Blog

  • অনিয়ম-দুর্নীতি বা অপরাধ করার চেষ্টা করলে কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে নাঃ প্রধানমন্ত্রী

    অনিয়ম-দুর্নীতি বা অপরাধ করার চেষ্টা করলে কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে নাঃ প্রধানমন্ত্রী

    অনিয়ম-দুর্নীতি বা অপরাধ করার চেষ্টা করলে কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে নাঃ প্রধানমন্ত্রী

    করোনাকালের দুই আলোচিত চরিত্র মো. সাহেদ বা সাহেদ করিম এবং চিকিৎসক সাবরিনা আরিফ চৌধুরী বা সাবরিনা শারমিন হোসেইন। এদের একজন ছিলেন ‘টকশো নায়ক’, অপরজন ‘তারকা উপস্থাপক’। নানা উপায়ে ক্ষমতার বলয়ে ঢুকে অবৈধভাবে অর্থবিত্তের মালিক হতে চাওয়ার সাম্প্রতিক উদাহরণ এই দুই চরিত্র। তবে তাদের শেষ রক্ষা হয়নি। দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর অবস্থান থাকায় তারা গ্রেফতার হয়েছেন। এরই মধ্যে তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।

    সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে কথা বলে জানা গেছে, কেবল সাহেদ বা সাবরিনাই নন, আওয়ামী লীগ ও সরকারের নাম ভাঙিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি বা অপরাধ করার চেষ্টা করলে কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে না। প্রত্যেককেই শাস্তির আওতায় আনা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি নিয়েছেন। এরই মধ্যে সংশ্লিষ্টদের তিনি নিজের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছেন।

    গত ৯ জুলাই জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দুর্নীতিবাজ যে-ই হোক ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত থাকবে। কে কোন দলের তা বড় কথা নয়, দুর্নীতি ও অনিয়মে জড়িতদের আমরা ধরে যাচ্ছি। আগের দিন ৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে অপর এক বক্তৃতায় রাজধানীর রিজেন্ট হাসপাতাল নিয়ে বলেন, ওই (রিজেন্ট) হাসপাতালের এই তথ্য আগে কেউ দেয়নি, জানাতে পারেনি। সরকারের পক্ষ থেকেই খুঁজে বের করেছি, ব্যবস্থা নিয়েছি।
    প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অপরাধ ও দুর্নীতি যার যার তার তার। দল বা সরকার কারও অপরাধের দায় নেবে না। এক্ষেত্রে কেউ দল বা সরকারের ভিতর বা বাইরের হতে পারেন। কাউকে ছাড় দেবেন না প্রধানমন্ত্রী। কোনোমতেই আইনের স্বাভাবিক গতিপথ বাধাগ্রস্ত করতে দেবেন না তিনি। সরকারের শীর্ষ পর্যায় মনে করে, ক্ষমতার টানা তিন মেয়াদে একটি সুবিধাবাদী শ্রেণি নানা ফটক দিয়ে আওয়ামী লীগে ঢুকে পড়েছে। তারা দলের নাম ভাঙিয়ে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টায় আছে। তাদের কর্মকান্ড দৃশ্যমান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকার বা দলের কোনো বড় নেতা বা কর্মকর্তা তাদের রক্ষা করতে পারবেন না। এখানে প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান কঠোর ও অনমনীয়।

    জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব মো. ইহসানুল করিম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, অপরাধ ও দুর্নীতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আপস নেই। যারা যেখানে উল্টাপাল্টা কিছু করছে তাৎক্ষণিক তাদের ধরা হচ্ছে। সে যেই হোক, দুর্নীতি করে কেউ পার পাবে না। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত কঠোর।

    কয়েকটি ঘটনা পর্যালোচনায় দেখা যায়, একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে এক রকম যুদ্ধ ঘোষণা করেন। এক্ষেত্রে তিনি নিজের ঘর থেকেই শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা শুরু করেন। এ অভিযানে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের অনেক প্রভাবশালী নেতাকে প্রধানমন্ত্রী সংগঠন থেকে ছুড়ে ফেলে দেন।

    সাম্প্রতিক সময়ের আলোচিত চরিত্র মো. সাহেদ কিছু রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিকের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করে ক্ষমতার বলয়ে ঢুকে পড়েন। রাতারাতি তিনি ‘টকশো নায়ক’ বনে যান। তার কথাবার্তায় মনে হতো তিনি সরকার ও দলের অন্যতম প্রধান নীতিনির্ধারক। রাষ্ট্র ও সরকারের শীর্ষ এমন কেউ নেই যে তার সঙ্গে সাহেদের ঘনিষ্ঠ ছবি নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও রাষ্ট্রের বড় বড় প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তির সঙ্গে সাহেদের হাস্যোজ্জ্বল ছবি দেখে তার সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় অবস্থান নিয়ে কারও প্রশ্ন তোলার সুযোগ ছিল না। এই সাহেদ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটিরও সদস্য ছিলেন। এই পদবি ব্যবহার করে রাষ্ট্রের সব বড় বড় অনুষ্ঠানের সামনের সারিতে বসতেন তিনি। এভাবেই তিনি নিজের রিজেন্ট হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেডে হাসপাতাল হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে চুক্তি করতে সমর্থ হন। কিন্তু কভিড-১৯ টেস্ট নিয়ে প্রতারণা ও অনিয়ম ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার দুটি হাসপাতালই সিলগালা করে দেওয়া হয়। দলীয় পরিচিতি এবং সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিদের সঙ্গে সুসম্পর্ক তাকে শেষ রক্ষা করতে পারেনি।

