Author: sattersangbad24

  • কেবল মাত্র ব্যবসায়ীক ভাবে সফল হলেই টেলিভিশন চালানো সম্ভব না মালিকদের উদ্দেশে সাভারে এক পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা.মুরাদ হাসান

    কেবল মাত্র ব্যবসায়ীক ভাবে সফল হলেই টেলিভিশন চালানো সম্ভব না মালিকদের উদ্দেশে সাভারে এক পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা.মুরাদ হাসান

    কেবল মাত্র ব্যবসায়ীক ভাবে সফল হলেই টেলিভিশন চালানো সম্ভব না মালিকদের উদ্দেশে সাভারে এক পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা.মুরাদ হাসান

    শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভারঃ
    কেবল মাত্র ব্যবসায়ীক ভাবে সফল হলেই টেলিভিশন চালানো সম্ভব না,মালিকদের পরিচালনগত অজ্ঞতার কারনে টেলিভিশন চ্যানেলে অস্থিরতা বিরাজ করছেঃ সাভারের রেডিওকলোনি মডেল স্কুলে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা.মুরাদ হাসান এ কথা বলেন।

    লাইন্সেস নেওয়ার আগে টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের অনেকেরই পরিচালনাগত অভিজ্ঞতা ছিলো না। আজ টেলিভিশন পরিচালনায় যারা ব্যর্থ- লাইন্সেস নেওয়ার আগে তারা কি তখন বুঝে নিয়ে ছিলেন? একটি টেলিভিশন চ্যানেল কিভাবে পরিচালনা করতে হয় সেই দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা তাদের ছিলো কিনা সেই প্রশ্নও তুলেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা.মুরাদ হাসান।
    তিনি আরো বলেন সাংবাদিকসহ কলাকুশলীরা বেকার ও চাকুরিচ্যুত হচ্ছেন।

    বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সাভারের রেডিও কলোনী মডেল স্কুলের তিন দশক পূর্তি ও পূনর্মিলনীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের সাথে প্রশ্নের জবাবে তিনি তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা.মুরাদ হাসান বলেন, টেলিভিশন চালাতে দক্ষতা যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা জরুরী। না জেনে না বুঝে চালাতে গেলে পরিনতি এমন হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এই পরিস্থিতির মধ্যেই আরো শতাধিক চ্যানেল আবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা পড়েছে জানিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, কেবল মাত্র যাদের টেলিভিশন চালানোর অভিজ্ঞতা দক্ষতা ও যোগ্যতা রয়েছে তাদের আবেদন গুলোই বিবেচনা করা হবে।

    অনুষ্ঠানে এসময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা.এনামুর রহমান বলেন, সারাদেশে শীতার্তদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। আমাদের মন্ত্রণালয়ে প্রচুর শীত বস্ত্র ও শুকনো খাবার রয়েছে। সেগুলো আমরা পর্যায়ক্রমে দেশের বিভিন্ন স্থানে দেওয়া হবে।

    এর আগে তিন দশক পূর্তি ও পূনর্মিলনী উপলক্ষে সকালে স্কুল মাঠে বর্ণাঢ্য র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়। অনষ্ঠানে প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করেন।
    সারাদিন দিনটা ছিলো সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা উপভোগ করার মত দিন ।

    অনুষ্ঠান শেষে শিল্পীদের অংশ গ্রহনে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।বর্ণাঢ্য আয়োজনে সকাল আট থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত চলে অনুষ্ঠান কার্যক্রম।

    অনুষ্ঠানে মিডিয়া পার্টনার ছিলো দেশের জনপ্রিয় স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল এটিএন বাংলা।
    অনুষ্ঠানে এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,ধামরাইয়ের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদ, সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব, পৌর মেয়র আব্দুল গণি, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নারায়ণ চন্দ্র শীল, প্রধান প্রকৌশলী আহম্মদ কামরুজ্জামান, এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি ড.কামরুল আহসান ,স্কুলের প্রধান শিক্ষক এইচ এম শাহ আলম মিঞা, সহকারী প্রধান শিক্ষক অরুপ চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন
    সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিকসহ আরো অনেকে।
    অনুষ্ঠান শেষে মনোজ্ঞ এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন । গান পরিবেশনা করেন এস আই টুটুলসহ গুনী শিল্পীরা।

  • ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে সাভারের রেডিও কলোনি মডেল স্কুলে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান হচ্ছে-

    ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে সাভারের রেডিও কলোনি মডেল স্কুলে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান হচ্ছে-

    বুধবার সকাল থেকে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে সাভারের রেডিও কলোনি মডেল স্কুলের তিন দশক পূর্তি ও দ্বিতীয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান হচ্ছে।

    সন্ধ্যায় আলোচনাসভা অনুষ্ঠানে ত্রান ও দূর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার এনামুুর রহমান সহ অতিথিবৃন্দ উপস্থিত রয়েছেন।

    উক্ত অনুষ্ঠানে অত্র বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও অধ্যায়নরত ছাত্র-ছাত্রী,অভিবাবক ও শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং বহিরাগত গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত রয়েছেন। আলোচনাসভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হবে।
    আয়োজকরা সকলকে শৃঙ্খলা রাখতে অনুরোধ করেছেন। আইন-শৃঙ্খলার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তি

  • বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সাভারে খ্রিস্টান ধর্মাবলীদের বড়দিন উৎসব পালিত

    বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সাভারে খ্রিস্টান ধর্মাবলীদের বড়দিন উৎসব পালিত

    • শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ

     

    বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সাভারে খ্রিস্টীয় ধর্মাবলীদের বড়দিন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার সকালের ধরেন্ডা চার্জে আলোচনা সভা এ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিন পর্বের এই অনুষ্ঠানে যীশু কে স্মরণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। ধরেন্ডা চার্জের ফাদার
    অনুষ্ঠানে যিশুর জীবনী সম্পর্কে সকলকে অবহিত করো। এ সময় দেশ ও দশের মঙ্গল কামনা করে শান্তি বর্ষিত হোক এই প্রার্থনা করেন।
    এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার এনামুর রহমান,সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মন্জুরুল আলম রাজীব, সাভার পৌর মেয়র হাজী আব্দুল গনি,বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান
    মোহাম্মদ সাইদুর রহমান সুজন, সাভার ইউনিয়ন পরিষদের মোহাম্মদ সোহেল রানা, সাভার পৌর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ সেলিম মিয়া ,সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এফএম সাহেদসহ স্থানীয় পর্যায়ের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
    এসময় ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার এনামুর রহমান সকলকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ও সকলের প্রতি শাস্তি বজায় রাখতে অনুরোধ করেন। যীশু খ্রীষ্টের জন্মদিনের কেক কাটেন প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার এনামুর রহমান।

  • আজ খ্রিষ্টান সম্প্রদায় উৎযাপন করছে বড়দিন

    আজ খ্রিষ্টান সম্প্রদায় উৎযাপন করছে বড়দিন

    • শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

    সারাবাংলাদেশের ন্যায় সাভারে পালন করছে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের শুভ বড়দিন । গির্জায় গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা আর আনন্দ উচ্ছাসের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের এই দিনটি। রাতের প্রথম প্রহরে প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বড়দিন উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা। একটি অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার প্রার্থনাই ছিলো শান্তির বার্তা নিয়ে আসা প্রভু যিশুর অনুসারীদের কাছে।

    পৃথিবীতে যখন অন্যায়, অত্যাচার আর ব্যভিচারে ছেয়ে গিয়েছিল, তখন সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতে যিশুখ্রিষ্ট মানবরুপে পৃথিবীতে আসেন মানুষের মুক্তিদাতা হয়ে।

    খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের মতে, ২ হাজার বছর আগে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের বেথলেহেমের এক গোশালায় কুমারী মাতা মেরীর কোল আলোকিত করে আসেন যিশু খ্রিস্ট। এ জন্মতিথিকে উপলক্ষ করে প্রতি বছর আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করেন খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা।

