Author: sattersangbad24

  • করোনায় দেশের নন-এমপিও শিক্ষকদের সাড়ে ৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

    করোনায় দেশের নন-এমপিও শিক্ষকদের সাড়ে ৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

    করোনায় দেশের নন-এমপিও শিক্ষকদের সাড়ে ৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

    ডেক্স সংবাদঃ
    করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সাথে সাথে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গত ১৬ মার্চ ২০২০ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এমপিওবিহীন শিক্ষকদের জন্য এই দুর্যোগের সময় যখন অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, তখন ৪৬ কোটি ৬৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা ৮০ হাজার ৭৪৭ জন শিক্ষক ও ২৫ হাজার ৩৮ কর্মচারীর মধ্যে বিতরণের জন্য জরুরি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে জানান শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

    শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মমিনুর রশিদ আমিন বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য প্রণোদনা অর্থ অনুমোদন করেছেন। তবে আমরা এখনো বাজেট হাতে পাই নি।

    প্রত্যেক শিক্ষককে ৫,০০০/= টাকা হারে এবং ২৫,০৩৮ জন ননএমপিও কর্মচারীর প্রত্যেককে ২,৫০০/= টাকা হারে মোট ১,০৫,৭৮৫ জন শিক্ষক-কর্মচারীর জন্য ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে শিক্ষা বান্ধব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার ‘বিশেষ অনুদান’ এর খাত হতে ৪৬,৬৩,৩০,০০০/= (ছেচল্লিশ কোটি তেষট্টি লক্ষ ত্রিশ হাজার) টাকা ৬৪ জন জেলা প্রশাসকের অনুকূলে বরাদ্দ প্রদান করেছেন।

    এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে ননএমপিও শিক্ষকদের আর্থিক সহায়তা দিতে ইতোমধ্যেই তাদের বিকাশ, নগদ, রকেট ও মোবাইল ফোন নাম্বার সংগ্রহ করা হয়েছে।

  • করোনা ভাইরাস মহামারীতে প্রথম যে পেশার মানুষ রোগীদের সেবা দিয়ে আসছেন তাঁরা হচ্ছেন পল্লী চিকিৎসকঃ সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাঃ মো: সায়েমুল হুদা

    করোনা ভাইরাস মহামারীতে প্রথম যে পেশার মানুষ রোগীদের সেবা দিয়ে আসছেন তাঁরা হচ্ছেন পল্লী চিকিৎসকঃ সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাঃ মো: সায়েমুল হুদা

    করোনা ভাইরাস মহামারীতে প্রথম যে পেশার মানুষ রোগীদের সেবা দিয়ে আসছেন তাঁরা হচ্ছেন পল্লী চিকিৎসকঃ সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাঃ মো: সায়েমুল হুদা

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ

    করোনা ভাইরাস মহামারীতে প্রথম যে পেশার মানুষ রোগীদের সেবা দিয়ে আসছেন তাঁরা হচ্ছেন পল্লী চিকিৎসক সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মো: সায়েমুল হুদা তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঔষধ ব্যবসায়ী সমিতি ও বাংলাদেশ ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে করোনা ভাইরাস ও ডেঙ্গু প্রতিরোধ বিষয়ে আলোচনা সভায় এ কথা বলেছেন। তিনি আরো বলেন এই চিকিৎসকদের কাজে লাগিয়ে সাভারে বৃহৎ একটি সেচ্ছাসেবক দল গঠন করা হয়েছে। যে দলের সদস্যরা সরকারের হয়ে নিজের জীবন বাজী রেখে স্বাস্থ্য বিভাগকে সহায়তা করছেন।

    সাভারের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান এনাম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজিব, উপজেলা নির্বাহী অফিসার পারভেজুর রহমান জুম্মনসহ সকলে সম্পৃক্ত হয়ে পরিকল্পিতভাবে জনপ্রতিনিধি, পুলিশ, স্বেচ্ছাসেবক, পল্লী চিকিৎসকসহ সকলে মিলে কাজ করে সাভারকে রক্ষার চেষ্টা করা হয়েছে। যে কারণেই সাভারের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন কমে আসছে। যারা রোগ প্রতিরোধের সহায়ক ও মোকাবেলায় কাজ করে আসছেন সকলের প্রতি তিনি ক্রিতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

