Author: sattersangbad24

  • সাভারে একটি পোশাক কারখানায় ত্রিমুখী সংঘর্ষের জেরে বহিরাগত-৪ জন আটকসহ ৬০ জনের নামে মামলা,ক্ষয়ক্ষতি প্রায় ৩ কোটি টাকা

    সাভারে একটি পোশাক কারখানায় ত্রিমুখী সংঘর্ষের জেরে বহিরাগত-৪ জন আটকসহ ৬০ জনের নামে মামলা,ক্ষয়ক্ষতি প্রায় ৩ কোটি টাকা

    • শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ

    সাভারে একটি পোশাক কারখানায় ত্রিমুখী সংঘর্ষের জের ধরে কারখানায় ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগের ঘটনায় আটক চারজনকে আসামী করে অজ্ঞাত ৬০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ । সন্ধ্যার পর কারখানাটিতে শ্রমিক ও বহিরাগতরা ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়ে প্রায় তিন কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি কারখানা কর্তৃপক্ষের।
    শুক্রবার সকালে চারজন বহিরাগত যুবককে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাত ৬০ জনের নাম উল্লেখ করে সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করে কারখানাটির উপ-মহা ব্যবস্থাপক শাকিল মাহমুদ। এঘটনায় পুলিশ চার আসামীকে রাতে আটক করে।
    পুলিশ জানায় সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের হেমায়েতপুরের এলাকায় রাকেফ এ্যাপারেলন্স ওয়াসিং এন্ড প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কারখানায় কাজ করে আসছিলো প্রায় তিন হাজার শ্রমিক।
    কারখানার কর্তৃপক্ষ জানায় গতকাল সন্ধ্যায়
    হঠাৎ করে বহিরাগততের উস্কানীতে ভাংচুর ও লুটপাট চালায় শ্রমিক ও বহিরাগতরা।
    গতকাল বৃহস্পতিবার শ্রমিকদের ডিসেম্বর মাসের বেতন প্রদানের কথা ছিলো কারখানা কতৃপক্ষের এসময় নানা সমস্যায় কারখানা কতৃপক্ষ শ্রমিকদের বেতন প্রদান করতে না পারায়। কারখানার সামনে গতকাল বিকেলে ওই কারখানার শ্রমিকরা কারখানার বাহিরে হেমায়েতপুর-মানিকগঞ্জ সিংগাইর সড়ক অবরোধ করে রাখে পরে রাত আটটার দিকে কারখানাটিতে শ্রমিকরা ও বহিরাগতরা ব্যাপক ভাঙচুর করে। এসময় ভাঙচুরে বাধা দিলে রাত আটটা থেকে নয়টা পর্যন্ত মালিকপক্ষ,বহিরাগত ও শ্রমিকদের সাথে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।
    এসময় সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়। এসময় দুর্বৃওরা ওই কারখানা থেকে ল্যাপটপ,কম্পিউটার,কারখানায় প্রস্তুত করা প্যান্টসহ প্রায় বিভিন্ন মূল্যবাম মালামাল লুটপাট করে পালিয়ে যায়। এঘটনায় প্রায় তিন কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে কারখানাটির উপ-মহা ব্যবস্থাপক শাকিল মাহমুদ।
    তিনি জানান কারখানাটিতে ব্যাপক ভাঙচুর লুটপাটের কারনে তারা নিশ্ব হয়ে পড়েছেন ও তাদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সরেজমিনে কারখানাটি পরিদর্শন করে দেখা যায় তিন ভবনে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় তারা সব চেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। শনিবার সকালে চার জনের নাম উল্লেখ করে সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় আটক চার আসামী হলেন হলেন রাসেল (১৫),সিয়াম (১৬),ইয়াসিন (১৮),মিলন (২০),আটক চার বহিরাগত তেঁতুলঝোড়া এলাকায় বসবাস করতো। আগামী ২২ জানুয়ারি শ্রমিকদের বেতন প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন কারখানা কর্তৃপক্ষ।
    এবিষয়ে সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্য ওসি এ এফ এম সায়েদ বলেন মামলার চার আসামীকে আটক করা হয়েছে ও বাকীদেরও আটকের প্রক্রিয়া চলছে ।

  • বিপিএলে শেষ হাসিটা কার মুশফিকুর রহিমের খুলনা টাইর্গাসের নাকি আন্দ্রে রাসেলের রাজশাহীর রয়েলস