    দিনটি উপলক্ষে গির্জাগুলো সাজানো হয়েছে বর্ণিল আলো ও ফুল ও নানা অনুসঙ্গ দিয়ে। স্থাপন করা হয়েছে খ্রিস্টের জন্মের ঘটনার প্রতীক গোশালাও। গির্জার পাশাপাশি বাসাবাড়িও সাজানো হয়েছে বাহারি আলোকসজ্জা ও ফুলে। পালন করা হয় ধর্মীয় বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান।

    রাজধানীর পাঁচতারকা হোটেলগুলো পসরা সাজিয়েছে বর্ণাঢ্য আয়োজন নিয়ে। নয়নাভিরাম ক্রিসমাস ট্রি, সান্তক্লজের উপহার আর রঙবেরঙের আলোকসজ্জায় সাজানো প্রাঙ্গন। সেই সাথে ছিলো কেক, পুডিং, কুকিসসহ মুখরোচক নানা খাবার।

    খ্রিষ্ট অনুসারিদের প্রার্থনায় হিংসা,নিন্দা আর হানাহানির পরিবর্তে শান্তির বার্তা ছড়াক দেশ ও বিশ্বজুড়ে।

  • জাতীয় পার্টি ক্ষয়িষ্ণু নয়, জাতীয় পার্টি এখন বর্ধিষ্ণু রাজনৈতিক দলঃ চেয়ারম্যান জিএম কাদের

    জাতীয় পার্টি ক্ষয়িষ্ণু নয়, জাতীয় পার্টি এখন বর্ধিষ্ণু রাজনৈতিক দলঃ চেয়ারম্যান জিএম কাদের

    • ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

     

    জাতীয় পার্টি ক্ষয়িষ্ণু নয়, জাতীয় পার্টি এখন বর্ধিষ্ণু রাজনৈতিক দল। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টি জয়ের জন্য প্রতিদ্বন্দতা করবে। আমরা চাই নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অবাধ হবে। মঙ্গলবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বনানী অফিস মিলনায়তনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় সাবেক সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে শতাধিক সেনা সদস্য জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। এসময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের যোগ দেয়া সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের স্বাগত জানিয়ে বক্তৃতা করেন।

    জিএম কাদের বলেন, আশা করছি, নির্বাাচন সুন্দর সুষ্ঠ হবে। জাতীয় পার্টি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে মেয়র এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদেও মনোনয়ন দেবে জাতীয় পার্টি। দেশের মানুষ জাতীয় পার্টিকে ভোট দিতে প্রস্তুত। এজন্য সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।

    তিনি বলেন, নবাগতদের স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি সবসময় রাজনীতি করে দেশ ও জাতির জন্য। জাতীয় পার্টির সময় এখন শুধুই জয়ের পথে এগিয়ে চলার।

    এসময় বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, আমরা দেশব্যাপী পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আদর্শকে ধারণ করে আগামী নির্বাচনের আগেই দলকে জয়ের জন্য প্রস্তুত হওয়ার জন্য নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাই।

    এসময় আরো বক্তব্য রাখেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু, সাহিদুর রহমান টেপা, ফখরুল ইমাম এমপি, এস.এম. ফয়সল চিশতী, এ্যাড. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, নাজমা আখতার এমপি, উপস্থিত ছিলেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, সোহেল মোঃ রানা এমপি, ডা. রুস্তম আলী ফরাজী এমপি, আহসান আদেলুর রহমান আদেল এমপিসহ আরো অনেকে।

  • ভালুকায় চেয়ারম্যান ক্যাডার বাহিনীর হামলায় ছাত্রলীগ নেতা গুরুত্বর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি

    ভালুকায় চেয়ারম্যান ক্যাডার বাহিনীর হামলায় ছাত্রলীগ নেতা গুরুত্বর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি

    /ফাইল ছবি/

     

    মোঃ রবিউল আউয়াল রবি, ময়মনসিংহ ব্যুরো:
    ময়মনসিংহের ভালুকায় বীরমুক্তিযোদ্ধা লাঞ্চিতের পোষ্ট শেয়ার করায় উপজেলা চেয়ারম্যান সাবেক বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদের ক্যাডারদের স্বশস্ত্র হামলায় মারাত্মক আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক ছাত্রলীগ নেতা। সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার সিডস্টোর বাজার বাস স্ট্যান্ড এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মিশ্রপ্রক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে সচেতন মহলে।


