Author: sattersangbad24

  • সাভার পৌর এলাকার ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতার মৃত্যু

    সাভার পৌর এলাকার ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতার মৃত্যু

    সাভার পৌর এলাকার ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতার মৃত্যু

    সাভার পৌর এলাকা ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতার মৃত্যু। তিনি বুধবার রাত ১১ টা ৪৫ মিনিটে পরিবার ও আত্মীয়স্বজনকে কাঁদিয়ে  না ফেরার দেশে চলে গেলেন। মৃত্যকালে মুরহুম  সরোয়ার ভান্ডারী বয়স হয়েছিলো ৬৫।

    সাভার পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড সবুজবাগ এলাকার বাসিন্দা সরোয়ার ভান্ডারী দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ থাকার পর মারা যান। বৃহস্পতিবা বাদ জহুর কামাল গার্মেন্টস এর সামনে তার নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। -বিজ্ঞপ্তি সংবাদ।

  • বীর মুক্তিযোদ্ধা সরফুদ্দীনের দ্বিতীয় মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা করলো বাংলার চোখ

    বীর মুক্তিযোদ্ধা সরফুদ্দীনের দ্বিতীয় মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা করলো বাংলার চোখ

    বীর মুক্তিযোদ্ধা সরফুদ্দীনের দ্বিতীয় মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা করলো বাংলার চোখ

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
    বুধবার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাংলার চোখ এর আয়োজনে রংপুর সুমি কমিনিউটি সেন্টারে বীর মুক্তিযোদ্ধা সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টুর দ্বিতীয় মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।
    তরুণ নেতা বাংলার চোখ এর প্রতিষ্ঠা ও চেয়ারম্যান আলহাজ্ব তানবীর হোসেন আশরাফীর সভাপতিত্বে স্মৃতি চারণ ও বক্তব্য রাখেন, প্রবীন রাজনীতিবিদ, সভাপতি জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি রংপুর জেলা ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান মোঃ আফজাল, রংপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুর রশিদ বাবু, প্রবীন রাজনীতিবিদ ও কমিনিষ্ট পার্টির চেয়ারম্যান মোঃ শাহাদৎ হোসেন, ওয়ার্কাস পার্টির চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হককানী, অধ্যক্ষ ফখরুল আনাম বেঞ্জু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংগঠক আকবর হোসেন, জাতীয় পার্টির নেতা ও সাবেক মিঠাপুকুর উপজেলার চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খাঁন সিদ্দিকী, সাবেক কালমাইকেল কলেজের ভিপি আলাউদ্দিন মিয়া, সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুস সাহেদ মিন্টু, সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি আলতাব হোসেন, রাজনীতিবিদ দেলোওয়ার হোসেন তালুকদার, বাবুখাঁ নজরুল সঙ্গ পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক রশিদুস সুলতান বাবলু, মাহিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শ্রী বাবলু নাগ, সাংবাদিক শাহ্ আলম, ২৪নং ওয়ার্ড এর আওয়ামী লীগ সভাপতি রফিকুল আলম ও মোটরসাইকেল পার্টস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি পাবেল চন্দ্র রায়, স্মরণ সভার শুরুতেই এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানটি বাস্তবায়ন করতে সার্বিক সহযোগিতা করেন মোঃ দুলাল মিয়া, এস এম শুভ, সিরাজুল ইসলাম ইরান ও ফারুক। বক্তারা বলেন সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টুর মত ঘরে ঘরে নেতা হয়ে উঠুক। তিনি ছিলেন নির্বাচিত শ্রমিক নেতা, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর চেয়ারম্যান, সংসদ সদস্য ও রংপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র। তার রুহের মাগফিরাতের জন্য দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন বাইতুস সাজেদার জামে মসজিদ এর খতিব মুফতি মাহমুদুল্লাহ খান আরাবী।

  • চীনে করোনাভাইরাসে আর্থিক আঘাত

    চীনে করোনাভাইরাসে আর্থিক আঘাত

    চীনে করোনাভাইরাসে আর্থিক আঘাত

    আন্তর্জাতিক ডেক্স সংবাদঃ
    করোনাভাইরাসের আর্থিক আঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে চীনের হুবেই প্রদেশ। পুরো প্রদেশের প্রায় ৬ কোটি মানুষ এখন অবরুদ্ধ অবস্থায় আছে। খাদ্যবাহী ট্রাক ও চিকিৎসাসামগ্রী ছাড়া আর কিছুই এখন ওই এলাকায় ঢুকতে পারছে না। অঞ্চলটির বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে চালু আছে কেবল হাসপাতাল সেবা ও ভিডিওস্ট্রিমিং। বাকি সব আর্থিক কর্মকাণ্ড পুরোপুরি স্থবির হয়ে পড়েছে। অথচ চীনের জিডিপির সাড়ে ৪ শতাংশ আসে হুবেই থেকে। ফলে হুবেই স্থবির থাকার অর্থ হলো চীনের সার্বিক প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া।
    ২০১৯-এনসিওভি। এই নামেই পুরো বিশ্বে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে নতুন করোনাভাইরাস। এই রোগের শুরু চীনে, এখন ছড়িয়ে গেছে বেশ কয়েকটি দেশে। মৃত্যুর সঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যাও। শুধু মানুষের জীবন নয়, এখন চীনের অর্থনীতির জন্যও হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে করোনাভাইরাস। আর চীন যখন হুমকিতে, তখন বৈশ্বিক অর্থনীতিও নিরাপদে থাকতে পারছে না।

    চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানকে এই করোনাভাইরাসের আঁতুড়ঘর হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে। গত ডিসেম্বরে প্রথম এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে তিন শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়েছে। চীনের বাইরে ২৫টির বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। এর মধ্যে চীনের বাইরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়েছে ফিলিপাইনে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ২০০৩ সালের সার্স ভাইরাসের চেয়েও মারাত্মক হতে পারে করোনাভাইরাস। এরই মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যায় সার্সকে ছাড়িয়ে গেছে এটি।

    চীনের উহান এখন কার্যত একটি অবরুদ্ধ এলাকায় পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন দেশ উড়োজাহাজ পাঠিয়ে উহানে থাকা নিজেদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। করোনাভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে উহান শহর ও হুবেই প্রদেশে নেওয়া হয়েছে কঠোর প্রতিরোধব্যবস্থা। সাধারণত কোনো মহামারি রোগের সংক্রমণ ঠেকাতে শুরুতেই এ কাজ করা হয়। তবে নিন্দুকেরা বলছেন, চীন এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেরি করে ফেলেছে। আর এ কারণেই দেশে দেশে করোনাভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া ঠেকানো যায়নি। ডিসেম্বর থেকে প্রাদুর্ভাব দেখা দিলেও চীনের সরকার এ বিষয়ে কিছুটা রাখঢাক করতে চেয়েছিল। এই ভাইরাস–সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য (যেমন: জিনোম সিকোয়েন্স) বিশ্বকে জানাতেও দেরি করেছে সি চিন পিংয়ের সরকার। এই সময়ের মধ্যে উহান বা হুবেই থেকে আক্রান্ত মানুষেরা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি উহানকে কোয়ারেন্টাইন করার ঘোষণা দেওয়ার পর তা কার্যকর করা নিয়েও বিলম্বের অভিযোগ উঠেছে। বলা হচ্ছে, উহানকে কোয়ারেন্টাইন করার ঘোষণার প্রায় ৮ ঘণ্টা পর তা কার্যকর করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, এর মধ্যে প্রায় ১০ লাখ মানুষ উহান ছেড়ে যায়, যাদের অনেকেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিল।

    করোনাভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। যদিও প্রতিষেধক তৈরির চেষ্টা শুরু হয়ে গেছে, তবে বিশেষজ্ঞদের অনুমান, তৈরি করা গেলেও সময় লাগবে প্রায় ৬ থেকে ১২ মাস। স্বাভাবিকভাবেই এই সময়টায় উহান, হুবেই তথা পুরো চীন পৃথিবীর জন্য ভয়ের কারণ হিসেবে রয়ে যাবে। আর এই ভীতি একদিকে যেমন চীনের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, তেমনি অন্যদিকে শ্লথ করে দেবে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির চাকা।

    বিশ্লেষকেরা বলছেন, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে চীনের প্রবৃদ্ধি ২ শতাংশ কমে যেতে পারে। অথচ করোনাভাইরাসের আবির্ভাবের আগে এই প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ শতাংশ।

    ওদিকে উহান এলাকাটি ‘ম্যানুফ্যাকচারিং হাব’ হিসেবে পরিচিত। এই অঞ্চলে গড়ে উঠেছে অটোমোবাইল বা গাড়ি নির্মাণশিল্প। নিসান, হোন্ডা ও জেনারেল মোটরসের কারখানা আছে উহানে। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় এসব কারখানা বর্তমানে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনের অংশ হিসেবে উহানে গড়ে ওঠা শিল্পকারখানা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ফলে এর প্রভাব পড়বে পুরো বিশ্বের অর্থনীতিতে।

    করোনাভাইরাস এমন সময়ে ছড়িয়ে পড়েছে, যখন চীনে চলে এসেছে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার সময়। নতুন রোগের কারণে এই উৎসব ঘিরে বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গত বছর এই সময়টায় চীনের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ইউয়ান। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এবার তাতে ধস নামতে পারে। আবার নতুন বছরের এই ছুটির সময়টাতেই চীনের সিনেমাশিল্প সবচেয়ে বেশি আয় করে থাকে। পুরো বছরের মোট আয়ের ৯ শতাংশ গত বছরের এই সময়টায় আয় করেছিল চীনের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি। কিন্তু এবার একই সময়ে চীনের প্রায় ১১ হাজার সিনেমা হল করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ করে দিতে হয়েছে। কমে গেছে অভ্যন্তরীণ ভ্রমণের পরিমাণও। করোনাভাইরাসের কারণে চীনের অনেক নাগরিকই দেশের ভেতরে ঘোরাঘুরি বাতিল করে দিচ্ছে।

    শুধু হুবেই নয়, সাংহাই ও গুয়াংডং-এর মতো অন্যান্য প্রদেশেও করোনাভাইরাসের আতঙ্ক ভর করেছে। নতুন বছর উপলক্ষে ছুটির মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন কোম্পানিকে কারখানা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল মার্কেট ইন্টেলিজেন্স বলছে, এভাবে দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানে কারখানা বন্ধ থাকায় চীনের প্রবৃদ্ধির হার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

    এদিকে স্টারবাকস পুরো চীনে ছড়িয়ে থাকা তাদের ৪ হাজার ২৯২টি ক্যাফের প্রায় অর্ধেক বন্ধ করে দিয়েছে। সাংহাইতে নিজেদের রিসোর্ট বন্ধ করে দিয়েছে ডিজনি। নতুন বছরের সপ্তাহব্যাপী ছুটির পর চীনের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের চাকায় গতি আসতে এমনিতেই বেশ সময় লাগে। এবার তা আরও কঠিন হয়ে যাবে। টেকজায়ান্ট টেনসেন্টের মতো কিছু কোম্পানি তাই এখন কর্মীদের ঘরে বসে কাজ করার নির্দেশ দিচ্ছে!