    বিপিএলে শেষ হাসিটা কার মুশফিকুর রহিমের খুলনা টাইর্গাসের নাকি আন্দ্রে রাসেলের রাজশাহীর রয়েলস

    • স্পোর্টস সংবাদঃ

    বিপিএলে ফাইনাল খেলবে মুশফিকের নেতৃত্বাদিন প্রিমিয়ার ব্যাংক খুলনা টাইগার্স আগে থেকে বিশ্বাস ছিল খুলনার প্রধান কোচ জেমস ফাস্টার। দেশের ক্রিকেটের অন্যতম সফল সংগঠক খালেদ মাহমুদ সুজন এর পরিচালনায় প্লেয়ার ড্রাফট এর পর দল গঠন দেখে এমনটাই ধারণা করেছিলেন জেমস ফাস্টার।

    খুলনার প্রধান কোচের কথাই অবশ্য ফলেছে। ১২ ম্যাচে ৮ জয় নিয়ে প্লে অফে উঠার পর প্রথম কোয়ালিফায়ারে রাজশাহী রয়্যালসকে ২৭ রানে পরাজিত করে মুশফিকুর রহিমের খুলনা। একই সঙ্গে প্রথম দল হিসেবে টুর্নামেন্টের ফাইনালে জায়গা করে নেয় তারা।

    শুক্রবারের (১৭ জানুয়ারি) ফাইনালে সেই রাজশাহীকেই প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে খুলনা। ফস্টারের বিশ্বাস এই ম্যাচেও যথারীতি নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে পারবেন মুশফিকবাহিনী। ম্যাচের আগের দিন এমনটাই জানান তিনি।

    ইংল্যান্ডের ৩৯ বছর বয়সী এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান বলেন -” আমি শতভাগ বিশ্বাস করতাম যে আমরা ফাইনাল খেলবো। আমার মনে আছে প্রথম ম্যাচ শুরুর আগে আমি এটাই বলেছিলাম। আমি মনে করি আমাদের একটি ব্যালেন্সড স্কোয়াড রয়েছে এবং একাদশও দারুণ সম্ভাবনাময়ী। আমাদের দলে প্রকৃত ম্যাচ জেতানো খেলোয়াড় আছে এবং বোলিংয়ের গভীরতাও দারুণ”।

    ১৭ই জানুয়ারি ২০২০ তারিখে পর্দা নামতে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ(বিপিএল) ২০১৯-২০২০ মৌসুমের। ফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে মুশফিকুর রহিমের খুলনা টাইর্গাস এবং আন্দ্রে রাসেলের রাজশাহী রয়েলস। তাহলে শেষ হাসিটা
    মুশফিকুর রহিমের খুলনা টাইর্গাসের নাকি আন্দ্রে রাসেলের রাজশাহী রয়েলস।

  • বিপিএল ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কেভিন রবার্টস

    বিপিএল ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কেভিন রবার্টস

    • স্পোর্টস সংবাদঃ

    ১৭ই জানুয়ারি ২০২০ তারিখে পর্দা নামতে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ(বিপিএল) ২০১৯-২০২০ মৌসুমের। ফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে মুশফিকুর রহিমের খুলনা টাইর্গাস এবং আন্দ্রে রাসেলের রাজশাহী রয়েলস।

    বিপিএল ফাইনালে আসার প্রস্তাব দিলে বিসিবি তা গ্রহণ করে  অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার(সিএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কেভিন রবার্টস খেলা দেখবেন।

    বিসিবি সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মূলত মার্চে অনুষ্ঠেয় এশিয়া একাদশ বনাম বিশ্ব একাদশ ম্যাচে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তখন তিনি ভারতে কাজে ব্যস্ত থাকবেন বলে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে তিনি বিপিএল ফাইনালে আসার প্রস্তাব দিলে বিসিবি তা গ্রহণ করে। সিএ প্রধান ছাড়াও ফাইনালে আসছেন শ্রীলংকান ক্রিকেট(এসএলসি) এর সহসভাপতি রবিন বিক্রমারত্নে।

  • বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে জুম্মার নামাজ আদায় করলো লাখো মুসুল্লি

    বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে জুম্মার নামাজ আদায় করলো লাখো মুসুল্লি

    টঙ্গীর তুরাগে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে জুম্মার নামাজ আদায় করলো লাখো মুসুল্লিরা।ফাইল ছবি।