    আহত ছাত্রলীগ নেতার নাম মো: হুমায়ন কবীর(৩০)। তিনি ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য এবং ময়মনসিংহ মহিলা ডিগ্রী কলেজের ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক।
    আহত ছাত্রলীগ নেতা জানান, গত ১৬ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বীরমুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক তালুকদারকে লাঞ্চিত করেন ভালুকায় উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে নিজের ফেইসবুক আইডিতে স্ট্যাটাস দেন ভুক্তভোগী বীরমুক্তিযোদ্ধা। পরে ওই স্ট্যাটাসটি নিজের আইডিতে শেয়ার করেন মো: হুমায়ন কবীর। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের নির্দেশে তাঁর অনুগত ইমরান, মানিক, নাজমুল, আবীরের নেতৃত্বে একদল স্বশস্ত্র ক্যাডার হামলা করে হুমায়নকে মারাত্মক আহত করে। বর্তমানে আহত হুমায়ন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৬নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
    অভিযোগ রয়েছে, বিগত কিছুদিন আগে একটি খেলার অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদকে অতিথি না করায় মুঠোফোনে হুমায়ন কবীরকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
    এবিষয়ে ভালুকা থানার ওসি মাঈন উদ্দিন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা হবে।
    তবে অভিযোগ বিষয়ে জানতে একাধিকবার ভালুকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের সাথে যোগাযোগ করেও তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।

  • সাভারে এতিম শিক্ষার্থীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করলেনঃ সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব

    সাভারে এতিম শিক্ষার্থীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করলেনঃ সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব


    শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
    সাভারে এতিম শিশু শিক্ষার্থীদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করেছেন সাভার উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব।
    ২৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে সাভার পৌরসভার আড়াপাড়া এলাকার ওয়াসিল উদ্দিন আহমদনগর মাদ্রাসার ১৫০ জন এতিম শিক্ষার্থীর মাঝে এই শীত বস্ত্র বিতরণ করেন তিনি।

    আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব জানান, প্রতিবারের তুলনায় সাভারসহ সারাদেশে এবার শীতের তীব্রতা বেশি। এই শীতে কোন এতিম শিশু যাতে কষ্ট না পায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে এতিমদের মধ্যে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। তাছাড়া এই এতিমখানার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। এ মাদ্রাসা চার তলায় রুপান্তরিত করতে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তিনি। এছাড়া মাদ্রাসার অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ২১ বান্ডিল টিন দেওয়ার ঘোষণা দেন মঞ্জুরুল আলম রাজীব।

    শীত বস্ত্র বিতরণ কালে এসময় অন্যান্যের মধ্যে সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক, যুবলীগ নেতা জাহিদ খান, শ্রমিকলীগ নেতা কবির হোসেন, ওয়াসিল উদ্দিন আহমদনগর মাদ্রাসার শিক্ষকবৃন্দ ও বিপুল সংখ্যক শিশু শিক্ষার্থীসহ আওয়ামীলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

  • ভিপি নুর মারা গেলেও আরও নূর আসবেন “এটাই সায়েন্স”-

    ভিপি নুর মারা গেলেও আরও নূর আসবেন “এটাই সায়েন্স”-

    ফাইল ছবিঃ ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নূর।

     

    ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নূর বারবার নির্যাতিত হয়েও অপরাজিত। শত মার খেয়েও যে ময়দানে খাড়া থাকে, তাকে পরাজিত বলা যাবে না। বারবার নির্যাতিত হয়েও নূরের এই দাঁড়িয়ে থাকাটা অবশ্যই একটা ঘটনা। তার পরও নূর নিজে না যত বড় ঘটনা, তারচে বড় তিনি যে পাওয়ারহাউস থেকে শক্তি পান সেটা। প্রতিপক্ষ যা–ই বলুক, নুরের এই পাওয়ারহাউস জামায়াত-শিবির বা বিএনপি বা কারও মাসোহারা না। এই পাওয়ারহাউস বাংলাদেশের মহানগরী ও ক্ষমতার তাপের পাশে হাজির হওয়া উদীয়মান নতুন মধ্য শ্রেণি। চলনে-বলনে কেতাদুরস্ত না হয়েও নূর তাঁর সাধারণ স্বাভাবিকতা নিয়ে তাঁদের কাছে চলে যেতে পেরেছেন, যাঁরা সংখ্যাগরিষ্ঠ তরুণ।