    বৈশ্বিক অর্থনীতির কী হবে?

    ২০০৩ সালে পৃথিবীতে আতঙ্ক তৈরি করেছিল সার্স। চীন থেকে উদ্ভূত হয়েছিল সার্স। ওই রোগে ৮ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছিল, মারা গিয়েছিল ৭৭৪ জন। সেই সময়ে বৈশ্বিক জিডিপির ৪ শতাংশ আসত চীন থেকে। আর গত বছর বৈশ্বিক জিডিপিতে চীনের অবদান ছিল ১৬ শতাংশ। সুতরাং সার্সের তুলনায় বিশ্ব অর্থনীতিতে করোনাভাইরাসের প্রভাব হবে আরও বিধ্বংসী।

    যেহেতু চীনের প্রবৃদ্ধির হার কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, সেহেতু স্বাভাবিকভাবেই বৈশ্বিক জিডিপিতেও এর প্রভাব পড়বে। কারণ, বিশ্বের মোট উৎপাদনের এক-পঞ্চমাংশ আসে চীন থেকে। করোনাভাইরাসের কারণে চীনে যাওয়া পর্যটকের পরিমাণ মারাত্মক কমে যাওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। অথচ চীন বর্তমানে বিশ্বে পর্যটনের অন্যতম বৃহৎ স্থান। একই সঙ্গে বিপদে পড়বে বিভিন্ন এয়ারলাইন কোম্পানিও। কারণ, তাদের দেখা দিতে পারে যাত্রীর আকাল।

    ওদিকে চীনের কারখানাগুলো বন্ধ থাকার অর্থ হচ্ছে বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইন এলোমেলো হয়ে যাওয়া। বর্তমানে বৈশ্বিক ওষুধশিল্পে ব্যবহৃত প্রায় ৮০ শতাংশ উপাদান যায় চীন থেকে। পৃথিবীতে তৈরি প্লাস্টিকের তৈরি ফুলের ৯০ শতাংশ সরবরাহ করে সি চিন পিংয়ের দেশ। আবার ফক্সকনের মতে, চীনা কোম্পানিই তৈরি করে অ্যাপলের বিখ্যাত আইফোন। ফলে সব ক্ষেত্রেই টানাপোড়েন তৈরির শঙ্কা তৈরি হতে পারে। এরই মধ্যে করোনাভাইরাসের কারণে ফক্সকনের শেয়ারের দাম কমে গেছে ১০ শতাংশ হারে। আর নতুন রোগ ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে হংকং স্টক এক্সচেঞ্জে দরপতন হয়েছে প্রায় ১০ শতাংশ।

    বিশ্লেষকেরা বলছেন, একটি রোগ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি খরচ হয় চিকিৎসা খাতে। সুতরাং এই খাতেও চীনসহ বিভিন্ন দেশের ব্যয়ের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে।

    চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধের পর থেকেই অনেক পশ্চিমা কোম্পানি চীনের বিকল্প খুঁজতে শুরু করেছিল। কিন্তু সেই কাজে খুব একটা সফলতা আসেনি। করোনাভাইরাসের কারণে এবার বড় বড় বিনিয়োগকারীরা আবার সেই চিন্তা করতে বাধ্য হচ্ছেন।

    বিশ্লেষকেরা বলছেন, করোনাভাইরাসের কারণে চীন ও বিশ্বের অর্থনীতি যে ধাক্কা খাবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে সার্স মহামারির অভিজ্ঞতা আমলে নিলে বলতে হয়, এ ধরনের সংকট কাটিয়ে ওঠার পর পরই চীনা অর্থনীতিতে বড় ধরনের উল্লম্ফন দেখা যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না।

  • ভারতে ২০ কোটি মুসলমানের জন্য শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষার’ ডাক দিয়েছেনঃ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

    ভারতে ২০ কোটি মুসলমানের জন্য শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষার’ ডাক দিয়েছেনঃ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

    ভারতে ২০ কোটি মুসলমানের জন্য শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষার’ ডাক দিয়েছেনঃ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

    আন্তর্জাতিক সংবাদ ডেক্সঃ
    ভারতের ২০ কোটি মুসলমান লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে । এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে দিল্লিতে টানা তিনদিন ধরে সংঘর্ষ চলার পর গতকাল বুধবার মুখ খুলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক টুইটে তিনি সবাইকে ‘শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষার’ ডাক দিয়েছেন।