    ষ্টাফ রিপোর্টারঃগত চার দিনের বিরতির পর শুক্রবার থেকে গাজীপুরের টঙ্গীতে শুরু হলো বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। এবার অংশ নিতে তুরাগ নদের পারে আবারও সমবেত হয়েছেন লাখো লাখো মুসুল্লি।

    প্রথম পর্বের ইজতেমায় অংশ নিয়েছিলেন মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা। গত রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ইজতেমার ১ম পর্ব।
    এবার দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমায় অংশ নিচ্ছেন ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা। আগামী রবিবার ১৯ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় পর্বের মাধ্যমে ইজতেমা শেষ হবে ইজতেমা।

    আজ শুক্রবার জুম্মা নামাজে ইজতেমা মাঠে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে এসে লাখো মুসল্লিরা নামাজ আদায় করছেছে।

  • বংশাল ভাড়া বাসায় ৭ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার,অভিযোগ করছে স্বজনরা

    বংশাল ভাড়া বাসায় ৭ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার,অভিযোগ করছে স্বজনরা

    • সত্যেরসংবাদঃ

    রাজধানীর বংশালের কায়েৎ টুলি আগামাছি লেন এলাকায় ভাড়া বাসায় সাত বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ করছে স্বজনরা।

    বৃহস্পতিবার রাতে ওই শিশুটিকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারও ওসিসিরিসার্চ সেন্টারে নিয়ে যান পরিবারের বাবা মা।

    শিশুটির মা অভিযোগ করে বলেন, বুধবার বিকাল পাঁচটায় বাড়িওয়ালার নাতি রায়হান  বাসায় একা পেয়ে তার শিশু কন্যাকে ধর্ষণের শিকার হশ। তিনি ওই সময় তার কর্মব্যস্ততাশ করাতে বাসার বাহিরে ছিলেন।

    শিশুটির বাবা একটি কাপড়ের দোকানে চাকরি করেন। পরে বাসায় এসে তারা মেয়েটিকে অসুস্থ অবস্থায় পান।

    শিশুটি রায়হানের কথা বললে, মা বুঝতে পারেন যে, তার মেয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
    মেডিকেলে যেতেও বাধা দেয় বলে শিশুর মা অভিযোগ করেন। বৃহস্পতিবার শিশুটির অবস্থা খারাপ দেখে রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

    বর্তমানে সে ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে(ওসিসি) ভর্তি রয়েছে।
    ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান ওই শিশুটিকে শাররিক পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারও ওসিসিরিসার্চ সেন্টারে ভর্তি করান শিশুটির পরিবাড

  • জয় বাংলা শ্লোগানে সাভারের একটি গার্মেন্টস কারখানার ভিতরে ত্রিমুখী সংঘর্ষ ও ভাংচুরের আহত-১০,বহিরাগত আটক-৪

    জয় বাংলা শ্লোগানে সাভারের একটি গার্মেন্টস কারখানার ভিতরে ত্রিমুখী সংঘর্ষ ও ভাংচুরের আহত-১০,বহিরাগত আটক-৪

    • শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

    জয় বাংলা শ্লোগানে সাভার হেমায়েতপুরে রাকেফ অ্যাপারেলস পোশাক করাখানার ভাংচুর,সড়ক অবরোধের ঘটনায় বহিরাগত  ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ১ মাসের বেতন ভাতা পাওয়ানা দাবীতে হেমায়েতপুর-সিংগাইর সড়কে অবরোধ করে কারখানার প্রায় ৪ হাজার শ্রমিক।

    এসময় কয়েকজন বহিরাগত শ্রমিকের সাথে অংশ নিয়ে কারখানার ভিতর ও বাহিরে ভাংচুর চালায়। পরে এমন অভিযোগে পোশাক কারখানায় ভাংচুরের ঘটনায় বহিরাগত ৪ জন আটক করেছে পুলিশ।

    আটককৃতরা হলেন রাসেল(১৮),ইয়াসিন(২১),সিয়াম(১৬), মিলন (২২) আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন শিল্প পুলিশের এএসপি।

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন এলাকার রাকেফ এ্যাপারেলন্স গার্মেন্টস কারখানার ভিতরে সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।

    শ্রমিকরা জানায় ওই পোশাক কারখানায় কাজ করে প্রায় ৪ হাজার শ্রমিক বৃহস্পতিবারে ডিসেম্বর মাসের বকেয়া বেতন প্রদানের কথা ছিলো। কিন্তু মালিকপক্ষ বেতন দিতে পারবে না শ্রমিকদের জানালে শ্রমিকরা উৎপাদন বন্ধ রেখে কারখানার বাহিরে টায়ার জ্বালিয়ে হেমায়েতপুর – সিঙ্গাইর সড়ক অবরোধ করে রাখে।

