Blog

  • করোনায় সতর্ক করতে নাগরিকদের সুরক্ষায় কন্টাক্ট ট্রেসিং অ্যাপ উদ্বোধন

    করোনায় সতর্ক করতে নাগরিকদের সুরক্ষায় কন্টাক্ট ট্রেসিং অ্যাপ উদ্বোধন

    করোনায় সতর্ক করতে নাগরিকদের সুরক্ষায় কন্টাক্ট ট্রেসিং অ্যাপ উদ্বোধন

    ডেক্স রিপোর্ট: করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে চিকিৎসা নেওয়া ব্যক্তির সংস্পর্শে এলেই সতর্ক করবে স্মার্টফোন। বৃহস্পতিবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই অ্যাপ চালু করতে যাচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ।

    তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহেমদ পলক জানান, নাগরিকদের সুরক্ষায় কন্টাক্ট ট্রেসিং অ্যাপ নিয়ে আমরা বেশ কিছু দিন থেকে কাজ করছিলাম। অবশেষে আমরা এটি চালু করতে পেরেছি। আজ এর উদ্বোধন করা হবে।

    কন্টাক্ট ট্রেসিং অ্যাপ ডাউনলোড করার পর স্মার্টফোনের লোকেশন এবং ব্লুটুথ অন রেখে বাড়ির বাইরে বের হলে এটি এক-দুই মিটারের মধ্যে যারা থাকবে তাদের হিস্ট্রিগুলো আমাদের ডাটাবেইসে পাঠাবে। কেউ যদি আক্রান্তের কাছাকাছি চলে যায় তাহলে সে স্মার্টফোনে অ্যালার্ট পাবে। তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিরা যদি কয়েক দিন পরও করোনা পজিটিভ হয় তাহলেও স্মার্টফোন থেকে সতর্কবার্তা পাওয়া যাবে। সে ক্ষেত্রে ফোন করে প্রয়োজনীয় পরামর্শও দেওয়া হবে।

  • করোনাভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে পানি চেয়েও পায়নি কর্তাব্যক্তি,ঘরের বাহিরে ছিটকানো লাগা অবস্থায় মৃত্যু

    করোনাভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে পানি চেয়েও পায়নি কর্তাব্যক্তি,ঘরের বাহিরে ছিটকানো লাগা অবস্থায় মৃত্যু

    করোনাভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে পানি চেয়েও পায়নি কর্তাব্যক্তি,ঘরের বাহিরে ছিটকানো লাগা অবস্থায় মৃত্যু

    ডেক্স সংবাদঃ
    ফেনীর সোনাগাজীতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বদ্ধ ঘরে মৃত্যু হওয়া সাহাব উদ্দিনের (৫৫) মৃত্যুর পূর্বে বীভৎস চিত্র প্রকাশ পেয়েছে। মৃত্যুর আগে পরিবারের লোকজন তাঁকে ঘরে একা রেখে বাইরে থেকে দরজার ছিটকিনি লাগিয়ে রাখে। দেওয়া হয়নি দুপুরে খাবার। মৃত্যুর সময় পানি চেয়েও পায়নি। মৃত্যুর পরও কাছে আসেননি স্ত্রী, ছেলে–মেয়ে ও জামাতাসহ কোন স্বজন। মৃত্যুর পর পায়নি স্থানীয় মসজিদের খাটিয়া, কেউ দেয়নি কবর খোঁড়ার কোদালও।

    মতিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. রবিউজ্জামান মৃত সাহাব উদ্দিনের ছোট ছেলের বরাত দিয়ে জানান, রোববার হাসপাতালে গিয়ে কোভিড–১৯ আক্রান্ত কি না, তা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়ে আসেন। দুপুরে বাড়িতে আসলে পরিবারের লোকজন তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার শুরু করেন। এসময় তাঁকে শয়নকক্ষে রেখে বাইরে থেকে দরজায় ছিটকিনি লাগিয়ে রাখেন পরিবারের সদস্যরা।

    এর পর থেকে পরিবারের কেউ সাহাব উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলেননি। দুপুরে তাঁকে খাবারও দেননি। বিকেলে তাঁর শ্বাসকষ্ট ও কাশি বেড়ে যায়। এ সময় তিনি চিৎকার করে খাবার চাইলেও কেউ দেননি। ছোট ছেলে এগিয়ে যেতে চাইলে তাঁকে বোনেরা বাধা দেন। এভাবে চিৎকার করতে করতে রাত ১০টার দিকে সাহাব উদ্দিনের মৃত্যু হয়। রাতে সাড়াশব্দ না পেয়ে পরিবারের লোকজন জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখেন তিনি মারা গেছেন। এরপর সবাই যাঁর যাঁর ঘরের দরজা বন্ধ করে ভেতরে ঢুকে যান। পরে ছোট ছেলে ‘বাবা মারা গেছে’ বলে চিৎকার শুরু করেন।

    মতিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফেরদৌস রাসেল বলেন, ‘সাহাব উদ্দিনের বাড়ি থেকে চিৎকারের শব্দ শোনার বিষয়টি একজন প্রতিবেশী চেয়ারম্যানকে জানান। পরে রাত একটার দিকে গ্রামপুলিশ নিয়ে চেয়ারম্যান সহ আমরা কয়েকজন ওই বাসায় গিয়ে উপস্থিত হই। অনেক ডাকাডাকির পর ওই বাড়ির লোকজন মূল দরজা খুলে দিয়ে যাঁর যাঁর কক্ষে চলে যান। বাড়ির একটি কক্ষে সাহাব উদ্দিনকে রেখে বাইরে থেকে ছিটকিনি লাগানো ছিল। ছিটকিনি খুলে আমরা ভেতরে বীভৎস দৃশ্য দেখতে পাই। সম্ভবত সাহাব উদ্দিনের শ্বাসকষ্ট উঠেছিল এবং তিনি তা সহ্য করতে না পেরে মাটিতে গড়াগড়ি করেছিলেন। তাঁর পরনের কাপড় খোলা অবস্থায় পাশে পড়েছিল।’

    ইসলামী আন্দোলনের করোনা রোগে দাফন টিমের এক সদস্য জানান, দাফন জন্য মধ্যরাতে ইসলামী আন্দোলনের করোনা রোগে দাফন টিমকে খবর দেন চেয়ারম্যান। দাফন টিমের সদস্যদের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পিপিই (পার্সোনাল প্রটেক্টিভ ইক্যুইপমেন্ট) ও থানা থেকে মরদেহ রাখার জন্য একটি ব্যাগ সংগ্রহ করে দেন। লাশ দাফন করার জন্য স্থানীয় মসজিদ থেকে খাটিয়া আনতে লোক পাঠালে মসজিদ কমিটির লোকজন খাটিয়া দিতে অস্বীকৃতি জানান ও কবর দিতে বাধা দেন। কবর খোঁড়ার কোদালও দিচ্ছেন না কেউ। মরদেহ গোসল করানোর জন্য সমাজের পর্দাও না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সমাজপতিরা। পরে চেয়রাম্যান নিজের টাকায় কাপনের কাপড় কিনে, সমাজপতি, গ্রামের লোকদের অনেকটা বুঝিয়ে খাট ও পর্দার কাপড়, কোদাল সংগ্রহ করেন। গ্রাম পুলিশ ও ইসলামী আন্দোলনের লোকদের সাথে নিয়ে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরাস্থানে মৃত ব্যক্তির লাশ দাফন করেন চেয়ারম্যান। কবর খোঁড়া, জানাজা ও দাফন কাজে অংশ নেন চেয়ারম্যান সহ ৭জন ব্যক্তি। দাফন করে চলে আসার সময় ছোট ছেলেটি তার বাবার জন্য সবার কাছে দোয়া চান।

    ইউপি চেয়ারম্যান রবিউজ্জামান জানান, মতিগঞ্জ ইউনিয়নের ভাদাদিয়া এলাকার বাসিন্দা সাহাব উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রামে একটি পেট্রলপাম্পে চাকরি করতেন। কিছুদিন আগে সাহাব উদ্দিনের শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। একই সঙ্গে জ্বর ও কাশি ছিল। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়ে তিনি সুস্থ হয়ে যান। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে গত বুধবার রাতে চট্টগ্রাম থেকে বাড়িতে আসেন। গত শনিবার রাত থেকে তাঁর শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও কাশি বেড়ে যায়। এর পরদিন রোববার সকালে তিনি হাসপাতালে গিয়ে কোভিড–১৯ আক্রান্ত কি না, তা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়ে আসেন। সাহাব উদ্দিনের স্ত্রী, তিন ছেলে, তিন মেয়ে ও তিন জামাতা রয়েছেন। দুই ছেলে কাজের সূত্রে গ্রামের বাইরে থাকেন। মৃত্যুর সময় বাকিরা সবাই বাড়িতে ছিলেন।

    এদিকে এ ব্যাপারে সাহাব উদ্দিনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাঁরা কেউ কথা বলতে চাননি।