    ২৫ জুন সাভার উপজেলার আশুলিয়ার গাজীরচটে হানিফ মেমোরিয়াল স্কুলে স্থানীয় ঔষধ ব্যবসায়ী সমিতি ও বাংলাদেশ ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে করোনা ভাইরাস ও ডেঙ্গু প্রতিরোধ বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো: সায়েমুল হুদা। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট সাংবাদিক তোফায়েল হোসেন তোফাসানি, এটিএন বাংলা ও বাংলাদেশ বেতারের সাংবাদিক শেখ আবুল বাশার, ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের মহাসচিব সোনাম উদ্দিন সোহেল প্রমুখ।

    করোনা ভাইরাস মহামারী ঠেকাতে সমাজে পল্লী চিকিৎসকদের ভূমিকা অপরিসীম। এই পেশার মানুষ সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য প্রকল্পের দিক নির্দেশনায় যে সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছেন এতে পল্লী চিকিৎসকদের নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে বলে ব্যক্ত করেন বক্তারা।

    বিশিষ্ট সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সংগঠক তোফায়েল হোসেন তোফাসানি বলেন, পল্লী চিকিৎসকরা যেভাবে করোনা মহামারীতে কাজ করে যাচ্ছেন তাতে একদিন এ দেশের ইতিহাসে এই যোদ্ধাদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। এই পেশার মানুষগুলো হচ্ছে রোগীদের প্রথম ভরসা।

    এটিএন বাংলার সাংবাদিক শেখ বাশার বক্তব্যে বলেন, পল্লী চিকিকদের পেশাগত মান উন্নয়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। করোনা যুদ্ধে এই পল্লী চিকিৎরাই প্রথম সারির যোদ্ধা হিসেবে কাজ করছে।

    বাংলাদেশ ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের মহাসচিব সোনাম উদ্দিন সোহেল বলেন, করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে এই সংগঠন ও পল্লী চিকিৎসকরা দেশে যেভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তাঁর অনুপ্রেরণা দিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিল্পনা কর্মকর্তা সায়েমুল হুদা। তিনি পল্লী চিকিৎসকদের এই যুদ্ধে সম্পৃক্ত করে মানুষের সেবা করার সুযোগ করে দিয়েছেন।

    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, ধামসোনা ইউনিয়নের ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি পল্লী চিকিৎসক লিয়াকত আলী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পল্লী চিকিৎসক জাহিদ হাসান। এছাড়াও অনুষ্ঠানের আয়োজক পল্লী চিকিৎসক ইব্রাহীম মিয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

  • শ্রীপুরে গরু খামারে দূর্ধর্ষ ডাকাতি, প্রায় ২৫ লাখ টাকার গরু লুট

    শ্রীপুরে গরু খামারে দূর্ধর্ষ ডাকাতি, প্রায় ২৫ লাখ টাকার গরু লুট

    শ্রীপুরে গরু খামারে দূর্ধর্ষ ডাকাতি, প্রায় ২৫ লাখ টাকার গরু লুট

    মোহাম্মদ আদনান মামুন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শ্রীপুর (গাজীপুর):
    গাজীপুরের শ্রীপুর থানার নিকটবর্তী গাড়ারন গ্রামের শ্রীপুর-সাতখামাইর সড়কের পাশে একটি ডেইরী খামারে দূর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।

    বুধবার (২৪ জুন) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ময়না ডেইরী ফার্মে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

    এসময় ডাকাতরা খামারের ২ কর্মচারী ও একজন নাইট গার্ডকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে রশি দিয়ে বেঁধে প্রায় ২০ লাখ টাকার ১৪টি গাভী লুট করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

    খামার মালিক কাইয়ুম জানান, মুখোশ পরিহিত ১০/১২জনের অস্ত্রধারী ডাকাতদল গরুর শেডের তালা কেটে ভিতরে প্রবেশ করে দুইজন কর্মচারী ও একজন নাইড গার্ডকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে ফেলে। পরে তাদের কাছ থেকে চাবি নিয়ে মূল গেইট খুলে ভিতরে ট্রাক নিয়ে গরু তুলে। এসময় ডাকাতেরা খামারের কর্মচারী মফিজুল হককে পিটিয়ে আহত করে।

    খামার মালিকের ভাই সাংবাদিক এম এ মতিন জানান, ময়না ডেইরী খামারটি শ্রীপুর-সাতখামাইর সড়ক সংলগ্ন স্থানে অবস্থিত। ডাকাতদল খামারের প্রায় ২৫ লাখ টাকা মূল্যের গরু ডাকাতি করেছে।