    তারা ভেঙে পড়ছে না, আবার সাধ্যের বাইরে গিয়ে নিজেদের আগাম বিনাশও ডেকে আনছে না। প্রথম আলোতারা ভেঙে পড়ছে না, আবার সাধ্যের বাইরে গিয়ে নিজেদের আগাম বিনাশও ডেকে আনছে না।

    এই ঘটনার মধ্যে নূর একা নন। তাঁর মতো একদল ছেলেমেয়ের মনের জোরে ভর করে নূর আজ বড় ছাত্রনেতা। ব্যক্তি নূর কতদূর যাবেন তা এখনই বলা যায় না। তবে এই গুচ্ছের ছেলেমেয়েরা অনেকদূর যাবে। কারণটা সহজ ও পরিষ্কার। যখন রাজনীতি জনগণের বড় অংশের প্রতিনিধি হতে ব্যর্থ, তখন এঁরা সমাজের একটা মৌলিক ভিত্তিকে প্রতিনিধিত্ব করা শুরু করেছে। এরা নিম্ন ও উঠতি মধ্যবিত্ত ঘর থেকে উঠে এসে সেই শ্রেণীকেই প্রতিনিধিত্ব করতে চাইছে।

    নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে মধ্যবিত্ত যাদের পাশে, তারাই জয়ী হয়।

    গত দুই দশকের যা কিছু অর্থনৈতিক বিকাশ, তা এই উঠতি মধ্যশ্রেণিটাকে তৈরি করেছে। এই শ্রেণীর সন্তানেরা বাবার ছোট ব্যবসা বা চাকরি, প্রবাসী বড় ভাইয়ের পাঠানো টাকায় খামার, নিম্ন-মধ্যবিত্ত জীবনের সঞ্চয় দিয়ে এখানে এসেছেন। এঁরা আরও সামনে যেতে চান। এগোতে গিয়ে দেখেন বিসিএস দিয়ে সরকারি চাকরি পাওয়া ছাড়া তাঁদের জন্য তেমন বড় সুযোগ নেই। তারপর বিসিএস দিতে গিয়ে দেখেন, হরেক রকমের কোটায় তাদের সেই সুযোগের মোয়া আধখাওয়া হয়ে আছে। তখন তাঁরা সরকারি চাকরিতে বৈষম্যের বিরুদ্ধে দাঁড়ান। এভাবে নিজেদের জন্য রাস্তা খুলতে গিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতিষ্ঠার রাস্তাটাকে তাঁরা আরও চওড়া করে রেখে যান। এঁরাই আবার দাঁড়ান বেসরকারি উচ্চশিক্ষায় সরকারের ভ্যাট আরোপের বিরুদ্ধে। তাঁদের শ্রেণি থেকে আসা তাঁদেরই ভাইবোনেরা সড়কে নিরাপত্তা আন্দোলনে নেমে ইতিহাস সৃষ্টি করে। কোনো ঘটনা যদি পরপর তিনবার ঘটে এবং তারপরেও টিকে থাকে, তাহলে ভাবতে হবে ঐ ঘটনার শেকড় অনেক গভীরে। গত কয়েক বছরে যে নির্দলীয় ছাত্র অধিকার আন্দোলন চলে আসছে, তার শেকড় অবশ্যই সমাজের গভীরে। সেই গভীরে হাত রাখলে পাওয়া যাবে নতুন ঐ মধ্যশ্রেণীটাকে।