    চেয়ারম্যান আরো জানান, সাহাব উদ্দিন পেট্রোল পাম্পে কর্মরত থেকে চার ভাইকে প্রবাসে পাঠিয়ে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনটি মেয়ে বিয়ে দিয়ে জামাইদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন। নিজেও বহু অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছেন। টাকা পয়সা রোজগার করে সারা জীবনের উপার্জন দিয়ে পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের জন্য অনেক কিছু করেছেন। অথচ মহান আল্লাহ তার এমন একটি মৃত্যু দিয়েছেন শেষ বিদায়ে কোন স্বজন তার পাশে নেই। এর চেয়ে হৃদয় বিদারক আর কি হতে পারে? মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি কোন শত্রুকেও যেন তিনি এমন মৃত্যু না দেন। এই মৃত্যু থেকে পৃথিবীর সব মানুষ শিক্ষা নেয়া উচিৎ। আসলে কার জন্য এই উপার্জন আর অর্থবিত্ত রেখে যাওয়া? করোনার এই মহামারিতে মানবতাও যেন আজ থমকে গেছে!

    উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা উৎপল দাস বলেন, রোববার সকালে সাহাব উদ্দিন নিজেই হাসপাতালে এসে নমুনা দিয়ে যান। তিনি জানান, সোনাগাজী উপজেলায় এ পর্যন্ত দুই চিকিৎসকসহ ২১ জন কোভিড–১৯–এ আক্রান্ত হয়েছেন।

  • র‌্যাপিড ডট ব্লট’ পরীক্ষার রিপোর্ট এর সাথে রোগীর বাস্তবতার আকাশ-পাতাল তফাৎ

    র‌্যাপিড ডট ব্লট’ পরীক্ষার রিপোর্ট এর সাথে রোগীর বাস্তবতার আকাশ-পাতাল তফাৎ

    র‌্যাপিড ডট ব্লট’ পরীক্ষার রিপোর্ট এর সাথে রোগীর বাস্তবতার আকাশ-পাতাল তফাৎ

    সাংবাদিক জাহিদুর রহমানের ফেসবুক থেকে হুবহুব তুলে ধরা হলো..

    এই মুহূর্তে আমার চোখের সামনে দেখা ভয়ানক এক
    অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার আমি। কেন করছি? যদি আপনাদের কারো জীবনে রক্ষায় ন্যূনতম কাজে আসে,কেবলমাত্র সে বিষয়ে আপনাদের সতর্ক ও সচেতন করতেই এই পোস্ট।

    গাজীপুরের টঙ্গীর একটি তৈরি পোশাক কারখানার শীর্ষ সারির কর্মকর্তা মিরাজুর রহমান। জটিল হৃদরোগের কারণে রোগীর আগে থেকেই রিং পরানো ছিলো এবং পরে বাইপাস সার্জারিও করা হয়।

    বিভিন্ন উপসর্গে কোভিড-১৯ সন্দেহে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গবেষকদের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস শনাক্তে ‘জিআর র‌্যাপিড ডট ব্লট’ কিটের মাধ্যমে তিন দিন আগে তিনি পরীক্ষা করালেন।

    রিপোর্ট আসলো “নেগেটিভ”। মানসিকভাবে কিছুটা স্বস্তি পেলেও দিনদিন অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে তার।

    আজ সন্ধ্যায় কোভিড-১৯ এর সকল উপসর্গসহ প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটতে থেকে।

    তিন কন্যার মধ্যে বিবিএ পড়ুয়া বড় মেয়ে নিপা। অনেক কষ্টে আম্বুলেন্স জোগাড় করে বাবাকে নিয়ে অসহায়ের মতো এক হাসপাতাল থেকে আর এক হাসপাতালে ছুটছেন।

    যেন মোরশেদুল ইসলামের সাড়া জাগানো চাকা ছবির দৃশ্য!

    যে কয়টি নন কোভিড হাসপাতালে যাচ্ছেন, জরুরী বিভাগের চিকিৎসকদের একটাই বক্তব্য,র‌্যাপিড ডট ব্লট’ পরীক্ষার রিপোর্ট এর সাথে রোগীর বাস্তবতার আকাশ-পাতাল তফাৎ।

    রোগীর যে অবস্থা তাতে ঘন্টা দুয়েকের মধ্যে রোগীকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) লাইফ সাপোর্টে নেয়া না হলে রোগীর প্রাণ রক্ষা করাই কঠিন।

    করনো হাসপাতালগুলোর অবস্থা এমন, সংকটপূর্ণ এবং পজিটিভ রিপোর্ট ছাড়া তারা কাউকে ভর্তি করতে পারছেন না। আবার নন করোনা হাসপাতালগুলো সরকার অনুমোদিত টেস্ট রিপোর্ট নয়, উপরন্তু চিকিৎসক-নার্স সহ অন্যান্য রোগীদের ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে গণস্বাস্থ্যের র‌্যাপিড ডট ব্লট’ পরীক্ষার রিপোর্ট আমলেও নিচ্ছেন না।

    এইযে রাতের আঁধারে একটা অসহায় কন্যা তার বাবাকে নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালের ছুটছেন। আহাজারি করছেন। ভাবুন তো তাদের মানসিক পরিস্থিতির কথা।

    আমার একটি প্রশ্ন, সরকারি অনুমোদন ছাড়া গণস্বাস্থ্য কি করে র‌্যাপিড ডট ব্লট’ পরীক্ষার রিপোর্ট করালো?