    সন্ধ্যার পর বিক্ষুব্ধ শ্রমিক ও বহিরাগতরা রাত আটটার দিকে এক পর্যায়ে কারখানায় ভিতরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এসময় কারখানা ভাংচুরে মালিকপক্ষের লোকজন বাধা দিলে কারখানার শ্রমিক,বহিরাগত ও মালিকপক্ষদের দেড় ঘন্টা ব্যাপি সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ত্রিমুখী এ সংঘর্ষে এসময় আহত হয় অন্তত ১০ জন।

    কারখানার ভাঙচুর সংঘর্ষের সময় পুলিশ সদস্যরা কারখানার বাহিরে অবস্থান করলেও কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় নি। কারখানা ভাঙচুর ও সংঘর্ষ শেষ হওয়ার পরে কারখানার ভিতরে প্রবেশ করে পুলিশ রাসেল,সিয়াম,ইয়াসিন,মিলন নামের চার বহিরাগত যুবককে আটক করে।

    সংঘর্ষ এড়াতে কারখানার সামনে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। আহতের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। এদিকে হেমায়েতপুর- সিঙ্গাইর সড়ক অবরোধ করার ফলে ওই রাস্তার দুই পাশে আটকা পড়ে শতশত যানবাহন। পরে শ্রমিকরা রাত দশটার দিকে চলে গেলে ওই সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।

    কারখানা কতৃপক্ষের অভিযোগ কারখানা ভাঙচুরের সময় পুলিশ কোন ব্যবাস্থা না নেওয়ায় পুরো কারখানাটি ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধরা।

    অপর দিকে কারখানায় ভাংচুরের পর চারজনকে আটক করেছে পুলিশ । আটককৃতরা হলেন রাসেল(১৮),ইয়াসিন(২১),সিয়াম(১৬), মিলন (২২) । অতিরিক্ত নিরাত্তার জন্য কারখানার সামনে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

  • জয় বাংলা শ্লোগানে সাভার হেমায়েতপুরে রাকেফ অ্যাপারেলস পোশাক করাখানায় ভাংচুর,সড়ক অবরোধেরর ঘটনায় বহিরাগত আটক ৪

    জয় বাংলা শ্লোগানে সাভার হেমায়েতপুরে রাকেফ অ্যাপারেলস পোশাক করাখানায় ভাংচুর,সড়ক অবরোধেরর ঘটনায় বহিরাগত আটক ৪

    জয় বাংলা শ্লোগানে সাভার হেমায়েতপুরে রাকেফ অ্যাপারেলস পোশাক করাখানার ভাংচুর,সড়ক অবরোধের ঘটনায় বহিরাগত  ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ১ মাসের বেতন ভাতা পাওয়ানা দাবীতে হেমায়েতপুর-সিংগাইর সড়কে অবরোধ করে কারখানার প্রায় ৪ হাজার শ্রমিক।

    এসময় কয়েকজন বহিরাগত শ্রমিকের সাথে অংশ নিয়ে কারখানার ভিতর ও বাহিরে ভাংচুর চালায়। পরে এমন অভিযোগে পোশাক কারখানায় ভাংচুরের ঘটনায় বহিরাগত ৪ জন আটক করেছে পুলিশ।

    আটককৃতরা হলেন রাসেল(১৮),ইয়াসিন(২১),সিয়াম(১৬), মিলন (২২) আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন শিল্প পুলিশের এএসপি।

     

  • মালয়েশিয়ায় এক বাংলাদেশি অপহরণের দশ মাসে মুক্তি মেলেনি এখনো 

    মালয়েশিয়ায় এক বাংলাদেশি অপহরণের দশ মাসে মুক্তি মেলেনি এখনো 

    সত্যেরসংবাদডেক্সঃমালয়েশিয়ায় অপহরণের শিকার মামুনের মুক্তি মেলেনি দশ মাসেও। দাবি কৃত অর্থ দিয়েও নিখোঁজ পিতার সন্ধান মেলেনি বলে জানালেন পিতা হারা সন্তান ইমন। প্রায় দশ মাস পার হলেও খোজঁ মেলেনি নেত্রকোনার আল মামুনের।

