নানা বিতর্ক ও সমালোচনা আর অভিযোগের মুখে অবসান হলো বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে। ৪ মাস পর ‘ভারপ্রাপ্ত’ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ‘ভারমুক্ত’ হলেন।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এমন ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সভাপতি শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সর্বোচ্চ পদ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ভারপ্রাপ্ত। এ বিষয়টি ছাত্রলীগের জন্য কেমন কেমন জানি লাগে।
এই দুই পদকে তিনি ভারমুক্ত করার জন্য ছাত্রলীগের অভিভাবক শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ জানান তিনি। ওবায়দুল কাদেরের অনুরোধের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা তাদের ভারপ্রাপ্ত পদকে ভারমুক্ত ঘোষনা দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অনুরোধ করেছেন ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদকে ভারমুক্ত করতে। সেই অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে আজকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ভারপ্রাপ্ত থেকে ভারমুক্ত ঘোষণা করলাম। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এখন ভারমুক্ত হলো।
গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে নানা বিষয় বিতর্কের কারণে তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়।
তখন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। সেই থেকে ছাত্রলীগের শীর্ষপদটি ভারপ্রাপ্ত অবস্থায়ছিল।
Leave a Reply