    আর আল্লাহ না করুক আজ রাতে সেই রোগীর কিছু একটা যদি হয়ে যায় তাহলে সেটার দায় দায়িত্ব কে নেবে?

    হুজুগে জাতি আমরা। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন মেয়র কিন্তু আগবাড়িয়ে চীন থেকে রেপিড টেস্টের কিট এনেছিলেন। সেটা নিয়ে কেউ কিছু লিখেছেন? কারণ সরকার সেটার ও কোনো অনুমোদন দেয়নি।

    তাই এই করোনা মহামারী সময় সবার প্রতি বিনীত অনুরোধ,সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়ে হোক কোভিড-১৯ নির্ভুল নির্ণয়ের জন্য পিসিআর বা পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন মেশিনের উপর নির্ভর করুন।

    অবশ্যই বাংলাদেশী বিজ্ঞানীদের সকল অর্জন এবং সাফল্য কে আমি শ্রদ্ধা করি। সম্মান করি, তাদের প্রচেষ্টাকে। তবে সেটা অবশ্যই হতে হবে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ অ্যাক্রিডিটেশন বডি কর্তৃক স্বীকৃতি প্রাপ্ত।

    গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্ত্রী শিরিন পারভিন হক ও ছেলে বারিশ হাসান চৌধুরী করোনা পজিটিভ। এখন তিনিও বলছেন, পিসিআরে টেস্ট করাতেও নমুনা দেওয়া হবে।

    তাই করোনার উপসর্গ দেখা দিলে হুজুগে না চলবেন না।দয়া করে শর্টকাট ওয়ে না খুঁজে বরং নিজের জ্ঞান বুদ্ধি কে কাজে লাগান। আপনি বাঁচলে, বাঁচবে আপনার পরিবার।

    মনে রাখবেন, রাষ্ট্রের কাছে আমরা কিন্তু প্রত্যেকে একটা মাত্র সংখ্যা। কিন্তু পরিবারের কাছে এক একটা মানুষ যেন এক একটা পৃথিবী।

    সম্পাদনায়ঃআবুল কালাম আজাদ।

  • সাভারে করোনামুক্ত চা তৈরি করছেন রঞ্জু

    সাভারে করোনামুক্ত চা তৈরি করছেন রঞ্জু

    সাভারে করোনামুক্ত চা তৈরি করছেন রঞ্জু

     

    নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ

    সাভারের ভাটপাড়া এলাকায় করোনা ভাইরাসের সচেতনতায় মাস্ক পরে করোনামুক্ত চা তৈরি করছেন রঞ্জু। করোনার শুরুতে তিনি সতর্ক থেকে চায়ের দোকান চালু রেখেছেন। সামাজিক দূরত্ব মানতেও তিনি এলাকাবাসীকে সতর্ক করে চলছেন।

    ছবিগুলো ৩০ মে রবিবার রাতে তোলা হয়েছে।

     

    ছবিঃসত্যেরসংবাদ.কম

  • মুরগি থেকে ছড়াতে পারে করোনার চেয়েও ভয়াবহ মহামারি!

    মুরগি থেকে ছড়াতে পারে করোনার চেয়েও ভয়াবহ মহামারি!

    মুরগি থেকে ছড়াতে পারে করোনার চেয়েও ভয়াবহ মহামারি!

    অনলাইন ডেস্কঃযুক্তরাষ্ট্রের একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দাবি করছেন, মুরগির বার্ড ফ্লু থেকে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের চেয়েও আরো মারাত্বক রোগের সৃষ্টি হতে পারে। আর এতে বিশ্বের অর্ধেক মানুষের মৃত্যুর শঙ্কা করছেন ওই চিকিৎসক।