    গেল বছরের ৬ এপ্রিল মালয়েশিয়ায় নিজ কর্মস্থলের সামনে থেকে স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টায় দুর্বৃত্তরা তাকে তুলে নিয়ে যায়। দুদিন পর ৮ এপ্রিল মামুনের মালয়েশিয়ার ফোন নম্বর থেকে দেশে থাকা স্ত্রীর ফোনে কল করে আট লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়।

    মামুনের স্বজনদের অভিযোগ, এ ঘটনার সঙ্গে বিদেশি ও এক বাংলাদেশি নাগরিক জড়িত। বাংলাদেশি ওই নাগরিকই ফোনে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে টাকা চেয়ে যোগাযোগ করত। মামুনের অবস্থাও তিনি ফোনে জানাতেন।

    শেকলে বাঁধা অবস্থায় মামুনের একটি ছবি প্রমাণ হিসেবেও পরিবারের কাছে পাঠায় অপহরণকারীরা। স্বজনদের ধারণা, ওই বাঙালি ব্যক্তিও অপহরণের সঙ্গে জড়িত।

    মামুনের ছেলে নাফিদুল ইসলাম ইমন মোবাইল ফোনে এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমার বাবার সঙ্গে কথা হতো তারই (প্রবাসী ওই বাঙ্গালি) মোবাইল নম্বরে। সেই নম্বর থেকে ফোন করে তিনি টাকা চান। অনেক কষ্ট করে আমাদের নিকটাত্মীয় আনোয়ারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সেদেশে সাড়ে তিন লাখ টাকা পাঠায়। পরে আনোয়ার আরেকটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অপহরণকারীদের টাকাটা দিয়ে দেয়।’

    ইমন আরো বলেন, ‘বাংলাদেশি সেই লোকটি বলেছিল, টাকা পাওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যে বাবাকে তারা ছেড়ে দেবে। কিন্তু টাকা পাঠানো হলেও তারা বাবাকে মুক্তি দেয়নি। গত দশ মাস ধরে বাবার কোনো খোঁজ নেই। এমনকি তার মোবাইল ফোনও (বাংলাদেশির) বন্ধ রয়েছে।’

    ইমন বলেন, ‘আমি আমার বাবাকে ফেরত চাই। উনি বেঁচে আছেন, নাকি অপহরণকারীরা তাকে মেরে ফেলেছে, কিছুই জানি না। যদি মেরে ফেলে, তাহলে অন্তত বাবার লাশটা একবার দেখার পর দাফন করতে চাই।’

    ১২ বছর আগে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে এসটিএস কন্সট্রাকশন কোম্পানিতে কাজের উদ্দেশে যান নেত্রকোনার আল মামুন। কাজ তার ভালোই চলছিল, কিন্তু বিপত্তি ঘটে গত এপ্রিলে। কর্মস্থলের সামনে থেকে দুর্বৃত্তরা তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর দেশে থাকা মামুনের পরিবারের কাছে আট লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।

    স্বজনরা সাড়ে তিন লাখ টাকা জোগাড় করে আত্মীয়ের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় পাঠায়। কিন্তু টাকা পাওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যে ছেড়ে দেয়ার কথা থাকলেও গত মাঁচ ধরে মামুনের কোনো খোঁজ পাচ্ছে না তার পরিবার।

    মামুনের পরিবারের অনুরোধ, যদি তার লাশও পাওয়া যায়, সেটা যেন সরকার দেশে এনে দাফনের ব্যবস্থা করে।

    এদিকে, স্বামীকে ফিরে পাওয়ার জন্য সহায়তা চেয়ে গত বছরের ২৫ এপ্রিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর চিঠি দেন মামুনের স্ত্রী পারুল আক্তার।

    চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমার স্বামী আল মামুন (পাসপোর্ট নম্বর- বি জে ০৬৫৩৮৩৯) ২০০৭ সালে বৈধভাবে মালয়েশিয়া যান। দীর্ঘদিন যাবত তিনি মালয়েশিয়ায় বৈধভাবে অবস্থান করছেন। হঠাৎ করে কে বা কারা তাকে তার কর্মস্থলের সামনে থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর ৮ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় আনুমানিক ৭টার দিকে আমার স্বামীর নম্বর থেকে কল দিয়ে আট লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।’

    ‘আমরা সাধ্যানুযায়ী সাড়ে তিন লাখ টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠাই। এরপর থেকে আমার স্বামীর কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। এমতাবস্থায় আমার স্বামীকে অপহরণকারীদের হাত থেকে রক্ষা করতে আপনার সাহায্য কামনা করছি। আমি আমার স্বামীর জন্য প্রহর গুনছি। যোগ করেন পারুল আক্তার।’