    এর কিছুক্ষণ পরই এক টুইটে ইমরান বলেন, ‘ভারত-অধিকৃত কাশ্মিরের ঘটনার পরেই আমি গত বছর জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বলেছিলাম, বোতল থেকে দৈত্যটা বেরিয়ে পড়ল। এ বার রক্তপাত আরো বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিলাম। যার সূত্রপাত হয়েছিল কাশ্মিরে। ভারতে থাকা ২০ কোটি মুসলিম এখন লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছেন। এটা রুখতে গোটা বিশ্বকে এবার এগিয়ে আসতে হবে।’

    ট্রাম্পের ভারত সফরের মধ্যেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে দিল্লি। তিন দিনের সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ২৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক। দুটি মসজিদে আগুন দেওয়া হয়েছে। মসজিদের মিনারে হনুমানের পতাকা লাগানো হয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে মুসলিমদের কয়েকশ দোকান ও বাড়িঘর।

    অভিযোগ উঠেছে, বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রের উসকানিমূলক বক্তব্যের পরই দিল্লিতে সহিংসতা শুরু হয়। সেই সঙ্গে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সুপ্রিম কোর্টও বলেছে, পুলিশের নাকের ডগায় সব হয়েছে। পুলিশ হামলাকারীদের পালিয়ে যেতে দিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, সংঘর্ষের সময় পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করেছে। সাংবাদিকরা আক্রান্ত হলেও পুলিশ তাদের সাহায্য করেনি।

    সংঘর্ষ এড়াতে কোনো ধরনের পদক্ষেপ না নেওয়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। পাশাপাশি দিল্লির সংঘর্ষের জন্য বিজেপিকেই দায়ী করেছেন তিনি। এছাড়া দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

  • করোনাভাইরাসের আশঙ্কায় ওমরাহ পালনে সাময়িকভাবে স্থগিত

    করোনাভাইরাসের আশঙ্কায় ওমরাহ পালনে সাময়িকভাবে স্থগিত

    করোনাভাইরাসের আশঙ্কায় ওমরাহ পালনে সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে সৌদি আরব

    আন্তর্জাতিক সংবাদ ডেক্সঃ
    করোনাভাইরাসের বিস্তারের আশঙ্কায় ওমরাহ যাত্রী ও মসজিদে নববি সফর করতে আগ্রহীদের জন্য সৌদি আরবে প্রবেশ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানা গেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, সৌদি আরবে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় যারা ওমরাহ করতে চাচ্ছেন বা মদিনায় মসজিদে নববিতে যেতে চাচ্ছেন তাদের প্রবেশাধিকার স্থগিত করা হয়েছে।

    যেসব দেশে করোনাভাইরাস বিপদ হিসেবে দেখা দিয়েছে, ওইসব দেশের পর্যটকদের জন্য ভিসা স্থগিত করেছে দেশটি। এছাড়া জাতীয় আইডি কার্ড ব্যবহার করে সৌদি আরব থেকে গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) দেশগুলোতে যাতায়াতও স্থগিত করা হয়েছে। প্রতি বছর ওমরাহ করতে সৌদি আরবে যান প্রায় ৭০ লাখ লোক। তাদের বেশির ভাগই অবতরণ করেন জেদ্দা ও মদিনায়। চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম ধরা পড়ে করোনাভাইরাস। এখন পর্যন্ত এটি বিশ্বের অন্তত ৪৩টির বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশে ইতোমধ্যেই করোনার উপস্থিতি দেখা গেছে। বিভিন্ন দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছেই। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৮০ হাজার ৯৬৭ জন এবং মারা গেছে দুই হাজার ৭৬৩ জন।

  • দেশ জুড়ে মদ নিষিদ্ধ হতে চলেছে!

    দেশ জুড়ে মদ নিষিদ্ধ হতে চলেছে!

    দেশ জুড়ে মদ নিষিদ্ধ হতে চলেছে!

    ডেক্সসংবাদঃ

    মৃত্যু হোক বা জন্মদিন পার্টি হোক বা কোনো বড়সড় উৎসব, পিকনিক বা উইকেন্ডে বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে গেট টুগেদার বা কখনো সখনো একাই একটু আধটু মদে গলা ভেজাতে পছন্দ করেন প্রায় সকলেই। কিন্তু এবার সেই দিন বোধহয় খুব বেশি স্থায়ী হবেনা। কেননা সারা দেশে জুড়ে মদ নিষিদ্ধ হতে চলেছে। আর সেই কারণেই উদ্বেগ দেখা দিয়েছে মাতাল মহলে।

    বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার এতদিন শুধুমাত্র বিহারেই মদ বন্ধের জন্য ডাক দিচ্ছিলেন তবে সম্প্রতি তিনি সারা দেশ জুড়ে মদ ব্যান করার হয়ে সওয়াল করেছেন। এর আগে ২০১৬ সাল থেকেই তিনি বিহারে মদ ব্যান করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তবে কিছুদিন বন্ধের পর আবার খোলা বাজারে বিক্রি হয়েছে মদ। তারপর মিজোরাম, কেরলেও মদ ব্যান হলে তা হয়েছে সাময়িক সময়ের জন্য।