    ডা. মাইকেল গ্রেগার নামের ওই চিকিৎসক হাউ টু সারভাইভ এ প্যানডেমিক নামক বইয়ে এমনটি বলেন। ওই বইয়ে চিকিৎসক ডা. মাইকেল গ্রেগার বলেন, প্রাণীদের সঙ্গে আমরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমরা এদেরকে বাড়িতে পুষি। আবার আনন্দের জন্য এদেরকেই শিকার করি। ক্ষুধা পেলে এদেরকেই বার্গার বানিয়ে খাই। আর তাদের শরীরের অনেক ভাইরাস থেকে যায় যা থেকে মানুষের মধ্যে রোগ তৈরি করতে পারে।

    ধারণা করা হয়, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসও কোন প্রাণীর শরীরে ছিল। যা পরে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়েছে। চীনের দাবি, উহানের সামুদ্রিক বাজারের খাবারের প্রাণী থেকে ছড়িয়েছে এই করোনা ভাইরাস।

    ডা. মাইকেল গ্রেগার বলেন, গত ২০ বছরে বিশ্বের মুরগির সংখ্যা দিগুণ বেড়েছে। বিশ্বে এখন প্রায় ২৪ বিলিয়ন মুরগি রয়েছে। বিশ্বের মানুষের আমিষের চাহিদা মেটায় এসব মুরগির মাংস এবং ডিম। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে মুরগিগুলোকে নিষ্ঠুরভাবে ফার্মে পালন করা হয় এবং সেগুলোকে এক সঙ্গে গাদাগাদি করে রাখা হয়। এছাড়া তাদের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য রাসায়নিক খাবারও দেয়া হয়।

    ডা. গ্রেগার দাবি করেন, মুরগিকে যেভাবে রাখা হয় এতে কোন ভাইরাস সংক্রমিত হলে খুব সহজেই একটি ফার্মের সকল মুরগির মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারবে। ফলে একজন মানুষও ওই ফার্ম থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারবেন।

    বার্ড ফ্লুতে বিশ্বে এর আগে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ১৯১৮ সাল থেকে ১৯২০ সাল পর্যন্ত বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত ১০ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।আর এরপরই এটিকে মারাত্বক ভাইরাস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ১৯৯৭ সালে এইচ৫এন১ নামের নতুন প্রজাতির একটি বার্ড ফ্লু ছড়িয়ে পড়ে। হংকংয়ে ওই রোগে আক্রান্তদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশই তখন মৃত্যুবরণ করেন। ওই বার্ড ফ্লুও তখন মানুষের ফুসফুস এবং শরীরের অভ্যন্তরীণ কোষের ক্ষতি করে।

    এই মারাত্বক বার্ড ফ্লু থেকে বাঁচতে ডা মাইকেল গ্রেগার দাবি করছেন, বিশ্বের সমস্ত মুরগিকে হত্যা করতে হবে। এরপর আবার নতুন করে স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে মুরগি পালন করা শুরু করতে হবে। ডা মাইকেল গ্রেগার বলেন, যে কোন সময় বার্ড ফ্লু আসতে পারে। যতদিন মুরগি আছে বৈশ্বিক মহমারির সম্ভাবনা আছে।
    সূত্র- ডেইলি স্টার।

  • দেশে করোনা ভাইরাসে একদিনে সর্বোচ্চ রেকর্ড ৪০ জনের মৃত্যু,শনাক্ত ২৫৪৫ জন

    দেশে করোনা ভাইরাসে একদিনে সর্বোচ্চ রেকর্ড ৪০ জনের মৃত্যু,শনাক্ত ২৫৪৫ জন

    দেশে করোনা ভাইরাসে একদিনে সর্বোচ্চ রেকর্ড ৪০ জনের মৃত্যু,শনাক্ত ২৫৪৫ জন

    অফিস, দোকানপাট ও গণপরিবহন খুলে দেওয়ার পর দেশে করোনা ভাইরাসে একদিনে সর্বোচ্চ রেকর্ড ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার এ নিয়ে মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫০ জন।

    আর গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ২৫৪৫ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজার ১৫৩ জন।

    রবিবার দুপুরে অনলাইন বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।

    তিনি জানান, একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৪০৬ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৭৮১ জন।

    ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, দেশে ৫২টি ল্যাবে করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে নতুন করে দুটি ল্যাব সংযুক্ত হয়েছে। একটি সরকারি। আরেকটি বেসরকারি।

    গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১২ হাজার ২২৯টি। আর পরীক্ষা করা হয়েছে ১১ হাজার ৮৭৬টি।

    শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় সুস্থতার হার ২০ দশমিক ৭৪ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