    এ সময়ে অপর আলোচিত চরিত্র ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী ও তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীর প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ার আওয়ামী লীগ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নাম ভাঙিয়ে কাজ বাগিয়ে নিত। বিনামূল্যে কভিড-১৯ টেস্ট করার ব্যাপারে তাদের প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে চুক্তি করে। কিন্তু তাদের প্রতারণা ধরা পড়ার পর এরই মধ্যে এই দম্পতি গ্রেফতার হয়েছেন। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক তাদের সুরক্ষা দেয়নি। স্বাভাবিক আইনি প্রক্রিয়ায় প্রতারণার সঙ্গে ডা. সাবরিনার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার ঠিক আগের আলোচিত চরিত্র ছিলেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য শহীদ ইসলাম পাপুল ও তার সংসদ সদস্য স্ত্রী সেলিনা ইসলাম। অবৈধ পথে অর্থ উপার্জন করে রাজনীতি ও ক্ষমতার বলয়ে ঢুকে যান তিনি। অর্থ বিলিয়ে সংসদ সদস্য হয়েছেন। তার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী সংসদে ঘোষণা দিয়েছেন, ওই সংসদ সদস্য (পাপলু) নাকি কুয়েতের নাগরিক! সে কুয়েতের নাগরিক কিনা, তা নিয়ে কিন্তু কুয়েতের সঙ্গে কথা বলছি, বিষয়টি দেখব। যদি এটা হয়, তাহলে তার ওই আসনটি (লক্ষ্মীপুর-২) খালি করে দিতে হবে। যেটা আইন আছে, সেটাই হবে। আর তার বিরুদ্ধে এখানেও তদন্ত চলছে।

    লকডাউনের পর ত্রাণ তৎপরতায় যেসব জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে তাদের তাৎক্ষণিক বরখাস্ত করা হয়। অথচ এদের বেশির ভাগই ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত জনপ্রতিনিধি। মাস্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় আওয়ামী লীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতার নামে অভিযোগ ওঠায় তার নামেও মামলা হয়েছে। দলীয় পরিচিতি কাউকে রেহাই দেয়নি।

    এর আগে হঠাৎ করেই আলোচনায় এসেছিলেন পাপিয়া নামের এক যুব মহিলা লীগ নেত্রী। মূলত, একশ্রেণির রাজনীতিবিদ ও প্রভাবশালীর সঙ্গে সম্পর্ক করে তদবির বাণিজ্যই ছিল তার পেশা। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এই তথাকথিত নেত্রীকে গ্রেফতার করে এবং জেলহাজতে পাঠায়। পাপিয়ার আগে আলোচিত ছিলেন ক্যাসিনোর নায়কেরা। তাদের বাড়ি ভর্তি কাঁড়ি কাঁড়ি নগদ অর্থ আর শত শত বাড়ি ফ্ল্যাটের খবর পাওয়া যেত। আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের কিছু প্রভাবশালী নেতার ছত্রচ্ছায়ায় ক্যাসিনো কর্মকান্ড চলত। কেউ কেউ সরাসরি ক্যাসিনোকান্ডে জড়িত ছিলেন। সরকারের নির্দেশে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান পরিচালনা হয়। ক্যাসিনোকান্ডে সরাসরি সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ায় ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগ সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার করা হয়। সম্রাটকে সহযোগিতা করার অভিযোগে যুবলীগের তৎকালীন চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। একইভাবে নির্মাণ খাতের গডফাদার জি কে শামীম অর্থ ব্যবহার করে যুবলীগে ঢুকে পড়েন। তিনিও প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে বড় বড় কাজ বাগিয়ে নিতেন। শেষ পর্যন্ত তারও ঠাঁই হয় জেলখানায়। ক্যাসিনোকান্ড ও জি কে শামীমের সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের তখনকার শীর্ষ নেতাদের বিদায় করে দেওয়া হয়। পরে সম্মেলনের মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবক লীগে নতুন নেতৃত্ব আনা হয়। তার আগে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজোয়ানুল হক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তাদের দলীয় পদ থেকে তাৎক্ষণিক অব্যাহতি দেওয়া হয়।