    পুরোপুরি মদ ব্যান করা সম্ভব হয়নি কোনো মতেই। এবার নীতিশ কুমার সারা দেশ জুড়ে মদ ব্যান করার ডাক দিলেন। দেখা যাক এর ফল কী হয়। এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাতাল বলেছেন, যখন আমরা মদের জন্য সরকারকে ট্যাক্স দিচ্ছি তখন কেন সরকার আমাদের মদ খাওয়াতে বাধা দিচ্ছে । সরকার তো মোটা অংকের অর্থ মদের উপর থেকে সংগ্রহ করছে । এছাড়াও তিনি সরকারের কাছে দেশী ও বিদেশী মদের দাম যেন কমিয়ে দেওয়া হয় তার আবেদন জানিয়েছেন ।

  • সাভারের হেমায়েতপুরে ওয়াসিল উদ্দিন পাঠাগারের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু জন্ম শতবার্ষিকীর সপ্তাহব্যাপী বইমেলা শেষ

    সাভারের হেমায়েতপুরে ওয়াসিল উদ্দিন পাঠাগারের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু জন্ম শতবার্ষিকীর সপ্তাহব্যাপী বইমেলা শেষ

    সাভারের হেমায়েতপুরে ওয়াসিল উদ্দিন পাঠাগারের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু জন্ম শতবার্ষিকীর সপ্তাহব্যাপী বইমেলা শেষ

    ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
    শিক্ষার্থীদের হাতে শিক্ষা উপকরন তুলে দেয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে সাভারের হেমায়েতপুরে ওয়াসিল উদ্দিন পাঠাগারের আয়োজনে সপ্তাহব্যাপী বইমেলা। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে সাভারে বই মেলার আয়োজন করা হয়।

    বুধবার ( ২৬ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় সাভারের হেমায়েতপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাঁ মাঠে বইমেলার সমাপ্ত ঘোষনা করেন তেতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়্যারম্যান মোহাম্মদ ফখরুল আলম সমরের মা বেগম সামসুন্নাহার।

    ওয়াসিল উদ্দিন গণপাঠাগারের আয়োজনে গত ২০ ফেব্রুয়ারী থেকে সপ্তাহব্যাপী আয়োজনে এই বই মেলা শুরু হয়। সমামাপনি অনুষ্ঠানে তেতুলঝোড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।

    এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব, ওয়াসিল উদ্দিন গণপাঠাগারের উপদেষ্টা মো: নাসিম, ওয়াসিল উদ্দিন গণপাঠাগারের উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম, কৃষিবিধ রফিকুল ইসলাম ঠান্ডু মোল্লা, সাভার পৌরসভার প্যানেল মেয়র মানিক মোল্লা, সাভার কলেজের উপাধ্যক্ষ দিল আফরোজ শামিমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
    বই মেলার পাশাপাশি সেখানে বঙ্গবন্ধুর দুর্লব ছবি প্রর্দশনী ও নাগর দোলার আয়োজন করা হয়। সপ্তাহব্যাপী এ মেলার শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা ও চিত্রাংকন কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও কবিতা আবৃতি, পুতুল নাচ, গানের আসর, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, বয়স্কদের সাক্ষরতা কর্মসূচি, জাগরণী থিয়েটারের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বই মেলার ২৫ টি স্টলে বিভিন্ন প্রকাশনির বই পাওয়া গেছে।

    উল্লেখ্য, সপ্তাহ ব্যাপী এই বই মেলা ২০ ফেব্রয়ারী বিকেলে উদ্ধাধন করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা.এনামুর রহমান, প্রধান আলাচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাভার উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মন্জুরুল আলম রাজীব।এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজুর রহমান, তেতুলঝোঁড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফকরুল আলম সমরসহ সাভার উপজেলার ১২ টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণ, ও কবি সাহিত্যিকরাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

  • নয়াদিল্লিতে সাংবাদিক মুসলমান কিনা তা নিশ্চিত করতে প্যান্ট খুলে যাচাই

    নয়াদিল্লিতে সাংবাদিক মুসলমান কিনা তা নিশ্চিত করতে প্যান্ট খুলে যাচাই

    নয়াদিল্লিতে সাংবাদিক মুসলমান কিনা তা নিশ্চিত করতে প্যান্ট খুলে যাচাই

     

    আন্তর্জাতিকসংবাদ ডেক্সঃ

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম বারের মতো ভারত সফরের মধ্যেই নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে-বিপক্ষে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছে রাজধানী নয়াদিল্লি।

    সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩ জনে দাঁড়িয়েছে। খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে ভুক্তোভোগী হয়েছেন দেশটির সনামধন্য সংবাদমাধ্যমগুলোর সাংবাদিকরাও।

    সংঘর্ষ চলাকালে সাংবাদিকদের বেধড়ক মারধর করা হয়েছে, মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়েছে। এমনকি সাংবাদিক মুসলমান কিনা তা নিশ্চিত করতে প্যান্ট খুলে যাচাই করার মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে।

    মঙ্গলবার দেশটির প্রসিদ্ধ সংবাদমাধ্যম দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমস এসব তথ্য নিশ্চিত করে একটি অনলাইন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

    সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লিতে সিএএ-বিরোধী আন্দোলন কেন্দ্র করে ক্ষোভের নিশানায় পড়েছে সংবাদমাধ্যম। মঙ্গলবার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে এক সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বেধড়ক মারধর করা হয়েছে আরও দুই সংবাদকর্মীকে। এর আগের দিন বিক্ষোভে উত্তপ্ত এলাকায় খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছেন এক বাঙালি সাংবাদিক। তাকে প্যান্ট খুলে নিশ্চিত করতে হয়েছে তিনি মুসলমান নন।