  • ২০ বছর আগে দেখা স্বপ্ন করোনায় পুরোন করলো সৌভাগ্যবান এক ব্যক্তি

    ২০ বছর আগে দেখা স্বপ্ন করোনায় পুরোন করলো সৌভাগ্যবান এক ব্যক্তি

    ২০ বছর আগে দেখা স্বপ্ন করোনায় পুরোন করলো সৌভাগ্যবান এক ব্যক্তি

    আন্তর্জাতিক সংবাদডেক্সঃ
    ২০ বছর অপেক্ষার পর একাকি কাবা শরিফ তাওয়াফের স্বপ্নেদেখা স্বপ্নপূরণ হলো করোনার কারনে ! ২০ বছর আগের কথা। অপরিচিত সৌভাগ্যবান এক ব্যক্তি। তিনি হজ করতে গিয়েছিলেন। তিনি মিনায় অবস্থিত ‘মসজিদ আল-খাইফ’-এ এক স্বপ্ন দেখেন। তিনি তার এ স্বপ্নে ব্যাখ্যা জানা জন্য একজন ইসলামিক স্কলার খুঁজতে থাকেন। তিনি দোভাষীদের সাহায্য নেন এবং একজন আলেমের কাছে যান।
    ইসলামিক স্কলারদের মধ্যে অন্যতম একজন ছিলেন- শায়খ মুহাম্মাদ আল-রুমি। তিনি ওই ব্যক্তির স্বপ্নের বিবরণ শোনলেন। তিনি ওই ব্যক্তির স্বপ্নের ব্যাখ্যায় বলেন-
    আপনি সৌভাগ্যবান ব্যক্তি যে, একদিন আপনি একাকি পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফ করবেন। আপনি একাকি আল্লাহ তাআলার এ ঘর একেবারেই একাকি তাওয়াফ করবেন।’
    এ স্বপ্নের ব্যাখ্যা শুনে সে সময় অন্যান্য লোকেরা বলেছিলেন এটা একেবারেই অসম্ভব। ওই লোকটির সন্দেহ হচ্ছিল, পুরো তাওয়াফ বন্ধ করে শুধু তার জন্য একাকি তাওয়াফের ব্যবস্থা কী করে সম্ভব!
    মহামারি করোনা পরিস্তিতিতে কাবা শরিফে তাওয়াফ ও জনমাবনশূণ্য হবে এমনটিই বা কে জানতো? আর মহামারির সময়ে ওই ব্যক্তিই বা কিভাবে পবিত্র নগরী মক্কায় উপস্তিত হবেন, যখন কোভিড-১৯ এর কারণে কাবার সব প্রবেশ পথই সিলগালা বা বন্ধ। এমনকি পুরো বিশ্ব থেকে সৌদি আরবের প্রবেশের পথগুলো যেখানে পুরোপুরি বন্ধ।
    মহামারি করোনায় আক্রান্তের এ সময়ে রমজানের একদিন এ ব্যক্তি এসে উপস্থিত। তিনি মসজিদে হারামে। সে দিন কাবা চত্বরে কোনো লোক ছিল না। অজানা এ সৌভাগ্যবান ব্যক্তি পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াব করতে যান আর তিনি নিজেই একাকি তাওয়াফ শুরু করেন। এ ব্যক্তির আশেপুরো কাবা চত্বরে কেউ নেই। তিনি একাকি তাওয়াফ করে চলছেন। তিনি একাকি আপন মনে মহান প্রভুকে স্মরণ করতে করতে নিরব নিস্তব্ধ কাবা শরিফের চত্বরে তাওয়াফ করে চলেছেন। আর আল্লাহকে স্মরণ করছেন। এ যে ২০ বছর আগে দেখা তার স্বপ্নের পুরোপুরি বাস্তবায়ন। স্বপ্নে যে ব্যাখ্যা করেছিলেন শায়খ মুহাম্মাদ আল-রুমি।
    একাকি নিরব নিস্তব কাবা চত্বরে যখন কেউ মহান রবকে স্মরণে উপস্থিত নেই, ওই মুহূর্তে তিনি একাকি আল্লাহর স্মরণ করতে করতে কাবা শরিফ তাওয়াফ করছেন। সুবহান্নাল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাহ…

    তথ্যসূত্র : দিইসলামিক ইনফরমেশন ডটকম।

  • এসএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন ১ মে শুরু, যেভাবে করবেন

    এসএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন ১ মে শুরু, যেভাবে করবেন

    এসএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন ১ মে শুরু, যেভাবে করবেন

    রবিবার (৩১ মে) এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। আগামীকাল সোমবার (১ জুন) থেকে শুরু হবে ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন। যারা ফল আশানুরূপ বলে মনে করবেন না, তারা এই পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করতে পারবেন ।

    আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি সূত্রে জানা গেছে, এসএমএসের মাধ্যমে ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করা যাবে ১ জুন থেকে ৭ জুন পর্যন্ত। টেলিট’ক নম্বর থেকে RSC <স্পেস> বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর <স্পেস> রোল নম্বর <স্পেস> বিষয় কোড লিখে পাঠিয়ে দিতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।