    এ ঘটনায় গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) এ কে এম জহিরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিনি জানান, অনাকাঙ্খিত ঘটনাটি তদন্ত চলছে। গরু উদ্ধারের জন্য পুলিশের কয়েকটি টিম কাজ করছে।

    শ্রীপুর মডেল থানার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মনিরজ্জামান খান জানান, তথ্য প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে চোর ধরে আইনি তৎপরতা শুরু হয়েছে। দ্রুত ফলাফল পাবার আশা করছি।

  • দুর্নীতি ও অনৈতিক কাজে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি পুলিশ সুপারে

    দুর্নীতি ও অনৈতিক কাজে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি পুলিশ সুপারে

    দুর্নীতি ও অনৈতিক কাজে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি পুলিশ সুপারে

    মোহাম্মদ আদনান মামুন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শ্রীপুর (গাজীপুর):
    গাজীপুর জেলা পুলিশের কোন সদস্য যে কোন ধরনের ঘুষ, দুর্নীতি ও অনৈতিক কাজে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কঠিন হুশিয়ারি দেন গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার জনাব শামসুন্নাহার পিপিএম।

    মে ২০২০ মাসের মাসিক অপরাধ সভায় এরকম হুশিয়ারি দেন তিনি। সভায় উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কালীগঞ্জ সার্কেল), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর), সহকারী পুলিশ সুপার (কালিয়াকৈর সার্কেল), সহকারী পুলিশ সুপার (ট্রাফিক), সকল থানার অফিসার ইনচার্জবৃন্দ সহ জেলার উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

    অপরাধ সভার সভাপতি পুলিশ সুপার জনাব শামসুন্নাহার পিপিএম উপস্থিত সকলকে দুর্নীতি ও মাদক থেকে বিরত থাকতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করান। এছাড়াও জেলার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্য সকল অফিসারদের কাজে গতি আনার নির্দেশ দেন। অপরাধ ঘটার আগেই অপরাধীদের প্রতিহত করতে বলেন তিনি।

    পুলিশিংকে জনগনের দ্বারগোড়ায় নিয়ে যাবার জন্য বিট পুলিশিং কার্যক্রম শুরু করার তাগিদ দেওয়া হয়। পুলিশকে জনগনের প্রকৃত বন্ধু হিসেবে কাজ করার বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন তিনি।

    এছাড়াও সকল পুলিশ সদস্যদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সকল সমস্যা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি।

    সূত্র: গাজীপুর জেলা পুলিশের ফেইজবুক ও কালিয়াকৈর সার্কেল, গাজীপুর পেইজে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয় তা থেকে সংগ্রহীত।

  • শ্রীপুরে আওয়ামীলীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

    শ্রীপুরে আওয়ামীলীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

    শ্রীপুরে আওয়ামীলীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

    মোহাম্মদ আদনান মামুন নিজস্ব প্রতিবেদক, শ্রীপুর (গাজীপুর):

    গাজীপুরে শ্রীপুরে আওয়ামী লীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের (২৩ জুন) প্রতিষ্ঠা বর্ষিকী উপলক্ষে গাজীপুরের শ্রীপুরে মাওনা চৌরাস্তায় গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগ এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক ও সভাপতি প্রার্থী, তারন্যের অহংকার মোঃ ফাহিম খন্দকারের সভাপতিত্বে গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগ দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেন।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা ছাত্রলীগ নেতা, মোরসালিন মামুন, নাইম খন্দকার, শাকিল প্রমুখ।

    এ সময় মহামারী করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষার জন্য ও আওয়ামী লীগের যে সমস্ত নেতা কর্মী শাহাদাত বরণ করেছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশ জাতির কল্যাণে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

