নিজেস্ব প্রতিবেদক, ধামরাই থেকেঃ ধামরাই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এই দিনটিকে ঘিরে ঐতিহ্যময় সাকরাইন মেলা হয়। ঘুড়ি ওড়ানো, মাটির তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি ও বিভিন্ন রকমের খাবার বিক্রি এই মেলার অন্যতম আকর্ষণ। পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে ধামরাইয়ের ১১টি স্থানে ৩ দিনব্যাপী পৌষ সংক্রান্তি ও হিন্দু সম্প্রদায়ের বুড়াবুড়ির মেলা শুরু হয়েছে।
বাঙালির সংস্কৃতিতে বারো মাসে তের পার্বণের একটি পার্বণ হলো পৌষ সংক্রান্তি। পৌষ সংক্রান্তি বা মকর সংক্রান্তি বাঙালির সংস্কৃতিতে একটি বিশেষ উৎসবের দিন। বাংলা পৌষ মাসের শেষের দিন এই উৎসব পালন করা হয়। এই দিন বাঙালিরা বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে। তার মধ্যে পিঠা খাওয়া, ঘুড়ি উড়ানো, মাছের মেলা অন্যতম।
১৫ জানুয়ারি (বুধবার) ভোর থেকে ধামরাইয়ে শুরু হয়েছে পৌষ সংক্রান্তির মেলা। ধামরাই পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত যাত্রাবাড়ীর বটতলায় কাক ডাকা ভোরে শুরু হয় মেলা আর পৌষের শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করে গতকাল থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থীদের ভীড়ে মেলায় এক মিলন-মেলায় হয়ে উঠেছে। আগত ক্রেতারা কিনছে তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী যা স্থানীয় কামার কুমারের তৈরি জিনিসপত্র।
এ মেলার অন্যতম আকর্ষণ হলো ঘুড়ি উড়ানো এবং হরেক রকম খাবারের বাহারী। মেলায় রয়েছে খই, বিন্নি, বাতাসা, চিনির তৈরীর খেলনা, ভাজা পেঁয়াজো, চানাচুর, বাদাম, মাটির তৈজষপত্র, বাঁশ-বেতের তৈজষ পত্র, বাচ্চাদের খেলনার দোকান সহ চটপটির দোকান গুলোতে বহু ভীড় দেখা যায়। সকল ধর্মের মানুষ এই মেলায় ভীড় করে লোহার তৈরি দা, বটি সহ গৃহস্থালীর প্রয়োজনীয় মিটানোর জন্য মাটির তৈরী জিনিষপত্র ক্রয় করার হিড়িক ।
ধর্মীয় গন্ডির মধ্যে পূজা উৎসব হলেও মেলায় সার্বোজনীতা ফুটে উঠেছে। শিশু কিশোরদের জন্য আনন্দের দিন এটি; সকালে ঘুড়ি উড়ানো, হরেক রকমের খাবার আর খেলনা কেনার বায়নাতো রয়েছে মেলাগুলোতে।
আজ ১৬ জুলাই মেলা হবে ধামরাই পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের আইঙ্গন গ্রামে যা স্থানীয়রা কান্দিকুলের মেলা বলে। কোথাও সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে কোথাও বিকেলে, কিছু এলাকায় আগামীকাল এভাবে তিনদিন ব্যাপী বিভিন্ন স্থানে মেলা অনুষ্ঠিত হবে ধামরাইয়ের কালামপুর, সোমভাগ, সানোড়া, গোপালপুর, বাড়িগাও, সীতিপাল্লী সহ বিভিন্ন এলাকার মানুুুষ এখন উৎসব মূখর।
Leave a Reply