Author: sattersangbad24

  • শ্রীপুরে নারী গার্মেন্টস শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

    শ্রীপুরে নারী গার্মেন্টস শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

    শ্রীপুরে নারী গার্মেন্টস শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

    মোহাম্মদ আদনান মামুন,শ্রীপুরে থেকেঃ
    গাজীপুরের শ্রীপুরে নারী গার্মেন্টস শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
    প্রেমের বিয়ের ৭ বছরেও স্বামী-স্ত্রী দু’জনে
    মিলে গার্মেন্টসে কাজ করে সংসারে সুখসাচ্ছন্দ্য আনতে না পারার ব্যর্থতায় আত্মহত্যা করেছেন গার্মেন্টস শ্রমিক। তার নাম শাহানাজ বেগম (২২)। স্বামীর নাম নাজমুল ইসলাম।

    সোমবার (১৬মার্চ) গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগরহাওলা মধ্যপাড়া এলাকায় বিকেল আনুমানিক চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তাদের গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার বড়দিলপাড়া গ্রামে। সংসার জীবনে তাদের চার বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

    বর্তমানে উপজেলার নগরহাওলা গ্রামের শব্দুল মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থেকে স্বামী নাজমুল আর এ কে নামক কারখানায় চাকরি করে ও তার স্ত্রী ভালুকা উপজেলার জামিরদিয়া কালার মাষ্টার নামক গার্মেন্টসের ফেশন অপারেটর শ্রমিক ছিলেন। বাড়ির মালিক শব্দুল মিয়ার স্ত্রী জানান, প্রতিদিনের মতো শাহানাজ বেগম তার স্বীকে দুপুরের খাবারের পর ঘরে ঘুমায়, আজও তাই করেছ, কিন্তু বিকেল আনুমানিক চারটার দিকে তার কন্যা চিৎকার করছে। পাশের ঘরের ভাড়াটিয়া ফাতেমা বাচ্চার চিৎকার শোনে আমাকে ডাকেন। পরে তার কন্যা দরজা খোললে দেখতে পাই উড়না দিয়ে ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে রয়েছে। পরে আশপাশের লোক জনকে বিষয়টি অবগত করলে তারা থানায় ফোন করে জানন।

    শ্রীপুর থানার মাওনা চকপাড়া ফাড়ির পুলিশ ক্যাম্পের এসআই বেলাল হোসেন জানান, সাত বছর আগে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে শাহানাজকে বিয়ে করেন নাজমুল। তারপর এ দম্পতি গ্রামের বাড়ি থেকে ভাগ্য বদলের আশায় পাড়ি জমান শিল্পনগরী গাজীপুরের শ্রীপুর। সংসারের অভাব-অনটন মেটাতে স্বামীর পাশাপাশি শাহানাজও কাজ শুরু করেন স্থানীয় পোশাক কারখানায়। নিহতের লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে।

  • রাষ্ট্র বা সরকার যদি অন্যায়কারী পদধারীকে সমর্থন না দেয় সেটাই হবে আইনের শাসন,জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদের ভূয়সী প্রশংসাঃ হাইকোর্ট

    রাষ্ট্র বা সরকার যদি অন্যায়কারী পদধারীকে সমর্থন না দেয় সেটাই হবে আইনের শাসন,জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদের ভূয়সী প্রশংসাঃ হাইকোর্ট

    রাষ্ট্র বা সরকার যদি অন্যায়কারী পদধারীকে সমর্থন না দেয় সেটাই হবে আইনের শাসন,জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদের ভূয়সী প্রশংসা করলেনঃ হাইকোর্ট

    কোর্টসংবাদডেক্সঃ
    আরিফুল ইসলাম রিগ্যানকে মধ্যরাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তার ও কারাদণ্ড দেওয়ার ঘটনার যাবতীয় নথি তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ২৩ মার্চের মধ্যে তা দাখিল করতে রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ওই ঘটনায় সরকার কি পদক্ষেপ নিয়েছে তাও জানাতে বলা হয়েছে।
    অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম রিগ্যান।