  • আমার ক্যাম্পাস ও সংগঠন নিয়ে কিছু কথা

    আমার ক্যাম্পাস ও সংগঠন নিয়ে কিছু কথা

    আমার ক্যাম্পাস ও সংগঠন নিয়ে কিছু কথা

    নিজস্ব প্রতিবেদক:
    দেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ১৮ বছরের সবাই একটি জাতীয় পরিচয়পত্র পাই। এই পরিচয়পত্রে আমাদের অভিন্ন পরিচয় উল্লেখ থাকে; জাতীয়তাঃ বাংলাদেশি। এখানে রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক বিষয়ে কোনো তথ্যের উল্লেখ থাকে না।
    একইভাবে যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিন্ন প্রক্রিয়ায় ভর্তির পর আমরা যে পরিচয়পত্র পাই সেখানেও নাম, বিভাগ, রেজিঃ নম্বরের মতো তথ্যগুলোই দেওয়া থাকে। কে-কোন দল করে এসব বিষয়ে কোনো তথ্য থাকে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক পড়াশোনার বাইরে নিজের ভালোলাগার মতো অনেক কিছু করার সুযোগ থাকে।
    ক্যাম্পাসে কাজ করার জন্য সামাজিক, সাংস্কৃতিক, গণমাধ্যম, প্রগতিশীল রাজনৈতিক সংগঠনসহ অনেক কিছুর সাথেই নিজেকে যুক্ত করার অবারিত সুযোগ রয়েছে। তাই ক্যাম্পাসে ভর্তির পর থেকে আমাদের পরিচয়ের প্রশ্ন উঠলে আমরা এই ক্যাম্পাসের ছাত্র এটাই সবার মনে রাখা উচিত; এরপর যার যার সাংগঠনিক পরিচয়।
    প্রোগ্রাম দেখি, সাস্ট ডিবেটিং সোসাইটির ডিবেট উপভোগ করি, রিম, নোঙরের কনসার্টে যাই। এ সকল আয়োজনের পুরোটাই আমাদের জন্য। এখানে কোনো ধর্ম, বর্ণ আর আদর্শের ভেদাভেদ নাই। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, মুখ্য পরিচয় বাদ দিয়ে গৌণ পরিচয়টা বেশি প্রচার করা হয়। আর ব্যক্তিটি যদি রাজনৈতিক সংগঠনের হয় তাহলে তো কথাই নেই। অবশ্য অন্য সংগঠনের নাম সেভাবে সামনে আসে না সচরাচর। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই ধরনের প্রচার বিরোধী। ব্যক্তি পরিচয় আর রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। একটার দ্বায়ভার অন্যটির ওপর চাপানো অনুচিত। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষিত সচেতন ভাইবোনদের কাছে আমার সবসময়ের প্রাণের দাবি, এই আলাদা বিষয়গুলোকে আপনারা আলাদা করেই মূল্যায়ন করবেন।
    অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মাহির চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রশাসনের মামলা সাস্টের ইতিহাসের অন্যতম নিকৃষ্ট ঘটনার একটি। মাহির সম্পর্কে যতটুকু জেনেছি, সে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল চিন্তাধারারই একজন। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, প্রশাসন, রাজনীতি, সংস্কৃতি সব কিছু নিয়েই আমাদের ক্যাম্পাস। এখানে একটা অন্যটার সাংঘর্ষিক নয়; বরং পরিপূরক।
    অনলাইনে ক্লাস বর্জন ইস্যুতে সক্রিয় থাকায় ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে প্রক্টরের প্রত্যক্ষ মদদে নিজ বিভাগের ছাত্রের ওপর এই মামলা এটাই স্বাক্ষ্য দেয় যে, কোনো শিক্ষার্থীই তার কাছে নিরাপদ নয়। তাই তাকে সরিয়ে প্রকৃত অভিভাবক সমতূল্য কাউকে প্রক্টরের দায়িত্বে বসানো উচিত, যিনি সন্তান ভেবে সবাইকে বুকে আগলে রাখবেন। দমন-পীড়ন নীতি কখনো একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ হতে পারে না। প্রশাসনের এই নীতি প্রগতিশীল, মুক্ত সংস্কৃতি, মুক্তচিন্তা বিকাশের পথে চরম অন্তরায়।