    একই এসএমএসে একাধিক বিষয়ের জন্য আবেদন করা যাবে। এ ক্ষেত্রে বিষয় কোড পর্যায়ক্রমে ‘কমা’ দিয়ে লিখতে হবে।

    ফিরতি এসএমএসে চার্জের অংক জানিয়ে একটি পিন নম্বর (পার্সোনাল আইডেন্টিফিকেশন নম্বর) দেয়া হবে। এতে রাজি থাকলে RSC <স্পেস> YES <স্পেস> পিন নম্বর <স্পেস> যোগাযোগের জন্য একটি মোবাইল নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।

    প্রতিটি বিষয় ও প্রতি পত্রের জন্য ১২৫ টাকা হারে চার্জ কা’টা হবে। যেসব বিষয়ের দুটি পত্র (প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র) রয়েছে, সেসব বিষয়ের ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করলে মোট ২৫০ টাকা ফি কা’টা হবে।

    প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। পরীক্ষা শুরু হয় ৩ ফেব্রুয়ারি, শেষ হয় ২৭ ফেব্রুয়ারি। ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মা’র্চের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

  • এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ

    এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ

    এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ

    পরীক্ষার্থীরা শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইটে (http://www.educationboardresults.gov.bd/) গিয়ে ফলাফল দেখতে পারবে।

    আজ রবিবার ৩১ মে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। এ বছর পাসের হার ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

    এর মধ্যে, এসএসসি পরীক্ষার নয়টি বোর্ড মিলে পাসের হার ৮৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ, মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৮২ দশমিক ৫১ শতাংশ ও কারিগরিতে ৭২ দশমিক ৭ শতাংশ।

    আজ রবিবার অনলাইন লাইভের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ বছরের ফলাফলের বিস্তারিত জানান। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফল হস্তান্তর করা হয়।

    এ বছরের ফলাফলে ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮২ দশমিক ৩৪ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৯০ দশমিক ৩৭ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৮৫ দশমিক ২২ শতাংশ, যশোর বোর্ডে ৮৭ দশমিক ৩১ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৮৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৭৯ দশমিক ৭০ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৭৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে ৮২ দশমিক ৭৩ শতাংশ ও ময়মনসিংহ বোর্ডে ৮০ দশমিক ১৩ শতাংশ।

    এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৩৫ ৮৯৮ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ঢাকা বোর্ডে ৩৬ হাজার ৪৭ জন, রাজশাহী বোর্ডে ২৬ হাজার ১৬৭ জন, কুমিল্লা বোর্ডে ১০ হাজার ২৪৫ জন, যশোর বোর্ডে ১৩ হাজার ৭৬৪ জন, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৯ হাজার ৮ জন, বরিশাল বোর্ডে ৪ হাজার ৪৮৩ জন, সিলেট বোর্ডে ৪ হাজার ২৬৩ জন, দিনাজপুর বোর্ডে ১২ হাজার ৮৬ জন, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৭ হাজার ৪৩৪ জন, মাদরাসা বোর্ডে ৭ হাজার ৫১৬ জন ও কারিগরি বোর্ডে ৪ হাজার ৮৮৫ জন।

    গত বছর এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ। এ বছর তা বেড়ে ৮৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ হলো।

    গত ৩ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। তাত্ত্বিক পরীক্ষা ২৭ ফেব্রুয়ারি ও ব্যবহারিক পরীক্ষা ৬ মার্চ শেষ হয়। এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয় সংখ্যা ২০ লাখ ৪০ হাজার ২৮ জন শিক্ষার্থী।

    করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায়, গত আট বছরে এই প্রথমবার পাবলিক পরীক্ষা শেষ করার ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ হয়নি। করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

  • কিভাবে করোনা ছড়ালো এস আলম পরিবারে?

    কিভাবে করোনা ছড়ালো এস আলম পরিবারে?

    কিভাবে করোনা ছড়ালো এস আলম পরিবারে?