    আদালত বলেছেন, রাষ্ট্রের বা সরকারের একজন ব্যক্তি বা একজন পদধারী যদি কোনো অন্যায় করে, সেক্ষেত্রে রাষ্ট্র বা সরকার যদি তাকে সমর্থন না দেয় সেটাই হবে আইনের শাসন। আর সরকার বা রাষ্ট্র যদি ওই ব্যক্তির অন্যায় কাজে সমর্থন দেয় সেটা হবে আইনের লঙ্ঘন।

    বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ আদেশ দেন। রিগ্যানকে গ্রেপ্তার ও দণ্ড দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দাখিল করা রিট আবেদনের ওপর আগামী ২৩ মার্চ পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। জনস্বার্থে বাংলা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক হারুন উর রশিদের করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দেন আদালত।

    শুনানিকালে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) দেবাশিস ভট্টাচার্য বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক জাহিদুল ইসলামের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আরিফুল ইসলাম রিগ্যানকে একবছর কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আসামির বিরুদ্ধে। তাকে মাদক সেবনরত অবস্থায় টাস্কফোর্স আটক করে।
    তিনি আদেশের কপি পাঠ করার সময় ‘জনতার সামনে মাদকের ক্ষতিকর প্রভাবের বিষয়ে জনতার প্রতিক্রিয়া পর্যালোচনা করলাম’- এই অংশটুকু উল্লেখ করায় আদালত বলেন, একবার বলছেন, ‘দুইজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে অপরাধ’, আবার বলছেন জনতার সামনে।

    জবাবে ডিএজি বলেন, এ ঘটনার সময় উপস্থিত জনতার কথা বলা হয়েছে। তিনি বলেন, এই ফৌজদারি অপরাধের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করার সুযোগ নেই। তাছাড়া ক্ষতিপূরণ চাইতে হলে ভুক্তভোগীকেই আসতে হবে।

    শুনানির এক পর্যায়ে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের কাছে জানতে চান, খবরে শুনলাম, ভিকটিমের স্ত্রী বলছেন তারা কেউ জামিনের আবেদন করেননি। তাহলে আরিফুলের জামিন আবেদন কে করল?

    আদালত বলেন, জামিননামায় কে স্বাক্ষর করেছে? আসামি যদি জামিন নিতে না চান তাহলে কি আদালতের জামিন দেওয়ার সুযোগ আছে? জবাবে ডিএজি বলেন, এ বিষয়েতো কোনো নথি নেই। হয়তো আপিল করেছে আসামি! এ সময় অ্যাডভোকেট আমিন উদ্দিন বলেন, আসামি যদি দোষ স্বীকার করেই তবে তো তার আর আপিল করার সুযোগ নেই।

    এ সময় আদালতে আমিন উদ্দিন বলেন, বেআইনিভাবে মধ্য রাতে দরজা ভেঙে সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাজা দেওয়া হয়েছে। একইভাবে বেআইনি প্রক্রিয়ায় তাকে জামিন দেওয়া হয়েছে।

    শুনানিতে এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, সাংবাদিককে রাত পৌণে ১২টায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, কোনো সভ্য দেশে দরজা ভেঙে এভাবে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয় না। তাও একজন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই সাংবাদিক এর আগে জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে অনিয়মের রিপোর্ট করেন। রিপোর্ট করা কি অপরাধ? তিনি বলেন, সংবাদপত্র হলো সমাজের দর্পণ। সাংবাদিকরা জেগে থাকে বলেই সমাজে অপরাধ কম হয়।

    এ সময় আদালত বলেন, সংবাদপত্র হলো রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। এটা যদি ঠিকমতো কাজ করে তবে রাষ্ট্রের বাকী তিনটি অঙ্গ ঠিকমতো কাজ করতে বাধ্য হয়। সকলেই সঠিকভাবে কাজ করতে পারে।