    বিগত সময়ের আরও কিছু ঘটনায় প্রশাসনের এই নগ্ন চরিত্র সবার কাছে পরিস্কার হয়ে গেছে এখন। তাই ক্যাম্পাসের একজন সাবেক ছাত্র হিসেবে, প্রগতির পতাকাবাহী সংগঠনের একজন কর্মী হিসেবে তাদের এই নগ্নতার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং মাহিরের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার দ্রুত প্রত্যাহার দাবি করছি।
    নিজের সংগঠন নিয়ে যেটুকু না বললেই নয়, আমি আত্মসমালোচনার পক্ষে। হাজারটা দোষ আমার। তবে যে কাউকে দেখে শেখার মানসিকতা আছে, ভুল স্বীকার করার সৎ সাহস আছে। আজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের যতটুকু সমালোচনা, এর সবচেয়ে বড় কারণ যদি সাবলীল ভাষায় বলি তা হচ্ছে, দুর্বল নেতৃত্ব।
    আমাদের জেলা ইউনিটগুলোর নেতৃত্ব নির্বাচনের সিস্টেমে কিছু সমস্যা আছে। শুধুমাত্র এই একটা ভুলের কারণেই মৌলবাদী শক্তির হাতে আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলার ইস্যু তুলে দেই আমরা। ছাত্রলীগের ব্যাপ্তি বিশাল; তাই তার দায়িত্বও বেশি। সবচেয়ে বড় সংগঠন হওয়ার কারণে এর কাজের পরিধিও বড়।
    দুঃখজনক হলেও সত্য, ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সকল অঙ্গ সংগঠন, সহযোগী সংগঠনে এখন পার্টটাইম রাজনীতি করা লোকের সংখ্যাধিক্য। এরা দলের সুদিন দেখে আসে। আবার দুর্দিন থেকে চুপচাপ সরে যায়। এদের আগমনী গান সকলের দৃষ্টিগোচর হলেও প্রস্থানটা হয় অতি সঙ্গোপনে।
    এসেই তারা শর্টকাটে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করে। আর সমস্যার শুরুটা এখান থেকেই। সফলতার এমনকি ভালো কিছু করার কোনো শর্টকাট রাস্তা নেই। ধৈর্য্য এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমেই এগুলো অর্জন করতে হয়। কারণ রাজনীতি পৃথিবীর সবচেয়ে ধীর গতির দীর্ঘ প্রক্রিয়া।
    আওয়ামী লীগ সরকার তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায়। প্রথম মেয়াদ থেকে শুরু করে এই তৃতীয় মেয়াদ পর্যন্ত জ্যামিতিক হারে দলটির নেতাকর্মী, সমর্থক বেড়েই চলেছে। কে কার চেয়ে কত বড় আওয়ামী লীগার, এই প্রমাণ দিতেই ব্যস্ত সবাই। আদর্শ চর্চার নাম করে এমন অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নেমে স্বজ্ঞানে-অজ্ঞানে দলের বারোটা বাজাচ্ছেন একেকজন। এই বিতর্কিত ব্যক্তিবর্গ কথায় কথায় দলীয় প্রধানের নাম বিক্রি করে। কারণ তাদের ব্যক্তিগত অর্জন শূণ্যের ঘরে। অতি ধূর্ত এই নব্য রাজনীতিবিদদের বাচনভঙ্গি, রুচিবোধ, নীতি-আদর্শ, সংগঠনে অবদান কোনোটাই একজন নিরপেক্ষ সাধারণ মানুষকে আওয়ামী লীগের প্রতি ইতিবাচক ধারণা জন্মাতে অনুপ্রাণিত করতে পারে না।
    বিপরীতক্রমে তাদের অশালীন কর্মকাণ্ডের ফলে দলের প্রতি সাধারণ ভোটারদের নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়। মতের অমিল হওয়ার কারণে এরা যখন খুশি, যাকে খুশি, যেভাবে খুশি শিবির ট্যাগ দিচ্ছে। ফলশ্রুতিতে প্রকৃত শিবির যারা, তারা আলোচনার বাইরে থেকে যাচ্ছে। এই যত্রতত্র ট্যাগ দেওয়ার ফলে সংগঠন এবং নেতাকর্মী সম্পর্কে জনমনে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হচ্ছে। এতে দীর্ঘমেয়াদে দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
    রাজনীতি করতে হলে ব্যক্তি ইমেজ থাকা জরুরি। নেতা হিসেবে কাউকে পছন্দ হলে ওই নেতার দল যাই হোক না কেন, মানুষ পছন্দের ব্যক্তির পেছনেই দাঁড়ায়। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে ছাত্ররাজনীতি থেকে শুরু করে মূল দল পর্যন্ত এটাই চলে। তাই পার্টটাইম ভাইদের প্রতি বিনীত অনুরোধ, আপনারা গরু মোটাতাজাকরণের মতো শর্টকাট সিস্টেম পরিহার করে নেতা-সুলভ চরিত্র গঠন করুন।