    মঙ্গলবার টাইমস অফ ইন্ডিয়ার চিত্র সাংবাদিক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় এমন সাম্প্রদায়িক ত্রাসের শিকার হন বলে জানিয়েছে গণমাধ্যমটি।

    বিড়ম্বনাময় অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে গিয়ে ভুক্তোভোগী সাংবাদিক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় জানান, উত্তেজনাপূর্ণ জাফরাবাদ অঞ্চলে সংবাদ সংগ্রহ ও ছবি তুলতে গিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন তিনি ও তার সহকর্মী সাংবাদিক।

    সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মৌজপুর মেট্রো রেল স্টেশন এলাকায় একটি হিন্দু সংগঠনের কয়েকজন সদস্যের হাতে এ হেনন্তার শিকার হন তিনি।

    তিনি জানান, সেদিন তার কপালে তিলক এঁকে দিতে তত্পর হলে তিনি আপত্তি করলে ক্ষিপ্ত হয়ে যান ওই সংগঠনটির সদস্যরা। হিন্দু হলে তিলক আঁকতে আপত্তি কিসের প্রশ্ন করা হয় তাকে।

    এর ১৫ মিনিট পরেই এলাকায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে পাথর ছোড়াছুড়ি শুরু হয় এবং ‘মোদি’ ‘মোদি’ স্লোগানের মাঝে কালো ধোঁয়ায় আকাশ ঢেকে যায়।

    এ সময় স্থানীয় একটি বাড়িতে আগুন লাগলে অগ্নিকাণ্ডের ছবি তুলতে গিয়ে আবারও বাধাপ্রাপ্ত হন এবং সেই একইধরনের প্রশ্নের সম্মূখীন হন। তারা সাংবাদিক অনিন্দ্য বলেন, ‘আপনিও তো হিন্দু। তা হলে ওখানে কেন যাচ্ছেন? আজ হিন্দুরা জেগে উঠেছে।’

    তবে তাদের কথায় কান না দিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ছবি তুলতে গেলে অনিন্দ্যকে একদল সশস্ত্র চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে। তারা তার ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।

    এ ঘটনার কিছু পরেই এক তরুণ এগিয়ে এসে সাংবাদিক অনিন্দ্যকে ফের পথরোধ করে হুমকি দেয় ও জিজ্ঞেস করে, ‘তুই একটু বেশি চালাকি করছিস। তুই হিন্দু, না মুসলিম?’

    এ সময় তারা সাংবাদিক অনিন্দ্যর প্যান্ট খুলতে বাধ্য করে এবং তার ধর্মীয় চিহ্ন খোঁজার চেষ্টা করে। অবস্থা বেগতিক দেখে হাতজোড় করে অনেক অনুনয়-বিনয় দেখানোর পরে কোনো মতে রেহাই পান ওই চিত্র সাংবাদিক।

    তখনও বিপদ কাটেনি ওই সাংবাদিকের। অটোরিকশা নিয়ে ফেরার পথে ফের সশস্ত্র বাহিনীর মারধরের মুখে পড়েন ।

    কারণ তিনি প্যান্ট খুলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীর বলে নিশ্চিত করলেও অটোরিকশাচালক মুসলমান ছিলেন। তাই ফের সশস্ত্র বাহিনীর রোষানলে পড়তে হয়।

    তাদের মাঝপথে থামিয়ে ঘেরাও করে চারজন সশস্ত্র যুবক। কলার ধরে দুজনকে অটো থেকে নামিয়ে মারধরের চেষ্টা করে। সাংবাদিক পরিচয় এবং অটোচালক নির্দোষ, এমন কথা বলে অনেক অনুনয়ের পরে তারা ছাড়া পান।

    অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘মুহূর্তগুলো আমার পার হলো ভয়ানক আতঙ্কে। ওই অটোওয়ালাই যখন আমাকে অফিসে দিয়ে গেল, তখনও সে ভয়ে কাঁপছে। চলে যাওয়ার আগে শুধু বলল, ‘সারা জীবনে কেউ আমাকে ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন করেনি কখনো।’

    এনডিটিভি জানিয়েছে, সোমবার থেকে উত্তর-পূর্ব দিল্লিজুড়েই ১৪৪ ধারা করা হয়েছিল। মঙ্গলবারও তা অব্যাহত ছিল। কিন্তু কারফিউ উপেক্ষা করেই মঙ্গলবার পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এতে দিল্লি পুলিশের উদ্বেগ আরো বেড়েছে।

    পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আনতে পেরে অবশেষে সন্ধ্যার দিকে সবচেয়ে উত্তেজনাপ্রবণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে ফের কারফিউ জারি করা হয়েছে।

    ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হওয়ায় উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

  • ঝালকাঠিতে ম্যাজিক গাড়ী চালকদের যাত্রী হয়রাণী বন্ধে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক

    ঝালকাঠিতে ম্যাজিক গাড়ী চালকদের যাত্রী হয়রাণী বন্ধে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক

    ঝালকাঠিতে ম্যাজিক গাড়ী চালকদের যাত্রী হয়রাণী বন্ধে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক

    ঝালকাঠি : ঝালকাঠি-নবগ্রাম সড়কে ম্যাজিক গাড়ী চালকদের দ্বারা যাত্রী হয়রাণী বন্ধে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ঝালকাঠি নাগরিক ফোরাম ও ম্যাজিক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাথে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঝালকাঠি নাগরিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর, সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান, দীপু লাল দাস, যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক ডা. জহিরুল ইসলাম বাদল, যুগ্ম- সম্পাদক উপাধ্যক্ষ রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু, অটো শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খান, ম্যাজিক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নান্নু মুন্সি, সাধারণ সম্পাদক বাবুল খলিফা, নিরাপদ সড়ক চাই’র জেলা সমন্বয়কারী এম জাকির হোসাইন, সাংবাদিক রুহুল আমীন রুবের, বশির আহাম্মেদ খলিফা ও আতাউর রহমান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

    বৈঠকে যাত্রী হয়রাণী, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, অব্যাহত সড়ক দূর্ঘটনারোধে সচেতনতা সৃষ্টি, অবৈধ নসিমন-করিমন, টমটম বন্ধসহ সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করা হয়।

    আলোচনায় নবগ্রাম-ঝালকাঠি সড়কের পথিমধ্যে অটো রিকসায় কোন যাত্রী ওঠালে ম্যাজিক গাড়ির চালক কর্তৃক অটো রিকসা ড্রাইভার এমনকি কোথাও যাত্রীরাও লাঞ্ছিত হচ্ছেন। সড়কটিতে বাড়তি ভাড়াও গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। এই সকল অতিরিক্ত যাত্রীবহন, দূর্ব্যবহার, অনিয়ম-অন্যায়, খামখেয়ালি বন্ধে করণীয় শীর্ষক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়াও ঝালকাঠি নাগরিক ফোরামের পক্ষ হতে উক্ত রুটে যাতায়াতকারী নিয়মিত ছাত্র-ছাত্রীদের ভাড়া কনসেশন করার সুপারিশ করা হয়।

    বৈঠকে রুটটিতে হেলপার দিয়ে গাড়ি চালানো বন্ধ, অতিরিক্ত যাত্রী বহন বন্ধ, যাত্রীদের সাথে অশোভন আচরন করার প্রমান পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে বলে ম্যাজিক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নান্নু মুন্সি, সাধারণ সম্পাদক বাবুল খলিফা জানান। বৈঠক শেষে উভয় পক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করে এক অপরের সহযোগীতা করার আশ্বাস প্রদান করেন এবং তাদের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে উভয় পক্ষ জানান।

  • অবৈধ যান” বানিজ্যের বিরুদ্ধে শ্রীপুরে ওসির প্রত্যাহার চেয়ে বিক্ষোভ

    অবৈধ যান” বানিজ্যের বিরুদ্ধে শ্রীপুরে ওসির প্রত্যাহার চেয়ে বিক্ষোভ

    অবৈধ যান” বানিজ্যের বিরুদ্ধে শ্রীপুরে ওসির প্রত্যাহার চেয়ে বিক্ষোভ

    মোহাম্মদ আদনান মামুন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শ্রীপুর থেকেঃ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের নিরাপত্তায় নিয়োজিত মাওনা হাইওয়ে থানা পুলিশ মেতে উঠেছে এবার “অবৈধ যান” বানিজ্যে। নানা অজুহাতে মহাসড়ক ও এর আশপাশ এলাকা থেকে প্রতিদিন অর্ধশত যান জব্দ করেন তারা। পরে সারা রাত ব্যাপী দরদাম করে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেন । এমন অভিযোগ নিয়ে ওসির প্রত্যাহার চেয়ে বুধবার সকালে মহাসড়কের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তায় বিক্ষোভ করেছে পরিবহন চালকরা।

    • হাইওয়ে থানা ওসির প্রত্যাহার চেয়ে বুধবার সকালে মহাসড়কের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তায় বিক্ষোভ করেছে পরিবহন চালকরা। ছবিঃ সত্যের সংবাদ।

    পরিবহন চালকদের ভাষ্যমতে,সরকার মহাসড়কে তিনচাকার যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করায় যেন পোয়াবারো হাইওয়ে পুলিশের। তারা এখন মহাসড়কের নিরাপত্তার পরিবর্তে বানিজ্যে জড়িয়ে গেছে। এধরনের বানিজ্য বিভিন্ন অটোরিক্সা, ব্যাটারী চালিত যান, সিএনজি অটোরিক্সা, মোটরসাইকেল,যানবাহন ষ্ট্যান্ড,গাড়ীর কাগজপত্রে ক্রুটি থাকাকে ঘিরে। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে কাগজপত্রে ক্রুটি থাকা বিভিন্ন পরিবহন ও ইটা বালি পরিবহনের গাড়ী থেকে মাসোহারা আদায়ের অভিযোগও রয়েছে।