    এঁদের জীবনীশক্তি কম না। স্বার্থের আন্দোলন করতে গিয়ে তাঁরা দেখেন তাঁদের নেতা নেই। ডান-বাম কারও প্রতি টান নেই যাঁদের, সেসব ‘সাধারণ’ ছাত্রছাত্রীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এঁদের থেকে নির্বাচিত করেন তাঁদের নেতা নুরুল হককে। জীবিকার জন্য যে পথে তাঁরা নেমেছিলেন সেই পথ তখন গিয়ে মেশে রাজনীতির সড়কে। তারপর থেকে দেশে যা কিছু প্রতিবাদ, সম্ভাবনা, সাহসিকতা—সবকিছু তাঁদের ঘিরেই ঘটে চলেছে। যে সময়ে যে কথা বলা দরকার, নুরুরা সেই সময়ে সেই কথাটা বলছেন। তাঁদের কথার দাম তাঁরা দিচ্ছেন বারবার নির্যাতিত হয়ে। নির্যাতনকারীরা এভাবে চিনিয়ে দিচ্ছে নতুন দিনের রাজনীতি কোথায় দানা বাঁধছে। মানুষ দেখছে এবং নির্যাতিতর প্রতি ভালবাসা জানাচ্ছে, তাদের সাহসকে বিশ্বাস করছে।

    এই তরুণেরা তাঁদের পরিবারের শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ ও সবেমাত্র আশা। এঁদের পিতামাতা প্রায় কৃষক হওয়ায় বেশির ভাগ মানুষের জীবনের খবর তারা রাখতে পারে। কৃষকের মতোই বাধ্য হলে এরা পায়ে ধরবে আবার সুযোগ পেলে শ্রেণিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষার জ্বলুনিতে প্রতিবাদে নামবে। এঁদের হারানো অসম্ভব, কারণ এঁরা শুধু সংখ্যায় অসংখ্যই না, খেলার নিয়মও তারা শিখে ফেলেছে। তারা ভেঙে পড়ছে না, আবার সাধ্যের বাইরে গিয়ে নিজেদের আগাম বিনাশও ডেকে আনছে না।

    নুর ব্যক্তি হিসেবে কে কী কেমন, তারচে বড় তিনি যাঁদের প্রতিনিধিত্ব করেন, তাঁরা বিরাট, বিপুল ও সংগ্রামী মনোভাবসম্পন্ন। নুর একটা নতুন রাজনৈতিক শক্তির উত্থানের প্রতীক। বিএনপি বা জামায়াত বা বামেরা একে ধারণ এখনো করতে পারছে না। তারাও যে পুরোনো রাজনৈতিক বর্গের মধ্যে ঢুকবে, তেমনটা মনে হচ্ছে না। সুতরাং দলীয়ভাবে একে দেখা যাবে না।

    নুর চলে গেলেও এই শ্রেণি থেকে আরও কর্মী-নেতা আসবেন। এঁরাই বাংলাদেশের আশা। পুরোনো মধ্যবিত্তকে পরাজিত করেছে উঠতি বড়লোকেরা ও তাদের দুর্বৃত্ততান্ত্রিক রাজনীতি। স্বদেশে এই মধ্যবিত্ত আর ভবিষ্যৎ দেখতে পায় না। তারা পলায়িত ও দিশাহীন। বরং নুরুর শ্রেণির পরিবারগুলো নিচ্ছে সেই জায়গা, যা ষাটের বা আশির দশকের মধ্যবিত্ত শ্রেণি নিয়েছিল। এদের উচ্চাকাঙ্ক্ষাই এদের উঠতি মধ্যবিত্তের প্রতিনিধি বানাচ্ছে। ব্যক্তি নূরের জায়গায় তাঁর শ্রেণি থেকে আরও আরও নেতার জোগান আসবেই।

    এঁদের যোগ্যতাও কম না। এঁরা লেগে থাকতে জানেন, যেমন সন্তানের পেছনে লেগে থাকেন নিম্নবিত্ত পিতা। এঁরা সংগঠন-জমায়েতে সহজ গলায় কথা বলতে পারেন, এঁরা মানুষের ভাষাটা বোঝেন। এরা হাইড্রার মতো, একদিকে বাধা পেলে আরেক দিকে মাথা তোলেন।

    পুরোনো রাজনীতির নায়ক-মহানায়কেরা অনেক যোগ্যতা নিয়েও ফেল মারছেন, কারণ তাঁরা সময়ের প্রতিনিধি না, তাঁরা কেবল নিজের প্রতিনিধি।

