সারাবাংলাদেশের ন্যায় সাভারে পালন করছে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের শুভ বড়দিন । গির্জায় গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা আর আনন্দ উচ্ছাসের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের এই দিনটি। রাতের প্রথম প্রহরে প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বড়দিন উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা। একটি অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার প্রার্থনাই ছিলো শান্তির বার্তা নিয়ে আসা প্রভু যিশুর অনুসারীদের কাছে।
পৃথিবীতে যখন অন্যায়, অত্যাচার আর ব্যভিচারে ছেয়ে গিয়েছিল, তখন সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতে যিশুখ্রিষ্ট মানবরুপে পৃথিবীতে আসেন মানুষের মুক্তিদাতা হয়ে।
খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের মতে, ২ হাজার বছর আগে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের বেথলেহেমের এক গোশালায় কুমারী মাতা মেরীর কোল আলোকিত করে আসেন যিশু খ্রিস্ট। এ জন্মতিথিকে উপলক্ষ করে প্রতি বছর আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করেন খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা।
দিনটি উপলক্ষে গির্জাগুলো সাজানো হয়েছে বর্ণিল আলো ও ফুল ও নানা অনুসঙ্গ দিয়ে। স্থাপন করা হয়েছে খ্রিস্টের জন্মের ঘটনার প্রতীক গোশালাও। গির্জার পাশাপাশি বাসাবাড়িও সাজানো হয়েছে বাহারি আলোকসজ্জা ও ফুলে। পালন করা হয় ধর্মীয় বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান।
রাজধানীর পাঁচতারকা হোটেলগুলো পসরা সাজিয়েছে বর্ণাঢ্য আয়োজন নিয়ে। নয়নাভিরাম ক্রিসমাস ট্রি, সান্তক্লজের উপহার আর রঙবেরঙের আলোকসজ্জায় সাজানো প্রাঙ্গন। সেই সাথে ছিলো কেক, পুডিং, কুকিসসহ মুখরোচক নানা খাবার।
খ্রিষ্ট অনুসারিদের প্রার্থনায় হিংসা,নিন্দা আর হানাহানির পরিবর্তে শান্তির বার্তা ছড়াক দেশ ও বিশ্বজুড়ে।
Leave a Reply