    জবাবে আমিন উদ্দিন বলেন, সাংবাদিক যদি ভুল রিপোর্ট করে থাকে তবে তো তার বিরুদ্ধে মানহানীর মামলা করার সুযোগ আছে। আরো আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে। তাই বলে মধ্যরাতে দরজা ভেঙে তার বিরুদ্ধে অভিযান? তিনি বলেন, এমন যদি হতো যে ওই এলাকার সব বাড়িতেই অভিযান চালানো হয়েছে, আর শুধুমাত্র সাংবাদিকের বাড়িতে কথিত মদ ও গাঁজা পাওয়া গেছে তাহলে হয়তো বিশ্বাসযোগ্য ছিল। অথবা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যদি অভিযান হতো তাহলেও সেটা বিশ্বাসযোগ্য ছিল। মামলার কোথাও এটা বলা নেই। কিন্তু শুধুমাত্র সাংবাদিকের বাড়িতে অভিযান। এ থেকে এটা স্পষ্ট যে, অসৎ উদ্দেশে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

    আদালত বলেন, যেহেতু এরইমধ্যে আরিফুল জামিনে মুক্তি পেয়েছে। তাই আমরা মামলাটি এই পর্যায়ে রাখছি। সব আসুক। এরপর ভালভাবে শুনবো। এ সময় আদালত রিট আবেদনকারীপক্ষকেও ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে আসতে পরামর্শ দেন।

    আদালত বলেন, আরিফুলকে আবেদনকারী বানাতে পারেন। তাহলে আইনগত সুবিধা হবে আপনাদের। তাকে নিয়ে আসতে পারেন কিনা দেখুন। তার বক্তব্য শুনি। জবাবে এ এম আমিনউদ্দিন বলেন, এটা জনস্বার্থমূলক মামলা হিসেবেই শুনানি হোক। আর আরিফুলকে আনা যায় কিনা সেটা চেস্টা করা হবে। শুনানির এক পর্যায়ে আদালত কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

    আদালত বলেন, টিভিতে দেখলাম, প্রতিমন্ত্রী সাহেব ব্রিফিং করছেন। ওই ডিসির বিষয়ে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বলেননি যে মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তার পদক্ষেপ ভালো লেগেছে। একারণে তাকে অভিনন্দন জানানো যায়।

    রিগ্যানের বিরুদ্ধে তার বাড়িতে ‘আধা বোতল মদ ও দেড়শ গ্রাম গাঁজা’ পাওয়ার ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে একবছর কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১৫ দিন জরিমানা করে। এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এ অবস্থায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুজাউদ্দৌলা ১৪ মার্চ সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগ্যানকে জামিন দেন। এরপরই রিগ্যান জামিনে মুক্তি পান। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    আদালতে রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এম আমিনউদ্দিন, ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল দেবাশিস ভট্টাচার্য।

  • শিক্ষার্থীরা বাইরে ঘোরাফেরা করলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা

    শিক্ষার্থীরা বাইরে ঘোরাফেরা করলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা

    শিক্ষার্থীরা বাইরে ঘোরাফেরা করলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা

    সত্যেরসংবাদডেক্সঃ
    শিক্ষার্থীরা বাইরে বের না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ, সন্তান যেন একা ঘরের বাইরে বের না হয়। কারও জ্বর, সর্দি, কাশি থাকলে তা নিয়ে যেন বাইরে বের না হয়। সে যেন ঘরে থাকে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
    তিনি বলেন, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে অভিভাবকেরা নিশ্চিত করবেন যে তাদের ছেলেমেয়েরা একাকি যেন বাইরে ঘুরে না বেড়ায়। তাদের ছুটি দেওয়াই হচ্ছে সেফটির জন্য। বাইরে ঘোরাফেরা করলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একা একা যেন বাইরে না যায়, অভিভাবকদের সঙ্গে যেতে পারে।

    তিনি বলেন, আরেকটা জিনিস অনুরোধ করি- মসজিদ, মাদরাসা ও পেপারের মাধ্যমে বলে দেবেন- যদি কারো জ্বর এবং সর্দি-কাশি হয় তিনি যেন কোনো পাবলিক প্লেসে না আসেন। মসজিদ বা অফিসেও না। আমরাও অফিসে বলে দিয়েছি জ্বর এবং সর্দি-কাশি থাকলে সে অফিসে আসবে না।
    এ ছাড়া বিদেশ থেকে আসা সবাইকে অবশ্যই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে, অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

