রতিদিন শেয়ারবাজার ধস হওয়ায় চরম আতঙ্ক সাভারের সাধারন বিনিয়োগকারীরা

    শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
    গত ১৫ কার্যদিবসে দেশের শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন চলছে।গত ১৪ ফেব্রয়ারি যার সূচক ছিল ৭০১২০ কমতে কমতে ৬৪৫৬ পয়েন্ট পৌঁছায়। ১৫ তম কার্য দিবসে ৬৭০ পয়েন্ট সূচক কমে যায়। লাগামহীনভাবে সূচক এবং শেয়ারদর কমতে থাকায় সাধারন শেয়ারবাজার বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা।

    প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স সোমবার ১৮৪ পয়েন্ট কমে যায় যা চলতি বছরের মধ্যে এখন পর্যন্ত এটিই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরপতন।

    বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ইউক্রেন- রাশিয়ার হামলার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে শেয়ারবাজারের দ্রুত সূচকের পতন ঘটতে থাকে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিক্রির চাপ বেড়ে যাওয়ায় এ পতন সম্মূখীন।
    ইউক্রেন- রাশিয়ার হামলার কারনেও বিশ্ব শেয়ারবাজারে নিম্নগামী প্রবনতা চলছে এবং বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে এর প্রবনতা শুরু হয়।

    সর্বশেষ এ বছরের ১৪ ফেব্রয়ারি ডিএসইতে সর্বোচ্চ হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হলেও পরবর্তী দিবগুলোতো সর্বনিম্ন লেন হতে থাকে।
    গতকাল (৭)মার্চ সোমবার ১৮৪ পয়েন্ট সূচক কমে ৬৪৫৬ সূচক দাঁড়ায়।সোমবার দিন ৭৪০ কোটি টাকার লেনদেন হয়।

    দরপতনের কারণে ব্রোকার হাউজে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কমে গেছে। গত বছরের মার্চে মাসে শেয়ারদর সূচকের এতটা পতন আর কখনও হয়নি।
    অনেক শেয়ারের দাম ১৫ থেকে ৩০ শতাংশের বেশি কমে যাওয়ায় বেশি রিক্সে রয়েছেন ঋণ করে যাঁরা বিনিয়োগ করেছেন তাঁরা। মার্জিন
    ঋণগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা লোকসানে শেয়ার বিক্রির চাপ হলে তাতে পুঁজি হারানোর ভয়ে রয়েছেন। সূচক নিম্নগামী হওয়ায় সাথে শেয়ারদর কমায় বিনিয়োগকারীরা প্রতিদিনের লেনদেনে অংশ নিতে পারছেন না ।

    এদিকে সাভারে ব্রোকার হাইজের এক বিনোয়োগকারী কয়েক হাজার বিএসসির শেয়ার ক্রয় করা থাকলেও আতঙ্কে তিনি গতকাল ও আজ ৪০ টাকা কমে প্রতিটি শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। এতে করে কয়েক লক্ষ টাকা লোকসানে পড়েছেন তিনি।এমন করে শেয়ারবাজার নিম্মগামীদর হওয়ায় ক্রয় না করে অনেক বিনিয়োগ কারী শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন বলে জানা যায়।

    এদিকে সাভার শাখার স্কয়ার সিকিউরিটি ব্রোকার হাউজের কর্মকর্তা আল-আমিন বলেন সূচক ও শেয়ারদর নিম্নগামী হওয়ায় হাউজের বিনিয়োগকারীদের মধ্য চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে, প্রতিদিন ক্লাইন্ড প্রশ্ন করছে আগামীতে বাজার আরো নিম্নগামী হবে কিনা? এইভাবে অব্যাহত থাকলে হয়তো পথে নামতে হবে। এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বলে দিচ্ছেন বাজার আবার একসময় ঘুরে দাঁড়াবে আতঙ্ক হয়ে শেয়ার ছাড়ার প্রয়োজন নেই। একসময় লাভের মুখ দেখবেন।

  • সাভারে ওয়ারেন্টেভুক্ত আসামী ধরতে গিয়ে মারধরের শিকার দুই পুলিশ কর্মকর্তা

    সাভারে ওয়ারেন্টেভুক্ত আসামী ধরতে গিয়ে মারধরের শিকার দুই পুলিশ কর্মকর্তা

    সাভারে ওয়ারেন্টেভুক্ত আসামী ধরতে গিয়ে মারধরের শিকার দুই পুলিশ কর্মকর্তা

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ সাভারে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তারী পরোয়ানাকৃত আসামী ধরতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন সাভার মডেল থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তা। এসময় পুলিশের কাছ থেকে ওই আসামীকেও ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে পৌর এলাকার নামা বাজার মহল্লায় এঘটনা ঘটে।
    পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে নামা বাজার এলাকায় চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তারী পরোয়ানাকৃত আসামী শরিফ উদ্দিন ফকিরকে গ্রেপ্তার করতে যান সাভার মডেল থানার এ এস আই অশোক কুমার দত্ত ও এ এস আই সাইফুজ্জামান। এসময় তাকে গ্রেপ্তারের সময় আসামী শরিফ উদ্দিন ফকিরের লোকজন পুলিশের দুই এ এস আইকে মারধর করে আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
    একপর্যায়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তা আহত অবস্থায় আসামীকে ধরে থানায় নিয়ে আসেন। পরে আহত দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। এঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পাঁচ ছয়জনকে আসামী করে রাতেই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে এঘটনায় সাংবাদিকরা আসামীর ছবি তুলতে গেলে আসামীর লোকজন বাধা প্রদান করেন ও হুমকি দেন।
    এবিষয়ে সাভার মডেল থানার ওসি কাজী মাঈনুল ইসলাম বলেন, মামলার অন্য আসামীদেরকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।