    সরকারের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, হাতেগোনা কয়েকজনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের অর্জন ম্লান হতে বসেছে। এ অবস্থার অবসান চায় সরকার। আওয়ামী লীগ কোনো অপরাধী বা দুর্নীতিবাজের আশ্রয়স্থল বা প্রতিরক্ষা হতে পারে না। তাই এখন থেকে ঘটনার পেছনের ঘটনাও খতিয়ে দেখা হবে। কেউই ছাড় পাবে না। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান অনড়।

  • শেখ হাসিনা আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে-এমপি রোমানা আলী টুসি

    শেখ হাসিনা আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে-এমপি রোমানা আলী টুসি

    শেখ হাসিনা আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে-এমপি রোমানা আলী টুসি

    মোহাম্মদ আদনান মামুন, নিজস্ব প্রতিবেদক- শ্রীপুর (গাজীপুর):

    শেখ হাসিনার আদর্শ বাস্তবায়নের সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য রোমানা আলী টুসি।

    শুক্রবার পৌর এলাকার কেওয়া পশ্চিম খন্ড গ্রামের দারচালা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শ্রীপুর উপজেলা যুবলীগের আয়োজনে বৃক্ষরোপন ও চারা বিতরণ কালে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর জেলা আ’লীগের সদস্য ও শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল।

    তিনি আরও বলেন, বৃক্ষরোপন ও ঘরে ঘরে চারা বিতরণ একটি মহান উদ্যোগ। আগামী প্রজন্মকে সুন্দর পৃথিবী উপহার দিতে হলে সবুজ বনায়নের কোন বিকল্প নেই বলে তিনি জানান।

    অনুষ্ঠানের বক্তব্য রাখেন, শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মন্ডল বুলবুল, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক অ্যাড. হারুন-অর-রশিদ ফরিদ, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল আলম রবিন, রফিকুল ইসলাম বিএ, হাসানুল হক শাওন, রুহুল কিস, ইদ্রিস আলী, মাসুদ পারভেজ মঞ্জু, মোখলেছুর রহমান, জেলা পরিষদ সদস্য নুরুল ইসলাম শিমুল ও আনোয়ার খন্দকার প্রমুখ।

    উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক নেতা জালাল উদ্দিন, কফিল উদ্দিন, কামরুল হাসান, তরিকুল ইসলাম রিপন, জাকিরুল হাসান জিকু প্রমুখ।

  • সিআরপি’তে নেপথ্যে কোটি কোটি টাকার সরবরাহ ও ক্রয় বানিজ্য সিন্ডিকেট দরপত্রে

    সিআরপি’তে নেপথ্যে কোটি কোটি টাকার সরবরাহ ও ক্রয় বানিজ্য সিন্ডিকেট দরপত্রে

    সিআরপি’তে নেপথ্যে কোটি কোটি টাকার সরবরাহ ও ক্রয় বানিজ্য সিন্ডিকেট দরপত্রে

    সাভার:টেন্ডার জনসমুখ্যে খোলা হবে, একটি দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এমন ঘোষনা দিয়ে ক্রয় ও সরবারাহ সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়ে দরপত্র আহবান করেন সাভারের পক্ষাঘাত গ্রস্থদের পুনর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপি)। কিন্তু বাস্তবে জনসমুখ্যে বুধবার দরপত্রগুলে খোলার কথা থাকলেও তা খোলা হয়নি। এমন অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে দরপত্রে অংশগ্রহন করা ঠিকাদারদেরকে প্রকাশ্যে লাঞ্ছনা ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাভারের পক্ষাঘাত গ্রস্থদের পুনর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপি)র বিরুদ্ধে। ঠিকাদাররা আরও অভিযোগ করেন, পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেওয়া ও মালামাল ক্রয়ে দুর্নীতি করার উদ্দেশ্যে গত বছরের টেন্ডারের সময়ও একই রকম আচরন করেছে সিআরপি কর্তৃপক্ষ।

    পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিলো বুধবার বেলা ১১টা পর্যন্ত এবং টেন্ডার ব· খোলার সময় ছিলো একই দিন বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে। কিন্তু সিআরপি কর্তৃপক্ষ তা না করে শুধু লট ওয়ারী গননা করে মোট কতটি টেন্ডার জমা পরেছে সেই ঘোষনা দিয়ে টেন্ডার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। এসময় কর্তৃপক্ষ আরও বলেন, অফিসিয়াল ভাবে আমরা দরপত্রগুলো খুলে সর্ব নি¤œ দর দাতাদের জানিয়ে দেওয়া হবে। কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে টেন্ডারে অংশ গ্রহন করা উপস্থিত ঠিকাদারদের মধ্যে বিভ্রান্ত ছড়িয়ে পরে। এই নিয়ে ঠিকাদাররা প্রতিবাদ করলে এক পর্যায়ে সিআরপি কর্তৃপক্ষ লাঞ্ছনা করে ঠিকাদারদেরকে তাড়িয়ে দেয়।