    সোমবার বাংলাদেশে নতুন আরও তিনজন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর।

    করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে মঙ্গলবার থেকে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ও।

  • সাভারে রাজফুলবাড়িয়া বাজারে ঝাটকা ইলিশ জব্দ,অর্থদন্ড, দুস্থদের মাঝে বিতরণ করলেন ভ্রাম্যমান আদালত

    সাভারে রাজফুলবাড়িয়া বাজারে ঝাটকা ইলিশ জব্দ,অর্থদন্ড, দুস্থদের মাঝে বিতরণ করলেন ভ্রাম্যমান আদালত

    সাভারে রাজফুলবাড়িয়া বাজারে ঝাটকা ইলিশ জব্দ,অর্থদন্ড, দুস্থদের মাঝে বিতরণ করলেন ভ্রাম্যমান আদালত

    সাভারে রাজফুলবাড়িয়া বাজারে
    ৪ লাখ টাকা মুল্যের ঝাটকা ইলিশ জব্দ,এতিম খানাসহ দুস্থদের মাঝে বিতরণ করলেন ভ্রাম্যমান আদালত। সোমবার সকালে সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের রাজফুলবাড়িয়া বাজার এলাকার মাছের আড়ৎ থেকে ঝাটকা ইলিশ গুলো জব্দ করেন সাভার উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ।
    সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ জানান, একদল অসাধু মাছ ব্যবসায়ী প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ওই মাছের আড়ৎতে ঝাটকা ইলিশ বিক্রি করে আসছিলো। সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে ওই মাছের আড়ৎ এ অভিযান পরিচালনা করে একটি পিকআপ ভ্যানসহ তিন’শ বিশ কেজি ঝাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। যার বাজার মূল্য প্রায় চার লাখ টাকা। এসময় মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতি টের পেয়ে ঝাটকা ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। পরে উপজেলা চত্বরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ এর উপস্থিতিতে ঝাটকা ইলিশগুলো বিভিন্ন মাদ্রাসা এতিম খানাসহ দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়। এসময় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ওই পিকআপ ভ্যান চালক হাবিবুর রহমানকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

  • সাভারের আশুলিয়ায় এক নারী শ্রমিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, স্বামী আটক

    সাভারের আশুলিয়ায় এক নারী শ্রমিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, স্বামী আটক

    সাভারের আশুলিয়ায় এক নারী শ্রমিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, স্বামী আটক

    সাভারের আশুলিয়ায় একটি তৈরি পোশাক কারখানার তানিয়া আক্তার (১৮) নামে এক নারী শ্রমিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী শাকিলকে আটক করেছে পুলিশ।
    রবিবার সকালে আশুলিয়ার বাইপাইল নতুন পাড়া ইসহাক রহমানের মালিকানাধীন ভাড়া বাসার একটি কক্ষ থেকে ওই নারী শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
    নিহত তানিয়া আক্তার জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ থানার দক্ষিণ কোয়ালিকান্দি গ্রামের বক্তার শেখের মেয়ে। সে স্বামী মো. শাকিলের সাথে আশুলিয়ার দক্ষিণ বাইপাইল নতুন পাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতো।
    পুলিশ জানায়, শনিবার রাতের খাবার শেষে স্ত্রী তানিয়াকে নিয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন স্বামী শাকিল। পরে সকালে ঘুম ভাঙলে কক্ষের আড়ার সাথে রশি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় স্ত্রী তানিয়াকে দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীদের জানায় শাকিল। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
    এব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাহিদ হাসান জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে ওই নারী শ্রমিক আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী শাকিলকে থানায় আনা হয়েছে। এছাড়া লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে। এঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

  • কিছু জেলা প্রশাসক মোগল সম্রাটদের মতো আচরণ করছে বলে মন্তব্য করেছেন ব্যারিস্টার সুমন