  • শ্রীপুরে অস্ত্রসহ ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ২ ডাকাত গ্রেফতার

    শ্রীপুরে অস্ত্রসহ ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ২ ডাকাত গ্রেফতার

    শ্রীপুরে অস্ত্রসহ ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ২ ডাকাত গ্রেফতার

    মোহাম্মদ আদনান মামুন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শ্রীপুর (গাজীপুর):
    গাজীপুরের শ্রীপুরে দেশীয় অস্ত্রসহ ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ০২ ডাকাত কে গ্রেফতার করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ।

    ২৪ জুন মঙ্গলবার দিবাগত রাত অনুমান ১টার দিকে উপজেলার বেতজুড়ি এলাকায় ঢালুর ব্রিজ থেকে ডাকাতি প্রস্তুতি কালে ২ ডাকাতকে দেশীয় অস্ত্রসহ হাতে নাতে আটক করে শ্রীপুর থানা পুলিশ।

    গ্রেফতারকৃতরা হলেন উপজেলার গিলার চলা এলাকার জিন্নত আলির ছেলে রাকিব(১৮), অপরজন ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার দরিচারবাড়িয়া গ্রামের আনিচ মিয়ার ছেলে ফোরকান মিয়া (১৮)।

    এসময় তাদের কাছ থেকে ২ টি রাম-দা একটি কাটার,১ টি চাপাতি ও ১ টি নকিয়া মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

    শ্রীপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান জানান,রাত্রি কালিন ডিউটির সময় উপজেলার বেতজুড়ি ঢালুর ব্রিজ এলাকা ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ ২ ডাকাতকে দেশীয় অস্ত্রসহ হাতে নাতে আটক করা হয়।

    শ্রীপুর মডেল থানার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মনিরুজ্জামান খান জানান, গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাই সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। তাদেরকে ৩৯৯/৪০২দঃ বিঃ ধারায় ডাকাতির চেষ্টা মামলা রুজু করে বুধবার সকালে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

  • গণস্বাস্থ্যের কিট কার্যকর বলছে বিএসএমএমইউর প্রতিবেদনে

    গণস্বাস্থ্যের কিট কার্যকর বলছে বিএসএমএমইউর প্রতিবেদনে

    গণস্বাস্থ্যের কিট কার্যকর বলছে বিএসএমএমইউর প্রতিবেদনে

    ডেক্সসংবাদঃ
    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া গত ১৭ জুন জানিয়েছেন, গণস্বাস্থ্যের কিট পরীক্ষা করে তারা দেখেন করোনা শনাক্তে এই কিট কার্যকর নয়। মুখে এই কথা বললেও বিএসএমএমইউর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে কিন্তু অ্যান্টিবডি পরীক্ষায় এই কিটের কার্যকারিতার কথাই বলা হয়েছে।
    প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে, সংক্রমণ সাত দিনের কম হলে শরীরে করোনার উপস্থিতি এই কিট দিয়ে শনাক্ত করা সম্ভব নয়। ডা. কনক কান্তি বড়ুয়াও একই কথা বলেছিলেন।
    আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং সাত দিনের কম সময় ধরে উপসর্গ রয়েছে, এমন ১০০ জন রোগীকে এই দ্রুত শনাক্তকরণ কিট দিয়ে পরীক্ষা করে দেখা যায় যে শুধুমাত্র ১১ শতাংশের ক্ষেত্রে সঠিকভাবে সংক্রমণ শনাক্ত করা গেছে। কিন্তু, অসুস্থতার শুরুর দিকে তো রোগীর শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় না। শরীর রোগপ্রতিরোধ করা শুরু করার পরই রক্তে অ্যান্টিবডি আসা শুরু করে। এই প্রক্রিয়াটি সময়সাপেক্ষ।

    রিপোর্টে দেখা গেছে, সংক্রমিত হওয়ার পর দিন যত যাবে, তত এই কিটের ‘সেনসিটিভিটি’ বাড়বে। ‘সেনসিটিভিটি’ অর্থাৎ কত শতাংশ কোভিড-১৯ পজিটিভ নমুনা সঠিকভাবে শনাক্ত করেতে সক্ষম হয়েছে এই কিট।

    ৮-১৪ দিন ধরে করোনায় আক্রান্ত ১০০ রোগীর নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গেছে, এই কিট ৪১ জনের শরীরে অ্যান্টিবডি শনাক্ত করতে পেরেছে এবং ৫৯ জনেরটা পারেনি।