    সাভার সিআরপি অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের জন্য বিভিন্ন মালামাল ক্রয়ের উদ্দেশ্যে চারটি গ্রুপে ভাগ করে দরপত্র আহবান করা হয়।
    এর মধ্যে (ক) গ্রুপে আছে ২৮টি আইটেম।
    (খ) গ্রুপে আছে ৩টি আইটেম।
    (গ) গ্রুপে আছে ৭টি আইটেম।
    (ঘ) গ্রুপে আছে ৩টি আইটেম। মূলত: ঔষধ, সার্জিকেল আইটেম, প্যাথলজিক্যাল রি-এজেন্ট, খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ, ষ্টেশনারী, বিভিন্ন ইলেকট্রিক সামগ্রীসহ বিজ্ঞাপনী সংস্থা তালিকাভুক্তি উল্লেখ যোগ্য।

    কামাল এন্টার প্রাইজ, টেকনো কনস্ট্রাকশন, সঙ্গীতা স্টোর, নাঈম এন্টার প্রাইজের কর্ণধার নাঈম, জামান ট্রেডিং এর কর্ণধার হাসানউজ্জামান সহ প্রায় আটটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্ণধা অভিযোগ করে বলেন, আমি গত বছরও একাধিক লটে টেন্ডারে অংশ গ্রহন করেছিলাম কিন্তু সর্ব নিম্ন দরদাতা হয়েও কার্যাদেশ পাইনি। মূলত সিআরপি উর্ধ্বতন কতিপয় কর্মকর্তা কয়েক কোটি টাকার মালামাল ক্রয়ে দুর্নীতির উদ্দেশ্যে একই ভাবে টেন্ডারের তথ্য গোপন করে বছরের পর বছর পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দিয়ে দিচ্ছেন।

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিআরপি’র এক কর্মকর্তা বলেন, টেন্ডারের অনিয়ম নতুন কিছু নয়। প্রতি বারই এমনটা হয়। তা না হলে একই ঠিকাদার কি ভাবে প্রায় ১৫ বছর ধরে একই কাজের কার্যাদেশ পেয়ে আসছে। তিনি আরও জানান, প্রতিবন্ধিদের উন্নত চিকিৎসার নামে বিদেশ থেকে আসা কোটি কোটি টাকা অনুদান লুটপাট করার উদ্দেশ্যেই প্রতি বছর এমন লোক দেখানো টেন্ডারের আয়োজন করা হয়। অথচ এসবের কিছুই জানেন না সিআরপি’র প্রতিষ্ঠাতা ভেলোরী টেইলর।

    টেন্ডারের সাথে সরাসরি যুক্ত অন্য এক কর্মকর্তা জানান, প্রতিষ্ঠানটির উর্ধ্বতন মহলের এক তরফা সিন্ডিকেটের এসব কর্মকান্ডের বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না, এদের অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে প্রতিষ্ঠানের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট শাহানাজ আক্তার শিমুর ২০ ১৯ সালের সেপ্টেম্বরে তার চাকুরী চলে যায়।

    এব্যপারে জানতে চাইলে সিআরপি’র সাবেক মেডিকেল টেকনোলজিস্ট শাহানাজ আক্তার শিমু যুগান্তরকে বলেন, পাতানো টেন্ডারের বিষয়ে কথা বলায় ১৯ সালের সেপ্টেম্বরে আমাকে চাকুরীচ্যুত করা হয়। সিআরপি তে নজির বিহীন সেচ্ছাচারিতা এবং সিন্ডিকেটের রাজত্ব কায়েম করেছেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচাল (ইডি) শফিকুল ইসলাম।

    প্রকাশ্যে দরপত্রের তথ্য প্রকাশ না করার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাভার পক্ষাঘাত গ্রস্থদের পুনর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপি)র নির্বাহী পরিচালক শফিকুল ইসলাম যুগান্তকে মুঠোফোনে বলেন, দরপত্র গুলো প্রকাশ্যে খোলার কথা। কিন্তু কেনো খোলা হয়নি এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের এ্যাডমিন ও দরপত্রে যুক্ত কমিটিদের সঙ্গে আলোচনা করে অতিদ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তিনি আরো বলেন, বেশ কয়েক বছর আগে দরপত্রের তথ্য গোপন করে টেন্ডার সম্পূর্ণ করা হতো এম অভিযোগ আমরা পেয়েছি। এবং সিআরপি’র বিজ্ঞাপনী সংস্থার জন্য এ্যাড প্লাস নামক একটি প্রতিষ্ঠান দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর ধরে একক ভাবে কি ভাবে কার্যাদেশ পাচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এব্যপারে খোঁজ নিয়ে কোন অনিয়ম পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।