    এ ব্যাপারে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের শ্রম কাউন্সিলর (২) মোহাম্মদ হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল জানান, দূতাবাস থেকে আল মামুনকে উদ্ধারের কাজ চলছে। অপরাধি যেই হউক না কেন দ্রুত ধরা পড়বে বলেও জানান তিনি। আমরা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি।

  • আন্তর্জাতিক বেগম রোকেয়া দিবসে শ্রেষ্ঠ জয়িতা পূরস্কার ভূষিত হওয়ায় সাভারে সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া হককে সংবর্ধনা প্রদান

    আন্তর্জাতিক বেগম রোকেয়া দিবসে শ্রেষ্ঠ জয়িতা পূরস্কার ভূষিত হওয়ায় সাভারে সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া হককে সংবর্ধনা প্রদান

    • শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ

    সাভারে শ্রেষ্ঠ জয়িতা রোকেয়া হককে সংবর্ধনা প্রদান। আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষ্যে শ্রেষ্ঠ জয়িতা পূরস্কার পাওয়ায় সাভার উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস রোকেয়া হককে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।
    সাভার অধর চন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শাখার আয়োজনে বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারি এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাভার পৌরসভার প্যানেল মেয়র, সাভার পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শিক্ষানুরাগী নজরুল ইসলাম মানিক মোল্লা।

    সাভার অধরচন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে আয়োজিত এ সংবর্ধনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন পিটার গমেজ।

    প্রধান অতিথি পৌরসভার প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম মানিক মোল্লা বলেন মিসেস রোকেয়া হকের রয়েছে বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন। তিনি একাধারে বীর মুক্তিযোদ্ধা,নারী নেত্রী,মাদক বিরোধী আন্দোলনের নেত্রী,একজন শিক্ষিকাসহ বহু গুনে গুনান্বিত। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি নিজেকে শিক্ষকতা পেশায় নিযুক্ত করে আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন। তার অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ প্রতিষ্ঠিত। তাই রোকেয়া হক জয়িতা পূরস্কারে ভ’ষিত হয়েছেন।
    তিনি বলেন ভাল মানুষকে সম্মান করতে হয়। তাহলে দেশও জাতি সম্মানিত হয়। রোকেয়া হক কোন দিন টাকা পয়সার লোভ করেননি। মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ঘুরে ছাত্র-ছাত্রী সংগ্রহ করেছেন। তার যত দিন চলতশক্তি আছে তিনি এ স্কুলের দায়িত্ব পালন করবেন এ প্রত্যাশা করছি।
    সংবর্ধনার জবাবে মিসেস রোকেয়া হক বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখা পড়া করে ছোট একটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করবো তা কোন দিন ভাবিনি। ততকালীন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক আবদুস সাত্তার স্যারের প্রস্তাবে ক্লাশ নেই এবং এখানেই থেকে যাই। ছেলে মেয়ে দুইজন ইংল্যান্ড ও আমেরিকায় থাকে। আমি আপন মনে সামাজিক কাজ কর্মে ব্যস্ত থাকি।অনেকের বিপদ আপদে এগিয়ে যাই। প্রতিকুলতা থাকা সত্বেও পাশে দাড়াবার চেষ্টা করি। তাই হয়তো আমাকে জয়িতা পূরস্কার দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন যারা এ সংবর্ধনার আয়োজন করেছেন তাদের নিকট আমি কৃতজ্ঞ ও ঋনী রোকেয়া হক।

    এ অনুষ্ঠানে জয়িতা পুরস্কার বিজয়ী মিসেস রোকেয়া হকের কর্মময় জীবনী তুলে ধরেন শিক্ষিকা নাসিমা আক্তার। এসময় অতিথি হিসেবে অনেকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাভিশন টিভি ও ইউএনবির রিপোর্টার নজমুল হুদা শাহীন ,সাভার অধরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক রশিদুল ইসলাম,মাসুদা হাসনাত,মাসুদা বেগম,আনোয়ারা খানম,তাহমিনা হক, এনজিও কর্মকর্তা সুবাস চন্দ্র,বাবুল মোড়ল প্রমুখ।

    সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশ গ্রহনে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ পর্বের অনুষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীগন নৃত্য,কবিতা,ছড়া ও সংগীত পরিবেশন করে।