    কিছু জেলা প্রশাসক মোগল সম্রাটদের মতো আচরণ করছে বলে মন্তব্য করেছেন ব্যারিস্টার সুমন

    কিছু জেলা প্রশাসকের মোগল সম্রাটদের মতো আচরণ করছেঃ ব্যারিস্টার সুমন

    ডেক্স সংবাদঃ
    দেশের কিছু কিছু জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোগল সম্রাটের মতো আচরণ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রোববার (১৫ মার্চ) সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

    ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, সরকারের কাছ থেকে বেতন নিয়ে তারা সরকারকে বিপদে ফেলার জন্যই ষড়যন্ত্র করছেন। এ সময় তিনি নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় জড়িত থাকার ঘটনায় জামালপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং বর্তমানে সাংবাদিককে মধ্যরাতে সাজা দেওয়ার ঘটনায় কুড়িগ্রামের ডিসির কাজ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

    তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু কিছু আমলা দেশকে এগিয়ে নেওয়ার প্রধানমন্ত্রীর সেই কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত করছেন। দেশের কিছু কিছু ডিসির আচরণ দেখে মনে হয়ে তারা মোগল সম্রাটের মতো আচরণ করছেন।

    এর আগে মধ্যরাতে বাড়িতে হানা দিয়ে ধরে নিয়ে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামকে মারধর, ভ্রাম্যমাণ আদালতের (মোবাইল কোর্ট) কারাদণ্ড প্রদানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে হাইকোর্টে। তিনি এ রিটের পক্ষে আদালতে শুনানি করবেন।

    রোববার (১৫ মার্চ) বাংলা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক হারুন উর রশীদের পক্ষে আইনজীবী ইশরাত হাসান জনস্বার্থে রিটটি দায়ের করেন। ইশরাত হাসান বলেন, হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি সরদার মো. রশিদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানি হতে পারে। তাদের সঙ্গে সাংবাদিকের পক্ষে লড়বেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

    এছাড়া রিটে ফৌজদারি কার্যবিধি, ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এর সংবিধানের ৩১, ৩২, ৩৫ এবং ৩৬ অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘনের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।

  • অবশেষে ডিসি সুলতানা পারভীন প্রত্যাহার,বিভাগীয় ব্যবস্থা নিবে জনপ্রশাসন মন্ত্রানালয়

    অবশেষে ডিসি সুলতানা পারভীন প্রত্যাহার,বিভাগীয় ব্যবস্থা নিবে জনপ্রশাসন মন্ত্রানালয়

    অবশেষে ডিসি সুলতানা পারভীন প্রত্যাহার,বিভাগীয় ব্যবস্থা নিবে জনপ্রশাসন মন্ত্রানালয়

    সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের বাড়িতে মধ্যরাতে হানা এবং তাকে তুলে নেওয়ার ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুলতানা পারভীনের সম্পৃক্ততা ও আচরণের অসঙ্গতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এজন্য তাকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অবিলম্বে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

    রবিবার (১৫ মার্চ) সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।

    তিনি বলেন, ‘শুধু ডিসি নয়, এই ঘটনার সঙ্গে অন্য যেসব কর্মকর্তা জড়িত ছিল, নিজ নিজ ভূমিকা বিবেচনায় নিয়ে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনমনে শনিবার থেকে যত প্রশ্ন উঠেছে, সব প্রশ্নের সত্যতা তদন্তে পাওয়া গেছে।’

    প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘এক-দুজন কর্মকর্তার দায় সরকার বা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নেবে না।’

    বিভাগীয় কমিশনারের খসড়া প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘স্বাক্ষরযুক্ত প্রতিবেদন কিছুক্ষণের মধ্যে পেয়ে যাবো। খসড়াতে যা দেখেছি সেটাই চূড়ান্ত প্রতিবেদন হবে। যেহেতু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর, তাই আদেশে তার স্বাক্ষর লাগবে। ফলে দোষীদের বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেটি এখনই বলা ঠিক হবে না।’