    ঠিক এঁরাই ভাষা আন্দোলন করেছিলেন, গ্রাম-মফস্বল থেকে এসে। বাংলাদেশে যাঁরা নেতা হতে চান, রাজনৈতিক শক্তি হয়ে উঠতে চান, তাঁদের নুরের গোষ্ঠীকে টার্গেট করা উচিত। যেটুকু শিক্ষা নেতৃত্বের জন্য দরকার, যেটুকু বিত্ত জীবন চালাতে প্রয়োজন এবং যেই বয়স বড় কাজে নামার জন্য জরুরি—তার সবই এঁদের আছে।

    এ রকম আরেকটা মুহূর্ত এই জাতির জীবনে এসেছিল। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং তারপর কোরীয় যুদ্ধের সময় এ দেশের পাটের চাহিদা বেড়ে গেল। পাটচাষিরা একটু পয়সা পেলেন। বাড়ির চালে টিন আর ছেলেটাকে স্কুলে পাঠানোর সেই উচ্চাকাঙ্ক্ষা থেকে তাঁরা শেরেবাংলার নেতৃত্বে জমিদার-মহাজনদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন। তাঁদের ছেলেরাই আরও শিক্ষিত হতে এবং শ্রেণি উত্তরণ ঘটাতে ঢাকা ও রাজশাহীর কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এলো। এঁরাই পরে ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত লড়াই করলো। নতুন পুঁজিবাদ ও বিশ্বায়ন আমাদের আবার সেই সুযোগ ও সংকটের দোলায় দোলাচ্ছে।

    ৯০-এর পরে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক গতিশীলতা বেড়েছে। দরিদ্র শ্রেণি থেকে চাকরি-ব্যবসা-প্রবাসে কাজ ইত্যাদি করে উঠে এসেছে লাখো পরিবার। এরা সাবেক শহুরে মধ্যবিত্তের মতো আত্মকেন্দ্রিক ও বিচ্ছিন্ন না। এদের গায়ে গ্রামের গন্ধের সঙ্গে সামাজিকতার চুম্বক লেগে আছে। বিদেশমুখী হওয়ার কায়দা এদের এখনো আয়ত্ত হয়নি। ফলে দেশ ও নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে তারা বাধ্য। ভাবতে গিয়ে নতুন এই শ্রেণি বাকিদের সঙ্গে যোগসূত্র গড়বে।

    এভাবে আরেকটা ইতিহাস শুরু হচ্ছে। এই ইতিহাস নো-ভ্যাট, কোটা সংস্কার, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ মুভমেন্ট দিয়ে সামনে এগোচ্ছে। ময়দানে একমাত্র যাঁরা দাঁড়িয়ে, যাঁরা দানা বাঁধছেন, যাঁরা তৎপর, তাঁরা এই নূরেরা। এ জন্যই এঁদের ওপর আক্রমণ বেশি।

    মনে রাখা ভালো, এঁরা মার খেলে বাংলাদেশ মার খায়, সত্যিকার মুক্তিযুদ্ধ মার খায়। এই নুর মারা গেলেও আরও নূর আসবেন। এটাই সায়েন্স। এই নুর টিকলে আরও নূর জ্বলবে, সেটাই মানুষ।

    ফারুক ওয়াসিফ: লেখক ও সাংবাদিক।
    faruk.wasif@prothomalo.com

    সংগ্রহীত-অনলাইন

  • সাভারের বনগাঁও এলাকায় একটি লেপ-তোষক বিক্রি কারখানায় বাড়ীতে আগুন নিয়ন্ত্রনে

    সাভারের বনগাঁও এলাকায় একটি লেপ-তোষক বিক্রি কারখানায় বাড়ীতে আগুন নিয়ন্ত্রনে

    • শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ

    সাভারে সাভারের বনগাঁও ইউনিয়নের নগরকোন্ডা কোর্টবাড়ি এলাকায় আলমাস উদ্দিনের বাড়িতে এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।
    এসময় আগুনে পুড়ে গেছে ৪ টি বসত ঘর। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ভোর রাতে এ আগুনের সূত্রপাত হয়।