    অন্তত ১৪ দিন ধরে উপসর্গ নেই, এমন ১০৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করার পর ৭৬ জনের শরীরে অ্যান্টিবডি শনাক্ত করতে পারে এই কিট। তার মানে আক্রান্ত হয়ে সুস্থতার পথে আছেন, এমন ব্যক্তিদের শনাক্তে এই কিটের সেনসিটিভিটি ৭০ শতাংশ।

    বিএসএমএমইউর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ১৮ দিন যাবত উপসর্গ নেই এই নমুনাদলের ‘৯৫ শতাংশ কনফিডেন্স ইন্টারভাল’ ৬০ দশমিক ১৯ শতাশ থেকে ৭৮ দশমিক ১৬ শতাংশর মধ্যে। এর অর্থ, পরীক্ষাটি যদি পুনরায় করা হয় তাহলে ‘সেনসিটিভিটি’র ফলাফাল এই রেঞ্জের মধ্যেই পড়ার সম্ভাবনা ৯৫ শতাংশ। তার মানে, এই দলের জন্য সেনসিটিভিটি ৭৮ দশমিক ১৬ শতাংশ পর্যন্ত উঠতে পারে।

    পিসিআর পরীক্ষায় করোনা শনাক্তের ১৪ দিন পরে অ্যান্টিবডি পরীক্ষায় শতভাগ ‘সেনসিটিভিটি’ পাওয়া গেছে সুইজারল‌্যান্ডের স্বাস্থ‌্যসেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রোচের তৈরি করা অ্যান্টিবডি কিটে। গত মে’তে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) রোচের তৈরি করা কিট ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে।

    গণস্বাস্থ্যের প্রধান গবেষক ড. বিজন কুমার শীল গতকাল সোমবার বলেছেন, ‘যেই সব ক্ষেত্রে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করার জন্য এই কিটের ব্যবহার সুপারিশ করেছে এই প্রতিবেদন, সেই কাজে কিটের অনুমতি চেয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে চিঠি দিচ্ছি।’

    বিএসএমএমইউর সুপারিশে বলা হয়েছে, যেসব স্থানে আরটি-পিসিআর পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই, সেখানে অসুস্থতার দ্বিতীয় সপ্তাহে এবং কোভিড-১৯’র উপসর্গ থাকা স্বত্ত্বেও পিসিআরও পরীক্ষায় ফল নেগেটিভ এসেছে, সেসব ক্ষেত্রে এই কিট কিছুটা সহায়ক হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।

    দেশে বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন সন্দেহভাজন রোগীরা পিসিআর পরীক্ষার ফল ছাড়া চিকিৎসা পাচ্ছেন না, তখন এই কিট দিয়ে পরীক্ষার গুরুত্ব বোঝাতে একটি চিত্র তুলে ধরে কোভিড-১৯ র‌্যাপিড ডট ব্লট প্রকল্পের সমন্বয়কারী ডা. মহিবুল্লাহ খন্দকারের কাছে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, ‘এক রোগীর মধ্যে আট দিনের বেশি সময় ধরে উপসর্গ আছে এবং তিনি হাসপাতালে ভর্তি হতে চাচ্ছেন। কিন্তু, তিনি আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করাননি। সেক্ষেত্রে তার করোনা রয়েছে কি না, তা শনাক্তে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কি গণস্বাস্থ্যের কিট ব্যবহার করতে পারে।

    জবাবে ডা. মহিবুল্লাহ খন্দকার বলেন, ‘হ্যাঁ, তিনি অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করাতে পারেন। তবে, যদি ফল নেগেটিভ আসে, তাহলে ভাইরাল ক্লিয়ারেন্সের জন্য তার অ্যান্টিজেন পরীক্ষাও করাতে হবে।’

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি ফল নেগেটিভ আসে, এর মানে দুইটি বিষয় হতে পারে। হয় তিনি করোনায় আক্রান্ত নন, না হয় তিনি আক্রান্ত, কিন্তু, যথেষ্ট অ্যান্টিবডি না থাকায় র‌্যাপিড ডট ব্লট কিট শনাক্ত করতে পারেনি।

    আর যদি ফল পজিটিভ আসে, তাহলে ওই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ও তার শরীর এর বিরুদ্ধে লড়াই করছে অথবা তার করোনা হয়েছিল, কিন্তু ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে গেছেন। সেই রোগী নিশ্চিন্তে করোনার জন্য ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারবেন।

     

  • আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বৃক্ষরোপণ রোপন করেছেন চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমর

    আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বৃক্ষরোপণ রোপন করেছেন চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমর

    আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বৃক্ষরোপণ রোপন করেছেন চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমর

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সাভার উপজেলার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমর বৃক্ষরোপণ করেন।

    মঙ্গলবার (২৩ জুন) দুপুরে সাভার উপজেলার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের হেমায়েতপুরের নালিয়াসুর গ্রামের ওয়াসিল উদ্দিন সড়কের পাশে বিভিন্ন প্রজাতির ৩০০ শতাধিক বনজ, ফলজ ও ঔষধি গাছ রোপন করেন তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমর। এ বিষয়ে তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমর বলেন বাংলাদেশের মানুষ যে স্বপ্ন দেখে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তা বাস্তবায়ন করেন।

    আওয়ামী লীগের ৭১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্মানিত সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় আমরা এই বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী এই কর্মসূচি স্বাগত জানিয়ে যার যার জায়গা থেকে অন্তত ৪টি করে গাছ রোপণ করবেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ বারেক, তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

  • বাইশ ক্যারেটের প্রতি ভরির স্বর্ণের দাম ৬৯ হাজার ৮৬৭ দশমিক ৩৬ টাকা,স্বর্ণের দাম বাড়লো ৫৭১৫ টাকা

    বাইশ ক্যারেটের প্রতি ভরির স্বর্ণের দাম ৬৯ হাজার ৮৬৭ দশমিক ৩৬ টাকা,স্বর্ণের দাম বাড়লো ৫৭১৫ টাকা

    বাইশ ক্যারেটের প্রতি ভরির স্বর্ণের দাম ৬৯ হাজার ৮৬৭ দশমিক ৩৬ টাকা,স্বর্ণের দাম বাড়লো ৫৭১৫ টাকা

    অর্থনৈতিকডেক্স: দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম হঠাৎ অস্বাভাবিক রকম বেড়েছে। ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরির দাম বেড়েছে ৫ হাজার ৭১৫ টাকা। ২১ ক্যারেটের ভরিতে বেড়েছে ৪ হাজার ৮৯৯ টাকা, সনাতন পদ্ধতির ৩ হাজার ৬১৬ টাকা ও ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরিতে বেড়েছে ১১৬৬ টাকা।

    মঙ্গলবার (২৩ জুন) থেকে নতুন দামে বিক্রি হবে অলংকার তৈরির এ ধাতু।

    সোমবার (২২ জুন) বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে সবশেষ স্বর্ণের দাম নির্ধারণ হয়েছিল চলতি বছরের ২৯ মে।

    বাজুস নির্ধারিত নতুন মূল্য তালিকায় দেখা গেছে, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৯ হাজার ৮৬৭ দশমিক ৩৬ টাকা। রোববার পর্যন্ত এই মানের স্বর্ণের দাম ছিল ৬৪ হাজার ১৫২ টাকা। দাম বাড়লো ৫ হাজার ৭১৫ টাকা।

    ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরির দাম ধরা হয়েছে ৬৬ হাজার ৭১৮ দশমিক শূন্য ৮ টাকা। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬১ হাজার ৮১৯ দশমিক ২০ টাকা। ভরিতে বেড়েছে ৪ হাজার ৮৯৯ টাকা।

    একইভাবে ১৮ ক্যারেটের ভরির দাম পড়বে ৫৭ হাজার ৯৭০ দশমিক ৮০ টাকা। এখন দাম রয়েছে ৫৬ হাজার ৮০৩ দশমিক ৬৮ টাকা। দাম বেড়েছে ১১৬৬ টাকা।

    সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ প্রতি ভরির দাম ধরা হয়েছে ৪৭ হাজার ৬৪৭ দশমিক ৪৪ টাকা। বুধবার পর্যন্ত দাম রয়েছে ৪৪ হাজার ৩১ দশমিক ৬০ টাকা। দাম বেড়েছে ৩ হাজার ৬১৬ টাকা।

    অপরিবর্তিত রয়েছে ২১ ক্যারেট ক্যাডমিয়াম রুপার দাম। প্রতি ভরি বিক্রি হচ্ছে ৯৩৩ টাকায়।

    বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, আর্ন্তজাতিক বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত জুয়েলারি মালিকরা নতুন দামে স্বর্ণ বিক্রি করবেন।