    কী ধরনের অসঙ্গতি পাওয়া গেছে প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আইন না মেনে মধ্যরাতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, প্রশাসন সম্পর্কে জনগণকে ভীতির জায়গায় নিয়ে যাওয়া। অহেতুক ঝামেলা সৃষ্টি করায় জনমনে বিরূপ ধারণা জন্ম দিয়েছে।’

    আরিফের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি ইতোমধ্যে জামিনে মুক্ত হয়েছেন। যেহেতু প্রতিবেদনে সব উল্লেখ আছে এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি, সেহেতু একসময় তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হবেন।

    প্রসঙ্গত, জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন একটি পুকুর সংস্কার করে নিজের নামে নামকরণ করতে চেয়েছিলেন। আরিফ এ বিষয়ে নিউজ করার পর থেকেই তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন ডিসি। এছাড়া, সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়োগ নিয়ে ডিসি সুলতানা পারভীনের অনিয়ম নিয়েও প্রতিবেদন তৈরি করেন আরিফুল। এসময় একাধিকবার তাকে ডিসি অফিসে ডেকে নিয়ে হুমকি দিয়ে আসছিল।

  • সাভার পৌর এলাকায় করোনা ভাইরাস মুক্তঃ সাগর সাহা

    সাভার পৌর এলাকায় করোনা ভাইরাস মুক্তঃ সাগর সাহা

    সাভার পৌর এলাকায় করোনা ভাইরাস মুক্তঃ সাগর সাহা

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
    সাভার পৌর এলাকায় এখনো করোনা ভাইরাস মুক্ত রয়েছে। সাভারে করোনার কোন প্রভাব নেই সাংবাদিকের সাথে আলাপকালে বললেন সাভার পৌর আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক সাগর সাহা। করোনা ও ডেঙ্গু থেকে মুক্তির উপায় একমাত্র পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা থাকা। যে কোন সাবান দিয়ে হাত পা মুখ পরিস্কার রাখা। ঠান্ডা হাঁচি কাশি বেশী হলে নিকটস্থ হাসপাতালে চিকিৎসকের নিকট পরামর্শ নিতে হবে।
    একমাত্র আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। তাহলে করোনা ও ডেঙ্গু থেকে মুক্ত হতে পারবো।

  • সাংবাদিক আরিফুলকে জামিন দিয়েছেন আদালত

    সাংবাদিক আরিফুলকে জামিন দিয়েছেন আদালত

    সাংবাদিক আরিফুলকে জামিন দিয়েছেন আদালত

    রোববার সকালে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে মধ্যরাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড দেওয়া সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগ্যানকে জামিন দিয়েছেন।

    আরিফুল ইসলামের আইনজীবী অ্যাড. শাখাওয়াত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২৫ হাজার টাকা জামানত রেখে আরিফকে জামিন দেয়া হয়েছে। তবে মামলাটির আপিল চলমান।

    অপরদিকে আরিফের বড় বোন রিমা আক্তার জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে জামিনের বিষয়টি তারা মেনে নিতে পারছেন না। তারা আরিফের জামিন আবেদন করেননি। তারা আরিফের জামিন চান না, নিঃস্বার্থ মুক্তি চান।

    উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১৩ মার্চ) মধ্যরাতে বাড়িতে হানা দিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামকে। তার বাসায় আধা বোতল মদ ও দেড়শ’ গ্রাম গাঁজা পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ আনা হয়। এরপর গভীর রাতে জেলাপ্রশাসকের অফিসে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

    তবে আরিফুল ইসলামের স্ত্রী মোস্তারিমা সরদার বলেন, ‘মধ্যরাতে বাড়ির দরজা ভেঙে ঢুকে আরিফকে পিটিয়ে জোর করে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে বাসায় তারা কোনও তল্লাশি অভিযান চালাননি। পরে ডিসি অফিসে নেওয়ার পর তারা দাবি করেন, আরিফুলের বাসায় আধা বোতল মদ ও দেড়শ’ গ্রাম গাঁজা পাওয়া গেছে।