    সকালে বা ভোরে বিভিন্ন সিএনজি ষ্টেশনে জ্বালানী আনতে গেলে পুলিশ গাড়ী আটকিয়ে থানায় নিয়ে যায়। এছাড়াও মহাসড়কের পাশে থাকা বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক থেকেও ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা জব্দ করেন তারা। পরে সন্ধ্যা হলেই হাইওয়ে থানা এলাকায় দালাল চক্রের মাধ্যমে দরদাম করে গাড়ী ছাড়াতে হয়। পুলিশের চাহিদামত টাকা না দিলে দেয়া হয় মামলার হুমকী ও আটক স্লীপ। এছাড়াও সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মহাসড়কের উপর দাড়িয়ে থাকা বিভিন্ন পরিবহন হতে রেকারের ভয় দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেন হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা। গত ৫ মাস পূর্বে হাইওয়ে থানায় নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঞ্জুরুল ইসলাম যোগদানের পর থেকেই যেন পুলিশের নানা ধরনের বানিজ্য ও অপতৎপরতা বেড়েছে। ওসির নেতৃতে, অর্ধশত সোর্স নিয়ে হাইওয়ে সড়কে বেপরোয়া এখন পিএসআই আইয়ুব আলী ,এসআই মারফত ও এসআই শাহজাহান।

    সিএনজি চালক আক্তার হোসেন জানান,গত ৩ মাস আগে জ্বালানী নিয়ে ফেরার পথে মাওনা চৌরাস্তায় তার গাড়ী আটক করেন পিএসআই আইয়ুব আলী। পরে বিভিন্ন ভাবে অনুনয় বিনয় করলেও তারা গাড়ী ছাড়েননি। কয়েকদিন পর স্ত্রীর কানের দুল সাড়ে আট হাজার টাকায় বিক্রি করে গাড়ী ছাড়িয়ে নেন।

    মাওনা উত্তরপাড়া গ্রামের আলাল উদ্দিন জানান, মহাসড়কের পাশে এমসি বাজার সংযোগস্থলের ষ্ট্যান্ড থেকে পুলিশের এক সোর্স গিয়ে তার ও সাথে থাকা আরো ৫টি গাড়ীর চাবী থানায় নিয়ে যান। পরে পুলিশের এস আই মারফত আলীকে ১হাজার টাকা করে দিয়ে প্রত্যেকেই গাড়ী ছাড়িয়ে নেন তারা। তিনি আরো বলেন, সরকারী আইন মেনেই তারা মহাসড়কে গাড়ী চালান না। তারপরও টাকার জন্য বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কেও হানা দিয়ে গাড়ী আটক করেন পুলিশ।

    গড়গড়িয়া মাষ্টার বাড়ীর আসাদ মিয়া জানান,তিনি শ্রীপুর-মাষ্টারবাড়ী আঞ্চলিক সড়কে গাড়ী চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। গত ৮ ফেব্রুয়ারী মাষ্টারবাড়ী থেকে এক সোর্সের মাধ্যমে তার গাড়ী জব্দ করেন এস আই মারফত আলী। পরে ৬হাজার টাকার বিনিময়ে তিনি গাড়ী ছাড়িয়ে নেন।

    অটোরিক্সা চালকদের ভাষ্যমতে,নিম্ন আয়ের এক শ্রেনীর লোকজন মহাসড়কের পাশের বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কে গাড়ী চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। তারা স্বল্প আয়ের লোকজন। ধার দেনা করে একটি গাড়ী কিনতে খরচ হয় ৮০-৯০হাজার টাকা। হঠাৎ করে বেপরোয় এখন হাইওয়ে পুলিশ। প্রতিনিয়ত আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে গাড়ী জব্দ করে নিয়ে যান। গাড়ী বন্ধ থাকলে ব্যাটারী নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকা থাকায় তারা পুলিশের চাহিদা মত টাকা দিয়েই গাড়ী মুক্ত করে নিয়ে আসেন। প্রতিটি তিনচাকার যান ছাড়াতে ৫-১০ হাজার টাকা পর্যন্ত টাকা গুনতে হয়।

    কেওয়া গ্রামের আবু বকর সিদ্দিক নামের এক পরিবহন চালক বলেন,কেউ যদি অপরাধ করে তাহলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার কথা, অথচ হাইওয়ে পুলিশ প্রতিটি ঘটনায় সোর্সের সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। তাদেরকে টাকা দিলে বৈধ অবৈধ কিছুই না।

    স্থানীয়রা জানান,সন্ধ্যা হলেই হাইওয়ে পুলিশের সহযোগিতায় মাওনা চৌরাস্তার উড়াল সড়ক ঘেঁষে বসে হাজারো ভ্রাম্যমান দোকানপাট। এসব দোকানের কারনে যানজটের কবলে পড়ে স্থানীয়দের। মহাড়করে নিরাপত্তায় তাদের দেখা মেলা ভার।

    নানা অভিযোগের বিষয়ে মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঞ্জুরুল ইসলাম জানান,তিনি ও থানার কোন কর্মকর্তা কোন ধরনের বানিজ্যের সাথে জড়িত নন। এর পরও যারা তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে তারা হয়ত কোন অনৈতিক সুবিদা চেয়েছিল যা তাদের দেয়া হয়নি।

    হাইওয়ে পুলিশ গাজীপুরের পুলিশ সুপার আলী আহমদ খান জানান,মহাসড়কের তিনচাকার যান চলাচলের কোন নিয়ম নেই। এসব যানবাহন মহাসড়ক থেকে পুলিশ আটক করে প্রচলিত বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে এটাই স্বাভাবিক। তবে টাকার বিনিময়ে অবৈধ যান আটক করে ছেড়ে দেয়ার কোন অভিযোগ তিনি পাননি। এমন অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।