    সূত্রঃঅনলাইন।

  • করোনা ভাইরাসে মারা গেলেন রাষ্ট্রপতির ভাই

    করোনা ভাইরাসে মারা গেলেন রাষ্ট্রপতির ভাই

    করোনা ভাইরাসে মারা গেলেন রাষ্ট্রপতির ভাই

    সত্যের সংবাদডেস্ক : করোনাভাইরাসে ভাই হারালেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন তার ছোট ভাই মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই।

    শুক্রবার রাতে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে আবদুল হাইয়ের বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।

    সংবাদমাধ্যমকে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন, “ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থায় আবদুল হাইয়ের হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল।”

    আবদুল হামিদদের নয় ভাই-বোনের মধ্যে আবদুল হাই ছিলেন অষ্টম। তার জন্ম হয়েছিল ১৯৫৩ সালে। রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিবের দায়িত্বে ছিলেন আবদুল হাই।

    ১৮ জুলাই শনিবার মিঠামইনে পারিবারিক কবরস্থানে আবদুল হাইকে দাফন করা হবে।

    আবদুল হাইয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

  • পৈত্রিক সম্পত্তির উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করে দেওয়ার অভিযোগ

    পৈত্রিক সম্পত্তির উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করে দেওয়ার অভিযোগ

    পৈত্রিক সম্পত্তির উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করে দেওয়ার অভিযোগ

    মোহাম্মদ আদনান মামুন, শ্রীপুর (গাজীপুর):

    পৈত্রিক সম্পত্তির উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাই ইউনিয়নের পূর্ব সোনাব গ্রামে এঘটনা ঘটে।

    ১৭ জুলাই ২০২০ ইং সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে উপজেলার কাওরাই ইউনিয়নের পূর্ব সোনাব গ্রামের মৃত তাহের আলী বেপারীর ছেলে ফরিদ বেপারী তার চার কন্যা শিল্পী আক্তার,বিলকিস আক্তার,কল্পনা আক্তার,মালা আক্তার ও এক ছেলে নুরুল ইসলাম সন্তানদেরকে সম্পত্তির উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করে দিয়েছে।

    এবিষয়ে ফরিদ বেপারীর বড় কন্যা শিল্পী আক্তার জানান, ২০১৬ সালে তাদের মা মারা যাওয়ার পর চার ভাই বোনদের নিয়ে মানুষের বাড়ী বাড়ী কাজ করে পেট চালাতে হতো। মা মারা যাওয়ার কিছু দিন পরেই বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে আলাদা সংসার করে। আমারে কোন খোজঁ খবর নিতো না। দ্বিতীয় সংসারেও এক ভাই এক বোন হয়। আমাদেরকে বাবার পৈত্রিক সম্পত্তির উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে।

    এবিষয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দিয়ে বিচার চেয়ে মানুষের ধারে ধারে ঘুরে ঘুরে কোন সমাধান পাচ্ছে না সম্পত্তির উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়া চার কন্যা ও এক ছেলে। সন্তানদেরকে সম্পত্তির উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করে গোপনে পার্শবর্তী আনোয়ারার কাছে ৭শতাংশ ও শহিদ মিয়ার কাছে আড়াই শতাংশ মোট সাড়ে ৯শতাংশ জমি বিক্রি করে দিয়েছে বলে জানা গেছে। এই নিয়ে ফরিদ বেপারীর বড় কন্যা শিল্পী আক্তারের সাথে পার্শবর্তী আনোয়ারা ও শহিদ মিয়ার সাথে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়।

    এরই ধারাবাহিকতায় (৪ জুলাই ২০২০ইং) শ্রীপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ফরিদ বেপারীর বড় কন্যা শিল্পী আক্তার। অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে পৈত্রিক জমিতে বাড়ী ঘর নির্মাণ করে দীর্ঘ দিন দরে বসবাস করে আসছে শিল্পী আকাতার ১১ জুন পূর্ব শত্রুতার আক্রোশে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ করে দেওয়ার জন্য বাড়ীতে হামলা করে টিনের ঘরের বেড়া কুপিয়ে কেটে দিয়েছে। এবং মারধরের ঘটনাও ঘটেছে।

    শিল্পী আরো বলেন, আমার ফুফু আনোয়ারা চাচা শহিদ বাবার সঙ্গে প্রতারনা করে কৌশলে বাবার সম্পত্তি দলিল করে নিয়েছে। বাবার সম্পত্তির উপর আমরা দির্ঘ দিন ধরে নিজের মতো করে ভোগ দখল করে আসছি। এবং বসত-ভিটা, বাড়ি সবই রয়েছে। বাবাকে দফায় দফায় সম্পত্তি ভাগ করে দেওয়ার অনুরোধ করলেও চাচা শহিদ ও ফুফু আনোয়ারা তা করে দিতে দেননি। জমির ভাগ-বাটোয়ারার কথা বললেই বাবা বাড়ি ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যাওয়ার কথা বলতেন। ভাগের সম্পত্তি দেই-দিচ্ছি করেও দিতেন না। সম্পত্তি থেকে আমাদের ভাই বোনদের বঞ্চিত করে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় মারধর করে,বাড়ীতে হামলা করে আমাদেরকে মেরে ফেলার হুমকী দিচ্ছে। এখন আমরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।