    সত্যেরসংবাদডেক্সঃ
    দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের পরিবারের আরও এক সদস্য প্রাণঘাতি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি করোনায় প্রাণ হারানো মোরশেদুল আলমের পুত্রবধূ ইশফাক আরা জাহান রাফিকা।
    রাফিকা মৃত মোরশেদুল আলমের ছেলে মাহমুদুল আলম আকিবের স্ত্রী ও চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের মেয়ে। বৃহস্পতিবার (২৮ মে) রাতে রাফিকার করোনা শনাক্ত হয়।
    এর আগে গত ২২ মে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যানের বড় ভাই মোরশেদুল আলম। এছাড়া ভাইরাসটিতে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের মা-ছেলে, ভাই-ভাবিসহ পরিবারের আট সদস্য আক্রান্ত হন।
    চট্টগ্রামের এলিট সোসাইটির এ পরিবারে কিভাবে করোনায় সংক্রমিত হলো এ নিয়ে শুরু থেকেই নানা কথা শোনা যাচ্ছিল। তবে এবার জানা গেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
    জানা গেছে, চলতি মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশজুড়ে যখন লকডাউন চলছিল, তখন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের মেয়ে জেবা জামান চৌধুরীর সঙ্গে এস আলম পরিবারের আরেক সন্তান ও ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সামাদ লাবুর ছেলে আতিকুল আলমের বাগদান সম্পন্ন হয়।
    সরকারি নির্দেশনার কারণে আলোচিত এ বাগদান অনুষ্ঠানের কথা সাধারণ মানুষ না জানলেও আনু্ষ্ঠানিকতার কমতি ছিল না। নগরের সার্সন রোডে মন্ত্রীর বাসভবনে ঘরোয়া এ বাগদান অনুষ্ঠানে দুই পরিবারের অর্ধশতাধিক লোকের আপ্যায়নের ব্যবস্থাও ছিল।
    সূত্র জানায়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ এবং তার পরিবারের সবাই চট্টগ্রামের ধনিয়ালাপাড়াস্থ বায়তুশ শরফ দরবারের পীর মাওলানা কুতুব উদ্দিনের ভক্ত ও অনুসারী। এস আলম পরিবারের সদস্যরা যে কোনো শুভ কাজে পীর মাওলানা কুতুব উদ্দিনের দোয়া নিতেন। তাদের পারিবারিক সব অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত থাকতেন। বাগদানের অনুষ্ঠানেও যোগ দিয়েছিলেন বায়তুশ শরফের পীর মাওলানা শাহ কুতুব উদ্দিন। তিনি মোনাজাতের মাধ্যমে বর-কনের দাম্পত্য জীবনে শান্তি কামনা করেন। বর-কনে পীরের পা ছুঁয়ে সালাম করেন, দোয়া নেন।
    এ অনুষ্ঠানের পরপরই এস আলম পরিবারে ৯ সদস্য এবং অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া বায়তুশ শরফের পীর মাওলানা শাহ কুতুব উদ্দিন করোনায় আক্রান্ত হন। পরে ২০ মে রাজধানীর ধানমন্ডি আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মাওলানা শাহ কুতুব উদ্দিনের মৃত্যু হয়।
    একদিন পর ২২ মে রাতে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে মারা যান এস আলমের বড় ভাই ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের পরিচালক মোরশেদুল আলম। ওই অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে এমপি দিদারের মেয়ে ও করোনায় মারা যাওয়া মোরশেদুল আলমের পুত্রবধূ ইশফাক আরা জাহান রাফিকাও ছিলেন।
    তবে লকডাউনে সিঙ্গাপুরে আটকে থাকায় বিয়েতে উপস্থিত হতে পারেননি এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ ও তার স্ত্রী।
    ওই বাগদান অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার পর করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন সাইফুল আলম মাসুদের মা ৮৫ বছর বয়সী চেমন আরা বেগম, এস আলম গ্রুপের পরিচালক রাশেদুল আলম, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সামাদ লাবু, পরিচালক মো. শহীদুল আলম, পরিচালক ওসমান গণি ও ৩৬ বছর বয়সী এক নারীসহ মোট ৯ সদস্য। তাদের মধ্যে সাতজনকে ঢাকায় আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
    আবদুস সামাদ লাবু ও শহীদুল আলম সুস্থ
    করোনা আক্রান্ত হয়ে এক ভাইয়ের মৃত্যুর পর আক্রান্ত এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের চার ভাইয়ের মধ্যে দুই ভাই করোনা মুক্ত হয়েছেন।
    ঢাকার আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের ছোট ভাই গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সামাদ লাবু এবং পরিচালক শহীদুল আলমের ফলোআপ রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
    শনিবার (৩০ মে) দুপুরে এ পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
    সূত্র জানান, দ্বিতীয় দফার নমুনা পরীক্ষায় এস আলম গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান এবং অপর পরিচালকের নমুনা নেগেটিভ এসেছে। তারা করোনা মুক্ত হিসেবে আজ বা আগামীকালের মধ্যে ছাড়পত্র পেতে পারেন। তবে চেয়ারম্যানের মাসহ আরও দুই ভাই এখনও চিকিৎসাধীন অবস্হায় আছে।