    মোস্তারিমা সরদার বলেন, জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে অনিয়মের সংবাদ পরিবেশন ও ফেসবুকে লেখার কারনে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।

  • সবার আগে করোনা ভাইরাসে সংবাদকর্মীর নিজের নিরাপত্তা

    সবার আগে করোনা ভাইরাসে সংবাদকর্মীর নিজের নিরাপত্তা

    একজন সাধারণ নাগরিকের জন্য নিজেকে রক্ষার যত রকমের উপায় আছে, তার সবই একজন সাংবাদিকের জন্যেও প্রযোজ্য। পার্থক্য হলো, একজন নাগরিক তার চলাফেরা ঘরে বা নিরাপদ স্থানে সীমাবদ্ধ রাখতে পারেন। কিন্তু একজন সাংবাদিককে পেশার প্রয়োজনেই ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় যেতে হয়। করোনাভাইরাসের খবরও সংগ্রহ করতে হবে, কিন্তু মাথায় রাখবেন, তা নিজের নিরাপত্তাকে বাদ দিয়ে নয়। সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) করোনাভাইরাস কাভারেজের একটি অ্যাডভাইজরি প্রকাশ করেছে। খবর সংগ্রহের আগে, খবর সংগ্রহের সময় এবং পরে, কি ধরণের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, তা সেখানে বিশদভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

    সিপিজের অ্যাডভাইজরি থেকে জেনে নিন আক্রান্ত এলাকায় গেলে কি করবেন:

    সর্দি, কাশি বা শ্বাসযন্ত্রের রোগে ভুগছেন, এমন মানুষের কাছাকাছি যাবেন না। নিজে হাঁচি–কাশি দেবার সময় হাত দিয়ে নাক ও মুখ ঢেকে রাখবেন।
    গরম পানি ও সাবান দিয়ে নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস করুন। সাবান বা গরম পানি না পেলে ব্যাকটিরিয়া প্রতিরোধী জেল বা ওয়াইপস ব্যবহার করুন। কিন্তু তারপর যত দ্রুত সম্ভব গরম পানি ও সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।
    হাসপাতাল বা আক্রান্ত স্থানে খবর সংগ্রহ করতে গেলে হাতে দস্তানা পড়ে নিন। মাথায় রাখুন, এসব জায়গায় বডিস্যুট ও ফেসমাস্কের মত পার্সোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) দরকার হতে পারে।
    আক্রান্ত এলাকার কাঁচা–বাজার বা খামারে যাবেন না। জীবিত হোক বা মৃত – পশু–পাখির কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। সেই প্রাণির সংস্পর্শে এসেছে এমন দেয়াল বা কোনো কিছুতে হাত দেবেন না।
    যদি আক্রান্ত বাজার বা খামারে যেতেই হয়, তাহলে আপনার কোনো যন্ত্রপাতি বা সরঞ্জামই মাটিতে রাখবেন না। ফিরে এসে ব্যাকটিরিয়া প্রতিরোধী জেল (মেলিসেপ্টল) বা ওয়াইপস দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।
    আক্রান্ত এলাকার বাজারে যেতে হলে, ডিসপোজেবল অথবা পানি–নিরোধী জুতো পড়ে যান। ঘটনাস্থল থেকে বেরুনোর পরপরই তা ধুয়ে–মুছে নিন এবং কাজ শেষ হলে তা ফেলে দিন।
    আক্রান্ত এলাকায় বা সেখানে কোনো পশুপাখির পাশে দাঁড়িয়ে কিছু খাবেন না, অথবা পান করবেন না।
    আপনার নিজেরই শ্বাসকষ্টসহ রোগের উপসর্গ দেখা দিলে কী করবেন, তা আগেই ভেবে রাখুন। আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য সরকারের স্বাস্থ্যবিভাগের নীতিমালা (অনেকখানেই যেমন সেল্ফ কোয়ারেন্টাইনের কথা বলা হয়) মেনে চলুন।
    আক্রান্ত এলাকা থেকে ফেরার ১৪ দিনের মধ্যে কোনো উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন এবং আপনার অফিসকে জানান।