    এবিষয়ে ফরিদ বেপারী মোবাইল ফোনে বলেন,আমি চলতে পারিনা তাই সাড়ে ৯শতাংশ জমি বিক্রি করে দিয়েছি। আমি আমার সন্তাদেরকে অন্য জায়গা থেকে কিছু জমি দিয়েছি, এবং আমার সন্তান আমাকে তিন থেকে চারবার মারধর করেছে। আমি চার মাস জৈনা বাজার ভাড়া থেকেছি । এখন আমার আর কিছুই করার নাই। অনেক দিয়েছি আর দিতে পারবনা।

    কাওরাইদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আঃআজিজ বলেন, বিষয়টি আমি শোনেছি তবে উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী বাবার সম্পত্তির সন্তানেরাই তো সমান ভাবে ভাগ করে পাওয়া কথা। তবে ফরিদ বেপারীর তার কন্যা ও ছেলেদেরকে না বলে অন্য জায়গাতে বিক্রি করে দিয়েছে।

    শ্রীপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,সরেজমিনে গিয়েছিলাম শিল্পী আক্তার তার বাবা ফরিদ বেপারীর সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে বিভেদ ছিল। ফরিদ বেপারী তার সাড়ে ৯ শতাংশ সম্পত্তি চাচা শহিদ ও ফুফু আনোয়ারা নিজের নামে দলিল করে নিয়েছে। শিল্পী তার বাবকে সম্পত্তি ভাগ করে দেওয়ার অনুরোধ করলেও তা করেননি। তবে ফরিদ বেপারী তার চার কন্যা ও এক ছেলের সাথে বেইমানি করেছে । সন্তানদেরকে কিছু জমি দেওয়া উচিৎ ছিলো।

    বর্তমানে ফরিদ বেপারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে অন্য জায়গায় বসবাস করতেছেন। মায়ের মৃত্যুর পর ভাই বোন উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী সম্পত্তির সমান ভাগ পাওয়া কথা। তবে শিল্পী ও তার ভাই বোনেরা ভাগ পাচ্ছিলেন না বলে তার পরিবারের অভিযোগ।

    গাজীপুর জেলা জজ কোর্টের এ্যাভোকেট আর এ রোমান মন্ডল বলেন,ভাই-বোনের সম্পর্কই সবচেয়ে মধুর। তবে মাঝেমধ্যে এই সম্পর্কেও ফাটল দেখা দেয়। বিশেষ করে বাবা-মায়ের রেখে যাওয়া সম্পত্তি নিয়ে প্রায়ই ভাই-বোনদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে মামলা-মোকদ্দমার সংখ্যাও নেহাত কম নয়। এসব মামলায় বোনদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার ঘটনাই বেশি দেখা যায়।

    বাবা থাকা অবস্থায় মেয়ের বিয়ে না হয়ে থাকলে বাবার কাছ থেকে ভরণপোষণ পাওয়ার অধিকার রয়েছে। বাবা বা মা মারা গেলে বোনেরাও সম্পত্তির ভাগ পাবেন। কোনোভাবেই সন্তানদের বঞ্চিত করার কোনো সুযোগ নেই।

    মুসলিম আইনে বাবা বা মা মারা যাওয়ার পর তাঁর যদি ছেলে ও মেয়ে থাকে, তবে রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে ছেলে যা পাবেন, মেয়ে তার অর্ধেক পাবেন। অর্থাৎ ভাইয়েরা যা পাবেন তার অর্ধেক বোনদের বুঝিয়ে দিতে হবে। ইচ্ছা করলেই সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। যদি তাদের বাবাকে কেও প্রতারনা করে কিংবা কোন কৌশলে ওই জমি রিখিয়ে নিয়ে থাকে এতে সন্তানেরা ওই বাবার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা বা আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবে।

  • ৭০০ নম্বরে ৬৯৪ নম্বর পেয়ে তাক লাগালো গ্রামের অরিত্র পাল

    ৭০০ নম্বরে ৬৯৪ নম্বর পেয়ে তাক লাগালো গ্রামের অরিত্র পাল

    ৭০০ নম্বরে ৬৯৪ নম্বর পেয়ে তাক লাগালো গ্রামের অরিত্র পাল

    পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমানের মফস্বল শহর মেমারি থেকে মাধ্যমিকে রাজ্যের প্রথম স্থান দখল করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে অরিত্র পাল। ৭০০ নম্বরের মধ্যে অরিত্র পেয়েছে ৬৯৪ নম্বর।