    এলাকাবাসী তথ্য সূত্রে জানায় ,মুহুর্তের মধ্যে আগুনে বাড়ি ঘরে ছড়িয়ে পড়লে চারটি বসত ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনে এসময় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন চারটি বসত ঘরের বেশ কয়েকজন সদস্য।
    চারটি বসত বাড়ির ভাড়াটিয়ারা তুলা দিয়ে লেপ-তোষক কারখানায় বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলো তারা।

    খবর পেয়ে সাভার ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে এসময় ফ্রিজ আসবাবপত্র নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল পুড়ে যায়। এতে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে বাড়ির মালিক আলমাস উদ্দিন।
    এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছেন বনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম।

    সাভার ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ লিটন আহমেদ জানান, কিভাবে আগুন সূত্রপাত হয়েছে এবং কত টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

  • আলেকজান্ডার গ্রাহামবেল এক তরুণীর প্রেমে পড়ায় কথা বলতে আবিষ্কার হয়েছিলো টেলিফোন

    আলেকজান্ডার গ্রাহামবেল এক তরুণীর প্রেমে পড়ায় কথা বলতে আবিষ্কার হয়েছিলো টেলিফোন

    • তথ্যপ্রযুক্তি সংবাদডেক্সঃ

     

    প্রয়োজনের তাগিদেই আবিষ্কৃত হয়েছে পৃথিবীর সব বড় বড় আবিষ্কার। এজন্য বলা হয়, প্রয়োজনীয়তাই উদ্ভাবনের জন্য। আধুনিক পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার হলো টেলিফোন। অনেকেই হয় তো জানেন না আলেকজান্ডার গ্রাহামবেল কেন টেলিফোন আবিষ্কার করেছিলেন। প্রকৃতপক্ষে তিনি প্রেমিকার সাথে কথা বলতেই উদ্ভাবন করেছিলেন এ আশ্চর্য প্রযুক্তিটি। আলেকজান্ডার গ্রাহামবেল এক তরুণীর প্রেমে পড়েছিলেন। ঐ তরুণীর বাসা বিজ্ঞানী গ্রাহামবেলের বাসা থেকে অনেক দূরে হওয়ায় কথা বলা কঠিন হয়ে পড়তো। এজন্য প্রায়ই কেঁদে উঠতো তার মন।
    তিনি একসময় চিন্তা করলেন,কীভাবে তার প্রেমিকার সাথে মন চাইলেই কথা বলা যায়। সে চিন্তা থেকেই তিনি আবিষ্কার করে ফেলেন টেলিফোন।
    আমরা কাউকে ফোন করলেই প্রথমেই বলি হালো।
    “হ্যালো” বলে যে শব্দটি উচ্চারন করি সেটা
    একটি মেয়ের নাম। তার পুরো নাম “মার্গারেট
    হ্যালো” (Margaret Hello). তিনি ছিলেন
    টেলিফোন আবিষ্কারক অ্যালেক্সান্ডার
    গ্রাহামবেলের প্রেমিকা। অ্যালেক্সান্ডার
    গ্রাহামবেল মার্গারেট হ্যালোকে
    খুব ভালোবাসতেন । তিনি যখন টেলিফোন
    আবিষ্কার করলেন তিনি ভাবলেন টেলিফোনে
    কথা বলা প্রথম শব্দটি হবে তার প্রেমিকার নাম। তাই
    তিনি টেলিফোনে যখন প্রথম কথা বলেন তখন
    উচ্চারণ করেছিলেন “হ্যালো”।
    সেই থেকে হ্যালো শব্দটির প্রচলন হয়ে
    আসছে বিশ্বজুড়ে। আদতে “HELLO” একটি
    ইংরেজি শব্দ। এর কোন অর্থ নেই, এই শব্দটি
    ইংরেজি ডিকশনারির অন্তরভুক্ত ছিল না, ১৮৮৩
    সালে শব্দটি ইংরেজি ডিকশনারিতে অন্তরভুক্ত
    করা হয় যার বাংলা করলে দাড়ায় “ওহে”।
    আমরা আজ বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, মা-বাবা, ভাই-বোন, প্রেমিক প্রেমিকা যার সাথেই কথা বলি না কেন হ্যালো শব্দটি ব্যাবহার করে থাকি।