    কলকাতার গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, অরিত্র তিনটি বিষয়ে একশোতে একশোই পেয়েছে। গণিতে সে ১০০ তে ১০০ ই পেয়েছে। একইভাবে ইতিহাস এবং ভূগোলেও সে ১০০ করে নম্বর পেয়েছে। ইংরেজিতে সে পেয়েছে ৯৯ নম্বর। বাংলায় পেয়েছে ৯৮ নম্বর। ফিজিক্যাল সায়েন্সও সে পেয়েছে ৯৮ নম্বর। জীববিজ্ঞানে অরিত্র পেয়েছে ৯৯ নম্বর। ফল প্রকাশিত হওয়ার পরই শিক্ষকরা তার বাড়িতে গিয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানান।
    অরিত্র জানিয়েছে, মাধ্যমিকেরের টেস্টের পর তার পড়াশোনার সময়সীমা আরও বেড়ে গিয়েছিল। দিনে সতেরো আঠারো ঘণ্টা পড়াশোনার মধ্যেই থাকতো সে। সকাল বা রাতে বাঁধাধরা পড়ার রুটিন ছিলো না। খুব গভীর রাত পর্যন্ত সে পড়াশোনা করেনি। তবে রাতে খাওয়া দাওয়ার পর দেড়-দুঘণ্টা পড়াশোনা চলত।

  • ছাত্র ধর্ষণ করে ভিডিও করে যুক্তরাষ্ট্রে স্কুল শিক্ষিকা আটক

    ছাত্র ধর্ষণ করে ভিডিও করে যুক্তরাষ্ট্রে স্কুল শিক্ষিকা আটক

    ছাত্র ধর্ষণ করে ভিডিও করে যুক্তরাষ্ট্রে স্কুল শিক্ষিকা আটক

    নাবালক ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে ২৭ বছর বয়সী শিক্ষিকাকে আটক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি পুলিশ। অভিযোগ রয়েছে, ছাত্রের সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের ভিডিও ধারণ করেছেন ওই শিক্ষিকা। এছাড়া আরেক ছাত্রকে আপত্তিকর বার্তা পাঠানোরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

    ২৭ বছর বয়সী মল্লি ভারকাম্প গত বৃহস্পতিবার পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। এক বছর ধরে তার ব্যাপারে তদন্ত করেছে গোয়েন্দারা। এর আগে গত বছরের মে মাসে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে।
    নিজের ছাত্রকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ ও অন্য ছাত্রকে আপত্তিকর বার্তা পাঠানোর অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নেমেছিল পুলিশ।

    পুলিশ জানিয়েছে, আরেক ছাত্রকে এক বার্তায় ওই নারী শিক্ষিকা লিখেছেন, তার বাড়িতে গিয়ে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে হবে। বর্তমানে শিক্ষিকাকে আটক করে পুলিশি হেফাজতে রাখা আছে। তিনি জামিন চাইলে ১০ হাজার ডলার লাগবে।

    শিক্ষিকার বাইরেও তিনি যোগ ব্যায়াম করাতেন। বিয়ে হলেও পরে তিনি স্বামীকে তালাক দিয়েছেন। অভিযোগ ওঠার পর তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় ২০১৯ সালেই।
    তৃতীয় দিনেও জ্বলছে মার্কিন রণতরী, নেভাতে পারছে না ৪০০ কর্মী!
    সূত্র : ডেইলি মেইল

  • সাভারে হিরোইনসহ পুলিশের হাতে আটক-৪

    সাভারে হিরোইনসহ পুলিশের হাতে আটক-৪

    সাভারে হিরোইনসহ পুলিশের হাতে আটক-৪

    সাভারে মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে সাভার মডেল থানা পুলিশ।

    পুলিশ জানায় সাভার থানার কালিয়াকৈর এর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে মামুনসহ ৪ জন মাদক ব্যবসায়ী আটক করে গতকাল মঙ্গলবার রাতে। আটককৃতরা হলো – (১) হিরা, (২) সেলিম (৩) সুমন (৪) মামুন।
    সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক অপূর্ব দর্ত্ত জানান, মামুনসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ী আটক করা হয় এবং তাদের কাছে থেকে ১৪০ গ্রাম (১১৪০ পুড়িয়া) হিরোইন উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত হিরোইন এর মূল্য প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার টাকা।
    বুধবার মাদক আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও পুলিশ জানায়।

  • ছয় মাসের বেশি আটকে রাখা যাবে না চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে সাহেদ

    ছয় মাসের বেশি আটকে রাখা যাবে না চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে সাহেদ

    ছয় মাসের বেশি আটকে রাখা যাবে না চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে সাহেদ

    রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। বুধবার (১৫ জুলাই) সকাল ৯টায় সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় আনার পর সাহেদকে প্রথমে র‍্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখানে উপস্থিত কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় সাহেদ অনেকটা নির্ভার ছিলেন। এ সময় বেশ কয়েকবার দম্ভোক্তি করেন তিনি।

    এ সময় র‍্যাব কর্মকর্তাদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে সাহেদ বলেন, ‘আমাকে ছয় মাসের বেশি সময় আটকে রাখা যাবে না।’ নিজের পত্রিকার লাইসেন্স আছে উল্লেখ করে যেসব সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদকর্মীরা তার ছবি তুলছে এবং সংবাদ প্রকাশ করছে তাদেরও দেখে নেওয়ার হুমকি দেন তিনি।

    এ বিষয়ে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সাহেদ একজন ঠান্ডা মাথার প্রতারক। তিনি আগেও জেলে গেছেন। ফলে আইনি বিষয়গুলো তার ভালোভাবেই জানা। সে নানা সময় নানা কথা বলছে। বিভ্রান্তিকর তথ্যও দিচ্ছে।’

    এদিকে, রিজেন্ট গ্রুপের সাথে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চুক্তি ও অবৈধ সম্পদের বিষয়ে সাহেদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে। তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে মামলা করবে দুদক, সে ক্ষেত্রে সরকারী কর্মকর্তারাও আসামি হতে পারেন। সংশ্লিষ্টদের কাউকে ছাড় দেয় হবে না জানান, দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

    তিনি বলেন, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ হলে আর অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনে ১০ বছরের সাজার কথা বলা আছে। অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে সরকারী অর্থ আত্মসাৎ করলে দন্ডবিধিতে যাবজ্জীবন সাজার কথাও আছে।

    প্রসঙ্গত, রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় দেড় লাখ টাকার জাল নোট উদ্ধার করেছে র‌্যাব। রাজধানীর উত্তরায় সাহেদের দুই নম্বর অফিসে এই অভিযান চালানো হয়। এর আগে ১২টার দিকে সাহেদকে নিয়ে সেখানে যায় র‌্যাব। পরে দেড়টার দিকে তাকে র‌্যাবের সদর দপ্তরে আনা হয়। সাহেদ করিমকে ভারতে পার করে দিতে ৫০ লাখ টাকায় রফা করেছিলেন আশ্রয়দাতা আল ফেরদৌস আলফা। এজন্য নিজের মাছের ঘেরে সুসজ্জিত এসি ঘরে চার দিন সাহেদকে রেখেছিলেন তিনি। এর মধ্যেই আলফা ব্যবস্থা করেছেন নৌকা ও মাঝি।

    পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাবের হাতে সাহেদ গ্রেপ্তার হওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সূত্রের মাধ্যমে এসব তথ্য জানা গেছে।

  • গাড়িচাপা দিয়ে তার হাসপাতালে নিতেন সাহেদ, একজন রোগী নিলেই চালক পেত ৮০০০

    গাড়িচাপা দিয়ে তার হাসপাতালে নিতেন সাহেদ, একজন রোগী নিলেই চালক পেত ৮০০০

    গাড়িচাপা দিয়ে তার হাসপাতালে নিতেন সাহেদ, একজন রোগী নিলেই চালক পেত ৮০০০

    রাজধানীর উত্তরা এলাকায় কয়েকজন গাড়িচালকের সঙ্গে চুক্তি ছিল সাহেদের। তারা রাস্তায় ঘুরে ঘুরে পথচারীকে চাপা দিয়ে রোগী বানিয়ে গাড়িতে করে তাঁর হাসপাতালে রেখে চলে যেত। এভাবে একজন রোগী রেখে দিতে পারলে তাকে দেওয়া হতো আট হাজার টাকা করে। আর অচেতন অবস্থায় রোগীকে হাসপাতালের আইসিইউতে ঢুকিয়ে তাঁর স্বজনদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা আদায় করতেন সাহেদ। কয়েকজন ভুক্তভোগী পুলিশ ও র‌্যাবের তদন্তকারীর কাছে এ ভয়ংকর অভিযোগ করেছেন। তাঁরা বলছেন, কয়েকজন চালককে টাকার লোভ দেখিয়ে সাহেদ এই ভয়ংকর অপকর্ম চালাচ্ছিলেন। তাঁর হয়ে রিজেন্ট হাসপাতালে জনসংযোগ কর্মকর্তা তারেক শিবলী এ লেনদেন করতেন। আইসিইউয়ের প্রয়োজন নেই সামান্য আহত এমন কয়েকজন রোগীকে দ্রুত আইসিইউতে নিয়ে আটকে রেখে তাঁদের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা আদায় করায় স্বজনরা সন্দেহ করেন। পরে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী এবং হাসপাতালে বহন করে নিয়ে যাওয়া চালকদের সঙ্গে রিজেন্ট হাসপাতালে যোগাযোগের তথ্য পান ভুক্তভোগীরা। এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট সূত্র।